স্টক কিনে টাকা জমান। পরে যখন অন্য ভাল গাড়ী হবে তখন কিনবেন। নাহলে তেল পুড়িয়ে গাড়ীই চালান। :-)
আছে তো। কিন্তু সেগুলো যে পাশের পাড়ার বেশি চালানো যায় না। সবাই তো সেরকমই বললো।
আহা, টেসলাই কিনতে হবে কেন? ব্যাটারিচলিত স্বচালিত গাড়ী কি আর হবে না?
কিন্তু অরিন যেটা বলেছেন সেটা সত্যি কথা। এইযে লোকে এতগুলো টাকা বেশি দিয়ে লাক্জারি গাড়ি কেনে, আনুষঙ্গিক খরচও তো বেশি হয়। কিন্তু ইন্জিন তো সেই জাপানী গাড়িগুলোতেই বেটার। তাহলে শুধু লেদার সীট আর একটু বেটার দেখার জন্য (যেটা ভেতরে বসলে আমিই ছাই দেখতে পারবো না) এতগুলো টাকা বেশি দেওয়ার কি মানেহয় জানিনা।
টেসলা আমার খুবেকটা পছন্দের গাড়ি নয়। ওটা না কিনলেও চলবে।
আগে থেকে টেসলার শেয়ার কিনে রাখলে এখন ব্যাটারিচালিত স্বচালিত গাড়ী সাধ্যের মধ্যেই থাকত। ক্যাপিটালিজম বোঝেন না?
টেসলার দাম তো কমবে না যতদিন না প্রোডাকশান বাড়ছে। লাস্ট কোয়ার্টারে মাত্র দেড় লাখ প্রডিউস করেছে। স্কেল না বাড়ালে বা র্যাদার বাড়লে দাম কমবে কি করে?
ব্যাটারী চালিত গাড়ির দুটো সমস্যা আছে (সাধ্য ছাড়াও): ব্যাটারির - (১) খুব ভাল চার্জ নেটওয়ারক না থাকলে গাড়ি নিয়ে অনেক দূর যে যাবেন প্রায় সম্ভব হয় না। ব্যাটারীর রেঞ্জ এখনো বেশ সীমিত (টেসলা বাদ দিলে) ; (২) ব্যাটারী কত দ্রুত প্রতি বছর চার্জ হারায় | ব্যাটারী প্যাকের দাম অবশ্য ক্রমশ কমছে | না হলে পেট্রোল ইঞ্জিন কনভার্ট করে নিতে পারেন। যদিও সে গাড়ী খুব জোরে হাইওয়েতে হয়ত চালাতে পারবেন না।
https://www.themechanicdoctor.com/convert-car-electric-vehicle/
ধুর ধুর সাধ্যের মধ্যে একটা ব্যাটারি ও স্ব চালিত একখান গাড়ি বের হল না এখনো। রেজ্জাকবাবুর অমর বাণী মনে পড়ে যায় - হেলে ধরতে পারেনা ityaadi
কেমন যেন লাগছে সৌমিত্র হয়তো আর নেই আসলে . জাস্ট লাইফ সাপোর্ট এ ডাক্তাররা শেষ চেষ্টা করে যাচ্ছে।
আর দ্বিতীয় পর্ব উঠেছে। প্রথম আর তৃতীয় পর্ব কিন্তু ওঠেনি।
রঞ্জনদা, আমি আপনার খেরোর খাতা থেকে ফেরারী ফৌজের প্রথম তিনটে পার্ট আনপাবলিশ করে দিয়েছি। আপনি নিজে দেখতে পাবেন, কিন্তু পাবলিক দেখতে পাবে না।
"স্যাঙ্গগঙ্গ মোটরসের মালিক দেখলাম মহিন্দ্রা অ্যান্ড মহিন্দ্রা। বললে হবে। ",
যেমন টাটা-রা জাগুয়ার-ল্যাণ্ডরোভার কোম্পানীর মালিক, :-)
S:"একই গাড়ি, শুধু নাম আর দাম আলাদা।"
এই কম্বিনেশনগুলো খুব ইন্টারেস্টিং, যেমন নিসান-মিতসুবিশি-রেনল্ট এই তিনটে কোমপানী গাড়ি তৈরীর প্ল্যাটফর্ম শেয়ার করে, এখন ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরীর এলায়েনস হয়েছে | যেমন ফোরড-মাজদা-কিয়া (দামের তফাৎ, কনজিউমার আনুগত্যের তফাৎ -- বহু লোক ফোর্ড গাড়ির একনিষ্ঠ ভক্ত, ইত্যাদি) -- একটা উদাহরণ: ফোর্ড এসকেপ, মাজদা ট্রিবিউট, আর মারকারি মেরিনার (ফোরডের লাকসারি ভারসান) -- হুবহু এক গাড়ি, কিনতু দাম আলাদা, ট্রিম একটু অন্য রকম, ব্যাজ অন্যরকম, এইসব |
স্যাঙ্গগঙ্গ মোটরসের মালিক দেখলাম মহিন্দ্রা অ্যান্ড মহিন্দ্রা। বললে হবে। হে হে।
একটু বেড়িয়েছিলাম। অনতিদূরে একটা সিগনালে বেশ কিছু ট্রাম্প সাপোর্টার আমেরিকার ফ্ল্যাগ, ট্রাম্প পেন্স ফ্ল্যাগ, আর কিছু ব্যানার নিয়ে হইচই করছে। তাদের সমর্থনে বেশ কিছু গাড়ি হন্ক করছিলো। দেখলাম একটা ফ্ল্যাগে লেখা রয়েছে I love Trumps guts।
এইটা আমি শুনেছিলাম হ্যুন্ডাই আর কিয়ার ক্ষেত্রে। একই গাড়ি, শুধু নাম আর দাম আলাদা। আমার এক কোরিয়ান বন্ধু বলেছিল। তবে ঐ লেদার সীট, টারায়ের রীম, সানরুফ, ফ্যান্সি ড্যাশবোর্ড, ইনবিল্ট অমুক তমুক, রিমোট কন্ট্রোল ইত্যাদি কসমেটিক জিনিসপত্রের কিছু দাম নিশ্চই আছে।
S, আমার লেখা পড়ে মনে হচ্ছে ব্যাটারি চালিত ইলেকট্রিক গাড়িতে, আপনার হয়ত সুবিধা হবে, কারণ, internal combustion engine (ICE) চালিত গাড়ির "কালচার"এর থেকে এ অনেকটাই অন্যরকমের - প্লাস যেহেতু পুরোটাই ব্যাটারী নির্ভর, "তেল খাওয়া", "সার্ভিস", ইত্যাদি অপ্রাসঙ্গিক | সে জায়গাটা নিয়েছে ব্যাটারীর state of health, এবারে সেখানে লাকসারী গাড়ি আর সাধারণ গাড়ির মধ্যে তফাতের জায়গা নেই, কারণ ব্যাটারীর কনফিগারেশন সব জায়গাতেই মোটামুটি একরকম, যদিও টেকনোলজির যা পরিবর্তন হচ্ছে দিন কে দিন, তাতে কতগুলো ব্যাটারী কি ভাবে প্যাক করা আছে, তার ভিত্তিতে গাড়ি তৈরীর কেরামতি |
হাই এণ্ড লাকসারী গাড়ির ব্যাপারগুলো আজকাল বেশ জটিল, আপনি যদি সার্ভিসের কথা ভাবেন, তাহলে আপাত ভাবে খুব নামকরা নয় তেমন গাড়িও দেখবেন হাই-এণ্ড গাড়ির ইঞ্জিনে চলে যেমন Ssangyong নামে সাউথ কোরিয়ান গাড়ি কোম্পানী, তারা তাদের বহু গাড়িতে মারসিডিসের ইঞ্জিন লাগায় , ফলে Ssangyong গাড়ির দাম মার্কের অর্ধেক হলে কি হবে, ভেতরটায় বা ফিচারে খুব সাংঘাতিক কিছু তফাৎ পাবেন না।
তবে, ওই আর কি, লাকসারী গাড়ি মানুষ ইঞ্জিন বিবেচনা করে কেনে না, কেনে না নামের জেরে, :-), মার্ক, আউডি, ল্যামবরঘিনি, বিএমডাবলিউ ... কুলীন বলে কথা!
;-)
এখানে লাক্সারি গাড়ি কে কে চালায়? মানে মার্ক বা বিএমডাব্লু টাইপের। অউডির উপরের দিকের ভার্সান হলেও চলবে। কেমন সার্ভিস পায়?
হ্যাঁ অনেকেই ক্লাচ গিয়ার চেন্জ না করে গাড়ি চালাতে পছন্দ করে না। ঐ মেজাজের ব্যাপার আরকি। তবে আমাদের জন্য খুবই সুবিধা। অউটো ড্রাইভ এসে গেলে আরো সুবিধা হবে। বিশেষ করে বড় শহরে। এমনি হাইওয়েতে গাড়ি চালাতে আরামই লাগে। কিন্তু ভীড় শহরে ঢুকলে সমস্যা তৈরী হয়। গুগল ম্যাপ মাঝে মধ্যেই ঝোলায়। আমি যেখানে থাকি, সেখানে বহু জায়্গায় ম্যাপ চলেও না।
S, অটোমেটিক ট্রান্সমিশন একরকম। এখন এই ব্যাটারি চালিত গাড়িগুলোতে একটা গিয়ার, রাস্তার আওয়াজ বাদ দিলে আর গাড়িতে কোনো আওয়াজ হয় না, :-), এই ধরুন ক্লাচ, গিয়ার শিফটিং, ইঞ্জিনের আওয়াজ, এই যে একটা যন্ত্রকে নিজের কব্জায় নিয়ে নিয়ন্ত্রণ করার মেজাজ, সেটাই হারাতে চলেছে। এখন আধুনিক গাড়ি চালানো , বিশেষ করে ইলেকট্রিক বা ব্যাটারি চালিত গাড়ি চালানো আর অ্যাপ ব্যবহার করার মধ্যে বিশেষ ফারাক নেই। আগে গাড়িতে ডিসপ্লে নিয়ে লোকের খুব মাথাব্যথা থাকতো না, taxi ড্রাইভার রা টমটম টাইপের gps নিয়ে খুব ব্যতিব্যস্ত থাকত। তারপর গুগল বা ওপেন স্ট্রিট ম্যাপ আসার পরে গাড়ি আর স্মার্টফোন এর যুগলবন্দী, কিন্তু এখন তাদের ইন্টিগ্রেশন দেখার মতন। গাড়িতে একটা রেডিও থাকলেই যথেষ্ট হতো।
যার জন্য হয়তো গাড়ির মডেলের নামও পরিবর্তিত হচ্ছে। টেসলা এস, এক্স কিন্তু জীপ wrangler, dodge ram, এই যে পশু বা ঐরকম rugged কিছুর নাম দিয়ে গাড়ির নাম, মনে হয় এতেও একটা পরিবর্তন আসবে।
আপনারা সবাই সাক্ষী। আমি কলেজ স্ট্রীটের একটা দোকানের টোস্ট খাওয়াতে বলেছিলাম, এমনকি উড়ের দোকানের ফুল মিল পর্যন্ত নয়। আমি দিব্যি USAতে বসে, আর রঞ্জনদা বলে দিলেন খাওয়ানো হয়ে গেছে - একেবারে বড়ো হাতের অক্ষরে DONE :)))
পিনাকী ও অভ্যু,
DONE!
কিন্তু পার্কিংএ প্রচুর জায়্গা লাগে তো।
টেসলা এক্সের ডানা মেলাটা আমার দিব্যি লাগে।
কালকে এখানে ক্লাচ গিয়ারের গাড়ির কথা হছ্হিলো। বিদেশে যেসব গাড়ি লোকেরা চালায়, দেশে সেইসব গাড়িও অউটোমেটিক ট্রান্সমিশনেই পাওআ যায়। মানে ক্লাচ গিয়ারের প্রয়োজন নেই। কিন্তু দেশে ঐ গাড়িগুলোকে লাক্সারি গাড়ি ধরা হয় এবং দামও অনেক বেশি।
একদম বিপ্লব হয়ে গেছে দেখছি! টই-এ মতামত দেখতে পাচ্ছিনা কেন ?
রঞ্জনদা, কলেজ স্ট্রীটে সেই একসাথে বসে আমরা ফেভারিটের টোস্ট খেয়েছিলাম, মনে আছে? দোকানে লেখা আছে যে নেতাজী ঐ টোস্ট খেয়েছিলেন, তা আমাকেও ঐ টোস্টই খাওয়াবেন।
রঞ্জনদা, আপনি আগে ব্লগের মধ্যে নিয়ে নিন, তারপর আমি ডিলিট করে দেব।
সকলকে শ্যামাপুজো ও দীপাবলির শুভেচ্ছা।