বল ছাড়াটা যেমন আর্ট তেমনি ভাল বা একটু খারাপ বলকে মারাটাও আর্ট। সেটা সম্ভব যখন হাতে নানা রকম স্ট্রোক থাকে। সেটা পুজারার নেই। সেইটাই কথা। নইলে ওরকম টেম্পরামেন্ট ওয়ালা অনেক প্লেয়ার বছরের পর বছর কন্জিতে কিলো কিলো রান করে কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে byaartha
ঠিক কথা এখন আর কাউকে সেভাবে প্যাডিং করতে দেখিনা। আগে তো শুনেছিলাম যে প্যাডের পিছনে ব্যাট থাকলেও এলবিডাব্লিউ দেওয়া হতনা। এখন বোধয় ওসব আর কিছুই নেই।
বড় এস একদম ঠিক বলেছেন। ওল্ড স্কুল ক্রিকেটে বল ছাড়াটা একটা আর্ট। যার অফ স্ট্যাম্প এর পজিশনের ব্যাপারে ঠিকঠাক আন্দাজ আছে সেই এটা ভালভাবে করতে পারবে। আমাদের ছোটবেলার ক্রিকেটের আর একটা আর্ট ছিল প্যাডিং করা অৰ্থাৎ বলকে প্যাডে নেওয়া। এটাও একটা স্কিল হিসাবেই দেখা হত। কিন্তু লেগস্পিনারের বলে এল বি ডব্লিউ আউট চালু হওয়ার পর এটা আর সঙ্গত কারণেই দেখা যায় না। প্যাডিং খুব ভাল করত গাভাসকার আর মিয়াঁদাদ।
বলও তো টার্ণ করছে।
হঠাৎ মনে হল, আচ্ছা সজারুদের দুঃখের কথাটা কি আপনারা কেউ ভেবে দেখেছেন? ;-)
রোহিত শর্মা আগের থেকে অনেক সিরিয়াস হয়েছে, মুম্বাই ইন্ডিয়ানের ক্যাপ্টেন হবার পরে তো আরো। o চোট না পেলে এবার ভাল খেলত বলে মনে হয় কারণ ওর হাতে দারুন পুল আছে।
আজকের ম্যাচে ফিরি। ১৫০ লিড অনেক বলছে শেন ওয়ার্ন। ১৩০ o মন্দ নয়। আজ ঠান্ডা ঠান্ডা ওয়েদারে গোটা তিনেক নিয়ে নিলে অজিরা চাপে পড়ে যাবে। শুধু প্রার্থনা করুন স্মিথ যেন ফর্মে না ফেরে।
এইসব খেলাটেলাগুলো যে হচ্ছে, এগুলো কি মাস্ক ওয়ালা নাকি মাস্ক ছাড়া?
এই টিমে দ্রাবিড় হওয়ার ক্ষমতা কারোরই নেই। ঐ টেকনিক, মানসিকতা, স্ট্রোক সবকিছু মিলে দ্রাবিড় ছিল আদর্শ টেস্ট প্লেয়ার।
দেখুন নাগরিক জীবনের ক্রাইসিসটিস খুব কঠিন জিনিস সে সবে নাই বা ঢুকলাম।
টেস্ট টিমে খেলছে ফলে ভাল প্লেয়ার এনিয়ে তো সন্দেহ নেই, অচল বলাটাও একটু হার্শ সেটা মেনে নিচ্ছি। যেটা বলার ছিল যে শুধু মাটি কামড়ে পড়ে থাকা নয় স্ট্রাইক রোটেট করে বা পালটা মেরে চাপ থেকে বার করা পুজারার কর্ম নয়। অথচ 3 নম্বরের কাছে দুটোর মিশেলই কাম্য। সেহিসেবেই বলছি e বড় সিঙ্গল ডাইমেনশন প্লেয়ার।
আমি পুজারাকে অনেকদিন ধরে ফলো করি, রন্জির সময় থেকে। আমি খুব আশাবাদী ছিলাম দ্রাভিডের যোগ্য উত্তরাধীকারী পাওয়া গেছে বলে। কিন্তু সে আশা পূর্ণ হয়নি আর হবে বলে মনেও হয় না। ভুল হলে খুশিই হব
পুজারার টেকনিকের ঘাটতি আছে , সাংঘাতিক ট্যালেন্ট নিয়েও জন্মায়নি। যেটা আছে সেটা হল আইডিয়াল টেস্ট ক্রিকেটার সুলভ টেম্পারমেন্ট। অনেক ট্যালেন্টটেড ব্যাটসম্যান যেমন রোহিত শর্মা এ জায়গায় মারখেয়ে যায় বলে টেস্ট স্কোয়াডে এখনো নিজের জায়গা পাকা করতে পারল না।
খ্যা খ্যা খো খো খৌ খৌ
আজকের দুটো আউটই হয়না। ভালো খেলেও আউট হল।
কোনও মানে হয়। বোঝাই যাচ্ছিলো কি প্ল্যান ছিল। তারপরেও জাদেজা ইগো দেখাতে গিয়ে আউট হলো।
পুজারা হল বিশ হাজার শব্দের পোবোন্দো। বাকিরা হাজার, বড়জোর দুহাজার।
কোন সন্দেহই নেই। আইপিএল এ তো কেউ তাকে নেয়ই না।
তবে কিনা অনেক ক্ল্যাসিকাল ভ্যালুস আজগের নাগরিক লেয়ারগুলোর নীচে চট করে চোখে পড়ে না, কেবল ক্রাইসিসেই সেগুলো নজরে আসে। গত অস্ট্রেলিয়া সিরিজটা বোধয় ভুলে গেছেন। তাছাড়া সেটা ধুয়েই যে জল খাচ্ছে এই ইনিঙ্গসটা দেখে সেরকম মনে হল না।
কোনও মানে হয় এই সময় রানাউটের। জাদেজার যে কি তাড়া আছে। এইব্যাপারে দাদা ভালো ছিল।
টেস্টে ধরে খেলে খেলে বল পুরোনো করার আর পিচের জুজুটাকে নষ্ট করারও প্রয়োজন আছে। তবে পুজারার কনসিস্টেন্সি কম।
ছোটো ছোটো আঞ্চলিক বইমেলাগুলো শুরু হয়ে গিয়েছে কিন্তু । ঃ-)
এই বছর বইমেলা মিস করার জন্য কারও মন খারাপই হবে না। কারণ খপরের কাগজে লিখেছে -- বই মেলাই হচ্ছে না।
শান্তি!
@অরিন, হ্যাঁ, এই অতিমারীকবলিত ২০২০ ও প্রায় কেটে এল। আর ক'টা দিন বাকী। এই বছরের মার্চ মাসেই এক বন্ধু বলেছিলেন যদি বছরের শেষে বেঁচেবর্তে থাকি, সেটাই একটা বিরাট ব্যাপার। তো, দেখা যাচ্ছে, আছি আমরা।
সামনের ২০২১ সাল শুভ হোক, অতিমারী দূর হোক, এই প্রার্থনা।
সেটা হতে পারে। কিন্তু একজন জতীয় টেস্ট ক্রিকেট প্লেয়ার ম্যাচটার কঠিন সময়ে উতরে দেওয়ার পরও অচল প্লেয়ারের তকমা পায় কোন কারণে বুঝলাম না। এত কিছু খারাপ নয় মনে হয়।
পুজারা অতি অচল প্ল্যেয়ার। শুধু মাটি কামড়ে থাকাটাই সব নয় রান তোলাটাও দরকার। সেটাতে ঘাটতি আছে কারণ খুব লিমিটেড স্ট্রোক আছে হাতে। রোহিত ফিরলে আর রাহুলকে খেলালে পুজারার জায়গা নিয়ে প্রস্ন উঠবে।
এখানে আবার দেখলাম "পড়ল কথা সভার মাঝে" কেস হয়েছে। আরে আমি এখানের কারুর কথা বলিনি। ফেবুর এক গ্রুপে দলেবলে রামমোহনের পেছনে লেগেছিল, তারমধ্যে আবার কোথায় যেন রাহতোগী না কী যেন নাম এক অভিনেত্রী বলে বসেছিলেন রামমোহন খুব খারাপ লোক ছিলেন, সতীদাহ বন্ধ করে অতি খারাপ কাজ করেছিলেন, কারণ সতীদাহ জিনিসটা খুবই ভালো প্রথা ছিল। রাহতোগীর সেই শট তো ভাইরাল !!!! তুমুল কান্ড গ্রুপে গ্রুপে। সেই নিয়ে বলছিলাম আরকী। এখানে দেখলাম একজন উত্তেজিত হয়ে গ্যাছেন । আরে উত্তেজিত হবেন্না, উত্তেজিত হবেন্না, আজকালের অনলাইন দুনিয়া, সেখানে ঘন্টায় ঘন্টায় নতুন নতুন ব্যাপার হচ্ছে। ঃ-)
রমিত, আছেন? এরকম একটা কাব্যময় টাইপো হয়েছিল একবার অনেকদিন আগে এই সাইটেই। ছাদের কার্ণিশ লিখতে একজন লিখেছিলেন "চাঁদের কার্ণিশ।" টাইপোটাই কবিতা হয়ে গিয়েছিল। ঃ-)
তবে চেতেশ্বর পুজারা কালকে মাটি কামড়ে নতুন বলের শাইন না তুলে দিয়ে গেলে আজকে ভারতের এই কমফরটেবল লিডটাও হয় না। মেলবোরনের মাঠ ফ্ল্যাট ট্র্যাক, ভারতীয় ব্যাটিং এর পক্ষে সুবিধাজনক। এগুলোও একটু খেয়াল করবেন। তারপর বিসিসিআই এর ফোন, লর্ড স্নুটির প্রভাব , ;-) ,
হ্যাঁ আইপিএলের দুরকম এফেক্ট আছে। খেলাটাই অন্যরকম হয়ে যাচ্ছে। হঠাত মোড পাল্টে টেস্ট ক্রিকেটার হওয়া মুশকিলের। আজকাল বল ছেড়ে খেলার প্লেয়ার কম। অজিদের দিকে ল্যাবুশেন আর ইন্ডিয়ার পুজারা আর রাহানে। এর মধ্যে পুজারা তো আইপিএল খেলেইনা। বাকিরা সবাই স্ট্রোক প্লেয়ার, বল উইদিন রীচ এলে ব্যাটে লাগিয়ে দেয়, ছাড়ে না। আরেকটা হল সব প্লেয়াররাই চেনাশোনা। ফলে সবাই সবার স্ট্রেঙ্গথ, উইকনেস জানে। পাকিস্তানের দুজন ইউটিউবার ক্রিকেট অ্যানালিস্ট বললো যে দিল্লি ডেয়ারডেবিলসের কোচ থাকার সময় পন্টিং দেখে নিয়েছিল পৃথ্বী শয়ের উইকনেস আর সেটাই অজিরা ব্যবহার করেছে প্রথম টেস্টে। তবে সব দলের মধ্যে বন্ধুত্বও বেশি হচ্ছে।
এখন ভারতীয় ব্যটাররা স্পিন খেলতে খুব ভালো পারে না কারণ ভাল স্পিনার খেলে না, পিচের চরিত্রেও বদল এসেছে দেশে, পেসার বেশি উঠছে, স্পিন নামক আর্টটিকে গত ১০ বছরে আইপিলের ধামাকায় হারিয়ে ফেলা হয়েছে।
তবুও বিরাট, রাহানে, রোহিতের মত ক্লাসিকাল প্লেয়াররা বেশ ভালৈ খেলে স্পিন।
যেটা আরো হয়েছে সেটা হল আইপিএল খেলার ফলে ভারতীয় পিচের সাথে বিদেশিদের সম্যক পরিচয় ফ্হটে যাওয়ায় সেই মিস্ট্রি ব্যাপারটা আর নেই। এটা খুব ভালো বোঝা যায় নতুন বা আইপিএল খেলেনি এরকম প্লেয়ার দেখলে।
অজিদের ভিতর লাবুশানে ভাল খেলছে, নজর রাখুন এর দিকে।
সব মিলিয়ে ২০২০ টা কেমন গেল? করোনাভাইয়ের উৎপাত মেনে নিয়েও? বেঁচে আছি, এইটা বড় কথা। বেশ কিছু নতুন বন্ধু, নতুন অভিজ্ঞতা হল। বেশ কিছু মানুষ চলে গেলেন। ২০২১ এর দিকে তাকিয়ে।
তবে আমি ভেবেছিলেম সেটা ২০২৬-এ। তার আগে আইসিসি-র প্রেসিডেন্ট-্টা হয়ে নেবে
সৌরভ বাংলার মুখ , ইয়ানি কি মুখ্যমন্ত্রী হবে, সে অবিশ্যি সহবাগ বহু আগেই বলে দিয়েচে
বেহালাবাসী স্টেপ আউট করবে নাকি ক্রীজেই থাকবে, সেই ভাবছে মনে হয়।