এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আজাদ কাশ্মীর : আপনার কী মত

    pi
    অন্যান্য | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১০ | ১৭৩৮২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ranjan roy | 122.168.29.106 | ১২ অক্টোবর ২০১০ ১৩:২০459861
  • সরি আকা! আমি তোমার কথা একদম বুঝতে পারিনি। আবারও সরি!
    আমি আদৌ এটা বলতে চাইছি না যে ""আলাদা হওয়ার অধিকার'' ফান্ডামেন্টাল রাইটসের অন্তর্গত। তাহলে তো এত কথার দরকারই পড়তো না। এমন কি আন্দোলনেরও না। সোজা সুপ্রীম কোর্টে হস্তক্ষেপের for issuing direction to concerned Government জন্যে একটি রিট লাগালেই কাজ হত।
    আমার পরিপ্রেক্ষিত আবার স্পষ্ট করছি।
    আমি যখন বল্লাম-- জাতিসংঘের সনদে আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার স্বীকৃত, তখন PM বল্লেন জাতিসংঘ আমেরিকার ইরাকে হস্তক্ষেপের ঢপ অজুহাতকে সমর্থন করেছিল কাজেই জাতিসংঘের সনদ কোন মাপ্‌দন্ড হবে না।( ওনার পোস্ট দেখুন)।
    সেই প্রসঙ্গে আমার বক্তব্য যে প্রয়োগের ক্ষেত্রে কিছু ভুল-অন্যায়ের ফলে মূল নীতিগত সনদ ব্যর্থ হয় না।তাহলে কি মানবো? কিসের বেসিসে আমরা বিভিন্ন রাষ্ট্রের নীতিগত প্রশ্নে, মানবাধিকার হননের প্রশ্নে আওয়াজ তুলবো?
    তেমনি সুপ্রীম কোর্টের কোন ভুল রায় বা অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অপপ্রয়োগের ফলে কি আমরা সংবিধানের ""ফান্ডমেন্টাল রাইটস্‌" বা ""ডায়রেক্টিভ প্রিন্সিপলস্‌'' এর থেকে মুখ ফিরিয়ে নেব?
    তাহলে মাওবাদীদের মত হাতিয়ার তোলা ছাড়া কোন বিকল্প থাকে না।
    বরং ফান্ডামেন্টাল রাইটসের ওপর ভিত্তি করে তার অধিক ন্যায়সংগত বিস্তারের জন্যে আন্দোলন করবো?
    খেয়াল করুন-- আজকে যে সূচনার অধিকার, খাদ্যের অধিকার,শিক্ষার অধিকার আইনের আওতায় এসেছে, বা সুপ্রীম কোর্ট আদেশ জারী করছে --- কোন এলাকায় কেউ না খেয়ে মরলে তার জন্য সেই এলাকার ডিস্ট্রিক্ট কলেক্টর উত্তরদায়ী থাকবে তা এসেছে ওই সংবিধান প্রদত্ত অধিকারের সম্প্রসারণের জন্যে করা দীর্ঘস্থায়ী জন আন্দোলনের ফলে, কোন ম্যাডামের শুভাকাঙ্খার ফলে নয়।
    ওপরের ওই অধিকার গুলো পেয়ে কচু হয়েছে। মানলাম। এখানেই আমাদের দায়িত্ব।
    কিন্তু এটা তো শুরু। এগুলো আইনের আওতায় না আসলে তো আপনার-আমার দাবীর বৈধানিক আধারই থাকতো না।
    কিছু শুরু হয়েছে। ছত্তিশগড়ের স্বাস্থ্য বিভাগের ডায়রেক্টর ড: আদিলে জয়েন্টে সে¾ট্রাল কোটার কাগজে কারচুপি করে নিজের মেয়ে ও তার এক বান্ধবীকে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করালেন।
    একজন ডাক্তার এই দুনম্বরীর কিছুটা আঁচ পেয়ে কমপ্লেন করলেন। কিন্তু প্রমাণ কোথায়? সুপার বসের বিরুদ্ধে কে প্রমাণ বা ডকুমেন্ট দেবে? উল্টে উনি নাজেহাল হলেন। ভোগান্তি হল। কিন্তু হাল ছাড়লেন না। মেয়েদুটি যখন ফোর্থ ইয়ারে পৌঁছেচে তখন উনি জালি ব্যপারটার সব প্রমাণ জুটিয়ে কোর্টের থেকে এই রায় বের করাতে পারলেন যে ঐ দুটো অ্যাডমিশন অবৈধ। ওদের কলেজ থেকে বের করে দেয়া হোক। আর সরকার ড: আদিলে কে সাসপেন্ড করে তদন্ত শুরু করুক।
    তার ছ'মাস পরে সরকার বাধ্য হয়ে তদন্তের ভিত্তিতে আদিলে এবং চক্রে জড়িত আরো তিনজনকে সাসপেন্ড করে এবং পুলিশ কোর্টে ৪২০ ধারায় ওদের ও মেয়েদুটির বিরুদ্ধে চার্জশীট দেয়। এখন আদালতে চার্জ ফ্রেম হলে ওদের সবাইকে গ্রেফতার হতে হবে।
  • ranjan roy | 122.168.29.106 | ১২ অক্টোবর ২০১০ ১৩:২৭459862
  • তেমনি PM যা খেয়াল করছেন না যে ইরাক প্রশ্নে জাতিসংঘ আদৌ ইউন্যানিমাস ছিল না। ফলে দেরি হচ্ছিল। অনেরিকা অধৈর্য্য হ্যে পড়ছিল। শেষমেষ তদন্তকারী দলগুলোর আন্তিম রায় বেরোনোর আগেই তো আমেরিকা তড়িঘড়ি আক্রমণ শুরু করে দিল। ব্লেয়ার সাপোর্ট করলেন। আর আদৌ যে সাদ্দামের তেমন কোন বিধ্বংসী অস্ত্রসম্ভার ছিল না, সেটা তো জাতিসংঘের তদন্তকারী দলের রিপোর্টের ফলেই ধরা পড়লো না কি!শেষে ব্লেয়ারকেও গদি হারাতে হল।
    এর জন্যে জাতিসংঘের সনদ কোথায় দায়ী?
  • kd | 59.93.201.71 | ১২ অক্টোবর ২০১০ ১৬:০৯459863
  • রঞ্জন,
    তোমার নিজের বায়াস যেমনই হোক না কেন, তোমার অ্যানালিসিস সবসময়ই লজিকাল এবং নিরপেক্ষ। হঠাৎ তার ব্যতিক্রম (আমার চোখে) চোখে পড়ায় লিখছি।

    12 Oct 2010 - 01:23 AMএ ""ওটা অমেরিকার স্টাইল'' স্টেটমেন্টটার সঙ্গে ঐ প্যারায় উল্লিখিত মতবাদের কী সম্পর্ক? না, ওটা তোমার মনে আমেরিকার প্রতি (possibly justified) hatredএর হঠাৎ বহি:প্রকাশ!

