যেতে তো ইচ্ছে করে, কিন্তু যাওয়া কি কম ঝক্কি? রেঁধে বেড়ে, খেয়ে গুছিয়ে, ঢাউস জামা কাপড়ের ব্যাগ, হাত ব্যাগে জলের বোতল,ছাতা, সব নিয়ে বেরোতে বেরোতে বেলা বেশ বেড়ে গেল। দুটি ভাতে ভাত বাচ্চা দুটোকে গিলিয়ে দিতে পারলে নিশ্চিন্তি। হাওড়া যেতেই সে ঘন্টা দেড়েক, কোন ট্রেন তারপর পাবে, সিটিও ঠিক সময়ে আসবে কিনা, রবিবারে জায়গায় জায়গায় লাইনের কাজ…সব ফিরিস্তি মিটলে তবে নাবতে পারবে তুমি দিনের আলো থাকতে থাকতে। মরা আলো, সেও ভালো, তাও তো খানিক দু চোখ ভরে দেখতে পাবে আদরের স্টেশনটির চারপাশের চেনা পথঘাট,গাছপালা,দোকান বাজার, মন্দির মসজিদ! আলো জ্বলে গেলে কি আর সেই মুখগুলি দেখা যায়? তখন কেবল আঁধার বনাম ... ...
গলসি গিন্নিকে আমরা কেউই দেখিনি। মা বুঝি দেখেছিলো সেই ছোটবেলায়। কিন্তু তার ঘরটি আছে। রাড় দেশের শক্ত মাটি, সহজে টলেনা। সে ঘর একলা দাঁড়িয়ে আছে শ্রীক্ষেত্র-র উল্টো দিকে। শ্রীক্ষেত্র-র ফটক পেরিয়ে উঠান, উঠান পেরিয়ে খড়ের চাল, দুতলা কোঠা ঘর। এক তলায় গৌর নিতাই, ধূপ ধুনো, পুরোনো ফটো --- ছেলেপুলেদের, জোয়ান আর বয়স্ক পুরুষ মানুষদের। সদ্য বিয়ে করে আসা ... ...
সে আসে। যখন লাল ধুলোমাখা শহরে হেমন্তের ছায়া নামে, কিন্তু পুরোনো গির্জার মাথায় তখনো কমলা রঙের রোদ। সে একটা রিক্স নেয় হয়তো। ক্যাঁচ কোঁচ করতে করতে সে রিক্স তাকে পৌঁছে দেয় সবুজ কাঠের গেটওয়ালা একতলা কোনো বাড়ির সামনে। গেট যে থাকবেই এমন নয়। হয়তো সবুজ বা কালো রং এর দরজা, কোনো গলির ভিতর।তার আসার খবর ছিলোনা। চিঠি পৌঁছতেও তো সময় ... ...
Aditi Dasgupta আঁতেল হতে পারলেননা। তাঁর পড়ার উপযুক্ত বইঃ রক্তমাখা কুকরি ... ...