নির্মল করো, মঙ্গল করো, মলিন মর্ম বাজেটে দিনের শেষে সরল প্রশ্ন, আমজনতা কী পেল? তবে, এই প্রশ্ন করার আগে, আমজনতার কাছে প্রশ্ন রাখতে হবে, সরকারের কাছে আসলে কী চায় তারা? সেই প্রত্যাশা কি বাজেট পেশ করে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন পূরণ করতে পারলেন?গত এক বছর ধরে করোনা শিখিয়েছে, বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে কীভাবে যুঝে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হয় আমজনতাকে। তার জন্য আলাদা কোনও চিত্রনাট্যের প্রয়োজন হয় না। লকডাউন পরবর্তী সময়ে কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে যুঝতে গিয়ে হেরে গিয়েছেন, আত্মবিশ্বাস খুইয়েছেন এমন মানুষের সংখ্যার ইয়ত্তা নেই। ক্রোশের পর ক্রোশ হেঁটে পায়ের চেটো ফুটিফাটা হয়ে গিয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের। খালি হাতে বাড়ি ফিরেছেন তাঁরা। সাহায্য বলতে ... ...
পথের এখনও ক্ষত শুকায়নি I কয়েক ক্রোশ হেঁটে পরিযায়ীদের I আদুর পায়ের যে রক্ত চুঁইয়ে I মাটি ভিজেছিল... I এতটাই ছোঁয়াচে, তার শরীরে পচন ধরেছে I হাঁ হয়ে আছে গভীর ক্ষত! কাল হেঁটেছিল পরিযায়ীরা I আজ সে পথে দিয়ে হাঁটছে চাষারা I সেই নগ্ন পা I সেই ফাল হয়ে যাওয়া গোড়ালি I চুঁইয়ে পড়া রক্ত I এ রক্তের স্বাদ তার চেনা এক পশলা রক্তে ভিজে I পথ যখন সোঁদা গন্ধ ছড়ায় I বুঝবেন বিপ্লব এসে গেছে I খড়গ হাতে প্রস্তুত হচ্ছে রাষ্ট্র I টান টান করে নিচ্ছে ক্ষমতার পাঁজর I অলিন্দে বিষ নিঃশ্বাস I চোয়াল শক্ত হচ্ছে চাষাদেরও I শিরদাঁড়ায় আত্মবিশ্বাস ব্ল্যাক লাইভস ... ...
বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রায় শোনাচ্ছিলেন,হয়ত নবান্নে বসে মুচকি হাসছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! এমন অলীক ধারণা আপনার উদয় হলো কীভাবে? না,ঠিক উদয় নয় বিশ্বাস! তবে সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত। এই রায় যদি এক মাস আগে আসতো অন্তত পুজো উদ্যোক্তরা এতটা অসুবিধায় পড়তেন না। তাঁরা নিজের মতো করে সাজিয়ে নিতে পারতেন। আর প্রশাসন যদি আদালতের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতো, তাহলে তো কোনও সমস্যাই থাকতো না। ওই যে বললাম, তিনি হয়তো তখন মুচকি হাসছিলেন! কিন্তু মমতার হাসির কারণ কী? পুজোর জন্য ৫০ হাজার টাকা অনুদান। একটা, দুটোর জন্য নয়,রাজ্যের প্রায় ৩০ হাজার পুজো কমিটিকে ৫০ হাজার টাকার অনুদান দিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজকোষ ঝেড়েপুছে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ তুলে ... ...