এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • নিছক ই একটা গল্প (২)

    Ananya
    অন্যান্য | ১০ জুলাই ২০১০ | ১৪৬১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • Ananya | 199.133.16.52 | ১০ জুলাই ২০১০ ০১:৩১454215
  • কথায় বলে বই এর মত বন্ধু আর কেউ নেই। কিন্তু সত্যি ই কি তাই? বই কি সত্যি এতো বন্ধু? কিন্তু বন্ধু মানে তো দুপক্ষের এর ই মানসিক আদান প্রদান। নি:শব্দ বই এর কাছে আমি কি ভাবে নিজের মনের কথা বলবো?
    না! এইসব ছাঁইপাশ আর ভাববোনা মনে করে টেবিল থেকে উঠে পড়লো নন্দিতা। কি ভেবে computer টা বন্ধ করতে গিয়ে ও বন্ধ করলো না।

  • Ananya | 199.133.16.52 | ১০ জুলাই ২০১০ ০১:৪৮454226
  • আজ মন টা ভীষন অশান্ত লাগছে। মনে হচ্ছে গলা ফাটিয়ে কাঁদি। মন খুলে সব কথা বলি কারোর সাথে। কিন্তু কার সাথে? আমেরিকা এর এই ছোটো শহরে সকাল বেলায় সবই এখন খুব ব্যস্ত। নন্দিতা এর স্বামী সম্রাট অফিসে বেরিয়ে গেলো, ছেলে স্কুলে।
    একা একা তাই আজ ওনেক পুরোনো কথা মোনে পড়ছে নন্দিতা র। সবাই বেরিয়ে যাওয়ার পর রোজকার মত computer খুলে Facebookcheck করতে গিয়ে ই চমক। এটা কে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছে। দীর্ঘ ১২ বছর পর আবার নাম টা দেখছি। কিন্তু এমন কি হওয়ার কথা ছিলো?
  • Ananya | 199.133.16.52 | ১০ জুলাই ২০১০ ০২:০৪454237
  • কোচিং ক্লাস থেকে বেরিয়ে এ সাইকেলে পা রাখতে ই পেছন থেকে রানা এর ডাক।
    কি রে আজ যে এত তাড়াতাড়ি পালাচ্ছিস?

    না রে আজ একতু তাড়াতাড়ি বারি ফিরতে হবে, স্কুল যাওয়ার আগে প্রাকটিক্যাল খাতার লেখা টা শেষ করতে হবে।

    তোরা মেয়েরা সব ব্যাপারে এতো সিরিয়াস কেনো? রানা এর গম্‌গমে গলা ভেসে এলো। কেনো স্কুল এ গিয়ে লিখলে কি হয়।
    জানিস তো না নিতি বুড়ি এর কি শাসন, ওনার ক্লাস এ কেউ কিছু করতে এ পারে না, আর তার পর এ প্রাকটিক্যাল ক্লাস। কি আর করবো?

    এই ভাবে এ আস্তে আস্তে বন্ধুত্ব গাঢ় হয়ে ওঠে নন্দিতা এর সাথে রানা এর।
  • koli | 115.187.37.90 | ১০ জুলাই ২০১০ ০৯:২২454248
  • বাহ--
  • til | 220.253.178.104 | ১০ জুলাই ২০১০ ১১:১৮454259
  • ওহ কলিদি,
    পাত্তাই নেই যে বড়! তুমি এখানে আসবে জেনে মেসেজ রেখে গেলাম।
    সরি অনন্যা, এত ধীর গতিতে কেন? একটু হাত চালাও।
  • M | 59.93.209.185 | ১০ জুলাই ২০১০ ১৮:৫৪454263
  • আম্মো, এই নামটা দেখেই কলির(ছোট) কথাই মনে হলো, এই যো মিষ্টি মেয়েটা তোমার লেখা আর দেখিনা কেন?

