আর থিয়েটারের কোনও মঝঝিম পন্থা হয় না। হয় গ্রুপ নতুবা থার্ড। মিটে গেল।
এলেবেলেকে খুবই ইন্টারেস্টিং লাগছে মশায়। ওনাকে একটু কালটিভেট করতে হচ্ছে।
সৌন্দর্যে বসন্ত চৌধুরী কম ছিলেন? শুভেন্দু?
সময় বলবে আদৌ থিয়েটারের ইতিহাসে একটা ফুটনোটের বেশি উনি জায়গা পাবেন কি না। ওগুলোকে থিয়েটার বলে না হাঁসজারু বলে। কিংবা থিয়েটারের ক্যারিকেচার। সৌমিত্রের শেষ থিয়েটারগুলোর নাম মনে করতে থাকুন। নিজেই উত্তর পেয়ে যাবেন।
আমি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের অভিনয় নিয়ে কথাই বলিনি। @এলেবেলে
"সৌমিত্রের থিয়েটার, সরি টু সে, মেয়েকে টানতে।"
কতগুলো থিয়েটার "মেয়েকে টানতে" করেছেন তিনি?
আমি ওভাবে দেখতে রাজি নই। মনোজ মিত্র গ্রুপ কিন্তু জনপ্রিয়। সৌমিত্র একা। ওভাবে থিয়েটার হয় না। আর্বান থিয়েটার মানে বাদল সরকার। চূড়ান্ত এক্সপেরিমেন্ট। গ্রুপ মানে অনেকেই সুমন-কৌশিক ইত্যাদিরা। সৌমিত্রের থিয়েটার, সরি টু সে, মেয়েকে টানতে। ওই ফটিকচাঁদ কেস।
আমার আসলে ফিড ব্যাক জিনিস্টাই অসহ্য লাগে একটা। গোটা টাই তো মাপা জোকার খেলা, লেখা তে তবু একটা প্রস্তাবক এর হনেস্টি থাকে , ফিড ব্যাক মানে বেশি r ভাগ ক্ষেত্রেই, অ্যাট বেস্ট অফ টাইম্স, জানি না বাপু আমার মনে হয়, বলে এক ধরণের রক্ষন শীলতা ছাড়া কিসু নাই। ফেসবুক এই সব জিনিস বাড়িয়েছে, আপদ। গুড রিড এসে, বুক রিভিউ এর শিল্প টা কে জাস্ট খুন করে দিয়ে বেরিয়ে গেল।
বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
কিন্তু সৌমিত্র r কমারশিয়াল কাজ কে কটা দেখেছেন, নাটক সহ? আমার তো মনে হয় ঐটেই ওনার আমেজিং দিক। একটা স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়া দশ পনেরো হাজার খানেক শো করে টিভিতে একটা শো পেলে বিখ্যাত হয়। এই গ্রাইম টা র একটা মূল্য আছে . আমার বাংলা কথা হল, কলকাতার বিংশ শতকের সেকুলার আর্বান ইতিহাস লিখতে গেলে সৌমিত্র r কমারশিয়াল কাজের কথা, মনোজ মিত্র , সৌমিত্র এই যে কমারশিয়াল আর অকাদেমি থিয়েটার কে আলাদা করে দেখেন ই নি, এটার বিশাল মূল্য দিতে হবে না। আমার তো মনে হয় এটা খুব ইম্পর্টান্ট একটা দিক।
তবে আমি চাই মধ্যে ভাট যেমন আলাদা সেকশন হয়েছিল, সেটা ফের হোক। যদিও ভাটুরেদের প্রবল দাবির কাছে নতিস্বীকার করে কল-কর্তারা ভাটকে ফিরিয়ে আনতে বাধ্য হয়েছেন। তবে কমেন্ট সেকসন থাকুক। কিছু গাম্বাট নাহলে গাম্বাটপনা প্রকাশ করবে কোথায়? অথবা নিজের পাঠদৈন্য!!!
এই যে দেবযানী এসে বলে গেল, গুরু আছে গুরুতেই, সেটা অন্তত পরের বার অনেক্দিন পরে এলে বলতে পারবে না। ঃ-)))কিছু লিখতে হবে বা লেখা পড়ে মন্তব্য করতে হবে, বা আপনাদের কোনো লেখাই পড়ি না, ছগলের লেখা, এটুকু বলতে অন্তত চিঠি দিতে হবে। গুড স্টাফ।
এই যে কতগুলি হাতে গোনা বুড়ো বুড়ি মূলতঃ চায়ের দোকানের ভাট করছে, প্রতিটি কথাই প্রায়শঃ প্রেডিকটেবল, সেটা সত্যি ই অনেকের কাছেই রিপালসিভ হতে পারে। একটা সার্ভে করে দেখতে পারেন কর্তৃপক্ষ, ভাটের জন্য নতুন লোকের অসুবিধ হচ্ছে কিনা। তুলে দিলে কি ক্ষতি? আমার তো অন্তত নিজের কোন লেখার কোন ফিডব্যাক পেতে ভালো ই লাগে না। বক্তব্য বলা হয়েছে, যার পোসাবে পড়বে, মিটে গেল। আমাদের তো বংকিম চন্দ্রকে কে জানাতে হয় নি, যে উনি বংকিমচন্দ্র ছিলেন ঃ-))))))), এত ফিডব্যাক এর কনসেপ্ট টাই ভাট।
আরে কেউ রঞ্জিতকে ভালো বলেছে! বলেছে নায়ক হয়ে একা টেনেছে। ভ্যাকুয়াম ভরাট করেছে। ওগুলো সিনেমা? কিন্তু লোকের পেট চলেছে ওই দিয়ে। পয়সাও পেয়েছে। মিটে গেল
হ্যাঁ, প্রকারান্তরে বাধ্য। সৌমিত্র অসাধারণ। দীপঙ্কর তখন সত্যজিতের আঁধারে আলো। হারাধন যাচ্ছেতাই বিশেষত খাওয়ার ভঙ্গিতে। রঞ্জিত লাস্ট চয়েস ছোটভাই হিসেবে।
চারটে লিঙ্ক দেওয়ার পরেও যদি 'আমাদের লোক'-এর মূল সুর না বুঝতে পারেন, তাহলে আমি নাচার।
খ, আর একটা চ্যাপ্টার বাকি আছে। হাজার পাঁচেক শব্দ। হয়ে যাবে। তাই আজ সামান্য প্যাচাল আর কি!
অভিনেতা হবে রঞ্জিত মল্লিক এর মতন।সঙ্গে সঙ্গত দেবে পসেনজিত আর কালী ব্যানার্জী।নিন্দুকেরা অভার এ্যাকটিং বলতেই পারে কিন্তু এলেবেলে বাবুর দৃষ্টি দিয়ে দেখতে হবেক। বাংলা সিনেমার স্বর্নযুগ !
স্ব্্্্
বাংলা কথা হল, লেখা লিখতে না পারলে , সময় ন পেলে , aচিঠি লিখুন, মন্তব্য করুন। অযথা ভাটাবেন না, ভাটিয়ে আমাদের ১৫ বছর গ্যাছে, আপনাদের সময় যেন আপনাদের কাছে মূল্যবান হয়ে ওঠে :-))) ইতি, ভাগ্যহীন- ভাগ্যহীনা :-))))))))))))))))))))
সেদিন কে যেন বলছিল, ভাটানোর লোক নেই :-) তবে ওভারল ভাট আর টই উঠে গিয়ে গোটা গুরুচন্ডালি ইম্পারসোনাল লেখা ছাপানোর জায়গা হয়ে উঠলে আমি খুব খুশি হব। অনেক্টাই হয়ে উঠেছে। আরো হোক।
ভাট আর ট ই করে করে অনেক সম্পূর্ণ লেখা হয় না। প্লাস ভাটে কেবল ঝগড়া ঝাঁটি আর ভুল ভাল। কোন লাভ নেই, ফাল্তু। নতুন মডেল ইজ বেস্ট। দিনে গোটা দশেক অআভারেজ পবন্দ / গল্প / কবিতা / রিভিউ । বেশির ভাগের মান খুব ই উঁচু। ফ্যান্টাস্টিক। নতুন টিম কে ধন্যবাদ। এবার ট ই আর ভাট এর লিংক দুটি বিদায় হোলে সবচেয়ে খুশি হব। আর লেখায় মন্তব্য করা উঠে গেলেও বেস্ট হয়। একটা সম্পাদকের চিঠি বিভাগে যার মনে হবে লিখবে। গুরু লিবেরাল ফোরাম, সব রকম চিঠি ই ছেপে দেবে।
অনেক ফ্লাফিনেস কমে গিয়ে একটা সলিড জিনিস হয়ে যাবে।
"সত্যজিৎ শেষে ওঁকে শাখাপ্রশাখায় নিতে বাধ্য হন" বাধ্য? সত্যি? কে জানাল?
লিঙ্ক দেখলাম। কোনটা "কদর্য, ..কুৎসিত, ...রুচিহীন দলবাজি"? এবং কেন?
আমি আগের জেনারেশনের পরিচালকদের প্রসঙ্গ এনেছি সত্যজিতের অল্টার-ইগো থিওরির কাউন্টার হিসেবে। এবং এখনও পর্যন্ত কোমল গান্ধার নিয়ে সৌমিত্রের নৌটঙ্কিবাজির প্রসঙ্গ তুলিনি। ইচ্ছাকৃতভাবেই।
অভিনেতা যদি সুপুরুষ হলেই হত তাহলে [জয়া ভাদুড়ী উবাচ] নবীন নিশ্চল বোম্বে কাঁপাত!
আজ্ঞে হ্যাঁ। রঞ্জিত মল্লিক একদা একা হাতে বাংলা সিনেমাকে টেনেছেন। নায়ক হিসেবে। আপনার পেয়ারেমোহন সত্যজিৎ শেষে ওঁকে শাখাপ্রশাখায় নিতে বাধ্য হন এবং তাঁর অভিনয়ের চরম প্রশংসা করেন। রঞ্জিত মানে শুধু স্বয়ংসিদ্ধা নয়। রঞ্জিত মল্লিক মানে শত্রুও। তারপরে তিন ঢ্যাঁড়সের রবরবা। তার শ্রেষ্ঠতম অপদার্থ ঢ্যাঁড়সটি ইদানীং সিজিতের নোক্কিপ্যাঁচা।
না, মৃণাল-তপন-তরুণ-অজয় আসছে না। সত্যজিতের অল্টার-ইগো আসছে।
আমি সৌমিত্রের চরম ফ্যান। তাঁর ফিল্মোগ্রাফি একটা সময় অবধি আমার মুখস্থ ছিল। কাজেই আমাকে ওসব বলে লাভ নেই। আরে বেলাশেষে-ফেশে বড় পর্দার সিরিয়াল। সিনেমা পদবাচ্য নয়। একটি দেখেই পিত্তি চটকে গেছে।
নিন লিঙ্ক দেখতে থাকুন
https://www.facebook.com/ExpressRed/posts/770493503501397
https://www.facebook.com/ExpressRed/posts/769893110228103
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের একমাত্র ও শেষ অনিন্দ্যকান্তি অভিনেতা।
প্রকৃত অর্থে এত সুপুরুষ অভিনেতা আর হয়নি।
<@এলেবেলে: কোনটা "কদর্য, ..কুৎসিত, ...রুচিহীন দলবাজি"? এখনো অপেক্ষায় আছি। >
"কেন মৃণাল-ঋত্বিক-রাজেন-তরুণ-তপন-অজয়দের প্রসঙ্গ আসে না?"
কে বলেছে সে কথা? সাত-্পাকে-বাঁধা, সংসার-্সীমান্তে, গণদেবতা, ছুটির ফাঁদে, বসন্ত-বিলাপ, ক্ষুধিত পাষাণ, কোনি আর এখনকার বেলাশেষে, পোস্ত সবই বহুচর্তিত ও জনপ্রিয়।
যাদের নাম করেছেন তারাও আগের জেনারেশনের পরিচালক। আপনার সত্যজিতে এলার্জি আছে বলে হাওয়ায় তরোয়াল চালাচ্ছেন।
তব্বে,সর্বকালের সেরা অভিনেতা হলো গিয়ে রঞ্জিত মল্লিক।!! আর কি চাই! সেই ক্যাবলা, সেই পাগল চরিত্রে অভিনয়, বাঙালি কভু ভুলবে??
মিশরের লোকেরা বলেছিল,পিরামিড কে সেভেন ওয়ান্ডার এর ভোটিং এ জড়াবেন না। রঞ্জিত মল্লিক কেও রেটিং এ না জড়ানোই ভালো। উনি অনবদ্য। সক্কলে কি চিনতে পারে?
ছাই চাপা আগুন।কয়লা ঢাকা হীরে। পাঁকে জাগা পদ্ম, মাছের বাজারে প্রিন্সেস ডায়না!
সৌমিত্রের ভাত মারার প্রসঙ্গে এসেছে কি? খালি পেটে শিল্পচর্চার কথা কেউ বলেছে কি? কিন্তু কেন ৬০ বছরের আগের ছবিগুলোর রেফারেন্স আসে বারবার? কেন তাঁকে সত্যজিতের অল্টার-ইগো বা পিতা-পুত্রের সম্পোক্কো খোপে থাকবন্দি করা হয়? কেন মৃণাল-ঋত্বিক-রাজেন-তরুণ-তপন-অজয়দের প্রসঙ্গ আসে না? কারণ মেনস্ট্রিম মিডিয়া পাবলিককে এই পিটুলিগোলাটা খাইয়ে থাকে।
দীপঙ্কর-রঞ্জিত স্টপগ্যাপ। পিরিয়ড। স্বরূপ-ধৃতিমানকে কাস্ট করার মতো পরিচালক ছিল না কোনও দিনই অথচ পাওয়ারফুল।
"কালী-শুভেন্দু মারা যাওয়ার পরে নায়ক বা নায়িকার বাবায় সৌমিত্র একচেটিয়া নতুবা হতাশাগ্রস্ত বৃদ্ধের ভূমিকায়।"
সে দোষ কার? ইস্যুটা কি? তিনি কেন খালি পেটে শিল্পচর্চা করেননি নাকি অন্য কাউকে আটকেছিলেন??
"এই অবস্থাটার পরিবর্তন আসে ২০০৫ নাগাদ। ...."
তাতে তো সৌমিত্রর ভাত মারতে পারেনি কেউ। তিনি তো শেষদিন পর্য্ন্ত শুটিং করেছেন বাচ্চাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে।
"পরিচালকরা ইচ্ছে করলে সৌমিত্রকে রিপ্লেস করতে পারতেন।"
হয়ত, হয়ত নয়। মোদ্দা কথাটা হচ্ছে করেননি। কেন? সে দোষ সৌমিত্রের নয়। তবে অপরাজিতর অপু হতে পারেননি বেশী লম্বা হওয়ার জন্য। তাই কখনই বাতিল হননি তা ঠিক নয়।
"বাঞ্ছারামের বাগানে দীপঙ্করকে নেওয়ায় উত্তমের প্রতিক্রিয়া"......
দীপঙ্করের উত্তম হওয়ার ক্যারিস্মা (অভিনয় বলিনি) ছিল না যদিও উত্তম মোট্টে আমার প্রাণপ্রিয় অভিনেতা নন। উত্তমের মৃত্যুর পরে খোলা মাঠ পেয়েও "দীপঙ্কর ভিলেন বনে যান"। সে দোষ কার? রঞ্জিতই বা কি করলেন?
সেই হিট হওয়া ভালো সিনেমায় সর্বদা উ-সৌ থাকেন না। সেই সময়ের সবচেয়ে বড় নায়কের নাম না করায় আমি লজ্জিত। রঞ্জিত মল্লিক। দ্য মোস্ট আন্ডাররেটেড অ্যাক্টর ইন টালিগঞ্জ।
শচীন তেণ্ডুলকর স্ট্রেট ড্রাইভটা খেলার সময় কি ঘাড়টা নব্বই ডিগ্রিতে থাকত?
কে বলেছে হিট হয় নি?ভালো সিনেমা হিট হয়। আবার,বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না হিট হয়, জয় বাবা তারক নাথ হিট হয়।
জয় বাবা ফেলুনাথ তো জয় বাবা তারক নাথ থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে নাম দিয়েছিলেন।অনেক কিছুই জানেন না দেখছি। আর তারক নাথ তো জয় বাবা ফেলুনাথ থেকে অনেক হিট ছবি , এটা জানেন লিশ্চয়!!
কাজের ব্যাপারে আপস করতেন না মানিকবাবু। বটেই তো! তাই উদয়ন পণ্ডিতের পাঠশালার ছাত্ররা সব পাঠভবনের গোলু গোলু সোফি ছাত্র আর ঘরে বাইরেতে স্বাতীলেখা!!
না জানা থাকলে সবই ফালতু লাগে। কী আর করা যাবে!