এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আজাদ কাশ্মীর : আপনার কী মত

    pi
    অন্যান্য | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১০ | ১৭১৪১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • pi | 128.231.22.133 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২১:৫৩459994
  • আর এই প্রশ্নটা কে করেছে, সেটা বুঝিনি কিন্তু।

    ..the special circumstances influencing the viewpoint of 4 million Kashmiri Muslims can scarcely be used to question the strong record of national loyalty and solidarity of more than 140 million Muslims in general ' .
  • nyara | 122.172.38.235 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২১:৫৪459995
  • বোঝো, বিপ্লব এলে কী ক্ষতি সেটাও বিপ্লব এলেই বোঝা যাবে। বা সিপিয়েম গেলে কি লাভ সেটা সিপিয়েম গেলেই বোঝা যাবে। এ ধরণের আপ্তবাক্যে পলিটিকাল অ্যানালিসিসের স্থান কোথায়?
  • pi | 128.231.22.133 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২২:৪৩459997
  • 'সঙ্গে আছি। মধ্যে নয়।'

    ড: শেখ শওকত হুসেন
    ----------------------------

    কাশ্মীর কোনদিনই নিজেকে ভারতের অংশ ব'লে মনে করেনি। সেই ১৯৪৭ সাল থেকে শুরু করে আজ অব্দি না । সরকারী ভাবে যে তার জন্য কোন চেষ্টা হয়নি তা বললে ভুল হবে। তবে সমস্ত সরকারী আলাপ আলোচনায় স্থানীয় লোকেদের মতামতকে পুরোপুরি ধামাচাপা দিয়ে দেওয়া হয়েছিলো। একে 'দমননীতি' ছাড়া কি আর বলব? 'মিডিয়া'র কথাই ধরুন না। খবরের কাগজই বলুন আর ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াই বলুন, সবেতেই এই নিয়ে তুমূল লেখালেখি হলো, কিন্তু বেশির ভাগই হয় আসল খবর জানতেই পারলোনা, নয়তো ঘুষ খেয়ে স্রেফ সরকারের ধামাধরা লেখা ছেপে বার করলো।
    তবে কাশ্মীরিদের মনের ইচ্ছা সরকারী কাগুজে কচকচির বেড়া ছাপিয়ে গেছে এখন। এখানকার মুসলিমদের সংস্কৃতি দেখবেন মধ্য এশিয়ায় চালু ধরণধারণ মেনে চলে, দক্ষিণ এশিয়ার নয়। পাল-পার্বণ সবই হয়, কিন্তু সে ভারতের মুসলিম পরবের তারিখ মেনে নয়।

    অবশ্য শুধু মুসলিমদের কথা বললেই হবে কেন? সব ক্ষেত্রেই এই তফাৎটা চোখে পড়বে। মূল ভারতের সাথে এখানকার ধর্মীয় বা রাজনৈতিক আন্দোলনগুলোর মধ্যে আদর্শগত মিল অনেক, তবু যেন কোথায় তফাৎ থেকেই গেছে। 'মুসলীম লীগ' আর 'মুসলিম কনফারেন্স' একই নীতি মেনে চলে, কিন্তু দুটো দল ঠিক 'এক' আর হয়ে উঠতে পারেনি। আবার 'কংগ্রেস' আর 'ন্যাশনাল কনফারেন্স' এরাও দেশভাগের আগে একই আদর্শ নিয়ে শুরু হয়েছিলো, কিন্তু এখন দেখুন দুটো দল পুরোপুরি একে অন্যের থেকে আলাদা। এমনকি ক্যাডারদের দল 'জামাত-এ-ইসলামি'র কথাও যদি ধরেন, দেখবেন ভারতবর্ষে এর মতো যেসব পার্টি আছে তাদের সবার পরিকাঠামো, রীতিনীতি সব এক হওয়া সত্বেও এ দল আর সে দল কোনদিন একসাথে মিললো না।

    ১৯৬৪ সাল থেকেই অনেক ভারতীয় রাজনৈতিক দল জোরজবরদস্তি ক'রে কাশ্মীরকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আসলে দেখা যাচ্ছে সে চেষ্টা 'ব্যুমেরাং'ই হয়ে উঠেছে। কাশ্মীরের রাজনৈতিক অবস্থা বরং এতে আরৈ টালমাটাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই রকম এক সংকটের সময়ে শেখ আবদুল্লা 'মাহাজ - এ- রাইশুমারী' দল গড়েছিলেন,'ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস'এ যারা নাম লিখিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলন করেছিলেন। ভারতের এই কাশ্মীরকে কব্জা করার চেষ্টার বিরুদ্ধে উনি প্রতিবাদ করেছিলেন।
    দিল্লীর গদিতে বসে যাঁরা পলিসি বানান তাঁদের হয়তো মনে হয়েছিলো এই ১৯৬৪ সালটা জাতীয় ঐক্যের খাতায় দারুণ কিছু একটা নজির তৈরী করবে, কিন্তু সত্যি বলতে কি ঐ সময় থেকেই কাশ্মীরি সাধারণ মানুষ ভারতকে একেবারে 'পর' বলে ভাবতে শুরু করলো। এই সব সংগ্রামের ফলে তাদের মনে বিদ্বেষ আর প্রতিবাদ জমা হতে হতে এমন হয়েছিলো যে ভারতকে আর কোনদিনই 'আপন' মনে করে নেবে সে সম্ভাবনা খুব কমই ছিলো। তা সঙ্কেÄও দেখি কাশ্মীরের মানুষ এখন আরেকবার চেষ্টা করছে। সামাজিক আর সাম্প্রদায়িক দাবি নিয়ে ভারতের যেসব রাজ্যগুলো প্রতিবাদী গলা তুলছে তাদের সাথে কাশ্মীর জোট বাঁধতে চাইছে।
    এই ব্যপার নিয়ে হালফিলে দেওবান্দের কয়েকজন মৌলবী যে সমাবেশ করেছিলেন তাই নিয়ে দু-চার কথা না বললেই নয়। এঁরা যে পুরো দেওবান্দের প্রতিনিধি তা অবশ্য নয়, তবে দেওবান্দি মতধারার যে শাখাটা ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ওপর বিশ্বাস রাখে সেটা এঁরা মেনে চলেন। সমাবেশের মদনি আয়োজকদের যিনি ঠাকুরদাদা স্বরূপ সেই হুসেন আহমদ মদনি ওঁর 'মুত্তাহিদা কওমিয়্‌ৎ অওর ইসলাম' বইয়ে লিখেছিলেন যে 'এ তো সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণ হয়ে গেছে যে কংগেস যে জাতীয়তাবাদের কথা বলছে তা আমাদের মদিনার নবীজি'র (সাল্লালাহু আলেহি
    আস্‌সালাম) বলা রাস্তার থেকে কোন ভাবেই আলাদা নয়।' কথাটা একবার নয়,বইটার তিন তিন জায়গায় লেখা আছে। এই লাইনটা কবি আল্লামা ইকবাল (আর.এ) এর অত্যন্ত অপছন্দ হয়েছিলো। ওঁর 'রামগান-এ-হিজাজ' কাব্যসংকলণে 'হুসেন আহমদ' কবিতাটা পড়লেই বোঝা যায়। অবশ্য শুধু ইকবাল কেন, আরো অনেক উলেমারা, যেমন মৌলানা আনওয়ার শাহ কাশ্মীরি, মৌলানা আশরফ আলি তনভী, মৌলানা সাবির আহমদ উসমানি, কারি মোহাম্মদ তইয়ব কেউই হুসেন আহমদের ঐ দৃষ্টিভঙ্গীর সাথে একমত হতে পারেননি। এই যে 'মদনি' গোষ্ঠী এখন এই সমাবেশের আয়োজন করলো, এটা শুধু ঐ 'ঠাকুরদাদা'র মতানুযায়ী ভারতীয় জাতীয়তাবাদ কেমনটি তার ওপর জোর দেবার জন্যেই।

    দেওবান্দ সমাবেশের শেষে মদনিরা এই মতটা প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন যে কাশ্মীরের মুসলমানরা আসলে সারা ভারতের মুসলিম গোষ্ঠীরই অন্তর্ভুক্ত। কাজেই এদের পরিনতি তাদের থেকে আলাদা কিছু হবেনা। এ'কথাটা বিশ্বাসযোগ্য করে বলার জন্য কত লোকে কত চোখের জল ফেললেন (কুমীরের কান্নাও যে এর মধ্যে ছিলোনা তাই বা বলি কি করে!)! সেসব দেখে সাধারণ মানুষ গলে যায়। তবে শুধু দেওবান্দের মৌলবীদের কথা বললে ভুল হবে, আরো অনেকেই এর'ম কথা বলেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ সত্যি সত্যি ভারতের সব দাবিয়ে রাখা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, কেউ কেউ আবার প্রতিনিধি হবার ভান করেন। এঁরা আমাদের বলেন যে 'তোমরা একা নও, ভারতেও ঠিক এমনি আরো অনেক নিপীড়িত গোষ্ঠী রয়েছে। সবাই মিলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এখন এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়তে হবে'। ঠিক আছে, মেনে নিলাম কথাটা ভুল নয়। তবু এটা মনে রাখতে হবে যে কখনৈ আমরা ভারতের আপনজন নই। আমরা সবাই অত্যাচারিত গোষ্ঠী ঠিকই কিন্তু তাদের আর আমাদের মধ্যে পার্থক্য আছে। আমরা 'আমরাই', ওঁরা 'ওঁরা'।
    ভারতের মধ্যে কোন সম্প্রদায়ের ওপর এই ধরণের অত্যাচার করার আইন নেই। কিন্তু আমাদের ওপর অত্যাচার কি আইনী ভাবেই হয়নি? 'আর্মড ফোর্স স্পেশ্যাল পাওয়ার অ্যাক্ট (অঊজঙা)', 'ডিস্টার্বড এরিয়া অ্যাক্ট', 'পাব্লিক সেফটি অ্যাক্ট (ঙজা)', 'এনিমি এজেন্ট অ্যাক্ট' এগুলো তাহলে কি? ভারতে যেগুলো চলে সেগুলোকে কেউ স্বাভাবিক উচিৎ কাজ বলে মনে করেনা, কিন্তু কাশ্মীরিদের ওপরে সেই একই জিনিষ তো রীতিমতো সরকারি ভাবেই করা হচ্ছে। ভারতের বুদ্ধিমান ভাইবোনেরা বরাবর মনে করেন যে ফৌজী শক্তি বাইরের শত্রুর সাথে লড়ার জন্য, জনগণের গায়ে তাদের হাত দেবার কোন অনুমতি নেই। কিন্তু সেই ফৌজকেই কাশ্মীরের আমজনতার ওপরে লেলিয়ে দিলে তখন তো ওঁদের কিছু আপত্তি হয়না !
    আমরা সারা বিশ্বের কাছে নিজেদের আইনী পরিচয়ের অধিকারের জন্য লড়ছি। আর ওঁরা ভারত সরকারের কাছে নিজেদের দাবিদাওয়া নিয়ে লড়ছেন। আমাদের লড়াইটা একটা দেশের জাতীয়তার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং আন্তর্জাতিক দুনিয়ার দরবারের সামনে। ওঁদেরটা ভারত দেশের ভেতরকারই একটা সমস্যা, ভারতের রাজনীতি আর সংবিধানের মন্থন থেকে উঠে আসা সমস্যা। আমাদের এই লড়াই এর সময়ে পাশে কারুকে পাওয়ার দরকার আমাদের নিশ্চয়ই আছে। কিন্তু সমর্থনের নামে যদি সেটা কাশ্মীরকে ভারতে ঢোকানোর একটা বেসরকারী প্রচেষ্টাই হয়ে দাঁড়ায় তাহলে কি লাভ? এ'কথা আমরা কি করে ভুলি বলুন যে এই জিনিষটাই ঠেকিয়ে রাখার জন্য আমাদের বাপ-দাদারা কত লড়াই করেছেন? যাঁদের বিরুদ্ধে এই লড়াই তাঁদের কেউকেউ তো আমাদের অনুকম্পা করতেও ছড়েননি। 'নাগা'দের দাবিদাওয়া নিয়ে কিছু ভন্ড বিছিন্নতাবাদী নেতার সাথে আলোচনার পরে অটল বিহারী বাজপেয়ী আমাদের ব্যঙ্গ করে বলেছিলেন "আপনারাও কি 'নাগা'দের স্তরে নেমে গেলেন নাকি?" ... কি ক'রে ভুলি? বলুন?

    আরেকটা জিনিষও খতিয়ে দেখার দরকার আছে। এই যে ওঁরা আমাদের সমর্থন করবেন বলে এখন জোট বাঁধার কথা বলছেন, বুঝতে হবে এই সমর্থনের ফলটা ঠিক কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে। ওঁরা কি আমাদের সাথেই এই লড়াইয়ে কাঁধ মেলাবেন? নাকি ভারতের মধ্যে জনমত তৈরী করবেন যাতে কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে কিছু কাজের কাজ হয়?
    দেখুন, আমরা যে কি নিয়ে লড়ছি তা আমাদের কাছে খুব পরিষ্কার। এই নিয়ে আমরা কারুর কাছ থেকে কোনো উপদেশ শুনতে রাজী নই। উপদেশ যদি দিতেই হয় তাহলে ভারতের সব জাতি-ধর্ম-ভাষার লোকেদের দেওয়া উচিৎ যাতে তাঁরা এই প্রতিবাদী কাশ্মীরের দাবিগুলো সত্যি করে বুঝতে পারেন, তা মেটানোর জন্য কোন উপায় ভাবতে পারেন। আমাদের যাঁরা 'সমর্থন' করতে চাইছেন তাঁদের এই দিকটা বুঝতে হবে বইকি?আমেরিকার সাধারণ মানুষের দাবিতেই কিন্তু ভিয়েতনাম থেকে মার্কিন সেনা সরে যেতে বাধ্য হয়েছিলো। আবার পরেও আমেরিকান প্রচার মাধ্যম আর জনগণের প্রবল চাহিদাতেই ইরাক থেকেও মার্কিন সরকার ফৌজ সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন। কাশ্মীরের ক্ষেত্রেও আজ সেটাই দরকার। এটাই আসল 'সমর্থন'। হ্যাঁ, আবারও বলছি যে ভারতের অত্যাচারিত সব সম্প্রদায়ের সাথে আমাদের লড়াইয়ের কিছু মিল আছে, তাঁদের সবার প্রতি আমাদের সহমর্মীতাও কম নেই। কিন্তু আমাদের যে আসল সমস্যা তা হলো নিজেদের অধিকার থেকে বঞ্চনা। কাজেই সত্যি সত্যি যদি কেউ পাশে দাঁড়াতে চান তো এই সমস্যার বিরুদ্ধে যে বিপ্লব তাতেই আমাদের পাশে দাঁড়াতে হবে, আর অন্য কোনকিছুতে নয়।

    anubaad:KrishnakaliRoy
  • PT | 203.110.243.23 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৩:৩১459998
  • ১। "বাংলাদেশ ইসলামিক জঙ্গীদের খপ্পরে চলে গেছে"-সন্দেহ আছে?
    ১৯৭১-১৯৭৪: মুজিবের সরকার
    ১৯৭৫-১৯৮১: জিয়াউর রহমানের সরকার
    ১৯৮২-১৯৯০: এরশাদের সরকার
    ১৯৯১-১৯৯৫: খালেদার সরকার
    ১৯৯৬-২০০১: হাসিনার সরকার
    ২০০১-২০০৬: খালেদার সরকার
    ২০০৭-২০০৮: caretaker সরকার
    ২০০৯- : হাসিনার সরকার
    শাসকের রং দেখলেই তো বোঝা যায় যে বেশীর ভাগ সময়েই ইসলামিক জঙ্গীদের বন্ধু-বান্ধবরাই রাজত্ব চালিয়েছে। নাহলে জিয়াউর রহমানের আমলে ধর্মলিরপেক্ষতা বাদ দিয়ে state policy, was changed to "absolute trust and faith in the Almighty Allah"- কেন? আর landslide victory-র পরেও হাসিনার সরকার সংবিধানের ১৫শ সংশোধনি প্রস্তাবে সেই বাংলাদেশের "ground reality"-র কথা মনে রেখে সম্পুর্ণভাবে ধর্মনিরপেক্ষতায় ফিরতে পারছে না: Take, for instance, 'Bismillahir Rahmanir Rahim' above the Preamble. It is a sensitive issue. If we change it, there's bound to be a major hue and cry. We did not want to give communal forces a handle. So we retained 'Bismillahir Rahmanir Rahim' but added another line, 'Param korunamoy naame shuru korilam' (In the name of the all-compassionate we start). In doing so, instead of hatred, we have sought unity. As far as Islam being the state religion is concerned, we have added that Hinduism, Buddhism, Christianity and any other religion will have the same patronage from the state as the majority religion. http://articles.timesofindia.indiatimes.com/2011-08-19/edit-page/29901102_1_constitution-state-religion-bangladesh-s-parliament/2

    ২। সংঘাত টা হাসিনার সঙ্গে ভারতের নয়, হাসিনা-ভারত অক্ষের সঙ্গে খালেদা-পাকিস্তান অক্ষের।

    ৩। ""কাশ্মীর হলে কি ক্ষতি সেটা কাশ্মীর হলে বোঝা যাবে"" কথাটা এই উপমহাদেশে ঘটে যাওয়া ইতিহাসের প্রেক্ষিতে বলা। ভারত ভেঙ্গে পাকিস্থান হলে কি হবে তার বিভৎসতা জিন্না বা নেহেরু ভবিষ্যাতবাণী করেছিলেন কিনা আমি জানিনা। সেইরকমই পুর্ব পাকিস্তানের বাঙালীরা তাদের সমধর্মীয় দেশবাসীর হাতে নিহত ও ধর্ষিত হবে ১৯৪৭-এ কেউ সেকথা ভেবেছিল কিনা আমার জানা নেই। সেই জন্য ""স্বাধীন"" কাশ্মীরে আমেরিকা তাদের মিলিটারি বেস স্থাপন করবে কিনা বা পাকিস্তান সেদেশে ইসলামিক জঙ্গীদের সাহায্যে ক্ষমতা দখল করে পরোক্ষে দেশ চালাবে কিনা সেটা কাশ্মীর ""স্বাধীন"" হলে তবেই জানা যাবে।
  • ranjan roy | 122.173.178.213 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৯:০৪459999
  • বিভিন্ন স্বার্থসম্পন্ন লবি এবং তাদের দ্বারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে অন্য দেশে নিজের নিজের স্বার্থদেখনেওলা "বন্ধু' সরকার গঠনের চেষ্টা আজকের রিয়েলিটি শো'।
    ইরাক-কুয়েত-আফগানিস্তানে আমেরিকা, বাংলাদেশ- সিংহল-ভূটানে ভারত, নেপালে চীন-ভারত, আজকের মিশর-লিবিয়া ও অন্যদেশে আমেরিকার প্রভব বিস্তারের ছক কষা।
    কোথায় নেই? এই পাড়াতেই মনমোহনের বর্তমান সরকারের পলিসি আমেরিকা বা বিশ্বব্যাংক ঠিক করে বলে অনেকে বলেছেন।
    তাবলে ভারত রাষ্ট্রের গণতন্ত্রের ভিত্তি অনেক ঘুরপাক খেয়েও ক্রমশ: মজবুত হচ্ছে-- একথা কেউ অস্বীকার করেন না।
    সেই ভাবেই স্বতন্ত্র কাশ্মীর বৃহৎ শক্তিগুলোর দাবাখেলার বোর্ডে পরিণত হবে না তার কোন গ্যারান্টি নেই।
    কিন্তু সেই সম্ভাবনার কথা ভেবে আমরা
    কাশ্মীরিদের ব্যাপক জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের ইচ্ছাকে দাবিয়ে রাখবো?
    আমার মেয়ে স্বাধীনতা পেলে আমার অপছন্দের পাত্রকে( জাতি-ধর্ম-চরিত্র যেকোন কারণেই হোক) বিয়ে করে আমার পরিবারে অশান্তি সৃষ্টি করতে পারে-- এই জন্যে ওকে ওর স্বাধীন ইচ্ছাকে সম্মান করব না?
  • aka | 75.76.118.96 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৯:১৩460000
  • আবার ঘুরে ফিরে সেই একই জায়গায়।

    রঞ্জনদাকেও প্রশ্নটা করি

    নীতিগত ভাবে আপনি কি মনে করেন যার চিন্তা সেই করবে।
  • kallol | 115.242.235.63 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৯:২৮460001
  • আকা। আপনার প্রশ্নটাই গোলমেলে।
    উ: - না, যার ব্যাপার শুধু সেই চিন্তা করবে না। অন্যদের মতামতেরও দাম আছে।
    কিন্তু - রাস্তায় হাঁটলে গাড়ি চাপা পড়ার সম্ভাবনা আছে বলে রাস্তায় হাঁটা ঠিক নয় বললে, বলতেই হয় যে রাস্তায় হাঁটবে তাকে হাঁটতে দিন। দুর্ঘটনার চিন্তা সেই করবে। ভারত স্বাধীন হয়েছে আজ ৬৩ বছর হলো। কেউ কি দাবী করছে ভারতে সকলের মাথায় ছাদ আছে? সকলের পেটে খাবার আছে? ভারত অপরাধ মুক্ত হয়ে গেছে, কোথাও কোন দুর্নীতি নেই। তবে আর স্বাধীন হয়ে কি লাভ হলো? এই প্রশ্ন যদি ওঠে, তার উত্তরে বলতেই হয় সেটা ভারতের মানুষই বুঝবে। কিন্তু স্বাধীনতা প্রত্যেকের জন্মগত অধিকার।
  • aka | 75.76.118.96 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৯:৪৫460002
  • কল্লোল দা আপনাদের এই রাজনীতির স্টান্সটাই বুঝতে পারছি না।

    একদিকে আপনারা বলছেন প:ব:য়ের সাধারণ জনগণ কিসু বোঝে টোঝে না,আপনারা তাদের হয়ে বলে দিচ্ছেন কিসে তাদের ভালো টালো হবে।

    অন্যদিকে বলছেন কাশ্মীরের লোকজনের দাবী তাদের বুঝতে দিন। সাথে জয়া মিত্রর লেখা পড়তে দিলেন, পুকুর কাটার উদাহরণ দিলেন। ইত্যাদি ইত্যাদি।

    এই দুটো স্টান্স তো পরস্পর বিরোধী বলে মনে হচ্ছে। নাকি বুঝতে ভুল করছি।
  • kallol | 115.242.235.63 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২০:০১460004
  • মাও প্রসঙ্গে অন্য একটা গল্প মনে পড়ে গেলো। এটাও দীপকদার (বিশ্বাস) কাছে শোনা।

    দীপকদা।
    তখন আমি, কানুদা, কদম আর খোদন মাল্লিক, জঙ্গলদা ও ভদুদা (সৌরেন বসু) চীনে গেছি গেরিলা ট্রেনিং ও চীনা পার্টির সাথে আলোচানায়। রাইফেল শুটিংএর ট্রেনিং চলছে। আমাদের তো অতো হাল্কা বন্দুকে অভ্যেস নেই। কিছুতেই টার্গেটের আসে পাশ দিয়েও যাচ্ছে না বুলেট। পাশেই ভিয়েৎনামের ছেলে মেয়েরা কেমন পটাপট চালাচ্ছে। আমাদের তো লজ্জায় যা তা অবস্থা। ট্রেনার তখন আমায় খুব দামী একটা টিপ দিয়েছিলো। চোখ টার্গেটে রাখো। ট্রিগারে আঙ্গুল। মন টার্গেটে রাখো। যন্ত্রচালিতের মতো ট্রিগার দাবাও। মন ট্রিগারে চলে গেলেই মিস হবে।
    সে যাগ্গে। মিটিং হলো চৌ-এন-লাইয়ের আর কাং শেনের সাথে। ওঁরা ওঁদের মত জানালেন। প্রচুর সমালোচনা ছিলো। আমরা বোঝাতে গেলাম কিন্তু কাজ হলো না।
    পরদিন মাওয়ের সাথে দেখা হবার কথা। সকালে আমাদের একটা বাসে করে নিয়ে যাওয়া হলো। শহরের শেষ প্রান্তে একটা ছোট বাড়িতে থাকেন উনি। সামনে একটা ছোট বাগান। আমরা যখন পৌঁছলাম, তখন উনি বাগানে খুরপি দিয়ে মাটি খোঁচাচ্ছিলেন। আমরা যেতেই বাগানে বসার ব্যবস্থা হলো। উনি হাত ধুয়ে এসে বসলেন। চা খেতে খেতে কথা হচ্ছিলো। আমাদের কর্মসূচী কৃষিবিপ্লব জেনে উনি জিজ্ঞাসা করলেন,
    ভারতে চাষযোগ্য জমির পরিমান কত।
    উত্তর নাই।
    ভাগচাষী ও ক্ষেত মজুরের সংখ্যা কতো।
    উত্তর নাই।
    গণফৌজে শামিল হয়েছে কতজন ভাগচাষী ও ক্ষেতমজুর।
    উত্তর নাই।
    এরপর উনি বলেন যে আমাদের উনি কিছু উপহার দিতে চান। এটি প্রাচীন চীনা রীতি। অতিথিকে উপহার দিতে হয়।
    উনি একটি বই সবাইকে এক খন্ড করে দিলেন। বইটার নাম ""সঠিক চিন্তা কোথা থেকে আসে""।

    আমি আর থাকতে না পেরে বললাম,
    - বুড়ো এরকম একটা মোক্ষম দিলো, আর তোমরা কিছুই বুঝলে না?
    - আরে দূর, বইটা পড়ে তো মনে হলো চারুদাই ঠিক।

    পরে চীনা পার্টির সমালোচনা, কাং শেনের চিঠি বলে খ্যাত হয়। কিন্তু তখন ওই চিঠি সিপিআইএমএল নেতৃত্ব প্রকাশ করে নি। যুক্তি, তাতে নাকি ক্যাডারদের মনোবল ভেঙ্গে যাবে।
    এ অপরাধ ক্ষমাহীন।
    আমরা অনেক পরে এই চিঠি হাতে পাই। অনেক ঘুরে কমলেশ সেনের হাতে আসে। তখন কমলেশদা আমাদের ডেকে দেখান। ওতে গণসংগঠনকে বাতিল করা, খতমের লাইন, এঅকই সাথে সাংষ্কৃতিক ও কৃষি বিপ্লবের কর্মসূচী নেওয়া নিয়ে তীব্র সমালোচনা ছিলো।
  • kallol | 115.242.235.63 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২০:০৩460005
  • এহে! ভুল করে পোস্ট হয়ে গেছে।
  • pi | 69.88.78.195 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২০:০৪460006
  • প: বংগের সাধারণ জনগণ কিচ্ছু বোঝে টোঝে না , তাদের হয়ে বলে দেওয়া হচ্ছে, একথাটা তে বেশ অবাক হলাম।
    প্রসঙ্গটা যদি খসড়া হয়, তাহলে একটাই কথা ক্লিয়ার করার।
    জনগণ বোঝে , আর জনগণের কথা শোনা হোক, তার ব্যবস্থা করা হোক, এটা খসড়ার অন্যতম মূল দাবী। খসড়া পড়লে সেটা অনেক জায়গাতেই পাওয়া যাবে।

    তবে, কোনো তর্কে যাচ্ছিনা।

    ও হ্যাঁ , উপরে আকাদার একটা পোস্ট মিস করেছিলাম। তুমি কল্লোলদার কাছে জয়াদির যে লেখটা চাইছিলে , সেটাই এখানে বুবুভা হয়ে বেরিয়েছিল, সেই কথাটা বলেছিলাম।
  • kallol | 115.242.235.63 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২০:১০460007
  • আকা। একটা পোস্টের একটা লাইন দেখান যেখানে আমি বলেছি প:ব:এর লোক কিছু বোঝে না। আমরা যা বলছি সেটাই ঠিক। আমি মাথা ঝুঁকিয়ে সব মেনে নেবো।
    কিন্তু দয়া করে দেখান কোথায় এ কথা বলেছি।
    আমি চেয়েছিলাম সিপিএম যাক। বদলে যে খুশী আসুক। প:ব:য়ের মানুষ সিপিএমকে সরিয়ে দিয়েছেন। আমার চাওয়ার সাথে প:ব:র মানুষের চাওয়া মিলে গিয়েছে - এই মাত্র। আপনার কি মনে হয়, প:ব:র মানুষ গুরুতে আমার বা আমার মতো অনেকের লেখা পড়ে সিপিএম-এর বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে!!!

    আবারও, আপনার মন্তব্যের প্রমাণ চাইছি।
  • aka | 75.76.118.96 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২০:১৮460008
  • কল্লোলদা না বলেন নি। বর্তমান গণতন্ত্রে সাধারণ লোকের নিজের দাবী দাওয়া জানানোর একটা ব্যবস্থা আছে। আপনারা বলছেন সেই ব্যবস্থা কাজ করছে না, তাই সকলের ভালোর উদ্দেশ্যে খসড়া লিখে সরকারের কাছে জমা দিলেন। মানে আমার বা শালবনীর বা শিলিগুড়ির লোকের হয়ে ভাবনা আপনারা করে দিলেন। কেন? আমার মনে হয়েছিল ইমপ্লিসিট যে শালবনীর লোকজন খুব কিছু বুঝছে না তাদের হয়ে আমরা বলে দিচ্ছি কি করা উচিত। তবে আমার বুঝতে ভুল হতেই পারে।
  • kallol | 115.242.235.63 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২০:২০460010
  • আবারও আকা।
    জয়া মিত্রের লেখাটা পড়েছেন কি?
    সম্ভবত: না। নয়তো পড়ে থাকলে অন্তত: এটা তো বুঝতেন, লোকে জানে ও বোঝে। তাদের উপেক্ষা করে পুকুর কাটতে গেলেও সেটা পন্ডশ্রম হয়। যাদের জলের দরকার তাদের সাথে কথ বলেই সমাধান বার করতে হবে। তাদের বাদ দিয়ে নয়। সেটা কাশ্মীরের ক্ষেত্রেও সত্যি। অন্যদের মতামত নিশ্চই চাই। কিন্তু তারাই ঠিক করে দেবেন না, কি হবে আর কি হবে না।

    আবারও, প্রমান চাইছি। কোথায় বলেছি যে প:ব:এর মানুষ কিছু বোঝে না। আমরা যা বলছি সেটাই ঠিক।

  • aka | 75.76.118.96 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২০:২০460009
  • পাই আমিও কোন তক্কাতক্কি করছি না কিন্তু এই পলিটিকাল স্টান্স আমার মাথার অনেক ওপর দিয়ে যাচ্ছে। সেটাকে বোঝার চেষ্টা করছি মাত্র।
  • ranjan roy | 122.173.178.213 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২১:১৫460011
  • আকা,
    নীতিগত ভাবে আমি কি মনে করি?
    সেটা বোঝাতেই বাপ ও মেয়ের অ্যানালজি দিয়েছি।
    বাবা মেয়ের ওয়েল উইশার। শুধু তাই নয়, মেয়ের বিয়ের ডিসিশনে বাবার বিভিন্ন দিক( আর্থিক, পারিবারিক, সামাজিক, ব্যক্তিগত মূল্যবোধ) প্রতিকূল ভাবে প্রভাবিত হতে পারে। তাই বাবা ভাববে, মেয়েকে বোঝাবে। কিন্তু এসব সঙ্কেÄও মেয়ে যদি এমন পাত্রকে বা এমন ভাবে বিয়ে করা ঠিক করে যা বাবার হিসেবে ভূল, তবু মেয়ের ইচ্ছাকে সম্মান করতে হবে। জোর করে বিয়ে্‌ত ভাঙ্গা বা নিজের মনোমত পাত্রের সঙ্গে ছাঁদনাতলায় বসিয়ে দেয়া
    চলবে না। ডিসিশন যদি ভূল হয়, তার জন্যে মেয়ে ভুগবে। নিজের কাজের ভালোমন্দের দায়িত্ব সব প্রাপ্তবয়স্ককে নিতেই হয়। কাজেই শেষ বিচারে মেয়ের কিসে ভালো হবে সেটা মেয়েকেই ঠিক করতে হবে। অন্যেরা পরামর্শ দিতে পারে মাত্র।
    কারণ জীবনটা ওর নিজের।
    আমরা সবাই নিজের জীবনে অনেক ভুল করে থাকি, বা করেছি। তার জন্যে আমরা খেসারত দেব। কারণ আমরা কেউ ভগবান নই, সর্বজ্ঞ নই। জ্যোতিষী নই। বাবার নির্ণয়েও ভুল হতে পারে এবং হয়ও। নিজের ভুলের খেসারত দিতে কম খারাপ লাগে, অন্যের হলে বেশি।
    তেমনি আজ বাংলাদেশ আমেরিকার বা মৌলবাদীদের বা ভারতের ক্রীড়নক বা যাই হোক সেটা ওদের দায়িত্ব।
    তার ফলে ওদের স্বাধীন হওয়ার আকাঙ্খা ভুল হয়ে যায় না। কারণ ওটা ওদের জীবন, ওদের দেশ।
  • aka | 75.76.118.96 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২১:২৮460012
  • তাহলে নীতিগত ভাবে আপনারা (কল্লোল দা এবং রঞ্জন দা) প:ব:য়ের সমস্ত জায়গার লোকেদের কি চাহিদা সেটা জানতে না চেয়ে খসড়া বা পলিসি লিখে চাপিয়ে দিলেন কেন?
  • PT | 203.110.243.23 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২১:৪৪460013
  • মেয়ে নিজের পছন্দ মত মোদো-মাতালকে বিয়ে করে তারপরে স্বামীর ঠ্যাঙানি খেয়ে বাপের কাছে ফিরে এলে বাপ কখনই যেন ভুল করেও বলে না ফ্যালে: -তোকে তখনই বলেছিলাম। আমার কথা শুনলি না, এখন সেই আমার ঘাড়েই এসে উঠলি তো!!! মেয়ে তো কেঁদে-কেটে একসা - কোথায় থাকব বাবা, তুমিও তাড়িয়ে দিচ্ছ?......ইত্যাদি, ইত্যাদি।

    আর প:বঙ্গে ভোটের আগের ২-৩ বছর ধরে বিদগ্‌ধ জ্যাঠামশাইরা যে পোস্টার মেরে, চ্যানেলে চ্যানেলে পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কোটি কোটি বক্তব্য রাখলেন - সেসব বুঝি জণগণকে প্রভাবিত করার জন্য নয়?
  • pinaki | 122.164.208.160 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২২:০২460015
  • পলিসি প্রস্তাব লেখা মানে মতামত দেওয়া। চাপিয়ে দেওয়া নয়। বাবা যেমন মেয়ের ভালোমন্দ নিয়ে মতামত দেবে। বাধ্য করবে না। এক্ষেত্রে খসড়া লেখকদের একশোবার রাইট আছে মঙ্গলগ্রহের লোকের জলসমস্যা কিভাবে সমাধান হবে তাই নিয়ে মতামত দেওয়ার। কিন্তু মঙ্গলগ্রহের লোকেদের কুয়ো খুঁড়তে বাধ্য করার রাইট নেই। বিশেষত: গান পয়েন্টে। যেভাবে কাশ্মীরের মানুষকে বাধ্য করা হয়েছে। ভারতের মধ্যে থাকতে। তাদের 'ভালোর' জন্য। এই ভালোটা কিভাবে হবে সেই নিয়ে তো অনেকের অনেক মত থাকতে পারে। আকার মত ভারতের মধ্যে থাকলে তাদের ভালো হবে। কল্লোলদার মত স্বাধীন হলে ভালো হবে। সেই মত দেওয়ার অধিকার তো সবারই আছে। সেটা আর গান পয়েন্টে বাধ্য করা কি এক হল?

    এটা তো খুব সহজ সরল একটা কথা। মাথার উপর দিয়ে যাওয়ার কি কারণ? সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের ইস্যুতেও তো এই লাইনে অনেক কথা হয়েছে। ধরা যাক আমি বোকা। শিল্পায়ন হলে আমার প্রচুর ভালো হত। কিন্তু আমি সেটা না বুঝে গোঁয়ারের মত লড়ে যাচ্ছি - আমি আমার জমিতে শিল্প চাই না বলে। সেক্ষেত্রে সরকার গান পয়েন্টে আমার 'ভালোর' জন্য আমার জমি কাড়তে পারে কি না। এখানে কথাটা অবশ্যই একটা ব্যক্তির নয়। একটা এলাকার সিগনিফিক্যান্ট মেজরিটির।
  • pinaki | 122.164.208.160 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২২:১০460016
  • অর্থাৎ এখানে নীতির প্রশ্নটা আসছে অন্যের 'ভালোর' অজুহাতে তাকে বাধ্য করা যায় কি না। আসলে তার আড়ালে নিজের ভালোর অজুহাত লুকিয়ে থাকে সাধারণত:। কিন্তু সেটা সামনে আনা হয় না। প্রশ্নটাকে তাই এক্সটেন্ড করে এভাবেও রাখা যায় - নিজের বা অন্যের 'ভালোর' জন্য অন্যের উপর তার অনিচ্ছায় গাজোয়ারি করা যায় কি না?

    জিওপলিটিক্যাল কূটকচালি, ঐতিহাসিক বাস্তবতা - এসব তো আছেই। কিন্তু তার পাশাপাশি এই নীতিগত প্রশ্নটার একটা সদুত্তর থাকাও জরুরী মনে হয়।
  • aka | 75.76.118.96 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২২:৩০460017
  • পিনাকি কল্লোলদার মতে কাশ্মীর ভারতের মধ্যে থাকলে ভালো হবে হলে কোন কথা নেই। সেক্ষেত্রে কল্লোলদাকে নিজের যুক্তি এস্টাবলিশড করতে হবে। পিনাকির দ্বিতীয় পোস্টে যা বলা আছে।

    আপাতত কল্লোলদা বা রঞ্জনদার স্টান্সটা হল কাশ্মীরের লোকজন স্বাধীনতা চাইছে অতএব সেটাই ঠিক। তুমি বা আমি সেই নিয়ে বলার কেউ নই। আপত্তিটা সেখানেই।

    আর অন্য প্রসঙ্গে ভালো মন্দ ভীষণ সাবজেক্টিভ। যেমন ধরা যাক সিঙ্গুরে কারখানা হলে কয়েক হাজার লোকের চাকরি বাকরি হত, জায়গাটার আঞ্চলিক উন্নতি হত ইত্যাদি। কিন্তু কিছু লোকের ক্ষতিও হয়ত হত। এবারে সেই সফট জায়গাটা কাজে লাগিয়েছে মমতার রাজনীতি। তাই সিঙ্গুরের অনিচ্ছুক চাষীদের লড়াই শুধুই তাদের, তার পেছনে মমতার ক্ষমতা দখলের রাজনীতি ছিল না, মানে সেই অনিচ্ছুক চাষীদের গণতন্ত্রের আড়ালে মমতার মুখ্যমন্ত্রীত্ব লাভের জন্য লড়াই ছিল না এটা যদি অ্যানালিসিস থেকে বাদ দিই তাহলে বোধহয় ভুল হল একটু। এবার অনিচ্ছুক চাষীদের গণতন্ত্রকে (বা মমতার মুখ্যমন্ত্রীত্ব লাভের রাজনীতিকে) স্বীকৃতি দিতে গিয়ে কি হল? আজ এতদিন বাদেও ইচ্ছুক অনিচ্ছুক সমস্ত চাষীদের সামগ্রিক ক্ষতি হল। সিঙ্গুরে ক্ষেত্রে অন্তন আই রিগ্রেট মাই স্টান্স।

    খসড়া নিয়ে কিছু বলার ছিল কিন্তু সে পরে হবে। এখন থাক নয়।
  • kallol | 115.184.89.34 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২২:৪৪460018
  • আকা। ভাষা বড়ো মারাত্মক বস্তু। একটু ভেবে প্রয়োগ করুন। আমরা খসড়া বা পলিসি লিখে কার উপর কি ""চাপিয়েছি""? কোথাও কি খসড়ায় এমন কথা কেউ লিখেছে যে, এটাই প:ব:এর নানান সমস্যার একমাত্র সমাধান। এই সমাধান যারা মানবেন না, তাদের গুলি করে মারা হবে / একঘরে করে দেওয়া হবে / প:ব: থেকে বার করে দেওয়া হবে / যেকোন উন্নয়নের ফল থেকে বঞ্চিত করা হবে। বরং উল্টে সবার কাছে মতমত চাওয়া হয়েছে, আপনার কাছেও। এটাকে ""চাপিয়ে দেওয়া"" বল্লে, বাংলা অভিধান পাল্টাতে হয়।
    আপনি বলছেন প:ব:র মানুষের সাথে কথা না বলে খসড়া দেওয়া হলো কেন? খসড়াটি খসড়াই। না হলে ওটি নীতিপত্র হয়ে যেতো। ঐ প্রস্তাবগুলো মানা বা না মানা সরকারের হাতে। কথার কথা, যদি সরকার ঐ খসড়ার প্রস্তাবগুলি কমা-দাড়ি-সেমিকোলন সমেত রূপায়নের ঘোষনা করে সংশ্লিষ্ট মানুষজনের সাথে আলোচনা ছাড়াই, তারও বিরোধীতা করবো।
    নিজের মতের সমর্থনে যুক্তি/অযুক্তি দিয়ে মানুষকে প্রভাবিত করতে চাওয়া, আর চাপিয়ে দেওয়ায় বিস্তর ফারাক আছে, সেটা আশা করি আপনি বুঝবেন।
  • aka | 75.76.118.96 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২৩:০৫460019
  • আপনি কি মনে করেন খসড়া প:ব:য়ের লোকজনের খুব উন্নতি করবে?
  • kallol | 115.241.30.207 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২৩:১৭460020
  • আকা। আপনি কি অন্যের পোস্ট না পড়েই লিখছেন?
    পিনাকীকে লিখলেন :
    ""আপাতত কল্লোলদা বা রঞ্জনদার স্টান্সটা হল কাশ্মীরের লোকজন স্বাধীনতা চাইছে অতএব সেটাই ঠিক। তুমি বা আমি সেই নিয়ে বলার কেউ নই।""
    আমার Date:02 Sep 2011 -- 06:35 AM আর
    Date:03 Sep 2011 -- 07:28 PM পোস্টে, খুব গোটা গোটা করে লিখেছি - ""আমি কখনোই বলিনি যে কাশ্মীর নিয়ে কাশ্মীরীরা ছাড়া আর কেউ কথা বলতে পারবেন না। তাহলে আর আমি কথা বলছি কেন।""
    বা
    ""যার ব্যাপার শুধু সেই চিন্তা করবে না। অন্যদের মতামতেরও দাম আছে।""
    কোন একটা বিষয় নিয়ে মত প্রকাশ করা, আর সেই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার মধ্যে ফারাকটাকে বুঝুন।
    আমি-আপনি-রামা-শ্যামা সবাই মতামত দেওয়ার অধিকারী। কিন্তু যাদের সমস্যা তাদের বাদ দিয়ে বা তাদের হয়ে সিদ্ধান্ত নেবার অধিকারী নই।
    আমি কি স্টান্সটা বোঝাতে পারলাম?

  • kallol | 115.241.30.207 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২৩:২৫460021
  • খসড়া প:ব:এর কাজে লাগতেও পারে নাও পারে।
    কিছু মানুষ তাদের জ্ঞান বুদ্ধি মতো সরকারকে কিছু প্রস্তাব দিয়েছে। তাদের জ্ঞান বুদ্ধিই প:ব:য়ের ব্যাপারে শেষ কথা এমন কেউই দাবী করেনি। প্রস্তাবগুলো সরকারের মনে ধরলে, সংশ্লিষ্ট মানুষজনের সাথে কথা বলে, তাদের মতামত নিয়ে, যদি সেটাকে রূপায়ন করে, তবে ভালো হবার সম্ভাবনাই বেশী। তারপরেও প্রস্তাবটির অসফল হওয়ার কম হলেও সম্ভাবনাও থাকে।

    এটাও আগে একটা পোস্টে লিখেছি। বারবার পুরোনো পোস্ট আবার করে দোহরাতে অস্বস্তি হয়। মনে হয় বন্ধু কি না পড়েই তর্ক করে যাচ্ছেন!
  • PT | 203.110.243.23 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২৩:৪৭460022
  • মনে করুন একটা লোক বোকা। সে খুব বিড়ি খেতে পছন্দ করে। আর সে জানেও না বা বোঝালেও বুঝতে রাজী নয় যে প্যাসিভ স্মোকিং অন্যের কতটা ক্ষতি করতে পারে। সেখানে সরকার চাইলে তার যেকোন জায়গাতে খুশীমত বিড়ি খাওয়া বন্ধ করতেই পারে। এটা যারা মেনে নিয়েছে তারা সকলেই নিজেদের ""স্বাধীনতা"" বিসর্জন দিতে রাজী হয়েছে। এই প্রসঙ্গে এই সময়ে ভদ্র-সভ্য কোন দেশের কোন মানুষের এর বিপক্ষে মতামতের কোন মূল্যই নেই।

    সে একই ভাবে না বাবা-মা না চাইলেও জোর করে বাচ্চাকে পোলিওর টিকে খাওয়াতে হবে, জমির মালিকের ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়ে ইলিক্ট্রিকের তার নিয়ে যাওয়ার জন্য বা রেললাইন পাতার জন্য জমি নিয়ে নিতে হবে ইত্যাদি, ইত্যাদি.....

    আজকে সারাদিন গড়িয়া থেকে গড়িয়াহাট অটো চলাচল বন্ধ ছিল। কারণ? গড়িয়া কোলকাতা পুলিশের অন্তর্গত হওয়ার জন্য অটোতে চার জনের বেশী তোলা যাবেনা এই নিয়ম চালু হয়েছে। অটো চালকদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানাচ্ছে যে নিয়ম ভেঙ্গে বেশী লোক না তুললে তাদের খরছে পোষায় না। গড়িয়া থেকে ব্রহ্মপুরের অটোতে ৬-জন না হলে অটো ছারবেই না। অটো চালকদের সঙ্গে আলোচনাতে বসলে তারা কখনই এই আইনি প্রস্তাব মানবে না। কেননা ৮০ টাকা কিলো বেগুনের বাজারে তাদের কোন উপার্জনই যথেষ্ট নয়।

    আমরা বোধহয় স্বাধীনতা আর অ্যানার্কির মধ্যে গুলিয়ে ফেলছি।
  • siki | 122.162.75.251 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২৩:৫১460023
  • লজিকবিহীন ন্যাকামো। ভারতের অন্যান্য বড় শহরে কি বেগুন দশ টাকা কিলো দরে বিক্রি হয়? সেখানে চারজনকে নিয়ে অটো চলছে কী করে? নাকি কলকাতায় এলপিজির দাম সারা ভারতের মধ্যে বেশি?
  • PT | 203.110.243.23 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০০:১২460024
  • এইরকম উত্তরের অপেক্ষাতেই ছিলাম। দিল্লী বা ব্যাঙ্গালোরবাসী বাঙালী ও অটো চালকের কাছে আর কলকাতাবাসী বাঙালী ও অটো চালকের ""স্বাধীনতা""র সংজ্ঞার কেমন আকাশ-পাতাল তফাৎ!!

    বাম সরকার অটোতে CNG-র ব্যবহার বাধ্যতামুলক করাতে এখনকার মূখ্যমন্ত্রী দলবল নিয়ে রাস্তায় নেমে দক্ষযজ্ঞ করেছিলেন। অটো চালকদের নিয়ম না মানার সেই "স্বাধীনতা"কে তোল্লাই দিয়ে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তাও অর্জন করেছিলেন। এবং কলকাতার বিদগ্‌ধ সমাজ চুপ করে থেকে পরোক্ষে সেই স্বাধীনতার চর্চাকে সমর্থনও জুগিয়েছিল!

    তবে ন্যাকা শব্দটি কার উদ্দেশ্যে নিক্ষিপ্ত হল ঠিক বোঝা গেল না......
  • ranjan roy | 122.173.178.213 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৩:১১460026
  • মাগো, কেন যে এত কথা!
    আমরা কেউ বলছি না যে অন্যেরা মুখ
    খুলবে না। কেউ বলছি না যে মেয়েকে বাবা বলবে না ভুল করছিস। উল্টোটা বলছি,-হ্যাঁ, বলবে। আর বলছি এতদসঙ্কেÄও সিদ্ধান্ত মেয়েটি নেবে, বাবা না।
    আর অবোধ বাচ্চাকে পোলিও খাওয়ানো এবং প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের পছন্দ এক মাতাল বলে তাকে পুলিশ দিয়ে অ্যারেস্ট করানো এক হল?
    এটাই তো বলছি জনগণকে বাচ্চার মত ট্রিট করার আপনি আমি কে?
    আমার প্রেজুডিসে যাকে আমি মাতাল পাত্র বলছি সে হয়তো মদে আসক্ত, কিন্তু মাতাল নয়। বা আদারওয়াইজ পরিবারের প্রতি দায়িত্বজ্ঞান সম্পন্ন লোক।
    আবার বাবার পছন্দের জামাইও যখন পরে
    দুশ্চরিত্র, দহেজলোভী রূপ ধরে তখন সবচেয়ে বেশি সাফার তো মেয়েটিই করে।
    কাজেই অন্তিম নির্ণয় মেয়েটির হবে, আমাদের পছন্দের না হলেও সম্মান করতে হবে।
    একটি জাতি এই অর্থেই নিজেদের ভাগ্যবিধাতা হবে।
    নইলে বৃটিশের অধীনে থাকাই উচিত ছিল। এত দাঙ্গা, এত খুনজখম, এত অশিক্ষা, এত গরীবি, এত করাপশন! স্বাধীন হয়ে কি লাভ হল?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই প্রতিক্রিয়া দিন