এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • ভাটিয়ালি

  • এ হল কথা চালাচালির পাতা। খোলামেলা আড্ডা দিন। ঝপাঝপ লিখুন। অন্যের পোস্টের টপাটপ উত্তর দিন। এই পাতার কোনো বিষয়বস্তু নেই। যে যা খুশি লেখেন, লিখেই চলেন। ইয়ার্কি মারেন, গম্ভীর কথা বলেন, তর্ক করেন, ফাটিয়ে হাসেন, কেঁদে ভাসান, এমনকি রেগে পাতা ছেড়ে চলেও যান।
    যা খুশি লিখবেন। লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়। এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই। সাজানো বাগান নয়, ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি। এই হল আমাদের অনলাইন কমিউনিটি ঠেক। আপনিও জমে যান। বাংলা লেখা দেখবেন জলের মতো সোজা। আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি।
  • গুরুভার আমার গুরু গুরুতে নতুন? বন্ধুদের জানান
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Arin | 198.41.238.119 | ০৮ মার্চ ২০২০ ০৩:০০433982
  • "তাহলে আপনার মতে ডিকশনারি সাহিত্য"

    ওরকম ভাবে generalise না করেও একটা কথা বলা যায় যে কয়েকটা ডিকশনারি পাঠ করলে রীতিমতন ভাল সাহিত্য পাঠের অনুভূতি হয়। যেমন ,la rousse gastronomic আদতে ডিকশনারী, রান্নার অভিধান, কিন্তু শুধু পড়তেই অসাধারণ লাগে।
  • অর্জুন | 162.158.227.55 | ০৮ মার্চ ২০২০ ০৩:০০433983
  • @অরিন-দা'র সুন্দর মন্তব্যটির জন্যে একটি চমৎকার বইয়ের সামান্য অংশ তুলে দিচ্ছি। প্রাসঙ্গিক শোনাবে। 

    "রবীন্দ্রনাথকে একবার স্পর্ধা করে জিজ্ঞেস করেছিলুম, মাছের ডিমের ইংরেজি কি? আমার বয়েস তখন এগারো, রবীন্দ্রনাথের ষাট। গুমট গ্রীষ্মের দুপুরে কাঁচের শাসি বন্ধ করে তেতলার পশ্চিমের ঘরে একা বসে বসে লিখছিলেন। ডিকশনারি থেকে সবে আয়ত্ত করেছি শব্দটি। প্রচুর সাহস নিয়ে দুপুরের নির্জনতা ভঙ্গ করে তাঁর ঘরে ঢুকে প্রশ্ন করলুম, আপনি  তো এত দেশ ঘুরে এসেছেন, বলুন তো মাছের ডিমের ইংরেজি কি? 

    - মাছের ডিমের ইংরেজি- রো। 

    - হল না। স্পন। আমি ডিকশনারি দেখে এসেছি। 

    - ডিকশনারি নিয়ে আমার সঙ্গে যুদ্ধ ? বোস তা হলে, স্পন আর রো-র প্রভেদটা তোকে বোঝাই। 

    এই বলে লেখা- টেখা ছেড়ে দিব্য আমার সঙ্গে সমবয়সী সঙ্গীর মতো আলাপ শুরু করে দিলেন। " 

    - 'দক্ষিণের বারান্দা' বই থেকে উদ্ধৃত। লেখক মোহনলাল গঙ্গোপাধ্যায় ।  

  • S | 108.162.246.52 | ০৮ মার্চ ২০২০ ০৩:০০433984
  • "একটি শব্দ অভিধানে নেই বলে অভিধানও তুচ্ছ বলে গণ্য হচ্ছে।"
    তাতে শব্দটাও তুচ্ছ হয়ে যায়না।

    ৫০০০ বছর আগে নিয়ম ছিল সব নাচা গানাই ঠাকুর দেবতার জন্য হবে। তখনও যারা নিয়ম ভেঙেছে, তাদেরকে লোকে যা ইচ্ছে তাই করেছে বলেছে। শচীন বর্মনকে ঘরছাড়া হয়ে হয়েছিল না? ডি এইচ লরেন্সের কথা না হয় নাই বা বললাম। কোনটা যে নিয়ম ভেঙে নতুন পথ দেখাবে আর কোনটা যে যা ইচ্ছে তাই বলে পুলিশ লেলিয়ে দেবে, কে ঠিক করে?

    আর লোকে যখন অভিধানকে সাহিত্য হিসাবে দেখতে শুরু করেছে, আমি এখানেই তক্কের ইতি দিলাম।
    আমি ঠিক আর আপনারা ভুল।
    সরি আপনারা ভুল আর আমি ঠিক।
    সরি আপনারা ঠিক আর আমি ভুল।
  • o | 173.245.52.216 | ০৮ মার্চ ২০২০ ০৩:০০433985
  • যাঃ টাইমস্ট্যাম্প ফ্রিজ করে গ্যালো নাকী? ঃ-)))
  • S | 108.162.246.52 | ০৮ মার্চ ২০২০ ০৩:০০433986
  • la rousse gastronomic আদতে ডিকশনারী

    না। এনসাইক্লোপিডিয়া। পার্থক্য আছে।
  • S | 108.162.246.130 | ০৮ মার্চ ২০২০ ০১:৩১433976
  • "তাও এমন একটি শব্দ যার অর্থ অভিধানে নেই"

    শব্দটার অর্থ তো আমরা সবাই জানি, অন্তত প্রচলিত অর্থে। কোনো অভিধানে না থাকাটা সেই অভিধানের সমস্যা। কিন্তু আজকাল তো আরবান ডিকশনারি বা রেগুলার ডিকশনারির পিছনেও এইরকম প্রচলিত সোকল্ড অপশব্দের লিস্ট থাকে।
  • অর্জুন | 162.158.227.69 | ০৮ মার্চ ২০২০ ০১:২৬433975
  • এতক্ষণ একটি টিভি চ্যানেলে 'চোখের বালি' সিনেমাটা দেখছিলাম। রিলিজ করার সময় যখন দেখেছিলাম, তখন ভাল লাগেনি। এবার দেখে মনে হল, মন্দ নয় ছবিটি। থিম মিউজিক হিসেবে রবীন্দ্র সংগীতের অসাধারণ ব্যবহার আছে এই ছবিতে। 

    তবে এলেবেলে, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের  'আমি মারের সাগর পাড়ি দেব' তে 'গো' শব্দটি জোড়া আর মূল শব্দ বদলে অন্য শব্দে বসিয়ে দেওয়া, তাও এমন একটি  শব্দ যার অর্থ অভিধানে নেই, সেটা একদম এক নয়। 

    আপনি বুঝতে পারছেন আমি কি বলতে চাইছি। 

  • একলহমা | ০৮ মার্চ ২০২০ ০১:১৫433974
  • @এলেবেলে
    "তবে কোনও ভাবেই পুরন্দর ভাট হাংরি প্রভাবিত নন।" তাই হবে, আপনারা অভিজ্ঞ লোক। আমার সংশয় - ও কিছুনা, জন্মরোগ বলা যায় :)
  • অর্জুন | 162.158.227.25 | ০৮ মার্চ ২০২০ ০১:১২433973
  • ওরে বাপরে ! ঃ-)) @ব্রতীন-দা। খুব বেশী ক্রিকেট খেলিনি। 'দ্রাবিড়' র উপমাটা বেশ লাগল। :))

    @এলেবেলে, হমম, এটার কথা জানি।  কনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচ্চারণ অনেক সময়েই বুঝতে অসুবিধে হয়। 

    রবীন্দ্রনাথ কখন 'অচলায়তন', কখন নন সেটা বলতে গিয়ে দুটো ঘটনা বলতে হয়। 

    'মেমসাহেব' ছবিতে অপর্ণা সেন যখন তার সাংবাদিক প্রেমিক উত্তমকুমারকে সাহিত্য রুচি তৈরি হওয়ার জন্যে অনেক বইয়ের সঙ্গে  'গীতবিতান'টি কিনে দেন এবং প্রেমিকের অবাককরা চখ দেখে বলে 'যখন হাতে কোনো কাজ থাকবেনা তখন গীতবিতানের পাতাগুলো ওলটাবেন। দেখবেন আপনি অনেক কিছু ভাবতে পারছেন। অনেক কিছু কল্পনা করতে পারছেন।' 

    আবার কবীর সুমন যখন বলেন ৭০র দশকে অস্থির রাজনৈতিক সময়ে তিনি রবীন্দ্রনাথের গানের সঙ্গে প্রতিদিনের লড়াই, জীবন ধারণের অস্থিরতার মিল খুঁজে পাচ্ছেন না। ইচ্ছে করছেনা সেই গান গুলো শুনতে। মনে হচ্ছে এই গানগুলোয় বড্ড সীমাবদ্ধ। এবং তারপর নিজেই গান লিখতে বসছেন। 

  • একলহমা | ০৮ মার্চ ২০২০ ০১:০৮433972
  • @এলেবেলে,
    পড়েছিলাম, পড়েছিলাম। প্রথমে দ্বিতীয় খন্ড পড়েছিলাম, তখন খুঁজে গিয়ে প্রথম ভাগটা পড়ে এসেছিলাম‌। অবশ‍্যই ভালো লেগেছিল‌।
  • S | 108.162.246.130 | ০৮ মার্চ ২০২০ ০০:৫৫433971
  • নিয়ম-প্রথা মেনে শিল্পচর্চা করাটা অনেকটা ডিকশনারিকে সাহিত্য বলার মতন।
  • o | 108.162.219.65 | ০৮ মার্চ ২০২০ ০০:৫৪433969
  • শিল্পে প্রথা-টথা ভাঙতে গেলে দুম করে ভেঙে দেওয়াই ভাল। তারপর তত্ত্ব দিয়ে ভাঙাকে জাস্টিফাই বা কন্ডেম করা হবে। তা হোক। শিল্পে সাবধানতা পোষায় না।
  • একলহমা | ০৮ মার্চ ২০২০ ০০:৪৯433968
  • @এলেবেলে, @অরিন
    পুরন্দর ভাটের পূর্বসূরি হিসেবে মলয়, ফাল্গুনী এদের কতটা ধরা যায়?
  • অপু | 162.158.166.160 | ০৮ মার্চ ২০২০ ০০:৪৬433967
  • অর্জূন যেন সেরা সময়ের রাহুল দ্রাবিড়।
    সারা সকাল ধৈর্য্য ধরে ব্যাট করে গেল। ভালো বল গুলো সম্মান দিয়ে ব্যাটের ঠিক মাঝখান দিয়ে খেললো। টিজিং ডেলিভারি গুলো পেশাদারী দক্ষতায় ছেড়ে দিল। একটু ওভারপিচ বল বিদ্যুত গতিতে বাউন্ডারি লাইনে ধাক্কা খেলো। গুড জব ডুড। কিপ ইট আপ :)))
  • এলেবেলে | 162.158.227.25 | ০৮ মার্চ ২০২০ ০০:৪৪433966
  • অর্জুন, আরেকবার কণিকার 'আমি মারের সাগর পাড়ি দেব'-টা শুনবেন? বলতে পারেন ঠিক তার পরে 'গো' শব্দটা গীতবিতানে আছে কি না? তাই নিয়ে কোনও হইচই হয়েছিল বলে শুনেছেন?

    সে আপনার আপত্তি থাকতেই পারে, আমিও লিখি না। কিন্তু যাঁরা তা উচ্চারণ করেন বা লেখেন তাঁর মূল স্রোতের বাসিন্দা বলে মনেও করি না।

  • এলেবেলে | 162.158.227.25 | ০৮ মার্চ ২০২০ ০০:৩৯433965
  • কমলকুমার কার দ্বারা প্রভাবিত সেসব বলার মতো যোগ্যতা আমার নেই। তবে স্ট্রিম অফ কনসাসনেস তো ভার্জিনিয়া উলফ-এর অবদান। বঙ্কিমের রজনী সেই গোত্রীয় না হলেও রবি ঠাকুরের ঘরে বাইরে-তে তার হালকা ছাপ আছে; যেমন আছে সতীনাথের জাগরীতেও। আর ধূর্জটিপ্রসাদের যে ট্রিলজি মানে অন্তঃশীলা-আবর্ত-মোহনা পুরোটাই ওই টেকনিকের ফসল।

    পুরন্দর ভাট সাব-অল্টার্ন। সেখানে হুতোম, খেউড় এবং আধুনিকতা হাত ধরাধরি করে চলে। কোথাও তাল কাটে না, বানানো মনে হয় না।

    ডিসক্লেমার: আমি আমার কথাটা বলেছি মাত্র।

  • অর্জুন | 162.158.227.69 | ০৮ মার্চ ২০২০ ০০:৩৮433964
  • @সে 'তুমি' বলে বললেন বলে খুব ভাল লাগল। আশাকরি ভাল আছেন। :-) 

  • অর্জুন | 162.158.227.25 | ০৮ মার্চ ২০২০ ০০:৩৭433963
  • @এলেবেলে, আপনি ঠিক বলেছেন  'রবীন্দ্রনাথ সবচেয়ে পজেসিভ ছিলেন তাঁর গান নিয়ে'। আমার বাংলার শিক্ষক বলতেন রবীন্দ্রনাথ এতই থরো ছিলেন তাঁর স্বরলিপির ক্ষেত্রে যে দিনু ঠাকুরকে দিয়ে তাঁর স্বরলিপি লিখিয়ে সঙ্গে সঙ্গে তাতে সই করে দিতেন।  পরে যখন তিনি অসুস্থ, দিনু ঠাকুর শান্তিনিকেতন ছেড়ে চলে গেছেন, মারাও গেছেন, শৈলজারঞ্জন মজুমদার স্বরলিপি লিখে নিয়েছেন, রবীন্দ্রনাথ লিখতে কষ্ট  হলেও একটি সই করে দিয়েছেন। এই জন্যে তাঁর স্বরলিপি নিয়ে বিতর্ক নেই।  

    রবীন্দ্রনাথ থাকতেই তাঁর গানের বিবর্তন হয়েছে, তৈরি হয়েছে একাধিক ঘরানা ।  অমলা দাশ যখন এইচ এম ভি'তে রবীন্দ্রনাথের গান রেকর্ড করেন তখন ছিল 'রবি বাবু'র গান। 

    বেশ কিছু পরে শৈলজারঞ্জন ও শান্তিদেব ঘোষ। (ভুল বললে শুধরে দিন) 

    তাঁর মৃত্যুর পাঁচ, সাত বছরের মধ্যেই জর্জ বিশ্বাস, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় , সুচিত্রা মুখোপাধ্যায় (মিত্র)। 

    এদের কাউকেই 'অতিরিক্ত শব্দ' জুড়তে হয়নি।  

    'বিশ্বভারতীর দাদাগিরি' র সবচেয়ে নিষ্ঠুর ভিকটিম সর্বজন প্রিয় জর্জ বিশ্বাস। 

    'ব' অক্ষরের বিশেষ শব্দটি  আমার  উচ্চারণ করতে, লিখতে অসুবিধে আছে। আমি মূল স্রোতে ভাসতে ভালবাসিনা। 

  • একলহমা | ০৮ মার্চ ২০২০ ০০:৩৫433962
  • আচ্ছা, মলয় রায়চৌধুরী এখানে লিখতেন না?
  • একলহমা | ০৮ মার্চ ২০২০ ০০:৩২433961
  • @এলেবেলে
    প্রিয়, আপনারা যা লেখেন, যেটুকু লেখেন, তাই, সেটুকুই আমাদের মত পাঠকের কাছে তৃষ্ণার জল‌। আবার তার ফলেই প্রত‍্যাশাও বেড়ে যায়।
    লিংকটা দেবেন?
    অনেক শুভেচ্ছা।
  • অপু | 162.158.166.86 | ০৮ মার্চ ২০২০ ০০:৩০433960
  • পীযূষকান্তি র গায়কী প্রথাগত নয় বলে তাকে স্বীকতি দিল না। প্রথাগত ধ্যান ধারণার ছিলা ছিন্ন করাতে ওনাদের আপত্তি
  • অরিন | 198.41.238.121 | ০৮ মার্চ ২০২০ ০০:১৯433959
  • @এলেবেলে, কমলকুমার মজুমদার কি জেমস জয়েস প্রভাবিত? কবি পুরন্দর ভাটকে কার দ্বারা প্রভাবিত?
    [ জানি না বলে জিজ্ঞাসা করছি ]
  • S | 108.162.246.130 | ০৮ মার্চ ২০২০ ০০:১৮433958
  • ছোটোবেলায় আমাদের বাংলা মাস্টারমশাই শিখিয়েছিলেন যে মিঞার স্ত্রীলিঙ্গ আসলে মাগী, বিবি নয়।
  • অরিন | 198.41.238.119 | ০৮ মার্চ ২০২০ ০০:১১433957
  • @একক,
    "সেদিন, আমার ভাইরাস সংক্রান্ত জিগ্যাসার উত্তরে রমিত বাবু এবং আরেকজন, নাম মনে পড়চে না, বই এর খোজ দিয়েছিলেন, ধন্যবাদ :)"

    ঐ "আরেকজন" ছিলেন অরিন।
    যাই হোক, ভাইরাসের উৎপত্তির ননফিকশন পড়তে আগ্রহী হলে ডরোথি ক্রফোর্ডের "ইনভিজিবল এনেমি" বইটা পড়ে দেখতে পারেন (যদি এখনো না পড়ে থাকেন)। তবে আপনার প্রশ্নের উত্তর সবচেয়ে ভালোভাবে পেতে গেলে জারনাল আর্টিকেলগুলোও দেখুন, কাজে দেবে।
  • এলেবেলে | 162.158.227.55 | ০৮ মার্চ ২০২০ ০০:১০433956
  • অর্জুন, রবীন্দ্রনাথ সবচেয়ে পজেসিভ ছিলেন তাঁর গান নিয়ে এবং মানতেন আর কিছু না টিকলেও তাঁর গান যুগোত্তীর্ণ হয়ে টিকবেই। কাজেই উনি ধারক চাইতেন সেই গানের। সেটা সাহানা দেবী হতে পারেন, কনক দাশ হতে পারেন, কণিকা হতে পারেন, শান্তিদেব হতে পারেন। শৈলজারঞ্জন বিশ্বভারতীতে এসেছিলেন কেমিস্ট্রি পড়াতে, তো তাঁকেও তিনি রসায়ন ছাড়িয়ে গানের রসে ঢুকিয়ে নেন। এখন প্রত্যেকেই কিন্তু হুবহু একই রকম গাননি। রবীন্দ্রনাথকে ভাঙিয়ে খাওয়া বিশ্বভারতীর দাদাগিরি থেকেই এই পিউরট্যানিজম-এর শুরু। যেখানে ট্রেনারের দৌলতে আশা ভোঁসলে পাশ অথচ পীযূষকান্তি ফেল!

    ভিক্টোরীয় যুগের সাহিত্যের কথা তো বলিনি, ব্রাউনিং আমার অত্যন্ত প্রিয় কবি। বলেছি ভিক্টোরীয় শ্লীলতার কথা। এবং তাতে গুরুর লোকজনেও আক্রান্ত। আমি খোলাখুলি 'বাঁড়া' শব্দটা লিখেছি 'বাঁ*' লিখিনি। ইচ্ছাকৃতভাবেই লিখিনি কারণ শব্দটা এসেছে বৃহৎ>বৃহদ> বড্ড> বাড়া এই অনুক্রমে। বিদ্যাসাগর তাঁর নাতনিকে 'মাগী' বলে সম্বোধন করতেন। কাজেই অত উতলা হওয়ার কিছু নেই। রবীন্দ্রগানে একটি অতিরিক্ত শব্দ জুড়লে হা-হুতাশ করারও কিছু নেই।

    এবং হ্যাঁ, শব্দ শব্দই; তাকে অযথা 'অপশব্দ বলার আমি ঘোরতর বিরোধী।

    খ, আপনার দেওয়া গানটি খাসা।

    একলহমা, এই সমালোচনা আমার প্রাপ্য ছিল। আমিও লিখে খুব তৃপ্ত হয়নি, শুধু দাঙ্গার বদলে গণহত্যা বলেছি মাত্র। বরং পারলে আমার হিন্দু মহাসভার ইতিহাসের লেখাটা পড়তে পারেন। এবং অতি অবশ্যই সমালোচনা করতে পারেন।

  • S | 108.162.246.130 | ০৮ মার্চ ২০২০ ০০:০৮433955
  • আমি যদিও পিঠে গালাগাল লেখার প্রায়শ্চিত্ত করতে পরিবেশ আর কুকুরের যত্ন নেওয়ার আলোচনাটার কোনো মানে খুঁজে পাইনি।
  • সে | 162.158.150.93 | ০৮ মার্চ ২০২০ ০০:০৪433954
  • অর্জুন খুব সুন্দর লিখলে কথাটা।
  • অর্জুন | 162.158.227.55 | ০৮ মার্চ ২০২০ ০০:০২433953
  • এ যুগের ছেলে, মেয়েরা একটা সমষ্টিগত ক্লাব জানতাম না। এরা সবাই এক রকম  ?  অর্থাৎ এক সময়ের সমবয়সী সবাই এক্রকমের হয়!! 

    দিন দিন আর এস এসের দল ভারী করছে যুবক, যুবতীরা আবার নো এন আর সি'র মিছিলে নকশাল ভাবাপন্ন ছেলে, মেয়ের সংখ্যাও মন্দ নয়! 

  • অর্জুন | 162.158.227.69 | ০৭ মার্চ ২০২০ ২৩:৪৯433952
  • @এলেবেলে, 

    রবীন্দ্রনাথের চিঠি সাহানা দেবীকে ‘‘তুমি যখন আমার গান করো, শুনলে মনে হয় আমার গান রচনা সার্থক হয়েছে— সে গানে যতখানি আমি আছি ততখানি ঝুনুও আছে— এই মিলনের দ্বারা যে পূর্ণতা ঘটে সেটার জন্য রচয়িতার সাগ্রহ প্রতীক্ষা আছে। আমি যদি সেকালের সম্রাট হতুম তাহলে তোমাকে বন্দিনী করে আনতুম লড়াই করে। কেননা তোমার কণ্ঠের জন্য আমার গানের একান্ত প্রয়োজন আছে।’’ 

    বিষ্ণু দে তাঁর কবিতায় রবীন্দ্র পঙক্তি ব্যবহারের পূর্বেই রবীন্দ্রনাথ উপরে উল্লিখিত চিঠিটি লেখেন। 

    রবীন্দ্রনাথ শিল্প স্বাধীনতায় পূর্ণ বিশ্বাসী ছিলেন। 

    ইংরেজি সাহিত্যে ভিক্টোরীয় যুগ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। আমি নিজেও ইংরেজি পড়েছেন। ওটা শুধুই প্যুরিটন চর্চার যুগ নয়। নিয়ম ভাঙারও সময়। আপনি এক এলিয়েটের উল্লেখ করেছেন। তাঁর পূর্বসূরি জর্জ এলিয়ট নারীবাদী সাহিত্য চর্চার একটি উল্লেখযোগ্য নাম। 

    আমার মনে হয় আপনি রো.রা'র বিষয়ে বড্ড সরলীকরণ করে ফেললেন। ভাঙা এত সহজ নয়। 

    একটা ভাঙা, ভাঙা খেলা খেলা। বরং ভাঙার প্রথাটা বেশ একঘেয়ে। 

    আমি রো.রা'কে নিয়ে বিন্দুমাত্র ভাবিত নই। আমি একটি বিশেষ ঘটনা সমালোচনা করেছি। 

    রো.রা'কে নিয়ে সকলচনাভাবে আলোচনা করছে তাতে তাকে আমার অবশ্য একটু বিপজ্জনক অ্যাজেন্সি মনে হচ্ছে। 

    আমি পূর্ণভাবে বিশ্বাস করি শিল্পের প্যুরিটন বেসকে সম্মান করা উচিত। 

    অচলায়তন ভাঙার আগে অচলায়তনকে জানাটা খুব জরুরী। 

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত