এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • ভাটিয়ালি

  • এ হল কথা চালাচালির পাতা। খোলামেলা আড্ডা দিন। ঝপাঝপ লিখুন। অন্যের পোস্টের টপাটপ উত্তর দিন। এই পাতার কোনো বিষয়বস্তু নেই। যে যা খুশি লেখেন, লিখেই চলেন। ইয়ার্কি মারেন, গম্ভীর কথা বলেন, তর্ক করেন, ফাটিয়ে হাসেন, কেঁদে ভাসান, এমনকি রেগে পাতা ছেড়ে চলেও যান।
    যা খুশি লিখবেন। লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়। এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই। সাজানো বাগান নয়, ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি। এই হল আমাদের অনলাইন কমিউনিটি ঠেক। আপনিও জমে যান। বাংলা লেখা দেখবেন জলের মতো সোজা। আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি।
  • গুরুভার আমার গুরু গুরুতে নতুন? বন্ধুদের জানান
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • /\ | 103.76.82.43 | ০৯ আগস্ট ২০২৩ ১৩:০২516439
  • https://www.facebook.com/anirban.biswas.5836
    লসাগু-দা, গানের ডেটাবেসের ব্যাপারে এর সাথে কথা বলো। ডিভিসির বড় আপিসার, কিন্তু যা খুঁজছ সব রেডি আছে।
  • lcm | ০৯ আগস্ট ২০২৩ ১২:৩২516438
  • আরে না, এই এটা সেটা দিয়ে গান তো একটা অজুহাত, কিন্তু বাংলায় একটা ডেটাবেস দরকার, https://bengalinfo.com/gaan.php
  • একক | ০৯ আগস্ট ২০২৩ ১২:২৩516437
  • এভাবে আকাশ দিয়ে বাতাস দিয়ে গান খোঁজা ত হুলু চাপ। তারচে,  সমস্ত গান একত্তর করে সার্চ লিখলে,  শুরুতে আকাশ মাঝে আকাশ ন্যাজে আকাশ সব চলে আসবে। 
  • lcm | ০৯ আগস্ট ২০২৩ ১১:৩৩516436
  • বোতিন আকাশ নিয়ে বলছে, তাহলে আকাশ নিয়ে কিছু গান হয়ে যাক ... ... বাংলা গানের লিরিক্স এবং সব মিলিয়ে বাংলায় একটা  ডেটাবেস বানানোর কথা হচ্ছিল .... দেখা যাক ... ভলান্টিয়ার চাই ... 
    ----
    আকাশ প্রদীপ জ্বলে দূরের তারার পানে চেয়ে,
    আমার নয়ন দুটি শুধুই তোমারে চাহে, ব্যথার বাদলে যায় ছেয়ে ... 
    (১৯৫৬) কন্ঠ : লতা মঙ্গেশকর । সুর: সতীনাথ মুখোপাধ্যায় । কথা : পবিত্র মিত্র
    ------
    আকাশে আজ রঙের খেলা, মনে মেঘের মেলা 
    হারালো সুর, হারালো গান, ফুরালো যে বেলা ...
    (১৯৫৯) কন্ঠ : আশা ভোঁসলে | সুর, কথা : সুধীন দাশগুপ্ত 
    ----
    নীল আকাশের নিচে এই পৃথিবী
    আর পৃথিবীর পরে ওই নীল আকাশ, তুমি দেখেছো কি ... 
    (১৯৫৯) কন্ঠ , সুর : হেমন্ত মুখোপাধ্যায় । কথা : গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার 
    ----
    ও আকাশ সোনা সোনা, এ মাটি সবুজ সবুজ
    নতুন রঙের ছোঁয়ায় হৃদয় রেঙেছে, আলোর জোয়ারে খুশির বাঁধ ভেঙেছে ...
    (১৯৬৮) কন্ঠ , সুর: হেমন্ত মুখোপাধ্যায় | কথা : মিল্টু ঘোষ 
    ----
    আকাশ কেন ডাকে, মন ছুটি চায়
    ময়ূরপঙ্খী মেঘ, ঐ যায় ভেসে যায় ...
    (১৯৭৩) কন্ঠ : কিশোরকুমার । সুরকার : রাহুল দেব বর্মন । কথা : গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার 
    ----
    আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে
    শাখে শাখে পাখি ডাকে, কত শোভা চারিপাশে ...
    (১৯৮০) কন্ঠ : অনুপ ঘোষাল । সুর, কথা : সত্যজিৎ রায় 
    ----
    এত বড় আকাশটাকে ভরলে জোছনায়
    ওগো চাঁদ এ রাতে আজ তোমায় বোঝা দায় ...
    (১৯৮৫) কন্ঠ : অরুন্ধতী হোমচৌধুরী । সুর: সুধীন দাশগুপ্ত । কথা : পুলক বন্দোপাধ্যায় 
  • Bratin Das | ০৯ আগস্ট ২০২৩ ০৯:৩৯516435
  • যদু বাবু, শুভ জন্মদিন।  অনেক শুভেচ্ছা আর ভালোবাসা জানাই। আকাশ ছুঁয়ে ফেলার পরেও এমনি ভাবেই মাটির কাছাকাছি  থেকো  heartheart
  • Bratin Das | ০৯ আগস্ট ২০২৩ ০৫:৪৫516433
  • মার্কেটে কেউ আছো নাকি হে? 
  • দীপ | 42.110.136.191 | ০৮ আগস্ট ২০২৩ ২৩:৩০516432
  • কবির প্রয়াণের সংবাদ।
  • lcm | ০৮ আগস্ট ২০২৩ ২১:৩৫516431
  • lcm | ০৮ আগস্ট ২০২৩ ২০:৫১516430
  • অদিতি মহসীন খুবই দক্ষ শিল্পী, অধুনাকালের শিল্পীদের মধ্যে আমার খুবই ভাল লাগে। আর ঐ একটা গুরু-শিষ্যের ঘরানা আছে, কণিকা - রেজওয়ানা - অদিতি। অদিতির গলায় এই গান আগে শুনেছি অনেকবার।

    এবার এই গানটাতে তিনটে জিনিস আছে, বিবিধ বাদ্যযন্ত্রের অনুসঙ্গ, সমবেত কন্ঠের অনুসঙ্গ, এবং নাচ। মিউজিক্যাল অ্যারেন্ঞ্জমেন্ট করেছেন অর্নব, ওর কাজ ভালো, আগে শুনেছি, এখন এখানে সময়বিশেষে একটু বেশি হয়ে গেছে কিনা সেটা নির্ভর করছে। আমার খারাপ লাগে নি।
    সমবেত সহকণ্ঠ ভালো লাগে নি।
    আর আমার সবচেয়ে বাজে লেগেছেল নাচ (মানে গানটি দেখতে হলে ওটি বেশ যন্ত্রণাদায়ক)।
  • ০.০ | 223.29.193.125 | ০৮ আগস্ট ২০২৩ ২০:২৪516429
  • ১২ মিনিট ৫০ সেকেন্ড থেকে। এমনিই গান শুনুন।
  • Joshita | 194.56.48.105 | ০৮ আগস্ট ২০২৩ ১৮:১৭516428
  • লোকটি নাকিসূরে গাইল, উচ্চারণও বেশ বাজে, মুখ খুলতে পারে না, আকারগুলো চেপে চেপে যাচ্ছে। সেইজন্যই রাগ হচ্ছিল।
  • | ০৮ আগস্ট ২০২৩ ১৭:২২516427
  • হুঁ আমারো ভাল মন্দ কিছুই লাগে নি। একবার শুনেছি দ্বিতীয়বার শুনব না। লোকের রেগে যাবার কারণ বুঝি নি। ঠাকুরপুজো  সিনড্রোম  আর কি। 
  • একক | ০৮ আগস্ট ২০২৩ ১৬:০৭516426
  • পালুস্কর শুনে আনন্দ পেলুম। 
     
    আনন্দধারা ভালো - মন্দ কিছুই লাগলো না। কত্ত কত্ত মিউজিক দিয়েও গানের উদ্দীপনা টা উধাও। 
  • দীপ | 42.110.145.189 | ০৮ আগস্ট ২০২৩ ১০:২৮516425
  •  
     
    রবিহারা।
    মহাকবির মহাপ্রয়াণে নজরুলের স্বকণ্ঠে আবৃত্তি।
  • Bratin Das | ০৮ আগস্ট ২০২৩ ১০:১৫516424
  • Bratin Das | ০৮ আগস্ট ২০২৩ ০৩:১৫516423
  • আরে বি যে।কী খবর হে?
  • b | 117.194.76.220 | ০৭ আগস্ট ২০২৩ ২২:৩৮516422
  • আচ্ছা তবে আমিও একটা গান দিই। তুলসীদাস ভজন। কাঁহা  কে পথিক কাঁহা । মিশ্র গারা । ডি ভি পালুসকার ।
     
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:defd:3eaa:9f4b:fa4a | ০৭ আগস্ট ২০২৩ ২২:১৮516421
  • নাঃ, কাঁচা আম একা থাকাই ভাল না। খুব করে হলেও জাড়িয়ে খেতে নুন আর লঙ্কাগুঁড়ো লাগে।
     
    একা আমে টক হয়। চাটনি করতে আরো জিনিস পত্তর লাগে। তা কাঁচা আম মৌলবাদীরা আমের টক খান। আর নেহাত মন খারাপ করলে আনারস বা পেঁপের চাটনি।
  • | ০৭ আগস্ট ২০২৩ ২১:৩৭516420
  • * কোক স্টুডিওর 
  • | ০৭ আগস্ট ২০২৩ ২১:৩৬516419
  • লোকজন কপক স্টুডিওর আনন্দধারা বহছে ভুবনে দেখেশুনে হেব্বি ক্ষেপে যাচ্ছে।  আপনারাও দেখে ফেলুন
     
  • kk | 2607:fb91:142e:498e:f563:4b8:616c:9a03 | ০৭ আগস্ট ২০২৩ ২১:২৬516418
  • s,
    আচ্ছা, ভালো আইডিয়া। থ্যাংকিউ। হ্যাঁ, এমন কিছুই দিতে হবে যেটা প্যাক করে নিয়ে যেতে অসুবিধে নেই।
  • s | 100.36.114.105 | ০৭ আগস্ট ২০২৩ ২০:৫৪516417
  • আমি কাঁচা আমের চাটনিতে খেজুর, কিশমিশ ইত্যাদি হাবিজাবি দি না। দিলে আমের চাটনি পুরো ঘেঁটে যাবে। কাঁচা আম হল একম এবং অদ্বিতীয়ম। একাই ভাল।

    KK,
    আমি পাঁচ বা আট বছরের বাচ্চাদের জন্যে সাধারণত জামা কাপড় কিনে থাকি, যদি না সেই বাচ্চার আর কিছু ইন্টারেস্ট থাকে। যেমন কোনো বাচ্চা আঁকতে ভালবাসলে তাকে আর্ট সাপ্লাইজ দেওয়া যায়। জামাতে যেহেতু সাইজ লেখা থাকে, বাচ্চার বয়েস অনুযায়ী কিনে নেওয়া যায়। আর অন্য যায়গা থেকে কেউ বেড়াতে আসলে বড় খেলনা দেওয়া একটু অসুবিধে, নেবার জায়গা থাকে না। জামা একটা নিয়ে চলে যাওয়া যায়। আর গিফ্ট কার্ডের অপশান তো আছেই। আমি আগে বাবা-মার কাছে জেনে নি বাচ্চার ফেভারিট কোনো ক্যারাকটার আছে কিনা। সেই ক্যারাকটার দেওয়া জামা পেলে দেখেছি বাচ্চারা খুব খুশি হয়।
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:acb4:7cf3:7373:a497 | ০৭ আগস্ট ২০২৩ ১০:১৪516416
  • অনেকে একটু মেথি দেয়। কিন্তু পরিমানে একটু বেশি হয়ে গেলে তিতকুটে লাগে। তাই দেইনা।
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:acb4:7cf3:7373:a497 | ০৭ আগস্ট ২০২৩ ১০:১১516415
  • পান্তুয়া রসগোল্লার রস দিয়ে দারুন কাঁচা আমের চাটনি হয়। সাথে খেজুর, কিসমিস, একটু টমেটো, আমসত্ত্ব। আহা। আমি আবার একটু শুকনো লঙ্কা, আদা, সর্ষে আর মৌরী ফোড়ন ভালোবাসি।
  • π | ০৭ আগস্ট ২০২৩ ০৮:২৬516414
  • এটা কার লেখা, কেউ জানেন?  মানে,  সংগৃহীত বাবু/বিবির নাম? 
     
    *ব্যাঙ্কের খাতা থেকে মুছে দেওয়া ঋণের বিচারবিভাগীয় তদন্তের আবেদন প্রধান বিচারপতির কাছে*

    ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করলে তার অনিবার্য পরিণতি হয় ব্যাঙ্কের এনপিএ বা অনুৎপাদক সম্পদের বৃদ্ধি। কিন্তু পরিশোধের সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যারা ঋণ পরিশোধ করলো না সেই ইচ্ছাকৃত অপরিশোধকারীদের অভিপ্রায়ই কি থাকে বকেয়া না চুকোনোর? অন্যভাবে বললে, ব্যাঙ্কের টাকা লুট করার লক্ষ্যেই কি তারা ঋণ নেয়? পশ্চিমবাংলার নাগরিক সমাজের এক সংস্থা ‘ব্যাঙ্ক বাঁচাও দেশ বাঁচাও মঞ্চ’র ধারণা কিন্তু সেরকমই। ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া ঋণ, ঋণ পরিশোধের পরিমাণ এবং অপরিশোধিত থেকে যাওয়া ঋণের তথ্য বিশ্লেষণ করে তাঁরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যারা ঋণ পরিশোধে অনীহা দেখালো তাদের আসল লক্ষ্য জাতীয় অর্থভান্ডার লুট করা। এই উপলব্ধি থেকেই তাঁরা ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে লেখা ২৭ জুলাইয়ের চিঠিতে আবেদন জানিয়েছেন, অপরিশোধিত ঋণকে ক্রমবর্ধমান ধারায় যেভাবে ব্যাঙ্কের খাতা থেকে মুছে দেওয়া হচ্ছে তা জাতীয় অর্থভান্ডারের কর্পোরেট লুট এবং বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট যেন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্তের উদ্যোগ নেয়। মঞ্চের দুই আহ্বায়ক বিশ্বরঞ্জন রায় ও সৌম্য দত্তর স্বাক্ষর করা চিঠিতে বলা হয়েছে, “আমাদের সুচিন্তিত অভিমত এই যে, বিপুল পরিমাণ অপরিশোধিত ঋণ ব্যাঙ্কের খাতা থেকে মুছে দেওয়াটা ইচ্ছাকৃত কর্পোরেট অপরিশোধকারীদের জাতীয় অর্থভান্ডার লুটেরই সমতুল্য।” চিঠিতে তাঁরা জানিয়েছেন, গত তিন বছরে ব্যাঙ্কের খাতা থেকে মুছে দেওয়া হয়েছে ৫,৮৬,৮৯১ কোটি টাকার অপরিশোধিত ঋণ, আর মুছে দেওয়া ঋণের পুনরুদ্ধার হয়েছে মাত্র ১,০৯,১৮৬ কোটি টাকা। মুছে দেওয়া ঋণের পুনরুদ্ধার কোন পথে হতে পারে? সংসদে এক প্রশ্নের উত্তরে সরকার জানিয়েছিল, “এই মুছে দেওয়া ঋণ কখনই ঋণ গ্ৰহিতার পরিশোধের দায়বদ্ধতার মুকুবে পরিণতি লাভ করে না, কেননা, মুছে দেওয়া ঋণের গ্ৰহীতাদের পরিশোধের দায় অব্যাহত থাকে।” অর্থাৎ, খাতা থেকে ঋণ মুছে দেওয়া হলেও ঋণ গ্ৰহিতার পরিশোধের দায়ের বিলোপ ঘটে না, এবং অপরিশোধিত ঋণের পুনরুদ্ধারের উদ্যোগও নেওয়া হয়। কিন্তু ঐ উদ্যোগ কতটা ফলদায়ী হয়? চিঠিতে উল্লিখিত পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে, মুছে দেওয়া ঋণের পরিমাণ ৫,৮৬,৮৯১ কোটি টাকা হলেও উদ্ধার হয়েছে মাত্র ১,০৯,১৮৬ কোটি টাকা, যা গিয়ে দাঁড়াচ্ছে মুছে দেওয়া ঋণের মাত্র ১৮.৬০ শতাংশে। অর্থাৎ, ৮০ শতাংশেরও বেশি থেকে যাচ্ছে পুনরুদ্ধারের বাইরে।
    তাঁদের চিঠিতে মঞ্চের প্রতিনিধিরা প্রধান বিচারপতিকে আর একটি বিষয় সম্পর্কেও অবহিত করেছেন। যারা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছিল সেই অর্থে তারা কারখানা বা অন্যান্য সম্পদের নির্মাণ করেছিল, এবং তাদের কাছে কাঁচামাল ও নির্মিত সামগ্রীও মজুত থাকে। গৃহীত ঋণ অপরিশোধিত থাকায় সরকারের তৈরি আইন ও বিধি অনুসারে অন্য কর্পোরেট সংস্থা অপরিশোধকারী সংস্থার সম্পদ কিনে নিতে পারে, এবং সেটি পরিচালিত হয় জাতীয় কোম্পানি আইন অ্যাপেলেট ট্রাইব্যুনাল (এনসিএলএটি) এবং দেউলিয়া দশা ও সর্বস্বান্ত হওয়ার বিধি (আইবিসি) অনুসারে। যে কর্পোরেট সংস্থা ঋণ অপরিশোধকারী সংস্থার সম্পদ কিনে নেয়, সেটা তারা কেনে সম্পদের প্রকৃত মূল্যের অনেক কম দামে। মঞ্চের চিঠিতে জানানো হয়েছে, ব্যাঙ্কগুলো “প্রায় ৬৫-৭০ শতাংশ হেয়ারকাট নেয়”। এই ‘হেয়ারকাট’এর অর্থ সম্পদের মূল্য হ্রাস করা। অর্থাৎ, যে কর্পোরেট সংস্থা ঋণ অপরিশোধকারী সংস্থার সম্পদ কিনে নিল, ব্যাঙ্ক তার মূল্যকে হ্রাস করল ৬৫-৭০ শতাংশ, যে অর্থ সরকার পেতে পারত পেল তার অনেক কম। ফলে, “একমাত্র যা ক্ষতির মুখে পড়ল তা হল জাতীয় অর্থভান্ডার, কেননা, সরকারি অর্থ লুট করছে কর্পোরেট সংস্থাগুলো।” এইভাবে ঋণ অপরিশোধকারী কর্পোরেট সংস্থা, তার সম্পদ কিনে নেওয়া কর্পোরেট সংস্থা এবং এমনকি ব্যাঙ্ক কর্তাদের মধ্যেও একটা দুষ্টচক্র কাজ করে চলে।
    ‘ব্যাঙ্ক বাঁচাও, দেশ বাঁচাও মঞ্চ’র আবেদনে প্রধান বিচারপতি কি আদৌ গুরুত্ব দেবেন? ব্যাঙ্ক ঋণের ইচ্ছাকৃত অপরিশোধকারী কর্পোরেট সংস্থার ঋণ ব্যাঙ্কের খাতা থেকে মুছে দেওয়ার ফলে জাতীয় অর্থভান্ডারের ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্ত কি শুরু হবে? এর উত্তর রয়েছে ভবিষ্যতের গর্ভে। তবে, রিজার্ভ ব্যাংকের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যকে বিশ্লেষণ করে জাতীয় অর্থভান্ডারের ক্ষতির পরিমাণের একটা আন্দাজ পাওয়া যেতে পারে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকাকে দেওয়া রিজার্ভ ব্যাংকের তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, ২০১৮’র মার্চে শেষ হওয়া অর্থবর্ষে অপরিশোধিত ঋণ বা অনুৎপাদক সম্পদের পরিমাণ ছিল ১০.৩৬ লক্ষ কোটি টাকা, প্রদত্ত মোট ঋণের ১১.২ শতাংশ। আর ২০২৩’র মার্চে শেষ হওয়া অর্থবর্ষে সেই অনুৎপাদক সম্পদ দাঁড়িয়েছে ৫.৭২ লক্ষ কোটিতে, যা প্রদত্ত মোট ঋণের ৩.৯ শতাংশ। এটা কি ঋণ পরিশোধের উন্নতিকে নির্দেশিত করছে? ঋণ আগের তুলনায় বেশি পরিমাণে পরিশোধিত হওয়ায় অনুৎপাদক সম্পদের পরিমাণ ২০২৩’র মার্চে অনেক কম পরিমাণে দাঁড়িয়েছে? ব্যাপারটা আদৌ তা নয়। ২০১৮’র মার্চে মুছে দেওয়া কোনও ঋণ বাদ দিয়ে অনুৎপাদক সম্পদের পরিমাণ নির্ধারিত হয়নি, কিন্তু ২০২৩’র মার্চে মুছে দেওয়া ঋণ বাদ দিয়েই অনুৎপাদক সম্পদের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে। আর এর মধ্যেই নিহিত রয়েছে ২০১৮’র মার্চের তুলনায় ২০২৩’র মার্চে অনুৎপাদক সম্পদ সাড়ে চার লক্ষ কোটিরও অধিক কম পরিলক্ষিত হওয়ার রহস্য। এই মুছে দেওয়া ঋণের কতটা পুনরুদ্ধার সম্ভব? আমরা ওপরে দেখেছি সেটা মুছে দেওয়া ঋণের এক পঞ্চমাংশেরও কম। ব্যাঙ্কের খাতা থেকে মুছে দেওয়া ঋণের সিংহভাগ এইভাবে হাওয়া হয়ে যায় যা সরকারি অর্থভান্ডারের কর্পোরেট লুট ছাড়া অন্য কিছু নয়। সরকার যতই দাবি করুক যে ঋণ ব্যাঙ্কের খাতা থেকে মুছে দেওয়ার পরও অপরিশোধকারী কর্পোরেট সংস্থার পরিশোধের দায় থেকে যায় এবং সেই অর্থ উদ্ধারও হয়, সেই দাবি এক অসার আপ্তবাক্য ছাড়া অন্য কিছু বলে পরিগণিত হয় না। বিবেক কল ‘ডেকান হেরাল্ড’ পত্রিকায় এই বিষয়ে একটি নিবন্ধ লিখেছেন যার শিরোনাম ‘আনাদায়ী ঋণকে প্রথমে মোছা হয়, তারপর তা মুকুব হয়ে যায়’। ঐ নিবন্ধের একটি প্রাসঙ্গিক অংশ উদ্ধৃত করে আলোচ্য ভাষ্য শেষ করা হচ্ছে, “তত্ত্বগত দিক থেকে এটা নিঃসংশয়ে বলা যায় যে, মুছে দেওয়া ঋণের পুনরুদ্ধার সম্ভব, কিন্তু বাস্তব হল এই যে, ঋণের বড় অংশ যাকে প্রথমে মুছে দেওয়া হয় পরে সেটাকে মুকুব করাই হয়, কেননা, সেটার উদ্ধার আর সম্ভব হয় না…।”

    (সংগৃহীত)
     
  • &/ | 151.141.85.8 | ০৭ আগস্ট ২০২৩ ০৬:৫৫516413
  • এই সব অর্ডারি পান্তুয়ার কৌটোতে অর্ধেক কৌটো রস আর তাতে গোটা কয় পান্তুয়া। এইরকম বাণিজ্যকৌশল। (সাধে কি সুপারম্যান গিয়ে বড়লোক ব্যবসায়ীদের ঘুষি দিত? ঃ-) ওদের অবশ্য পান্তুয়া না, অন্য দুনিয়াজোড়া ব্যবসা। )
  • :|: | 174.251.161.49 | ০৭ আগস্ট ২০২৩ ০৬:২৭516412
  • বেঁচে যাওয়া রস আর ঘন দুধ দিয়ে কড়া করে এক্কাপ চা। 
  • &/ | 151.141.85.8 | ০৭ আগস্ট ২০২৩ ০৪:৩৬516411
  • মিষ্টি খেজুর মিষ্টি খেয়ে সুপারমিষ্টি হয়ে যাবে। সেগুলো খেলেই সুপারম্যান। ডানা ছাড়াই উড়তে পারবে। ঃ-)
  • kk | 2607:fb91:142e:498e:72bf:33d3:6f6a:5f0c | ০৭ আগস্ট ২০২৩ ০৪:২৬516410
  • খেজুর তো নিজেই প্রচুর মিষ্টি। সে আবার রস খেয়ে খুব কিটকিটে হয়ে যাবেনা? বেঁচে যাওয়া রস দিয়ে অনেকে চাটনি করেন না? আমিও করতাম এককালে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত