আর হ্যাঁ, বুদ্ধিজম উঠে এসেছে প্রাগাধুনিক ধনতন্ত্র বা শ্রেষ্ঠী কেন্দ্রিক বাজার অরথনীতি থেকে। বাই নেচার লিবারাল ক্যাপিটালিস্ট এবং প্রিভিলেজপ্রাপ্ত লোকেদের পক্ষেই সুইটেবল। ভেড়াওলার ধরমের মত প্রাগাধুনিক সোসালিজম নয়, বরং উলটো।
এবার যার যা পোষাবে খাবে। সেন্স অব হিউমর ও ত প্রিভিলেজপ্রাপ্তদের কলচর। ভিক্টিমের এসোএইচ বলে কিছু হয় না। বুদ্ধিজম সেরকম ই।
বাস্তববাদ একটা অশ্বডিম্ব যেটা পাড়তে অনেক সময় লেগেচ। চিন্তাভাবনা করে কিছু প্রজেক্ট করে কিছু জবরদস্তি করে দলের বাস্তবকে একের বাস্তবের সংগে মেলাতে হয়েছে। তুলনামূলক আধুনিক কন্সেপ্ট বাস্তববাদ।
মানুষ আদতে বাদ হীন জন্তুবিশেষ, তার প্রাথমিক বাদ হল বিবাদ, এইবার বিবাদের ফলে গুহাছাড়া - দলছাড়া মানুষ পালাচ্ছে, পালাতে পালাতে খিদের জ্বালায় শুকন বিষ্ঠাতে জন্মান ছত্রাক তুলে খাচ্ছে। অচেনা গাছের রসাল ডাল ভেংগে চুষছে কাছে জলের উতস না পেয়ে।
হ্যালুসিনজেনিকের সন্ধান পাচ্ছে। মাস্রুম চিনছে ।। তার মাথার ভেতর যে ইলেক্ট্রড গুল যে অন্য ইলেক্ট্রডের সংগে কোনদিন কথা বলে না, সেই শুরু কথা বলার। নতুন নেটওয়ার্ক এর জন্ম। বাদের জন্ম। যা ধরমের আদি।
এইটাকে বুঝতে না পেরে কিছু উল্লুক একটা মডেল খাড়া করেছে যে আহা বাস্তব্বাদি মানুষকে কিছু বহিরাগত এসে ভগবানের কথা বলে বোকা বানিয়ে দিল গো!! মাথা না সিপিএমের পাট্টি আপিস!
অরিনের যুক্তিটা খুব স্ট্যান্ডার্ড ডিফেন্স। উনি তো বেশিরভাগ সময় হাওয়াই চটি পরে ঘুরতেন। কথা হল রাজার বাগানে তিনদিন কাটালেও সেটা বুঝিয়ে দেয় লোকটা ক্ষমতাশালী। রামদেব কেস। এটাই বুদ্ধর সবচেয়ে বড় সমস্যা। রাজারাজড়ার সঙ্গে গা ঘষাঘষি। যীশু বা হজরত অন্তত কিছু প্রান্তিক লোককে অর্গানাইজ করতেন। বুদ্ধর টিচিং পুরোপুরি অন্তর্মুখী। ক্রমাগত নিজেকে পাল্টাও। নিজের সমস্যা নিজে মিটিয়ে ফেল। ক্ষমতাহীন মানুষের এত বড় ক্ষতি আর কিছু হয়না। সমাজের নীচু তলার মানুষ যে সাফারিংয়ের মধ্যে দিয়ে যায়, তা দূর করার প্রথম স্টেপ হচ্ছে অর্গানাইজ করা। বুদ্ধর বাণী পুরো উল্টো জিনিস শেখায়। এটা ক্ষমতায় থাকা লোকজনের দারুণ সুবিধে করে দেয়।
উহ বাপ ভন্ড হওয়া এত খ্রাপ কীসে, যদি তা সারাতসারের অসারতা উন্মোচনে কাজে লাগে
"পয়সা পেতেন না তো! বিশ্বাস না হয়, জিগ্গেস করুন এলেবেলেকে।"
আরে , বুদ্ধর ও ওই কেস, না হলে কেউ দলবল নিয়ে খালি পায়ে মথুরা থেকে ভাগলপুর ঘুরে বেড়ায়? চুন্ড র বাড়ি কালো ফাঙ্গাস না ফেলে দেওয়া খাবার ৮০ বছর বয়েসে খেয়ে শেষে দুটো শালগাছের ফাঁকে এক চিলতে জমিতে দেহরক্ষা করেন? বছরে তিনটে মাস মানুষটা বর্ষার সিজনে জেতবনে দিন কাটাতেন, বাকি সময় চরৈবেতি।
রাজা বাগান করে দিচ্ছেন, এই সব গল্প শুনতে ভালো লাগে। হত কি?
মহামতি অশোক না হলে ভারতে বৌদ্ধধর্ম কে কেউ বিশেষ পাত্তা দিতো বলে মনে হয় না ।
" তাতে অবশ্য রবি বা বুদ্ধ কারোর ই দোষ্স্খালন হচ্ছে না! " কোন বুদ্ধ ? বসু, গুহ, ভটচাজ, দাশগুপ্ত? নাকি সেই তিনিই?
সেপিয়েন্স বলে বইটাতে মনে হয়। তবে হারারির নিজের ও বুদ্ধদেব ও বৌদ্ধ দর্শন নিয়ে কি সব মতামত আছে।