এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আজাদ কাশ্মীর : আপনার কী মত

    pi
    অন্যান্য | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১০ | ১৭১৩৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Sibu | 74.125.63.33 | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১০:১৮460194
  • আমি তর্কে অংশ নিচ্ছি না। সুধু একটা কথা পয়েন্ট-আউট করতে চাই। ঠিক কি ফর্মূলা দিয়ে সারপ্লাস লেবারের পরিমান মাপা যাবে, সেটা ইম্পর্ট্যান্ট, কিন্তু তাই দিয়ে ক্যাপিটালিজম সম্পর্কে মার্কসের মূল ক্রিটিক বাতিল করা যায় না। ক্যাপিটালিজম সম্পর্কে মার্কসের প্রধান ক্রিটিক হল (ম্যানিফেস্টো থে্‌ক):


    The bourgeoisie cannot exist without constantly revolutionizing the instruments of production, and thereby the relations of production, and with them the whole relations of society.
    ...
    The bourgeoisie, by the rapid improvement of all instruments of production, by the immensely facilitated means of communication, draws all, even the most barbarian, nations into civilization. The cheap prices of commodities are the heavy artillery with which it forces the barbarians' intensely obstinate hatred of foreigners to capitulate. It compels all nations, on pain of extinction, to adopt the bourgeois mode of production; it compels them to introduce what it calls civilization into their midst, i.e., to become bourgeois themselves. In one word, it creates a world after its own image.
    ...
    It is enough to mention the commercial crises that, by their periodical return, put the existence of the entire bourgeois society on its trial, each time more threateningly. In these crises, a great part not only of the existing products, but also of the previously created productive forces, are periodically destroyed. In these crises, there breaks out an epidemic that, in all earlier epochs, would have seemed an absurdity -- the epidemic of over-production.


    এই এপিডেমিক অফ ওভার-প্রোডাকশন, এইটে হল ক্যাপিটালিজম সম্পর্কে মার্কসের মূল ক্রিটিসিজম। এই ওভার-প্রোডাকশন হ্যান্ডল করতে ক্যাপিটালিস্ট বিভিন্ন উপায় নেয়। প্রথমে বিজ্ঞাপন দিয়ে চাহিদা বাড়ায়। কিন্তু শ্রমিকের ক্রয় ক্ষমতা না থাকলে তাতে লাভ হয় না। তখন বিভিন্ন উপায়ে চাহিদা বজায় রাখার চেষ্টা হয়। রবার্ট রাইখ (ক্লিন্টনের লেবার সেক্রেটারী) তাঁর রিসেন্ট বই - আফটারশকে, গত তিরিশ বছর ধরে এফেক্টিভ ডিম্যান্ড ক্রিয়েট করার জন্য কি কি করা হয়েছে তার একটা সুন্দর বিবরণ দিয়েছেন। প্রথমে মেয়েদের কাজ করতে পাঠানো হল। তারপর দুজনেই লংগার অ্যান্ড লংগার আওয়ার কাজ করতে লাগল। তারপর পরিবারগুলি ধার-দেনায় ডুবে গেল। এখন এই রিসেশনে লো ডিম্যান্ডের সমস্যাই বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
  • kallol | 119.226.79.139 | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১২:৪৮460195
  • আমারও তাইই মনে হয়। মার্কসের ক্যাপিটালিজম সম্পর্কে ক্রিটিক এখনো ভ্যালিড।
    বিশ্বায়ন নিয়ে বিশদ হই নি। গ্যাট পরবর্তী যা যা চুক্তি হচ্ছে, তা সাবেকী সাম্রাজ্যবাদী মডেলেই চলছে। বলা হচ্ছে কোন কিছুতে সরকারী ভর্তুকি দেওয়া যাবে না, অথচ আরিগা ও ইউরোপ সেটা দিয়েই যাচ্ছে। কিন্তু ভারত বা ব্রাজিল তা করতে গেলে কড়কানি খাচ্ছে। আমদানীর ওপর নিয়ন্ত্রন থাকছে আম্রিগায়, অথচ অন্যদের দরজা খুলতে বলা হচ্ছে। এ তো সেই আদ্দ্যিকালের ব্রিটিশ কলোনীয়াল মডেল। নিজের বেলায় আঁটিশুটি, পরের বেলায় দাঁত কপাটি। আমার তো বিশ্বায়ন নিয়ে এটাই মনে হয়।

  • Ishan | 117.194.41.67 | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৩:১৫460196
  • মার্ক্সের ক্রিটিকে সমস্যা আছে। ছোটো করে লিখি।

    মার্ক্সের মতে পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় দীর্ঘনেয়দে কোনো পণ্যের বিনিময় মূল্য আসলে তার পুনরুৎপাদনের ন্যূনতম খচ্চা। মানে, মলটা আরেকবার বানাতে সবচেয়ে কম যা খচ্চা পড়বে। এর মধ্যে আছে উপাদানের মূল্য প্লাস শ্রমের মূল্য। শর্ট রানে যোগান-চাহিদা অনুযায়ী দাম কম-বেশি হতে পারে, কিন্তু লং রানে এইটাই মূল্য।

    এই একই থিয়োরি মার্ক্স শ্রমশক্তি নামক পণ্যের ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করেন। মজুরি হল শ্রমশক্তির "ন্যূনতম' পুনরুৎপাদনের খচ্চা। শ্রমের "মূল্য' নয়। অর্থাৎ, শ্রম্নিককে কোনোক্রমে খেয়ে পরে বাঁচিয়ে রাখতে, ট্রেনিং দিতে, এবং সন্তান উৎপাদন করাতে যে ন্যূনতম অর্থটা লাগে, সেটাই হল মজুরি।

    এবার এতে বাকি সব একদম নিশ্ছিদ্র। খালি গোলটা হল 'ন্যূনতম' নিয়ে। পুনরুৎপাদনের ক্ষেত্রে কোনটা মিনিমাম, সেটা কে নির্ধারণ করবে? মর্কসের থিয়োরিতে তার কোনো হদিশ নেই। মজা হচ্ছে এই ন্যূনতমটা কিন্তু কনস্ট্যান্ট নয়। একটা উদাহরণ দিই। যখন জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত ধারণা আসেনি, তখন এর হিসেব হত জনস্বাস্থ্য বাদ দিয়ে। এখন এই খরচার মধ্যে জনস্বাস্থ্য ঢুকে গেছে। আবার পশ্চিমে এই "ন্যূনতম' নমক ধরণার মধ্যে এয়ার কন্ডিশনিং আছে, ফ্রিজ-টিভি আছে। তৃতীয় বিশ্বে যেটা অকল্পনীয়।

    আরও অনেক উদাহরণ দেওয়া যায়। কিন্তু মোদ্দা কথাটা হল, মর্কসীয় ক্রিটিকে এই ন্যূনতম ব্যাপরটিকে মোটের উপর ধ্রুবক ধরা হয়েছে। বাস্তবে তা নয়। ফলে মর্কঈয় বিশ্লেষণ নিশ্ছিদ্র না।

    এই "ন্যূনতম' কনসেপ্টটির মধ্যে আসলে অর্থনীতি বাদ দিয়েও অন্যান্য নানা উপাদান ঢুকে আছে। জনচেতনা। স্বাস্থের ধারণা। বিজ্ঞান। সোসাল সায়েন্স। ইত্যাদি। এই ভ্যারিয়েবলগুলো মার্কসীয় থিয়োরির বাইরে। সেটা একটা অ্যাপ্রক্সিমেশন। যেটা কার্যক্ষেত্রে চলতেও পারে, নাও পারে।
  • kallol | 119.226.79.139 | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৫:১৩460197
  • মজুরী নিয়ে নূন্যতম মূল্যের ধারনা এখনও চলে। এই যে ১০০ দিনের কাজের মজুরী, কি দিয়ে ঠিক হচ্ছে? নূন্যতম সময় সময় পাল্টে যাবে নতুন এলিমেন্ট যোগ হবে, কিছু এলিমেন্ট কেটে যেতেও পারে, কিন্তু নূন্যতমটা সেই সময়ের জন্য নূন্যতমই থাকবে।
  • pinaki | 138.227.189.8 | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৭:৫৮460198
  • আমার মতে, এই 'ন্যূনতম'র মধ্যে যেটুকু সুপারস্ট্রাকচারাল কনটেন্ট - সেটার প্রভাব মাত্রাগত, গুণগত নয়। আঞ্চলিকভাবে পুঁজিবাদকে দেখলে এই ফ্যাক্টরটা গুণগত বলে মনে হতে পারে। কিন্তু পুঁজিবাদকে একটা গ্লোবাল সিস্টেম হিসেবে ধরলে এই সুপারস্ট্রাকচারাল কনটেন্টটা মার্ক্সের মূল প্রতিপাদ্যকে খুব একটা সমস্যায় ফেলে না।

    তাইঅ এই পার্টিকুলার ক্রিটিকটা ক্রিটিক হিসেবে ঠিক-ই, কিন্তু গুরুত্বের দিক দিয়ে বিশাল কিছু বলে মনে হয় নি।
  • aka | 168.26.215.13 | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২১:০৬460199
  • এই ওভারপ্রোডাকশনের ব্যপারটা বুঝতে পারি না। মাঝে মাঝে মনে হয় সত্যি আবার মাঝে মাঝে মনে হয় নইলে চলবে কেমন করে?

    যেমন ধরুন ফ্ল্যাট স্ক্রীন ৫২ ইঞ্চির থ্রি ডি দেখা যায় এমন টিভি। কোনো দরকার নেই, আমাদের বাড়িতে একটা ওয়ালমার্টের ৮৫ ডলারের টিভি আছে তাতেই দিব্যি চলে যাচ্ছে। কিন্তু অনেকেই মনে করছে ৫২ ইঞ্চি থ্রিডি দেখা যায় এমন টিভি না হলেই নয়। কেউ তাদের জোর করছে না কিন্তু লোভ বাড়াচ্ছে বিভিন্ন অ্যাড ট্যাড দিয়ে। তা লোভে পা না দিলেই হল। ওদিকে এই নতুন ইনোভেশনের ফলে একটা বিরাট ইন্ডাস্ট্রী তৈরি হয়েছে যেমন থ্রিডি মুভি প্রোডাকশন, যারা ফ্ল্যাট স্ক্রীন টিভি তৈরি করছে তারা ইত্যাদি ইত্যাদি। যদি ফ্ল্যাট স্ক্রীন টিভি নাই থাকবে তাহলে এই লোকগুলোর চাকরির সংস্থান হত কি করে? আবার মনে হয় সত্যি এই লোভে পা দিয়ে কত লোকে যে ক্রেডিটে ডুবে গেল।

    আবার ধরুন দূর্গাপুজো। কোটি কোটি টাকা খরচা করে থিম পুজো করার কি দরকার আছে? কিন্তু যদি না করেন তাহলে পুজো ইন্ডাস্ট্রীর বিরাট ক্ষতি। শুধু থিম ডিজাইনার নয় তারসাথে বহু ছোট খাটো লোকেরও একটা অ্যাসিওরড বাৎসরিক আয় গেল মায়া হয়ে। অন্যদিকে চাঁদার এক্সট্রা চাপ মধ্যবিত্ত ফ্যামিলিতে।

    এইসব আর কি। ঠিক বুঝি না। মানে কনফিউজড আর কি।
  • Sibu | 122.175.11.26 | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২১:২৩460200
  • @aka

    এইখানেই মার্কসের ক্রিটিক। খুব গোল-গোল করে বললে ব্যাপারটা এই রকম দাঁড়ায়। ক্যাপিটালিস্ট চেষ্টা করবে প্রফিট ম্যাক্সিমাইজ করতে। প্রফিট ম্যাক্সিমাইজ করতে হলে প্রোডাকশনের বাকী কম্পোনেন্টস যেগুলো (যেমন লেবার), তাদের পাওনা (অর্থাৎ মজুরী) কমবে। তার ফলে লেবারের ক্রয়ক্ষমতা কমবে। অর্থাৎ ডিম্যান্ড কমবে। তার ফলে উৎপাদন কমবে। শ্রমিকের ক্রয়ক্ষমতা আরো হ্রাস পাবে, ইত্যাদি। এতে একটা ভিশিয়াস সাইকল শুরু হবে।

    এখন মার্কসের মতে ক্যাপিটালিজমের ভেতরে (প্রফিট ম্যাক্সিমাইজেশন চালু রেখে) এই সমস্যার কোন সমাধান নেই। কেইনস সাহেব একটা আপাত সমাধান দিয়েছিলেন। সেটা তখনকার মত কাজও করেছিল। কিন্তু এখন কতটা কি কাজ করবে জানা নেই।
  • Ishan | 117.194.41.67 | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২২:০৭460201
  • কল্লোলদা আর পিনাকির রেসপন্স দুটো আলাদা মাত্রার। সেইগুলো নিয়ে পরে লিখব। আপাতত: সমস্যাগুলো কি কি হয় বলে ফেলি।

    এক। ব্যবহারিক রাজনীতির সমস্যা। ধরুন, পশ্চিমের একজন শ্রমিকের "ন্যূনতম' চাহিদা হল ইউনিভার্সাল হেলথ কেয়ার, বাড়িতে এসি, পরিবারের সকলের জন্য গাড়ি, আর ছেলেপুলেদের জন্য পশ্চিমী মানের শিক্ষা। আর ভারতের একজন শ্রমিকের "ন্যূনতম' চাহিদা হল পরিষ্কার জল, পুষ্টিকর এবং নির্বিষ খাবার, আর ছেলেপুলেদের ভারতীয় ন্যূনতম মানের শিক্ষা। এই দুটো সেটের মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাত। এই দুটো শ্রমিক শ্রেণীর "ন্যূনতম' দাবীদাওয়ার মধ্যেও আকাশ-পাতাল তফাত। আইডিয়ালি। ভারতীয় স্কেলে আমেরিকান শ্রমিক বেশ বড়লোক। ফলে একই বিশ্বে "দুনিয়ার মজদুর এক হও' স্লোগান টাই প্রশ্নচিহ্নের সামনে পড়ে। প্র্যাকটিকাল সেন্সে।

    দুই। আধা দার্শনিক। "ন্যূনতম' চাহিদা যদি অর্থনীতি বহির্ভূত ভাবেই নির্মিত হয়, তাহলে শ্রেণী সংগ্রামের ময়দানের বাইরে, স্রেফ "ন্যূনতম চাহিদা'র ক্ষেত্রটিকে কালটিভেট করেই শ্রমিকদের অবস্থা "উন্নত' করা যায়। মানে সুপারস্ট্রাকচারে যদি আমি জনস্বাস্থ্য নামক ধারণাটির পরিবর্তন ঘটাতে পারি, তাহলেই শ্রমিকের মজুরি বাড়বে। এর জন্য ট্রেড ইউনিয়নের প্রয়োজন নাই।

    তিন। দার্শনিক। সুপার স্ট্রাকচারকে দিয়েই যদি এতটা হয়, তাহলে স্ট্রাকচার-সুপরস্ট্রাকচারের কার্য-কারণ সম্পর্কটাই প্রশ্নচিহ্নের সামনে পড়ে। অর্থৎ সুপরস্ট্রাকচার আর স্ট্রাকচার একে অপরের উপর নির্ভরশীল হয়ে দাঁড়ায়। লিনিয়ার কার্যকরণ সম্পর্কের জায়গায় নিয়ে আসতে হয় স্ট্রাকচর-সুপারস্ট্রাকচরের পারস্পরিক নিয়ন্ত্রণের ধারণাকে। সোজা বাংলায় অর্থনীতি আর একমাত্র "মূল নিয়ন্ত্রক' থাকেনা, অন্যান্য "উপরিকাঠামো'র জিনিসপত্তরও সেই জায়গায় ভাগ বসায়।
  • aka | 168.26.215.13 | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২২:৫৯460202
  • বোলে তো ইয়ে স্ট্রাকচার আর সুপার স্ট্রাকচার কেয়া হ্যায়? মতবল আইডিয়া সমঝপে না আয়ে তো বুঝুঙ্গা ক্যায়সে।
  • aka | 168.26.215.13 | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২৩:২৪460204
  • সমস্ত টেকনলজিকাল জিনিষেরই আগে আবিষ্কার তারপরে তার ডিমান্ড। অন্তত যুগান্তকারী আবিষ্কারগুলোর ক্ষেত্রে তো বটেই।

    যেমন ইলেকট্রিসিটি আবিষ্কার হল তবেই না বাজাজ লাইট হল, তখনই না গ্রামে গ্রামে বিদ্যুতের ব্যবহারের দরকার পড়ল, বিদ্যুত এসে গেলেই দরকার পড়ল ফ্যানের, গরমে কেই বা বাঁচতে চায়। আবার ফ্যান এল বলেই না লোকে এসির কথা ভাবতে পারল, আবার এসির কার্বণ ফুটপ্রিণ্ট মাপা গেল বলেই না এনার্জি এফিশিয়েন্ট হিতাচী বাজারে এল। এবারে ইলেকট্রিক বাল্ব থেকে এনার্জি এফিশিয়েন্ট হিতাচী এসি একি শুধুই প্রফিটের জন্য ওভারপ্রোডাকশন নাকি এর ডিমান্ড ছিলই। কিছু স্মার্ট লোকে বুঝে শুনে কাজে লাগিয়েছে।

    ডিমান্ড না থাকায় বহু আবিষ্কারই জলের অতলে তলিয়ে গেছে যেমন ১৯৩০ সনে লণ্ডনে বাচ্ছাদের জন্য খাঁচা তৈরি হয়েছিল।


    In the 1930s, London nannies lacking space for their young ones resorted to the baby cage. It's exactly what it sounds like: a creepy wire contraption, patented in the U.S. in 1922, that lets you claim that space outside your city window for your infant. Risky? Maybe, but so convenient. How sweet; how sick.


    কথা হল ওভারপ্রোডাকশন অবশ্যই আছে যেমন টেক্সট বুক, ফি বছর একটা করে ওয়ার্ড বদলে নতুন এডিশন বানায়। আর ছাত্তরদের প্রতি বছর নতুন বই কিনতে হবে, হবেই হবে। কিন্তু সেটা রুখতে গেলে আবার ইলেকট্রিসিটি টু এনার্জি এফিশিয়েন্ট হিতাচী জার্নিতে কি কেলো হয় কে জানে। বস্তুত প্রশ্ন হল মার্ক্সের এই ওভারপ্রোডাকশনের থিওরি তে যে জেনারাইলাইজেশন রয়েছে সেটা কতটা ঠিক?
  • D | 94.99.32.174 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০১:২৩460205
  • আমি মার্ক্সবাদের কোন পণ্ডিত নই, নিতান্তই এ নিয়ে সামান্য কিছু পড়া ফেসবুক পাবলিক। কিন্তু কোথাও এ ব্যাপারে কিছু আলোচনা শুনলে বা পড়লে আর নিরপেক্ষ থাকতে পারি না। কিছু মত দিতে ইচ্ছে করে। আর এ যখন খোলা খাতা তখন মনে হয় লেখা যেতেই পারে। পড়া না পড়া আপনাদের ব্যাপার।

    প্রথম কথা, মার্ক্সবাদ যেটুকু পড়েছি তাতে আমার একে কখনও কোন combine theory বলে মনে হয়নি। বরং আমার মনে হয়েছে সচ্ছন্দে একে দু ভাগে ভাগ করা চলে। রাষ্ট্রের উৎপত্তি ও রাষ্ট্রগত মার্ক্সীয় তঙ্কÄ ও অর্থনীতির বিবর্তন ও সেই সংক্রান্ত মার্ক্সীয় তঙ্কÄ। আমরা এই দুটি তঙ্কÄকে আলাদা আলাদা ভাবে বিচার করতে পারি।

    এখন যে কোন তঙ্কÄকেই বিচার করতে বসলে একটি মাপদণ্ড সামনে রাখতেই হয়। এ ছাড়া কোন বিচার সম্ভব নয়। তো এই ক্ষেত্রে কোন মাপদণ্ড সামনে রাখব? আমার মনে হয় যেহেতু মার্ক্সের রাষ্ট্রবাদ একটি সামাজিক বিবর্তনের মতবাদ সেইহেতু প্রাচীনকাল থেকে আজ পর্যন্ত মানুষের সামাজিক বিবর্তনকে মানদণ্ড হিসেবে সামনে রাখতে পারি।

    প্রাচীনকাল থেকে আজ পর্যন্ত যদি মানুষের সামাজিক বিবর্তনের হিসেব ধরি তাহলে দেখা যাবে মানুষ একক জীব থেকে ধীরে ধীরে সংঘবদ্ধ সামাজিক জীবে পরিণত হয়েছে।

    সভ্যতার প্রথম পর্ব থেকেই মানুষ সমাজ গড়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছে। তাই প্রথমেই গড়ে উঠেছিল ছোট ছোট সমাজ। কিন্তু মানুষ দেখেছিল এই ছোট সমাজ মানুষ নামক জাতিকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দিতে সক্ষম নয়। তাই কয়েকটি সমাজ একত্র হয়ে গঠন করেছিল গ্রাম। এবং এই গ্রাম গঠনের পরে একসঙ্গে দুটি ব্যাপার হয়েছিল, সামাজিক প্রেক্ষাপটে যার গুরুত্ব অপরিসীম। প্রথমত: গ্রামের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে গ্রামের কয়েকজনকে নিয়ে তৈরি হয়েছিল প্রথম এক সার্বজনিক সংস্থা, যা রাষ্ট্র ব্যবস্থার প্রথম ধাপ। এবং সেই সংস্থার প্রধান ব্যক্তির রাষ্ট্রের (এখানে গ্রামের) ও তার জনগণের ওপর মালিকানাবোধ, যা পরে অন্য তঙ্কেÄর জন্ম দেয়।

    গ্রামের উদ্ভব হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ দলগতভাবে লড়াই করার সুবিধে প্রথম বুঝতে পারল। আর সেই সঙ্গে অন্য গ্রামের দখলদারী নেওয়ার ইচ্ছেও তার মধ্যে আসল। এটা যে শুধু আগ্রাসী মনোভাবের প্রকাশ, তা নয়। নিরাপত্তাজনিত অভাববোধ থেকেও এই ইচ্ছে আসতে পারে। তো এই ভাবে গ্রাম থেকে অঞ্চল, অঞ্চল থেকে রাজ্য, এবং রাজ্য থেকে রাষ্ট্রের উৎপত্তি।

    মার্ক্সীয় তঙ্কÄ আসার আগে পর্যন্ত এই ছিল মানুষের জানা কোন এলাকার সর্বোচ্চ সীমা, দেশ বা রাষ্ট্র। এবং যে কোন form এই মানুষ এই রাষ্ট্রীয় শক্তির প্রভুত্ব মেনে নিয়েছিল। মার্ক্সই আমার জানা প্রথম ব্যক্তি যিনি এই রাষ্ট্রের ধারণার চেয়েও বড় কোন ধারণার জন্ম দিলেন। "যেথা গৃহের প্রাচীর/আপন প্রাঙ্গনতলে দিবস শর্বরী/ বসুধারে রাখে নাই/ ক্ষুদ্র খণ্ড করি"। শুধু রাষ্ট্রীয় শক্তি নয়, সম্পুর্ণ রাষ্ট্রব্যবস্থার বিলোপ। তার বদলে এক বৃহত্তর সমাজ ব্যবস্থা। শুধু তাঙ্কিÄক নয়, এর ফলিত আলোচনা এবং সেই সমাজ ব্যবস্থার রূপরেখাও এঁকে দিলেন মার্ক্স।

    রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার পরে এটাই ছিল খুব স্বাভাবিক পরবর্তী সামাজিক বিবর্তন। মানুষের united হওয়ার পরবর্তী পর্যায়। রাষ্ট্রহীন বিশ্বের ধারণা। ঐতিহাসিক ঘটণা পরম্পরার বিশ্লেষণও সেদিকেই ইঙ্গিত করে। কিন্তু প্রশ্ন হল যদি এটাই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হয় তবে তা ঘটল না কেন। এর কারন হল মার্ক্সের অর্থনৈতিক তঙ্কÄ। এবং ফলিত অবস্থায় রাষ্ট্রীয় ও অর্থনৈতিক তঙ্কেÄর সংশ্লেষনের প্রচেষ্টা।

    সভ্যতার প্রথম থেকে মানুষ তার নিজস্ব সম্পদের মালিকানায় বিশ্বাস করে এসেছে ও যোগ্যতম মানুষ তার নিজের যোগ্যতায় ই যোগ্যতম হয়েছে। মানুষও এই পৃথিবীরই এক জীব এবং survival of fitest তঙ্কÄটি তার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। মার্ক্স এই সহজ স্বাভাবিকতাকে অস্বীকার করতে চেয়েছেন তাঁর অর্থনৈতিক তঙ্কেÄ। যার ফলে জন্ম নিয়েছে শ্রেণীবাদ। মালিক ও শ্রমিক শ্রেণী, শোষক ও শোষিত শ্রেণী, ধণাঢ্য ও দরিদ্র শ্রেণী। ও শুরু হয়েছে তার বিবাদ।

    এই শ্রেণীবিভাগ সমাজে বহু আগে থেকেই ছিল। কিন্তু উত্তরণও ছিল। বহু শ্রমিক, শোষিত, দরিদ্র শ্রেণীর যোগ্য মানুষ নিজের যোগ্যতায় নিজেদের উত্তরণ ঘটিয়েছেন, আবার ঠিক এর উল্টোটাও প্রযোজ্য। কিন্তু বিবাদ কখনো ই ভয়ঙ্কর রূপে আসেনি। যে দ্বন্দের সৃষ্টি হল মার্ক্সবাদের ফলিত প্রয়োগের ফলে। মার্ক্সবাদের সাময়িক সাফল্যে এর ব্যবহারিক রূপকে সংস্কারের কথাও কেউ ভাবলেন না। তাই দীর্ঘমেয়াদী ব্যবস্থায় এর পতন অবসম্ভাবী হয়ে পড়ল। মানুষের ভেতরকার instinct এই অর্থব্যবস্থা মেনে নিতে পারেনি আর পারবেও না। সে তার স্বাভাবিক স্রোতে ফেরার চেষ্টা করবেই। আমার মতে এই হল মার্ক্সবাদের অসাফল্যের মূল কারন।

    সামাজিক দিক দিয়ে এখনও এর গুরুত্ব অপরিসীম ও সময়ের থেকে অনেক এগিয়ে। কিন্তু অর্থনৈতিক দিক দিয়ে এই তঙ্কÄকে আমার কাল্পনিক বলেই মনে হয়েছে।
  • pinaki | 122.164.170.24 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০২:০৬460206
  • ঈশানকে:

    ১) এই পয়েন্টটা এই মুহুর্তে সত্যি। কিন্তু গোটা বিশ্বজুড়ে পুঁজিবাদের সেরকম মারত্মক সংকট শুরু হলে আম্রিকা থেকে ভারত সর্বত্রই শ্রমিকের নিজ নিজ জায়গার ন্যূনতম চাহিদা পুঁজিবাদ পূরণ করতে পারবে না। ঐক্যের জায়গাটা সেখান থেকে তৈরী হতেই পারে। এটা গেল ব্যবহারিক কথা। তঙ্কেÄর দিক থেকে বেশী মজুরীর দাবী বা একটু ভালো থাকার দাবী আর ব্যবস্থা বদলের দাবী এক নয়। দুনিয়ার মজদুরের ঐক্যের প্রশ্নটা ঐ ব্যবস্থা বদলের অ্যাঙ্গেল থেকে দেখা উচিৎ। মজুরী বাড়ানোর যে ট্রেড ইউনিয়ন দাবী তা দেশ কাল ভেদে আলাদা হবেই। এবং সেটায় অনেকাংশেই সুপারস্ট্রাকচারের প্রভাব থাকবেই। কিন্তু শ্রমিকরা মজুরী বাড়ানোর দাবী করতে করতেই ক্লাস ফর ইটসেল্ফ তো হয়ে ওঠে না। এটা নিয়ে লেনিনের খুব স্পষ্ট অলোচনা আছে। ক্লাস ফর ইটসেল্ফ হয়ে ওঠার পূর্বশর্ত 'বাইরে থেকে' চেতনা নিয়ে যাওয়া। শ্রমিকশ্রেণীর মধ্যে বস্তুগত ভাবে সেই চেতনাকে গ্রহণ করার উপাদান রয়েছে বলেই সে ক্লাস ফর ইটসেল্ফ হয়ে ওঠার সম্ভবনাটাও একই সাথে বহন করে। একটা হাতে গরম উদাহরণ দেওয়া যায়। আম্রিকায় রিসেশন হলে আম্রিকায় যেমন বেকারি বাড়ে, ভারতেও ছেলেপুলে চাকরি পায় না - এই ঘটনা ২০০১ এ দেখা গেছে। এরকম একটা ফেজ যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, সেক্ষেত্রে ভারতের শ্রমিক আর আম্রিকার শ্রমিক বাইরে থেকে নিয়ে যাওয়া 'চেতনা' - অর্থাৎ কিনা তাদের নিজেদের নিজ নিজ জায়গায় ভালো থাকার জন্য এই ব্যবস্থাটাকেই আসলে বদলাতে হবে - এই বক্তব্যকে তারা গ্রহণ করার জায়গায় থাকতেই পারে। আর সেটার উপর বেস করেই দুনিয়ার মজদুর এক হতে পারে।

    আমার মোদ্দা কথাটা হল - ব্যবস্থা বদলের দাবীটাই তো চেতনাগত। বস্তুগত নয়। বস্তুগত ভিত্তিটা এটুকুই যে বিশ্বপুঁজিবাদের চরিত্র অনুযায়ী এর কাঠামোর মধ্যে সমস্ত শ্রমিকের পক্ষে একই সাথে তাদের ভালো থাকাকে সুনিশ্চিত করা সম্ভব নয় - ব্যবস্থাকে না বদলে। আগের সমস্ত ব্যবস্থার সাথে পুঁজিবাদের এটাই গুণগত পার্থক্য। আগের সমস্ত সমাজ তার নিজের কাঠামোর মধ্যেই পরবর্তী ব্যবস্থাটার জন্ম দিয়েছে। পুঁজিবাদ সেটা পারে না। কাজেই পুঁজিবাদের মধ্যেই বেশ একটা অন্য উন্নততর সমাজের ছবি দেখা যাচ্ছে আর শ্রমিকশ্রেণী পালে পালে সেই সমাজ তৈরীর জন্য ঝাঁপ মারছে - এরকম হওয়ার কোনো চান্স নেই। পরিবর্তিত ব্যবস্থার ছবিটা একটা সচেতন নির্মাণ। পুঁজিবাদ সেই নির্মাণের একটা পটভূমি দেয় - এইটুকুই। সমাজ বদলের চেতনাটা যদি কখনো একটা কালেক্টিভ চেতনা হিসেবে ইমার্জ করে - তখনই একমাত্র শ্রমিক শ্রেণী একটা গ্লোবাল হোমোজিনিয়িটি দেখাবে। তার আগে অব্দি 'দুনিয়ার মজদুর এক হও' টা একটা আহ্বান। বাস্তবতা নয়। আহ্বানটা রাখছে কারা? না যারা এই ব্যবস্থা বদলের চেতনাটা ধারন করছে আর বাকী শ্রমিকদের কাছে 'বাইরে থেকে' সেই চেতনাটা নিয়ে যেতে চাইছে। সচেতন ভাবে। অর্থাৎ এখানে উপরিকাঠামো থেকে কাঠামোর দিকে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু এর সাথে মজুরী বাড়ানোর দাবীর মধ্যে যে উপরিকাঠামোগত উপাদান, সেটাকে এক করে দেখা ঠিক নয় বলে আমার মনে হয়। দুটো পুরোপুরি আলাদা ব্যাপার।

    ২) প্রথম দু লাইনে একমত। কিন্তু লাস্ট লাইনটা কোদ্দিয়ে এল? স্বাস্থ্যবীমা তো মজুরীরই পার্ট, আর সেটা ট্রেড ইউনিয়নের দাবী। ট্রেড ইউনিয়ন তো এই ব্যবস্থার মধ্যে শ্রমিকের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের জন্য যা যা করা দরকার সবই দাবী করবে। সেটাই তো ট্রেড ইউনিয়নের কাজ। কিন্তু প্রশ্ন হল পুঁজিবাদ কি তার গ্লোবাল কাঠামোর মধ্যে অতি উৎপাদনের সংকটকে সামাল দিয়ে সমস্ত অঞ্চলের শ্রমিকদের তাদের নিজের নিজের এলাকার জীবনধারণের জন্য যা ন্যূনতম প্রয়োজন (সুপারস্ট্রাকচারকে মাথায় রেখেই) - সেটা দিয়ে চলতে পারে? যদি পারে - তাইলে তো মিটেই গেল। ব্যবস্থা বদলের দাবীর কোনো প্রয়োজনই নেই। শুধু ট্রেড ইউনিয়্‌ন করতে হবে আর তার দাবী দাওয়ার লিস্টে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, এল সি ডি, প্লাজমা - এসব ঢুকিয়ে চলতে হবে। ওয়ান বাই ওয়ান। ব্যাপারটা কি তাই?

    ৩) এই পয়েন্টটার সাথে পুরোপুরি একমত। কিন্তু সেটা ন্যূনতম মজুরীর মধ্যে কি উপরিকাঠামোগত উপাদান আছে - তার জন্য আমাকে উপরিকাঠামোকে মাথায় তুলতে হবে - তা নয়। কারনটা তার চেয়ে গুরুতর। এর আগেই আমি সেটা লিখেছি। ব্যবস্থা বদলের দাবীটাই উপরিকাঠামোগত। কাঠামো তাকে একটা পটভূমি দেয় - এই পর্যন্ত। আর দ্বিতীয়ত: কাঠামো উপরিকাঠামো দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার গুণটুকু বহন করে। আমি প্রচুর মার্ক্স পড়ে উল্টে দিয়েছি - এমন নয়। কাজেই মার্ক্স কিভাবে ভাবতেন - সে নিয়ে কমেন্ট করব না। কিন্তু মার্ক্সবাদী প্র্যাকটিসে 'কাঠামো উপরিকাঠামোকে নির্ধারন করে' - এই ঝোঁকটা প্রচন্ডই প্রবল। সেখানে দ্বান্দিক সম্পর্ক - ইত্যাদি খুব একটা আলোচনায় আসে না। যে কারণে 'পুঁজিবাদের অনিবার্য পরিণতি সমাজতন্ত্র' - এভাবে একটা হিস্টরিসিস্ট ভাবনাকে নিয়ে চলা হয়। সমাজতন্ত্র হোক কি হট্টমালা - সেখানে যে চেতনার একটা নির্ণায়ক ভূমিকা - সেটা আলোচনায় থাকে না।
  • Sibu | 122.175.11.26 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৬:১৩460207
  • @aka

    তোমার লেখাটা পড়ে মনে হচ্ছে ওভার-প্রোডাকশন কথাটা আমি ঠিকমত বুঝিয়ে বলি নি। ওভার-প্রোডাকশন একটা টেকনিক্যাল টার্ম, যার অর্থ হল প্রোডাকশনকে ব্যাক করার মত এফেক্টিভ ডিম্যান্ড নেই। এর মানে হল প্রোডাকশন কিনে নেবার মত পয়্‌সা কনজিউমারের পকেটে নেই। এর সাথে প্রোডাকশনের ইউটীলিটি ভ্যালুর কোন সম্পর্ক নেই।

    ওভার প্রোডাকশনের মহামারী ব্যাখ্যা করতে গিয়ে (সম্ভবত: সইফুদ্দিন চৌধুরীর) একটা ক্লাসে একটা খুব ভাল উদাহরন শুনেছিলাম। এটা আম্রিকার ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া অঞ্চলের গল্প (সেই যেখানে কয়লা খনিগুলোতে মাঝে মাঝেই অ্যাক্সিডেন্ট হয়)। এক কয়লা শ্রমিকের বাড়ীতে ছেলে শীতে কাঁদছে - মা আগুন জ্বালাও। মা জানল বাড়ীতে কয়লা নেই। কেন কয়লা নেই? বাবা লে-অফ হয়ে গেছে। কেন বাবা লে-অফ হয়েছে? কোম্পানীর ঘরে অনেক কয়লা জমে আছে, কেনার লোক কম।

    গল্প গলপই। কিন্তু এই গল্পটা দুটো কনসেপ্ট ইলাসট্রেট করছে। একটা ওভার-প্রোডাকশন। কয়লার ইউটিলিটি ভ্যালু নিয়ে কোন দ্বিমত নেই। কিন্তু এক্ষেত্রে এফেক্টিভ ডিম্যান্ড কম। তাই শ্রমিকের চাকরি নেই। সুতরাং এফেক্টিভ ডিম্যান্ড আরো কম।

    অন্য কনসেপ্টটি হল মার্কসীয় অ্যালিয়েনেশনের ধারনা। শ্রমিক ও উৎপাদনের মধ্যে অ্যালিয়েনেশন। কিন্তু সে আলোচনা এখা নয়।

    এখন কথা হল এই ওভার প্রোডাকশনের ব্যাপারটা কতটা সত্যি। সেটা হল গিয়ে ঐ যাকে বলে মিলিয়ন ডলার কোচ্চেন। সেটা নিয়ে তুমি ইন্টারেস্টেড থাকলে কথা বলা যেতেই পারে।
  • Sibu | 122.175.11.26 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৬:৪২460208
  • D একটা ইন্টারেস্টিং কথা তুলে ধরেছেন। উনি বলেছেন মানুষ মূলত: ইনডিভিজুয়ালিস্ট। সুতরাং ক্যাপিটালিস্ট ক্রাইসিস সলভ করার জন্য মার্কসের ইকনমিক প্রেসক্রিপশন ব্যর্থ হতে বাধ্য (ঠিক কইলাম কি?)। এটা নিয়ে আলোচনা করার ইচ্ছে আছে। কিন্তু তার আগে aka-র সাথে কথাটা সেরে নিতে চাই। আপিস সামলে একাধিক থ্রেডে অংশ নেওয়া খুব মুশকিল।
  • aka | 75.76.118.96 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৮:০২460209
  • কিন্তু এরকম প্রোডাকশন তো হয় না। সেইজন্যই তো ফোরকাস্টিং ইত্যাদি লোকে কাজে লাগায়। দুগ্গা পুজো বা ১লা বৈশাখে পাজামা বেশি বিক্রি হয় আর সেইসময়ে সাপ্লাই চেনের সবাই চাট্টি বেশি ইনকাম করে। এই করে তো কত স্ট্যাটিস্টিশিয়ান করে খাচ্ছে।

    যদি মার্কেট অ্যানালিসিস করে দেখা যায় কয়লার দরকার নেই তাহলে ব্যবসা তুলে দেবে বা অন্য কোন ব্যবসা শুরু করবে। যারা কয়লা কারখানায় কাজ করছিল তারা এখন তাঁত বুনবে। কেউ কেউ পারবে না তাদের কি হবে সে অন্য বিতর্কের বিষয়। তাই তো হয়েছে, যেমন গঙ্গার দু তীরে জুটমিল গুলো উঠে গেছে। কিন্তু অন্যদিকে ভ্যান হুসেনের শার্ট বিক্রির একটা সাপ্লাই চেন শুরু হয়েছে।
  • Sibu | 74.125.63.33 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৮:২৭460210
  • ঠিক কথা, একটা বা দুটো জিনিষের চাহিদা কমে গেলে সেই জিনিষগুলো কম প্রোডিউস করে অন্য জিনিষের প্রোডাকশন বাড়ালেই চলে। কিন্তু মার্কসীয় থিওরীর পয়েন্ট হল যখন ম্যাক্রো স্কেলে ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পায়, সেই পরিস্থিতি নিয়ে। অর্থাৎ, তাঁতের কাপড়ের বদলে টেরিলিনের শার্টের চাহিদা বেড়েছে, এমন নয়। সাধারনভাবে (ওভারঅল) ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। সেক্ষেত্রে ইকনমি একটা লোয়ার লেভেলে অপারেট করবে। কিন্তু মার্কসের থিওরী হল এই লোয়ার লেভেল স্টেবল ইকুইলিব্রীয়াম হবে না। ইকনমি লোয়ার লেভেলে গেলে এমপ্লয়মেন্ট/ওয়েজ আরো কমবে। তখন ইকনমি আরো লোয়ার লেভেলে অপারেট করতে শুরু করবে।

    এখন এরকম সত্যি ঘটে/ঘটবে কিনা সে নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। কিন্তু সেখানে একটা কথা মনে রাখা দরকার। মার্কসের থিওরী সবই ম্যাক্রো লেভেলে, পুরো দেশের ও পৃথিবীর ইকনমি নিয়ে। মাইক্রো লেভেলে (ইনডিভিজুয়াল, ফার্ম, বা সেক্টর) মার্কসের খুব একটা কথা নাই। আর আমার মাঝে মাঝে মনে হয়, এখন জন্মালে মার্কস তার থিওরীগুলি প্রোব্যাবিলিস্টিক ফ্রেমওয়ার্কে লিখতেন।
  • kc | 178.61.96.29 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৮:৪২460211
  • শিবুদার লাস্ট লাইনটা লাইকালাম।
  • aka | 75.76.118.96 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১০:৫০460212
  • আর আমার এখন মনে হয় মার্ক্স রিভোলিউশনারি এবং বিপ্লব কতটা দরকার তা প্রমাণ করতে গিয়ে বহুলাংশেই জল ঢুকে গেছে, মানে বেসিকালি বায়াসড।

    একটু বলি কি ভাবছি, বাকিটা কাল আজ অনেক রাত হল।

    ধরা যাক রেট অফ প্রফিট (p) > রেট অফ ইন্টারেস্ট (i)।

    যতক্ষণ p>i ততক্ষণ কোম্পানি ইনভেস্ট করতে থাকবে। যত বেশি ইনভেস্টমেন্ট তত বেশি এমপ্লয়মেন্ট, যত বেশি এমপ্লয়মেন্ট তত বেশি ডিমান্ড বাড়বে অ্যাটলিস্ট কনসাম্পশন গুডসের ডিমান্ড বাড়বেই বাড়বে। এইভাবে আস্তে আস্তে চেইন রিঅ্যাকশনে সমস্ত কিছুরই ডিমান্ড বাড়বে। তাইত ফেড এখনও ইন্টারেস্ট রেট প্রায় শূন্যর কাছাকাছি রেখেছে। এবারে এটা এই অ্যাসাম্পশনের ওপর দাঁড়িয়ে আছে যে রেট অফ প্রফিট ইনভেস্টমেন্টের সাথে ইন্ডিপেন্ডেন্ট। যদি ইনভেস্টমেন্ট বাড়লে রেট অফ প্রফিট কমত তাহলে কিন্তু এটা কাজ করত না। কারণ সেক্ষেত্রে কোম্পানি একসময়ে ইনভেস্ট করা বন্ধ করে দিত। মার্ক্স যাকে ল অফ ফলিং রেট অফ প্রফিট বলেছেন। এবং এতদিনে প্রমাণিত উহা বিশেষ কাজের কিছু না।

    মার্ক্স যাকে ক্রাইসিস বলেছেন কেইনস তাকেই রিসেশন সাইকেল বলেছেন। ইতিহাস আপাতত কেইনসের পক্ষে ভীষণভাবে ঝুঁকে।
  • Sibu | 74.125.63.33 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১১:৫৯460213
  • তোমার যুক্তিতে দুটো ফাঁক আছে।

    ১। যত বেশী ইনভেস্টমেন্ট তত বেশী এমপ্লয়মেন্ট কথাটা পুরোপুরি ঠিক না।

    ২। তাচ্চেয়েও বড় কথা এই অ্যাডিশনাল এমপ্লয়মেন্ট থেকে অতিরিক্ত প্রোডাকশন কেনবার মত এফেক্টিভ ডিম্যান্ড তৈরী হবে কিনা। অর্থাৎ ধর প্রোডাকশন ১০০ ইউনিট বাড়ল, কিন্তু এফেক্টিভ ডিম্যান্ড (ক্রয়ক্ষমতা) এই ১০ ইউনিট মত বাড়ল। তাহলে ব্যাথা।

    আর একটা কথা। এতদিনে উহা প্রমানিত, ইতিহাস কার দিকে ঝুঁকে, এগুলো অ্যাকাডেমিক আলোচনাতে না আসাই উচিৎ। প্লীজ রেজিস্ট দ্যাট আর্জ।
  • kallol | 119.226.79.139 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১২:২০460215
  • শিবুর সাথে একমত।
    এককালে বিনিয়োগের সাথে শ্রমের বেড়ে চলার একটা প্রায় সমান সম্পর্ক ছিলো। আজ আর তা নেই।
    ফলে যে পরিমানে শ্রম বাড়ছে উৎপাদন বাড়ছে তার অনেক বেশী।
    এই যায়গা থেকেই কাজের ঘন্টা কমানোর কথা আসছে।
  • D | 89.147.0.175 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৩:১১460216
  • sibu, ঠিক কইছেন! এটাই আমার অভিমত। মানুষ সর্বদা ইণ্ডিভিজুয়ালকেই প্রজেক্ট করতে ভালোবাসে। এবং সবথেকে ভালোবাসে নিজেকে প্রজেক্ট করতে (দু:কেষ্বনুগি্‌দগ্নমনা সুখেষু বিগতস্পৃহ মহাপুরুষদের বাদ দিলাম এই লিষ্টি থেকে)। শুধু মানুষ কি, সব প্রাণীই বোধহয় তাই। আর এখানেই দাঁড়িয়ে আছে survival of fitest theory। মার্ক্স সাহেব তাঁর অর্থনৈতিক তঙ্কেÄ এই থিওরীকেই অস্বীকার করতে চেয়েছেন বলে আমার মনে হয়েছে।
  • abastab | 61.95.189.252 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৩:৫৬460217
  • এই বারে আমিও কিছু বলব। আমার মনে হয় survival of fitest এক পাশবিক জিনিস। মানুষের সমাজে আনফিটদের-ও জায়গা হওয়ার কথা। নইলে আমার ভারী সমস্যা।
  • Sibu | 74.125.63.33 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৪:৪৬460218
  • @D

    আকার সাথে আলোচনা সেরে আমি আপনার সাথে আলোচনা করব। এর মধ্যে http://en.wikipedia.org/wiki/Social_Darwinism একবার একটু দেখে নিন প্লীজ। যদি এর মধ্যেই দেখে থাকেন তো পুরনো রেফারেন্স দেবার জন্য দু:খিত।
  • D | 89.147.0.172 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৪:৫৫460219
  • হতে পারে পাশবিক, কিন্তু প্রাকৃতিকও। মানতে না পারি, কিন্তু অস্বীকার করতে পারি না। মানুষের সমাজও কি এই তঙ্কেÄর ওপরেই দাঁড়িয়ে নেই? যে যার নিজের মতো করেই তো টিকে থাকার লড়াই চালাচ্ছে। একদমই individual। রাস্তার ভিখিরি থেকে মুকেশ আম্বানি, সবাই।
  • pinaki | 138.227.189.8 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৫:১৯460220
  • আকার বক্তব্য প্রসঙ্গে একটা কথা:
    রিসেশন এর সাইকেল চলতে থাকবে নাকি সেই মহামন্দা এসে পড়বে - যা থেকে পুঁজিবাদ বেরোতে পারবে না - এই তর্কটা আমার মতে অর্থহীন। কারণ দুটো: ১) যেকোনো ম্যাক্রো লেভেলে স্টাডি তে কখনই সব ফ্যাক্টর আগে থেকে জেনে ফেলা সম্ভব নয়। তাই এই নিয়ে ফাইনাল কমেন্ট দেওয়া মানে জ্যোতিশীগিরি করা। ২) ইন এনি কেস, আমার আগের বক্তব্যে আমি লেখার চেষ্টা করেছি - বিকল্প ব্যাপারটা সব সময়েই একটা সচেতন নির্মাণ হতে হবে। কাজেই সেটা রিসেশন এর সাইকেলের মাঝে হবে নাকি মহামন্দা এলে তবে হবে - এই আলোচনার কোনো মানে হয় না।

    সহজ কথা হল - পুঁজিবাদের একটা গভীর অসুখ আছে। সেই অসুখ যত তীব্রতায় মানুষকে অ্যাফেক্ট করবে সেই রোগের ওষুধ খাওয়ার বা আবিষ্কার করার প্রতি মানুষের আগ্রহও বাড়বে। কিন্তু ওষুধ খোঁজার চেষ্টাটা সব সময়েই থাকবে। পুঁজিবাদের প্যারাডাইমের মধ্যে দাঁড়িয়েও লোকে খুঁজবে, সেই প্যারাডাইমের বাইরে বেরিয়েও খুঁজবে।
  • kallol | 119.226.79.139 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৫:২১460221
  • শুধু যোগ্যতমরাই যদি টিঁকে থাকতো, অন্যেরা মুছে যেতো, তবে তো পৃথিবীতে আর কোন গরীব থাকতো না, সব মরেই যেতো কবে, শুধু আম্বানীরাই বেঁচে থাকতো।
  • D | 89.147.0.172 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৫:৩৬460222
  • কল্লোল,

    না, না। মরে যাবে কেন? অন্যান্য প্রাণী দের ক্ষেত্রে টিকে থাকার লড়াইটা সত্যিই জীবনযুদ্ধ। কিন্তু যেহেতু মানুষকে টিকে থাকার জন্য অন্তত: এই বেঁচে থাকার লড়াইটা লড়তে হয় না, তাই এই লড়াই, অর্থনৈতিক ভাবে এগিয়ে যাওয়ার লড়াই। আমি আমার ব্যয়ের চাইতে বেশী আয় করার চেষ্টা করব, এটাই স্বাভাবিক এবং উদ্বৃত্তের সঞ্চয় করব। প্রাচীন কাল থেকে, যখন মানুষ পশু মেরে মাংস খেত তখন থেকেই এই ব্যবস্থা চলে আসছে। বেঁচে যাওয়া অংশের সঞ্চয়। নিজের জন্য। নিজের পরিবারের জন্য। মার্ক্স এই "নিজের" ধারনাকে বদলাবার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু আমার মনে হয়েছে এটা natural instinct। এবং জে বেশী জোগ্য তার সঞ্চয়ও বেশী। তাই এ বোধহয় বদলানো সম্ভব নয়।
  • D | 89.147.0.172 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৫:৪২460223
  • জে=যে
    জোগ্য= যোগ্য
  • ranjan roy | 14.97.252.0 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৬:১২460224
  • D,
    প্রবলেমটা বোধ হয় এমন লিনিয়ার নয়। পশুরাজ নিজের বেঁচে থাকার আবশ্যক জিনিস গুলি একার প্রচেষ্টাতেই জোগাড় করতে পারে। কিন্তু মানুষ পারে কি? এই একক ভালভাবে বেঁচে থাকার জন্যেও আমরা মানবগোষ্ঠীর সমষ্টিগত প্রয়াসের মুখাপেক্ষী। সেজন্যেই ব্যক্তি মানুষ নিজে আরো একটু ভালো ভাবে বাঁচবে বলেই গোষ্ঠিবদ্ধ হচ্ছে, ট্রেড বা অন্য ইউনিয়ন বানায়।
    মনে হয় না মার্ক্স ডারউইনকে গোড়া থেকেই নস্যাৎ করেছেন। বরং মার্ক্সের ""ম্যানিফেস্টো'তে শ্রেণীসংগ্রামের তঙ্কÄ ডারউইনের তঙ্কেÄর মাইক্রো লেভেল থেকে ম্যাক্রো লেভেলে প্রয়োগ নয় কি? অবশ্যি হেগেলের ডায়লেক্টিক্স কে মার্কস যেমন ব্যবহার করেছেন--একেবারে উল্টে ফেলে!তেমনি--।

    @ আকা, শিবু,পিনাকী, ঈশান,ডি,কেসি,কল্লোল ও অন্যেরা,
    এমন চমৎকার আলোচনা হচ্ছে যে কোন কথা হবে না। কিন্তু এগুলোকে এই টই থেকে বের করে নিয়ে একটি আলাদা টই( ধরুন মার্ক্সের ক্রিটিক ও বর্তমান পুঁজিবাদ গোছের) খুলে করলে হয় না? কাশ্মীরকে ছাড়ান দিয়ে? ঈশান কি বলেন?

    আকা চমৎকার ভাবে মূল প্রশ্নটি তুলে ধরেছেন--- মার্ক্সের ক্রিটিক অফ ক্যাপিটালিজম আজ কতটুকু প্রাসংগিক? কোন কোন বিন্দুতে? অন্যেরা প্রস্থানবিন্দুগুলো তুলে ধরছেন। শিবু মূলত: ক্ল্যাসিক্যাল মার্কসবাদকে ডিফেন্ড করছেন চমৎকার ভাবে।
    এটা খেয়াল রাখা ভাল কেইনস্‌ শুধু শর্ট টার্ম নিয়ে ভাবিত ছিলেন।in the longrun, we are all dead-ওনার পছন্দসই কথা। জোয়ান রবিনসনের মতে কম্পারেটিভ স্ট্যাটিক্স।
    আর মার্ক্সের ভাবনা ছিল ডায়নামিক্স অফ ক্যাপিটালিজম নিয়ে। ফলে তুল্যমূল্য বিচার কঠিন। তবে যদ্দূর মনে পড়ছে ১৯৭০ কি ৭১ এ input-output analysis এর আবিষ্কর্তা লিয়নটিয়েফ নোবেল প্রাইজ পাবার পর চিন ঘুরে এসে ওদেশের অর্থনীতি নিয়ে বক্তৃতায় মার্ক্সের ক্যাপিটাল সম্বন্ধে বলেছিলেন- a brilliant analysis of dynamics of capitalist economy.

    আচ্ছা, কেউ ""গ্রুন্ডিশে'' পড়েছেন নাকি? আমি কোথাও পাইনি। আমার কেমন মনে হচ্ছে যে আমরা এখন যে ধরণের আলোচনার দিকে যাচ্ছি তাতে মার্ক্সের আর্থ-সামাজিক নীতির ব্যাখ্যায় অতিসরলীকরণের ঝোঁক সামলাতে ওনার ""গ্রুন্ডিশ'এর উপপাদ্যগুলো কাজ দেবে।
    আর শিবু ও আকাকে অনুরোধ: যদি আমেরিকার বইয়ের দোকানে কোথাও পিয়েরো স্রাফার Production of Commodities by Means of Commodities বইটি পান, জানাবেন। আমি কিনতে আগ্রহী। এতে ক্যাপিটালের ট্রান্সফর্মেশন প্রবলেম অন্য ভাবে সলভ্‌ করা আছে শুনেছি।
  • Sibu | 74.125.63.33 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৬:৩৩460226
  • স্রাফার বইটি পাওয়া যায়। কিন্তু সেলার ভারতে ডাইরেক্টলি মেল করে না। আমাজনে ইউজড বই ৮৯ ডলার বলছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ মতামত দিন