এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • ভাটিয়ালি

  • এ হল কথা চালাচালির পাতা। খোলামেলা আড্ডা দিন। ঝপাঝপ লিখুন। অন্যের পোস্টের টপাটপ উত্তর দিন। এই পাতার কোনো বিষয়বস্তু নেই। যে যা খুশি লেখেন, লিখেই চলেন। ইয়ার্কি মারেন, গম্ভীর কথা বলেন, তর্ক করেন, ফাটিয়ে হাসেন, কেঁদে ভাসান, এমনকি রেগে পাতা ছেড়ে চলেও যান।
    যা খুশি লিখবেন। লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়। এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই। সাজানো বাগান নয়, ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি। এই হল আমাদের অনলাইন কমিউনিটি ঠেক। আপনিও জমে যান। বাংলা লেখা দেখবেন জলের মতো সোজা। আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি।
  • গুরুভার আমার গুরু গুরুতে নতুন? বন্ধুদের জানান
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Atoz | 151.141.85.8 | ১৮ জুলাই ২০২০ ১৭:৩৪450695
  • আরে টইতে গিয়ে ভান্ডারীবাবুর কবিতা পড়ে তো আমি একেবারে থ! ঃ-)
  • Atoz | 151.141.85.8 | ১৮ জুলাই ২০২০ ১৭:১৪450694
  • পাগড়ীর উপরে হেলমেট পরা বেশ চাপের ব্যাপার।
  • b | 14.139.196.11 | ১৮ জুলাই ২০২০ ১৭:১৩450693
  • তা দ্যাখেন, দিল্লিতে ১৯৯৭-৯৮ সাল নাগাদ যখন টু হুইলারে হেলমেট বাধ্যতামূলক করা হয়েছিলো, তখন শিখরা রেগে গেছিলেন।
  • aka | 2600:1005:b11a:e6ac:1913:e091:edcb:8402 | ১৮ জুলাই ২০২০ ১৭:১১450692
  • এক্জন বলেছে সে যেমন আণ্ডি পরে না তেমনই মাস্ক পরে না, এভ্রিথিঙ্গ শুড ব্রিদ।
  • Atoz | 151.141.85.8 | ১৮ জুলাই ২০২০ ১৭:০১450691
  • উচ্চমাধ্যমিকের ২টো না ৩টে পরীক্ষা বাকী ছিল। সেসবের তোয়াক্কা না করে রেজাল্ট বার করে দিয়েছে, জানেন? টপার পেয়েছে ৫০০ এর মধ্যে ৪৯৯। এগুলো কী হচ্ছে বলুন তো? পুরো জিনিসটাকে সম্পূর্ণ হাস্যকর, রিডিকুলাস, প্রহসন বানিয়ে ফেলল।
  • Atoz | 151.141.85.8 | ১৮ জুলাই ২০২০ ১৬:৫৪450690
  • ভীষণ ভয়। মাস্ক পরে তাঁরা শ্বাস নিতে পারে না, দম বন্ধ হয়ে যায়। খুব মানসিক কষ্ট হয়।
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::2c3:c5b | ১৮ জুলাই ২০২০ ১৬:৪৮450689
  • একটা জিনিস কিছুতেই বুঝতে পারছি না। আম্রিগাতে একদল লোক মাস্ক পড়তে বললে এত রেগে যাচ্ছে কেন? সেই নিয়ে প্রতিবাদ করছে। বলছে মাস্ক পড়া নাকি ভগবানের বিরুদ্ধাচারণ, লিবারল কনস্পিরেসি ইত্যাদি। এগুলো নাকি ফাউচি আর সব ডাক্তারদের চক্রান্ত।
  • Atoz | 151.141.85.8 | ১৮ জুলাই ২০২০ ১৬:২৮450688
  • "সম্মা বাক বোঝাতে গিয়ে বৌদ্ধ দর্শণে এমন কথা বলার কথা বলা হয় যেখানে সত্যি কথা, নরম ও প্রিয়বোধক বাক্য ছাড়াও এমন কথা বলার কথা বলা হয়েছে যাতে কোথাও মানুষে মানুষে দ্বন্দ্ব যেন কোনভাবে না হয়।"

    ---এই জিনিসটাই কি খন্ডিত দর্শন নয়? মানুষে মানুষে নানারকম ভাবগত, আদর্শগত, বস্তুগত সংঘাত যদি না হয়, তাহলে পুরো সিস্টেমটাই তো অচল, নির্জীব হয়ে যাবে। বলা যায় কৈবল্যদশা প্রাপ্ত হবে। ইকুইলিব্রিয়ামে পৌঁছে যাবে যেখানে গেলে আর পরিবর্তন নেই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। এগোতে গেলে, বিবর্তিত হতে গেলে কনফ্লিক্ট অবশ্য প্রয়োজন। প্রেরণা ও তাড়না না থাকলে অগ্রসর হবার কোনো কারণই তো থাকে না।
  • Atoz | 151.141.85.8 | ১৮ জুলাই ২০২০ ১৬:২০450687
  • অরিন,
    পাল ও সেনরাজাদের সময় নিয়ে লেখা একটি ফিকশনে একজন চরিত্র, সে সেনরাজাদের এক সৈন্য, বৌদ্ধধর্মের সঙ্গে পরিচিত হয়ে অবাক হয়ে ভাবছে, " ওঁরা মাছ পর্যন্ত ধরেন না, প্রাণীহত্যা হবে। অবশ্য খেতে আপত্তি নেই অন্য কেউ দিলে। কিন্তু ওদের রাজারা যুদ্ধক্ষেত্রে সৈন্যপরিচালনা করেন কী ভাবে? প্রাণীহত্যা তো অবশ্যম্ভাবী সেখানে!"
  • অরিন | ১৮ জুলাই ২০২০ ১৬:১৪450686
  • @এলেবেলে, @রঞ্জনবাবু, @sm, আপনাদের গীতা নিয়ে এমন একটা মনোজ্ঞ আলোচনার জন্য ধন্যবাদ!

    আপনাদের আলোচনার সুবাদে অনেক কিছু শেখা হল (কিছুই তো সেভাবে জানতাম না), এমনকি অনেক দিন পরে প্র-না-বি'র "কেরী সাহেবের মুনশী" পড়লাম, ড্যালরিমপলের Anarchy খুললাম অনেক দিন পরে।

    এইসব পড়তে গিযে বিশেষ করে আজকে এলেবেলে'র পাঠানো উইলকিনসের গীতার প্রচ্ছদ দেখতে দেখতে মনে হল, গীতা কি সত্যিই ডায়ালগ নাকি মূলত শ্রীকৃষ্ণের মোনোলোগ, যেখানে অর্জুন মূলত প্বার্শচরিত্র। ডায়ালগ কথাটায় (আমার অন্তত)  প্লেটোর Phaedrus এ সক্রেটিস আর ফিড্রাসের কথোপকথন, বা  মিলিন্দ আর নাগসেনের কথোপকথন মনে হয়। গীতাকে ডায়লগ বলে কখনো ভাবিনি। বরং গসপেল। 

    আরো  একটা ব্যাপার, সাহস করে লিখেই ফেলি, :-)

    গীতার কনটেকসট একটি যু্দ্ধক্ষেত্র, সেখানে শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে যু্দ্ধে উদ্বুদ্ধ করার জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন , সে এমন "বচন" যাতে করে পরস্পরের বিভাজন হয়। এই জায়গাটিতে গীতা বৌদ্ধ দর্শণের বিশেষ করে বুদ্ধদেবের অষ্টাঙ্গমার্গের তৃতীয় মার্গ ("সম্মা বাক") এর সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বী। দেখুন, সম্মা বাক বোঝাতে গিয়ে বৌদ্ধ দর্শণে এমন কথা বলার কথা বলা হয় যেখানে সত্যি কথা, নরম ও প্রিয়বোধক বাক্য ছাড়াও এমন কথা বলার কথা বলা হয়েছে যাতে কোথাও মানুষে মানুষে দ্বন্দ্ব যেন কোনভাবে না হয়।