    অনন্যা , তারপর কি হলো?:P
  • Ananya | 199.133.17.225 | ১২ জুলাই ২০১০ ১৮:২৫454264
  • দুজনে দুজন কে সব কথা খুলে বল চাই। খুব ই গাঢ় বন্ধুত্ব হয়ে ওঠে।রোজ একবার করে নন্দিতা এর বাড়ি রানা এর আসা চাই ই চাই। কিন্তু সবাই এই বন্ধুত্ব কে ভালো চোখে দেখল না।
    একটা ছেলে আর মেয়ে এর মধ্যে আবার এতো গাঢ় বন্ধুত্ব হয় নাকি? দেখো গে যাও নিশ্চই ভেতরে ভেতরে অন্য ব্যাপার চলছে।
    দুজনে এক সাথে note শেয়ার করা, পড়াশোনা করা সব এ চলে। রানা এর বাড়ি এর লোকে রা নন্দিতা এর ছট্‌ফটে, মিশুকে স্বভাবের জন্য ওকে খুব পছন্দ করে, আবার নন্দিতা এর বাড়িতে ও রানা এর অবারিত দ্বার।
  • Ananya | 199.133.19.254 | ১২ জুলাই ২০১০ ১৯:৪২454265
  • এই ভাবে দিন কেটে যায়। একদিন নন্দিতা কোচিং ক্লাসের খাতায় পেলো একটা চিঠি।সারা গা শিহরন দিয়ে ওঠে। অবশেষে সেও প্রেমপত্র পেলো। সে এক অদ্ভুত অনুভুতি। তিলক নাম এর ছেলে টি অনেক দিন ধরে ই ওদের সাথে কোচিং এ পড়ছে। একটু চুপ্‌চাপ, কিন্তু পেটে পেটে শেষে এই?
    নন্দিতা র ও একটু একটু পছন্দ ছিলো ওকে, কিন্তু সাহ্‌স করে বলতে পারতোনা, তাছাড়া after all ও মেয়ে, আগে কি করে বলে? ভীষন ই লজ্জা এর ব্যাপার সেটা।
    আজ শুধু ক্লাস শেষ হওয়ার অপেক্ষা। স্যার এর বাড়ি থেকে বেরিয়ে ই রানা কে পাকড়াও করল।
  • nidhiram | 115.117.218.7 | ১২ জুলাই ২০১০ ২০:৩২454266
  • c¤lh¡h¡BpmS¡uN¡uH­pph¡CfS­cu­Le?
  • Ananya | 199.133.16.2 | ১২ জুলাই ২০১০ ২০:৪৮454216
  • নিধিরাম,
    আপনার লেখাটা পড়া যাচ্ছেনা, দয়া করে আর এক বার লিখবেন?
  • Nidhiram | 115.117.218.7 | ১২ জুলাই ২০১০ ২১:৩৬454217
  • durbababanglalekhaporchhena--apniotadeletekoredin
  • til | 220.253.178.104 | ১৩ জুলাই ২০১০ ০১:৫১454218
  • ভাই অনন্যা, এক এক ইনস্টলমেন্টে গল্পের একটি করে ফোঁটা? প্রেমের গল্প, একটু হাত চালান!

  • Ananya | 199.133.16.149 | ১৩ জুলাই ২০১০ ০২:০৪454219
  • Til,

    খুব চেস্টা কোরছি তাড়াতাড়ি লেখার কিন্তু এই ভাবে বাঙ্গলা লেখার অভ্যেস নেই তাই একটু দেরি হোচ্ছে।
  • koli | 115.187.40.219 | ১৩ জুলাই ২০১০ ০৯:৩৩454220
  • M দিদি,

    যদি ভালোবাসা পাই,
    আমার আকাশ হবে দ্রুত শরতের নীল।।
    যদি ভালোবাসা পাই,
    জীবনে আমিও পাবো মধ্য অন্তমিল।।।

    আমাকে মনে করেছ দেখে কবিতার এই দুটো লাইন মনে এলো :-)

    অনন্যা,

    আপনার গল্প খুব ভালো লাগছে।
  • M | 59.93.241.251 | ১৩ জুলাই ২০১০ ১২:৫১454221
  • :)
  • Manish | 59.90.135.107 | ১৪ জুলাই ২০১০ ১৬:২৪454222
  • ও অননন্যা এতো আবাপাতে প্রকাশিত অরন্যদেব কমিকসের মতো ছোটো হে্‌হাটো লেখার মতো হয়ে যাচ্ছে।:-)
  • ananya | 199.133.18.143 | ১৪ জুলাই ২০১০ ১৯:০৯454223
  • তোর সাথে একটা ভীষন দরকারি কথা আছে, একটু সময় হবে তোর?
    রানা তো একটু ঘাবড়ে ই গেলো।

    কেনো রে? কী ব্যাপার?

    দেখ্‌না তিলক আমায় কি দিয়েছে? কি উত্তর দি বলতো?

    চিঠি টা নিয়ে রানা উলটে পালটে দেখলো,
    একি রে এতো কবিতা লেখা। এই ধরনের ম্যাদামারা প্রেমপত্র লিখে আজ্‌কাল আবার কেউ প্রোপজ করে নাকি?

    কি গাইঁয়া রে, একটু ও সাহস নেই নিজের মুখে বলার?

    একটু যেন রাগ এ হল নন্দিতা এর।

    কেনো এর মধ্যে খারাপ টা কি দেখলি তুই?

    তিলক কত সুন্দর, কত ভালো বলতো, আর ভীষন নরম মনের ছেলে। কি সুন্দর একটা কবিতা লিখেছে।
    সবাই কি তোর মত কাঠখোট্টা নাকি?

    আচ্ছা বাবা আচ্ছা, খুব sorry তোর তিলক কে আর কিছু বলবোনা, মানে তিলক তোর ই তো? accept করবি নিশ্চই?

    কাঁধ অবধি কাটা চুল ঝাঁকিয়ে ওঠে নন্দিতা।

    ফালতু কথা ছাড়, এখন তোকে আমায় help করতে হবে।
  • Manish | 59.90.135.107 | ১৫ জুলাই ২০১০ ১১:৪৮454224
  • চলুক পানসি তরতরিয়ে
  • Ananya | 199.133.16.76 | ১৫ জুলাই ২০১০ ২১:০৯454225
  • রানা: please তোর ঐ তিলক এর প্রেমপত্র এর উত্তর লিখতে বলিসনা। আমি পারবো না। আর প্রেমের কোটেশন ও খুঁজতে পারবো না।

    তোকে কিছু ই করতে হবেনা, সে সব আমি দেখবো। তুই জাস্ট এই চিঠি টা তোর কাছে রাখ। বুঝতেই পারছিস মা যদি দেখতে পায় তাহলে তুলকালাম হবে।

    সে না হয় আমি রাখছি, কিন্তু কাকিমা কে তোকে তো একদিন বলতে ই হবে।

    হ্যাঁ, কিন্তু এই মুহুর্তে বলার দরকার নেই।

    তাহলে তুই তিলক এর প্রোপোজাল accept করছিস?

    হ্যা, কেনো তোর কি কোনো সন্দেহ আছে?

    না, সেরকম কিছু নয়, এটা সম্পুর্ন তোর ব্যাপার।

    ঠিক বলেছিস, তাই please তোর গার্জেন গিরি এইবার বন্ধ কর।

    সময় কেটে যায় তাড়াতাড়ি। আস্তে আস্তে রানা এর কাছে চিঠি এর পাহাড় জমে। নন্দিতা এখন খুব ব্যস্ত, একদিকে তার হায়ার সেকেন্ডারি পরীক্ষা, অন্য দিকে তিলক।
    এদিকে বাড়িতে জানাজানি হয়ে গেছে, এই নিয়ে প্রচন্ড অশান্তি চলছে।

    কেন যে বাড়ির লোকে বোঝেনা, ভালোবাসা আর ফ্যামেলি স্ট্যাটাস দুটো সম্পুর্ন আলাদা, ফ্যামেলি দেখে কেউ প্রেমে পড়ে নাকি?

  • Ananya | 199.133.19.254 | ১৫ জুলাই ২০১০ ২২:০৫454227
  • তিল, M, কলি, মনীশ,

    সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার গল্প পড়ার জন্য।
  • Nina | 64.56.33.254 | ১৫ জুলাই ২০১০ ২২:৩৩454228
  • একসঙ্গে পড়লাম তাও বড্ড তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেল যে :-(( আর একটু বেশি বেশি করে , অনন্যা, প্লিজ।

  • Ananya | 199.133.18.101 | ১৬ জুলাই ২০১০ ০১:১০454229
  • ক্রমশ পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে উঠলো। বাড়ির pressure, কেরিয়ার গড়া সব নিয়ে প্রানান্তকর অবস্থা, ভাগ্যিশ রানা ছিলো, তাই সব মনের কথা খুলে বলতে পারতো।

    এবার school থেকে college। ছোট্ট পুকুর থেকে যেন বিশাল নদিতে পড়া। তিলক আর নন্দিতা দুটো ভিন্ন college এ ভর্তি হল, দুজনের college এর সময় আলাদা। নন্দিতা এর দুপুরে আর তিলক এর রাত এ। আস্তে আস্তে তিলক আর নন্দিতা এর সম্পর্ক ত যেন কেমন আলগা হয়ে গেলো। সব কিছু কেমন change হয়ে গেলো। দুজনের ই আলাদা জগত, যে যার নিজের জগতে ব্যস্ত হয়ে পড়লো। দেখা সাক্ষাৎ কমে এলো, আস্তে আস্তে phone করাও বন্ধ হয়ে গেলো।

    রানা ও ভর্তি হল একটা অন্য college এ।

    নন্দিতা এর যাওয়ার পথে এ পড়তো রানা এর বাড়ি। তাই এখন প্রায় college থেকে ফেরার সময় রানা এর বাড়িতে ঢু মারতো নন্দিতা।

    ঊফ, কাকিমা চা টা যা ফাস্টক্লাস বানায় না।

    রানা: তুই তাহলে এই জন্য ই আমাদের বাড়ি আসিস।

    নন্দিতা: য ফালতু বকিস না তো।

  • Ananya | 199.133.18.136 | ১৬ জুলাই ২০১০ ২১:০৪454230
  • Ninadi
    ধন্যবাদ, update করেছি।

  • til | 220.253.178.104 | ১৭ জুলাই ২০১০ ০৯:৩৭454231
  • প্রেমের গল্পের 'চন্নমেত্তর'।
    এক ফোঁটা per এপিসোড।
  • Shibanshu | 59.97.224.117 | ১৯ জুলাই ২০১০ ১২:২৫454232
  • এই গল্পটি পড়তে গিয়ে আমি দুটি সমান্তরাল পাচ্ছি। ইউ টিউবে গান শোনা আর হায়দরাবাদে গাড়ি চালানো। ব্রেকই জীবন। তবু অপেক্ষা করছি। অনন্যা কোথায় পৌঁছে দেন শেষ পর্যন্ত।
  • Ananya | 199.133.18.60 | ২০ জুলাই ২০১০ ০০:৫৯454233
  • সেদিন ছিলো শুক্রবার। বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে রানা এর সাথে দেখা হছে না ব্যস্ত থাকায়। তাই নন্দিতা ভাবলো আজ একবার ঢুঁ মারবে রানা এর বাড়িতে। শনিবার তাই সময় নিয়ে সাইকেল টা নিয়ে বেরোলো নন্দিতা।
    সাইকেল টা পাঁচিলে ঠেস দিয়ে দাঁড় করিয়ে ভেতরে গিয়ে দেখে রানা সোফায় বসে পা দুলিয়ে TV তে খেলা দেখছে।

    কি রে পথ ভুলে এলি নাকি? নন্দিতা এর দিকে তাকিয়ে গলা তুললো রানা।

    হ্যাঁ, তাই তো, আমি না হয় পথ ভুলে এলাম, তুই তো সেটাও করিসনা।

    শোন তোর সাথে একটা কথা আছে, হঠাং সিরিয়াস গলায় বলে উঠলো রানা।

    বলে ফ্যাল।

    শোন তুই অমৃতা কে দেখেছিস মনে হয় তাই না?

    কোন অমৃতা?

    আরে ঐ মেয়ে টা, যে আমার কলেজে জুনিয়র, তোর সাথে কলেজ এ একদিন কথা বললো, মনে আছে?

    হ্যা, খুব মিস্টি দেখতে তাই না? কেন ওর কি হল?

    হ্যা ঐ, না কিছু হয়নি। অমৃতা আমায় প্রপোজ করেছে।

    মানে তুই এতক্ষন কথা টা চেপে রেখেছিস? একদম হইচই বাঁধিয়ে দিলো নন্দিতা। আগে বলিস নি কেনো? সব প্রথম থেকে বল, কি ভাবে হল, কবে হল, সব, কিছু বাদ দিবিনা।

    তুই এতো এক্সাইটেড হচ্ছিস কেনো? এখন কিছু এ তেমন হইনি।

    এই যে বললি তোকে প্রপোজ করেছে, তাহলে কেন বলছিস কিছু ই হয়নি?

    না মানে, আমি এখন কি করবো ঠিক করিনি।

    ঊফ, তোকে নিয়ে আর পারিনা, তুই নিশ্চই এখন ভাবিস প্রেম শুধু বোকা রাই করে। please এবার একটু মানুষ হয়।

    রানা তাকালো নন্দিতা এর দিকে, কে বললো তোকে আমি প্রেম বুঝিনা, কিন্তু কি করব ভাবছি। তোর আর তিলক এর কেস টাতো দেখলাম।

    বাদ দে না ঐ সব, সবার কি সমান experience হয় নাকি? তুই কি অমৃতা কে পছন্দ করিস, তাহলে প্রবলেম কোথায়?

    হুম, তাই ভাবছি, অনেক কিছু ভাবতে হচ্ছে।

    বেশি ভাবিস না, তাহলে দেখবি এই সোফায় বসে তুই ভেবে ভেবে মাথার চুল সাদা করে ফেলেছিস আর অমৃতা অন্য কারো হয়ে গেছে।

  • Nina | 64.56.33.254 | ২০ জুলাই ২০১০ ০২:২৯454234
  • তাপ্পর??
  • Ananya | 199.133.19.254 | ২৮ জুলাই ২০১০ ১৮:৩৭454235
  • কলেজে এর last year সবাই খুব ব্যস্ত, এরপর শুরু হবে চাকরি খোঁজার পালা, career নিয়ে চিন্তা ভাবনা। আজকাল আর নন্দিতা সময় পায়না রানা এর বাড়ি যাওয়ার। আর রানা ই বা সময় কোথায়, নিজের career নিয়ে, অমৃতা কে নিয়ে সে এখন ভীষন ই ব্যস্ত। ঐ মাঝে মাঝে ফোনে এ যা একটু কথা, ব্যাস।

    এদিকে নন্দিতা এর বাড়ি থেকে জোর কদমে বিয়ের তোড়জোড় চলছে। এবার মনে হছে ফাইনাল হয়ে ই গেলো। আর মাত্র হাতে গুনে কয়েক টা দিন, তারপর ই সবাই কে ছেড়ে অনেক দুরে চলে যাবে নন্দিতা।

    অনেকদিন ধরে রানা কে সুখবর টা বলবো বলবো করে আর বলাই হচ্ছেনা, এই সব কথা কি ফোনে এ বলা যায়?
    না আজ একবার সময় করে রানা এর বাড়ি যেতে এ হবে।
    রানা দের বাড়ি আজ গম্‌গমে, কি একটা ছুটি, তাই সবাই রয়েছে।
    নন্দিতা কে দেখে কাকিমা বলে উঠলো কি রে ডুমুরের ফুল হয়ে গেলি নাকি? আজকাল তো দেখা এ পাওয়া যায় না তোর।

    না কাকিমা, আসলে একটু ব্যস্ত ছিলাম। তবে এর মধ্যে একদিন আসতাম ই। আসলে আমার------ মানে আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। তাই আপনাদের খবর টা দিতে এলাম।

    ওমা এতো খুব ভালো খবর, তাহলে তো তোকে মিস্টি খাওয়াতে হচ্ছে, কাকিমা খুব খুশি হয়ে বললেন।

    রানা অদ্ভুত চোখে তাকিয়ে রয়েছে নন্দিতা এর দিকে, আমায় বলিস নিতো এই খবর টা?

    না।। মানে এতো তাড়াতাড়ি সব হল, তাছাড়া তোকে ই first খবর তা দিছি।

    thank you তার জন্য।

    ঐ ভাবে কথা বলছিস কেনো? নন্দিতা নরম স্বরে বলে উঠলো, তোকে বলবোনা তাই কখন হয় নাকি?

    শোন আজ আমায় এক্ষুনি বেরোতে হবে, একটা জরুরি কাজ আছে, হঠাৎ উঠে পড়লো রানা, কাল বিকেলে তোর সময় হবে? তাহলে বিকেল ৫ টার সময় বাস স্টপ এ সাইকেল স্ট্যান্ড এর কাছে দাঁড়াস, কথা হবে।

  • Bratin | 125.18.17.16 | ২৯ জুলাই ২০১০ ১২:৫৫454236
  • তারপর তারপর??
  • Ananya | 199.133.16.231 | ২৯ জুলাই ২০১০ ২১:৪১454238
  • নন্দিতা এসে দেখলো রানা দাঁড়িয়ে অছে স্ট্যান্ড এ, হাতে একটা প্যাকেট।

    হঠাৎ এখানে আসতে বললি?

    তোর সাথে কিছু কথা আছে, চল জেঠিঘাট এ বসবি?

    দুজনে এসে জেঠিঘাট এ সাইকেল দাঁড় করালো, এবার বল।

    এই নে, বলে প্যাকেট টা রানা নন্দিতা এর দিকে এগিয়ে দিলো।

    নন্দিতা: এটা কি?

    রানা: এতে তোকে দেওয়া তিলক এর সব চিঠি অছে যেগুলো তুই আমায় রাখতে দিয়েছিলি।

    নন্দিতা: হঠাৎ আজ এইগুলো আমায় দিচ্ছিস? কি ব্যাপার তোর?

    রানা: শোন তোকে অনেক দিন ধরে ই কিছু কথা বলবো ভাবছিলাম।

    নন্দিতা: কি কথা? তুই হঠাৎ এতো সিরিয়াস হয়ে গেলি কেনো?

    রানা: তোর সপ্তর্ষি দের group তার কথা মনে আছে?

    নন্দিতা: কোন সপ্তর্ষি? যে আমাদের সাথে কোচিং এ পড়তো?

    রানা: তোর কি মনে আছে সপ্তর্ষি কেন join করেছিল আমাদের কোচিং এ?

    নন্দিতা: তা আবার মনে থাকবেনা, just এটা দেখার জন্য যে তোর আর আমার মধ্যে বন্ধুত্ব টা আসলে বন্ধুত্ব না অন্য কিছু। তুই আর আমি এই নিয়ে কত হাসাহাসি করতাম। কতদিন just ওকে দেখানোর জন্য আমরা একসাথে বাড়ি ফিরতাম। কিন্তু এখন হঠাং সপ্তর্ষি এর কথা মনে পরলো কেনো তোর?

    রানা: সপ্তর্ষি এর ধারনা সত্যি ছিলো। আমি যে তোকে কবে থেকে ভালোবেসে ফেলেছি আমি নিজে ও জানিনা।

    নন্দিতা: মানে? কি বলছিস তুই?

    রানা: হ্যাঁ রে, এই ব্যাপার টা মোটামুটি সবাই জেনে গেছিলো, শুধু তুই ছাড়া। প্রথম থেকে ই তুই আমার সাথে এমন ভাবে বন্ধু এর মত closely মিশেছিস যে তোকে বলতে পারিনি।

    নন্দিতা এর পায়ের তলার থেকে যেন মাটি সরে গেলো। কি আবোল তাবোল বকছিস? সব লোক যখন জানতে চাইতো আমাদের মধ্যে এত গাঢ় বন্ধুত্ব কেন? আসলে কি ব্যাপার, তখন আমি এমন কি তুই ও জোর গলায় প্রতিবাদ করতিস। তোকে আমি এত বিশ্বাস করেছিলাম। আমার জীবন এর সব কথা তোকে বলতাম। সেই তুই আমার সাথে এমন করলি? তুই যে আমার কি close বন্ধু ছিলি তা হয়তো তুই নিজে ও জানতিস না। শেষে ঐ সপ্তর্ষি দের কথা তুই সত্যি প্রমান করে দিলি?

    রানা: I can't help it তোকে যে আমি কত ভালোবাসি তা আমি বলে বোঝাতে পারবোনা। আর এই যে দিনের পর দিন তুই আমার কাছে তোর সব কথা বলতিস এতে আমি আরো week হয়ে পড়েছিলাম।

    নন্দিতা: কিন্তু তোকে যে আমি ভীষন বিশ্বাস করেছিলাম, এই ভাবে কেন তুই আমাদের বন্ধুত্ব টা কে নষ্ট করে দিলি? আর অমৃতা? তার কি হবে? ওর কথা একবার ও ভেবেছিস? এই কথা জানতে পারলে ও কতখানি আঘাত পাবে?
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন