এত অঙ্ক কষেও হিটলারকে আটকাতে পারেনি। সারা বিশ্বে যে কলোনিগুলো ছিল, সেখানকার লোকেদের দুঃখও ঘোচাতে পারেনি। আসলে সবই রেসিয়াল সুপিরিয়রিটি দেখানোর খেলা।
অবশ্য শেষমেশ লাভ হল আমাদেরই। এসে গেল ইন্টারনেট, এসে গেল জুকুবাবুর দুর্মূল্য কোম্পানির অমূল্যরতন। অত যুদ্ধ টুদ্ধ হয়ে সবকিছুর বদল না হলে এসব কি আর হত?
সেই বিশ্বাসঘাতক। সেই গাটেনগেন বা গাটেনবার্গ ইউনি। সেখানে লোকেরা ক্যান্টিনে বসেও অঙ্ক কষে। পুরো হলিউডি ব্যাপার স্যাপার।
ওটা পাল্টাপাল্টির ব্যাপার ছিল। এরা বলেছিল হাইডেলবার্গে আর গোয়েটিংগেনে বোম মারবে না, পরিবর্তে ওরা কেম্ব্রিজে আর অক্সফোর্ডে মারবে না।
(মাঝে মাঝে এত অসহ্য লাগে এই কাহিনিগুলো শুনতে শুনতে! দুটো বিজ্ঞান প্রযুক্তি বুদ্ধিশুদ্ধি সবেতে এত এগোনো পক্ষ মারমারকাটকাট করে একে অপরের উপরে পড়ল। ছি ছি ছি। )
আসলে ডেনমার্কে খুব বেশি বমিং হয়নি। যুদ্ধের শুরুতে ডেনমার্ক নিউট্রাল অবস্থান নেয়। পরে নাত্সী জার্মানির কাছে বিনা বাধায় সারেন্ডার করে । আর তাছাড়া নাত্সীরা ইউনিভার্সিটি বা রিসার্চ ইনস্টিটিউটগুলোতে সাধারণত বমিং করত না।অক্সফোর্ড বা কেমব্রিজে তারা খুব সচেতন ভাবেই বোমাবাজি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ডিজলভ্ড নোবেলপ্রাইজ যেখানে জমা ছিল সেখানে অর্থাৎ নিলস বোর ইন্সটিতে বোমাবাজি করলে হয়ত 'কত নোবেলরস উথলি যায়' টাইপের কিছু হত।
সান্যালমশাইয়ের বলা গল্পটা পুরোপুরি ঠিক না, কারণ মেডেল দুটো ওভাবে গলানো হয়েছিল নীলস বোরের ইনস্টিটিউটে , কোপেনহেগেনে। গোয়েটিংগেনে না।
আমি তো বললামই বিশ্বাসঘাতক থেকে পড়া। স্ক্যানড কপিও দিলাম। না.সা. মহাশয় তাঁর সোর্স বলে যান নি :)
বোতিন্দা থাকলে লেগে যেত!
এই যে অভ্যু।
http://www.nww2m.com/2013/10/scitech-tuesday-the-nobel-prize-dissolved/
হ্যাঁ অভ্যু, গলিয়ে ফেলার জন্যই। নাহলে নাজিরা মোমজড়ানো সাঁড়াশি নামিয়ে মেডেল তুলে নিত।
ভাবুন তো, স্নান করতে ঢুকেছেন আর শ্যালকদের ফোন বাজল। রজার জ্যেঠামশাইয়ের তো তাই হল। ভাগ্যিস ভ্যানেসা জ্যেঠাইমা ফোন ধরলেন, সব রক্ষা হল। ঃ-)
ওফফ সব্বাই একই ভুল জিনিস বার বার লেখে কি করে? (আমারও তো বিদ্যে ঐ বিশ্বাসঘাতক পড়া) অ্যাকোয়া রিজিয়ায় নোবেলের মেডেল কেউ রাখবে না, তাহলে তো গলে যাবে। ওটা ছিল নাইট্রিক অ্যাসিডের বোতলে।
ঠিক ঠিক অক্টবরে এনাউন্সমেন্ট আর ডিসেম্বরে তো শুধু সেরিমনি।
অবাক হয়ে ভাবি, এত যুদ্ধ বোমা-বন্দুক- গুলি-গোলা, সব কিছু পার হয়ে এসে ভদ্রলোক দেখলেন কিনা ল্যাবের তাকে দিব্যি নোবেল পদক ডিজলভ করা অ্যাকোয়া রিজিয়ার বোতলখান রয়েছে। কিচ্ছুটি হয় নি। সেই "কালসমুদ্রে ভাসছি বোতল" এর মতন কেস। ঃ-)
অভ্যু,
আর্থ ফেয়ারে কী যে চমৎকার ডাবের জল পাওয়া যায় ছোটো ছোটো পাউচে! এখানের দোকানটা কয়েকদিন হল খুলেছে নতুন করে, এখনও অনেক তাক খালি। আস্তে আস্তে জিনিসপত্র আনছে, সাজাচ্ছে।
স্যান্ডিবাবু ডিসেম্বর না -- অক্টবরে। যেকোনও বছরের সে সময়ে আপনার শ্যালকদের সঙ্গে মোলাকাতের একটা সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। অস্মিন জন্মে অথবা জন্মান্তরে। এখনই হতাশ হলে চলবে কেন? ভয় নাই; নোবেলের শুভেচ্ছার পর একোয়া রিজিয়ার শুভেচ্ছার পর মোটেই নাজি বাহিনীর জন্য বলবনা :)
&/, আজকাল আর্থফেয়ার বুধবারে আদ্দেক দামে পিট অ্যান্ড জেরীর ফ্রী রেঞ্জ ডিম দেয়। ঐগুলো প্যাশ্চুর রেজড ডিমের চেয়েও আমার বেটার লাগে। তাছাড়া এখন ওরা হাঁসের ডিমও রাখছে।
ম্যাক্স ভন লাউ আর জেমস ফ্রাঙ্কের নোবেল মেডেল দু'টো ওভাবে ডুবিয়ে রেখে দেওয়া হয়েছিল। যুদ্ধের পরে উদ্ধার করা হয় অ্যাকোয়া রিজিয়া থেকে। আবার নোবেল কমিটি নতুন করে গড়িয়ে দেন মেডেল দু'খান।
জর্জ দ্য হেভেসি নামে একজন ইহুদি কেমিস্ট তাঁর নোবেল পদকটিকে নাত্সিদের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য একোয়া রিজিয়াতে ডিসল্ভ করে রেখেছিলেন। বিশ্বযুদ্ধের শেষে সোনা পুনরুদ্ধার করে নবেল কমিটির কাছে পাঠিয়ে দেন রিকাস্ট করে দেওয়ার জন্য।
স্যান্ডি ১৭ ডিসে ৫টা ৪৩-এর জন্য অনেক ধন্যবাদ। গ্যালন গ্যালন একোয়া রিজিয়া হোক আপনার -- যাতে দুনিয়ার সব সোনা সকলের নজর এড়িয়ে নিজের করে রাখতে পারেন।
গতকালকার প্রাণভরা শুভেচ্ছার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। কিন্তু আপনার দেওয়া শুভেচ্ছা তো আবার আমার বেলা কাজ করে না। ডিসেম্বর মাসে আপনি এত আশীর্বাদ করা সত্ত্বেও স্টকহোমের শ্যালকরা মুখ তুলে চাইল না।
ওটা বেশ গা ছমছম টাইপের গল্প ছিল। .
হ্যা ওটাই। নরক নন্দিনী। গুরুর পাতায় আমার দেখা বেস্ট ভুতের গল্প।
অবসোলুটলি। কালবুর্গি কে মেরেই ফেলা হলো কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়ার জন্যে। এসব ব্যাপারে আরএসএস , জামাতি তালিবান , প্রাউড বয়েজ - কারোর কোনো তফাৎ নেই। এথেইস্ট রা এদের সকলের কাছে বড়ো বিপদ।
নারাকনন্দিনী > নরকনন্দিনী
কোন গল্পটা? নারাকনন্দিনী বলে একটা ভুতের গল্প পড়েছিলাম। সেটাই কি?
হ্যা সত্যি । সেই ভুতের গল্পটা অসাধারণ ছিল , মানে গায়ে কাঁটা দিতো রীতিমতো পড়তে পড়তে। আর ওনার লেখা দেখিনা আজকাল।
সব সুবিধাবাদী আসলে। আর আশ্চর্য্য হই না অবশ্য। মাননীয়ার সৎ সাহস নেই ঐ লেখিকাকে প: ব: তে স্থায়ী ঠিকানা করে দেওয়ার। আর ওপার বাংলার মহোদয়াও ঐরকমই। নাহলে উনি অভিজিৎ রায়ের ওইরকম নারকীয় হত্যাকান্ডের পরেও ওরকম স্পিকটি নট! শোনা যায় অভিজিৎ রায়ের বাবাকে উনি নামকা ওয়াস্তে একটা টেলিফোন করেই কর্তব্য সেরে ফেলেন। প্রসঙ্গত অভিজিতের বাবার সুপারভিশনে হাসিনার হাসব্যান্ড ডক্টরাল রিসার্চ শেষ করেছিলেন। আসলে গোটা উপমহাদেশেই কম্পিটিশন চলছে ধর্মীয় মৌলবাদের সঙ্গে কে কত আপস করতে পারে তার। জনগণও ছাগল কারণ ধর্মীয় মৌলবাদের উপর আক্রমনকে তারা ধর্মের উপর আক্রমন হিসাবে দেখে।
আমি বাজী ধরে বলতে পারি যে আজ ভারতে যদি নাস্তিকরা কোন কনফারেন্স আয়োজন করে তাহলে আর এস এসের বাঁদরগুলো জামাত বা অন্যান্য ইসলামিক ফ্যানাটিক গ্রূপগুলোর সাথে একযোগে ঢেলা মেরে কনফারেন্স পন্ড করে দিয়ে আসবে।
সেই ইন্দুলেখার মতো ভূতের গল্প আর কেউ লেখে না। এমঙ্কি ন্যাড়াবাবুও না! বছর শেষের ঠান্ডা হাওয়া ঝুপ করে অন্ধকার হয়ে যাওয়া দিনে উতলা মনটা একটু শান্তি পায় -- সেই সব পড়লে।
কোথায় সত্যিই ভালো বাংলা ভূতের গল্প পড়তে পাই বিনে পয়সায় -- জানেন?
কিন্তু মাননীয়া বলেছেন যে তাঁর চুরি করার দরকার হয় না। এমনকি মাইনেও নেবার দরকার হয় না। এত বই লিখেছেন যে সেসবের রয়াল্টির টাকাতেই সুখেদুঃখে দিন চলে যায়।
গানও করেন তো। মাঝে মাঝে গানও করেন। ঃ-)