এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • ভাটিয়ালি

  • এ হল কথা চালাচালির পাতা। খোলামেলা আড্ডা দিন। ঝপাঝপ লিখুন। অন্যের পোস্টের টপাটপ উত্তর দিন। এই পাতার কোনো বিষয়বস্তু নেই। যে যা খুশি লেখেন, লিখেই চলেন। ইয়ার্কি মারেন, গম্ভীর কথা বলেন, তর্ক করেন, ফাটিয়ে হাসেন, কেঁদে ভাসান, এমনকি রেগে পাতা ছেড়ে চলেও যান।
    যা খুশি লিখবেন। লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়। এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই। সাজানো বাগান নয়, ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি। এই হল আমাদের অনলাইন কমিউনিটি ঠেক। আপনিও জমে যান। বাংলা লেখা দেখবেন জলের মতো সোজা। আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি।
  • গুরুভার আমার গুরু গুরুতে নতুন? বন্ধুদের জানান
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Abhyu | 47.39.151.164 | ২৬ মার্চ ২০২২ ১০:৫৯498829
  • বাক্যবন্ধের উৎস, অর্থ ও ভাবসম্প্রসারণ জাতিকে জানানো হোক।
  • সম্বিৎ | ২৬ মার্চ ২০২২ ১০:৫৬498828
    • b | 14.139.196.16 | ২৬ মার্চ ২০২২ ১০:১৫498826
    • " পড়তে পড়তে হেজে রড"
      এই বাক্যবন্ধের অর্থ কি ? এ কি শুধু হ্যারিসন রোডের উত্তরে   আর শ্যামবাজারের দক্ষিণে শোনা যায় ?  জাতি জানতে চায় । 
     
    যাদবপুর, সল্ট লেক।
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::99:9092 | ২৬ মার্চ ২০২২ ১০:৩৯498827
  • নীচে গত আইপিএল মিডিয়া রাইটসের বিড সামারি (২০১৮-২০২২)। আগামী পাঁচ বছরের জন্য বেস প্রাইসই রাখা হয়েছে ৩৫ হাজার কোটি - আগেরবারের দুইগুন। ম্যাচের সংখ্যাও বাড়তে চলেছে, ইনফ্লেশান, দুনিয়াজোড়া পপুলারিটিও বেড়েছে। শোনা যাচ্ছে বিসিসিআই আশা করছে সব মিলিয়ে ৪৫ হাজার কোটি টাকা আসবে সবরকম মিডিয়া রাইটস বিক্রি করে। শুধু ডিজিটাল রাইটসেই আগের বারের কয়েকগুন বিড আসবে।
  • b | 14.139.196.16 | ২৬ মার্চ ২০২২ ১০:১৫498826
  • " পড়তে পড়তে হেজে রড"
    এই বাক্যবন্ধের অর্থ কি ? এ কি শুধু হ্যারিসন রোডের উত্তরে   আর শ্যামবাজারের দক্ষিণে শোনা যায় ?  জাতি জানতে চায় । 
  • dc | 122.164.204.18 | ২৬ মার্চ ২০২২ ০৯:৩৩498825
  • কিন্তু যুদ্ধের প্রথম পর্যায়ে অবজেক্টিভ কি ছিল? মারিউপোলে থিয়েটারে বোম ফেলে ৩০০ জনকে মেরে কি পুটিন প্রথম পর্যায় সমাপ্য ঘোষনা করলো? কিন্তু মাত্র তিনশো জন নাজিকে মেরে কি হবে? ওদিকে নাকি কিভে ইউক্রেনিয়ান নাজিরা কাউন্টার অ্যাটাকও করছে! পুটিন কি একটু হতাশ হয়ে পড়লো? 
  • hehe | 198.7.58.79 | ২৬ মার্চ ২০২২ ০৯:১৭498824
  • এলবো শালা গুরুতে পাত্তা পায়না বলে হেব্বি খার!
  • সম্বিৎ | ২৬ মার্চ ২০২২ ০৯:১৩498823
  • ভদ্রমহিলা ও মহোদয়গণ - বাজারে এক পিস চিঠি (উইথ ফ্যাসিমিলি কপি) ঘুরছিল কদিন আগে - সলিল চৌধুরীকে শচীনকর্তার লেখা, যেখানে কর্তা আক্ষেপ করেছেন তাঁর সাধের পনসোম মিউজিকালি বয়ে যাচ্ছে, সলিলকে গুরু মানে, যদি সলিল মিউজিকাল সৎপথে ফিরিয়ে আনতে পারেন। আমাকে কেউ সেই চিঠির লিং দিতে পারেন। ফ্যাসিমিলি কপি থাগলে সোনায় সোহাগা। থ্যাংকস ইন অ্যাডভান্স।
  • b | 117.194.78.226 | ২৬ মার্চ ২০২২ ০৭:৫৭498822
  • আরে শিলচর ইউনি আবার কি ? তাহলে তো বিশ্বভারতীকে বোলপুর ইউনিভার্সিটি, জে এন ইউ-কে মুনিরকা / বসন্তবিহার/ বেরসরাই ইউনি  বলতে হয় .
  • Abhyu | 47.39.151.164 | ২৬ মার্চ ২০২২ ০৪:৫৬498821
  • আলজাজিরা শুনে মনে হল রাশিয়া বলেছে যে যুদ্ধের প্রথম পর্যায় সমাপ্ত আর এবার ওরা পূর্বদিকের অঞ্চলে বেশি মনোযোগ দেবে। এটার মানে কি, রাশিয়া কি যুদ্ধ বন্ধ করার দিকে এগোচ্ছে আস্তে আস্তে? ইউক্রেনের রাজধানী আর অন্য বড় শহর দখল করার চেষ্টা বন্ধ করবে?
  • @অপু | 43.251.171.93 | ২৬ মার্চ ২০২২ ০১:২৯498820
  • এটা অপুর দৃষ্টিগোচর করলাম
     
    • জরুরি প্রয়োজন | 43.251.171.93 | ২৫ মার্চ ২০২২ ১২:৫৫498672
    • কলকাতার কেউ ISI  লাইব্রেরি থেকে একটা বই দুসপ্তাহের জন্য তুলতে পারবেন? 
       
  • r2h | 134.238.14.27 | ২৬ মার্চ ২০২২ ০১:২৬498819
  • আরে বাহ, বিশুদ্ধ তো দেখছি সমঝদার লোক। আমি বিশুদ্ধ অহেতুকের জন্যে যা কিছু জলাঞ্জলি দেওয়া সম্ভব সব দিয়েছি।
  • বিশুদ্ধ পড়ালেখার চর্চা | 2600:1002:b11b:3554:480f:523f:bf81:3161 | ২৬ মার্চ ২০২২ ০১:১০498818
  • কি মুশকিল? বিশুদ্ধ পড়ালেখার চর্চা কেন থাকবে না? এই আমাকেই দেখুন না - বিশুদ্ধ পড়ালেখা আর বিশুদ্ধ প্রেমের চর্চা করার জন্য কত প্রোমোশান হেলায় জলাঞ্জলি দিলুম! 
  • অপু | 182.66.181.161 | ২৬ মার্চ ২০২২ ০০:৪৩498817
  • খাইসে......
  • kc | 188.236.202.36 | ২৬ মার্চ ২০২২ ০০:২৭498816
  • জগদীশ ভট্টাচার্যের বইয়ের আলমারি আর লেখার খাতা সবকিছুই, ওনার নাতি শিলচর ইউনিতে দিয়েছেন। এই নাতিও আলটি লেভেলের পন্ডিত, আমি আর আমার ফা-ইন-ল ওনার পেশেন্ট, আমরা বেছে বেছে লাস্ট পেশেন্ট হয়ে নাম লেখাই, ফলে ডাক্তারির পরে হুহু করে সময় কাটে ওনার চেম্বারে, নরেন্দ্রপুরের ছাত্র, বিবেকানন্দ, মিশন আর রবীন্দ্রনাথ এত খুঁটিয়ে পড়া আর আঙুলের ডগায় সেগুলো মনে রাখা, আদ্ধেক রোগ ওখানেই সেরে যায়। 
     
    বিশুদ্ধ পড়ালেখার চর্চা এখনও আছে, ভালোভাবেই আছে।
  • kc | 188.236.202.36 | ২৬ মার্চ ২০২২ ০০:০১498815
  • এলে আচ্ছা, আমি ভুল জানতাম তাহলে।
  • এলেবেলে | 202.142.119.190 | ২৫ মার্চ ২০২২ ২৩:৫৬498814
  • কিন্তু উনি শিলচরের বাংলার অধ্যাপক নন, তু সা-র হেড ডিপ।
  • এলেবেলে | 202.142.119.190 | ২৫ মার্চ ২০২২ ২৩:৫৪498813
  • অর্জুনদেব প্রেসিডেন্সির ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট, পরে যাদবপুরের ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট। তবুও বাংলার কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর ঠাঁই হয়নি দুটি কারণে - সিপিএম নন এবং অসম্ভব ঠোঁটকাটা।
  • kc | 188.236.202.36 | ২৫ মার্চ ২০২২ ২৩:৫১498812
  • গীতা চট্টোপাধ্যায়ের কবিতার কথা প্রথম জেনেছিলাম তপোব্রত ঘোষের লেখা থেকেই। ভাল লেগেছিল।
  • এলেবেলে | 202.142.119.190 | ২৫ মার্চ ২০২২ ২৩:৪৯498811
  • কেসিসাহেব, অর্জুনবাবু আমার বন্ধু। আমার বিদ্যাসাগরের বইটার উদ্বোধনের দিন সুদূর শিলচর থেকে এসেছিলেন। তপোব্রত ঘোষের ঘনিষ্ঠতম ছাত্র। শঙ্খ ঘোষের ওপর প্রচণ্ড খাপ্পা (অনেক গপ্পো আমাকে বলেছেন)। অর্জুনদেবের পাণ্ডিত্য নিয়ে কোনও কথা হবে না। উনি কিন্তু লোক হিসেবে অমায়িক, মানে আমার সঙ্গে ফোনে এত গল্প করেন যে মনেই হয় না উনি একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আর  আমি টোটাল ধুর। এই সেদিনই নিঃশব্দের তর্জনী শব্দবন্ধটি শঙ্খ ঘোষ কোত্থেকে ঝেঁপেছেন, সেই নিয়ে লিখেছিলেন। তপোব্রত ঘোষের রেফারেন্স টেনেই।
  • kc | 188.236.202.36 | ২৫ মার্চ ২০২২ ২৩:৪৮498810
  • যদুপুরে শঙ্খ ঘোষের গ্রূপ ওনাকে খুব হেকল করত নাকি! আর উনি শঙ্খ ঘোষের লেখায় ভুল বার করলেও শঙ্খ ঘোষ সেগুলো পরিমার্জনা করেননি। কিন্তু উনি যে চোখ দিয়ে শঙ্খ ঘোষের লেখার ভুল বার করেন, আমার অদীক্ষিত চোখে সেসব ধরা পড়েনি ওনার লেখা পড়বার আগে, শেষমেশ সেগুলো পন্ডিতদের ক্যাচক্যাঁচানি মনে হয়েছে, দাগ কাটেনি। শঙ্খ ঘোষও মনে হয় নিশ্চুপ থেকেছেন। 
     
    এই পরিসরের বাইরের লেখাগুলো ভালোই লাগে। 
  • সিএস | 49.37.34.190 | ২৫ মার্চ ২০২২ ২৩:৩২498809
  • তপো ঘোষ মনে হয় শঙ্খ ঘোষের ওপর খুব রেগে থাকতেন। রবিবাবুর লেখা নিয়েই।
  • kc | 188.236.202.36 | ২৫ মার্চ ২০২২ ২৩:১৯498808
  • জ্জিও ন্যাড়াদা, এবার আরেকজন রেগে থাকা পন্ডিতের (সত্যিই পন্ডিত) কথা বলি, আমাদেরই বয়সি, শিলচর ইউনিতে বাংলার অধ্যাপক, খুবই ভালো পড়াশোনা এবং সেটা প্রকাশ করার ভাষা। কিন্তু বাধা ওই রেগে থাকা, উনি রেগে না থাকলে যেসব লেখেন, অসম্ভব রকম সুখপাঠ্য, আলাদা করে ভাবতে বাধ্য করেন। মাইকেলের উপর বৌদ্ধিকভাবে ওনাকে আমার অথরিটি মনে হয়। অর্জুনদেব সেনশর্মা। 
     
    এবার রেগে না থাকা আরেকজন পন্ডিত, অ্যাকাডেমিয়ার বাইরের মানুষ, ইদানিংকালে সবথেকে বেশি আনন্দ দিয়ে থাকেন, গৌতম মিত্র।
     
    ফেসবুক ইন্টারনেট না থাকলে কোথায় পেতাম এনাদের?
  • সম্বিৎ | ২৫ মার্চ ২০২২ ২২:৫৭498807
  • শুধু তপোব্রতবাবু নিজেই রেগে থাকেন না,  ওনার ছাত্রদের অনেকেই খুবই রেগে থাকেন। আমি রবীন্দ্রসঙ্গীতের টেক্সচুয়াল অ্যানালিসিস পড়তে পড়তে হেজে রড হয়ে গেছি।
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ২৫ মার্চ ২০২২ ২২:৩৬498806
  • গুরু আর চণ্ডাল উভয়ের আদর মিলবে - তবেই ত গুরুচন্ডালি। আমি এখানে গুরুর অভাব এখনও বোধ করিনি। আবার আমার মত চণ্ডালকেও জায়গা দেওয়া হয়েছে। তাই আমার জন্য এই গুর্চ খাসা জায়গা।laugh
  • kc | 188.236.202.36 | ২৫ মার্চ ২০২২ ২২:৩৫498805
  • তপোব্রত ঘোষ'কে আমি ফলো করি, একটা লেখা বা কবিতাকে কিভাবে পড়তে হয়, তার ঘাঁতঘোঁত কিভাবে মাপতে হয়, কোন যতিচিহ্ন কিরকম ভাবে ব্যবহার হয়, সেটা উনি এমনভাবে শিখিয়ে দেন, খুব উপকার হয়। জগদীশ ভট্টাচার্য্য'র সার্থক ছাত্র, একটু রেগে থাকেন, এটাই অনুযোগের। ওনার 'রবীন্দ্র জিজ্ঞাসুর ডায়ারি' সিরিজটা অনুস্টুপ থেকে কেটে রাখি।
  • Ranjan Roy | ২৫ মার্চ ২০২২ ২২:১৪498804
  • LCM কে বড় হাতের  ক। 
  • lcm | ২৫ মার্চ ২০২২ ২২:০৩498803
  • গুরুতে লেখক/পাঠকের মতামত বিনিময় স্বচ্ছন্দে হয়... সাইটের বেগুনি রং থেকে শুরু করে, কেন এত বিভাগ, কেন পশ্চিমবঙ্গের সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে বেশি আলোচনা হয় না... ইত্যাদি।

    এই, সিরিয়াস লেখক / ক্যাসুয়াল লেখক / নতুন লেখক / উঠতি লেখক / একটু নামকরা লেখক / ... ... সিরিয়াস পাঠক / ক্যাসুয়াল পাঠক / নিছক-আড্ডাবাজ-পাঠক / নীরব পাঠক ... ... ... এদের সকলের একসঙ্গে মতবিনিময়ের ( আলোচনা/ তক্কো / ঝগড়া ...) একটা প্লাটফর্ম ... এটা গুরুর একটি বিশেষত্ব ... কিন্তু সাইট নেভিগেশনের গোলকধাঁধায় এই বিশেষত্বটি নতুন ভিজিটররা যেন হারিয়ে না ফেলেন, তাদের চোখে পরে যেন এই ব্যাপারটা - এটা আমার একটা কনসার্ন।
  • lcm | ২৫ মার্চ ২০২২ ২২:০৩498802
  • বুলবুলভাজা বেশ পরিশ্রমসাধ্য কাজ। এত লেখা জোগাড় করা... লেখকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা... নতুন লেখার খোঁজ আনা... পুরোনো লেখকদের লেখা আনা... কখনও কোনো ব্লগের লেখাকে বুলবুলভাজাতে নিয়ে আসা... লেখার সঙ্গের গ্রাফিক্স/ছবি... সায়েন্টিফিক ফরমূলা ইত্যাদি থাকলে সেগুলোকে নিয়ে আসা... অডিও/ভিডিও ইন্টারভিউর অনুলিখন করা... অনুবাদ করা... অনুবাদ বা পুনঃপ্রকাশের অনুমতি আনা... ... এ সব মিলিয়ে বড় প্রয়াস।

    সবার সব লেখা ভালো লাগে কিনা, সেটা অন্য ব্যাপার, কিন্তু দিনের পর দিন ধরে এটা চালিয়ে যাওয়া একটা কাজ।
  • lcm | ২৫ মার্চ ২০২২ ২১:০৩498801
  • "... আধুনিক বাংলা কবিতায় যথার্থ কবি-দম্পতি একমাত্র ... "

    - একমাত্র বোধহয় নন, বিশেষ করে যখন বিজয়া-শরৎ মুখোপাধ্যায় 
  • b | 117.194.71.232 | ২৫ মার্চ ২০২২ ২০:৫১498800
  • সচরাচর ফে বু থেকে পোস্ট করি না। কিন্তু এটা করলাম। তপোব্রত ঘোষ লিখেছেন,  দেবারতি   মিত্রকে নিয়ে। 
     
    ********************
    মৃতা স্ত্রীকে নিয়ে কবি-স্বামীর লেখা বাংলা কবিতা পড়েছি। অক্ষয় বড়ালের 'এষা’।
    মৃত স্বামীকে নিয়ে কবি-স্ত্রীর লেখা বাংলা কবিতা পড়েছি। গিরীন্দ্রমোহিনীর ‘অশ্রুকণা’।
    কিন্তু মৃত মণীন্দ্র গুপ্তকে নিয়ে এখন-প্রায়-পঁচাত্তর দেবারতি মিত্র—রুগ্‌ণ দরিদ্র এবং নিঃসঙ্গ—যে-দাম্পত্যপ্রেমের কবিতাগুলি লিখে চলেছেন, বাংলা ভাষায় লেখা দাম্পত্যপ্রেমের কবিতা-ঐতিহ্যে কি কোথাও এগুলির তুলনা পাওয়া যাবে? এমনকি মৃতা মৃণালিনীকে নিয়ে রবীন্দ্রনাথের কবিতা—‘স্মরণ’ ও স্মরণাধিক—কি এর ধারেকাছেও পৌঁছোতে পারবে? এর স্বর্গীয় সহজতা জীবনের সেই গভীরতা থেকে উত্থিত যে-গভীরে মাথা ডোবানো মোটেই সহজ নয়।

    ‘এক কাপ চা দাও’ তুমি বললে
    কতদিন পরে আজ কতদিন পরে।
    অনন্তের পার থেকে তোমার গলার স্বর
    তীক্ষ্ণ নীল সূর্যরশ্মি নয়, নয় এ তো
    শ্রাবণসন্ধ্যার একটানা ঝিল্লিরব।
    বেলফুল গাছের গোড়ায়
    একটু একটু করে জল ঢালবার মতো
    তোমার গলার স্বর
    আমার আত্মাকে শান্তি দিল,
    লোকান্তরে নিয়ে গেল আজ।

    তুমি-যে ‘অনন্তের পার থেকে’ আমার কাছে এক কাপ চা চাইলে, তোমার সেই চাওয়া যেন ‘বেলফুল গাছের গোড়ায়/একটু একটু করে জল ঢালবার মতো’ ‘আমার আত্মাকে শান্তি দিল’, নিয়ে গেল তোমার সান্নিধ্যে—লোকান্তরে। জীবিত এখানে মৃতের শান্তিকামনায় জল ঢালেনি, বরং মৃতই যেন জল ঢেলেছে জীবিতের অস্তিত্বের শিকড়ে।

    আর-একটি কবিতা—
    শোকের আগুনে
    অশ্রুজলে সেদ্ধ হতে হতে
    একমুঠো চাল আমার জীবন
    আজ হাঁড়িভরতি ভাত
    উথলে পড়ছে, উপচে উঠছে।
    এই অন্ন কেউ খাবে?
    এই অন্ন কাকে দেব?
    এসো, বোসো,
    তোমাকেই আস্তেব্যস্তে বেড়ে দিই—
    তুমি খাও, খেয়ে তৃপ্ত হও।

    ছোটোখাটো কবিরা আজ আর কেউ ‘শোকের আগুন’ বা ‘অশ্রুজলে সেদ্ধ’ –র মতো অতিব্যবহারে ভোঁতা ছুরিকে পুনর্ব্যবহার করবার সাহস করবেন না; কিন্তু দেবারতি ছোটোখাটো নন বলেই অক্লেশে তা করেছেন। একমুঠো চালের মতো স্বল্পসম্পদ তাঁর জীবন আজ স্মরণবেদনার ঐশ্বর্যে নিজেকে অতিক্রম করে উপচীয়মান—লৌকিক তণ্ডুলগুলি রূপান্তরিত হয়েছে অ-লৌকিক শিল্পের অন্নে—‘এসো, বোসো,/তোমাকেই আস্তেব্যস্তে বেড়ে দিই--/তুমি খাও, খেয়ে তৃপ্ত হও’। রবীন্দ্রনাথের লাবণ্য অমিতকে বলেছিল, ‘তোমারে যা দিয়েছিনু সে তোমারি দান’; আর দেবারতি বললেন, তোমার বিরহেই আমার এই গরিব হাঁড়ি—যুধিষ্ঠিরের সেই মায়ামোহময় কটাহ—দ্রৌপদীর অনিঃশেষ অন্নপাত্রে পরিণত হয়েছে, এসো আহার করো।

    এইবার এই গুণীভূতব্যঙ্গ্যটুকুকে দেখুন—
    বৃদ্ধ কুষ্মাণ্ডের মতো চাঁদ কাঁধে নিয়ে
    চলেছে ব্যাপারী।
    বেশি পাকা হলদে কুমড়ো হাটে বিক্রি হয়নি
    তাই মুখ ভার,
    তার কাঁচাপাকা চুল, মোটা ভুরু যেন
    ছেঁড়াখোঁড়া মেঘ,
    ফুটি ফুটি তারাগুলি ডান হাতের শুকনো নিমফুল।
    বাতাসের প্রাণ নেই, সাড় নেই—
    আকাশ যে দেখি হাটবাজার হয়ে উঠল!
    কোথায় নিশ্বাস নেব আজ?

    এর ব্যঙ্গ্য তো ব্যাস্‌ এইটুকুই যে, বৃদ্ধা বিধবার আকাশে বুড়ি চাঁদ উঠেছে পূর্ণিমার—সঙ্গে রয়েছে ছেঁড়াখোঁড়া মেঘ আর ফুটি ফুটি তারা। যেহেতু বাতাসের প্রাণ নেই, সাড় নেই, তাই এই ব্যঙ্গ্যকে গুণীভূত করে দিয়ে আকাশ একটি স্থির বাচ্যকেই মুখ্যরূপে চিত্রিত করে তুলে—সংবৃতনিশ্বাস—ধরে রাখতে পারল। কী সেটা? হাটবাজারে এক কাঁচাপাকা চুল আর মোটা ভুরু -ওয়ালা ব্যাপারী তার পাকাহলুদ বুড়ো কুমড়োখানি বেচতে না পেরে অগত্যা কাঁধে নিয়েই গোমড়ামুখে ফিরে চলেছে, তার ডান হাতে রয়েছে কয়েকটা শুকনো নিমফুল।
    ওই মোটাভুরুর বুড়োটা-যে মণীন্দ্র গুপ্ত, তাও কি বলে দিতে হবে? কী ভেবেছিলে তুমি? বুড়ি বউটাকে কাঁধ থেকে নামিয়ে বিশেষরূপে-বহন-করা ‘বিবাহ’ শব্দ থেকে খালাস পাবে? অত সহজে তোমাকে নিস্তার দেব নাকি! কেউ নেবে না তোমার বুড়িকে, এক তুমি বুড়ো ছাড়া।
    অতএব এই-যে বুড়ো মুখ ভার করে কাঁধে বুড়ো কুমড়ো নিয়ে দাম্পত্যে ফিরছে—এ কি সত্যিই নিরুপায় প্রত্যাবর্তন? দূর—তাহলে কি আর বুড়োর ডান হাতে ওই শুকনো নিমফুলগুলি থাকত? ওই ডান হাতের উপরেই-না আর-একজন তার বাঁ-হাতখানি রেখেছিল কতকাল আগে! যেদিন ‘নিমফুলের গন্ধ অন্ধকার ঘরে/অনির্বচনীয়ের আমন্ত্রণ নিয়ে’ এসেছিল ‘শাপমোচন’-এর কমলিকার কাছে, সেদিন ‘কোন্‌ জন্মান্তরের, কোন্‌ লোকান্তরের’ সদ্যজাগ্রত স্মৃতির মধ্যে মিশে গিয়েছিল ওই নিমফুলের ঘ্রাণ।

    কবিপুরুষ তাঁর ভিতর-জীবনে স্ত্রীকে ঢুকতে দেন না—এই অনুযোগ ইদানীন্তন নয়। কিন্তু স্ত্রীটি নিজেও যদি কবি হন? তাহলেও কি পরিস্থিতি একই থাকে? ‘অক্ষয় মালবেরি’-তে মণীন্দ্র গুপ্ত লিখেছিলেন, ‘ছেলেবেলা থেকে অতি ছোট, একলার মতো, নিভৃত কুটির বানাবার ঝোঁক ছিল আমার। ঘর কত ছোট আর হালকাপলকা হতে পারে আমি তার অনেক রকম নকশা ভাবতাম। স্টীমারের সারেঙের কেবিন, ক্যাপ্টেন স্কটের জাহাজের খুপরিটি, ঢাকনা খোলা কফিন, এক-তাতামির জাপানী কুঁড়ে, পানের দোকানের নিচে বিড়ি বাঁধার ঘর, গ্রামের ঘরের ভিতে হাঁসের খোঁয়াড়, সাধুর গুহা, নীলগিরির টোডাদের কুটির—ছোট নির্জন ঘরের বিচিত্র সম্ভাবনা।’ এই ‘এক-তাতামি’ অর্থাৎ এক-মাদুরেই-মেঝে-ঢাকা-যায় এমন ছোট্ট ঘরে কি আর দুজনকে ধরে?

    মণীন্দ্রের এই একলার ঘরটিকে দেবারতি চড়িয়ে দিয়েছেন ‘টঙে’। এর কারণটা পাওয়া যাবে রবীন্দ্রনাথে : ‘জগতের উপরে মনের কারখানা বসিয়াছে এবং মনের উপরে বিশ্বমনের কারখানা—সেই উপরের তলা হইতে সাহিত্যের উৎপত্তি।'
    এইবার দেবারতির এই কবিতাটি পড়ুন—

    পাতার বাড়িতে যাই এক পা এক পা করে
    সিঁড়ি বেয়ে টঙে উঠি।
    চটি খুলে ঘরে ঢুকি। রেখে আসি
    স্বচ্ছ এক গ্লাস জল, চা ও অশ্রু, খবর কাগজ।
    কে আসে, কে চলে যায়, ভ্রূক্ষেপ নেই তার—
    দোলনাগড়ন ছায়ার ভঙ্গিতে চায়,
    মায়ার প্রস্বরে কথা বলে,
    গলাগলি করে শুনি আলো-বাতাসের সঙ্গে।
    ভুলে যায় আমারও তো তৃষ্ণা থাকতে পারে।
    নীচে ক্ষুধা, সবই জানে—
    অনিবার্য খুন ও প্রশ্রয়,
    পরিত্রাহি জীবজন্তু অরণ্য ও বন।
    ছন্নছাড়া মন কাকে বা আশ্রয় করে বেঁচে থাকে,
    কাকে বলে সমস্যার কথা?
    সন্ধ্যাবেলা যাইনি তো কোনোদিন।
    তখন কি নীলাভ অন্তর ফেটে তার আলো জ্বলে,
    তখন কি মানুষের ভবিষ্যৎ পাঠ করো,
    তার সঙ্গে শরীরী তুমিও?

    স্বামীর কবিত্বের এই একলার ঘরটিতে স্ত্রী নিজে কবি হলেও নেহাতই বহিরাগত অতিথি—‘চটি খুলে ঘরে ঢুকি’। জল-চা-খবরের কাগজের সঙ্গেই মিশে থাকে ‘অশ্রু’, ‘কে আসে, কে চলে যায়, ভ্রূক্ষেপ নেই তার’, আলো-বাতাসের সঙ্গে গলাগলি-করা সেই বিশ্বসত্ত্ব কবি ‘ভুলে যায় আমারও তো তৃষ্ণা থাকতে পারে’! ‘ছন্নছাড়া মন কাকে বা আশ্রয় করে বেঁচে থাকে,/কাকে বলে সমস্যার কথা?’ এই অনুযোগ আর অভিমানগুলি নারীর এবং তা অত্যন্ত অভিনব নয়; কিন্তু অন্তিম স্তবকে যে-দেবারতি সন্ধ্যাবেলায় নীচে থেকে উপরের দিকে মণীন্দ্রের ঘরটির দিকে তাকান, কিন্তু স্বেচ্ছায় কদাপি উপরে ওঠেন না, সেই দেবারতি নিজে কবি বলেই জানেন যে, সৃজনের সেই তুরীয় মুহূর্তগুলিতে এমনকি দাম্পত্যের অধিকারকেও সংযত রাখতে হয়। এই সংবেদনময় আত্মনিবৃত্তির আভিজাত্যেই নিজের নারী-অভিমানকে কবি দেবারতি অতিক্রম করেছেন।

    আধুনিক বাংলা কবিতায় যথার্থ কবি-দম্পতি একমাত্র এঁরাই : মণীন্দ্র গুপ্ত আর দেবারতি মিত্র। হ্যাঁ, বইমেলার মহার্ঘ্য দেয়ালে থাকুন-না সুবোধ আর মল্লিকা। বিপণনের চৌকশ দুনিয়াদারিতে যাঁরা পরাভূত হলেন, সেই পরাভবের মধ্যেই তাঁদের পরমায়ু।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত