এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • হাতে কুদর্শন জ্যোতিষ আংটি

    Su
    অন্যান্য | ২৯ জুলাই ২০০৬ | ১৮০৯৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aranya | 144.160.226.53 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১১ ০৯:৫৫632162
  • রুপঙ্কর-বাবু, খুব আন্তরিক ভাবে, একদম মন থেকে বলছি, আপনার পোস্টগুলো পড়ছি, ভাল লাগছে। আপনার কনভিকশন যে ঘটনাগুলোর ওপর দাঁড়িয়ে সেগুলো যদি লেখেন, আমি ও আমার মত আরও অনেকেরই নিশ্চিত ভাল লাগবে।
    একটা টই-এর কথা বললেন, যেটা ঘেঁটে গেছিল - সেটা কি ঐ horoscope.. টই-টা? ওটায় তো আপনার তেমন কিছু পোস্ট চোখে পড়ল না। অন্য কোন টই হলে নামটা কাইন্ডলি বলবেন, পড়ার ইচ্ছে আছে।
  • rupankar sarkar | 117.194.240.236 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১১ ১০:৩৫632163
  • অরণ্য - ভাল লাগল আপনার পোস্ট। ওটা নন বেঙ্গলি এবং বিয়ে তে অ্যাস্ট্রোলজি নিয়ে কি একটা পোস্ট ছিল। মোদ্দা কথা ওরা যে সব মাঙ্গলিক টাঙ্গলিক বিয়ের আগে দেখে, আজকাল বাঙালি সমাজেও সেই সব ঢুকে পড়েছে - তাই নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। আমি দেখলাম, মাঙ্গলিক নিয়ে কেউ লিখছেন মঙ্গলবারে জন্ম ইত্যাদি। তাই জাস্ট অ্যাকাডেমিক ইন্টারেস্টে নন বেঙ্গলি উত্তর ভারতীয়রা মাঙ্গলিক কাকে বলে তাই বলতে গেছিলাম।

    আমি অভিজ্ঞতা নিয়ে আলোচনায় ঢুকতে রাজি ( এতক্ষণ কোন ভূমিকায় খেলছিলাম তা আগে বললাম) তবে আমি কিষেনজী নই, মধ্যস্থতাকারীদেরও বিশ্বাস করিনা।

    আগে যে কটি প্রশ্ন করেছি, তার উত্তর চাই। ১) sikiর অভিজ্ঞতা, আমার নয়, তার ব্যাখ্যা কেউ দিন। ২) ডাক্তারী শাস্ত্র নিয়ে কিছু প্রশ্ন রেখেছিলাম,আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে, যেটা পরে Dukhe আবার রাখলেন, সেই নিরীখে মেডিক্যাল সায়ান্সকে বুজরুকি বলা হবেনা কেন, তার উত্তর চাই। ৩) আমার দলে কিছু প্লেয়ার চাই, একলা খেলা সম্ভব নয়।
  • aranya | 144.160.226.53 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১১ ১০:৪৪632164
  • জ্ঞানত যদি কেউ নিজের লাভের জন্য লোক ঠকায়, একমাত্র তাকেই ভণ্ড, প্রতারক বলা যায়। কোন প্রফেশনাল জ্যোতিষী, যিনি সত্যিই মন থেকে জ্যোতিষ শাস্ত্রে বিশ্বাস করেন, তাকেও ভণ্ড, প্রতারক বলা যায় না; কারণ তিনি জেনেশুনে লোক ঠকাচ্ছেন না। রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ তো অনেক দূরের কথা - এই দুজনের সত্যিই ধর্ম ইত্যাদিতে বিশ্বাস ছিল + এরা নিজের লাভের জন্য লোক ঠকাতেন এটা বোধহয় এদের ঘোর শত্রুও বলবে না।

  • aranya | 144.160.226.53 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:১০632165
  • রুপঙ্কর-বাবু, ফেয়ার এনাফ :-)
    ১। সিকির অভিজ্ঞতার ব্যাখা -
    অ) জাস্ট কোয়েন্সিডেন্স। ছক ইত্যাদি বিচার করে ঐ জ্যোতিষীর মনে হয়েছিল যে মেয়েটি সাত বছর তিন মাসে মারা যাবে, কোয়েন্সিডেন্টালি মেয়েটি সেই সময়ে মারা গেছে।
    আ) জ্যোতিষ শাস্ত্রের সত্যিই একটা সলিড ভিত্তি আছে, এবং ঐ জ্যোতিষী খুব বিরল কিছু জ্যোতিষীর একজন যিনি শাস্ত্রটা অধিগত করতে পেরেছিলেন।
    ওপরের দুটোর মধ্যে কোনটা সত্যি আমি জানি না।
    ২। মেডিক্যাল সাইন্স সিম্পটম ভিত্তিক চিকিৎসা করে, মানবশরীরের ব্যাপার স্যাপার এখনও অনেকটাই অজানা, এটা তো বড় ডাক্তাররাও বলেন। আমার বাবা তিরিশ বছরের ওপর পারকিনসন্স ডিজিজে ভুগেছেন, ৯৪-এ মারা গেছেন। কিওর তখনও ছিল না মেডিক্যাল সাইন্সে, এখনও নেই। কিন্তু এলডোপা ওষুধ-টা খেলে ১০০ জন পারকিনসন্স রোগীর মধ্যে একশ জনই, ওষুধ খাওয়ার কিছুক্ষণ পর হাত পা একটু নাড়াতে পারে - মুভমেন্ট বেটার হয়, এটা একদম পরীক্ষিত সত্য। এখন জ্যোতিষীরাও যদি এমন কিছু রেজাল্ট দেখাতে পারেন, যা বারবার মিলে যাচ্ছে, তাহলে তো মেনে নিতেই হবে।
    ৩। আমি খুব খোলা মনে আপনার কথা শুনছি, এটুকু বলতে পারি। আমার বিশ্বাস আরও অনেকেই শুনছে। দলের লোক হয়ত নই, তবে আপনার লেখা ভাল লাগছে - এটুকু বলতেই পারি।
  • rupankar sarkar | 117.194.245.120 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:৫০632166
  • অরণ্য - খুব ভাল লাগল আপনার পোস্ট। আপনি একেবারে ঠিক বলেছেন। আপনার কো ইন্সিডেন্স ও ভাল জ্যোতিষী, দুটৈ ঠিক। তবে একথা সাহস করে লেখার আগে বলে নিই, নতুন কনট্রোভার্সি পেয়ে, আর কারও প্রোভোকেটিভ পোস্টের আমি উত্তর দেবনা। এই কৈনসিডেন্সের গোড়ায় আছে কোয়ান্টাম ফিজিক্স। যদি কেউ সত্যিই জানতে ইনটারেস্টেড হন, তবে 'রুটস অফ কৈনসিডেন্স" নামক বইটি পড়ে দেখতে অনুরোধ জানাচ্ছি। ভাল ভাবে বিষয়টি চর্চা করলেই এক স্থানে, এক সময়ে, এক পিতার ঔরসে, এক মায়ের গর্ভে জন্মানো জমজ ভাইদেরও কিছু ক্ষেত্রে অন্য ভাগ্য হয় কেন জানা যাবে। ( যদি সত্যি জানার ইচ্ছে থাক, না হলে ঠাট্টা, বিদ্রুপ বা খিস্তি চলুক)

    দ্বিতীয়ত: ভাল জ্যোতিষী। নৈহাটি বা ভাটপাড়া অঞ্চলে এক সময়ে কিছু ভাল জ্যোতিষী পাওয়া যেত সেই 'জঁ', 'জনার' বা 'জনরা' বিলুপ্তপ্রায়। জুয়েলারের দোকানে বসা জ্যোতিষীদের ফোরকাস্টের ওপর কোনও ভরসা না রাখাই ভাল, কেন, তা আগে বলেছি। আর চাকরি করা শখের জ্যোতিষী আল পটকা দু একটা মেলাতেই পারেন, যতটা সময় এর পেছনে দেয়া দরকার তা তাঁদের নেই ওবভিয়াসলি।

    গ্রহনক্ষত্রের প্রভাব কি করে এত দূর এসে একটা মানুষের ভাগ্যের ওপর পড়ে এ প্রশ্ন অনেকে করেছেন। ধরুন শীতের রাতে আপনি জঙ্গলে ঠক ঠক করে কাঁপছেন, কিচ্ছু করার নেই। সকাল হতে সূর্য উঠতেই আপনি দিক গুলো বুঝতে পারলেন। তখন উত্তর দিকের গাছের আড়লে যেতেই খানিক স্বস্তি (সূর্যের উত্তাপ ছাড়া)। নক্ষত্র সিম্বলিকালি তার পোজিশন দিয়ে ভাগ্যের কন্ডিশন বলে দেয়। যেমন ভাবে অসভ্য পলিনেশিয়ানরা বহু যুগ আগে কম্পাস ছাড়াই তারা দেখে বিন্দাস ভুরে বেড়াত সমুদ্রে।

    একটা জিনিষ রিইটারেট করছি, আংটি ফাংটি পরে কিছু শারিরীক স্বস্তি ছাড়া দুর্যোগ এড়ানো যায়না।

    আমার এক্সপিরিয়েন্স শেয়ার করার মত আবহ এখনও তৈরী হয়নি। হলে নিশ্চয়ই করব।
  • PM | 2.50.40.193 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১১ ১২:০৫632167
  • রুপন্‌করবাবু, আপনার তরফে খেলার যোগ্যতা নেই। তার কারন জ্ঞান-এর অভাব

    আমি কট্টর যুক্তি বাদী বলেই নিজেকে মনে কর্তাম।। স্কুল কলেজ-এ পড়ার সময় বিজ্ঞান ক্লাব করেছি। গ্রামে গ্রামে গিয়ে বুজরুক-রা যেসব ম্যজিক দেখিয়ে ভক্তি আদায় করে সেগুলো অনুষ্ঠান করে দেখিয়েছি...। জ্যোতিষ কে চুটিয়ে গাল দিয়েছি।পুরুলিয়া, বাঁকুরায় কয়েকজায়্‌গায় আমরা মার খেতে খেতে বেঁচেছি। এসব-ই ৯০ দশকের কথা।

    মাস ছয়েক আগে আমার ঠাকুমা মারা যান। ওনার বাক্স তোরোজ্ঞ পরিস্কার করার সময় একটা হলদেটে কাগজের রোল বেরোয়। দেখা যায় ওটা বাবার জন্মপত্রিকা... জাস্ট বাবার জন্মের পরে পরে বানান (৪০ দশকে)। বেশিরভাগ সংস্কৃত আর কিছু বাংলায় লেখা। পুরনো জিনিসে আমার খুব আগ্রহ। পড়তে শুরু করলাম কি কি ভুল লেখা আছে খোঁজার জন্য। কারন বাবার জীবনটা পত্রিকা লেখার সময় ভবিষ্যত ছিল কিন্তু এখন বেশিরভাগ্‌টাই অতীত।
    এবার চমক খওয়ার পালা আমার। ছোটো ছোটো গুলো ছেড়ে দিলেও তিনটে বড় ভবিষ্যত বানী ছিল যা মেলান অসম্ভ্যম না হলেও প্রচন্ড কঠিন-

    ১। ১২ বছর বয়স-এ প্রাণসংশয় : বাবাকে একটা লরী ধাক্কা মেরেছিল। মাথা ফেটে চৌচির। মরা ভেবে কেউ ছোঁয়নি। হাস্পাতালের এক ডাক্তার দেখতে পেয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে অপারেসান করে। আজ-ও বাবার মাথাময় স্টিচ-এর দাগ।
    ২। শিক্ষালাভ হেতু সাগরপরের দেশ যাত্রা: ৪০-এর দশকে এই ভবিষ্যতবানী করা মোটেই নর্মাল নয়। তাও মফস্বল-এর কট্টর ব্রাম্ভন বাড়ির ছেলের জন্য। বাবা প্যরিসের সরবর্ন বিশ্ববিদ্যলয় থেকে উচ্চশিক্ষা করেছিলেন।
    ৩। কর্মজীবনে নামডাক-ওয়ালা শিক্ষক হবে: আমার বাবা দেশে আর বিদেশে নিজের সার্কেলে পরিচিত অধ্যাপক।

    সব লেখা এখনো উদ্ধার করতে পারি নি। কিন্তু বেশ চমকে গেছি। পুরটাই কাকতালিয় হতে পারে.... সত্যি বলতে কি হলেই খুশী হই। এত কালের বিশ্বাস ঠিকঠাক থাকে। কিন্তু এতগুলো সমপাতন-এর সম্ভবনা এত কম মনটা খচ খচ করে।

    রিদ্ধি বা ব্রতীনের মতো আমি কোনোদিন জ্যোতিষ নিয়ে পড়াশোনা করি নি। তাই মনে হচ্ছে আমার জানার বাইরে আনেককিছু পড়ে নেই তো?
  • rupankar sarkar | 117.194.227.140 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১১ ১২:১৭632168
  • PM - মনে বল পাবার জন্য আপনার পোস্ট যথেষ্ঠ। এমনকি siki স্কেপটিক হয়েও নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। আমি কৃতজ্ঞ। আমার গোড়ার দিকের পোস্টে একটা কথা বলা ছিল, আবার বলছি, বেশ কয়েকটা ক্লাস টু/থ্রি-র ছেলে ইন্টিগ্রাল ক্যালকুলাস করার চেষ্টা করে ধেড়িয়েছে। তার মানে কি ক্যালকুলাসটা মিথ্যে ? আমি মানিকতলায় থাকার সময় সাহা ইন্সটিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্সের কিছু বিজ্ঞানী বা রাজাবাজার সায়ান্স কলেজের কতিপয় অধ্যাপকের সঙ্গে ইনটারায়াক্ট করেছি। বিশ্বাস করুন, প্রকৃত বিজ্ঞানীরা প্রবীর ঘোষের মত 'বৈজ্ঞানিক" নন।

    আমাকে আপনারা দ করে কয়েক ঘন্টা ছুটি দেন। আমি রান্না করতে করতে উঠে এসে পোস্ট করছি। আমি কথা দিচ্ছি, আবার আসব। আপনারা চালান, দ করে বন্ধ করবেননা।
  • dukhe | 14.99.241.233 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১১ ১২:৫০632169
  • ঋদ্ধিমানের মত অনেকেই স্পিরিচুয়াল অভিজ্ঞতাকে হ্যালু বলে বিশ্বাস করেন। তাঁদের বিশ্বাসে আঘাত না করে একটি ছোট্ট পয়েন্ট খেয়াল করিয়ে দিই । রামকৃষ্ণের অভিজ্ঞতাকে নরেন্দ্রনাথও হ্যালু ভাবতেন । তার পর কী হইল শ্যামলাল ছাড়াও অনেকে জানে ।
  • nyara | 122.172.172.235 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১১ ১৩:০১632170
  • ব্রতীনের পোস্টটা অল্প ভুল। কারুর সমালোচনা করতে গেলে তাঁর জীবন সম্বন্ধে গভীর অধ্যয়ন করে নিতে হবে বা অন্য লোকের মন আঘাত লাগবে বলে সমালোচনা থেকে বিরত থাকতে হবে - ধরণের চাহিদা ঢপের। সে তিনি বিবেকানন্দই হোন কী বুদ্ধদেব ভটচাজই হোন।
  • rupankar sarkar | 117.194.242.192 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১১ ১৪:৩৮632172
  • হ্যালু জিনিষটা কী ? হ্যালুসিনেশন হচ্ছে যা ঘটছেনা, তাই দেখা। আমরা কি চোখ দিয়ে দেখি ? কোনও জিনিঢে আলো পড়ে তা রিফ্লেক্ট করে আমাদের রেটিনা মারফ্‌ৎ অপটিক নার্ভ বেয়ে ভিসুয়াল কর্টেক্সে যায়। সেখানে মিড্‌ল টেম্পোরাল রিজিয়নে ব্যাপারটা প্রোসেস হয়ে কগনিশনের ব্যাপার আসে, জিনিষটা কী? এবার যদি কোনও এক্সটারনাল ফোর্স সেই জায়গায় একটু খেলে দেয়, তবে না দেখেও আমরা দেখতে পাব। মানে, রেটিনার সাহায়্য ছাড়াই, চোখ ছাড়াই। যাঁরা ভূত/ভগবান দেখেন, তাঁরা হ্যালুসিনেটই করেন। কিন্তু প্রশ্ন এই ব্যাপারটা স্পনটেনিয়াস না কেউ(?) খেলল। চট করে ব্যাখ্যা দিলে বিদ্রুপ, আর বেশি সময় নিলে হ্যাজানো। খুব বেশি সময় আমার নেই-ও। তবে লোকায়ত হ্যালু হচ্ছে স্কিটে্‌জাফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হবার পূর্ব লক্ষণ। কিন্তু যদি 'খেলে দেওয়া' হয়? যাঁরা ইচ্ছুক গোষ্ঠি,তাঁদের বলতে পারি আমার গোঁজামিল জ্ঞান নিয়ে, তবে বেশ কিছুক্ষণ পরে আসব। যদি ততক্ষণ ধৈর্য থাকে।
  • bb | 117.195.179.136 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১১ ১৮:৩০632173
  • ন্যাড়াকে ক।
    আমার গুরুকে কেঊ খারাপ বলতে পারবেনা এই দাবীটা অন্তত: খোলাপাতায় আশা করা উচিত নয়।
  • dukhe | 117.194.225.204 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১১ ২০:৫২632174
  • রূপংকরবাবু গেলেন কই ? বসে আছি পথ চেয়ে ।
  • Bratin | 117.194.100.123 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১১ ২১:৩৪632175
  • ও আচ্ছা। কারোর সম্পর্কে কিছু না জেনেই তাকে হ্যাটা করা বুঝি যুগের ধর্ম ন্যাড়া দা? :-))
  • rupankar sarkar | 117.194.231.213 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১১ ২২:২৬632176
  • Dukhe সুকুমার রায়ের পাগলা দাশু পড়েছেন তো - 'আবার সে এসেছে ফিরিয়া ' বলুন কি চাই-
  • nyara | 122.172.172.235 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:১৭632177
  • ঠিক আছে। আর একটা চান্স নাও। কারুর সমালোচনা করতে হলে ঠিক কী ধরণের যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন? ধর বিবেকানন্দর আর হরিদাস পাল।

    অন্তত: 'আহত হতে পারেন' লাইন থেকে সরে এসেছ দেখে ভাল লাগল।
  • saikat | 116.203.213.209 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১১ ০০:১০632178
  • রূপংকরবাবু আপনি লিখুন, লিখুন। জ্যোতিষ ব্যাপারটা কী, কিভাবে হিসেবপত্র হয়, আপনার ক্ষেত্রে কী ঘটেছে, যা মনে হয় লিখে ফেলুন। এমনিতেই তো জ্যোতিষীদের অভাব নেই, এই যেমন রিটেলে FDI এলে ১০ মিলিয়ন না কত যেন নতুন কাজ তৈরী হবে ইত্যাদি বলা হচ্ছে, শুনে তো মনে হয় এও একরকমের জ্যোতিষীপনা। তার চেয়ে "আসল" জ্যোতিষ নিয়েই নয় শুনি। লিখুন।
  • Update | 72.83.97.112 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:৫৭632179
  • Name:rupankarsarkarMail:Country:

    IPAddress:117.194.226.168Date:04Dec2011 -- 07:22AM

    আসলে সময় টা কিছুতেই ম্যাচ করানো যাচ্ছেনা। কাল যেমন দুখে যখন লিখেছেন, তখন আমি রান্নাঘরে। আবার আমি এসে পোস্ট দিয়ে ১২টার কয়েক মিনিট পর ঘুমোতে গেলাম। তখন আপনি লিখতে বললেন। কাদের জন্য কখন লিখব এই নিয়ে একজন ভাল জ্যোতিষী দেখাতে হবে। ন্যাড়াবাবু, হরিদাস পালের খবরদার সমালোচনা করবেননা। পাল হল কুমোরদের পদবী। তাদের ইংরিজীতে 'পটার' বলে আর হরিকে ওরা হ্যারি বলে সে তো কলকাতার পুরোন দোকান গুলোর সাইনবোর্ড পড়লেই বোঝা যায়। হ্যারি পটারের ওয়ার্ল্ড ওয়াইড কত ফ্যান যানেন ? আপনি স্রেফ উড়ে যাবেন।

    ________________________________________

    Name:rupankarsarkarMail:Country:

    IPAddress:117.194.226.168Date:04Dec2011 -- 07:24AM

    অনেকখানি লিখলাম, submit করতেই ধাঁ করে উড়ে গেল। না: কখন লিখব তাই নিয়ে ভাল একজন জ্যতিষী দেখাই আগে

    ________________________________________

    Name:rupankarsarkarMail:Country:

    IPAddress:117.194.240.190Date:04Dec2011 -- 10:34AM

    আছে?
  • bb | 117.195.170.10 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১১ ১৩:০৩632180
  • রুপংকর বাবু লিখুন , আমার জ্যোতিষে বিশ্বাস নেই, কিন্তু তারমানে এই নয় আমি সব জানি। আপনার থেকে অনেক কিছু শিখবার আছে। হয়ত জ্যোতিষ সম্পর্কে আমার মতবাদ বদলে যাবে আপনার দৃষ্টিভঙ্গী জানতে পারলে।

  • Bratin | 117.194.98.253 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১১ ১৩:৪২632181
  • চান্স নেবার প্রশ্ন ই নেই। বিবেকানন্দ সম্পর্কে আমার যা বিশ্বাস সেটা কয়েক জনের ভুলভাল লেখায় আঘাত পাবে এমন ঠুনকো বিশ্বাস আমার নয়।

    আর আমার মনে হয় যদি কারের সম্পর্কে মন্তব্য করতে হয়। বিশেষ সে এমন একজন যাঁর অ্যাক্সেবিলিটি সার্বজনীন। পৃথিবী তে n খানা বিষয় থাকতে পারে। আমি যে গুলো জানি সেখানেই কমেন্ট করবো। এটা আমার বিশ্বাস। । তোমার যদি তা মনে না হয়।হেয়ার এনাফ। লেট আস ডিসগ্রী ।
  • rupankar sarkar | 117.194.242.22 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১১ ১৪:৪২632183
  • মাঝখানে টই চটকে গেছিল। এখন আবার দেখতে পাচ্ছি। আমার বেশ বড় সড় একটা লেখাও উড়ে গেল। একটা সমস্যা হচ্ছে। আপনারা মনে হচ্ছে অনেকেই অফিসে বসে অপারেট করেন। যাঁরা গভীর রাত্রে আসেন তাঁরাও বোধকরি বিদেশে থাকেন যেখানে তখন রাত্রি নয়। আমাকে অসার সংসারের হাজার কাজের মাঝে এসে এসে পোস্ট করতে হয়, বড় বিড়ম্বনা। আমি সংক্ষেপে কিছু বলি। রাত্রে বরং বিশদে লিখে দেব। যাঁর ইচ্ছে পড়বেন, না ইচ্ছে হলে টিসু পেপার।

    জ্যোতিষ হল প্রবাবিলিটি, সার্টেনটি নয়। তবে পারসেন্টেজ অফ প্রোবাবিলিটি নিশ্চিতভাবে বেশি। এবার আসি সিকির সেই অভিজ্ঞতাও কথায়। জ্যোতিষী বলেছিলেন সাত বছর তন মাসের পর যদি বেঁচে থাকে, তখন কুষ্ঠি বানাব। তার মানে কি ? সাত বছর তিনমাস বয়সে মারা যাবার একটা প্রবল সম্ভাবনা। তবে না-ও যেতে পারে।

    ধূর মশাই, যত গাঁজাখুরি - যেতেও পারে, নাও যেতে পারে, এতো সবাই বলতে পারবে। আমার বন্ধু বিজন দত্ত। তাঁর ক্যান্সার হয়েছিল। সেটা নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি। বিখ্যাত অঙ্কোলজিস্টরা দেখে বলেছিলেন, লাস্ট স্টেজ, আর কয়েক মাস। আমি রিটায়ার করেছি ২০০৬ সালে, বিজন তখনও বহাল তবিয়তে বেঁচে। মেডিক্যাল সায়ান্স-ও গাঁজাখুরি?

    আসলে প্রায় প্রতিটি মানুষের জীবনে তিনটি মৃত্যুযোগ থাকে। অল্প, মধ্য ও বৃদ্ধ বয়সে। সেই সেই বয়সগুলো বলা যায়, যেমন ১৫,৪৩ এবং ৭৮। তার মানে ১৫ পেরিয়ে গেলে নিশ্চিন্ত যে সে ৪৩ পর্যন্ত অ্যাট লীস্ট যাবে। লোকটি ৯৪ বছর বয়সে মারা গেলেন, তাও হতে পারে। দেয়ার ইজ নো, আই রিপিট, নো গ্যারান্টি দ্যাট সামথিং ইজ ডেফিনিটলি গোয়িং টু হ্যাপেন।

    সূর্যের যেটাকে সেলেস্টিয়াল লঙ্গিচুড বলে (বিজ্ঞানীরা বলেন, জ্যোতিষীরা নয়)সেইটার ৩০ডিগ্রী করে বারোটা ভাগ হল বারোটা রাশি। রাশি আর কিছুই নয় কালপুরুষ, সপ্রর্ষিমন্ডলের মত কনস্টেলেশন। তবে কালপুরুষ রাশি নয়, কেননা সে ঐ বারো ভাগের মধ্যে পড়েনা।

    পলিনেশিয়ান জেলেরা প্রাগৈতিহাসিক সময় দেখে সমুদ্রে অনায়াসে নৌকো চালাত। তাদের পরনের জামাকাপড়ই ছিলনা ( আমেরিকান আর জাপানীরা যাওয়ার আগে) তো কম্পাস। তারা আকাশের নক্ষত্র দেখে দিকতো নির্ণয় করতৈ এছাড়া বুঝতো কখন ঝঞ্ঝা আসবে কখন তুমুল বৃষ্ট হবে, এই সব। আসলে এই রাশি বা কয়েক আলোকবর্ষ দূরের কোনও নক্ষত্র মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলে এটা মানা কঠিন। ব্যাপারপ্টা হল আকাশের অমুক জায়গায় যদি বৃষ রাশি থাকে তাহলে তোমার অমুক হবে। বহু দিনের অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞানে দেখা গেছে অমনটি হলে জেনারালি অমুক ঘটনা ঘটে।

    এই অবধি পড়ে যদি আরও লিখতে বলেন লিখব, নচেৎ পন্ডশ্রম করবনা।
  • bb | 117.195.170.10 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১১ ১৫:১০632184
  • আপনি লিখুন স্যার।
  • PM | 86.96.228.84 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১১ ১৫:২৯632185
  • আগ্রহের সাথে পড়ছি
  • rupankar sarkar | 117.194.236.216 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১১ ১৬:০৫632186
  • যো হুকুম। আরও একটু -টেনিস খেলা দেখেছেনতো ? প্রচন্ড শারিরীক দক্ষতার সঙ্গে লাগে অ্যান্টিসিপেশন। ওপাশের খেলোয়াড়ের প্রত্যেকটা মুভ আমাকে অ্যান্টিসিপেট করতে হবে, না পারপ্লেই গেল। ওদিকে দাবা খেলায় কোনও শারিরীক দক্ষতা লাগেনা। শুধুই অ্যান্টিসিপেশন, চৌষট্টী ঘরের। ও যদি বোড়ে এগোয়, আমি বিশপ লেলিয়ে দেব। ও যদি কুইন চালে আমার ঘোড়া আছে ব্লক করার। জ্যোতিষীদের চৌষট্টির অনেক বেশি ঘরের হিসেব রাখতে হয়। কেমন বলি :

    যদি কারো কুষ্ঠির ছক চোখে পড়ে দেখবেন কাটা-গোল্লা খেলার মত একটা ঘর কাটা আছে, তাতে সব ঘর কিন্তু ভর্তি নেই, বেশ কিছু ঘর ফাঁকা আর কিছু ঘরে বৃ, শু, বু ইত্যাদি, মানে বৃহষ্পতি, শুক্র ও বুধের অ্যাব্রেভিয়েশন। দুটো ঘরে দেখবেন লং আর চং লেখা আছে। তারা হল লগ্ন আর রাশি ( চন্দ্র যে ঘরে থাকে সেই ঘর হল তার রাশি)। এদিকে প্রত্যেকটা ঘরই কিন্তু একটা জোডিয়াক সাইনের, মানে রাশির। চং যে ঘরে সেটা ঐ ব্যক্তির রাশি।

    এবার ধরা যাক আপনার লগ্ন যে ঘরে, দেখলেন সেই ঘরে বৃহষ্পতি। আপনি একটু আধটু শিখেছেন এতদিনে। আহ্লাদে আটখানা হলেন, আহা লগ্নে বেষ্পতি ( বৃহিষ্পতি হচ্ছেন প্রোটেকটার। আক্ষরিক অর্থেও তাই। যে কোনও অ্যাস্ট্রোনমিস্ট[লজিস্ট নয়] বা জিওলজিস্টকে জিজ্ঞেস করলে দেখবেন, আমাদের পৃথিবীর ওপর প্রতি নিয়ত অ্যাস্টরয়েড বা গ্যালাকটিক জাঙ্ক এর বর্ষন হচ্ছে। বৃহষ্পতি তার বিপুল বপু আর সাংঘাতিক মাধ্যাকর্ষণ নিয়ে তার সবটাই টেনে নিচ্ছে বা হজম করছে, না হলে আমি আপনি ক-বে উড়ে যেতাম)যাকগে, আপনি আহ্লাদিত, কেননা লগ্নে বেষ্পতি। দাঁড়ান মশাই, দেখতে হবে লগ্নের ঘরটা কোন গ্রহের। সে বন্ধু না শত্রু। শত্রু, তাও যদি পাওয়ারফুল হয়, তবে গুড়ে বালি বেষ্পতি কোনও কাজে আসবেনা। এবার দেখতে হবে তাকে কে কে দৃষ্টি দিচ্ছে। সবার দৃষ্টি আবার সোজাসুজি নয়, কেউ সোজা দেখে, কেউ তির্যক, কেউ আবার একটু ঘুরে - ঠিক দাবার মত, বোড়ে সোজা যায় ব্যাঁকা খায় নৌকো প্যারালেল, হাতি কোনাকুনি -

    যা বললাম, কিছুই নয়। বিভিন্ন প্ল্যানেটারি পোজিশন দেখতে হবে, কে দৃষ্টি দিচ্ছে দেখতে হবে, যোগ ( কয়েকটি প্ল্যানেটের সমষ্টি আবার পাওতারফুল শত্রু বা মিত্র তৈরী করে) দেখতে হবে। কমপ্যাটিবিলিটি বিচার করতে হবে। তা ছাড়া মূল ছক দেখার পর আসবে দশা, অন্তর্দশা, প্রত্যন্তর্দশা আরো হোস্ট অফ থিংস।

    দাবা তো সবাই খেলে, চালও সবাই জানে কিন্তু কারপভ আর আনন্দ গ্‌র্‌যান্ডমাস্টার হয় কেন ? আইডিয়াল ঘটনা হতো, যে প্রথম চালটি দেবে, সেই জিতবে। কিন্তু তা হয়না, কেউ কেউ চৌষট্টি ঘরের সবকটায় বিপক্ষের কি চাল হবে সেই অ্যান্টিসিপেশনে ভুল করে। কুষ্ঠি দেখার সময় অনেক, অনেক বেশি ঘরের হিসেব রাখতে হয় তো, আর মানুষ ভুল করে বলেই তো সে মানুষ toerrishuman. তাই এত তক্কা-তক্কি।

    একটা জিনিষ মাথায় রাখতে হবে, এই বিদ্যেটা একদিনের নয়, বহু যুগ ধরে নানা পর্যবেক্ষণে এর রিফাইনমেন্ট হয়েছে। আপনারা বলবেন টলেমিও তো বলেছিল পৃথিবী চ্যাপটা, কে সি পালও বলেছেন গ্যালাক্সি জিওসেϾট্রক। কিন্তু এরা কেউ বহুযুগের উত্তরাধিকার পাননি। এতদিন ধরে এত মানুষ ভুল করে আসছে ? বলুন কিছু?
  • fevi | 217.162.214.78 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১১ ১৭:০১632187
  • রূপঙ্করদা, লিখতে থাকুন।
  • PM | 86.96.228.84 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১১ ১৭:০৭632188
  • বাপরে, এই হিসেব কোনো মানুষ ঠিক-ঠাক করতে পারে? এতো কয়েকশো পার্মুটেশন- কোম্বিনেশনের খেল। যদি-ও এটার theroritical বেস থাকে, তাহলেও ফলিত ভাবে ব্যবহার করা প্রায় অসম্ভব।

    আপনার বক্তব্য অনুযায়ী জোতিষ " এম্পিরিকাল সাইন্স" যেটার সিদ্ধান্তগুলো প্রোবালিটি আর ডিস্ট্রিবুসন ওপোর নির্ভশীল । যেমন পেরেটো-র ৮০:২০ রুল? ঠিক বুঝলাম?
  • PM | 86.96.228.84 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১১ ১৭:১১632189
  • তবে টলেমির সিদ্ধান্ত বোধ হয় চিন্তার উত্তরধিকারের-ই ফসল :)।

    বিপরীত যুক্তি-টা কোন দিক থেকে আসতে পারে সেটা ভেবে আগে ভাগে-ই বেঁধে রাখলেন ? :)
  • PT | 203.110.243.21 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১১ ১৭:৫১632190
  • roopankar-কে একটা প্রশ্ন: জ্যোতিষ বিষয়টা যেহেতু generalised science তাই যুক্তিটা এই ভাবে সাজানো যায় কি? জন্মের সময়ের গ্রহ-তারদের অবস্থান দিয়ে একটা মানুষকে খানিকটা global positioning system-এর মত করে identify করা হচ্ছে। এবং এই পদ্ধতিটা independent of any other factors আর সুনির্দিষ্টও কেননা গ্রহ-তারাদের গতিবিধি অংকের নিয়মে চলে। তাই এই গ্রহ-তারাদের অবস্থান দিয়ে এই মানুষটিকে চিরকালই identify-করা যাবে। এই generalised science-র যুক্তিতে মানুষকে বারোটা ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যেমন কুম্ভ রাশির মানুষদের নাকি বিশাল চেহারা হবে ইত্যাদি। সেই বারো ভাগকে আবার আরো বারোটা ভাগ-ইত্যাদি। কিন্তু এর মানে এই নয় যে ঐ দুরবর্তী গ্রহ-তারকা সরাসরি কোনভাবে মানুষটিকে প্রভাবিত করে - বিজ্ঞানের সঙ্গে জ্যোতিষের সংঘাতটা এড়ানো যায় এইভাবে ভাবলে? বোঝাতে না পারলে কেউ গাল দেবেন না - এই ব্যাপারে আমি একটি ক্ষুদ্র মাছি মাত্র।
  • rupankar sarkar | 117.194.236.56 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১১ ১৭:৫৬632191
  • EmpiricalScience ব্যাপারটা খানিক হাইপথেসিস এর ওপর নির্ভরশীল। মানে, আমি এই থিওরী খাড়া করলাম,এবং যতক্ষণ পর্যন্ত না অন্য কেউ অন্য থিওরী দিয়ে এটা কাটেন, ততক্ষণ এটাই সত্য।

    জ্যোতিষ টা ঠিক সেই পর্য্যায়ের নয়। আসলে এগুলো বেশ কিছু কন্ডিশনের ওপর নির্ভরশীল। সেই সেই কন্ডিশনগুলো ঠিক ঠিক ভাবে খেটে গেলে এই এই রেজাল্ট আসতে বাধ্য। আসলে এই 'বাধ্য' ব্যাপারটাতেই গোলমাল। কিছু কিছু 'রেয়ার' অকেশনে সব কন্ডিশন ফুলফিল হলেও যা হওয়ার কথা ছিল, তা হয়না। প্রশ্ন হচ্ছে, তবে আর সায়ান্স কিসে ? এই টাই তো রিসার্চের জায়গা। এবং এই রিসার্চ করে করেই তো জ্যোতিষ এতদূর এসেছিল। পশ্চিম দুনিয়াতেও অ্যাস্ট্রোলজি ছিল। একই জোডিয়াক সাইন কিন্তু ফোকাস অনেক ওয়াইড। আমদেরগুলো ( বহু পন্থা আমদের দেশেও আছে) অনেক ন্যারো এবং পিনপয়েন্টেড।

    মেলেনা কেন? এর চেয়ে অনেক সহজ বলা, মেলে কেন ? আসলে যখন ব্যাবিলনীয় বা গ্রীক সভ্যতা থেকে কালচারাল এক্সচেঞ্জে ব্যাপারটা ছড়িয়েছে,যে যার নিজের মত করে রিসার্চ করেছে। আজ থেকে ২৫০০০ বছর আগে মানুষের প্রথম নজরে আসে যে, চাঁদের প্রভাবে জোয়ার ভাটা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, চাষবাসের ক্ষেত্রেও কিছু প্রভাব দেখা যাচ্ছে। ধীরে ধীরে অন্য গ্রহ নক্ষত্রের প্রভাবও তারা রেকর্ড করতে আরম্ভ করে এবং খ্রীষ্টজন্মের হাজার দুয়েক বছর আগের ব্যাবিলন এবং মেসোপটেমিয়া অঞ্চলে এসব নিয়ে লেখাপত্তর পাওয়া যায়। ভারতে মোটামুটি হেলেনিস্টিক কালচারের সঙ্গে আদানপ্রদানে খ্রীষ্টজন্মের কাছাকাছি সময়ে এর প্রভাব এসে পৌঁছ্য কিন্তু ওরা যা অগ্রগতি করেছে, ভারত করেছে তার বহুগ্যণ বেশি। আমাদের দুর্ভাগ্য, প্রফেশনাল জ্যোতিষচর্চার আক্রমণ এবং টোলভিত্তিক জ্যোতিষকে বুজরুকি বলে প্রোটেকশন না দেওয়ার ফলে এই অসামান্য বিদ্যা লুপ্তপ্রায়।

    প্রফেশনালদের ফোরকাস্ট না মেলারই কথা, কেননা তাঁরা যে দোকানে বসেন, বা দোকানে না বসলেও যে জুয়েলারের সঙ্গে গাঁঠছড়ায় বাঁধা, তার স্বার্থ তাঁকে আগে দেখতে হবে। এখন পাথরে কি একদম লাভ হয়না ? কিছু তো হয়ই। উদাহরণ: একজনের দুর্ঘটনায় ফাঁড়া আছে, তাকে গোমেদ পরতে উপদেশ দেয়া হল। এবার গোমেদ লিভারের ওপর কাজ করে, লিভার ভাল থাকলে মানুষের ডিসিশন মেকিং অনেক ভাল হয়। তাই সে এর পর থেকে খুব দেখে শুনে রাস্তা পেরোতে লাগল( যা আগে করতনা)। দুর্ঘটনার স্কোপ কমে গেল।

    কিন্তু জ্যোতিষী মশাই আসলে সেই প্রোবাবিলিটির মাইনর পার্সেন্ট ধরে চান্স নিলেন। যদি সত্যি মরার থাকে হাজার দেখে রাস্তা পেরলেও উলটো দিক থেকে লরি এসে মারবে।

    টোল ভিত্তিক জ্যোতিষ চর্চায় অনেকক্ষেত্রে অনেকে একসঙ্গে বসে আলোচনা করে কুষ্ঠি দেখতেন, তাতে একজনের চোখ যা এড়িয়ে গেল অন্যজন তা দেখতে পেতেন। তা ছাড়া এক্সপিরিয়েন্স এবং আনবায়াসড ( রত্ন বেচার চাপ নেই) দৃষ্টিভন্নগীতে অনেককিছু বারতি নজরে আসত যা এখন আসেনা।

    এই অবধি ইনটারেস্টিং লাগছে কি? আসসল জিনিষই বলা হয়নি।
  • rupankar sarkar | 117.194.230.132 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১১ ১৮:১৩632192
  • PT - অনেকটাই ঠিকবলেছেন, কিন্তু পুরোটা নয়। কুম্ভরাশি হলেই বিশাল বপু আ-ও হতে পারে। তাছাড়া একই লোকের বিভিন্ন বয়সে চেহারার ভিন্ন ভিন্ন আকার দেখা যেতে পারে। আসলে বারোটা ভাগ নয়, অনেক বেশি। যেমন বারোটা রাশি এবং বারোটা লগ্ন আর ন'টা গাইডিং প্ল্যানেট। এবার পারম্যুটেশনে আসুন - এত রকম মানুষ হতে পারে। লগ্নই তো মানুষের চেহারা। লগ্ন থেকে বারোটা ঘর এই রকম, তনু-ধন-ভাতৃ-মাতৃ-সুখ বা পুত্র -শত্রু-জায়া-নিধন-ভাগ্য-কর্ম-আয়-ব্যয়। মোটামুটি গাইডিং প্ল্যানেট অনুযায়ী চেহারা হয়। উদাহহণ, ইন্দিরা গান্ধী। তবে সম্পূর্ণ উলটো চেহারাও হতে পারে, তার জন্য দৃষ্টি, কমপ্যাটিবিলিটি অনেক কিছু দেখতে হয়
  • rupankar sarkar | 117.194.236.112 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১১ ১৮:৩৯632194
  • আরও একটা ব্যাপার। জ্যোতিষ কেন, যে কোনও বিদ্যা আয়ত্ব করতে গেলে ভাল আই কিউ লাগে। এখন যদি কোনও ছেলের আই কিউ লেভেল হাই হয় এবং তার বাপের যদি রেস্ত থাকে, সে তো খড়গপুর থেকে বিটেক করে জোকায় এমবিএ করবে। টোলে থোড়াই কুষ্ঠি দেখা শিখতে যাবে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন