এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • হীরকের রানী ভগবান!

    aanteldi
    অন্যান্য | ০৭ জানুয়ারি ২০১২ | ২২৩৯৭৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • এক বামপন্থী | 103.115.84.195 | ৩০ জুলাই ২০১৩ ২০:০২525652
  • কম্পেনসেশন নিয়ে বামপন্থী সরকার একটা প্রাথমিক প্রস্তাব তো দিয়েছিল! বিরোধীপক্ষ তারপর চাপ দিয়ে সরকারের থেকে আরও দাবীদাওয়া আদায় করতে পারতো তো! বিরোধীপক্ষ কি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় বিন্দুমাত্র আগ্রহ দেখিয়েছিল?

    চাষিরা ক্ষতিপূরণ নিতে না চাইবার দুয়েকটা কারন থাকে - জমির ওপর টান, জমির দলিল না থাকা, সরকারী ক্ষতিপূরণ না পাওয়ার সম্ভাবনা ইত্যাদি। ঠিকমতো বোঝাতে পারলে এই প্রত্যেকটি জায়্গাতেই সুফল পাওয়া যেত, কারন নিজের ভালো বুঝবে না, এতটা বোকা কাউকেই ভাবার দরকার দেখিনা। হতেই পারে যে সব শেষেও কয়েক্ঘর চাষী জমি দিতে রাজী হতোনা, আর তাদের জোর করে উচ্ছেদ করতেই হতো। এবার কী বলবেন যে ঐ শেষ কয়েক ঘর অনিচ্ছুক চাষীর জন্য গোটা প্রকল্পটিকেই বাতিল করে দিতে হতো?
  • PT | 213.110.243.23 | ৩০ জুলাই ২০১৩ ২০:০৩525653
  • *সেই সময়ের বিপ্লবীরা চাইলে হত কিছু একটা সমাধান-চায়নি বলে হয়নি।

    RR
    এখন তো বামেরা পর্যুদস্ত-কিছুদেনের মধ্যে তাহলে দেখব যে ২৪ ঘন্টা বামেদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে?
  • এক বামপন্থী | 103.115.84.195 | ৩০ জুলাই ২০১৩ ২০:২১525654
  • রন্জনবাবু

    ১) টাটা-আবাপ বাদ বিবাদ ইত্যাদি ঈশাণের একটি প্রশ্নের উত্তরে দেওয়া হয়েছিল। কয়েক্পাতা আগে থেকে পোষ্ট্গুলি পড়লে বোধহয় পুরোটা বোঝা যাবে।

    ২) ঐ সময়ে গুরুর পাতা আমি পড়িনি, গুরুর পাতা মাত্রই কয়েকমাস হল পড়ছি। টাটা বা বিড়্লা আমার কাছে পুঁজিবাদী ছাড়া কিছুই নয়। কিন্তু আমি আগেই বলেছি, একটি অঙ্গরাজ্যে একটি বামপন্থী সরকারকে বহু বাধ্যবাধকতার মধ্যে কাজ করতে হয়। পুঁজিকে লগ্নি করার আহ্বান জানানো সেরকমই একটি, কারণ তা নাহলে রাজ্যে শিল্পস্থাপন না করে চুপচাপ বসে থাকতে হয়।
  • pinaki | 227.211.165.118 | ৩০ জুলাই ২০১৩ ২০:২২525655
  • তাহলে টাটা-আবাপ থিওরিটা মাঠে মারা গেল, তাইতো? যাঃ। ঃ-)
  • pi | 118.12.172.75 | ৩০ জুলাই ২০১৩ ২০:২৯525656
  • আবারো একই কথা। একসময় অনেক কিছুই হয়েছে, এখন তাই নিয়ে ডিবেট হচ্ছে, হওয়াটা উচিতও। ডিবেট হলে যেভাবে হয়েছে, সেভাবে না হয়ে অন্যভাবে হত হয়তো ( হতনা , একথা বলছিনা )। নিউটাউনের জনি অধিগ্রহণও তো হয়ে গেছে, প্রায় অবাধে, তো সেটা যেভাবে হয়েছে, যে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে, সেগুলো সমর্থন করেন নাকি ? হয়ে গেছে বলেই ভুল হলেও তাকে সেভাবে সেই ফর্মেই সমর্থন করতে হবে ?
  • এক বামপন্থী | 103.115.84.195 | ৩০ জুলাই ২০১৩ ২০:৩৬525657
  • ডিবেট হওয়া এক জিনিষ। আর ডিবেট করতে গিয়ে একটা প্রায় সম্পূর্ণ কারখানা বন্ধ করে দিয়ে একটা রাজ্যের শিল্পসম্ভাবনা নষ্ট করা আরেক জিনিষ।
  • maximin | 69.93.211.187 | ৩০ জুলাই ২০১৩ ২০:৪২525658
  • বিভিন্ন ইন্টারভিউতে সেন অনেকগুলি কথা বলেছেন।
    ১) তাঁর থিয়োরিতে শুধু-গ্রোথ কখনোই টারগেট হিসেবে আসে নি। আবার তাঁর কাজে গ্রোথকে বাদ দেন নি।
    ২) স্বাস্থ্য-শিক্ষা গ্রোথ-সহায়ক ইনফ্রা।
    ৩) স্বাস্থ্য ও প্রিলিমিনারি শিক্ষার ব্যবস্থা সরকারকেই করতে হয়, প্রাইভেট সেক্টর করে না, তাদের ইন্সসেন্টিভ নেই।
    ৪) সিকিয়োরিটি নানাপ্রকার, মাইনরিটিরা যদি নিরাপদ বোধ না করে তাহলে গণতন্ত্র ব্যর্থ হয়।
    ৫) ভারতীয় হিসেবে তিনি যে গর্বিত তার একটা বড় কারণ হল অন্য দেশে ইমিগ্রেশন নিয়ে কড়াক্কড়ি আছে, আমাদের দেশে নেই।
    ৬) মাইনরিটিরা ইনসিকিয়োর বোধ করলে ভারতীয় হিসেবে এই গর্ব আর থাকে না।
    ৭) খাদ্য সিকিয়োরিটি সরকারের দায়িত্ব এবং তা এক্ষুনি করা সম্ভব।
    ৮) খাদ্য সিকিয়োরিটি বিষয়ে মডেল হল ছত্তিশগড়।
    ৯) ভাগবতী তাঁর দীর্ঘদিনের বন্ধু। তিনি চান বন্ধুত্বটা থাকুক। তিনি কিছুই বলতেন না, নেহাত ভাগবতী তাঁর আগেকার কাজকে misrepresent করেছেন, তিনি নিজের তত্ব (ও মত) কে ব্যাখ্যা করেছেন।
  • maximin | 69.93.211.187 | ৩০ জুলাই ২০১৩ ২০:৪৯525659
  • ৪ আর ৬ রিপীট হল কি? ৪ কে অব্জেকটিভ ভাবা যায়, ৬ ব্যক্তিগত।
  • Ishan | 202.43.65.245 | ৩০ জুলাই ২০১৩ ২০:৫০525661
  • ওরে বাবা। অনেক লিখতে হবে। এট্টু টাইম দ্যান।
  • aka | 81.92.62.80 | ৩০ জুলাই ২০১৩ ২০:৫৫525663
  • বামপন্থীর যুক্তি গুলো ভালো।
  • T | 24.139.128.15 | ৩০ জুলাই ২০১৩ ২০:৫৫525662
  • @পিনাকীদা,

    "শেষ বিচারে আবাপ-র লক্ষ্য ছিল পব থেকে সিপিএমকে হটানো-সেই লক্ষ্যে টাটাকে কবর দেওয়া (সরাসরি না হলেও) কিংবা মমতাকে তোল্লাই দেওয়া যা যা দরকার সবই আবাপ করেছে।" --- পিটি উবাচ।

    তো আবাপ প্রথমে চেয়েছে টাটা থাকুক, শেষমেশ পাল্লা যখন মমতার দিকে ঘুরেই গেছে (২০০৯ লোকসভা) তখন আর টাটা নিয়ে বিশেষ উচ্চবাচ্য করেনি। খুল্লামখুল্লা ন্যানো বিদায় বিরোধীতা দেখায় নি। সকালের কাগজে ন্যানো নিয়ে আক্ষেপ, কিন্তু রাত্তিরে আবার মমতার গাড়িতে সওয়ারী হয়ে এক্সক্লুসিভ কভারেজ দুটোই চলেছে। মনে হয় এটাই পিটি বলতে চেয়েছেন। খামোখাই আবাপ বনাম টাটার সূত্র ইত্যাদি নিয়ে 'পরেশান' হ'চ্ছ। 'বনাম' ব্যাপারটা ছিল না, বৃহত্তর স্বার্থে একপা পিছিয়ে দুইপা এগো'ন আর কি!
  • bb | 127.195.191.146 | ৩০ জুলাই ২০১৩ ২১:০২525664
  • একটা ১০৩ বছরের কোম্পনীতে ১ বার ধর্মঘট হয়েছিল ২০ ই মে, ১৯৫৮ সালে।
    ১৫ই মে থেকে AITUCর কেদার দাসের নেতৃত্বে ধরণা শুরু হয়েছিল, শ্রমিকেরা ব্লাস্ট ফার্নেসের লাইনের ওপর বসে অব্স্থান করেছিল, তাদেত কোম্পানীর সিকিউরিটি দিয়ে হটিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ২০শে মে একদিনের ধর্মঘটে কারখানা বন্ধ হয়েছিল। তারপরের দিন সাধারণ ধর্মঘটে পুলিশের গুলিতে ৪ জন মারা জান, কারণ তারা ইচ্ছুক শ্রমিকদের কাজে যেতে বাধা দিয়েছিল (এটা সরকারী ব্যর্থতা, কারণ আইন-কানুনের দায়িত্ব ছিল কংগ্রেস সরকারের)। এর জের চলে আরও দুই সপ্তাহ এবং শেষ হিসাবে কোম্পানীর ৩৩৫,০০০ শ্রমদিবস নষ্ট হয়।
    পরের নির্বাচনে কেদার দাস এমএলএ হন তার কংগ্রেসি প্রতিদ্বন্দীকে হারিয়ে। ১৯৬৯ এও উনি জামশেদপুর পুর্ব থেকে জেতেন।
    টাটাদের শ্রমিক নীতি খুবই ভাল ছিল এবং স্বাধীনতার পরবর্তিকালে তাদের অনেক নীতি দেশের শ্রমিক আইন হিসাবে গ্রহণ করা হয়।
    এটা বুঝতে হবে যে ১৯৫১ সালের সময় থেকে টাটারা যে আধুনিকরণ করেন তার ফলে শ্রমিকন নির্ভরতা কমে অনেক এবং তাই নিয়ে শ্রমিক অসন্তোষ হয়েছিল। আর এই ধর্মঘটের নেতৃত্ব দিয়েছিল বামেরা, তাই কোম্পানী কমিউনিস্টের দলের বিরুদ্ধ অভিযোগ করেছিল। এতে অসত্য ভাষণ কোথায় হল?
    এক্জন প্রাক্তণ টাটাস্টীল কর্মি হিসাবে আমি সত্যিটা লিখে গেলাম, যাতে রঞ্জন্দা একই গল্প চালিয়ে না যান।
    মনিশ - আপনি জানবেন বোধহয়, এই কেদার দাশ সাকচিতে থাকতেন। এখন বেঁচে আছেন কিনা জানি না।
  • PM | 59.248.251.234 | ৩০ জুলাই ২০১৩ ২১:১১525665
  • মনে হয় কেরালার জিডিপি ২০১১ তে সার্জ হয়েছিলো সেজন্যই মাস মিডিয়াতে খবর হয়েছিলো। যাই হোক ২৫ বা ৩০ কোনোটাই কম নয়। রেমিটেন্স এর মজা হলো এই যে এটা এন্ড ইউসারের কাছে সরাসরি আসে, তার আয় বা খরচ যোগ্য আয়ে সরাসরি যুক্ত হয়। টাকাটা প্রত্যক্ষ ইকোনোমিতে সার্কুলেট হয় ( সেভিন্গ্স বাদে)।

    শিল্প ছাড়াই কেরলে HDI বেশী, এই আর্গুমেন্ট দেবার আগে এটা লোকজনের ভাবা উচিত। গুজরাট এই ইকোনোমিক এফেক্টটা আনছে শিল্প দিয়ে। সিকিমের ছোটো ইকোনমি , সে চেষ্টা করছে টুরিস্ম দিয়ে। কিন্তু এই টাকাটা পঃবঃ এর মত স্টেটে কোথা থেকে আসবে? চিট্ফান্ড থেকে?
  • PM | 59.248.251.234 | ৩০ জুলাই ২০১৩ ২১:১৭525666
  • " "বাম-সমর্থকরা এই পাতায় উচ্চ্কন্ঠ হয়েছিলেন যে বিড়লার তুলনায় টাটা কত ভালো, শ্রমিক দরদী! "

    রন্জনদা, এই নিয়েকথা বাড়াতে চাইছিলাম না । তবু যেহেতু কিছু ব্যক্তিগত অভিঙ্গতা আছে, শেয়ার করছি

    আমি নিজে আদিত্য বিড়লা গ্রুপ-এ (সবথেকে অগ্রনী বিড়লা গোষ্ঠী) কাজ করেছি, টাটা তেও করেছি। কম্প্যরেটিভ ভাবে বলতে পারি আগে কোনো তুলনাই ছিলো না দুজনের HR পলিসি তে। এক বিশেষ সম্প্রদায়ের না হলে একটা লেভেল এর পরে প্রমোসন হওয়া প্রায় অসম্ভব ছিলো। কুমার মঙ্গলম আসার পরে ( তাও গত ১০ বছরে) বিরাট পরিবর্তন হয়েছে ঐ গ্রুপ এ। খুব-ই সদর্থক পরিবত্তন। সেদিন শুনলাম আমার পুরোনো কোম্পানীর কোনো কাস্টোমার কুমার কে অভিযোগ জানায় কর্পোরেট গভর্নেন্স ব্রিচ এর গ্রাউন্ড এ। ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত কমিসন বসিয়ে CEO কে স্যক করা হয়েছে। আমার চাকরী করা কালীন ভাবতেই পারতাম না। সেই তুলনায় টাটা প্রায় একি জায়্গায় আছে। দুজনের ব্যবধান কমেছে

    কিন্তু যদি বেসিক অ্যাসাম্প্সান হয় শিল্প আনতে হবে, তাহলে হাতের কাছের অপসনের মধ্যে থেকেই আপনাকে সিলেক্ট করতে হবে। সেক্ষেত্রে বলুন আমায় যে গাড়ী শিল্পে ( যেহেতু সিঙ্গুর নিয়ে কথা হচ্ছে) আর ইস্পাত শিল্পে ( যেহেতু আপনি উদাহরন দিয়েছেন) টাটার থেকে সিগ্নিফিক্যান্টলি ভালো HR পলিসি কার কার আছে। কাকে বাছবেন?

    এখন যদি কল্লোলদার মতো বলেন যে শিল্প চাই-ই না তাহলে অন্য প্রশ্ন।
  • কৃশানু | 213.147.88.10 | ৩০ জুলাই ২০১৩ ২১:১৯525667
  • আলোচনাটা খুবই ভালো লাগছে। দু-পক্ষেরই আরগুমেন্ট। সকলকেই অনুরোধ এর মধ্যে ব্যক্তিগত খোঁচাখুঁচি না করে অব্জেক্টিভলি তর্ক করলে টাইপাতে কম হবে :-)
  • PT | 213.110.243.23 | ৩০ জুলাই ২০১৩ ২১:৪৫525668
  • "নিউটাউনের জনি অধিগ্রহণও তো হয়ে গেছে, প্রায় অবাধে, তো সেটা যেভাবে হয়েছে, যে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে, সেগুলো সমর্থন করেন নাকি ?"

    এগুলো নিয়ে বিরোধী দলে থাকার সময়ে যারা চিল্লা-মিল্লি করেছিল তারা ক্ষমতায় আসার পরে যদি কিছু action না নেয় তাহলে বুঝতে হবে যে গোটা ব্যাপারাটাই শ্রেফ ক্ষমতায় আসার কারণে জল ঘোলা করা হয়েছিল। আমি যা দেখছি তাতে তো এই সরকার সেই নিউটাউন নিয়েই নানা পরিকল্পনা সাজাচ্ছে। শুধু চন্দন বসুকে কি দামে জমি দেওয়া হয়েছিল তাই নিয়ে গৌতম দেবের কাছা ধরে টানাটানি করছে। আর "ক্ষতিপূরণ" আগের সরকার ঠিকঠাক দিয়েছে কিনা সেটা কে নির্ধারণ করবে? ইতিমধ্যেই অজস্র কমিশন হয়েছে-তারা আশা করি আসল ঘটনা খুঁজে বের করবে।

    কিন্তু তাপসী মালিকের হত্যার তদন্তের গতি-প্রকৃতি দেখে মোটেই মনে হচ্ছেনা যে এই সরকার আগের জমানার আসল ভুল-ত্রুটি আদৌ খুঁজে বের করতে ইচ্ছুক।

    যত ধোঁয়াশা থাকে ততই ভাল- পরের নির্বাচনের জন্য। আর সাথে সাথে শুধু মায়াপাতার সংখ্যা আর প্রতিপক্ষ/আপনার রায়ের টিআরপি বাড়ে।
  • pinaki | 148.227.189.9 | ৩০ জুলাই ২০১৩ ২১:৪৬525669
  • কমঃ কিসানু, এই দুনিয়ায় পোকিতো অবজেক্টিভ কাউকে খুঁজে পেলে একটু জানাবেন। চাড্ডি লেগডাস্ট নেব। ঃ-)
  • pi | 118.12.172.75 | ৩০ জুলাই ২০১৩ ২১:৫১525670
  • এই সরকার action না নিলে, এই সরকার ঠিকঠাক কাজ করছে না, সেটাও তো হতে পারে ঃ) । সে নন্দীগ্রাম সিঙ্গুর হোক কি নিউটাউন। আপনি অবশ্য মনে করতেই পারেন, এই সরকার সব ঠিকঠাক কাজ করছে ( বিরোধী হিসেবে ভুলভাল দাবি তুলেছিল) , মানে আপনার পোস্ট পড়ে সেরকমই ইঙ্গিত পাওয়া গেল :D
  • কৃশানু | 213.147.88.10 | ৩০ জুলাই ২০১৩ ২১:৫৫525672
  • আমার পায়ের ধুলো নেবে? ইস, কেমন লাগছে :-)
    জোক্স এপারট - মানে যতটা কম কম হয় আরকি।
  • pinaki | 148.227.189.9 | ৩০ জুলাই ২০১৩ ২১:৫৯525673
  • টি, একটা থিওরি কি বানিয়ে দিলেই হল? ন্যানো নিয়ে আবাপ গ্রুপ এক দিনের জন্যও অবস্থান বদলায় নি। প্রথম থেকে পক্ষে ছিল, আজও আছে। ২০০৬ এর নির্বাচনে সিপিএমের শিল্পায়নের স্লোগান, ব্র্যান্ড বুদ্ধ, ইত্যাদিকে পূর্ণ সহযোগিতা করেছে আবাপ। আবাপ পুরোপুরি ঘুরেছে তখনই যখন ওর দেওয়াল লিখন পড়তে পেরেছে, যে এইবার সিপিএম যাচ্ছে এবং মমতা আসছে।

    আর সিপিএমকে বড় পুঁজির ভরসা না করার কারণ টা কী? সিপিএম এমন কী কর্মসূচী নিয়েছে বড় পুঁজির বিরুদ্ধে যে তারা তাকে হঠাতে যাবে? কেরালায় তো প্রতি ৫ বছর পর পর সিপিএম জেতে? তাদের কে বড় পুঁজি তাহলে জেতায় কোন আনন্দে? নাকি যখন সিপিএম হারবে, তখন সেটা বড় পুঁজির কনস্পিরেসি আর যখন অন্যরা হারবে তখন মেহনতী মানুষের জয়? থিওরি বানাতে গেলে একটা মিনিমাম লেভেলের কনসিস্টেন্সি তো লাগবে। ঃ-)
  • pinaki | 148.227.189.9 | ৩০ জুলাই ২০১৩ ২২:০৭525674
  • না না, কমঃ কিসানু, আপনাকে দিয়ে হবে না। পোকিতো অবজেক্টিভিটির একটা নমুনা হল, ধরুন আপনি ১৯৯০ সালে হাওড়া ব্রিজ দিয়ে হেঁটেছিলেন। অতএব আপনি ধরে নেবেন ১৯৬০ সালে হাওড়া ব্রিজের উপর কী ঘটেছিল সেই ইতিহাস সম্বন্ধে পোকিতো অবজেক্টিভ কথা বলার হক একমাত্র আপনার। এবং আপনি দাবী করবেন অন্যরা কেউ যেন হাওড়া ব্রিজ নিয়ে আর কোনোরকম 'গল্প' না দেন। এগুলো পোতিভার ব্যাপার। সকলের আসে না।
  • Ishan | 214.54.36.245 | ৩০ জুলাই ২০১৩ ২২:২০525675
  • আর্গুমেন্টটা আরেকবার পেশ করি।

    অমর্ত্য সেন এই জন্য কোট করিনি, যে, আমি অমর্ত্য সেনের সমর্থক। এই জন্য কোট করেছি, যে, বিংশ এবং একবিংশ শতাব্দীতে "উন্নয়ন" এর চিত্রটা ওখানে দেখানো হয়েছে। এতদ্ভিন্ন অমর্ত্য সেনের অবস্থান তাঁর, সে নিয়ে কোনো বক্তব্যই নাই।

    কী দেখা যাচ্ছে? একটা সময় ভাবা হত, জিডিপি, গ্রোথ এসবের সঙ্গে "বেঁচে থাকার মান" লিনিয়ারলি কো-রিলেটেড। বিংশ শতাব্দীর ঘটনাপ্রকৃতি দেখাচ্ছে, তা একেবারেই নয়। কিছু দেশ/ঙ্চল (কোরিয়া, তাইওয়ান), অর্থনৈতিক বৃদ্ধি এবং জীবনের মানোন্নয়ন দুটোই ঘটিয়েছে। কিছু দেশ (ব্রাজিল) অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ঘটিয়েছে কিন্তু তার প্রতিফলন জীবনের মানোন্নয়নে পড়েনি। কিছু দেশ/অঞ্চল(কেরালা, শ্রীলঙ্কা) অড়্নৈতিক বৃদ্ধি তেমন ঘটাতে পারেনি, কিন্তু জীবনের মানোন্নয়নে প্রভূত উন্নতি ঘটিয়েছে।

    অর্থাৎ, প্রতিপাদ্য নং এক, জিডিপি/জিএনপি/অর্থনৈতিক বৃদ্ধি আর জীবনের মানোন্নয়ন সমার্থক নয়। একটা ঘটলে আরেকটা ঘটলে পারে, নাও পারে। যাঁরা প্র্থমেই ধরে নিচ্ছেন, যে, জীবনের মানোন্নয়নের জন্য শিল্প একটি আবশ্যক শর্ত, তাঁরা একটু বাস্তবমুখী হোন। শিল্পায়নের সঙ্গে জীবনের মানোন্নয়নের ওয়ান-টু-ওয়ান সম্পর্ক একটি বাজারি গপ্পোকথা মাত্র। বাজারি গুজব শুনবেন না, ছড়াবেন না, ছড়াতে দিবেন না। :)

    এবার পয়েন্ট নং দুই। মন দিয়া শুনুন। যে দেশগুলি (জাপান, কোরিয়া) জীবনের মানোন্নয়ন এবং শিল্পায়ন ও গ্রোথ দুইই ঘটিয়েছে, তাদের একটা সাধারণ চরিত্র আছে। আগে শিল্পায়ন ঘটিয়ে তারপর জীবনের মানোন্নয়ন ঘটিয়েছে এরকম নয়। শিক্ষা, স্বাস্থ্যখাতে এরা আগে উন্নতি ঘটিয়েছে, এবং তারপর সেই উন্নতিকে কাজে লাগিয়ে এদের অর্থনৈতিক বাড়বৃদ্ধি। অর্থাৎ, যতই শিল্প আনুন, ইনফ্রাস্ট্রাকচার এবং জীবনের মানোন্নয়নে প্রাথমিক ভাবে নজর না দিলে কিসুই হবেনা। শুধু শিল্পায়ন জীবনের মানোন্নয়ন ঘটায়না (উদাহরণ ব্রাজিল)।

    তাহলে প্রতিপাদ্য নং দুই হল, জীবনের মানোন্নয়ন এবং শ্ল্পায়ন দুটি আলাদা সিলেবাস। জীবনের মানোন্নয়ন আলাদা করে না ঘটালে শিল্পায়ন চালিয়ে কিসু লাভ নাই। গ্রোথ হবে কিন্তু মানোন্নয়ন হবেনা। এখানেও আবারও, যাঁরা শিল্পায়ন ও জীবনের মানোন্নয়নকে সমার্থক ভাবছেন, তাঁরা মনে রাখুন, যে ইনফোসিস- আইবিএম ওয়ালমার্টের বিনিয়োগ মানেই দেশের মানুষের দুধেভাতে ভেসে যাওয়া নয়। কখনও কখনও শিল্পায়ন মানে উল্টো দিকে হাঁটাও।

    পয়েন তিন। এবং এখানে সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক। বারবার এই প্রসঙ্গটা উঠে আসছে এখানে। ওঠেও সর্বত্র। কেরালা কি একটা মডেল হতে পারে? ওদের তো সব পয়সাই বাইরে থেকে আসে। ওরা সেই পয়সা সামাজিক ক্ষেত্রে ঢালে। সেটা অন্য রাজ্যগুলো করবে কিকরে? ইত্যাদি। এখানে প্রথমেই যে গোলমালটা হচ্ছে, সেটা হল, কেরালা কিন্তু বাকি ভারতীয় রাজ্যগুলোর চেয়ে জিডিপিতে এমন কিছু হাতি-ঘোড়া এগিয়ে নেই (বহুল প্রচারিত বিদেশী টাকা সত্ত্বেও)। যেখানে এগিয়ে আছে, সেটা হল জীবনের মানোন্নয়নে। পয়সা কেরালার বেশি নেই। তবুও ওরা মানোন্নয়ন ঘটিয়েছে। কিভাবে? সামাজিক ক্ষেত্রে ঢালার জন্য পয়সা পেল কোথা থেকে?

    এর উত্তর হল, উন্নয়নশীল দেশে এফেক্টিভ সাপোর্ট গ্রুপ বানাতে এমন কিছু পয়সা লাগেনা। এগুলো লেবার ইনটেনসিভ। স্ড়মনিবিড়। পুঁজিনিবিড় নয়। ওটুকু ঢালার ক্ষমতা সব রাজ্যেরই আছে। কেরালা যেখানে এগিয়ে আছে, সেটা হল, এগুলোকে "এফেক্টিভলি" ব্যবহার করায়। এর অনেক ফ্যাক্টর আছে। একটা হল সরকারি প্রচেষ্টা। সামাজিক গ্রুপগুলোর কাজের ধরণ। কলচার। কিন্তু মোদ্দা কথা হল, টাকাটা এখানে ফ্যাক্টর নয়।

    এটা ঠিক ডিম্পাউরুটি ডিবেট নয়, যে জন্য এত বড়ো করে লিখছি। উন্নয়নের মডেলটা নিয়ে একটু ভেবে দেখুন। বাম সমর্থকরা "শিল্প না হলে টাকা কোথা থেকে আসবে?, আর টাকা না এলে উন্নয়ন কিকরে হবে?" এই একটা জায়গা ছেড়ে নড়েন না। কিন্তু আদতে ওটা একটা কুসংস্কার। একথা যেমন ঠিক, যে টাকা না থাকলে, হার্ড ক্যাশ না থাকলে রাস্তা তৈরি হবেনা, তেমনই একথাও ঠিক, যে, চালু ব্যবস্থাগুলিকে মানবিক করে তুলতে টাকা লাগেনা। পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা বা স্বাস্থ্যব্যস্থার খারাপ হাল ঠিক টাকার অভাবে নয়। "টাকার অভাব আছে, টাকা না হলে কিছু করা যাবেনা", এটাকে এজুহাত হিসেবে ব্যবহার করবেন না।

    খুব পাতি ডেটাহীন কিছু উদাহরণ দিই। দক্ষিণে স্বাস্থ্যব্যবস্থার রমরমা। সেখানে ওরা জোর দিয়েছে। তাতে করে ওদের শুধু খরচা হয়েছে তা নয়। বরং সারা ভারত থেকে লোকে চিকিৎসা করতে দৌড়চ্ছেন। এতে অর্থনীতিরও উন্নতি হয়েছে। আপনি একই ভাবে স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নতি করতে পারলে আপনার অর্থনীতিরও উন্নতি হবে।

    একই গল্প শিক্ষায়। আপনি যদি মানবসম্পদে উন্নয়ন ঘটাতে পারেন, এবং ধরা যাক, আপনার কোনো শিল্প নাই, তাহলেও এই মানবসম্পদ বসে থাকবেনা। তারা অন্যত্র কাজ করতে যাবে। সেই টাকা ঘরে ফিরবে। রাজ্যের ইকনমিতে রোল করবে। এবং আপসে ইকনমির রমরমা হবে।

    শেষ উদাহরণদুটো আমার কল্পিত। এর সঙ্গে অমর্ত্য সেন বা ভাগবতী কারোরই কোনো যোগাযোগ নেই। কিন্তু আর্গুমেন্টটা খুব অকেজো কিছু না। এইটা নিয়ে একটু ভাবুন। "সীমিত ক্ষমতায় একটি অঙ্গরাজ্যে"র থিয়োরাইজেশন থেকে বেরিয়ে আসুন। এই দুনিয়ায় পাল্টা স্লোগান হল "সীমিত ক্ষমতাকে নিজের সামর্থে" পরিণত করুন। ব্যস।
  • T | 24.139.128.15 | ৩০ জুলাই ২০১৩ ২২:২৩525676
  • বলিনি তো যে অবস্থান বদলেছে। মনে হয়েছে মাত্রার হেরফের ঘটিয়েছে, এই আর কি। আমার যতটুকু মনে হয়েছে আবাপ নামক ধারাবাহিকটি ফলো করে যে, এরা চায় সরকারের কাছ থেকে বেশ বড় রকম গুরুত্ব। এতদিনের পুরোনো নিউজগোষ্টী হওয়ার ফলে চাওয়াটা বোধহয় অভ্যেসেও দাঁড়িয়ে গেছে। (অথবা চাওয়াটা স্বাভাবিকও হতে পারে, ঠিক জানি না) তুচ্ছতাচ্ছিল্য (যেমন মমতা করছে) না পসন্দ। ব্র্যান্ড বুদ্ধ নিয়ে লাফানি তে ওই 'আমাদের জয় হইল' ব্যাপারটাই বেশী চোখে পড়ত, বুদ্ধবাবুকে সর্বরোগহর বটিকা বানাবার থেকে। 'দেখো আমরাই ঠিক বলছি, অর্থনীতি সমাজনীতিতে ইত্যাদি হ্যানা ত্যানায় আমাদের অবস্থানই ধ্রুবসত্য এবং তা প্রমাণিত'---এই ধরণের অ্যাড মানুষের কাছে আরো বিশ্বাসযোগ্যতা পাওয়ারই চেষ্টা। ফল হল ব্যবসার বৃদ্ধি। সে সিপিএমের পুঁজিবাদের স্বপক্ষে বা বিপক্ষে অবস্থান যাই থাক। (এগেইন এটা স্বাভাবিকই বোধহয়)।

    এবং এই সবকিছু হয়তো সঠিক সেন্সেই ঘটেছে, কে জানে বাবা!
  • cm | 127.193.40.125 | ৩০ জুলাই ২০১৩ ২২:২৬525677
  • ৩০০ নম্বর পাতায় সই রাখতেই হবে তাই এই পোস্ট।
  • pi | 118.12.172.75 | ৩০ জুলাই ২০১৩ ২২:২৭525678
  • স্বাস্থ্যব্যবস্থায় তামিলনাড়ুর উদাঃ টা আরো অ্যাপ্ট। ওরা অনেক কম ব্যয় করেই বেশ ভালো স্বাস্থ্যব্যবস্থা গড়ে তুলতে পেরেছে। নানা সূচকে তার প্রমাণ আছে। আর এর প্রধান একটা কারণ , পাব্লিক হেল্থে নজর দেওয়া। আর সেটা মোটেও ব্যয়সাপেক্ষ নয়।
  • PM | 59.248.251.234 | ৩০ জুলাই ২০১৩ ২২:২৮525679
  • পিনাকির অবসার্ভেসন আমার অভিংগতার সাথে মিলছে না-

    ১। বুদ্ধের শিল্প নীতির সমর্থন করলেও বাম বিদ্দেষে কোনো কমতি ছিলো না।
    ২। সিঙ্গুর নিয়ে আঃবাঃ বিরোধীতা করে নি সরকারের। পিনাকীর সাথে একমত
    ৩। বামেরা কেঃ সঃ থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করার পর থেকেই বিরোধীতা তীব্র হয়।
    ৪। ২০১১-র ভোটের আগে সুমন যেভাবে গদগদ হয়ে নির্লজ্জ প্রচার চালিয়েছিলো তা আশা করি কেউ ভোলেন নি।
    ৫। ইন জেনেরাল ৮০ র দশক থেকে দেখে আসছি এমনি সময়ে তবু কিছুটা নিরপেক্ষ ভাব বজায় রাখলেও ভোটের কিছুদিন আগে থেকে একচেটিয়া সরকার বিরোধী ভুমিকা নিত । এটাই ওদের সম্পদকীয় স্ত্র্যটেজি ছিলো বলে মনে হয়। আর কেউ এটা ক্যটেগোরিকালি লক্ষ করেছেন কি? ২০০১ ভোটের আগে সুমন চাটুজ্জের (সাংবাদিক) দিদির গাড়ী চরে দিদির নির্বাচনী প্রচার কভার করা আর জ্বালাময়ী রিপোর্টিং কারো মনে অছে কি? তবে এবার স্টার আনন্দের সুমন সক্কলকে ছাপিয়ে গেছিলো।
  • T | 24.139.128.15 | ৩০ জুলাই ২০১৩ ২২:২৯525680
  • তামিলনাড়ু এবং পশ্চিমবঙ্গের জনঘনত্ব কি এক?
  • Ishan | 214.54.36.245 | ৩০ জুলাই ২০১৩ ২২:৩৫525681
  • এই সুযোগে একবার ল্যালা বাণীও পেশ করে দিই।

    পশিমবঙ্গ দেশভাগের শিকার। পশ্চিমবঙ্গ চট শিল্পের দুর্গতির শিকার। পশ্চিমবঙ্গ মাশুল সমীকরণ নীতির শিকার। সব ঠিক। এসব নিয়ে যেখানে যা দাবী পেশ করবেন, সব সমর্থন করব। কিন্তু এসব তো একদিনে উল্টে যাবেনা। তদ্দিন বসে বসে "একটি অঙ্গরাজ্যে আমরা আর কিইবা করতে পারি, ভূমিসংস্কার তো করেই ফেলেছি" বলে পায়ের উপর পা তুলে বসবেন, আর নিজের ভোটব্যাঙ্ককে শক্তিশালী করা ছাড়া আর কূদিকে মন দেবেন না? আলটিমেটলি ভোটব্যাঙ্ক তো আপনাকে ওই "সীমিত ক্ষমতা" ব্যতীত আর কিছু দেবেওনা, যার জন্য আপনি নাকি ঠুঁটো জগন্নাথ। ওনিয়ে আপনার কী মোক্ষলাভ হবে?

    কাজেই ফ্রেম অফ রেফারেন্সটা পাল্টান। যা আছে, তা দিয়েই কি করা যায় দেখুন। যেটুকু টাকা আছে, যেটুকু সামর্থ্য আছে, তাকে কিভাবে ব্যবহার করা যায় ভাবুন। ইনোভেটিভ এবং এফেক্টিভ কায়দায়। দক্ষতা বাড়ান। উদ্ভাবনী বাড়ান। নিজের অসামর্থকে সামর্থে পরিণত করুন।

    এবার এই টাটা ইত্যাদি এগুলো কিন্তু শর্টকাট ছিল। সত্যিকারের প্রচেষ্টাটা বোঝা যায়। এটা না করতে পারলে আখেরে আপনার ক্ষতি কি বলুন তো? জ্যামে আটকে পড়া প্রাইভেট বাস দেখেছেন? যতই সে ব্যাটা জ্যামের জন্য আটকে থাক, পাবলিক গাল দেয় ড্রাইভার আর কন্ডাকটারকে। কেন দেয়? কারণ পাবলিক জানে, যে, জ্যাম সইত্য ঘটন হলেও, এই ব্যাটারা যেকোনো ছুতোয় বাস দাঁড় করিয়ে দিতে পারলেই খুশি হয়। সেই রকমই আপনি যদি নিজের কাজ নিজে না করেন, আর স্রেফ সবই "মাশুল সমীকরণ নীতি"র দোষ বলেন, যতই সত্য কথা হোক, লোকে তাতে কান দেবেনা। নিজেরা একটা হাসপাতাল চালাতে পারেনা, আর দোষ হল মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের -- এরকমই কটুক্তি করবে।

    যদি নিজের যেটুকু পারার ছিল, সেটুকুকে মন দিন না, অজুহাত না দিয়ে। বাকি সব রাস্তাও আস্তে আস্তে খুলবে। এই হল বক্তব্য। শুধু সিপিএম না যেকোনো সরকারকেই।
  • pinaki | 148.227.189.9 | ৩০ জুলাই ২০১৩ ২২:৩৮525685
  • আমি তো স্পেসিফিকালি সিঙ্গুর নিয়েই বলেছি। সিপিএম যে যে পরিমাণে তাদের স্লোগানে বড় পুঁজির ইচ্ছেকে প্রতিফলিত করেছে, সেই সেই পরিমাণে আবাপ বা অন্য বড় পুঁজি তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। যে কারণে ২০০৬ এর শিল্পায়নের স্লোগানের সময় আবাপ সিপিএমের পাশে ছিল। বাম বিদ্বেষ কিছু নিশ্চয়ই আছে, কিন্তু যতক্ষন অব্দি বড় পুঁজির এজেন্ডা সিপিএমকে দিয়ে ফুলফিলড হচ্ছে, ততক্ষণ অব্দি ঐ বাম বিদ্বেষকে পকেটে রেখে সিপিএমের পাশে দাঁড়াতে বড় পুঁজির (আবাপ ইত্যাদি) খুব একটা অসুবিধে নেই।

    আমার থিওরি এইটুকুই। কমরেড কিসানু দেখে রায় দেবেন এই থিওরি পোকিতো অবজেক্টিভ কি না। ;-)
  • ranjan roy | 24.96.71.181 | ৩০ জুলাই ২০১৩ ২৩:০১525686
  • বিবি,
    আপনি টাটয় কাজ করেছেন , কিন্তু যেখান থেকে টাটাকে সমর্থন করছেন সেটা আদৌ বাম দৃষ্টিভঙ্গী নয় এটা বলছি।
    পুরনো টইয়ে অথেন্টিক ডকুমেন্ট সেই সময়ের TOI এর রিপোর্ট সবই দেয়া আছে। টাটার শ্রমিক নীতি নিয়ে রিসার্চ পেপারও কোট করা আছে।
    আপনি কাইন্ডলি ডাঙ্গে যঝন আলোচনার জন্যে টাটার অফিসে এসে ওদের রেস্ট হাউসে উঠতে চাইলেন তখন টাটারা কি ভাবে এবম` কি যুক্তিতে ওঁকে ঢুকতে দেন নি সেটা বলুন। আর টাটার কোলকাতা অফিসের প্রেস রিলিজে কি বলা হয়েছিল সেটা কোট করুন।
    আপনি টাটায় কাজ করেছেন। কিন্তু স্পষ্টতঃ সেই ঘটনার দুইদশক পরে। ততদিনে সুবর্ণরেখায় অনেক জল গড়িয়ে গেছে।
    আর তখন স্ট্রাইকটা টাটার অন্যায্য লেবার পলিসি নিয়েই হয়ে্ছিল, যেটা আই এন টি ইউ সি নেতা মাইকেল জনের সঙ্গে একতরফা চুক্তি করে শ্রমিকদের আন্দোলন কে সীমিত করে বিশ্বব্যাংকের থেকে লোন নেয়া হয়েছিল।

    পিএম,
    এখানে আদৌ আমরা হোয়াইট কলার অফিসারদের জন্যে বিভিন্ন কর্পোরেটের এইচ আর পলিসি নিয়ে আলোচনা করছি না, সেটা ছোট ফ্রেমের ব্যাপার।
    এখানে আমরা বরং এক বামপন্থীর আলোচনার সূত্র ধরে একজন ক্যাপিটালিস্ট হিসেবে টাটার ভূমিকা নিয়ে কথা বলছি। যেমন
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন