আকা ওসব হাইব্রিড ধর্মগ্রন্থের ধান্দা ছাড়। আমি অনেকদিন আগে একটা হাইব্রিড ধর্ম নাবিয়েছিলাম। নাম দিয়েছিলাম দীন-ইলাহি। বাজারে কাটেনি।
এই " নিজের নেটওয়ার্ক এর লেখা " বা চয়েস বেসড কন্টেন্ট লিস্টিং নিয়ে একদল মানুষের এট্টু বোঝাপড়ার সমস্যা আচে। তাঁরা ভাবেন এতে সবাই ক্যাপ্সুলে সেঁদিয়ে যাবে। কেও আনকোরা জিনিস পড়বে না। বা নতুন বিষয় দেকবে না। কথা টা একশো ভাগ ভুল নয়।
কিন্তু এর ওষুধ গুরুর মদ্যেই আচে। অরিন যেটা বল্লেন ঃ ভাটিয়ালি। লোকে ভাটয়ালিতে এসে ওইভাবে লেখার লিনক রেফার করে একে অপর কে পড়তে বলবে। একে অন্যের মতামত চাইবে। তাতে একটা ক্যাপ্সুল বিহিন জায়গা হল আবার আড্ডাটাও লেখালেখি জুড়ে হল।
গুরুচন্ডালীতে যা বেরোয় তার মতো ভালো লেখা এবং একই সঙ্গে এতো discerning পাঠক আপনি কোথাও পাবেন না ।
খুব বেশি ভালো জিনিস পেলে যা হয়, তাই হয়েছে ।
আমার মনে হয় দুটো কি তিনটে জিনিস হলে ভালো হয়:
১) ভাটিয়ালি, টইপত্তর ও বুলবুলভাজা মধ্যে একটা শেয়ারিং এর লিংক থাকুক, যেমন উদাহরণ, টইপত্তরে কোনো লেখা পরে ভালো লাগলে তাকে ভাটিয়ালিতে অনায়াসে শেয়ার করে নেওয়া যায়। বা ভাটিয়ালিতে কোনো আলোচনা টইপত্তরে টেনে আনা গেলো কিন্তু সেখানে আলোচনাকে কেন্দ্র করে সবকিছু একটা সুতোয় (threaded discussion) হয়ে রইলো।
২) বুলবুলভাজায় যে লেখাগুলো আসছে, সেখান থেকে লেখাটার excerpt/link ধরা যাক ভাটিয়ালি তে চলে এলো।
৩) কনটেক্সট সেনসিটিভ আলোচনা গুলো সুতোয় বাধা রইলো, তার সঙ্গে ট্যাগ থাকুক যাতে ছোট করে খুঁজে পাওয়া যায়,
৪) লগ ইন করলে আপনার নিজের নেটওয়ার্ক এর লেখাগুলো প্রথমে আসুক, বা অন্তত কোনো একটা সাইড বার বা কোন একটা জায়গায় থাকুক, তারপরে অন্যান্য লেখাগুলো ।
খুব গুরুত্বপূর্ণ ল্যাখা ল্যাখা হচ্ছে, কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে মনে হয় ওভারঅল রিডেবিলিটি কমেছে। তবে আমিও আরও বুড়ো হয়েছি, থ্রি ইডিয়টস ধরণের মুভি ছাড়া কিসু ভাল্লাগেনা।
আরেকটু ফুট কেটে যাই। লেখায় ইস্যুকে আন্ডারলাইন করা বন্ধ করুন। হয়তো যা নিয়ে লিখছেন, সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। কিন্তু বেশিরভাগ লোক বেশিরভাগ বিষয়ে উদাসীন। সেটা কুমড়োর মত সৎ ও পুষ্টিকর বিষয় হলে আরও বেশি উদাসীন। হরেক সমস্যার জন্য এমপ্যাথির রাডার খাটিয়ে বসে নেই। ফলে একটা প্রবন্ধে বড়জোর অতি নিস্পৃহভাবে সমস্যার বিশ্লেষণ করা যেতে পারে। প্রায় প্রতিটা বাক্যে মন ছুঁয়ে যাবার চেষ্টা করলে বা 'আমি সবরকম অন্যায়ের বিরুদ্ধে' বোঝানোর চেষ্টা করলে লেখাটা ক্লিশে হয়ে যায়। পাঠক হিসেবে তখন প্রথম প্যারাটুকু পড়ে ডিডিদার পুরানো কোনো লেখায় চলে যাই। ক্লিশে বাদ দিন। আর স্মার্ট বাক্য লিখুন। ফর্ম নিয়ে ভাবুন। ফাইনালি, লেখার নীচে 'ভালো লাগল'র পাশাপাশি 'বাজে লাগল' মন্তব্য করা শুরু হোক।
মামুর মত প্রবন্ধ চাই। ওইরকম ক্যাজুয়াল গুলে দিতে হবে। আর গুরুগম্ভীর প্রবন্ধেও যুক্তিবিন্যাস হবে ঝকমকে। যেমন সতীদাহের লেখাটায়। দুঃখের বিষয় অধিকাংশ লেখকই এটা পারেন না।