    তোমার ওপর বিশ্বাস আছে, তুমি সঠিক বিশ্লেষণ করবে।
  • Ishan | 122.248.182.16 | ১২ অক্টোবর ২০১০ ১৭:১৩459864
  • অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আমি কি যেখানে ছেড়ে এসেছিলাম সেখান থেকে শুরু করব? :)
  • ranjan roy | 122.168.5.116 | ১২ অক্টোবর ২০১০ ১৭:৪০459865
  • কাবলিদা,
    আমি লজ্জিত, আপনি আমার যে মূল্যায়ন করেছেন আমি সত্যিই তার যোগ্য কি না?
    আবার পড়লাম। আপনিই ঠিক। ওটা আমার বায়াসের বহি: প্রকাশ। ওটার উৎস বা শক্তি নোবেল পুরস্কার নিতে গিয়ে নাট্যকার হ্যারড পিন্টারের বক্তৃতা যাতে উনি প্রায় পঞ্চাশ বছরের মার্কিন পররাষ্ট্র নীতির সমালোচনা করেছেন।
    কিন্তু আপনি ঠিক। মার্কিন সরকারের পররাষ্ট্রনীতি মানেই আমেরিকা বা আমেরিকান স্টাইল নয়।
    আপনি আমার বড়দা। ভবিষ্যতেও ঠিক সময়ে কান মূলে দিলে খুব খুশী হব।
  • aka | 168.26.215.13 | ১২ অক্টোবর ২০১০ ১৮:৪০459866
  • রঞ্জন-দা, সরি বললেন কেন? আরে আমি যদি এঁচোড়ে পাকার মতন তক্কো করতে পারি, তাহলে আপনাদের মতন বড়দের (বুড়োদের) সব চলবে (:))। সিরিয়াসলি সরি টরি বললে খেলব না। :(

    কাশ্মীরের সমস্যা নিয়ে একমত, সমাধান নিয়ে একেবারেই একমত নই। তিনটে কারণ:-

    ১। তাহলে এই জাতীয় ভোট করার আগে তা সংবিধানে তুলতে হবে। এটা আমার মনে হয় বাস্তব থেকে দুরে সরে থিওরেটিকাল কচকচি, টোকেন প্রোটেস্ট। কারণ এটা হবার নয়। এতে কাশ্মীরের লোকেদের আগামী বিশ বছরেও কোন সুরাহা হবার নয়।

    ২। তর্কের খাতিরে ধরা যাক সংবিধানে এই ভোট এল, তারপর? ভারতে পলিটিকাল স্টেবিলিটি বর্তমান আমেরিকা বা সাবেক সোভিয়েতের ধারে কাছেও নয়। ফলে, এই ভোটের ফলে বিজেপি হিন্দু রাষ্ট্র চাইবে, হায়দ্রাবাদ মুসলিম রাষ্ট্র চাইবে, তামিলনাড়ুর দ্রাবিড় রাষ্ট্র চাইবে। কোথায় গিয়ে থামবে বলা যায় না। প্রশ্ন হতেই পারে তাতে অসুবিধা কি? উত্তর হল ভারত-পাকিস্তান বা বঙ্গভঙ্গের ইতিহাস।

    আরও একটা প্রশ্ন উঠতে পারে ভারতের পলিটিকাল স্টেবিলিটি এরকম ভঙ্গুর হলে এমনটাই হওয়া উচিত? উত্তর হল, স্বাধীনতার পরে মাত্র ৬০ বছর হয়েছে। স্টেবিলিটি আসতে সময় লাগে। বিশেষত যেদেশে ভারত-পাক বিভাজন হয়েছে, তারও আগে ৭০০ বছরের রাজনৈতিক অস্থিরতা চলেছে। ভারত খুব ধীরে ধীরে রাষ্ট্র হিসেবে একজায়গায় দাঁড়াতে চলেছে সেখানে খণ্ডীকরণের থেকে সর্ব ধর্ম, সর্ব জাতি সমন্বয় অনেক বেশি মানবিক। পৃথিবীর ইতিহাসে বিভিন্ন জাতির কনফ্লিক্ট তাই শেখায় নাকি? সেখানে দাঁড়িয়ে খণ্ডীকরণের রাজনীতি বিভিন্ন জাতির মধ্যে কনফ্লিক্টকে লেজিটিমাইজ করে। আমি তার বিপক্ষে।

    ৩। আমি ফাণ্ডামেন্টালি বিশ্বাস করি কাশ্মীর এবং অন্যান্য অঞ্চলেও মেইনস্ট্রীম সমাধান সম্ভব। তারজন্য প্রথমেই যা দরকার তাহল সরকারকে বুঝতে হবে কমনওয়েলথ গেমসের পেশী প্রদর্শন নয় বরং পলিটিকাল স্টেবিলিটি, ইনকাম ইনিকুয়ালিটি কমানো ইত্যাদিই লং রানে ভারতকে উন্নত দেশ করবে। তো, একথা আমি বুঝি অথচ চিদু বা মনু বোঝে না তা তো নয়। আসলে কেউই চায় না বিতর্কিত বিষয়ে হাত দিতে, ইতিহাসের খাতায় লাল অক্ষরে নিজের নাম দেখতে কে চায়। সেখানেই বিরোধীতার প্রয়োজন। পারসুয়েসিভ বিরোধীতায় সম্ভব বলেই মনে হয়। সে এমনি এমনি হয় না, ছোট খাটো প্রতিবাদ থেকেই সম্ভব।

    এইসব ।
  • ranjan roy | 122.168.5.116 | ১২ অক্টোবর ২০১০ ২০:১৬459867
  • আকা,
    সবচেয়ে কাম্য সমাধান হল তোমার তিন নম্বর সমাধান- কোন সন্দেহ নেই। আমার ছোটবেলায় শেখ আব্দুল্লার নেতৃত্বে কাশ্মীর সেই পথেই এগুচ্ছিল।
    বাদ সাধল কংগ্রেসের জাতীয় নেতৃত্বের সর্বগ্রাসী লোভ, বিশেষ করে প্রয়াত নেহরু কন্যার আগ্রাসী মনোভাব। যতদূর মনে পড়ছে উনি আশির দশকে শেখের ছেলে ফারুক আব্দুল্লার বিপুল ভোটে জেতা আইনী সরকারকে হটাৎ আর এস এস কায়দায় অন্তর্ঘাতকে প্রশ্রয়দেয়া, রাষ্ট্রহিতের বিরোধী এইসব ভিত্তিহীন অ্যালিগেশন লাগিয়ে বরখাস্ত করলেন এবং নিজের কথার সার্থকতা প্রমাণ করতে ফারুককে জেলে পুরলেন। সারা দেশ জুড়ে বুদ্ধিজীবীরা এর প্রতিবাদ করলেন। বিভিন্ন স্তরে কংগ্রেস নেতারা কোন কংক্রীট প্রমাণ ছাড়া মাতাজীকে ডিফেন্ড করতে অপদস্থ হতে লাগলেন। এবং কিছুদিন পরে বাধ্য হয়ে ""রাষ্ট্রদোহী'' ফারুক আব্দুল্লাকে মুক্তি দিলেন। সেই যে কাশ্মীরিদের বিশ্বাসে ফাটল ধরল, আর জোড়া লাগলো না। আগে ৬০-৭০ এর দশকে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা কাশ্মীরে মার্জিনালাইজড্‌ ছিল, হটাৎ মেইনস্ট্র্রেমে জমি পেয়ে গেল।
    এখন মনে হয় আমরা বাস মিস্‌ করেছি। ফলে জম্মু অর কাশ্মীরকে আলাদা করা ছাড়া সমাধান দেখতে পাচ্ছি না।
    কিন্তু এহ বাহ্য। কথাটা হল--
    ""নারীকে আপন ভাগ্য জয় করিবার,
    কেন নাহি দিবে অধিকার, হে বিধাতা!''

    আমার ছেলেমেয়ে যদি আমার পছন্দমত পাত্রী/পাত্র কে বিয়ে করে ভাল। যদি আমার পছন্দের পাত্রী/পাত্রকে ""প্রেম করে'' বিয়ে করে তালে সোনায় সোহাগা।
    কিন্তু বাস্তব দুনিয়ায় তা কি সব সময় হয়?
    বরং হয়-- ""যাহা চাই তাহা ভুল করে চাই, যাহা পাই তাহা চাই না''।
    আমার সন্তানেরা যদি অভিমানে মুখ ফিরিয়ে আমার অপছন্দের পাত্র-পাত্রীকে বিয়ে করে? দু:খ পাব। কিন্তু কি করবো?
    জোর করে আটকাবো? তাহলে তো সন্তানদের বরাবরের মত হারাব!
    যেমন আমার মনে পড়ছে বছর চারেক আগে ঈশেন কোন একটি সূতোয় লিখে ছিল-- আমি নিশ্চয়ই চাইবো না আমার মেয়ে কোন মাছওলাকে বিয়ে করুক।
    ( আমার ভাল লেগেছিল যে ঈশান জোর করে পলিটিক্যালি করেক্ট হতে গিয়ে ভন্ডামি করেনি।)
    কিন্তু যদি সত্যিই ঈশানের বা আমার মেয়ে ওমনি কোন বিয়ে করে? তখন? তখন কি করবো? বাস্তব জীবনে আমার চারপাশে
    উদাহরণ অসংখ্য রয়েছে।
    আমার বিলাসপুরের ঘনিষ্ঠতম বন্ধুর মেয়ে সেই পাড়ারই স্কুলের গন্ডী না ডিঙ্গোনো মুসলমান ছেলেকে বিয়ে করেছে। তারপর কি হল সে চারবছর আগে একটি বিতর্কিত সূতো খুলে এখানে লিখেছিলাম।
    হুগলীতে একদা সিরিয়াস বামপন্থী রাজনীতি করা আমাদের পারিবারিক বন্ধুর মেয়ে এক ছুতোর মিস্ত্রিকে বিয়ে করে।
    মেয়েটির বাবা ছেলেটিকে গুন্ডা দিয়ে তুলে এনে দুদিন আটকে রেখে পেটান।
    সাবার একটাই কথা --আমা মেয়েকে যা খুশি তাই করতে দেব না। ওর ভাল কিসে হবে সে আমি ঠিক করবো।
    এই স্ট্যান্ডটায় আমার আপত্তি।
    কাশ্মীরিদের প্রশ্নেও ভুল-ঠিক যাইহোক সমাধান ওদের ঠিক করতে দিতে হবে। এটাই আমার বক্তব্য।
  • aka | 168.26.215.13 | ১২ অক্টোবর ২০১০ ২০:৩৫459868
  • ধরুন যদি ছেলে ড্রাগ খেতে শুরু করল? বা পাড়ার গুণ্ডা দলের দাদা হল। তখন?
  • aka | 168.26.215.13 | ১২ অক্টোবর ২০১০ ২০:৩৮459869
  • মোদ্দা কথা কনফ্লিক্টিং ইন্টারেস্ট থাকলে তা শুধু আর একপক্ষের স্বাধীনতার প্রশ্ন থাকে না।
  • ranjan roy | 122.168.5.116 | ১২ অক্টোবর ২০১০ ২৩:২৬459871
  • মাইরি! কি উদাহরণই দিলে ভাই:))))।
    কেস-১: নিজের পছন্দমত কিন্তু আমার অপছন্দের অপাত্রকে ( আমার হিসেবে নচ্ছার!) বিয়ে করল।
    এতে আমার ইমোশনাল লস ছাড়া কারো কোন ক্ষতি নেই। দু:খ পাব, বোঝাতে চেষ্টা করবো। প্রয়াস থাকবে যাতে আলাদা না হয়, দেখবো আমার বাড়ির মধ্যেই ওকে কতটা ফিজিক্যাল ও মেন্টাল স্পেস দেয়া যায়। তারপরেও যদি আলাদা হয়ে যায় দু:খের সঙ্গে মেনে নেব।
    এই মডেল আমার মতে কাশ্মীর সমস্যার সঙ্গে মেলে।
    কেস-২: গুন্ডার সর্দার হল বা ড্রাগিস্ট হল।
    এতে ওর নিজের তো বটেই , কিন্তু তার চেয়ে বেশি সোসাইটি অ্যাট লার্জের জন্যে ক্ষতিকর হয়ে উঠেছে।
    কি করবো?
    প্রথমে তো বোঝাবো। ওই গ্রুপ থেকে আলাদা করার চেষ্টা করবো। ব্যর্থ হলে বলবো---- আমার বাড়িতে থেকে এসব চলবে না। তোমার কাজের দায়িত্ব তোমাকে নিতে হবে। আমার কাজের দায়িত্ব আমার। এটই অ্যাডাল্ট বিহেভিয়ার। কাজেই এবার আমাদের ছাড়াছাড়ির সময় হয়ে এসেছে। আমার ছত্রছায়ার থেকে বেরিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে যা ভাল বোঝ কর। কিন্তু এই রাস্তার শেষ-------!
    দু:খ পাবো। কিন্তু একসঙ্গে থাকবো না।
    এই উদাহরণটা কি করে কাশ্মীর সমস্যার সঙ্গে ভ্যালিড উদাহরণ হল?
  • aka | 168.26.215.13 | ১২ অক্টোবর ২০১০ ২৩:৫১459872
  • হল তো, বলতে চাইলাম সব চাহিদাই শুধু স্বাধীনতা বলে পাওয়া যায় না। 'সোশাইটি অ্যাট লার্জ'এর জন্য ক্ষতিকর হলে কি হবে সমাজ তার নিয়ম করে রেখেছে। তেমনই আজাদ কাশ্মীরের জন্য দাবী বা ভোট দুইই ভারত অ্যাট লার্জের জন্য ক্ষতিকর।

    ১। ভোট ইত্যাদি নিয়ে আগেই বলেছি আবার বলার মানে নেই।

    ২। যদি মনে করেন আলাদা হবার পরে আজাদ কাশ্মীর এবং ভারত উইল লিভ হ্যাপিলি এভার আফটার, তাহলে আগেই বলেছি তা ফেয়ারি টেলে হয়। যদি মনে করেন দূর্বল কাশ্মীরে পাকিস্তানি কারুকার্য্য চলবে না তাহলে বলতে হয় মুম্বাই হামলা বোধহয় ফিকশন।

    তাই থিওরেটিকাল আজাদ কাশ্মীর যেখানে গাছে গাছে আপেল ফলবে, স্বর্গের সিঁড়ি আবার নতুন করে গজিয়ে উঠবে বাস্তবে তা নেই, কারণ জাতিসঙ্কÄ¡র আত্মানিয়ন্ত্রনকে ওভার এমফাসাইজ করতে গিয়ে আন্তর্জাতিক পলিটিক্সকে আমরা বঙ্গোপসাগরে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছি।
  • alpha | 151.141.84.194 | ১৩ অক্টোবর ২০১০ ০০:৪৭459873
  • আপেল ফল্লে স্বর্গের সিঁড়ি খোলে না, বন্ধ হয়। আদম হবা কেস মনে নাই? :-)
  • pi | 72.83.95.25 | ১৪ অক্টোবর ২০১০ ১১:২৭459874
  • এই ভিডিও টা অনেকদিন ধরে দেওয়ার ইচ্ছে ছিলো। দেখেছিলাম বেশ কয়েক বছর আগে। একটু দেখতে অনুরোধ করবো সবাইকে।
    কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে বর্ডারের ওপারের কারুর অ্যানালিসিস :


    আজ এই পরভেজ হুডভয়ের (http://en.wikipedia.org/wiki/Pervez_Hoodbhoy ) আরেকটা ডকু দেখলাম, ভারত পাক নুক প্রোগ্র্যাম নিয়ে, পারলে সেটাও তুলে দেবো।
    পাকিস্তানের এই ভয়েসগুলো তো বিশেষ শোনা যায়না।
  • pi | 72.83.95.25 | ১৪ অক্টোবর ২০১০ ১১:৪০459875
  • আর আমার প্রশ্নটার উত্তর কিন্তু পাইনি।
    খণ্ডীকরণ হয়ে একাধিক দেশ হলেই যুদ্ধ আর অশান্তি অবশ্যম্ভাবী, এমনটা ধরে নেবার কারণ কী ? বিশেষত: একসাথে থাকতে গিয়ে অশান্তির বহরটা দেখা যাচ্ছে যেখানে। উগ্র জাতীয়তাবাদি সেন্টিমেন্ট কি অনেক বেশি যুদ্ধ আর অশান্তি ডেকে আনে না ?
  • sda | 117.194.194.114 | ১৪ অক্টোবর ২০১০ ১৪:২৮459876
  • পাইদি ,
    যুদ্ধ বা অশান্তির চেয়ে বড় আশংকা হল , দুদিন বাদে পাকিস্তান নিয়ে নেবে কি না। এমনিতেই তো ভারতের ম্যাপের উপরের দিকটা অনেকটাই মায়া করে নিয়েছেন ওনারা , আর সেটা মানতে আমাদের "সেকুলার" বুদ্ধিজীবিদের এতই অনীহা যে এখনো সেই ম্যাপই ভূগোল বইতে থাকে ! উগ্র জাতীয়তাবাদ খুবই বাজে জিনিস , কিন্তু আমার উদারতার সুযোগ নিয়ে যদি অন্য কেউ সেটা use করে তাহলে ঠিক মেনে নেওয়া যায় না। সাধারণ মানুষের উপর আর্মি লেলিয়ে দেওয়ার মত নোংরামি অবশ্যই মেনে নিতে পারি না , আবার বাকি দেশের হিতাহিত না ভেবে উদার হস্তে দানধ্যান করে যাওয়াও মনে হয় সঠিক পন্থা নয়। ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যে এই ধরনের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত কোন ফর্মুলা মেনে নেওয়াটা ঠিক নয় , পাকিস্তান বা চীনের মত প্রতিবেশি থাকলে একটু স্পেশাল কেস হিসাবেই ট্রিট করা উচিত এই ধরনের ভাগজোখের ব্যপারগুলো।
    "মহান" ভারতবর্ষের অখন্ডতা , জাতীয়তাবাদ এইসব নিয়ে কোন চাপ নাই , কিন্তু এইভাবে চলতে থাকলে কোনদিন দেখবো পশ্চিমবঙ্গে তালিবান শাসন বা চাইনিজ অটোক্রেসি চলছে। সেটা বেশ চাপ হবে !
  • kallol | 124.124.93.205 | ১৪ অক্টোবর ২০১০ ১৪:৪৫459877
  • সদা - খন্ড কাশ্মীর মানতে সবচেয়ে কষ্ট ভারত সরকারের, সে সেকুলার, ছদ্ম সেকুলার, প্রকৃত সেকুলার বা হিন্দু সেকুলার কোন সরকারই মানে নি। তাই কোন দেশ তার দেশে ছাপা মানচিত্রে যদি অন্য রকম দেখায় তো লোকসভা উত্তাল হয়ে ওঠে - ভারতমাতার ইয়ে হয়ে গেলো বলে।

  • ranjan roy | 122.168.40.86 | ১৪ অক্টোবর ২০১০ ১৪:৫৭459878
  • বেশ, বেশ, বন্ধুগণ! যদি কালকে বঙ্গ, বাংলাদেশ, আসামের কাছাড় ও ত্রিপুরার একটি মহকুমা নিয়ে স্বাধীন ও স্বতন্ত্র বাংলাদেশের জন্যে আন্দোলন করি তবে কে কে সঙ্গে আছেন --হাত তুলুন!

    আকা,
    কাশ্মীর স্বতন্ত্র হলে ভারতের পাশাপাশি সুখে -স্বচ্ছন্দে বাস করবে, গাছে গাছে আপেল ফলবে আর পাশের রাষ্ট্র থেকে কোন দুষ্টু শয়তান এসে আমাদের ইভ( বেগম হবা) ওস্কাবে না এমন সম্ভাবনার কোন গ্যারান্টি নেই তো! বরং অল্পবয়সী ছেলে অন্যজাতে বিয়ে করে আলাদা ঘর বাঁধলে প্রথমদিকে খুব আর্থিক ও সামাজিক প্রতাড়নার সামনা করবে--- এটাই বেশি সম্ভব।
    কিন্তু বর্তমান "" অখন্ড ভারত কী খন্ডকল্পনা''( এক আর এস এস এর প্রাক্তন সরসংঘচালকের বিখ্যাত বাক্যবন্ধ)তেও সুখ-শান্ত-সমৃদ্ধির গ্যারন্টি দেখছি না তো!

  • sda | 117.194.199.120 | ১৪ অক্টোবর ২০১০ ১৫:১৮459879
  • রঞ্জনবাবু , একদম ঠিক বলেছেন , সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলো আমাদের শাইনিং ইন্ডিয়ার শাইনের ছিটেফোঁটাও পায়নি। এটা প্রমাণিত যে কাশ্মির, মণিপুর বা দার্জিলিং এর সাধারণ মানুষ দারিদ্র্য আর অনুন্নয়নকে সঙ্গী করেই বেঁচে আছে। কিন্তু এরা আলাদা হয়ে গেলেও তাদের অবস্থা আমার মতে একই থাকবে , বরং হয়তো পাকিস্তানের মত আর ও কিছু সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর তৈরি হবে, যাদের টার্গেট হবে ভারতের সাধারণ মানুষ।

  • sda | 117.194.199.120 | ১৪ অক্টোবর ২০১০ ১৫:৪৭459880
  • কল্লোলবাবু, আমার ও সেটাই দাবী। হয় ভারত সরকার ঠিকঠাক ম্যাপ ছাপাক আর নয়তো কূটনৈতিক বা সামরিক শক্তি দিয়ে উদ্ধার করে আনুক হারানো অংশটা। এর মধ্যবর্তী যে কোন অবস্থানই ভন্ডামীর তুল্য।
    imagine এ লেনন-কথিত রাষ্ট্রহীন-ধর্মহীন মানবজাতির স্বপ্ন আমিও দেখি, কিন্তু যতদিন সবাই সেই পথ না নিচ্ছে, ততদিন একটু স্বার্থপর নীতিতে চলাই ভালো মনে হয়। আমরা কপালগুণে এমন কিছু প্রতিবেশী পেয়েছি যাদের কাছে ভদ্রতা দেখালে সেটাকে দূর্বলতা ভাবে। এই রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, অত্যাচারের শেষ আমরা সবাই চাই , এবং আমি মনে করি ধাপে ধাপে অসংখ্য পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে নতুন দিন আমরা দেখতে পাবো। তার জন্য সময় দিতে হবে , হঠাৎ করে এত উদারতা দেখাতে গেলে অনেকেই তার সুযোগ নিতে ছাড়বে না।
  • kallol | 124.124.93.205 | ১৪ অক্টোবর ২০১০ ১৬:৩১459882
  • ঐ একটা জায়গাতেই আমার আপত্তি। স্বার্থপর হয়ে স্বার্থহীনতার জন্য লড়া যায় না।
    লক্ষ্য কখনই উপায় কে বৈধতা দেয় না।
  • kd | 59.93.199.75 | ১৪ অক্টোবর ২০১০ ১৬:৩২459883
  • এই টইটা পড়তে পড়তে বছর কুড়ি আগের একটি ঘটনা মনে পড়ে গেলো - ভেলভেট রেভোলিউশন। এত বড় একটি ঘটনা হয়ে গেলো, তার সম্পর্কে খুব বেশী কোথাও আলোচনা শুনিনি। তাই এখন উইকিতে গিয়ে পড়ে ফেল্লুম।

    সত্যি, একেই বলে সত্যিকারের সভ্যতা।

    http://en.wikipedia.org/wiki/Dissolution_of_Czechoslovakia
  • aka | 168.26.215.13 | ১৪ অক্টোবর ২০১০ ১৮:৩২459884
  • ১। পাই, তা এই নিয়ে প্রচূর ভিডিও, লেখা, নাটক, সিনেমা সবই হয়েছে। কাশ্মীরের সমস্যাটা বোঝা গেছে। কাশ্মীরিরা 'আজাদ কাশ্মীর' চায়। প্রশ্ন হল জাতিসঙ্কÄ¡র আত্মনিয়ন্ত্রন ঠিক কতটা বেশি হলে তাকে উগ্র জাতীয়তাবাদ বলা যায়? মুম্বাইতে জনৈক ভারতীয় অখণ্ড ভারতের স্বপ্ন দেখলে তা 'উগ্র জাতীয়তাবাদ' কিন্তু 'আজাদ কাশ্মীর' এর স্বপ্ন আত্মনিয়ন্ত্রনের অধিকার - একেই আমি বলি 'ক্ল্যাশ অফ ডেফিনিশন'।

    ২। এটাও পাইকে, ভিডিওটি অসম্পূর্ণ। উনি দেখাতে ভুলে গেছেন কাশ্মীরের লস্কর-ই-তৈবা রয়েছে যারা পাকিস্তানে গেরিলা প্রশিক্ষণ পায়। বিশ্বাস না হলে হাতের কাছে আজমল কাসভ রয়েছে। সেই প্রশিক্ষণ শিবির টিবির দেখালে বৃত্তটি সম্পূর্ণ হত, নইলে আধ খাওয়া চাঁদ দেখে যদি সিদ্ধান্ত করি আসলে চাঁদের সবটাই আলো তাইলে বাংলায় সেটাকে বায়াসড অপিনিয়ন বলে।

    ৩। রঞ্জন-দা, উদাহরণ দিয়ে তঙ্কÄ খাঁড়া করতে গেলে মুশকিল হবে না কি? আপনি বিয়ের মতন আপাত নিরীহ একটি উদাহরণ দিয়েছেন যেখানে ব্যক্তি স্বাধীনতার অপরপক্ষে পরিবারের নিয়ন্ত্রন। আমি যদি বলি ছেলে ড্রাগ ডিলার হলে সে তার নিজের সিদ্ধান্ত, তাহলেই সমীকরণ অনেক বদলে যায়। এখন কাশ্মীর সমস্যাকে আপনি হয়ত মেয়ের অন্যজাতের সাথে বিয়ের অ্যানালজি খুঁজছেন, আমি দেখছি এটি এমন একটি সিদ্ধান্ত যা সোশাইটি অ্যাট লার্জের পক্ষে ক্ষতিকর। আবার 'ক্ল্যাশ অফ ডেফিনিশন'।

    ৪। উগ্র জাতীয়তাবাদ খুব ক্ষতিকর - হ্যানা হয়, ত্যানা হয় - একথা পলিটিকাল সায়েন্সের পরীক্ষায় বুলেট হিসেবে লিখলে বেশ কিছু নম্বর পকেটে আসে। কিন্তু সেই অ্যাজাম্পশন নিয়ে কোন পলিসি ইমপ্লিমেন্ট করতে গেলে পাইয়ের দেওয়া ভিডিও অস্বীকার করতে হয়। কোন যুবকেরই 'আজমল কাসভ' হওয়া উচিত নয় অতএব কেন ধরে নেব যে কাল আবার একজন 'আজমল কাসভ' হবে এই নিয়ে যদি বলি বর্ডার এনফোরসমেন্টের দরকার নেই তাহলে 'আজমল কাসভ' নামক বাস্তবটিকে অস্বীকার করা হল। পরীক্ষায় খাতায় রচনা লিখলে পাঁচে পাঁচ। পলিসি ইমপ্লিমেন্ট করতে বসলে একশয় মাইনাস হাজার। তাই কাশ্মীরিদের প্রতি গভীর মমঙ্কÄবোধ সঙ্কেÄও 'আজাদ কাশ্মীর' এই মুহূর্তে একটি 'আইডইলজিকাল স্ট্যান্ড' যার সাথে রিয়ালিটির সম্পর্ক খুব কম।

    আর সেখানেই আপত্তি, কি উচিত তাই নিয়ে আমরা বেশিই মাথা ঘামাচ্ছি যা আইডিওলজিকাল স্ট্যাণ্ড পয়েন্ট। নিজের সুবিধা মতন একটি বৃত্ত রচনা করে ভাবছি হ্যাঁ এটাই হওয়া উচিত অতএব এটাই হবে। দেখতে ভুলে যাচ্ছি পাকিস্তানের গেরিলা শিবির আজ আর শুধুই কনস্পিরেসি নয় প্রমাণিত সত্য। পাকিস্তানের মিলিটারি পাওয়ার কতটা শক্তিশালী তাও দেখতে ভুলে যাচ্ছি। তাতে অ্যাস সাচ বলার কিছু নেই, পাকিস্তানের ম্যাও পাকিস্তান সামলাক ঠিক ততক্ষণই যতক্ষণ না একটি মুম্বাই ঘটনা ঘটছে।

    আর একটা কথা আরএসএস আর আমার মধ্যে পার্থক্য হল আরএসএস অখণ্ড হিন্দু রাষ্ট্রর কথা বলে, আমি অখণ্ড সেকুলার ভারতের কথা বলছি। আরএসএস মনে করে ভারতের জাতির সংজ্ঞা মনোলিথিক, সেখানে শুধুই হিন্দুরা থাকতে পারে, আমি বলি কাশ্মীর শুধু কাশ্মীরিদের এই সংজ্ঞাও মনোলিথিক, মাল্টিকালচারাল কো-এক্সিটেন্সকে স্বীকার করাই সামনের দিকে তাকানো। নইলে ইতিহাসের পাতা উল্টে এভিডেন্স দেখাতে বসলে আরএসএস হাজার বছর পিছবে, আর লিবারাল ভারত পঞ্চাশ বছর। দুইই ব্যাকওয়ার্ড থিংকিং - আরএসএস জেনে বুঝে, অন্যটা আইডিওলজিকাল স্ট্যাণ্ড খোঁজার নিরন্তর প্রয়াস থেকে।
  • pi | 72.83.95.25 | ১৪ অক্টোবর ২০১০ ১৯:৪৪459885
  • আকাদা কি পুরো ডকু টা দেখে কমেন্টটা কল্লে ? :o
    এটা দেখেও ? :o


    ইউটিউবে পাঁচ ভাগে আছে, আমি তো খালি প্রথম পার্টের লিং দিয়েছিলুম।

  • aka | 168.26.215.13 | ১৪ অক্টোবর ২০১০ ১৯:৪৭459886
  • না পুরোটা দেখি নি। ঐ ১/৫ টা লুকিয়ে ছিল, খ্যাল হয় নি।
  • aka | 168.26.215.13 | ১৪ অক্টোবর ২০১০ ২০:২৭459887
  • জ্জিও, হেব্বি ভিডিও। এতো প্রায় সেমসাইড করে ফেলছিলাম। :)))

    ঐ লাস্ট সলিউশনটা ব্যপক মনে ধরেছে। পিক (পাকিস্তান, ইন্ডিয়া আর কাশ্মীর) ইকনমিক রিজিয়ন।
  • ranjan roy | 122.168.152.171 | ১৫ অক্টোবর ২০১০ ২৩:১৭459888
  • আকা,
    বিয়ে করে আলাদা হওয়ার মডেলটা খুব নিরীহ, খুব inappropriate কি?
    এটার পেছনেও কি বড় ইউনিট( পরিবার, বৃহত্তর ভারত ) লুকিয়ে নেই?
    "" খপ"" দের উদাহরণটাই দেখ না?
    সারাজীবন কারো খুন করে নি যে গ্রামীণ জাঠ ভদ্রলোক, বরং নিত্যনৈমিত্তিক ব্যবহারে অনেক উদার, সামাজিক জীব, হয়তো খানিকটা ফিউডাল লিব্যারাল ডেসপট, সেই অনায়াসে নিজের আপনজনকে হত্যা করে, বা হত্যাকরার নির্দেশ দেয় বা কোল্যাটারাল ড্যামেজ বলে মেনে নেয়?
    কেন? এখানে স্বাভাবিক মানবিক আবেগ বাদ দিয়ে তার কাছে প্রবল হয়ে উঠছে নিজের গোষ্ঠীর জন্যে দীর্ঘকালীন ক্ষতির আশংকা, আত্মরক্ষার লুকানো প্রবৃত্তি।
    আজ যদি একটি বেনিয়মের বিয়েকে ( গোষ্ঠীর বাইরে বা একই গোত্রের মধ্যে) আশকারা দেয়া হয় তাহলে কাল- পরশু নানা অসবর্ণ বিয়ে ঘটবে । কালক্রমে গোষ্ঠীর আইডেনটিটি বিপন্ন হবে , গোষ্ঠীর অস্তিত্ব বিপন্ন হবে।
    ঠিক যেভাবে তুমি আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারকে তোল্লাই দেয়াকে ভারত রাষ্ট্রের আইডেনটিটি বা অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার দীর্ঘকালীন ক্ষতির আশংকাকে বড় করে দেখচ।
    এইখানে অমর্ত্য সেন প্রাসংগিক।
    কাশ্মীরিরা ভারতবাসী আইডেন্টিটির চেয়ে কাশ্মীরি আইডেন্টিটিকে বড় করে দেখছে। তুমি ভারতীয় আইডেনটিটিকে।
    এখন একটি কথা। ভারতরাষ্ট্রের ভৌগলিক আইডেনটিটি যুগে যুগে বদলেছে। কারা বদলেছে?
    একই ভাবে ভবিষ্যতেও বদলাবেনা কেন? তুমি-আমি কি করে ভারতের একটি চিরকালীন ভৌগলিক আইডেন্টিটিকে ঠিক করে তাকে absolute & ultimate ঘোষণা করতে পারি? গন্ডগোলটা এখানেই।
    তারচেয়ে ভাব কেন কবি বকিয়াছেন----
    "" দিল্লি শহরে যাক, যাক না আগ্রা,
    মাথায় পাগড়ি দেব, পায়েতে নাগরা।''
  • aka | 24.42.203.194 | ১৬ অক্টোবর ২০১০ ০৮:৩৯459889
  • রঞ্জনদা অমর্ত্য সেন কিন্তু তা বলেন নি। ওনার সলিউশনটার মধ্যে একটা হল ফেথ বেসড অ্যাকাডেমিক ইনস্টিটিউশন যেমন মাদ্রাসা তুলে দেওয়া হোক। তা দীপেশ বাবু বলেছেন এটা আইডিওলজিকাল স্টান্স, বাস্তব বা ইতিহাসের সাথে কোন যোগাযোগ নেই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তুলে দিলে লোকে অন্য কোনভাবে জমায়েত হবে যেমন বিভিন্ন দেশে ভারতীয়রা মন্দির বানায়, সেখানে ধর্মীয় আচার আচরণ পালন করে। সেটাও কি বন্ধ করে দিতে হবে?

    কাশ্মীর নিয়েও অমর্ত্য সেন এরকম কিছু বলেন নি যে কাশ্মীরিদের বুঝতে হবে তারা ভারতীয়।

    আজাদ কাশ্মীর নিয়ে আমার সমস্যা হচ্ছে যে জাতিসঙ্কÄ¡র আত্মনিয়ন্ত্রনের কথা ভাবতে গিয়ে আরও প্র্যাকটিকাল সমস্যাগুলোকে আমরা ভাবছি না, ফলে যে সমাধানে পৌঁছচ্ছি সেটা আইডিওলজিকাল স্ট্যান্ড পয়েন্ট থেকে নেওয়া, যার বাস্তব মূল্য নেই। পাইয়ের দেওয়া ভিডিওটা দেখতে অনুরোধ করব।
  • ranjan roy | 122.168.253.125 | ১৬ অক্টোবর ২০১০ ২২:২৪459890
  • উহুঁ, আমি অমর্ত্যবাবুর সলুশনের কথা বলিনি, বলেছি ওনার আইডেনটিটি বেসড্‌ সমস্যার ড্যায়াগোনোসিস এর কথা। বলছি এই কনসেপ্ট প্রবলেমকে বুঝতে সাহায্য করবে। প্র্যাকটিক্যাল সমাধান কি সেটা অমর্ত্যবাবু ও জানেন না, হরিদাসবাবুও জানেন না।সেই সমাধান কাশ্মীরিদের নিজেদের খুঁজে নিতে হবে।
    আমরা তাতে বড়জোর ক্যাটালিস্টের কাজ করতে পারি। এই জন্যে আমাদের স্ট্যান্ড ইডিওলজিক্যালই হওয়া উচিৎ, আমার মতে।
    কাজেই আমার বেসিক প্রশ্ন হল সেই অধিকার কাশ্মীরিদের আছে কি না? ওদের খোঁজা সমাধান আমাদের পছন্দ না হলে আমরা কি করব?
    ১) আমার মেয়ের জীবনসাথী চয়নের অধিকর আছে কি না?
    ২) যদি ওর পছন্দকরা ছেলে আমার মনমত না হয়-- কি করবো?
    ৩) যদি ও করাপ্ট পলিটিশিয়ানকে পছন্দ করে-- কি করবো?
    ৪) যদি ও বেকার ছেলেকে পছন্দ করে--- কি করবো?
    ৫) যদি দায়ুদ ইব্রাহিমের শ্যুটারকে বিয়ে করতে চায় -- কি করবো?
  • aka | 24.42.203.194 | ১৭ অক্টোবর ২০১০ ০৭:১৩459891
  • না একেবারেই একমত নই।

    আপনার উদাহরণ ঠিক খাটে না। মানুষ ততক্ষণই নিজের যা খুশী তাই করতে পারে যতক্ষণ না তা অন্যদের কোন অসুবিধা না করে। যেমন ছেলে ড্রাগ ডিলার হলে তা শুধু তার নিজের স্বাধীনতার প্রশ্ন নয়। তেমনই কাশ্মীরিদের আজাদী শুধু তাদের নিজেদের স্বাধীনতা নয়। এখানে নীতির প্রশ্ন নেই, থাকা উচিতও নয়। নইলে তো যুধিষ্ঠীরের পাশা খেলা সমর্থন করতে হয়, নীতি, ধর্ম তো তাই বলেছিল।

    অমর্ত্য সেন আইডেন্টিটি নিয়ে এমন ভাবে লিখেছেন আপাত ভাবে মনে হচ্ছে আইডেন্টিটি মানুষের নিজস্ব আভ্যন্তরীন ব্যপার। আসলে তা সম্পূর্ণ ঠিক নয়। যেমন কাশ্মীরিদের বর্তমান আইডেন্টিটি অনেকটাই ভারত সরকারের ঔদাসীন্যের জন্য। ঠিক, কিন্তু কিছুটা গল্প বাকি থেকে যায়। অমর্ত্য সেন আরও বলেছেন যে কিছু লোক সাধারণ মানুষের 'গালেবিলিটির' সুযোগ নিয়ে তাদের একটি আইডেন্টিটিকেই বেশি গুরুত্ব দিতে শেখায়। যদি ধরে নিই, কাশ্মীরিদের আজাদীর দাবীতে লস্কর-ই-তৈবা, পাকিস্তানের বিভিন্ন মৌলবাদী গ্রুপের কোন হাত নেই, তাহলে কনটেম্পোরারি ইতিহাসকে অস্বীকার করছি।

    পাইয়ের দেওয়া ভিডিও সিরিজটা কি দেখলেন? ভালো কিন্তু।
  • ranjan roy | 122.168.207.6 | ১৮ অক্টোবর ২০১০ ০৬:০৬459893
  • আকা,
    তোমাকে ও পাইকে ধন্যবাদ! এই অসাধারণ সাহসী ও তথ্যবহুল ভিডিও সিরিজটির জন্যে। এর প্রচার জরুরী।
    তবে আমার কথা হল নিজের perception of insecurity অত্যন্ত সাবজেক্টিভ নয় কি?
    সমস্ত আক্রমণ ও হত্যার জন্যে নিজস্ব বিপন্নতার দোহাই দেয়া হয়।
    আমেরিকা সাদ্দামের ইরাক আক্রমণের জন্যে সারা বিশ্বের অসুরক্ষার দোহাই দিয়েছিল। ওই ভিডিওতে জেহাদীরা বিশ্ব জুড়ে ইসলামের বিপন্নতার দোহাই দিচ্ছে, ইসলামবিরোধী বিশাল ষড়যন্ত্রের কথা বলছে। আবার ভারতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ/ বজরং দল "" হিন্দু আক্রান্ত'' বলে চেঁচাচ্ছে।
    তাহলে যাঁরা ভবিষ্যতের " সম্ভাবিত'' বিপদের আশংকায় পাড়ায় মুসলিমদের বাড়ি ভাড়া দেন না তাদেরও র‌্যশনাল বলতে হবে!
    একই ভাবে আমার মেয়ের চয়নিত স্বামীটি যদি আজ স্মাগলার হয়, অ্যান্টি সোশ্যাল হয় তাহলে একটা লিমিট অব্দি আমার বোঝানোর চেষ্টা চলবে। তার পর লক্ষ্মণরেখা টেনে বলতে হবে--- সরি! এরপর আর আমরা একছাদের নীচে থাকতে পারি না, বা একথালায় ভাত খেতে পারি না।
    বাকিটা পুলিশ/অ্যাডমিনিস্ট্রেশন করবে--- আমি নয়। সেই বিয়েতে আমি অংশগ্রহণ করবো না।
    কিন্তু জীবনসাথী বেছে নেয়ার অধিকার আমার মেয়েরই থাকবে, আমার নয়।আমি তাকে ধরে বেঁধে কোন ভদ্র সামাজিক দায়িত্বসম্পন্ন পুরুষের সঙ্গে বিয়ে দেয়ার কাজ করবো না।
    আমার সাদামাটা সিভিল রাইটের মডেলটি এইজন্যেই প্রাসংগিক। কারণ কোন ব্যক্তির ক্রিমিনাল কাজের জন্যে পেনাল কোড অনুযায়ী শাস্তি দেয়ার জন্যে তার বেসিক সিভিল রাইট কেড়ে নেয়া আবশ্যিক নয়। এই জন্যেই ইস্ট টিমরের আলাদা হওয়ার লড়াই বৈধতা পেয়ে যায় ও রাষ্ট্রসংঘ তাকে মান্যতা দেয়। সে যতই ইকনমিক্যালি ভালনারেবল্‌ হোক বা ছোট্ট হোক বা তার পেরেন্ট রাষ্ট্রের পক্ষে ক্ষতিকর হোক।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন