কাঠে কাঠে পড়লে তবেই আদৌ কিছু ডকুমেন্টেশন থাকে। নাহলে সব উলু উলু মাদারের ফুল, 'কোথায় বা কী ভূতের ফাঁকি মিলিয়ে গেল ফট করে।'
ওদের হোলোকস্টের ডকুমেন্টেশনও খুব ভালো। মিউজিয়াম টিয়াম আছে। নিত্য স্মরণ করা হয়। এসব জিনিস যদি তৃতীয় বিশ্বের কোনো দেশে হত, আদৌ কোনো প্রচার পেত? মশামাছির মতন মুছে ফেলা হত। হয়ও।
আমকে তাহলে নিলাম ডেকে গ্যোটিঙেনের মহিলাদের মধ্যে বিক্রি করে দিন।
তবে যা হয়েছে একরকম ভালোই হয়েছে। একটা স্থায়ী স্কেপগোট পাওয়া গেছে। যেখানে যা হয় সবের জন্যই যত দোষ হিটু ঘোষ বলে ভালোভালো বড় বড় স্টেটমেন্ট দেওয়া যায়। এমন চমৎকার ডিটেল এক্জামপল পাওয়া তো সহজ না!
ইতিহাস স্বততই একপেশে।
জোসেফ মেঙ্গেলাকে হিউম্যান জেনোম প্রোজেক্টের সুপারভিশনে বসিয়ে বলা হত, দেখুন তো ডক, কত্ত দেরি হয়ে গেল। যত্তসব উটকো ঝামেলা। তাড়াতাড়ি কাজ করুন, সময় বয়ে যায় যে!
তখন আমরা সবাই কলোনী আর স্লেভারিতে কত মানুষ মারা গেছে, সেইসব হিসাব বইতে আর উইকিতে পড়তাম। গোরিং আর হিমলারকে দুষ্টুঊ বলে বকে দিয়ে একটা নোবেল প্রাইজ দিয়ে দিতাম।
স্যান্ডি, আপনি না গেলেই কি আর রক্ষা পাবেন? গ্যোটিংগেন থেকে মহিলারা বুঝি আপনার শহরে যান না? মাত্র আড়াই ঘন্টা। ও তো উল বুনতে বুনতে চলে যান ওঁরা। তারপরে আপনাকে পেলে---
দ্বিতীয় লড়াইয়ে ও পক্ষ জিতলেই দেখতেন সমস্ত নাজিগিরি লেজিটিমাইজ করে ফেলেছে। বরং বড় বড় বীরত্বের আখ্যান টাখ্যান বলছে। আর বিপরীত পক্ষের নানা অত্যাচারের কাহিনি বলছে, আর বলছে ছি ছি, কী পাজি দেখেছেন ওরা?
স্থানীয়রা বলত, "মানুষ হয়েছিস রে, মানুষ হয়েছিস। "
মানুষের ইতিহাসটা সত্যিই মারামারি কাটাকাটির। যে পক্ষ জেতে, সে শাস্ত্র, আইন, সায়েন্স, টেকনলজি, আর্টস এসব করে নিজেদের বর্বরতাকে লেজিটিমাইজ করে। দেখায় যে তারাই ন্যাচারাল সিলেকশান, সুপিরিয়র জাত। হ্যাঁ সব বড় টেকনলজিই মিলিটারি প্রথমে ব্যবহারের জন্য, পরে জনসাধারণের মধ্যে বিক্রি করে রিটার্ণ তোলা হয়।
আপনারা সব আমেরিকাবাসী, আপনাদের কাছে আড়াই ঘন্টার রাস্তা তো তুশ্চু মনে হবেই।
না মুভিটা দেখিনি। তবে এই এনিগ্মা জিনিসটা লিভারপুলের একটা মিউজিয়ামে দেখেছিলাম।
না মশায় আপনার কথায় নেচে গ্যোটিংগেন যাব না।ওখানকার কোন মেয়ের খপ্পরে পড়লেই সুরুত করে নোবেল প্রাইজ পিছন পিছন এসে হাজির হবে। তখন ঠ্যালা সামলাও! আমাদের বাবলুদাকে দেখেছি পুলিশ নিয়ে চলাফেরা করতে গিয়ে নাস্তানাবুদ হতে। অতএব ঐ চক্করে আমি নেই :-)
ওইখানে ঘাস কম হত আর হুনেরা পর্যন্ত ঘোড়া ছুটিয়ে ভারতে আসার চেষ্টা করছিল। স্কন্দগুপ্ত অনেকটা আটকিয়ে দেন। তাও কি আর সবটা পেরেছিলেন? এখানে ওখানে হুনেরা স্থানীয়দের সঙ্গে মিলেমিশে গেছিল। স্থানীয়দের বিবাহ টিবাহ করে দিব্যি সংসার করত আর মাঝে মাঝেই বিলাপ করত "হায় হায়, কী ছিলাম কী হয়েছি? ছিলাম সিংহ, হয়েছি মেষ।"
ইতিহাস কি আর রুলবুক মেনে চলে ? মানুষের ইতিহাস টাই তো আদতে মারামারি কাটাকাটির।
আবার উল্টোদিকে ভাবলে আজকে এতো যে টেকনোলোজিক্যাল এডভান্সমেন্ট তার ও অধিকাংশই তো মিলিটারি রিসার্চ থেকেই।
হ্যাঁ। সবই এশিয়া মাইনরে ঘাস কম হওয়ার ফল।
ভাট পড়ে আমার জ্ঞানভান্ডার উপচে পড়া যাচ্ছে। বিশেষ করে বিখ্যাতমানুষজনের চরিত্র বিশ্লেষণ- শঙ্খ ঘোষও বাদ যাননি! নেহাত বেঁচে আছেন এখনো, নইলে কী হবে ভাবতে শিউরে উঠছি।
আর্যরাও তো তাই করেছে। এদের অনেক আগে। হাজার বছর ধরে অনার্যদের উৎখাত করে করে বীর সেজেছে। আর মহান মহান সব শাস্ত্র ইত্যাদি ---
বাইডেণ কবে নোবেল পাচ্ছে কেউ জানে? ২০২১এই হয়তো দেবে।
আরে স্টার্ক এফেক্ট তো প্রায় পড়ানোই হয় না, ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। জীমান এফেক্ট ভালো করে পড়ানো হয়। অবশ্য জীমান এফেক্ট খুবই কাজের জিনিস।
কয়েকশো বছর ধরে অন্যের দেশ দখল। সেখানকার সম্পদ লুট। কলোনীর লোকেদের স্বাভাবিক স্বাধীনতা, মানবিক অধিকার হনন। এইসবের পর এখন সব মুখ মুছে ফেলে হিউম্যান রাইট্স নিয়ে আইন বানিয়েছে। অন্য দেশের হাতেগোনা লোক নিজেদের দেশে দেখলে আঁতকে ওঠে। কারা যেন আবার নোবেল পীস প্রাইজ দেয়। ইতিহাস খুব কঠিন।
আড়াইঘন্টা তো কিছুই না। মাঝে মাঝেই যাবেন, আর গিয়ে ওদের ইউনির ক্যান্টিনে যেখানে বসে ওঁরা অংক করতেন সেখানে গিয়ে বলবেন, সেই অংক কষা টেবিলঢাকনিগুলো কোথায়? বার করুন তো মশাইরা, ছবি তুলি। চাক্ষুষ প্রমাণ না পেলে আমার বন্ধুরা মানতে চায় না। ঃ-)
&/, খুবকাছে থাকি না, ট্রেনে গেলে প্রায় আড়াইঘন্টা লেগে যায়।
ম্যাক্স ফন লাউ আর জেমস ফ্রাঙ্কের পদকদুটো বোরের নির্দেশে স্বয়ং দ্য হেভেসি ডিজল্ভ করেন একোয়া রিজিয়াতে। ডেনমার্ক তখন নাত্সি কন্ট্রোলে থাকায় পদক জার্মানি থেকে ডেনমার্ক নিয়ে যাওযা সম্ভব হয়েছিল, কিন্তু জার্মানি কন্ট্রোল্ড টেরিটোরির বাইরে নিয়ে যাওয়া ছিল অসম্ভব।
ম্যাক্স ফন লাউ নিজে ইহুদি না হওয়া সত্ত্বেও নাত্সিদের চক্ষুশূল ছিলেন নাত্সিদের সমালোচক ছিলেন বলে। আর বিজ্ঞানজগতে নাত্সিদের নয়নমনি ছিলেন স্টার্ক (স্টার্ক ইফেক্টের আবিষ্কর্তা, নোবেল প্রাইজ 1919) আর লেনার্ড (নোবেল প্রাইজ ১৯০৫)
"গোল পৃথিবীর নিলে যে আধগোলা
ফিলিপিনায় পিন পুঁতে ঠিক যেন।"
এটা কবে? এটা কারা করেছিল?
কতই রঙ্গ হয়েছে এই দুনিয়ায় ভাবা যায় না।
সেতো বটেই। ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভোলুশন এর দৌলতে ইউরোপিয়ান সিভিলিজসন বাকি পুরো দুনিয়ায় দখল নিয়েছে ১৫থ সেঞ্চুরি থেকে । ব্রিটিশ ফ্রেঞ্চ , স্পেন ডাচ আর জার্মানরা মিলে দুই আমেরিকা , এশিয়া , আফ্রিকা , অস্ট্রেলিয়া সবকটাকে কেক ভাগ করার মতো করে বাটোয়ারা করে নিয়েছে লোকাল দের কচুকাটা করে। তারপর নিজেদের মধ্যেই ভাগ নিয়ে লেগেছে যার ফল দুটো ওয়ার্ল্ড ওয়ার। উলুখাগড়াদের নিয়ে কে ভাবে আর ?
এখন এদের আবার অন্য বিপদ। ৫০-৮০ তে রাশিয়া আর গত ১০-২০ বছরে চীন ইউরোপিয়ান হেজেমনিকে হেভি চাপে ফেলেছে। না পারছে গিলতে না ওগড়াতে।
ওঃ স্যান্ডি, কী সবুজ! গ্রীষ্মে তোলা, না? আশেপাশেই থাকেন? শীতে একবার গেলে আবার তুলবেন।
আচ্ছা, সেই যে নাজিদের গোপণ কোড ডিসাইফার করেছিল সেই এনিগ্মা নিয়ে একটা সিনেমা আছে না? টুরিং কে নিয়ে? কিছুতেই পুরোটা পাই না। ক্লিপ পাই ছোটো ছোটো। কেউ যদি পুরো লিংক পান দেবেন প্লীজ। আগাম ধন্যবাদ।
একেবারেই অজ পাড়া গাঁ টাইপের স্টেশন। কয়েক মাস আগের ফটো
গল্পগুলোও বেশিরভাগই সুপিরিওরিটির সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম টানে আঁকা। এক গল্পে আবার গীতা পর্যন্ত ঢুকিয়ে দিয়েছে। সফি সফি একসোটিক ব্যাপার কিনা! ঃ-)
ওঃ, ভক্তেরা জানলে উদ্দাম নৃত্য শুরু করবে রে! "দিবি সুরিয় সহস্রস্য ভবেদ যুগপৎ উত্থিতা" ঃ-)