যে লোক একজন ধান্দাবাজকে গালি দেয়, আর অধিকতর ধান্দাবাজের সম্পর্কে চোখ বুজে থাকে তার ধান্দাবাজিবিরোধী ক্রেডেন্সিয়াল সাস্পেক্ট।
দীপের কোটেশন প্যারাফ্রেজ করে।
"ভালো লোকেরা একে একে সরে" তিনো অথবা বিজেপিতে চলে গিয়েছে!! তারা এখনো ভালো।
শুধু বাম -কংগ্রেস জোটে ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চারা চড়ে বেড়াচ্ছে।
কোনো রাজনৈতিক ধান্দাবাজিতেই আমার কোনো আগ্রহ নেই! এদের একটাই ধান্দা, যেকোনো ভাবে ক্ষমতায় আসা আর সাধারণ মানুষকে লুটেপুটে খাওয়া!
শুভরাত্রি!
বেশ কথা, আপনি বিজেপিকে সাপোর্ট করেন নি। কিন্তু সিপিএম না হয় বামপন্থী না হল। ধরুন সিপিএম আসলে এক্স পার্টি। তাহলে কী বলবেন?
আমার একটা লেখা দেখাবেন তো যেখানে গোবর-গোমূত্র পার্টিকে সমর্থন করেছি!
কোন কোন ভালো বামপন্থী গালাগালির জন্যে (বা অন্য সব খারাপ খারাপ কারনে) বামপন্থা থেকে সরে গেছেন বলুন না।
আর তাছাড়া আপনি মানুষের যোগ্যতাকে সম্মান করেন, মানে ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যকে বেশি মূল্য দেন এমন ধরে নেওয়া যায়। তাহলে আর বামেদের অধঃপতন নিয়ে এমন ভাবছেনই বা কেন? আনুগত্যনিরপেক্ষ মানুষের যোগ্যতাই যদি সার হয়, তাহলে ভালো ভালো লোকেরা ভালো ভালো কাজ করবেন, বাম ডান চুলোয় যাক না, ওসব ভেবে আর কী করবেন?
আচ্ছা বেশ তো, বোঝা গেছে। কখনো আবার ধান্দাবাজের দল সরে যাবে, ধোয়া তুলসীপত্রগুচ্ছ ভেসে উঠবে। এ জগতের নিয়ম। চিন্তাবেন না। আপনার ওপর তো আর ভুবনের ভার নেই।
দীপবাবু বাঙালি সংস্কৃতির অবক্ষয় নিয়ে খুপ চিন্তিত। এই দেকুন না, কী কান্ড, বামপন্থী বিশ্ববিদ্যালয় বলচে গো বিজ্ঞান পড়াবে নাকো! আস্পদ্দা দ্যাকো!
‘গো বিজ্ঞান’ নিয়ে পরীক্ষা নিতে বলছে ইউজিসি, রাজি নয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়
বছর খানেক আগে দেশি গরুর দুধে সোনার ‘হদিস’ দিয়ে বিতর্ক তৈরি করেছিলেন রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এরপর রাজ্য বিজেপি-র এক নেতা পোল্যান্ডের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাপত্র পেশ করে গো-দুগ্ধে সোনার উপস্থিতি দাবি করেন। ওই গবেষণাপত্রে গরুর দুধে অন্য নানা খনিজের সঙ্গে সামান্য সোনার উপস্থিতির কথা বলা হয়েছিল। তবে তা দেশি গরু নয়। কামধেনু আয়োগের পাঠ্যসূচি অবশ্য জানাচ্ছে, কেবলমাত্র দেশি গরুর দুধেই রয়েছে সোনা।
‘রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগ’-এর তরফে ‘মাল্টিপল চয়েস’ জাতীয় পরীক্ষা সংক্রান্ত একটি পাঠ্যসূচিও প্রকাশ করা হয়েছে সম্প্রতি। সেখানে বলা হয়েছে, ‘১৯৮৪ সালে ভোপালে গ্যাস দুর্ঘটনায় ২০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু যাঁদের মাটির ঘরের দেওয়ালে গোবর লেপা ছিল, তাঁদের কোনও ক্ষতি হয়নি’। ২০০৮ সালে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান, গ্যাস দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ৩,৭৮৭ বলে জানিয়েছিলেন। আর গোবরের ‘রক্ষাকবচের’ কথা সরকারি স্তরে বা গ্যাস-দুর্গত পরিবারগুলির তরফে গত সাড়ে তিন দশকে শোনা যায়নি।
শুধু তা-ই নয়, গো-হত্যার সঙ্গে ভূমিকম্পের সম্পর্ক নিয়েও অভিনব ‘বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব’ হাজির করেছে কামধেনু আয়োগ। সেখানে জুড়ে দেওয়া হয়েছে কিংবদন্তি বিজ্ঞানী অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের নাম। তাদের ব্যাখ্যা, কোনও এক জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে গবাদি পশু জবাই করা হলে তাদের মরণ-আর্তনাদের ‘প্রভাব’ পড়ে ভূস্তরের উপর। ‘আইনস্টাইনিয়ান পেন ওয়েভ’-এর দীর্ঘস্থায়ী ফল হিসেবেই ভূমিকম্প হয় বলে জানানো হয়েছে পাঠ্যসূচিতে।
শুনুন, সোজা কথা সোজাসুজি বলি। আমি মানুষের যোগ্যতাকে শ্রদ্ধা করি, তার আনুগত্যকে নয়! আমার মতের চূড়ান্ত বিরোধী হলেও তাঁর মতপার্থক্য আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্বীকার করি!
"আমরা-ওরা" মার্কা ছাগলামিতে বামপন্থী আন্দোলনের ক্ষতি সবচেয়ে বেশী হয়েছে! ভালো লোকেরা একে একে সরে গেছেন, আর তার জায়গায় এসেছে ধান্দাবাজের দল! আর তারাই সবচেয়ে বেশি গালিগালাজ করে!
আর এগুলো বললেই চাড্ডি, বিজেপির লোক!
পাবলিক ফিগারদের পেশা নিয়ে হার্শ সমালোচনা নিতেই হয়। ওঁরা অত ফুলের ঘায়ে মূর্ছা যান বলে মনে হয় না। তৃতীয় শ্রেণীর অভিনেতা, তৃতীয় শ্রেনীর লেখক ওসব আবার ব্যক্তি আক্রমন হলো কিসে? স্মরণজিতকে নিয়ে দুবেলা খিল্লি হয় এখানে, সেকি ব্যক্তি আক্রমন নাকি?
আজব।
আর কথায় কথায় অন্যকে ছাগল, কাঁঠালপাতা খাবার উপদেশ এইখানে দেওয়া হয়েছে!
মহাশ্বেতা দেবী, শঙ্খ ঘোষদের মতো অসামান্য ব্যক্তিত্বদের কুৎসিত মন্তব্য করা হয়েছে!
সুপ্রিয়া দেবী, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়কে গালিগালাজ করা হয়েছে। তাঁদের অপরাধ তাঁরা মমতার একটি সভায় গিয়েছিলেন আর সেখানে তাঁদের সম্বর্ধনা দেওয়া হয়! ফলস্বরূপ তাঁরা হয়ে গেলেন "তৃতীয় শ্রেণীর অভিনেত্রী"! সেগুলো অবশ্যই ব্যক্তিগত আক্রমণ ছিলনা, ছিল যুক্তিবাদী বিশ্লেষণ!
হ্যাঁ, আমারও তাই মনে হয়, লগিন ফিউটাইল, ফেসবুকে কি আর কম খিস্তি খেউড় হচ্ছে? অ্যানোনিমিটি সত্ত্বেও সেল্ফ সেন্সর্ড, এই জিনিসটা ধরে রাখা অংশগ্রহনকারীদের মধ্যে থেকে, এতদিন যেমন রয়েচে, না হলে এসবের কোন মানে নেই।
অনেক লোকজন হলে সেটা সহজ না, হলো ম্যানের মরালিটির মত।
ওসব কাঁদুনী গেয়ে কী হবে। লোকজন আপনাকে খিস্তি দিয়েছে উল্টে আপনিও দিয়েছেন। ও আগে মুখ ভেঙিয়েছে ওসব প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে মানায় না।
অভ্যু, লাভ আর কি। যতোদিন অ্যানোনিমিটি রেখে পোস্ট করা যায়, এই আর কি। পুরো আটকানো যাবেনা, তবে বাড়াবাড়ি হলে যদি কিছু পোস্ট ডিলিট করে খানিকটা লিমিটের মধ্যে রাখা যায় সেই চেষ্টা।
অসামান্য যুক্তিনির্ভর আলোচনার প্রকাশ!
দিনের পর দিন এইধরনের ব্যক্তিগত আক্রমণ হয়ে চলেছে!
"অবশ্য তাতে ছাগলের নাচ বন্ধ হবেনা!"
এই বাক্যটিকে ঠিক কতটা যুক্তিবাদী আলোচনার অংশ হিসেবে ধরা যায় ?
তো, ব্যাপারটা খাড়াইল এই যে, ভাটে যা-ই লিখুন না কেন কন্যাশ্রী প্রকল্প মমতার নামেই ইতিহাসে রয়ে যাবে। যেমতি মহামতি নিউটনের নামে আমাদের পূর্বপুরুষের কিছু অজ্জিনাল আইডিয়া পাঠ্যপুস্তকে থাকে?
কিন্তু সে তো আম্মা তারও আগে তামিলনাড়ুতে করল। সেই আইডিয়া প্রশাসন বুদ্ধবাবুকে জানালেন। তবে সে সব ২০০৭ এর গল্প ও বুদ্ধবাবু সময় পাননি বোধ ইম্প্লিমেন্ট করার।
এটা কিন্তু বোধের গল্প নয়, আইডিয়ার গল্প; আর এরকম অনেক যুগান্তকারী আইডিয়া তো আমারই রয়েছে যে সব ইম্প্লিমেন্ট করলে নোবেল তো সামান্য, মানবসভ্যতার ইতিহাসই পাল্টে যাবে। মানে, আমার সেরকম ই ধারণা।
কিন্তু সে সবের কৃতিত্ব তো কেউ আময় দিচ্ছে না। আর, আমি তো তুচ্ছ, একক ও ডিডির কত রেভলিউশনারী আইডিয়া এই পাতাতেই আলোচিত। কিন্তু ইতিহাসের ফুটনোটে কি উনারা থাকছেন, যদি সে সব ইমপ্লিমেন্টেড না হয়, বা গুরু সভ্যতার ইতিহাস রিরাইট করতে পারে? (চিন্তিত ইমোজি )
তাতে লাভ? ধরুন একজন qwer নামে লগিন করে গাল দিতেই থাকল। এই যিনি কুবির নামে লিখেছেন, তিনি তো একটা নিকেই ডিলিটযোগ্য পোস্ট করে গেছেন। বাধ্যতামূলক লগিন বা অবাধ্যতামূলক বেআইন কিছু দিয়েই কি এদের আটকানো যাবে?
r2h কে সমর্থন করছি। বেফালতু গালাগাল আর নিজেদের মধ্যে খিস্তি, যার সাথে বাকি আলোচনার কোন সম্পর্কই নেই, সেগুলো ডিলিট করা হোক। যেমন শ্যামাপ্রসাদের টইতে হয়েছে। নাহলে আবার পরে এগুলো দেখিয়ে লগিন বাধ্যতামূলক করার কথা উঠবে।
কোনটা ডিলিট হবে আর কোনটা হবে না, বা আদৌ হবে কিনা সে তো কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত। বাধ্যতামূলক লগিনের পক্ষে মত যেমন বাড়ছে আজকাল।
কিন্তু কোনটা খিস্তি আর কোনটা থেকে খেউড়ের ট্রেল চালু হতে পারে সেটুকু বোঝার ক্ষমতা তো আমাদের সবারই আছে। সেসব করে ঐ লগিন চালু করার দিকে ঠেলে দেওয়াটাই উদ্দেশ্য, হতেই পারে।
চাড্ডিদের চাড্ডি বললে সেটাকেও কী খিস্তি হিসেবে ডিলিট করা হবে? এইটে আগে ক্লীয়ার হোক।
আরে, হাহাহা, ধোরবা ইত্যাদি - আপনারা হাতে ধরে গুরুকে বাধ্যতামূলক লগিনের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন।
তাতে আপনাদের নিশ্চয়ই কোন সমস্যা নেই, কিন্তু আমি বা আরো অনেকেই লগিনবিহীন সেল্ফ সেনসর্ড গুরুর পক্ষে বহুদিন থেকে, তাই লগিন এড়ানোর জন্যে অ্যাডমিন বা কর্তৃপক্ষ বা গুপুর কাছে খিস্তি গালগাল ইত্যাদি পোস্টকে নির্বিচারে ডিলিট করতে অনুরোধ করবো।
সেল্ফ সেন্সর্ড সিভিলিটি বজায় রাখার মত ম্যাচিওরিটি সবার হয় না, কী আর করা যাবে।
বিরোধী, বিরুদ্ধমত, চাড্ডি, বাইগট ইত্যাদি থাকবেই। তাদের দেখলেই মুক্তকচ্ছ হয়ে খিস্তি করতে শুরু করলে তাদের কিছুই ক্ষতি হয় না, শুধু সুস্থ কথাবার্তার জায়গাগুলো কমতে থাকে।
সবকটা চাড্ডিরপো ভাবে কটা অক্ষর পরপর টাইপ করলেই সেটা যুক্তি হয়ে যায়।
সিপিএম বামপন্থী নয়। তাতে কি হল?
ইনি কি সেই দীপ "চাড্ডি" চ্যাটার্জি? ইন্টুমিন্টুবিরোধী বিখ্যাত সন্দীপন সমালোচক?
পোঁয়ের দল ল্যাজ তুলে ছুটে আসছে! কি অসামান্য যুক্তিনির্ভর আলোচনা!
এটা চোক খারাপ হওয়া টিউবলাইট। কেষ্টমেশনের ধিনিকেষ্ট :-))))
হাগা পার্টি এসে গেছে!
হাগা পার্টি এসে গেছে!