এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বেড়ানোর ছড়ানোর স্মৃতি

    Samik
    অন্যান্য | ২৩ আগস্ট ২০১০ | ৬৯০৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kumudini | 122.162.233.140 | ০৫ জানুয়ারি ২০১১ ১৮:৩৩462282
  • কেডিদা,টই তুলে দিলুম।খুব আগ্রহ নিয়ে বসে আছি,লেখাটার জন্য।
  • kd | 59.93.209.195 | ০৫ জানুয়ারি ২০১১ ১৯:০৬462283
  • সব দোষ কুমুদিনীর। কুঁড়ে মানুষকে রেস্ট নিতে বল্লে এই হয়। সত্যি কথা বলতে কি, এরপর তেমন কিছু লেখার নেই। তাও লিখি, শেষ পর্যন্ত যে বাড়ি ফিরেছি না লিখলে সকলে যদি ভাবে জলে ডুবেই গেছি!

    'স্যার, চা' বলে ঘুম ভাঙালো শমীক। মানে ঘুমচোখে তাই মনে হ'লো। আমাদের গাইড, তরুণ বৈদ নিশ্চই শমীকের কুম্ভমেলায় হারিয়ে যাওয়া ভাই। দেখতে যেমন, তেমন মিস্টি গলার স্বর। বল্লো, এতক্ষণ লাউডস্পীকারে সুন্দরবনের ইতিহাস বলছিলো, আমি যেহেতু শুনিনি, রাত্তিরে এসে শোনাবে। বল্লুম রাতে না, কাল সকালে। এখন নাকি আমরা 'সজনেখালি'তে থামবো, রাতে নৌকো ওখানেই থাকবে। আমি ও'সব নামা-টামার মধ্যে নেই শুনে অনেক চেষ্টা করলো মোটিভেট করার, শেষে হতাশ হয়ে হাল ছেড়ে দিলো।

    রাতে খাওয়ার ডাকে ওপরে গেলুম। আমি শুধু রুটি-মাংসেই খুশী, অন্য কিছু নিশ্চই ছিলো। পাব্লিকের কাছে জানতে পারলুম, সজনেখালির জঙ্গলে অ্যাটলিস্ট তিনটে বাঁদর আছে, তবে গাইড নাকি বলেছে আরো আছে এদিক ওদিক। বাঁদর দেখতে পয়সা খরচ করে কলকাতা থেকে সুন্দরবনে আসার কী কারণ কে জানে, আইদার পয়সা বেশী হয়েছে, নয়তো নোংরা মন, কলকাতার বাঁদরের প্যান্ট পরে, এখানেরগুলো ন্যাংটো (সত্যি বলছি, পুরো ন্যাংটো, আমি জিগ্গেস করেছি)।

    ও হ্যাঁ, কিছুক্ষণ আগে সানসেট দেকেছি, ভালোই তো! খেতে যাওয়ার আগে আমরা দু'জন এক ঢোঁক ভদকা-কমলাও মেরে দিয়েচি। খেয়ে দেয়ে ফিরে এসে রাতের পোষাক পরে হুইস্কি নিয়ে খাটে জমিয়ে বসে দু'জনে আড্ডা - বন্ধুর দু:খ বউ আসতে রিফিউজ করেছে, তার এক বন্ধু নাকি পাটাতন থেকে পড়ে গিয়েছিলো, ও কোনো চান্স নিতে চায় না। বল্লো, দ্যাখ, ঐজন্যেই তোকে নিয়ে এলুম, তোকে তো ওরা সকলে চেনে, তুই যদি পারিস স্টিভেন হকিংও পারবে। আমার এ'সব শোনা অব্বেস আছে, ইন্‌ছাল্ট গায়ে মাখলুম না।
    ভোলাবাবু একবার ঘুরে গেলেন, কিছুক্ষণ গপ্পোও করলেন, কিন্তু কিছুতেই জয়েন করলেন না - সরকারী লোক, ডিউটি ইত্যাদি।

    এবার একটু ঘুমিয়ে নিই!
  • kumudini | 122.162.233.140 | ০৫ জানুয়ারি ২০১১ ২০:১৪462284
  • তিন্দিন ঘুমোলেন,এখন আবার??ভাটে বিভীষণ,মেঘনাদ ছিলেনই,এখন কুম্ভোকন্ন-ও??????????
  • Nina | 64.56.33.254 | ০৫ জানুয়ারি ২০১১ ২৩:৫৭462285
  • কাব্লিদাকে তো বটেই--কিন্তু আগে কুমুকে ঝুড়ি ঝুড়ি ধন্যযোগ--কাল রাত্রে টইটা কিছুতেই খুঁজে পেলুমনা--তুলতে চেয়েছিলুম!! তাই-কুমু থ্যাঙ্কু ভেরি মাচ!!

    কাব্লিদা, আমি হেসে খেলে সময় কাটাতে বড় ভালবাসি---খুউব খুউব ভাল লাগছে আপনার আনন্দে ভাগ বসাতে--ভদকা+কমলা শুদ্ধু ;-))
    তুসি গ্রেট হো কাব্লিদা!
  • achintyarup | 121.241.214.34 | ০৬ জানুয়ারি ২০১১ ০০:৫৬462286
  • গ্রেট, গ্রেট! তাপ্পর কি হল
  • Sibu | 66.102.14.1 | ০৬ জানুয়ারি ২০১১ ০১:০১462287
  • সে কি?? সরকারী লোক স্ক্রু-ড্রাইভার দেখেও টাইট দিল না!! পাতি অ্যাভয়েড করে গেল?

    এর নাম পেল্লাদ নয় কেন?
  • siki | 155.136.80.174 | ০৬ জানুয়ারি ২০১১ ০৯:২৯462289
  • বোঝো, সন্ধান দিলাম আমি, আর নাম হল কুমুর।

    সত্য সেলুকাস ইত্যাদি।
  • Lama | 203.132.214.11 | ০৬ জানুয়ারি ২০১১ ০৯:৪০462290
  • আরে! তরুণ বৈদের গাইডত্বে আমিও একবার সুন্দরবন ভ্রমণ করেছিলাম।

    (তাহলে শমীক, আমরা তিনজন কুম্ভমেলায় গিয়েছিলাম- তুমি, আমি আর তরুণ বৈদ)
  • siki | 155.136.80.174 | ০৬ জানুয়ারি ২০১১ ০৯:৫৮462292
  • তাই দেখছি :) আমরা তা হলে ট্রায়ো হলুম।
  • Shibanshu | 59.97.233.132 | ০৬ জানুয়ারি ২০১১ ১৭:২৬462293
  • কাবলিদা,
    ব্রাহ্মণের চরণে প্রণাম। আমাদের দেশের ভাষায় 'গোড় লাগি বাবা'। সেই কোন ত্রেতা যুগে দুফোঁটা ভদকমলা খেয়েছিলেন তার চোটে এখনও ঘুমিয়ে আছেন? উঠে পড়ুন, ভোর হয়ে গেছে। আরও অনেক জন্তু আপনার লেখায় ঢোকার জন্য ধাক্কাধাক্কি করচে, তাদের করুণা করুন।
  • kumudini | 59.178.57.251 | ০৬ জানুয়ারি ২০১১ ১৭:৫১462294
  • গুণে দেখলাম,এখন অব্দি দাদা তিনরকম জানোয়ার দেখেছেন-ষাঁড়,ছাগল,ভেড়া।
    সুন্দরবনে বাগটাগ নেই ??
  • dukhe | 122.160.114.85 | ০৬ জানুয়ারি ২০১১ ১৮:৫১462295
  • দক্ষিণরায় আছেন, কিন্তু ব্রহ্মতেজকে তিনিও এড়িয়ে চলেন বোধহয় ।
  • kd | 59.93.201.11 | ০৭ জানুয়ারি ২০১১ ০২:২০462296
  • অদ্ভুত কান্ড! যে আমি দু'টোর আগে ঘুমোনোর কথা ভাবতেই পারি না, সেই আমি এগারোটার আগেই পুরো আউট! হয়তো ভাটিয়ালি নেই, তাই। নৌকোর দুলুনিতে বেশ সলিড ঘুম হলো।
    তখনও বাইরে আলো ফোটেনি (পুরো গেস, চোখ খুলিনি), বেড টি হাজির। ব্যাটা মনে রেখেছে, কালো চা। ছেলেটাকে বল্লুম, ঘন্টাখানেক বাদে আর এক কাপ দিয়ে যাস্‌ বাপ, পুন্যি হবে, সুন্দর দেখতে বউ হবে। ছেলেটি ধ্যাৎ স্যার, কী যে বলেন স্যার, বিয়ে হয়ে গেছে স্যার, বলে পালালো (আসলে চোখ খুলিনি, কে যে এসেছিলো চা নিয়ে না দেখেই ইত্যাদি)।

    যাহা হউক, ইত:পর ব্যস্তসমস্ত ভাবে প্রাত:কৃত্য সমাপন করিয়া ভদ্রসমাজোপযোগী বেশ পরিধান করিয়া আপাদমস্তক র‌্যাপার (আমার বেশ কয়েকটি র‌্যাপার নূতন অবস্থায় আলমারিতে জমিয়া আছে, কতিপয় শ্রাদ্ধবাসরে ব্রাহ্মণবিদায়ে প্রাপ্তি) জড়াইয়া নৌকার নাসিকাগ্রে দাঁড়াইলাম সূর্যোদয় দর্শণের অভিপ্রায়। মনে করিতে চেষ্টা করিলাম গতকাল সন্ধ্যায় সূর্যাস্ত কোন দিকে হইয়াছে। এই সূর্যোদয় দর্শণ অতি প্রয়োজন - প্রতিজ্ঞা করিয়াছি জীবনে অন্তত: দশবার দেখিবো - আপাতত: সাতটিতে আটকাইয়া আছে।

    চা আসিলো। ইতিমধ্যে নৌকাও চলিতে শুরু করিলো। নূতন সমস্যা। নৌকা ঘুরিলে তার সাথে ঘাড়ও ঘুরাইতে হয় যাহাতে ওই অকালকুষ্মান্ডটি আমাকে ফাঁকি দিয়া তিড়িং করিয়া না উঠিয়া পড়ে। মনে হইতেছিলো আমি শিশুদের ন্যায় 'আনি মানি জানি না' খেলিতেছি।

    অবশেষে দু:সংবাদ। সূর্যোদয় হইয়া গিয়াছে কুয়াশার আড়ালে। হায়, এ'যাত্রায় সাত আর আট হইলো না। নৌকা থামিলো। জনতা উধন্যখালি, নিধন্যখালি বা সুধন্যখালি (ঠিক মনে নাই) নামিলো বনজপশুদের প্রাত:কৃত্যে ব্যাঘাত ঘটাইতে। আমি সে পাপের ভাগী হইতে পারিবো না বলিয়া নৌকাতেই রহিলাম।

    সকলে নৌকায় ফিরিতে জানিতে পারিলাম এই দ্বীপের প্রাণী আমারই মতো নিদ্রারসিক, কাহারও দর্শণ পাওয়া যায় নাই। এত পরিশ্রমের পর ক্ষুধার তাড়নায় সকলেই উপরের ডেকে যাইতে ব্যস্ত - আমিও সেই দলে ভিড়িলাম।

    ঠিক সেই মূহুর্তেই (ঠিক বানান কিনা জানি না, কিন্তু এটাই দেখতে সবচে'ভালো লাগছে) এই যাত্রার একমাত্র উল্লেখযোগ্য ঘটনার সূচনা।
  • titir | 128.210.80.42 | ০৭ জানুয়ারি ২০১১ ০২:৫৪462297
  • কেডিদা,
    লেখাটা দারুণ ঝরঝরে আর মুচমুচে হচ্ছে।
  • kd | 59.93.201.11 | ০৭ জানুয়ারি ২০১১ ০৪:০৮462298
  • দোতলা থেকে তিনতলার সিঁড়িটি লোহার, বেশ খাড়া। সকলে লাইন দিয়ে উঠছি। হঠাৎ আমার সামনের ভদ্রমহিলা তাঁহার সুপুষ্ট নিতম্বটি পিছনে ঠেলে দাঁড়িয়ে পড়লেন। ওটি সোজা আমার নাকে - আমিও প্রাণ বাঁচাতে (চোখের সামনে ভেসে উঠলো আবাপ'য় খবর ""সুন্দরবনে পাছার ঘায়ে বৃদ্ধের মৃত্যু'') পেছনে হেলতেই আমার পেছনে এক অতিবৃদ্ধ ভদ্রলোক হাঁউমাঁউ করে উল্টে পড়লেন তাঁর পেছনের সিঁড়ির নীচে দাঁড়ানো লোকটির ওপর। জানা গেলো মেয়েটির বাবাই আমার পেছনে - মেয়েটি থেমেছিলো বাবাকে সাবধানে ওঠার জন্যে বলতে।

    ওপরে উঠে জানা গেলো জলখাবারে গর্মাগরম কচুরি আর আলুর দম - এখন ভাজা হচ্চে একটু পরেই আসবে (রান্না সব লোয়ার ডেকে হয়, সেখান থেকে ডাম্ব ওয়েটার দিয়ে ওপরে আসে)। কী করি, এদিক ওদিক করছি। তখনই, ওই বলে না, যেখানে বাঘের ভয়, সেখানে সন্ধে হয়, গাইডবাবু আমায় পাকড়াও করলেন (দেক্‌লে, দেক্‌লে, কেমন কায়দা করে সুন্দরবনের গল্পে বাঅঘ এনে ফেল্লুম)। একটা বিরাট ম্যাপ খুলে কোথায় শুরু করেছি, কোন খাল, কোন নদী দিয়ে গেছি, যাচ্ছি, যাবো, সব সুন্দর করে বুঝিয়ে দিলেন আর আমি সঙ্গে সঙ্গে ভুলে গেলুম। তবে সব শুনে একটা প্রশ্ন করলুম, কেন আমরা সোজা রাস্তায় মানে বাবুঘাট থেকে রওনা দিইনি - সেটাও বুঝিয়ে দিলেন - মন:পুত উত্তরও পেলুম ম্যাপের সাহায্যে। কথায় কথায় জানলুম ছেলেটি সজনেখালির পাশের দ্বীপে থাকে। এরা সরকারী কর্মচারী নয় - সরকারের কোন একটা স্কিমে সুন্দরবন অঞ্চলের ৩৪টি ছেলে ট্রেনিং নিয়েছে - এখানে এরাই শুধু গাইডগিরি করতে পারে - টুর কোম্পানিরা এদের ভাড়া করে নিয়ে আসে।

    এরপর ছেলেটি বলতে শুরু করলো সুন্দরবনের ইতিহাস (যার ভয়ে এতক্ষণ লুকিয়ে বেড়াচ্ছিলুম)। একটি ছেলে এসে খাবারের প্লেট দিয়ে গেলো (লাইন দিয়ে নেওয়ার কথা, কিন্তু এগুলো বুড়ো হওয়ার পার্ক্‌স)। খাওয়ার শেষে দেখলুম এখনও বোধহয় হাজার পাঁচেক বছর বাকি আছে ইতিহাসের - তাই বল্লুম, এতো তো মনে থাকবে না, বরং তোমার ফোননম্বর দাও, বাড়িতে গিয়ে তোমায় ফোন করে ধীরেসুস্থে শুনবো। পরে দেখলুম এমন মিথ্যের দরকার ছিলো না, আমরা নেতিবামনি বা নেতিধোপানির ঘাটে। লোকে খুব উৎসাহের সঙ্গে নাবলো - এখানে নাকি বাঘের চাষ হয়, গাছে গাছে বাঘ ঝুলে থাকে। আমি ওপর থেকে সকলকে বেস্ট অফ লাক বলে আবার নৌকোর ডগায় - এবার অন্য কিছুর সঙ্গে একটি কালো গুরু - দেখি কতটা পড়া যায়।

    কিন্তু পড়ায় কি মন যায়! দেখি জলের ধারের বাঁধের ওপর a few pretty chicks। তারপরেই দেখা পেলুম এদের মাকে। কি সুন্দর! কেন যে লোকে কেটে খায় এদের!

    আস্তে আস্তে পরাজিত সৈনিকের মতো ফিরে এলো হতভাগ্য টুরিস্টেরা। 'বাঘের দেখা নাই রে, বাঘের দেখা নাই' গেয়ে উঠতেই একটি দুব্‌লা পাত্‌লা মেয়ে, টীনএজার, চোখ কটোমটো করে বল্লো, 'নিজে যায়নি, এখন খ্যা খ্যা করে হাসি হচ্ছে, ইচ্ছে করছে এক ঘুসিতে টাকটা ফা' পাশ থেকে মাবোধহয়, 'কী হচ্ছে কী, গুরুজন না?'।

    ভোলাবাবু সবাইকে অশ্বাস দিলেন, রোদ্দুর উঠেছে, অনেক কুমীর দেখতে পাবেন চরায়। একটাও দেখা যায় নি, তবে কেউ ভোলাবাবুর কাছে কৈফিয়ৎ চেয়েছিলো কিনা জানি না।

    এইবার আমরা মাতলা নদীতে, নেক্‌স্‌ট অ্যান্ড ফাইনাল স্টপ সোনাখালি। হিউজ নদী, ওই বলে না, দিগন্তবিস্তৃত জলরাশি, সেই সব।

    দুপুরের খাওয়ার ডাক পড়লো। ওই জলখাবারের পর পেটে আর জায়গা নেই, তাও গেলুম, ওই মেয়েটির সঙ্গে একটা হেস্তনেস্ত করতেই হবে। খাবারও আমার অপছন্দের, বাঁধাকপি, চিকেন - কোনোটাই খাইনা। মেয়েটিকে খুঁজে পেলুম, বাঁহাতে খাবারের থালা, একটা বেগুনি ডানহাতে । এগিয়ে গেলুম একটু বকে দিয়ে আসবো বলে, কাছে যেতেই মেয়েটা বেগুনিটা বাড়িয়ে দিয়ে বলে, দাদু, বেগুনি খাবে? দারুণ। কি আর করি, যৌবনের কাছে জরার পরাজয়, বলি খাবো যদি তুই খাইয়ে দিস (হেব্বি লাগলো ডায়ালগটা তৎক্ষণাৎ মনে পড়ায়, বয়সকালে কেনো যে পাত্তুম না)। দু'টো বেগুনি খেয়ে নাচতে নাচতে (মনে মনে) নীচে চলে এলুম ফেরার জন্যে জামা পালটাতে আর ব্যাগ গুছোতে।

    তিন'টে নাগাদ সোনাখালি, নৌকো থেকে ডিঙিতে ঘাট - তারপর দু'টো বাস রওনা দিলো কলকাতার দিকে। ভোলাবাবু বল্লেন, বাস সাইন্স সিটি, পার্ক সার্কাস মোড় আর ধর্মতলায় কেসিদাসের সামনে থাবে - আমরা যেখানে ইচ্ছে নেমে যেতে পারি - আমি সাইন্স সিটিতে নেমে বন্ধুকে অজয়নগরে ওর বাড়িতে নামিয়ে নিজের ডেরায়। ভালোই লাগলো।
  • kd | 59.93.201.11 | ০৭ জানুয়ারি ২০১১ ০৪:১১462299
  • একটি বিশেষ উদ্দেশ্যে এইটা লেখা। কোন এক হিরোইন যেমন 'মরিয়া প্রমাণ করিলো যে সে মরে নাই', আমি তেমন লিখিয়া প্রমাণ করিলাম যে আমি লিখিতে পারি না। এবার কেউ আর সাহস পাবে না আমায় লিখতে বলার।
  • Nina | 68.84.239.41 | ০৭ জানুয়ারি ২০১১ ০৮:২৯462300
  • এই যো কাব্লিদাদা, আমার খুউউব সাহস, হুঁ হুঁ বাবা--খোট্টা আমি--এবার থেকে নিয়মিত লিখুন প্লিজ, প্লিজ! এমন মনখুলে হাসতে বড় ভাল লাগে --এখনও যখন ট্যাক্সো বসায়নি সরকার হাসির ওপরে:-)))আপনার লেখা পড়ে সব্বার আয়ু বেড়ে যাবে , শরীর সুস্থ থাকবে --ঐ রামদেওবাবার চেয়ে আপনার ভক্তর সংখ্যা বেড়ে যাবে , দেখ লিজিয়েগা সাব! চলিয়ে শুরু হো জাইয়ে!(এইরে শমীক নেই তো ধারে কাছে )
  • M | 59.93.210.231 | ০৭ জানুয়ারি ২০১১ ১০:০১462301
  • উ: এত টুকুতে কিছু প্রমান করা যায় নাকি?কাব্লিদা যে লিখতে পারেননা তার জন্য আরো দিস্ত দিস্তা প্রমান চাই।:P
  • siki | 155.136.80.174 | ০৭ জানুয়ারি ২০১১ ১০:৪৫462303
  • বম্মার সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত! আরো লেখা না-পড়লে একেবারে বোঝা যাচ্ছে না কাব্লিদা লিখতে পারে কি পারে না।

    উরেবাবা, সকাল সকাল একহাট তামিলদের মাঝে বসে আমি খ্যা-খ্যা করে হেসে যাচ্ছি, কী অড ব্যাপার স্যাপার!!

    অসাধারণ রকমের বাজে লেখা হয়েছে এইটা। :)
  • dd | 124.247.203.12 | ০৭ জানুয়ারি ২০১১ ১০:৫৩462304
  • আরে:, এটাত্তো খাসা হয়েছে। বিলকুল খাসা।

    আম্মো তামিল মহাসাগরে নিমজ্জিত অবস্থায় একা একাই খিঁক খিঁক করে হেসে পুরোটা পড়ে নিলাম।

    তবে হেথায় লোকগুলো ভালো। কেউ একবারের বেশী চমকে তাকায় নি।
  • pi | 128.231.22.87 | ০৭ জানুয়ারি ২০১১ ১০:৫৮462305
  • উফ্‌ফ ! এক নৌকা লেখা !
    গাছে গাছে বাঘ ঝুলে থাকার একটা কার্টুন পাওয়া যাবে নাকি ? হুতো ? লামাদা ?
  • kd | 59.93.242.254 | ০৭ জানুয়ারি ২০১১ ১১:১৩462306
  • মাঝে মধ্যেই গুচ'র কয়েকটা লেখা ঘুরে ফিরে পড়ি। আজ যেমন শমিকের দু'টো পড়লুম।

    ও হ্যাঁ, তার আগে নিজেরটাও পড়েছি - জীবনে এত কোনো পরীক্ষাতেও লিখিনি। মুখের সোয়াদটা ঠিক করতেই তারপর শমিকেরগুলো পড়লুম। :-)

    বিশেষজ্ঞের অভিমত হ'লো - কোনো বাংলা রচনার ক্লাসে শমিক আর আমার লেখা দিয়ে শেখানো যেতে পারে যে একই টাইপের লেখা কতখানি ভালো আর কতখানি ওঁচা হ'তে পারে (extreme points defined)

    আশা করি সুমেরু এ'পাতায় আসবে না। বাচ্ছাগুলোর লেখা যেভাবে তুলোধোনা করেছে, আমার তো হাড্ডিপাসলি আর থাকবে না। বাচ্ছাদের তো 'বয়স' একটা এস্কিউজ আছে, আমার কী? ভিমরতি? :-(
  • r.h | 203.99.212.54 | ০৭ জানুয়ারি ২০১১ ১১:১৪462307
  • নোংরা রকমের যাতা :)

    বাঘ তো কাব্লীদা দেখেননি, মানসচক্ষে আবাপ'র হেডলাইন দেখেছেন- সেটা আঁকলে যদি সেন্সরে ধরে?

    তবে হ্যাঁ, না লিখতে পারা প্রমান করা এতো সোজা নয়। আরো অনেক প্রমান চাই।
  • Shibanshu | 59.97.233.107 | ০৭ জানুয়ারি ২০১১ ১১:১৮462308
  • ব্রাহ্মণের জয় হউক। ওঁ বিষ্ণু, ওঁ বিষ্ণু, ওঁ বিষ্ণু...
  • shrabani | 124.30.233.85 | ০৭ জানুয়ারি ২০১১ ১১:২১462309
  • দাদা, দারুন হয়েছে। কিন্তু আমি যে ভাবতাম সাহস করে সুন্দরবন যেতে পারলেই বাঘ দেখা অবধারিত তার কি হবে! আমি আজ পর্যন্ত কোনো বনে বাঘ দেখিনি, অথচ সবাই নাকি সেসব জায়গায় বাঘ দেখে, সুন্দরবনই শেষ ভরসা ছিল।:((
  • siki | 155.136.80.174 | ০৭ জানুয়ারি ২০১১ ১১:৩৯462310
  • হুঁ:, আমি বলে জলদাপাড়া চষে বেরিয়ে একটা গণ্ডারের শিংও দেখতে পাই নি। সোঁদরবনে গেলেই বাঘ দেখা যায় নাকি? সিনিমাহলে ঢুকলেই সিনিমা দেখতে পাওয়া যায় নাকি?
  • siki | 155.136.80.174 | ০৭ জানুয়ারি ২০১১ ১১:৪১462311
  • সিমলিপালে গিয়েও বাঘ দেখতে পাই নি। তাদের তখন বাঘশুমারি চলছিল। সবাই জঙ্গলের ভেতর টাইগার সেন্সাসের লোকেদের সামনে থাবা তুলে পেজেন স্যার বলতে গেছিল। আমরা মাটিতে থাবার ছাপ দেখে সন্তুষ্ট হয়ে চলে এসেছিলাম।
  • shrabani | 124.124.86.85 | ০৭ জানুয়ারি ২০১১ ১১:৪৮462312
  • মাটিতে থাবার ছাপটা ঢপের, ওটা ছাপের ছাপ। আমাদের সারিস্কাতে ওরম ছাপ দেখিয়েছিল, পরে জানা গেল সারিস্কাতে অনেক আগেই বাঘ মেরে শেষ করে দিয়েছিল।
  • Sibu | 173.153.231.164 | ০৭ জানুয়ারি ২০১১ ১২:০১462314
  • সুন্দরবনে সুধন্যখালির ওয়াচ টাওয়ারের থেকে বাঘ দেখতে পেয়েছিলাম। বাঘ জল খেতে আসছিল। কিন্তু সবাই মিলে এমন চ্যাঁচাল 'বাঘ, বাঘ' করে, যে বাঘ জল পরে খাব বলে চলে গেল।

    আর সেকোয়ার বনে এক ভালুক দম্পতি আমাদের পাশে পাশে (মানে এই শ' দুই ফুট দূরত্ব রেখে) অনেকখানি হেঁটে গেছিল। পরে রেঞ্জার বলল ওরা নিজেদের নিয়ে খুব ব্যস্ত ছিল বলে আমাদের দিকে নজর দেয় নি। ইন্দুর শুনে একদম বিশ্বাস করে নি। কিন্তু পরদিন ইঁদুরকে ভালুকছানা দেখাতে তখন অর্ধেকটা মানল।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন