এক জটিল রেখার খোঁজে : সুমিতা
বুলবুলভাজা | অন্য যৌনতা | ২৬ ডিসেম্বর ২০১৩ | ৮৭৮ বার পঠিত | মন্তব্য : ৯
না। এসব কিছুই নয় আসলে। আমরা জানি রাষ্ট্র যা কিছুকে বাঁধা যায় না তাকেই ভয় পায়। নিজে ভয় পায় বলেই ভয় দেখাতেও চায়। ৩৭৭ ধারা আসলে একটা জুজু, তাকে দিয়ে শাস্তি বিধানের তুলনায় ভয় পাওয়ানোর কাজটা হয় বেশি। এতো ফাঁপা আইন দিয়ে সত্যিই কিছু হবে না আমাদের, আমরা যারা কামকে ভয় পেতে শিখিনি, যৌনতাকে লাভের জন্য ব্যবহার করতেও শিখিনি, আমরা যারা যার যার মায়ের কাছে ‘খারাপ মেয়ে’ হয়েছি নানা সময়, নানা কারণে। আমরা জানি এশুধু কয়েক মাস বা বছরের অপেক্ষা, আইন বদলাবেই।
যা নিয়ে ভাবছি তা অন্য – যেদিন রাষ্ট্র সমকামী মানুষের অধিকার মেনে নেবে বা নিতে বাধ্য হবে, সেদিন যত ক্যুয়ার, বক্র, নচ্ছার, সমকামী-মূল-স্রোতের বাইরে থাকা জটিলারা তাদের মতো জায়গা পাবে তো?
‘মে’ হওয়া কি মুখের কথা? : সুমিতা
বুলবুলভাজা | অন্য যৌনতা | ১০ মার্চ ২০১৪ | ৯৬৭ বার পঠিত | মন্তব্য : ৭
কামনায় মেয়ে মানে ঠিক কী তা আমি জানি না - মেয়ের কামনা যেমন হবে নাকি যেমন কামনা হলে মেয়ে বলা হবে? যদি প্রথমটা হয় তাহলে শরীরে মেয়ে আমি যে কামনা করব সেটাকেই মেয়ের কামনা বলে ধরে নিতে হবে। কাজেই আমার মেয়েকে কামনা করাও তাহলে মেয়ের কামনা, যা আমাকে কামনায় মেয়ে করে তুলতে পারে। কিন্তু যদি দ্বিতীয়টা হয় তাহলে ছেলেদের কামনা না করলে আমি কামনায় মেয়ে হব না। আবার দ্বিতীয়টাকে বেঞ্চ মার্ক হিসাবে ধরলে যেসব শারীরে পুরুষ পুরুষদের কামনা করে তাদেরও মেয়ে বলতে হয়। আমার আপত্তি নেই এ ব্যবস্থায়, কিন্তু বাকি সবাই রাজি কী? ফোর্থ ডাইমেনশনের হিসাবটাও এখানে এক্কেবারে ফিট করে যাচ্ছে, যে নিজেকে মেয়ে বলে উপলব্ধি করেছে সেই মেয়ে। যে পুরুষ (শরীরে) নিজেকে মেয়ে বলে উপলব্ধি করে পুরুষকে কামনা করেছে সেও মেয়ে, আবার যে পুরুষ (শরীরে) নিজেকে মেয়ে বলে উপলব্ধি করে মেয়েকে কামনা করেছে সেও মেয়েই। এর উল্টোটাও সত্যি, তবে সেটা ছেলে হবার গল্প, সেটা এখন বলছি না।
কামনা - রাজনীতি - আমি : সুমিতা
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ১১ মার্চ ২০১২ | ১৩৭৩ বার পঠিত | মন্তব্য : ১
সচরাচরের অধিকার আন্দোলনের রাজনীতি কামনাকে বিষয়বস্তু হিসেবে গ্রহণ করতেই চায়না। আমার মনে হয়, আমি হয় একজন নারী-মানুষ নই, নয় একজন যৌন-নারী-মানুষ নই, কিংবা একজন যৌন-নারী-সমকামী মানুষ নই, অথবা যৌন-নারী-সমকামী-একনিষ্ঠ মানুষ নই। কারণ ব্রাত্য হওয়া শুরু হয়েছিল নারী বলে, তারপর যৌন নারী বলে, তারপর সমকামী যৌনতাবোধসম্পন্না নারী বলে, শেষপর্যন্ত বহুগামী নারী বলে। প্রান্তিকরণের রাজনীতি কামনাকে ইন্ধন হিসেবে ব্যবহার করে। আমাকে ক্রমাগত রাজ্যপাট ছেড়ে বনে যেতে হয়, বন থেকে বনান্তরালে, চষা ক্ষেত ছেড়ে নোনা লাগা মাটি পেরিয়ে সমুদ্রের মাঝে কোন এক দ্বীপেও আশ্রয় মেলে না। "স্যাফো ফর ইক্যুয়ালিটি'তে বন্ধু পেতে আসিনি। সমমনস্ক, সমরাজনীতিতে বিশ্বাসী সহকর্মী চেয়েছিলাম। যাদের পেলাম তারা সহকর্মী, সহমর্মী বন্ধুও বটে। আমার কামনার ইতিহাস বা ভূগোল তাদের সবার মত নয়, কিন্তু প্রান্তিকরণের বিরুদ্ধে আমার রাজনীতি তাদের সঙ্গে আমাকে একসূষেন গেঁথেছে। ভিন্নতার উৎসবে আমরা সবাই শরিক। আমি, নারী, যৌন-মানুষ,সমকামী, বহুগামী, প্রান্তিক, কিম্ভুত - আমি।
ঐন্দ্রজালিক মুহূর্তে ননসেন্স অনুভবের অ-লোক-সম্ভব স্পর্শে মগ্ন : সুমিতা চক্রবর্তী
বুলবুলভাজা | পড়াবই : প্রথম পাঠ | ০১ নভেম্বর ২০২০ | ৫১৬৬ বার পঠিত
সুকুমার রায়। ৩০ অক্টোবর ছিল তাঁর জন্মদিন। দেশ-সচেতন, সমাজ-সচেতন, সমকাল-সচেতন, বিজ্ঞানমনস্ক এই স্রষ্টার লেখাগুলি নিরন্তর নতুনভাবে পাঠ করে চলেছেন বিদ্বজ্জনেরা। তাঁর লেখালিখি নিয়েই বাংলার বিশিষ্ট মনীষীদের চর্চায় সমৃদ্ধ একটি সংকলন। পড়লেন লেখক ও শিক্ষাবিদ সুমিতা চক্রবর্তী।