@ অরণ্য বাবু,
আপনি জানতে চেয়েছিলেন নেতাজী ওয়েবিনরে আমার প্রশ্ন বিষয়ে। প্রশ্ন গুলো নীচে দিলাম।
গান্ধী- নেহেরু- নেতাজী এই ত্রয়ী নিয়ে দীর্ঘকালীন এক রাজনৈতিক বিভাজন আছে যা বহুলাংশে ইতিহাস সম্পত নয় এবং খুব আক্রমণাত্মক এবং এই মানসিকতা ইতিহাস চর্চায়েও যে ছাপ ফেলেনি এমন জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে কিন্তু জরুরী সচেতনতা প্রয়োজন ।
১৯২৫ এ দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের মৃত্যুর পর থেকে ১৯৩৯ এ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ পর্যন্ত এই দীর্ঘ চোদ্দ বছরের সুভাষচন্দ্র বসু উল্লেখযোগ্য ভাবে কি কোনো আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন ? ১৯২৫ এ উনি জেলবন্দী। ১৯২৭ এ মুক্তি পেয়ে ১৯৩৫ যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত পর্যন্ত বসু- সেনগুপ্তের প্রদেশ কংগ্রেস কেন্দ্র করে লড়াইটাই প্রধান ছিল।
নাতসিদের মত একটি ভয়ঙ্কর মানবতা বিরোধী রাষ্ট্রীয় শক্তির সাহায্য নিয়েছিলেন সেটা কি শুধুই ‘শত্রুর শত্রু আমার মিত্র’ এই সরল তত্ত্ব ? কারণ তিনিই বলেছিলেন ভারত স্বাধীন হলে দেশকে দশ বছর ডিক্টেটরশীপে রাখবেন !
গান্ধী- নেহেরু- নেতাজী এই ত্রয়ী নিয়ে দীর্ঘকালীন এক রাজনৈতিক বিভাজন আছে যা বহুলাংশে ইতিহাস সম্মত নয় যা অধিকাংশ সময় খুব আক্রমণাত্মক এবং কুৎসিত পর্যায় চলে যায়। এই মানসিকতা ইতিহাস চর্চাতেও যে ছাপ ফেলেনি এমন জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে কিন্তু জরুরী সচেতনতা প্রয়োজন অন্তত ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যে ।