    গীতার কনটেকসট সেখানে বিপরীত। 

    বৌদ্ধধর্ম ব্যক্তিবিশেষকে  ঈশ্বর রূপে গ্রহণ করারও পরিপন্থী।  শ্রীমদ্ভাগবৎ গীতায় সেখানে "সর্ব ধর্ম পরিত্যাজ্য মামেকং শরণম ব্রজ"

     ভারতে এক সময়ে বৌদ্ধ ধর্মের বিরুদ্ধবাদী আন্দোলন থেকে শ্রীমদ্ভাগবৎ  গীতা উঠে আাসতে পারে?

  • Atoz | 151.141.85.8 | ১৮ জুলাই ২০২০ ১৬:০৯450685
  • ঈশ শ শ।
    এত ভালো লেখা একটা মানুষ লিখতে পারে কী করে????
  • Atoz | 151.141.85.8 | ১৮ জুলাই ২০২০ ১৫:৫৭450683
  • বাংলা গীতার সারাৎসার শুনুন।
    "ওদের মেরে পাট করে দে। একটাকেও ছাড়বি না। সবকটাকে পিটিয়ে পান্তুয়া বানা। অবশ্য পান্তুয়া ওরা হয়েই আছে, তুই নিমিত্ত মাত্র। "
    ঃ-)
  • সাথে | 109.70.100.21 | ১৮ জুলাই ২০২০ ১৫:৫৪450682
  • হ্যাঁ বাংলা গীতার লিংকও দেবেন।

  • Atoz | 151.141.85.8 | ১৮ জুলাই ২০২০ ১৫:৫৩450681
  • ওহ্হ্হ্হ ওয়াহ --
    "
    “তোরা যে এমন আনাড়ি, তা জানলে কি আমি তোদের সঙ্গে যাই? আচ্ছা, গোব্‌রা যখন তোর টুঁটি চেপে ধরল, তখন আমি যে ‘ডানপট্‌কান দে’ ব’লে এত চেঁচালাম— কৈ, তুই তো তার কিছুই করলি না। আর ঐ গুপেটা, ওকে আমি এতবার বলেছি যে ল্যাংমুচ্‌কি মরতে হ’লে পাল্টা রোখ্‌ সামলে চলিস— তা তো ও শুনবে না! এরকম করলে আমি কি করব বল্‌? ওসব দেখে আমার একেবারে ঘেন্না ধ’রে গেল— তাই বিরক্ত হয়ে চ’লে এলুম। তারপর ভুতোটা, ওটা কি করল বল্‌ দেখি! আরে, দেখছিস যখন দোরোখা প্যাঁচ্‌ মারছে, তখন বাপু আহ্লাদ ক’রে কাৎ হ’য়ে পড়তে গেলি কেন?”
    "
    এ আমি বাঁধিয়ে রাখলুম। দরকার পড়লেই সাঁটিয়ে দেবো। ঃ-)
  • রঞ্জন | 122.162.196.19 | ১৮ জুলাই ২০২০ ১৫:৫১450680
  • অপু,

      ৮৫৮৩০৪১৩৯৫।

    একটা অশ্লীল রিকোয়েস্ট। সুকুমার রায়ের রচনাবলীর পিডিএফ যদি কেউ দেন। টিংকাটিকা বা যে কেউ।

    মানে উনিও ময়মনসিং, আমিও তাই কিনা।

  • Atoz | 151.141.85.8 | ১৮ জুলাই ২০২০ ১৫:৩৯450679
  • অনেক ধন্যবাদ এস এম। এই গল্পটাই।
    ভেবে দেখুন, কী নিখুঁত বর্ণনাই না দিয়েছেন সুকুমার রায় মহাশয়! সাধে কি ওঁকে প্রফেট বলা হয়? ঃ-)
  • sm | 2402:3a80:a89:cfe4:0:10:1a5e:5f01 | ১৮ জুলাই ২০২০ ১৫:৩৪450678
  • পালোয়ান
    তাহার আসল নামটি যে কি ছিল, তাহা ভুলিয়াই গিয়াছি— কারণ আমরা সকলেই তাহাকে “পালোয়ান” বলিয়া ডাকিতাম। এমনকি মাস্টারমহাশয়েরাও পর্যন্ত তাহাকে “পালোয়ান” বলিতেন। কবে কেমন করিয়া তাহার এরূপ নামকরণ হইল, তাহা মনে নাই; কিন্তু নামটি যে তাহাকে বেশ মানাইয়াছিল, একথা স্কুল সুদ্ধ সকলেই একবাক্যে স্বীকার করিত।

    প্রথমত, তাহার চেহারাটি ছিল একটু অতিরিক্ত রকমের হৃষ্টপুষ্ট। মোটা সোটা হাত পা, ব্যাঙের মত গোব্‌দা গলা— তাহার উপরেই গোলার মতো মাথাটি— যেন ঘাড়ে পিঠে এক হইয়া গিয়াছে। তার উপর সে কলিকাতায় গিয়া স্বচক্ষে কাল্লু ও করিমের লড়াই দেখিয়া আসিয়াছিল, এবং বড় বড় কুস্তির এমন আশ্চর্য রকম বর্ণনা দিতে পারিত যে, শুনিতে শুনিতে আমাদের প্যাঁচ ও কায়দা বাৎলাইয়া দিত। মাখনলাল আমার চাইতে আড়াই বছরের ছোট, কিন্তু পালোয়ানের কাছে “ল্যাং মূচ্‌কির” প্যাঁচ শিখিয়া সে যেদিন আমায় চিৎপাত করিয়া ফেলিল, সেইদিন হইতে সকলেরই বিশ্বাস হইল যে পালোয়ান ছোকরাটা কিছু না বুঝুক কুস্তিটা বেশ বঝে।

    ঘোষেদের পাঠশালার ছাত্রগুলি বেজায় ডানপিটে। খামখা এক একদিন আমাদের সঙ্গে গায়ে পড়িয়া ঝগড়া বাধাইত। মনে আছে, একদিন ছুটির পরে আমি আর পাঁচ সাতটি ছেলের সঙ্গে গোঁসাইবাড়ির পাশ দিয়া আসিতেছিলাম, এমন সময় দেখি পাঠশালার চারটা ছোকরা ঢেলা মারিয়া আম পাড়িতেছে। একটা ঢিল আরেকটু হইলেই আমার গায়ে পড়িত। আমরা দলে ভারি ছিলাম, সেই সাহসে আমাদের একজন ধমক দিয়া উঠিল, “এইও, বেয়াদব! মানুষ চোখে দেখিস্‌ নে?” ছোকরাদের এমনি আস্পর্ধা, একজন অমনি বলিয়া উঠিল, “হাঁ, মানুষ দেখি, বাঁদরও দেখি!”— শুনিয়া বাকী তিনটায় অসভ্যের মত হো হো করিয়া হাসিতে লাগিল। আমার তখন ভয়ানক রাগ হইল, আমি আস্তিন গুটাইয়া বলিলাম, “পরেশ! দে ত আচ্ছা ক’রে ঘা দুচ্চার কষিয়ে।” পরেশও দমিবার পাত্র নয়, সে হুঙ্কার দিয়া বলিল, “গুপে, আনত ওই ছোক্‌রাটার রক্ত গরম হইয়া উঠিত।
    এক এক দিন উৎসাহের চোটে আমরাও তাল ঠুকিয়া স্কুলের উঠানে কুস্তি বাধাইয়া দিতাম। পালোয়ান তখন পাশে দাঁড়াইয়া নানারকম অঙ্গভঙ্গী করিয়াকান ধ’রে।” গোপীকেষ্ট বলিল, “আমার হাতে বই আছে— ওরে ভুতো, তুই ধর্‌ দেখি একবার চেপে—”। ভুতোর বাড়ি বাঙাল দেশে— তার মেজাজটি যখন মাত্রায় চড়ে তখন তার কাণ্ডাকাণ্ড জ্ঞান থাকে না— সে একটা ছোকরার কানে প্রকাণ্ড এক কীল বসাইয়া দিল। কীল খাইয়াই সে হতভাগা একেবারে ‘গোব্‌রাদা’ বলিয়া এমন এক্তা হৈ চৈ রব তুলিল যে, আমরা ব্যাপারটা কিছুমাত্র বুঝিতে না পারিয়া একেবারে হতভম্ব হইয়া রহিলাম। এমন সময় একটা কুচ্‌কুচে কালো মূর্তি হঠাৎ কোথা হইতে আসিয়া দেখা দিল। আসিয়াই আর কথাবার্তা না বলিয়াই ভুতোর ঘাড়ে ধাক্কা মারিয়া, গুপের কান মলিয়া, আমার গালে ঠাস্‌ঠাস্‌ দুই চড় লাগাইয়া দিল। তারপর কাহার কি হইল আমি খবর রাখিতে পারি নাই। মোট কথা, সেদিন আমাদের যতটা অপমান বোধ হইয়াছিল ভয় হইয়াছিল তাহার চাইতেও বেশি। সেই হইতে গোব্‌রার নাম শুনিলেই ভয়ে আমাদের মুখ শুকাইয়া আসিত।

    পালোয়ানের কেরামতির পরিচয় পাইয়া আমাদের মনে ভরসা আসিল। আমরা ভাবিলাম, এবার যেদিএবার যেদিন পাঠশালার ছেলেগুলো আমাদের ভ্যাংচাইতে আসিবে, তখন আমরাও আরো বেশি করিয়া ভ্যাংচাইতে ছাড়িব না। পালোয়ানও এ কথায় খুব উৎসাহ প্রকাশ করিল। কিন্তু অনেকদিন অপেক্ষা করিয়াও যখন তাহাদের ঝগড়া বাধাইবার আর কোন মতলব দেখা গেল না, তখন আমাদের মনটা খুঁৎ খুঁৎ করিতে লাগিল। আমরা বলিতে লাগিলাম, .ওরা নিশ্চয়ই পালোয়ানের কথা শুনতে পেয়েছে।” পালোয়ান বলিল— “হ্যাঁ, তাই হবে। দেখছ না, এখন আর বাছাদের টুঁ শব্দটি নেই।” তখন সবাই মিলিয়া স্থির করিলাম যে পালোয়ানকে সঙ্গে লইয়া গোব্‌রার দলের সঙ্গে ভালরকম বোঝাপড়া করিতে হইবে।

    শনিবার দুইটার সময় স্কুল ছুটি হইয়াছে, এমন সময় কে যেন আসিয়া খবর দিল যে গোব্‌রা চার-পাঁচটি ছেলেকে সঙ্গে লইয়া পুকুরঘাটে বসিয়া গল্প করিতেছে। যেমন শোনা অমনি আমরা দলেবলে হৈ হৈ করিতে করিতে সেখানে গিয়া হাজির! আমাদের ভাবখানা দেখিয়াই বোধ হয় তাহারা বুঝিয়াছিল যে আমরা কেবল বন্ধুভাবে আলাপ করিতে আসি নাই।আসি নাই। তাহারা শশব্যস্ত হইয়া উঠিতে না উঠিতেই আমরা তিন-চারজন মিলিয়া গোব্‌রাকে একেবারে চাপিয়া ধরিলাম। সকলেই ভাবিলাম, এ-যাত্রায় গোব্‌রার আর রক্ষা নাই। কিন্তু আহাম্মক রামপদটা সব মাটি করিয়া দিল। সে বোকারাম ছাতা হাতে হাঁ করিয়া তামাসা দেখিতেছি, এমন সময় পাঠশালার একটা ছোকরা এক থাব্‌ড়া মারিয়া তাহার ছাতাটা কাড়িয়া লইল। আমরা ততক্ষণে গোব্‌রাচাঁদকে চিৎপাত করিয়া আনিয়াছি, এমন সময় হঠাৎ আমাদের ঘাড়ে পিঠে ডাইনে বাঁয়ে ধপাধপ্‌ ছাতার বৃষ্টি শুরু হইল। আমরা মুহূর্তের মধ্যে একেবারে ছত্রভঙ্গ হইয়া পড়িলাম, আর সেই ফাঁকে গোব্‌রাও এক লাফে গা ঝাড়া দিয়া উঠিল। তাহার পর চক্ষের নিমেষে তাহারা আমাদের চার-পাঁচজনকে ধরিয়া পুকুরের জলে ভালরকমে চুবাইয়া রীতিমত নাকাল করিয়া ছাড়িয়া দিল। এই বিপদের সময় আমাদের দলের আর সকলে কে যে কোথায় পালাইল, তাহার আর কিনারাই করা গেল না। সব চাইতে আশ্চর্য এই যে, ইহার মধ্যে পালোয়ান যে কোথায় নিরুদ্দেশ হইল,— তাহাকে ডাকিয়া ডাকিয়া আমাদের গলা ফাটিয়া গেল, তবু তাহার সাড়া পাইলাম না।সোমবার স্কুলে আসিয়াই আমরা সবাই মিলিয়া পালোয়ানকে গাল দিতে লাগিলাম। কিন্তু সে যে কিছুমাত্র লজ্জিত হইয়াছে, এমন বোধ হইল না। সে বলিল— “তোরা যে এমন আনাড়ি, তা জানলে কি আমি তোদের সঙ্গে যাই? আচ্ছা, গোব্‌রা যখন তোর টুঁটি চেপে ধরল, তখন আমি যে ‘ডানপট্‌কান দে’ ব’লে এত চেঁচালাম— কৈ, তুই তো তার কিছুই করলি না। আর ঐ গুপেটা, ওকে আমি এতবার বলেছি যে ল্যাংমুচ্‌কি মরতে হ’লে পাল্টা রোখ্‌ সামলে চলিস— তা তো ও শুনবে না! এরকম করলে আমি কি করব বল্‌? ওসব দেখে আমার একেবারে ঘেন্না ধ’রে গেল— তাই বিরক্ত হয়ে চ’লে এলুম। তারপর ভুতোটা, ওটা কি করল বল্‌ দেখি! আরে, দেখছিস যখন দোরোখা প্যাঁচ্‌ মারছে, তখন বাপু আহ্লাদ ক’রে কাৎ হ’য়ে পড়তে গেলি কেন?”— ভুতো এতক্ষণ কিছু বলে নাই, কিন্তু পালোয়ানের এই টিপ্পনী কাটা ঘায়ে নুনের ছিটার মত তাহার মেজাজের উপর ছ্যাঁক্‌ করিয়া লাগিল। সে গলায় ঝাঁকড়া দিয়া মুখভঙ্গী করিয়া বলিল, “তুমি বাপু কানকাটা কুকুরের মত পলাইছিলা ক্যান্‌?” সর্বনাশ! পালোয়ানকে “কানকাটা কুকুর” বলা! আমরা ভাবিলাম, “দেখ, বাঙাল মরে বুঝি এবার!” পালোয়ান খুব গম্ভীর হইয়া বলিল, “দেখ্‌ বাঙাল! বেশী চালাকি করিস তো চর্‌কী প্যাঁচ লাগিয়েএকেবারে তুর্কী নাচন নাচিয়ে দেব!” ভুতো বলিল, “তুমি নাচলে বান্দর নাচবা।” রাগে পালোয়ানের মুখচোখ লাল হইয়া উঠিল। সে বেঞ্চি ডিঙ্গাইয়া একেবারে বাঙালের ঘাড়ে গিয়া পড়িল। তারপর দুইজনে কেবল হুড়াহুড়ি আর গড়াগড়ি। আশ্চর্য এই, পালোয়ান এত যে কায়দা আর এত যে প্যাঁচ আমাদের উপর খাটাইত, নিজের বেলায় তার একটিও তাহার কাজে আসিল না। ঠিক আমাদেরই মত হাত-পা ছুঁড়িয়া সে খামচা-খামচি করিতে লাগিল। তারপর বাঙাল যখন তাহার বুকের উপর চড়িয়া দুই হাতে তাহার টুঁটি চাপিয়া ধরিল, তখন আমরা সকলে মিলিয়া দুজনকে ছাড়াইয়া দিলাম। পালোয়ান হাঁপাইতে হাঁপাইতে বেঞ্চে বসিয়া ঘাম মুছিতে লাগিল। তারপর গম্ভীরভাবে বলিল, “গত বছর এই ডান হাতের কব্জিটা জখম হয়েছিল— তাই বড় বড় প্যাঁচগুলো দিতে ভরসা হয় না— যদি আবার মচ্‌কে ফচ্‌কে যায়! তা নৈলে ওকে একবার দেখে নিতুম।” ভুতো একথার কোন উত্তর না দিয়া, তাহার নাকের সামনে একবার বেশ করিয়া “কাঁচকলা” দেখাইয়া লইল।

    ভুতো ছেলেটি দেখিতে যেমন রোগা এবং বেঁটে, তার হাত-পাগুলিও তেমনি লট্‌পটে, পালোয়ানের পালোয়ানী সম্মন্ধে অনেকের যে আশ্চর্য ধারণাপালোয়ানের পালোয়ানী সম্মন্ধে অনেকের যে আশ্চর্য ধারণা ছিল, সেই দিনই তাহা ঘুচিয়া গেল। কিন্তু পালোয়ান নামটি আর কিছুতেই ঘুচিল না, সেটি শেষ পর্যন্ত টিকিয়া ছিল।
  • Atoz | 151.141.85.8 | ১৮ জুলাই ২০২০ ১৫:৩০450677
  • অরিন, সমাজব্যবস্থার উপরে নির্ভর করে মনে হয়। আমাদের সমাজের লোকেদের ফেবু পাতা ভরে দেখছি মীম চলছে, "করোনা যদি হয়, তাহলে কাছের দুর্নীতিবাজকে গিয়ে জাপ্টে ধরুন।" আর কারুর সত্যি সত্যি ধরা পড়লে একঘরে করে, মেরে ধরে একাকার কান্ড।
  • অরিন | ১৮ জুলাই ২০২০ ১৫:২৪450676
  • জানিনা কারো কাজে লাগবে কি না, কিন্তু আমাদের এখানকার অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি করোনা যখন ছড়াচ্ছে, তখন যদি সাধারণ মানুষকে বোঝানো যায় যে "এমনভাবে থাকবেন যেন মনে করেন আপনি করোনা আক্রান্ত কিন্তু কেউ জানে না, তাহলে আপনি কি ভাবে থাকবেন যাতে আপনার থেকে অন্য কারো সংক্রমণ না হয়?", আমরা দেখেছি এতে কাজ হয় বেশ। বিশেষ করে যেটা হয়, "আমি আক্রান্ত" এই বোধটা জন্মালে করোনা নিয়ে কুসংস্কারের জায়গাটা দ্রুত ছোট হয়ে আসে। 

  • অরিন | ১৮ জুলাই ২০২০ ১৫:১০450675
  • "ডানপটকান দে, ডানপটকান দে" ---এটা সুকুমারের কোন লেখাটায় ছিল?

     পালোয়ান, খুব সম্ভবত। যতদূর মনে পড়ছে। **গুগল কাকুর সাহায্য না নিয়ে, না সুকুমার সমগ্র খুলে লিখলাম! ** 

  • Atoz | 151.141.85.8 | ১৮ জুলাই ২০২০ ১৪:৫০450674
  • কেরালার ব্যাপারটা একটু কেউ বলবেন? কী হয়েছে ওখানে?
  • Atoz | 151.141.85.8 | ১৮ জুলাই ২০২০ ১৪:৪৫450673
  • "ডানপটকান দে, ডানপটকান দে" ---এটা সুকুমারের কোন লেখাটায় ছিল?
  • অরিন | ১৮ জুলাই ২০২০ ১৪:৩৯450672
  • "আপনার দৌলতে অমন সুন্দর লোককথা এবং গুরুর ভাটের সৌজন্যে সুকুমার রায় পড়া হল। বন্ধ ঘরে মনটা ভালো হয়ে গেল। নিউজিল্যান্ড সম্বন্ধে ছবি দেখে মনে হয় খুব সুন্দর দেশ। পাহাড় সমুদ্র বন --একাকার।"

    রঞ্জনবাবু, আনন্দ হল আপনার ভাল লেগেছে জেনে। নিউ জিল্যাণ্ড ছবির মত সুন্দর দেশ, আবার এখানকার মানুষজন ভদ্র, ভাল মনেরও বটে । যাকে বলে পাহাড়, সমুদ্র, বন, "মন" -- একাকার ।

  • এলেবেলে | 202.142.96.180 | ১৮ জুলাই ২০২০ ১৪:৩৬450671
  • মধ্যিখানে গুরুর সার্ভার ডাউন হয়ে গেসলো। মালা-টালা চাই না, এমনিই দিলুম। ছপির চে ভালো বলে।

    https://epaper.anandabazar.com/?ref=home-navbar

    রঞ্জনবাবু, ভাটে আর গীতাচর্চা করব না। আলাদা টই যদি খুলতে পারেন, সেখানে এই বিষয়ক প্রত্যেকের মন্তব্য যদি টুকসাঁটাই করে চিপকিয়ে একটা মুখড়া দিতে পারেন, তবেই মুখ খুলব। আজাইর‍্যা প্যাচাল আর ভাল্লাগছে না।

  • Atoz | 151.141.85.8 | ১৮ জুলাই ২০২০ ১৪:৩৪450670
  • পরীক্ষা টরীক্ষা সব না হয়েই রেজাল্ট বেরিয়ে যাচ্ছে, এসব কী হচ্ছে? উচ্চমাধ্যমিকের খবরটা দেখেছেন? অবশ্য এখানে যাঁরা আসেন তাঁদের ছেলেমেয়েরা মনে হয় অন্য বোর্ডে ।
  • Atoz | 151.141.85.8 | ১৮ জুলাই ২০২০ ১৪:২২450669
  • স্বাধীনতার আগেই! তাহলে অপু, তোমাদের প্রতিষ্ঠান তো রীতিমতন ব্রিটিশ আমলে তৈরী!
  • Atoz | 151.141.85.8 | ১৮ জুলাই ২০২০ ১৪:২০450668
  • আকা বহুকাল আগে ভাটপাড়ার কথা বলছিলেন। সেখানের অনেক লোক নাকি সংস্কৃত আর স্ট্যাটিস্টিক্স দুইয়েতেই খুব তুখোড়। এই এখনকার কাল পর্যন্ত ওঁরা সংস্কৃতও চর্চা করে চলেছেন আধুনিক ইংরেজীবিদ্যার পাশাপাশি।
    এঁদের স্টাডি করলে অনেক ইন্টারেস্টিং ইতিহাস বের হতে পারে। এঁরা অনেকে নাকি বাইরের জলও খান না। আপিসে ডাব রাখেন,সেই ডাব কেটে ডাবের জল খান নিতান্ত তৃষ্ণার্ত হলে, বাইরের জল যাতে না খেতে হয়।
  • Apu | 2401:4900:3142:93b:1c43:4ad3:bf5:285e | ১৮ জুলাই ২০২০ ১৪:১৮450667
  • রঞ্জন দা ঃ)))

    এক দিন কল করবো। বহু দিন কথাহয় না। তোমার পুরোনো নাম্বার টাই আছে তো?
  • Apu | 2401:4900:3142:93b:1c43:4ad3:bf5:285e | ১৮ জুলাই ২০২০ ১৪:১৬450666
  • বিদ্যামন্দির প্রতিষ্ঠা হয়েছে ১৯৪১ এ
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত