ডিবেট ভণ্ডুল হয়ে গেলে ট্রাম্পের সুবিধা। ও সেটাই করল।
যা হল তাকে ডিবেট বলা যায় না। দুই সেপ্টাজেনেরিয়ান ইয়েলিং অ্যাট ইচ আদার।
বাইডেনের কোহেরেন্সের প্রবলেম আছে। আর ট্রাম্পকে যাস্ট সহ্য করা যায় না।
কি যে ডিবেট হল কিসুই বুঝলাম না। জঘইন্য।
প্রাইম টাইম এ (রাত ৯ টা ইস্ট কোস্ট) লোকে বিয়ার নিয়ে বাড়িতে বসে একটু ফক্স চ্যানেল এ এন্টারটেনড হচ্ছে - এই তো ব্যাপার ,
অন্য সময় হলে বন্দুক বগলে করে পাব এ গিয়ে দেখত আর গভীর দার্শনিক মতামত দিতো (যেগুলো এখন বাড়ির লোকজন কে দেবে)
ভোট কাকে দেবে সে সব এই ভাটের ডিবেট দেখে কেউ ঠিক করবে নাকি ?
কিন্তু আসল প্রশ্ন হল, আমাদের সাধের পশ্চিমবঙ্গের কী হবে?
গতবারের ভোট ছিল প্রহসন। বুড়োখুড়োকে না দিয়ে কাকীকে প্রার্থী হিসেবে দেওয়াই তো ঘাপলা ছিল! পরে ঘাপলা ধরাও পড়েছিল। কিন্তু ততদিনে যা হবার হয়ে গেছে।
তুঁহু জগন্নাথ জগতে কহায়সি
জগ বাহির ন মুই ছার ---এরকম একটা গান ছিল, সম্ভবতঃ পদাবলিতে।
গতবারের টিভি ডিবেট গুলো মনে আছে। ট্রাম্প এক্কেরে ইভ টিজার বা স্যাডিস্ট স্টকার দের মতো হিলারির পেছন পেছন ঘুরে বেড়াচ্ছিল পুরো স্টেজে। অদ্ভুত যে ডিবেট মডারেটর রা এগুলো আটকাতে পারেনি ।
তবে ডিবেটে কিস্যু হয়না। গতবার সবকটা ডিবেটে ট্রাম্প কিস্যু বলতে পারেনি, হিলারি অনেক বেটার বলেছিলো। কিন্তু যারা অন্ধ ভক্ত আর যাদের এজেন্ডা ম্যাচ করে , তারা ওকেই ভোট দেবে শেষে ।
যেমন ইন্ডিয়াতে এখন মোদিকে ভোটে হারানো খুবই ডিফিকাল্ট- সোজা অঙ্ক। এরা যতোদিকে যাই ছড়াক না কেন. এখন ভোটে জিততে হলে ইন্ডিয়াতে প্রো -হিন্দু আর এন্টি -মুসলিম সেন্টিমেন্ট -ই যথেষ্ট। দিনের শেষে ভক্তদের কাছে গেরুয়া রংটাই একমাত্তর ক্রিটেরিয়া .
সবই জে
ডোনাল্ড ট্রাম্পও আসলে জেটি। স্কেজুলের মত করে আমরা বলতেই পারি জোনাল ট্রাম্প। হাজার হাজার হাজরা
কোন একটা গল্পে জগৎ জীবন জোয়ারদার বলে এক চরিত্র ছিল, সংক্ষেপে জে জে জে। ঃ-)
চারিদিকে শুধু জে জে জে জে ---তুঁহু জগন্নাথ --- ঃ-)
যার পালা তার ছাড়া বাকিদের মাইক কেটে দিলেই সমস্যার সমাধান হয়। তবে আমেরিকার মত দেশে সেধরণের নিয়ম মেনে চলা আশা করা যায় না।
শয়তান এসে গেছে মিথ্যের ঝুলি নিয়ে
জেবি (জো বাইডেন) মোটামুটি ভদ্দরলোক, ওকে কথা বলতে দিলে তো, এক ডাহা মিথ্যাবাজ যে কাউকে কোনো কথা শেষ করতে দেয় না, তার সঙ্গে বিতর্ক - তরজা আর কি
এখন আবার জেবি কী করেন সেটাই দেখার:-)
এত জে র বাহার দেখে আমার কিরম জয় জগন্নাথ দেখার কথা মনে হচ্ছে
তারাপদ রায়ের গদ্যও অসম্ভব স্বাদু। একবার একজন বন্দুক দেখিয়ে কী যেন বলছিল, উনি তার কিছুই বুঝতে না পেরে ভাবলেন লোকটা বুঝি ওনাকে বন্দুক বিক্রি করতে চাইছে। উনি বললেন, আমি ছাপোষা মানুষ, বন্দুক কিনে কী করবো?
ঃ-)
আর এক জায়্গায় ছিল, রাত্রে ঘুম ভেঙে ওনার খুব খিদে পেত। ছেলের টিফিন বাক্সে মিষ্টি বা অন্য কোনো খাবার থাকত(সকালে উঠেই স্কুল বলে ওনার স্ত্রী টিফিন বাক্স রাত্রেই গুছিয়ে রাখতেন), তারাপদ সেই টিফিন বাক্স খুলে ভাবতেন, খাবো কি খাবো না?
ঃ-)
জেডি=জীবনানন্দ দাশ
জেজি=জয় গোস্বামী
জেবি=জয়দেব বসু
আমি তো ভেবেছিলাম জেঠি, জেডি হয়ে গ্যাছে টাইপো হয়ে। ঃ-)
লম্বাদাড়ি চারচোখো আমাকে দিয়ে দাঁতের এক্সারসাইজ করাতে চান!!
কাকভোরে ঘুমচোখে জেডি কে সত্যিই বুঝতে পারি নি:-( উনি বিন্ধ্য কেন হবেন? উনি নাঙ্গা পর্বত।
শ্রীশ্রীশ্রীশ্রীশ্রী পাঁচবার ঃ-)
ম ২২।৩৯:
হননেন্দ্র বাবু যদি আম জনতার মতো হন তবে নিশ্চয়ই বলবেন বাংলা কবিতায় হিমালয় তো শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বিন্ধ্য মনে হয় এককের জেডি।
কিন্তু হায় গুরুতে সকলেই 5%.
আরে এরা না যজ্ঞ করছিল নাকের নিচে নামানো মাস্ক পরে বসে?
পাশের বাড়িতে আগুন লাগলে অনেকেই খুব হাত্তালি দেয় বটে। কিন্তু সেই আগুন যে ছড়াতে পারে, সেকথা তখন ভাবেনা। আমারও মনে হচ্ছে যে সর্বনাশটা একটু জোড় মাত্রায় না ঘটলে, শুধু ভালো কথায় বুঝিয়ে লোককে শোধরানো যাবে না।
যা হচ্ছে ভালোই হচ্ছে, যা হবে ভালোই হবে।
চেনাশোনা বাঙালি চাড্ডিরা একটু ফ্যাসাদে পড়ে গেছে দেখছি যোগিরাজ্যে দুর্গাপূজা ব্যান নিয়ে। কালকে থেকে মিনমিন করে বোঝানোর চেষ্টা করছে বটে যে এটা লোকের গ্রেটার ভালোর জন্যেই. কিন্তু গলায় সেই জোশ নেই। কোরোনার মধ্যে ওদিকে রাম মন্দিরের পুজো হতে পারলে সেরকম ই কড়াকড়ি করে দুর্গাপূজা কেন হতে পারবেনা জিগালে কেমন উদাস হয়ে যাচ্ছে।
যা হচ্ছে ভালোই হচ্ছে। আরো হোক। আগুন যখন লাগছিলো এরাই তখন হাততালি বাজাচ্ছিলো এখন ভালো করে নিজের ঘরেও লাগুক।
একটা তো সেই ইউনিয়নের স্ট্রাইকে নিয়ে গেছিলো।
সত্যি? কি জানি, বহুদিন দেখা হয় না!
আচ্ছা দেওয়াল লিখন নিয়ে কথাবার্তা কি শেষ হয়ে গ্যাছে? সেই যে বরেস একটা দেওয়াল লিখন দেবেন বল্লেন আরো কে কি দেবেন বল্লেন , সে সব উত্তেজনা কোথায় গ্যালো?
থাকতো যদি তারাপদ রায় একটঅ পদ্য তো দিয়েই দিতেন স্মৃতির ভেতর থেকে দেওয়াললিখনের লাইনগুলো নিয়ে নিয়ে! এই যেমন ধরউন মফঃস্বল শহরে বি এর বাড়ির থেকে একটু এগিয়ে মাঠের কাছাকাছি একটা দেওয়ালকাটা কোনায় লেখা ছিল - চুঁচড়ো যদি একটা দেশ হয়! কোনো পার্টির নাম নেই, কোথাও কিছু নেই, কেবল এই স্বগতোক্তির সংলাপ! পরিচিত কাউকে জিগিয়ে স্মৃতি আলো বাতাসের কোথাও আজ সেই মৃদুস্বরের চিহ্ন পাবেন না!
ও হ্যাঁ, কৃত্তিবাস রায় নিয়ে পুরোনো ভাটই তে বেশ কিছু পোষ্ট পাওয়া যেতে পারে! সেগুলো অবশ্য বিশেষ প্রশংসাসূচক নয়!