এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আজাদ কাশ্মীর : আপনার কী মত

    pi
    অন্যান্য | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১০ | ১৭১৩৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • PT | 203.110.247.221 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৬:৪৭460161
  • Ishan
    মিলিটারি দিয়ে প্যাঁদানোতে আমার বেজায় আপত্তি আছে-সে আমিই হই আর কাশ্মীরিরাই হোক। কংগ্রেস কালে কালে সব রাজ্যেই কলকাঠি নেড়ে সমস্যার সৃষ্টি করেছে। কাশ্মীরও তার একটা বড় উদাহরণ। নাহলে ৮০-র দশকে তাদের স্বাধীনতার প্রয়োজন ফুরিয়ে গিয়েছিল কি কারণে?

    তবে প্যাঁদানিরও তো রকমফের আছে। যারা স্বাধীনতা চাচ্ছেনা তারাও তো সরকারের সৃষ্ট ক্ষিধে-দারিদ্র-অশিক্ষার প্যাঁদানি খেয়ে চলেছে। তারা কি করবে?
  • aka | 168.26.215.13 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২২:৪৭460162
  • এক, ঈশানের প্রশ্নের উত্তর আগের দিন দেওয়া হয় নি। ডিডিদা দিয়ে দিয়েছেন। ডায়ালগ শুরু হতে হলে আগে তো স্থিতবস্থা আসতে হবে। ডায়ালগের ইকোয়েশনে পাকিস্তানকে না ধরলে অশ্বডিম্ব হবে। আর পাকিস্তানে কে যে রাজা, কে যে কি বোঝাই মুশকিল। পাকিস্তানে সেনা এবং টেররিস্ট আঁতাত এবং তারসাথে ডেমোক্রেসি (পপুলার মিনিং) এস্টাবলিশড না হলে ডায়ালগের ডায়ালও হবে না। সেটা শেখ শওকত হোসেনের মতন স্বাধীনতাকামীদেরও বোঝা উচিত যদি না শুধুই তাদের লক্ষ্য হয় টোকেন বিপ্লব। মানে সমস্যার সমাধান শুধু ভারতের হাতে নেই। তঞ্চকতা বললে তঞ্চকতা Difference in interpretation বললে তাই। ডিপেন চোখের চশমার রং কি? কিন্তু রেজাল্ট সেই একই হাজার বক্তিমে কিন্তু রেজাল্ট শূন্য। তাই ডায়ালগ শুরু হোক কথাটি অসম্পূর্ণ। ডায়ালগ শুরু হোক এটাই লক্ষ্য কিন্তু বর্তমানে তারও আগে ডায়ালগ শুরু হবার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হোক। তা ভারত, পাকিস্তান, আজাদ কাশ্মীরের ভূক্তভোগী জনতা এবং অ্যানার্কিস্ট সবারই বোঝা উচিত।

    কল্লোলদা, আপনি বললেন মার্ক্সের মতন মনীষা থাকলে তবেই পুঁজি-বাজার-মুনাফা-রাষ্ট্র বিহীন সমাজ কেমন, কিভাবে চলবে, তার রূপরেখা দিতে গেলে মার্ক্সের মতন মনীষা লাগে। আপনি পারবেন না, শুধু ছোট ছোট চিন্তা ভাবনা আছে।

    আবার বললেন মার্ক্স রাষ্ট্রের অবলুপ্তি সম্বন্ধে যে পদ্ধতির কথা বলেছেন সেটা ঠিক মনে হয় না।

    ভুল বুঝবেন না আপনার কথা থেকেই বলছি মার্ক্সের মনীষা নিয়ে মার্ক্সই আপনার মতে যা পারেন নি, মার্ক্সের মতন মনীষা না নিয়ে আপনি বা আপনার মতন (যাঁরা আপনাদের এই রাজনৈতিক অবস্থানে সাবস্ক্রাইব করে) লোকেরা পুঁজি-বিহীন, বাজার-বিহীন, রাষ্ট্র-বিহীন সমাজের কথা ভেবে ভুল করছেন না তো? যা নিয়ে আপনারাই শিওর নন, সেই রাজনীতির প্রচার কেন?
  • kiki | 59.93.206.135 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২৩:০৫460163
  • আচ্ছা মুশকিল তো! জল খেতে এসে আরেকবার চোখ বুলোচ্ছিলুম! বেহালা চৌরাস্তা নিয়ে টানাটানি কেন বাপু? অ্যাঁ! একে পাতাল রেল, ক্যাঁচোর ম্যাচোর, অটো, কলকাতা আর জিলা পুলিশের খিচুড়ি,রবীন্দ্রসঙ্গীত এসব নিয়ে আমরা অস্থির। খবরদার বেহালা নিয়ে কোনো আর ঝামেলা এখন করবেন্না।
  • kallol | 220.226.209.2 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১০:২৫460164
  • একটা মানুষ আজ থেকে প্রায় ১৫০ বছর আগে যে ভাবে ক্যাপিটালিজমের স্বরূপ তুলে ধরেছেন, তার ভায়াবহ রূপটি দেখিয়েছেন, যিনি উদ্বৃত্ত মূল্য তঙ্কেÄর জন্মদাতা তাঁর মণীষা নিয়ে কথা হবে না। তা বলে তিনি ভুল করতে পারেন না এমন নয়।
    মার্কস তাঁর সমাজবিকাশের রূপরেখায় একটা কথা পরিষ্কার করে দিয়েছেন, নতুন সমাজ দাঁড়িয়ে থাকে তার নতুন উৎপাদন ব্যাবস্থা ও উৎপাদন সম্পর্কের ওপর। যেমন দাস সমাজ থেকে সামন্ত সমাজের পার্থক্য দাস মালিক-দাস সম্পর্ক থেকে রাজা/জমিদার-প্রজায় উত্তরণ। যেখানে প্রজার স্বাধীনতা রয়েছে তার মতো জীবন যাপন করার। সবচেয়ে বড়ো কথা সকল প্রজাকে মানুষ হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে রাষ্ট্র, কেউ আর ""সম্পত্তি"" নয়। এই নতুন সম্পর্কের ওপর দাঁড়িয়ে, নতুন উৎপাদন ব্যাবস্থা, যেখানে জমির ওপর চাষীর অধিকার (যত কমই হোক) প্রতিষ্ঠিত।
    বা
    সামন্ত সমাজ থেকে ধণতান্ত্রিক সমাজের পার্থক্য, তার উৎপাদন ব্যবস্থায়, তার উৎপাদন সম্পর্কে।
    কিন্তু সমাজতান্ত্রিক উৎপাদন ব্যাবস্থা বলে কিছু মৌলিক উৎপাদন ব্যবস্থার কথা মার্কস বলতে পারেন নি, লেনিনও করতে পারেন নি। তাই নামে সমাজতন্ত্র হলেও আসলে তা পুঁজি-বাজার-মুনাফার চক্করেই রয়ে গেছে। ব্যাক্তি মালিক গিয়ে রাষ্ট্রের মালিকানায় এসেছে। তাতেই গন্ডোগোল।
    পুঁজি একটি সামাজিক শক্তি, তার অবস্থান সমাজের মধ্যে। রাষ্ট্র সমাজ থেকে উদ্ভুত হয়, কিন্তু নিজেকে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। ফলে রাষ্ট্রীয় পুঁজি সমাজ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পুঁজি সমাজে ফিরে আসতে চায়। এই দ্বন্দের ফলে ধণতন্ত্রের পুনরুত্থান ঘটে। তাই ""সমাজতন্ত্র"" থেকে সাম্যবাদে উত্তরণ ধাঁধায় থেকে যায়।
    সমাজতান্ত্রিক সমাজ তাকেই বলা যেতে পারে যে সমাজে উৎপাদন ব্যবস্থা পুঁজি-বাজার-মুনাফার বাইরে বের হতে পেরেছে। যেমন পুঁজিবাদী ব্যবস্থা সামন্ত সমাজের উৎপাদন ব্যবস্থার বাইরে বেরিয়ে এসে অন্য একটা উৎপাদন ব্যাবস্থার জন্ম দিয়েছে।
    সেই ব্যবস্থাটিকে চিহ্নিত করা, আর সেটা বিশদ করতে গেলে আর একটা মার্কস সমান মণীষা লাগে, যিনি আজকের বাস্তবতার ওপর দাঁড়িয়ে কাজ করবেন।
    সে আর যেই হোক, আমি নই।
  • PM | 86.96.227.87 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১০:৪২460165
  • এতোদিনে কল্লোলদার রামরাজ্যের একটা idea পাওয়া গেল। আগে নানা আলোচনায় টুকরো টুকরো ভাবে বল্লেও এটা কল্লোলদা কখনো এত পরিস্কার ভাবে describe করেন নি। বেশ interesting । এটা নিয়ে অলোচনা হওয়া উচিত...... একটা নতুন টই খুলে। concept টা আরো clear করুন কল্লোলদা।

    কল্লোলদার যাত্রা সামনের দিকে না পেছনের এটা নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে.... , escapism কিনা তা নিয়েও বিতর্ক থকতে পারে ,নকশাল আন্দোলন জনিত স্বপ্নভঙ্গ এই "অদর্শ সমাজব্যবস্থার" কল্পনার মুলে কিনা তা নিয়েও বিতর্ক থাকতে পারে.... কিন্তু কল্লোলদার প্রায় সব রাজনৈতিক ideology তে negative অবস্থানের মুল এই social ideology। এটাকে "cultivate" করা হোক।

    তবে তার আগে একপাত্তর মহুয়া চাই...... নিদেন পক্ষে তাড়ি
  • kallol | 220.226.209.2 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১২:০০460166
  • গুরুতে একটা লিখেছিলাম। ঠিক এই নিয়ে নয়, তবে এই সংক্রান্ত। সমাজতন্ত্রের সংকট নিয়ে আমার ভাবনা। অনুমতি দিলে লিং দিতে পারি।
  • PM | 86.96.227.91 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১২:১০460167
  • কল্লোলদা, আমার আগের পোস্টটা আপনার Date:07 Sep 2011 -- 01:59 PM পোস্ট-এর প্রেক্ষিতে। লেখার সময় Date:08 Sep 2011 -- 10:25 AM পোস্ট-টা পড়ি নি।

    প্লিজ link দিন। আমি আপনার বক্তব্যের সাথে বেশিরভাগ সময় একমত না হলেও মন দিয়ে পড়ি। ঐ লেখাটা miss করে গেছি।
  • kallol | 220.226.209.2 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১২:২৯460169
  • আর, কখনো ব্যাঙ্গালোরে আসলে জানাবেন। আড্ডা মারা যাবে। নারকেলের তাড়ি যোগাড় হয়ে যাবে।
  • Ishan | 117.194.36.25 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৮:০৮460171
  • আকা যেটা কইল, মোটের উপর সেটা যদি ভারত সরকারের ঘোষিত বক্তব্য হয়, তাইলে কিছু সমালোচনাসহ সেটা আমি মেনে নেব। তফাতগুলো আর লিখলামনা, কারণ, এতটা সদিচ্ছা কেউ দেখালে বাকিটাও মিটে যাবেই।

    কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, ভারত সরকার এতটা বলবেই না। তাদের ঐ এক কথা। "কাশ্মীর ভারতের অখন্ড অংশ। এ নিয়ে আলোচনার প্রশ্নই আসেনা। বিশ্বেস না হলে সিমলা চুক্তি পড়ে দেখুন।' ইত্যাদি প্রভৃতি। :)

    এই অ্যাপ্রোচ থাকলে তো কাজ হইবো না।
  • aka | 168.26.215.13 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২১:১০460172
  • কল্লোলদার স্টান্সটা এবারে প্রায় কল্কি অবতারের আগমণের মতন। কোন একদিন আধুনিক মার্ক্স ধরাধামে অবতীর্ণ হয়ে এই দুষ্টু পুঁজি, দুষ্টু রাষ্ট্র থেকে আমাদের মুক্ত করে এমন এক নতুন দুনিয়ায় নিয়ে যাবে যেখানে মাত্র পাঁচ ঘন্টা কাজ করব আর বাকি ১৯ ঘন্টা ল্যাদ। সবই ঠিক আছে শুধু বুঝতে পারছি না এটা স্বর্গ? না নরকের মার্কেটিং ডিপার্টমেন্ট?

    একটু ইয়ার্কি মারলাম, কিছু মনে করবেন না। মূলত আপনার স্টান্স এস্টাবলিশড করতে পারলেন না। মার্ক্সের লেখা থেকে পছন্দমতন জায়গা তুলে নিয়ে একটা থিওরি সাজিয়েছেন যা শুধু অসম্পূর্ণই নয় মাঝে মাঝে একটু ভয়ংকর শোনাচ্ছে। আশা করি এটা নিয়ে আপনাদের যে রাজনৈতিক আলাপ আলোচনা হয়। তাই আশা করব এই থিওরি ইভলভ করবে অন্তত এই থিওরি ইভলভ করার প্রয়োজনীয়তা যে আছে তা বোঝা যাবে।

    এনিওয়ে খুব কিছু বলার নেই। ঈশান, সরকারকে সেই ইস্যুতে চাপ দিতে আপত্তি নেই। ইকুয়ালি কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী এবং পাকিস্তানের লোকেদেরও পাকিস্তান সরকারকে চাপ দিতে হবে। তবে অদূর ভবিষ্যতে কোন আশা দেখছি না।

  • dri | 117.194.229.148 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২২:১১460173
  • কেউ কেউ মনে করেছেন, কাশ্মীরে দারিদ্র, শিক্ষা ইত্যাদি অ্যাড্রেস করতে পারলে সমস্যা আপনিই মিটে যাবে।

    কাশ্মীরে দারিদ্র, শিক্ষা ইত্যাদি অবস্থা কেমন, সেই নিয়ে নেটে একটু সার্চ করে একটা ডকুমেন্ট পেলাম।

    http://www.scribd.com/doc/62434683/2/Jammu-Kashmir-1-1

    তাতে দেখলাম একটা অদ্ভুত একটু কাউন্টার ইন্টিউটিভ তথ্য। যদিও শিক্ষায় কাশ্মীর বেশ নীচের দিকে (অন্য রাজ্যের তুলনায়), দারিদ্র্য দূরীকরণে একদম ওপরে! অর্থাৎ একবারে অ্যাবজেক্ট পভার্টি বলতে যা বোঝায় সেটা অন্যান্য রাজ্যের চেয়ে কম। আর একটা ব্যাপারে কাশ্মীর খুব পিছিয়ে। নারীউন্নয়ন (লিটারেসি, সেক্স রেশিও ইত্যাদি)। অন্য জায়গায় পেয়েছি ভায়োলেন্স টুওয়ার্ডস উইমেন ও বেশী।
  • pingo | 173.253.128.133 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২২:১৩460174
  • এইসব মার্ক্স রিলেটেড কল্কি অবতার টাইপ বিশ্বাস টিশ্বাস একদম বাঙ্গালী এক্সক্লুসিভ ইন্টেলেকচুয়াল মাস্টারবেশন। অবাঙ্গালীদের মধ্যে এসব দেখিনি।
  • kallol | 115.184.37.127 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২২:৩৪460175
  • আকা। হতাশ হলাম। অসম্পূর্ণতাটা কোথায় বা কোথায় ভয়ংকর সেটা জানতে পারলাম না। আজ পর্যন্ত কেউই লেখাটার ঠিকঠাক কাউন্টার করলো না। সকলেই এরম সাবজেক্টিভ মন্তব্য করে। কিন্তু পাল্টা যুক্তি দেয় না।
    কি আর করা।
    মার্কস নিজে তাহলে কি অবতার ছিলেন? আমি নিজেকে মার্কসের সমান ভাবতে পারি না। ওরকম মণীষা সহজলভ্য নয়। যেমন বছর বছর আইনস্টাইন বা নিল্‌স বোর বা গ্যেটে বা রবীন্দ্রনাথ জন্মায় না। তাতে কি মনে হয় এঁরা সব কল্কি অবতার?
    যাই হোক। দিনের শেষে হতাশ। ঠিকঠাক বিরোধীতাও ভাগ্যে জোটে না।
  • pingo | 173.253.128.133 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২২:৪৬460176
  • মার্ক্স এর সাথে আইনস্টাইন বা বোর এর তুলনা করা বেশ বাড়াবাড়ি।
  • PT | 203.110.243.23 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২৩:৩৪460177
  • ভয়ে ভয়ে একটা প্রশ্ন করি। শুধু যুক্তি আর পালটা যুক্তি দিয়ে তাত্বিক আলোচনা করে কি মার্কসবাদের ঠিক-ভুল বিচার করা যায়? সোভিয়েত দেখিয়ে কেউ বলেন মার্কসবাদই ভুল তাই দেশটা তাসের ঘরের মত ভেঙ্গে পড়ল আর কেউ বলেন যে তত্বের কোন ভুল নেই, নেতারা তত্বের application-এ ভুল করেছে তাই এই সব হয়েছে। অসীম চাটুজ্জেও দেখি তিরিশ বছর বাদে সেই তত্বের ভুল application-এর কথাই বলছেন।

    আর সারা ভারতের মিডিয়া বলছে যে বিশ্বের দিকে তাকিয়ে দেখ মার্কসবাদ পরাজিত হয়েছে কেননা সবাই বাজার-মুখো হয়েছে। অথচ বাজার কেন বিশ্বের ৪০-৫০% শতাংশ দরিদ্র যাদের বাস ভারতবর্ষে তাদের সমস্যার সমাধান করতে পারছে না তা বাজারবাদীরা বোঝাতে পারছে না।

    আইন্সটাইন বা বোরকে ভুল বা ঠিক প্রমাণ করা সহজতম ব্যাপার। রবীন্দ্রনাথ ঠিক-ভুলের বাইরে - ভাল লাগলে পড়ুন না হলে পড়বেন না - শুধু কাতর অনুরোধ করা যায় যে বুড়োর গানের সঙ্গে হু-লাল্লা লাগিয়ে গাইবেন না।

    কিন্তু মার্কসকে ঠিক বা ভুল বলা যাবে কি করে? মার্কসবাদে বিশ্বাসী যাঁরা ১৯১৭-র পরে কিংবা ১৯৪৮-এর পরে মারা গিয়েছেন তাঁরা তাদের বিশ্বাস অটুট রাখতে পেরেছেন। সোভিয়েতের পতনের পরে বা চিন কি সত্যিই বাজারমুখো কিনা ধরতে না পেরে অনেকেরই বিশ্বাস নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে।

    একি ভগবান আছে কি নেই গোছের তক্ক যার কোন শেষ নেই নাকি পরিমাপযোগ্য বিষয়গুলো ঠিক করে তার পরে আলোচনা শুরু করা উচিৎ?
  • pi | 128.231.22.133 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২৩:৪২460178
  • হু-ল্লাল্লা হুল্লাট লাগে।
  • pingo | 173.253.128.133 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২৩:৪৪460179
  • হউ, ঠিক এই কারনেই মার্ক্স এর সাথে রবীন্দ্রনাথ বা বোর এর তুলনা করা ঠিক নয়।
    মার্ক্সের লেখা ম্যানিফেস্টোর একটা ভালো ক্রিটিক্যাল আনালিসিস/সমালোচনা এই ওয়েবসাইটে ছিল অনেকদিন আগে। আর্কাইভে আছে কি না জানি না।
  • pingo | 173.253.128.133 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০০:৩৭460182
  • হ্যাঁ।
  • aka | 75.76.118.96 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৩:৪৩460183
  • দুটি কথা

    ১। কল্লোল-দা আপনার প্রবন্ধ সম্বন্ধে কোন মন্তব্য করি নি, রাষ্ট্রের অবলুপ্তি হলেই মোক্ষলাভ হবে এই ধারণার ওপর করেছি।

    ২। ক্যাপিটালিজম কথাটি মার্ক্সের কয়েন করা। অতএব এর ডেফিনিশন যদি মার্ক্সের তঙ্কÄ অনুযায়ী করেন তাহলে ঠিক আছে। মার্ক্স তো আর হাওয়ার বিরুদ্ধে কমিউনিজম গড়ে তুলতে পারেন না, বিপক্ষীয়দের একটা নাম দিতে হয় সেই থেকেই ক্যাপিটালিজম। আসলে এটাই মেইন স্ট্রীম ইকনমিক্স যা নিজে নিজে ইভলভড হয়েছে।
  • kallol | 115.184.96.126 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৫:৫৬460184
  • বলা হলো, আমি একজন কল্কি অবতারের জন্য অপেক্ষা করছি। যিনি মার্কসের মতন মণীষার অধিকারী। যাদের বলা হয় ক্ষণজন্মা। কল্কিটা বুঝলাম না।
    আমি কোথাও রবীন্দ্রনাথ, মার্ক্স, আইনস্টাইন বা বোরেকে একে অন্যের কাজের পরিপ্রেক্ষিতে তুলনা করিনি, তুলনাটা হয় এঁদের বোধের মহানতা নিয়ে। এঁরা প্রত্যেকেই খুব উঁচুদরের চিন্তাবিদ। আমরা দশকে দশকে এরকম চিন্তাবিদ মুড়িমুড়কির মতো পাই না। আপনাদের মতে এঁয়ারও সব কল্কি নাকি?
    কাপিটালিজম একটা মেইনস্ট্রিম ইকনমিক্স যা নিজে নিজে ইভলভড হয়েছে। সে তো সবই তাই দাস ব্যবস্থা, বা সামন্ত ব্যবস্থাও তো তাই। নাম দিতে হয়, নইলে আমরা ক্যটাগোরাইজ করতে পারিনা। সমাজতন্ত্রও তেমনই একটা নাম যা উত্তর ধণতন্ত্রকে বোঝায়। আমার বলার কথাটি ছিলো তাই। এমনতো নয় যে মানুষের অর্থনীতি ধণতন্ত্রেই থেমে যাবে। সেই উত্তর ধণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নিয়ে মার্কস যা বলেছেন, লেনিন যা করেছেন সেটা আর যাই হোক উত্তর ধণতন্ত্র নয়, ধণতন্ত্রেরই রকমফের মাত্র। ব্যবস্থাটিকে উত্তর ধণতান্ত্রিক হতে গেলে ধণতন্ত্র থেকে মৌলিকভাবে আলাদা হতে হবে। এটুকুই বলার ছিলো।

  • kallol | 115.184.96.126 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৬:১২460185
  • লেখাটা আমি মার্কসের ভুল বার করার জন্য লিখিনি। মার্কসবাদের অনুশীলনে ছিলাম বলে মনে করতাম। আমাদের নকশাল অনুশীলনের ভুলগুলো মার্কসবাদী আলোতেই খুঁজেছি। তাতে কিছু খটকা জাগছিলো। সে সব হতে হতেই বার্লিনের দেওয়াল, সোভিয়েত রাশিয়া সমেত গোটা চিন্তার ইমারতই ধ্বসে গেল। তাই নিজের মতো করে পড়াশোনা করছিলাম, কেন এমন হলো। লেখাটি তারই ফলশ্রুতি। আমি আজ আর কমিউনিষ্ট বা মার্কসবাদী বলে নিজেকে দেখি না। কিন্তু মার্কসের ধণতন্ত্র নিয়ে লেখা, তার বিশ্লেষণ আজও অনবদ্য। মার্কস জ্যোতিষী ছিলেন না। তাঁর পক্ষে ১৫০ বছর উজিয়ে ভাবা সম্ভব ছিলো না। আজকের এই গ্লোবাল ভিলেজ যুগে ধণতন্ত্র কি চেহারা নিতে পারে সেটা তার ধারণায় ছিলো না। তাতে মার্কস ধণতন্ত্রের বিশ্লেষণে কোথাও খাটো হয়ে যান না। আমার আপত্তি মার্কসের সামাজতন্ত্রের ধারণা নিয়ে। উনি যা বলেছেন সেটা উত্তর ধণতন্ত্র নয়।
    আশা করি বোঝাতে পারলাম কেন পুঁজি-বাজার-মুনাফার বাইরে যাবার কথা বলেছি।
  • aka | 75.76.118.96 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৮:৩৬460186
  • ক) ঐ যে বললেন রাষ্ট্রের অবলুপ্তিতেই মুক্তি। কিভাবে জিজ্ঞেস করাতে বললেন সে মার্ক্সের মতন মণীষা না থাকলে বলা যায় না। আবার মার্ক্স কি বলেছেন সেটা বলাতে বললেন মার্ক্স সব ঠিক বলেন নি। তাহলে রাষ্ট্রের অবলুপ্তি ঠিক কি ভাবে হবে, তারপরে কি হবে তারজন্য মার্ক্সের মতন ক্ষণজন্মার জন্মের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। সেই জন্যই অবতারের কথা বলেছিলাম। কল্কি বলাটা মনে হয় ঠিক হয় নি কারণ কল্কি সবাইকে মেরে ফেলবে। অবতার বললেই হত।

    খ) আপনার লেখাটা পড়ছি। কাল মন্তব্য করব। আপাতত ''নজর টান আমার"" মানে কি?
  • kallol | 119.226.79.139 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৯:১৯460187
  • নজরটান আমার - মানে আমি যে উদ্ধৃতি গুলো দিয়েছি তাতে কিছু অংশ মোটা হরফে করা আছে। ওটা যাঁর লেখার উদ্ধৃতি তাঁর নয়। আমি মোটা হরফ দিয়েছি পাঠকের নজর টানার জন্য।

    হ্যাঁ, সে তো অপেক্ষা করতেই হবে। মানুষকে অপেক্ষা করতে হয়েছিলো মার্কসের জন্য। তার আগে কেউই অতো চুলচেরা ভাবে ক্যাপিটালিজমের বিশ্লেষণ করেন নি।

    আমি মার্কসের সমাজতন্ত্রের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নই, কারন মার্কস সমাজতান্ত্রিক উৎপাদন ব্যবস্থা ও সম্পর্ক নিয়ে যা যা বলেছেন, লেনিন প্রয়োগ করতে গিয়ে যা যা করেছেন, তা আমার কাছে ধণতন্ত্রেরই অন্য রূপ বলে মনে হয়েছে। সেটা কেন মনে হয়েছে, তার জন্যই ঐ লেখাটি। আমিও বিশদে জানি না পুঁজি-বাজার-মুনাফার বাইরে উৎপাদন ব্যাবস্থা কেমন হবে। একটা মডেল আছে - সেটা ইউরোপের ফিউডাল মডেল, আর একটা ভারতের স্বয়ংসম্পূর্ণ গ্রাম সমাজের। কিন্তু আজকের বাস্তবতা ওগুলোর চাইতে এতো আলাদা যে ওগুলো যেমন ছিলো তেমন ভাবে প্রয়োগ করা যাবে না। ফলে সেটা একটা বড়ো অনুশীলন।
    তবে মার্কস যেভাবে সমাজবিকাশের ইতিহাসকে দেখেছেন, তাতে বার বার বলছেন - পুরোনো ব্যাবস্থার মধ্যেই নতু ব্যবস্থার জন্ম হয়। ফলে সেই ব্যবস্থা হয়তো এখনই কোথাও চলছে। তাকে চিহ্নিত করটা একটা বিশাল মাপের কাজ। অপেক্ষা করতে হবে আমাদের। আজ হয়তো একজন মার্কস নয় অনেকে নানান দিক থেকে কাজ করবে। কারন এখন জ্ঞানচর্চা এতো বেশী পল্লবগ্রাহী হয়ে গেছে, যে কোন একজনের পক্ষে ঠিকভাবে এই কাজটা করা সম্ভব নয়।

    রাষ্ট্রের অবলুপ্তি নিয়ে অন্য একটা ধারনা আছে। অধিকারের আন্দোলন আজ ক্রমশ: অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। রাষ্ট্র বাধ্য হচ্ছে মানুষকে বেশী বেশী অধিকার দিতে। একদিন এই অধিকারের পরিধি বাড়তে বাড়তে রাষ্ট্র অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যেতে পারে। এটা একটা তাঙ্কিÄক ধারনা মাত্র। কিন্তু এমন তো হতেও পারে।
  • pi | 72.83.87.179 | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৯:৩৬460188
  • এজন্য ভারতবাসী হিসেবে গর্বিত হব কিনা ভাবছি।

    He further wrote that he was happy that he escaped without being tortured. “I have my fingernails, no welts on my back, no electric shock. I am safe and sound unlike some in the world's largest democracy,"

    http://www.tehelka.com/story_main50.asp?filename=Ws230911Kashmir.asp
  • kallol | 220.226.209.2 | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৯:৪৮460189
  • আকা। বসে আছি পথ চেয়ে।
  • aka | 168.26.215.13 | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৯:০৪460190
  • হ্যাঁ লিখব বলে লেখা হয় নি।

    লেখাটার তিনটি ভাগ - প্রথম, রাষ্ট্র ইত্যাদি নিয়ে মার্ক্স, এঙ্গেলস, হেগেলস, লেনিন, লুক্সেমবার্গ ইত্যাদি কি ভেবেছেন, বলেছেন। দ্বিতীয়, রাশিয়ায় যে সমাজতন্ত্র হয়েছে সেখানে রাষ্ট্র সম্বন্ধে সমাজতন্ত্রের নেতারা যা বলেছেন সেই একই জিনিষ কিভাবে দেখা গেছে। রাষ্ট্র সম্বন্ধে বিভিন্ন তাঙ্কিÄক সমালোচনা সমাজতন্ত্রের প্রবক্তাদের লেখায় পাওয়া গেছে সেই সমাজতন্ত্র যখন ইন প্র্যাকটিস তখন দেখা গেল রাষ্ট্রের ভূমিকা একটু অন্যরকম হলেও আসলে নতুন বোতলে পুরনো ধেনো। এই অবধি বক্তব্য কিছু নেই, সঠিক অবজারভেশন এবং অ্যানালিসিস।

    এরপরে কিছু ক্লেম করেছেন যেমন - 'আজকের পুঁজিবাদ মানবতার শত্রু। সমাজতন্ত্র পুঁজিবাদের চেয়ে অনেক কাম্য'। এটা একটা প্রক্ষিপ্ত বাক্য আপনার মনে হওয়ার কথা। কারণ সমাজতান্ত্রিক দুনিয়ায় মানবতার বাড়াবাড়ি ছিল একথা কেউ বলবে না। প্রতি বিপ্লবের দোহাই দিয়ে কত লাশ যে ভলগার জলে ভেসে গেল সে সবাই জানে। তাই এই ক্লেমটির কোন মানেই নেই। যেমন ধরুন কেমোথেরাপি ক্যান্সারের ওষুধ হিসেবে খুব খারাপ, ভয়ংকর সাইড এফেক্ট। কিন্তু তারমানে এইনয় যে রামদেব বাবা খুব ভালো। এক্ষেত্রে যদি ধরে নি পুঁজিবাদী রাষ্ট্র কেমো তাহলে সমাজতন্ত্রের রাষ্ট্র হল বাবা রামদেবের ওষুধ।

    তারপরে বলেছেন কাজের ঘন্টা কমানোর আন্দোলনের কথা। এটা নিয়ে বিশেষ কিছু না বললে বোঝা যাচ্ছে না। যন্ত্র ব্যবহার করলেই কাজ বাজ কমে যায় তা তো না। যেমন ধরুন আইটি গাইজ সারাদিন যন্ত্র নিয়েই কাজ করে, কাজ কম তো নয়। আর এরা মুখে শোষণ শোষণ করে কিন্তু আসলে কিন্তু খাটার পেছনে ইন্সেটিভ আছে। বছরে বছরে হাইক, প্রফিট শেয়ারিং এটসেট্রা এটসেট্রা। তারপর ধরুন গুগুল, সেখানে আবার অল্পবয়সী কলেজ পাশ ছেলেমেয়েরা (মানে গুগুলাররা) গুগুলের ক্যাম্পাসেই থাক। দুকুরে ঘুম পেলে ঘুমোয়, যখন সিনেমা দেখতে ইচ্ছে হয় দেখে, আবার রাত জেগে কাজ করে। তো, আপনার শ্রমিক শ্রেণী আর এই শ্রমিক শ্রেণী কি এক? যদি না হয় তাহলে আপনার জেনেরিক ক্লেমগুলো উন্নততর পুঁজিবাদের ক্ষেত্রে কতটা কাজে লাগে তা আর একটু ভেবে দেখার প্রয়োজন আছে।

    তারপরে যেমন সমস্ত বামপন্থী ভাবের লেখাতে আসে, এসেছে বিশ্বায়ণ ইত্যাদি নিয়ে কিছু কথা। এটা নিয়ে কিছু আলোচনা করতে হলে আগে আপনাকে বিশ্বায়ণ ডিফাইন করতে হবে। নইলে বিশ্বায়ণ, পুঁজির ফ্লো ইত্যাদি নিয়ে অনেকেই বক্তব্য রাখেন কিন্তু বিশ্বায়ন কি এবং কেন তা খারাপ সেটা এস্টাবলিশ না করেই। বিভিন্ন অ্যানালিসিসের আগে ডেফিনিশন।

    তারপরে বক্তব্য রেখেছেন অন্যরকম উৎপাদন ব্যবস্থা নিয়ে। তা অন্যরকম উৎপাদন ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলা মানেই এসে যায় পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় কি কি গলদ সেই নিয়ে অর্থাৎ কিনা মার্ক্সের লেবার থিওরি অফ ভ্যালু। এই নিয়ে কিছু বলতে গেলে মার্ক্সের পরবর্তী কালে যাঁরা এই নিয়ে কাজ করেছেন যেমন সুইজি, বারান, রবিন্সন ইত্যাদিদের ভাবনা চিন্তা না এলে এই নিয়ে কিছু আলোচনা করা খুব জটিল হয়ে পড়ে।

    বারান ও সুইজির কাজ সম্বন্ধে - Political Economy of Growth, published in 1956, and their joint work, Monopoly Capital, which appeared in 1964, the basic analytical weapons brought to bear in analyzing capitalist development in underdeveloped and developed countries were variants of orthodox neoclassical and Keynesian political economy. (35) Marxism was, for the most part, reduced to supplying the rhetoric and the moral background of these works.

    সুইজি কি মনে করেন - It would appear ... that Marx was hardly justified, even in terms of his own theoretical system, in assuming a constant rate of surplus value simultaneously with a rising organic composition of capital. A rise in the organic composition of capital must mean an increase in labour productivity, and we have Marx?s word for it that higher productivity is invariably accompanied by a higher rate of surplus value. In the general case, therefore, we ought to assume that the increasing organic composition of capital proceeds pari passu with a rising rate of surplus value. If both the organic composition of capital and the rate of surplus value are assumed variable ... then the direction in which the rate of profit will change becomes indeterminate. All we can say is that the rate of profit will fall if the percentage increase in the rate of surplus value is less than the percentage decrease in the proportion of variable to total capital.

    নইলে উন্নততর প্রোডাকশন সিস্টেমের যুক্তিটাই ঠিক মতন বোঝা যায় না।

    আর গোটা লেখাটাতে চোখে পড়ে নি কিভাবে রাষ্ট্র উঠে গিয়ে নতুন সিস্টেম তৈরি হবে। সেই ফাঁকটা এই লেখাতেও ভরাট হল না।
  • aka | 168.26.215.13 | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৯:১৮460191
  • আরও প্রিসাইসলি বললে সমাজতন্ত্রের দরকারটা এস্টাবলিশ না করলে কেনই বা এত সমাজতন্ত্র নিয়ে চিন্তা ভাবনা করব। আপনারা এককালে আন্দোলনের অংশীদার ছিলেন, বিরাট স্বপ্ন ছিল, এখন সেই স্বপ্ন ভেঙে গেলেও তারই আশেপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আমার কাছে ৭০ এর আন্দোলন, সমাজতান্ত্রিক দেশের স্বর্ণযুগ আসলে গল্প কথা, বাবা রামদেবের ওষুধ।

    তাই সমাজতন্ত্র নিয়ে চিন্তা ভাবনা করতে বললে আমি বলব আজকের দিনে দাঁড়িয়ে মার্ক্সের পুঁজিবাদের সমালোচনা কতটা গ্রহণযোগ্য সেটা আগে বলুন। পুঁজিবাদের যে বিভিন্ন বিকাশ ঘটেছে সেখান থেকে দেখাতে হবে আসলে পুঁজিবাদ ভয়ংকর খারাপ, নইলে এর কোন প্রয়োজনীয়তা আমার নেই।
  • kallol | 119.226.79.139 | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৮:৫৯460193
  • ধন্যবাদ আকা।
    অন্তত: একজনের থেকে ঠিকঠাক সমালোচনা পাওয়া গেলো। আমি ভাববো।
    আবারও ধন্যবাদ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে প্রতিক্রিয়া দিন