পঃ বংগের সব রক্ত কলকাতায় জমা হয়, সে বিষয়ে একমত। একটা রাজ্যের পক্ষে এ কোন ভাল প্ল্যানিং না
হ্যাঁ, উনি খুব বড় শিল্পী, ভাল মানুষ ও , ছোটবেলায় অনেক গেছি ওদের বাড়ী। থ্যাংকু, অভ্যু
এলেবেলে বাবু,আপনি শুধু শুধু মনোকষ্টে ভোগেন।আমরা গ্রামকে খুব ই ভালোবাসি।খালি মফস্বল এর লোকজনের জন্য একটু কষ্ট হয়।রাস্তা গুলো সরু সরু, গাড়ি চালানোর জায়গা কম, ভালো হাসপাতাল নেই,ভালো ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল নেই; এই সবের জন্য।
হ্যাঁ নইলে আর দিলুম কেন? :) তোমাদের পাশের গলিতেই তো থাকতেন!
ভদ্রলোক সম্পর্কে অনেক কিছু লিখেছে উইকিতে https://en.wikipedia.org/wiki/Chandra_Nath_Shastri
এলেবেলে, আমি শুধু জেনেরালাইজেশন-এর বিপদ নিয়ে চিন্তিত, শেষে 'মুসলিমরা সন্ত্রাসবাদী'-তে গিয়ে ঠেকে
চন্দ্রনাথ শাস্ত্রী - আমাদের পাড়ায় তবলা ওস্তাদ শাস্ত্রী কাকু ছিলেন, ইনি কি সেই জন?
কি জানি বাপু, নিমো গ্রামের লোকজনকে এখানে সবাই বেশ পছন্দ করে বলেই তো জানতুম।
অরণ্য, কলকাতার মানুষজন নিয়ে আমার একেবারেই গায়ের ঝাল নেই, থাকার কারণও নেই। কেবল কলকাতার যেসব বাসিন্দা অকারণে গুমোর দেখান এবং অন্যদের গেরামের বাসিন্দা বলে হ্যাটা করে প্রভূত আনন্দ পান, তাঁদের আওকাতটা বুঝিয়ে দেওয়ার সামান্য দরকার আছে।
এখানে দিয়ে থাকলে দেখিনি, ভাটে আসি নি কদিন
এই অরণ্যদা স্পেসিফিক্যালি তোমাকে একটা ইউটিউবের লিং দিয়েছিলাম ক'দিন আগে, দেখেছো?
দেখলাম ছবি গুলো। ভাল লাগল। কখনো দেশে গেলে যাব ওখানে @অভ্যু
এই যে অরণ্যদা, মেল করলাম।
কোন জায়গার মানুষ জন নিয়ে জেনেরালাইজেশন-এর মানে দেখি না, সে কলকাতা, মফস্বল, গ্রাম বাংলা, জেলা - যাই হোক।
অর্থহীন দাগিয়ে দেওয়া, গায়ের ঝাল মেটানো। প্রতিটি মানুষ আলাদা, সেটা মাথায় রাখলে ভাল হয়।
ধন্যবাদ হুতো। বুঝে গেছি। থেংক্যু!
স্যান্ডি,
ঠিক বলেছেন। একই গজল। ইকবাল বানো ও মেহেদি হাসান দুজনেই পিক ফর্ম। কিন্তু মেহেদী হাসান আলাদা জিনিস।
আচ্ছা,এবার দেখুন তো মেহেদির একটা হালকা চটুল লয়ের গান 'কিঁউ মুঝসে খফা হো গয়ে অ্যায় জান-এ-তমন্না' কেমন লাগে? তাতে একটা লাইন আছে -বরসাতোঁ নে এক আগ লগা দী হ্যায় চমন মেঁ , উস আগ কো অপনে মে দবা কিঁউ নেহী লেতে? ভিগি হুয়ী মৌসম কা মজা কিঁউ নহীঁ লেতে?
বর্ষা যেন ফুলের বনে জ্বালিয়েছে আগুন,
ওই অগ্নিকে আজ নিজের মতন আপন করে নাও,
কেন ভিজে বর্ষার মৌসমের আনন্দ ভুলে যাও?
রঞ্জনদা, আপনার কোনো একটা টইতে গৃহবধূদের নিয়ে একটা বেশ ইডিওম্যাটিক এক্সপ্রেশন বা কোন লাগসই প্রোভার্ব ছিল, ঠিক মনে নেই। এক্সপ্রেশনটা কালেকশনে রাখার মত , যদিও আগে শুনিনি। টইতে খুঁজে পেলাম না। আপনার যদি মনে থেকে সেক্ষেত্রে জানালে কৃতজ্ঞ থাকব।
রঞ্জনদা ,
'মোহাব্বত করনেওয়ালে কম না হোঙ্গে' গানটি ইকবাল বানো সংঘাতিক রকমের ভালো গেয়েছেন। কিন্তু মেহেদী হাসানের রেন্ডিশন সিম্পলি আউট অফ দিস ওয়ার্ল্ড! খানসাহেব 'উলঝনে' শব্দটিকে নিয়ে ইচ্ছেমত লোফালুফি করেছেন। দুটোই বোধ হয় ওনাদের একদম কেরিয়ারের পিকটাইমের পারফর্মেন্স।
যে ধারাবাহিকের চান, তার প্রথম পর্বের লিংকের শেষ সংখ্যাগুলি। আর পর্বের বিবরন হবে পর্ব তিন।
হুতো বা এলসিএম,
আজ রাত্তিরে বিদ্যাসাগর নিয়ে পাঠ -প্রতিক্রিয়ার তিন নং কিস্তি পোস্ট করব। এখানেই যদি আমাকে লেখাটির পাঁচ সংখ্যার লিংক নম্বরটা জানিয়ে দেন তাহলে নোট করে নেব এবং সন্ধ্যায় নিজে নিজে ঠিকমত পোস্ট করব
কিন্তু রঞ্জনদা আপনাকে প্রতিবার ঐ সংখ্যাটা নতুন করে জানতে চাইতে হবে কেন? ঐটে তো বদলায় না। একদম প্রথম পর্বটা ডেস্কটপ ল্যাপটপের ব্রাউজারে খুললেই অ্যাড্রেসবারের একদম শেষে যে 5 বা ৬ ডিজিটের সংখ্যাট থাকে ওটাই। আর একদম প্রথম পর্বটা আর বদলাচ্ছে না।
এছাড়া মঝে দ্বিতীয় বা অন্য কোনও পর্ব লিখে থাকলে সেটাকে সম্পাদনা মোডে খুললেও নীচে "ধারাবাহিক 'প্রথম আর্টিকল' এর গা লাগোয়া বাক্সে নাম্বারটা আছে। এটা একটু ঘোরানো উপায়। প্রথম পর্ব খুলে অ্যাড্রেসবারে দেখে নেওয়া যায়। একবার দেখে লেখার ফাইলে লিখেও রাখা যায়।
এসএম ,
ধন্যবাদ; বেগম আখতারের দাদরাটির জন্যে।
এলেবেলে,
হেব্বি দিয়েছেন-গ্রাম দিয়ে সহর ঘেরা!
বিষ্ণুপুরের রাস্তাগুলো,ভয়ানক সরু। রাস্তাগুলো চওড়া হলে ট্যুরিজম আরো খুলতো। বেটারা বালুচরী,মাটির মূর্তি,ঘোড়া ছাড়াও গামছা হেব্বি বানায়।ওই গামছা,তোয়ালে কে গুনে গুনে তিন গোল দেবে।
ওখানে গেলে,জয়পুরে বনলতা রিসর্টে থাকবেন।টার্কি, এমু দেখতে ও এঁদের মাংসের প্রিপারেশন পাবেন। ফাউ হিসাবে জয়পুর জঙ্গল টাও ঘুরে দেখবেন।কি চমৎকার,শাল,পিয়াল,পলাশ, মহুয়ার সমাহার।জঙ্গলের ভিতর দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় তৈরী একটা আস্ত রানওয়ে আছে।
আরে কী মুশকিল! কলকাতাবাসীকে বিছুটি মারতে যাব কেন? কিন্তু গ্রামে বসে কলকাতাকে দখল করার স্বপ্ন দেখব না? মানে গ্রাম দিয়ে শহর ঘেরা বাতিল? ওই পরিকল্পনা করেই এগোচ্ছি তো। আর আবাপ! সেও তো এখন মফস্সলের জন্য আলাদা চারটে পাতা বরাদ্দ করে আর মুর্শিদাবাদে ছাপে। সে গুমোর কবে হাওয়া!! গ্রাম শহর ঘিরে ফেলছে স্যার, সাবধান!!!
এসেম, যস্মিন দেশে যদাচার। জঙ্গলে ঘুরতে গিয়ে আপনার প্রায়োরিটি কী হবে? সমস্ত নাগরিক স্বাচ্ছন্দ্য যোগান দেওয়ার পরে চারটে ফাউ জন্তু দর্শনের সুযোগ করে দেওয়া? সব জায়গায় গাড়ি করে ঘুরবেন কেন? বিষ্ণুপুরের মন্দির স্থাপত্য দেখতে হলে খামোখা গাড়ি লাগবেই বা কেন?
রমিত, সামান্য ভুল বুঝেছেন। দিল্লি বা লখনউ শোষণ করে সেই শোষণের টাকা বিদেশে পাচার করেনি, পাচার করা টাকায় আমাদের অর্থনীতিটাকে ন্যুব্জ করে দেয়নি। যেটা কলকাতা-মুম্বাই করেছে --- তুলো-আফিম-নীল-লবণ-সোরার ব্যবসায়।
ঠিক বলেছেন এলেবেলে বাবু। যত নষ্টের গোঁড়া ওই অবপ।ওই চাঁদনী থেকে আফিস তুলে, কেস্ট নগরে বসিয়ে দিন দেখি! শিকড় উপড়ে ফেলুন।
কলকাতা বাসী কে বিছুটি ধোয়া জলে চান করান। ভিক্টোরিয়ার দেওয়ালে গোবর লেপুন। কলকাতা ইউনি আর প্রেসি বিল্ডিং দুটোয় গোশালা বানান,আয়ুর্বেদিক হাসপাতাল করুন। কাজ কি আর কম আছে!
এলেবেলে
সমর সেনের কবিতায় আরেকটা লাইন আছে না?
'রক্তে জ্বলে বণিক সভ্যতার ধু ধু মরুভূমি' বা ওইরকম কিছু?
আমারও মাঝে মধ্যে মনে হয় ঃ
বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে
আর লম্পটেরা কোলকাতায়।
তবু কোলকাতা ভালবাসি, সেই বিল্বমঙ্গল নাটকের মতন।
"তুমি রাক্ষসী,
কিন্তু তুমি সুন্দর, কী সুন্দর!
না তুমি পিশাচী!
কিন্তু তুমি সুন্দর! কী সুন্দর!"
এই আমার কোলকাতা। রূপে অপ্সরী, গুণে বিদ্যাধরী।
ও মানে বেশিদিন ধরে করলে জায়েজ । কি যুক্তি।
কলকাতা আন প্ল্যান্ড। ঠিক কথা। কিন্তু বাকি শহর গুলোও প্লান করে কিছু করা নয়। লখনো বেশ দ্রুতই শিখরে উঠেছিল। আর সেই আলো খুব বেশি দিন স্হায়ী হয় নি। আজ লখনো র অবস্থা যথেষ্ট খারাপ। মানে বেশ খারাপ। দিল্লি তেও পুরানা দিল্লি ঘিঞ্জি, আন প্ল্যান্ড। লুটিয়েন্স দিল্লি টাই সুদৃশ্য। দূষণ ভীষণ। জ্যাম তো এত বাজে ফুটপাথ দিয়ে গাড়ি স্কুটার চলে। তাহলে কি ঐতিহ্য নিয়ে ধুয়ে জল খাবো ?
কৃষ্ণ নগর হোক,বর্ধমান বা বিষ্ণুপুর।একটু গাড়ি করে ঘুরে বেড়াবার জো নেই!চতুর্দিকে গলি আর গলি।খালি টোটো আর সাইকেল। কি অবস্থা! বাংলায় যাকে বলে মানে, কেলেঙ্কারি!
হুতো বা এলসিএম,
আজ রাত্তিরে বিদ্যাসাগর নিয়ে পাঠ -প্রতিক্রিয়ার তিন নং কিস্তি পোস্ট করব। এখানেই যদি আমাকে লেখাটির পাঁচ সংখ্যার লিংক নম্বরটা জানিয়ে দেন তাহলে নোট করে নেব এবং সন্ধ্যায় নিজে নিজে ঠিকমত পোস্ট করব।
ঠিক বলেচেন এসেম! মফস্সলের বাসিন্দারা নিন্দুক, হিংসুটে, অতৃপ্ত, কুচুটে ইত্যাদি প্রভৃতি। কিন্তু কলকাতার লোকজন? সব্বাই পরবর্তী নোবেল লেকচারটি লিখতে ব্যস্ত!!
ও আচ্ছা। দক্ষিণবঙ্গ কেন, ওই শহরটা পুরো পশ্চিমবঙ্গের বাথরুম। তাই কাগজের পাতায় হেডিং হয় 'মাধ্যমিকে এবারেও কলকাতাকে টেক্কা দিল জেলা'। কী মারাত্মক উন্নাসিকতা ও একলষেঁড়ে মনোভাব।