এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মুসলমানদের আর কতোদিন মুসলমান করে

    Biplab Pal
    অন্যান্য | ৩১ মে ২০১১ | ৭৮৪৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • abastab | 61.95.189.252 | ০১ জুন ২০১১ ০৮:৫৫472647
  • চেন্নাই=এর রাস্তায় বহু মেয়েকেই দেখি গরমের জন্য ওড়নায় মুখ ঢেকে হাঁটতে দেখি। বোরখার চল মনে হয় সে জন্যই হয়েছিল।
  • siki | 123.242.248.130 | ০১ জুন ২০১১ ০৯:০৫472648
  • পুনেতেও দিব্যি দেখা যায়। দিল্লিতেও দেখা যায়।

    বিপ্লববাবুর পবলেমটা কী নিয়ে হচ্ছে? সেটাই এখনও বোঝা গেল না।
  • rimi | 24.42.203.194 | ০১ জুন ২০১১ ০৯:০৭472649
  • অবাস্তব কি এইটা সিরিয়াসলি কইলেন? তাহলে ছেলেদের জন্যেও বোরখা নয় কেন?
  • Biplab Pal | 72.81.226.222 | ০১ জুন ২০১১ ০৯:১০472650
  • প্রবলেম হচ্ছে মুসলমানরা মানুষ নয়, মুসলমান, এটা আর কদ্দিন চলবে?

    যখনই আমরা তাদের জন্যে মাদ্রাসা শরিয়া মেনে নিচ্ছি, এটাও মানা হচ্ছে একজন মুসলমান বাবা মা, একজন হিন্দু বাবা বা মায়ের থেকে আলাদা। ধর্ম ব্যক্তিগত ব্যাপার। সে লোকে মনসাতে পূজো করুক বা পেচ্ছাপ করুক আমার কিছু যায় আসে না। কিন্ত ধর্মীয় পরিচয় মেনে রাষ্ট্র যখন বলছে তোমার জন্যে আইন আলাদা, স্কুল আলাদা, বিশ্ববিদ্যালয় আলাদা-সেটা একটা ভয়ংকর রাষ্ট্রের জন্ম দেবে।
  • abastab | 61.95.189.252 | ০১ জুন ২০১১ ০৯:১৫472651
  • ছেলেদের সাথে ওড়না গেছের কিছু থাকেনা বলে মনে হয়।
  • abastab | 61.95.189.252 | ০১ জুন ২০১১ ০৯:৪৩472652
  • নাস্তিক হিন্দুরা সব মুসলমান হয়ে যান অআর তারপর ভেতর থেকে সব পাল্টে ফেলুন। কবীর সুমন কেও সাথে পাবেন মনে হয়।
  • ... | 182.253.0.98 | ০১ জুন ২০১১ ১২:০৯472653
  • @রিমি, বোরখার original counterpart তো 'দিসদাসা',যাকে আমরা পাতি বাংলায় জোব্বা বলে থাকি। তার সাথে তো মাথায় scarf ও পরে, সেটা নিজেদের tribe বা সামাজিক অবস্থান অনুযায়ী সাদা বা লাল-সাদা, সাদা-কালো চেক ইত্যাদি হয়।

  • lcm | 69.236.175.29 | ০১ জুন ২০১১ ১২:১৭472654
  • ধুস্‌, নামে কি বা আসে যায়।
    এই যেমন, "মৌলানা' আজাদ কলেজ, বা, বেনারস "হিন্দু' বিশ্ববিদ্যালয় --- এসব তো ভালো ইনস্টিটিউট।
    যদি চমৎকার লেখাপড়ার ব্যবস্থা থাকে তাহলে ঐ আলি মাদ্রাসা যে নামই দাও, সব হৈ হৈ করে ভর্তি হবে।
  • umesh | 80.254.147.148 | ০১ জুন ২০১১ ১২:৩৬472656
  • স্যার সৈয়দ আহমেদ খান আক্ষেপ করে বলেছিলেন, "আমাদের দুর্ভাগ্য যে আমাদের সমাজে কোনো বিদ্যাসাগর এর জন্ম হয় নি"
  • kallol | 220.226.209.2 | ০১ জুন ২০১১ ১৬:২৭472657
  • বিপ্লবকে।

    ""ধর্ম পুরুষতন্ত্র ছাড়া আর কিছু নয়""। আপনি না জানালে কে জানাতো এমন কথা।
    আপনাকে আমার বিণীত নিবেদন, আপনি রোজ সকালে একটা করে বেল খাবেন।
  • PT | 203.110.246.230 | ০১ জুন ২০১১ ১৮:০১472658
  • এই পরিবত্তিত অবস্তাতে বাঙালীর আস্তিকতা-নাস্তিকতা বিচার খুবই দুরুহ ব্যাপার। মুক্যমন্তীর ডান তজ্জনীতে বেষ্পতি চাগানোর জন্য পোকরাজ, আর পোদান সহযোগী দলের সবাপতির দশ আঙুলে আঠারোটা আংটি। আর ভোট কুড়োনোর জন্য হিজাব, দোয়া, নমাজ, শিখ ধম্মস্তানে বিশেষ পাত্থনা আরো সব কি কি......তার ওপরে তারানন্দের বিশেষ পোচারের আলোয় দিদির বাড়ির কালীপুজো কিংবা এত ব্যস্ততার মধ্যেও পোনোবদার বাড়ির দুগ্গোপুজোতে নিজকন্ঠে চন্ডীপাট। ও:, কে বলেচে বাঙালীর দিন গিয়েচে -- দ্বিতীয় নবজাগরণের এইত শুরু।
  • anirban | 192.17.123.149 | ০১ জুন ২০১১ ২১:১৪472659
  • বিপ পাল, আপনার র আর ড় তে গন্ডগোল আছে। আপনি ছাড়া কে ছারা, আর পোরা কে পোড়া বলেন।
  • anirban | 192.17.123.149 | ০১ জুন ২০১১ ২১:১৮472660
  • তাতে অবশ্য কিছু যায় আসে না। সম্ভবত ভৃগুর দাদু নৃপেনবাবু ও সোজা কথা কঠিন করে বলতেন, তিনি ঘাসকে বলতেন তৃণ আর ঘি-কে বলতেন ঘৃত।
  • Biplab Pal | 72.81.226.222 | ০২ জুন ২০১১ ০৮:৫৬472661
  • আমি আজ পর্যন্ত একটা মাত্র মুসলমান শিক্ষিত নাস্তিক এর সাথে মুখোমুখি দেখা পেয়েছি।

    *****************
    খুব ভুল ধারনা। মুক্তমনা সংগঠনটা মূলত মুসলমান নাস্তিকদের-ওখানে লিখছি গত ছবছর ধরে। অসংখ্য মুসলমান নাস্তিক আমার বন্ধু।

    আবার প্রগতিশীল আস্তিক মুসলিম ও অনেক অনেক আছে। মুসলমানদের মধ্যেই আমি এত সময় কাটিয়েছি-খুব জোর গলায় বলা যায়, ওদের রেখেছ মুসলমান করে। আসলে সবাই মানুষ। হিন্দুত্ব বা ইসলাম কসমেটিক লেবাস হবারও যোগ্য না। মানুষের হিন্দু বা মুসলমান পরিচয়গুলো ধ্বংশ করতে হবে। যারা সুফীতঙ্কেÄর গভীরে গেছে, তারা দেখে নিও বৈষ্ণব তঙ্কেÄর সাথে কত মিল। কারন মানুষের সব চাহিদাই বস্তুবাদি-আর যেটুকু পার্থক্য দেখ সেটা স্থান কালের পার্থক্যে যেটুকু সমাজবিবর্তনের পার্থক্য।

    কারুর পরিচয় হিন্দু মুসলমান বা ক্রীষ্ঠান হবে, এসব একবিংশ শতাব্দীতে চলতে পারে না।
  • Biplab Pal | 72.81.226.222 | ০২ জুন ২০১১ ০৯:০০472662
  • "ধর্ম পুরুষতন্ত্র ছাড়া আর কিছু নয়""। আপনি না জানালে কে জানাতো এমন কথা।
    আপনাকে আমার বিণীত নিবেদন, আপনি রোজ সকালে একটা করে বেল খাবেন।

    ************
    এই প্রবন্ধটা কল্লোলকে উপহার দিলাম:

    http://biplabbangla.blogspot.com/2010/03/blog-post.html
  • y | 59.164.190.170 | ০২ জুন ২০১১ ০৯:০৩472664
  • ছাগল প্রজনন ও জাত নির্বাচন
    কোন জাতের ছাগল পালন করবেন-
    ব্যবসায়িক ভিত্তিতে মাংসের জন্য ছাগল পালন করতে হলে বাংলার কৃষ্ণকায় জাতের ‘ব্লাক বেঙ্গল গোট’ বেশ ভাল। বাজারে এই মাংসের চাহিদা, দাম ও কদর সবচেয়ে বেশী এবং এর চামড়ার দাম ও চাহিদাও খুব বেশী যা অন্য কোন দেশী বা বিদেশী জাতের ছাগলে নেই। তাছাড়া সারা পৃথিবীতে এই জাতের ছাগলের যথেষ্ট সুনাম আছে। তবে এরা দুধ কম দেয়। দুধ ও মাংসের জন্য ছাগল পালন করতে হলে যমুনাপুরী জাতটি ভাল। বিজ্ঞান সম্মতভাবে উন্নতমানের বাংলার কালো জাতের ছাগল চয়ন ও প্রতিপালন করতে পারলে বাংলার মাটিতে ঐ ছাগল পালন অধিক লাভজনক হতে পারে।
    ছাগলের প্রজনন- ছাগল পালনের প্রথমে উন্নতজাত ঠিক করার পর ঐ জাতের উন্নতমানের ছাগল চয়ন বিশেষ প্রয়োজন।
    ১) প্রজননের প্রথম দিক- বাংলার কালো ছাগল একসাথে ২ - ৩টি বাচ্চা দেয়। ১০টি স্ত্রী ছাগল ২০-৩০টি বাচ্চা দিতে পারে এক একটি বিয়ানে। পুরুষ ছাগলকে মাংসের জন্য বড় করতে হবে। আর স্ত্রী ছাগল গুলিকে ছোটবেলায় বেচে নিয়ে তার থেকে সুস্থ, সবল, ভাল চেহারার কয়েকটি ছাগল প্রজননের জন্য রেখে দিতে হয়। তবে স্ত্রী ও পুরুষ ছাগলের বয়স তিন বছর হওয়ার আগেই প্রজননের ছাগল বাছাই করলে ভাল হয়।
    ২) পুরুষ ছাগল বাছাই- এই ছাগলের চেহারা হবে সবল। সুগঠিত ও স্বাস্থ্যবান। বেশ শক্তিশালী ও পুরুষালী ভাব থাকবে চরিত্রে। ঘাড়ে কেশর থাকবে এবং প্রজননের সময় খাড়া হবে। বীর্যে শুক্রাণুর ভাগ খুব বেশী থাকবে।
    ৩) স্ত্রী ছাগলের বাছাই- বেশ ধীর, স্থির ও শান্ত প্রকৃতির হবে এই ছাগল। সঠিক সময় গরম হবে। প্রতি দুই বছরে তিন বার বাচ্চা দেবে। ১৬ থেকে ১৮ মাসের মধ্যে প্রথম বাচ্চা দেবে। পা দুটি শক্ত ও সোজা হবে। পালান অবশ্যই ছাগলের আকারের সহিত মানানসই হবে। দুটি বাঁট আলাদা হবে এবং দুটোতেই দুধ আসবে। পালানের সঙ্গে মানানসই বাঁট থাকবে। পালানের পাশে দুধ শিরা বেশ স্পষ্ট থাকবে।
    ৪) প্রজনন করানোর সঠিক সময়- ১৫ থেকে ১৮ মাস বয়স হলে তবেই স্ত্রী ছাগলকে প্রজননের কাজে ব্যবহার করা যায়। পুরুষ ছাগলকে ১৮ - ২৪ মাসের মধ্যে ঐ কাজে ব্যবহার করা হয়।
    ৫) কতদিন প্রজনন করানো যায়- ৬ বার বাচ্চা দেওয়ার পর আর প্রজননের কাজে স্ত্রী ছাগলকে ব্যবহার করা উচিত নয়। পুরুষ ছাগলের ক্ষেত্রে ৫ - ৬ বত্‌সর পর্যন্ত প্রজননে ব্যবহার করা যায়।
    ৬) বছরের কোন সময় প্রজনন করানো ভাল- ছাগলকে সারা বছরেই প্রজনন করানো যায়। যমুনাপুরী ও বিটল জাতের ছাগলের ক্ষেত্রে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত প্রজননের উপযুক্ত সময়। পুরুষ ছাগলের ক্ষেত্রে শীত ও বসন্ত প্রজননের আদর্শ সময়।
    ৭) পুরুষ ছাগলের প্রজনন পদ্ধতি- দেড় থেকে ২ বছরের পর ছাগলকে নিয়ম মেনে প্রজনন করানো উচিত। একবারে একটির বেশী ছাগলকে প্রজননে ব্যবহার করা ভাল নয়। সপ্তাহে একবার প্রজনন করালে ভাল। বেশী প্রজনন করালে বীর্যের মান ও ঘনত্ব কমে যায় এবং ছাগলের স্বাস্থ্যও খারাপ হয়ে যেতে পারে।
    ৮) স্ত্রী ছাগলের প্রজনন পদ্ধতি- প্রথমবার ১৫ থেকে ১৮ মাসে প্রজনন করানো হয় এবং দ্বিতীয় বার বাচ্চা দুধ ছাড়ার একমাস পরে পুনরায় প্রজনন করানো হয়। অর্থাত একবার বাচ্চা দেওয়ার তিন মাসের মাথায় পুনরায় প্রজনন করানো যায়। বাচ্চা দিতে এরা সময় নেয় প্রায় ১৪৫ - ১৫২ দিন, গড়ে ৫ মাস। তাই একবার বাচ্চা দেওয়ার (৩ মাস + ৫ মাস) ৮ মাসের মাথায় আর একবার বাচ্চা পাওয়া যায়।
    স্ত্রী ছাগল ১৮ থেকে ২১ দিন অন্তর গড়ে ১৯ দিন অন্তর গরম হয় এবং ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টা গরম থাকে। গরম শুরু হওয়ার ১০ থেকে ১২ ঘন্টা পরে প্রজনন করানো ভাল এবং প্রয়োজন হলে দ্বিতীয়বার প্রজনন করা যায় প্রথমবারের ১০ ঘন্টা পরে।
    ছাগল ১৯ দিন পরপর গরম হয় এবং সেই গরম হওয়ার লক্ষণগুলি হল- অস্থিরতা প্রকাশ, অন্য ছাগলকে বিরক্ত করা, অন্য ছাগলের ঘাড়ে উঠবার চেষ্টা করা। দুপাশে লেজ নাড়া ঘনঘন, হঠাত খাওয়া দাওয়া কমিয়ে দেওয়া। দুধেল ছাগলের দুধ হঠাত কমে যাওয়া, যোনিদ্বার লাল ও ফোলাফোলা ভাব থাকে, যোনিদ্বার দিয়ে তেলের মত স্বচ্ছ পদার্থ বের হয়। ঘন ঘন প্রস্রাব হয়।
    সাধারণত: পুরুষ ছাগলকে দিয়ে স্বাভাবিকভাবে স্ত্রী ছাগলের প্রজনন করানো হয়। এইভাবে ১৮ - ২১ দিনের মধ্যে স্ত্রী ছাগলটি যদি আর গরম না হয় তবে বুঝতে হবে ছাগলটি গর্ভবতী হয়েছে এবং ৫ মাস বাদে বাচ্চা প্রসব করবে। কিন্তু যদি পুনরায় গরম হয়, সেক্ষেত্রে অনেক সময় ‘রিপিট ব্রিডিং’ এর জন্য ছাগলটি গর্ভবতী হয় না। তখন ১টি বা ২টি গরম কাল ছেড়ে দিয়ে বা অন্য পুরুষ ছাগল দিয়ে প্রজনন করালে বা প্রজনন অঙ্গের চিকিত্‌সা করালে বা পুষ্টিকর ভিটামিন ‘’ যুক্ত সুষম খাবার খেতে দিলে সুফল পাওয়া যায়।
  • y | 59.164.190.170 | ০২ জুন ২০১১ ০৯:০৩472663
  • ভূমিকা

    বাংলার দেশী ছাগল একসাথে ২ - ৩টি বাচ্চা দিতে পারে। মাত্র ৬ - ৭ মাস বাচ্চাকে পালন করলে ৭ - ৮ কেজি ওজন হয়। ছাগলের দুধ খুব সহজেই হজম হয় এবং পুষ্টিকর। বাংলার কালো ছাগলের চামড়া পৃথিবী বিখ্যাত এবং অত্যন্ত দামী।

    ছাগলের সংখ্যাতঙ্কÄ
    ভারতে প্রায় ১২ কোটি ছাগল (১৯৯৩) আছে যেখানে পৃথিবীর মোট ছাগলের সংখ্যা ৭৫ কোটি অর্থাত সারা বিশ্বের মোট ছাগলের সংখ্যার ১৬ ভাগ। পশ্চিমবঙ্গে প্রায় দেড় কোটি ছাগল আছে ১৯৯৩ সালের হিসাব অনুযায়ী। জেলার ক্ষেত্রে ১৯৮৯ সাল অনুযায়ী মেদিনীপুরে সাড়ে তের লক্ষ, দ: ২৪-পরগণায় ১১ লক্ষ ও মুর্শিদাবাদে সাড়ে ১১ লক্ষ ছাগল আছে।

    ছাগল পালনের উদ্দেশ্য
    বাংলার কৃষ্ণকায় ছাগলের মাংস খুব সুস্বাদু ও জনপ্রিয়। ছাগলের দুধ সহজ পাচ্য। শিশু, বৃদ্ধ ও রোগীর পক্ষে উপকারী। ছাগলের চুল বা লোম দড়ি, ব্যাগ, পোশাক, টুপি, বিছানার ও ঘরের নানান উপকরণ ও অন্যশিল্পে ব্যবহৃত হয়। মাটির উর্বরতা বাড়াতে ছাগলের মল ব্যবহার করা হয়।

    ছাগলের জাত
    পৃথিবীতে প্রায় ১০২টি জাতের ছাগল আছে। ভারতেও প্রায় ২০টি প্রজাতির ছাগল আছে। দৈহিক ওজন অনুসারে ছাগলের জাতকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়। যেমন-
    ১) বড় আকৃতির ২) মাঝারি আকৃতির ৩) ছোট আকৃতির
    ১) বড় আকৃতির ছাগল হল- যমুনাপুরী, বিটল।
    ২) মাঝারি আকৃতির ছাগল হল- মারওয়ারী, সুর্তী, গাড্ডী, সমানাবাদী, চেগু।
    ৩) ছোট আকৃতির ছাগল হল- ব্লাক বেঙ্গল, আসাম টাইপ।

    ভারতের কয়েকটি সেরা জাতের ছাগলের বিবরণ
    ১) ব্লাক বেঙ্গল গোট- কালো রংয়ের এই ছাগল পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সর্বত্র দেখা যায়। কালো রং সাদা ও বাদামী, খয়েরী ও সাদা রংয়ের বেঙ্গল গোট দেখা যায়।
    এই ছাগলগুলি আকারে ছোট প্রকৃতির। গড়ে ২ - ৩টি বাচ্চা একসাথে দিতে পারে এবং ১ বার বাচ্চা দেওয়ার খুব কম সময়ের মধ্যে (আট মাস অন্তর) আর একবার বাচ্চা দেয় অর্থাত ২ বছরে ৩ বার বাচ্চা দেয়। ১২ - ১৪ মাসের মধ্যে এরা বাচ্চা দেয়। এরা প্রতিদিন গড়ে ৪০০ গ্রাম দুধ দেয়। নাম মাত্র দানা-ভূষি খেয়ে এরা ৬ মাসে প্রায় ৮ কেজি ওজন হয়। তবে পূর্ণবয়স্ক পুরুষ ছাগলের ওজন ৩০ কেজি ও স্ত্রী ছাগলের ওজন ২০ কেজি হয়।
    ২) যমুনাপুরী- এই জাতের ছাগল উত্তরপ্রদেশের যমুনা, গঙ্গা ও চম্বল নদীর মধ্যবর্তী এটোয়া জেলায় এবং আগ্রা ও মথুরা জেলায় দেখা যায়। এই ছাগলের আকার-আকৃতি বেশ বড় ধরনের। এরা মাংস ও দুধ উভয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়। সংকরায়নের কাজে অন্যান্য দেশী জাতের সহিত এদের মিলন করানো হয়। পূর্ণবয়স্ক পুরুষ ছাগল ওজনে ৫০ - ৬০ কেজি ও স্ত্রী ছাগল ৪০ - ৫০ কেজি হয়। প্রতিদিন প্রায় ১.৫ কেজি থেকে ৩ কেজি পর্যন্ত দুধ দেয়। ঐ দুধে প্রায় ৪ - ৫ ভাগ ফ্যাট থাকে। এরা বছরে একবার বাচ্চা দেয় এবং ১টিই বাচ্চা দেয়।
    ৩) বারবারি- ভারতে উত্তর প্রদেশের এটোয়া, আগ্রা, মথুরা প্রভৃতি স্থানে দেখা যায়। মাঝারি আকৃতির এই ছাগলগুলির রং সাদা ও হরিণের মতো দেহে ছোপ ছোপ দাগ থাকে।
    পাগুলি ছোট প্রকৃতির। পরিপূর্ণ পুং ছাগলের ওজন ২৫ - ৩০ কেজি ও স্ত্রী ছাগলের ওজন ৩৫ - ৪০ কেজি। ১২ থেকে ১৫ মাসের মধ্যে এরা দুবার বাচ্চা দিতে পারে এবং একসাথে দুটি বাচ্চা দেয়। দিনে সাধারণত: .৮ কেজি থেকে ১.৩ কেজি দুধ দেয়। দুধে ফ্যাটের পরিমাণ প্রায় ৫ ভাগ।
    ৪) বিটল- এই জাতের ছাগল পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় দেখা যায়। এরা কালো, সাদা, লালচে বাদামী ও এদের মিশ্রণে হতে পারে। পূর্ণ বয়স্ক পুং ছাগলের ওজন ৫০ - ৬০ কেজি ও স্ত্রী ছাগলের ওজন ৪০ -৫০ কেজি হয়। এরা সাধারণত: একসাথে একটি বাচ্চা দেয় তবে অনেক সময় দুটি বাচ্চাও দেয়। দিনে প্রায় ১.৫ - ২ কেজি দুধ দেয়.
  • y | 59.164.190.170 | ০২ জুন ২০১১ ০৯:০৪472667
  • ছাগলের পুষ্টি ও খাবার
    ছাগল কি খায়- কচিঘাস, আগাছা, লতাপাতা খেতে এরা খুব ভালবাসে। কাঁঠাল পাতা, কুলপাতা, সজনে, নিমপাতা, বকফুল, নটে, কপি, মূলা, পালং, গাজর প্রভৃতি পাতা এরা খেয়ে থাকে। সিম, বরবটি, অড়হর পাতা ছাগল ভাল খায়। এছাড়া তরি-তরকারির খোসা, চারিদিকে পড়ে থাকা কমদামী খাবার খাইয়েও এদের পালন করা যায়। অধিক উত্‌পাদনের জন্য সুষম খাদ্য এবং চাষ করা সবুজ খাদ্য যেমন বারসীম, লুসার্ন, কাউপি, ওটস, ভুট্টা, জোয়ার ইত্যাদি খাওয়ানো দরকার। সুবাবুলের পাতা বেশী পরিমাণে খাওয়ানো ভাল নয়।
    ছাগল কি পরিবেশ ধ্বংস করে- ছাগল সহজে খেত খামারে বা চাষের জমিতে ঢোকে না বরং চারপাশের উঁচু আইলে ঘাস বা আগাছা খুঁটে খুঁটে খায়। বেড়া ভেঙে না ঢুকে দুপায়ে ভর দিয়ে লতা-পাতা সংগ্রহ করে।
    খাদ্যে উপাদান-
    ১) শর্করা বা শ্বেতসার (কার্বোহাইড্রেট)
    ২) প্রোটিন বা আমিষ
    ৩) ফ্যাট বা তৈল পদার্থ
    ৪) ভিটামিন বা খাদ্যপ্রাণ
    ৫) খনিজ পদার্থ বা ধাতব লবণ (মিনারেল মিক্সচার)
    ৬) জল
    সুষম খাদ্য- ছাগলের দেহের বৃদ্ধি, ক্ষয়ক্ষতি পূরণ অধিক উত্‌পাদন ইত্যাদির জন্য যে সব উপাদান দরকার সেগুলি উপযুক্ত পরিমাণে যদি কোন খাদ্যে থাকে তবে তাকে সুষম খাদ্য বলে। এই সুষম খাবার বিভিন্ন প্রকারের হয়।
    ১) বাচ্চার জন্য কিড স্টাটার বা মিল্ক রিপ্লেসার বা দুধের বিকল্প খাবার।
    ২) বাড়ন্ত বাচ্চার জন্য গ্রোয়ার খাবার।
    ৩) বড় ছাগলের জন্য ফিনিশার খাবার।
  • y | 59.164.190.170 | ০২ জুন ২০১১ ০৯:০৪472665
  • ছাগলের বাসস্থান

    গরুর গোয়ালে, বারন্দায়, রান্নাঘরে বা বাড়ীর দাওয়াতে থাকে। সারাদিন মাঠে ঘাসের জমিতে চরে বেড়ায়, খাবার সংগ্রহ করে ও রাতে ওখানে থাকে।
    উন্নত পদ্ধতিতে ছাগল পালন করতে হলে বা একসঙ্গে অনেক ছাগল পালন করতে হলে বাসস্থানটি একটু উঁচু জায়গায় হওয়া প্রয়োজন যেখানে জল জমে না। আর্দ্র বা ভিজে ভাব নেই। ঘর আবদ্ধ হলে চলবে না, তার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে নেটে ঘেরা ফাঁকা জায়গা বা জানালা রাখতে হবে। শীতের সময় ঐ জানালায় বস্তার আবরণ দেওয়ার ও মেঝেতে খড়ের বিছানা রাখা দরকার। মল-মুত্র ত্যাগের জন্য নালার ব্যবস্থা রাখা দরকার। বাসস্থানের পাশাপাশি ছাগলকে চরবার জন্য জল জমে না এমন স্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।

    ছাগলের ঘরের নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য-

    ১) ঘরের মেঝে- ভুমি থেকে মেঝের উচ্চতা ৩ ফুটের বেশী হবে। মেঝে শুকনো থাকবে। সিমেন্টের মেঝে হলে ভাল হয়। তবে মাটির হলে বালি-মাটির ভাল।
    সাধারণভাবে ৭ দিন থেকে ৩ মাস বয়সের প্রতিটি ছাগলের বাচ্চার জন্য ৩ - ৫ বর্গফুট জায়গা দরকার এবং এক একটি শেডে বা ঘরে প্রায় ২০ থেকে ২৫টি বাচ্চা রাখা যায়। আবার ৩ মাস থেকে ৬ মাস বয়সের প্রতিটি ছাগলের জন্য ৫ থেকে ৬ বর্গফুট মেঝে প্রয়োজন সঙ্গে একটি ব্যায়ামের বা শরীর চর্চার জায়গা রাখা দরকার। ৫ মাস থেকে ১২ মাস বয়সের ছাগলের জন্য প্রয়োজন ৮ বর্গফুট করে জায়গা। পূর্ণবয়স্ক প্রতিটি ছাগলের জন্য জাত ও দেহের ওজন অনুসারে ৬ - ১২ বর্গফুট মেঝের জায়গা প্রয়োজন। ব্লাক বেঙ্গল গোটের ক্ষেত্রে ৬ - ৭ বর্গফুট জায়গা হলে চলে কিন্তু যমুনাপুরী জাতের ছাগলের ক্ষেত্রে ঐ জায়গার পরিমাণ ১০ - ১২ বর্গফুট দরকার।
    গাভীন হলে স্ত্রী ছাগলকে আলাদা রাখার দরকার এবং ঐ সময় থেকে বাচ্চারা দুধ ছাড়ার আগে পর্যন্ত মা ও বাচ্চার একসাথে থাকার জন্য প্রায় ১৬ বর্গফুট জায়গা দরকার।
    প্রজননের কাজে ব্যবহৃত পুরুষ ছাগলের জন্য ও প্রায় ১৬ - ২০ বর্গফুট জায়গা প্রয়োজন এবং একটি ঘরে একটি পুরুষ ছাগল রাখা প্রয়োজন।
    ২) ঘরের দেওয়াল ও ছাদ- ছাগলের ঘরের উচ্চতা ৬ ফুট হওয়া প্রয়োজন।
    ৩) বাসস্থানে জলের ও খাবারের জায়গা- ঘরের মধ্যে সিমেন্টের তৈরী জলের ও খাবারের পাত্রের ব্যবস্থা করলে জল ও খাদ্যের অপচয় কম হয়। তবে মজবুত ও টেকসই জলের বা খাবারের পাত্রের ব্যবহারও করা হয়। প্রতি ছাগলের জন্য জায়গা দরকার ৩০ - ৪০ সেমি।
    ৪) ছাগলের ব্যায়ামের জায়গা- ১০০ থেকে ১২৫টি ছাগলের জন্য ৬০ ফুট লম্বা ও ৪০ ফুট চওড়া ব্যায়ামের বা চরার জায়গার প্রয়োজন।

    ছাগল প্রতিপালন ও বিভিন্ন পর্যায়ে পরিচর্যা
    প্রতিপালন-
    ১) গর্ভবতী ছাগলের পরিচর্যা- প্রসবের ৫ - ৭ দিন আগে গর্ভবতী ছাগলকে আলাদা ঘরে রাখা প্রয়োজন। প্রসবের এক সপ্তাহ আগে মেঝেতে শুকনো খড়ের আচ্ছাদন দিতে হয়। প্রসবের এক সপ্তাহ আগে থেকে হাল্কা, তরল, গুল্ম জাতীয় ও পুষ্টিকর খাবার দিতে হয় এবং প্রতিদিন প্রায় ১০০ গ্রাম খাবার কমিয়ে দিতে হয়।
    প্রসবের সময় বিশেষ নজর রাখতে হয় যাতে বাচ্চা ঠিকমত ভূমিষ্ঠ হয় এবং ঠিক সময় ফুল পড়ে। ছাগল ১ থেকে ৩টি বাচ্চা দিতে পারে, প্রথম বাচ্চা প্রসবের ১৫ - ২০ মিনিট পরে দ্বিতীয়টি অথবা আরও ১৫ - ২০ মিনিট বাদে তৃতীয়টি ভূমিষ্ঠ হতে পারে। সেই জন্য প্রসবের জন্য বেশ কিছু সময় অপেক্ষা করতে হয়।
    জন্মাবার পর প্রতিটি বাচ্চাকে শুকনো পরিষ্কার কাপড় বা তোয়ালে দিয়ে পরিষ্কার করে মুছে দিতে হয়। নাড়ির বা নাভির দু-জায়গায় বাঁধন দিয়ে মাঝখানে কোন ধারালো কাঁচি বা ব্লেড দিয়ে কেটে ফেলতে হয় এবং ঐ জায়গায় কোন জীবাণু নাশক ঔষধ বা আয়োডিন লাগাতে হয়। বাচ্চা দেওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যে ফুল বা প্লাসেন্টা পড়ে যায়, কিন্তু ৮ - ১২ ঘন্টার মধ্যে না &! #2474;ড়ে, তবে চিকিত্‌সার ব্যবস্থা করতে হয়। বাচ্চা দেওয়ার ২ - ৩ দিন পর্যন্ত মা ছাগলকে হাল্কা ধরনের খাবার যেমন ভুষি জাতীয়, কচি ঘাস পাতা যুক্ত খাবার দিতে হয় এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানীয় জলের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
    ২) দুগ্‌ধবতী ছাগলের পরিচর্যা- যেসব ছাগল বেশী দুধ দেয় তাদের ক্ষেত্রে দিনে দুবার দুধ দোয়ান প্রয়োজন, সকালে ও সন্ধ্যায় নির্দিষ্ট সময়ে। ছাগলের পিছনের পায়ের চুল কেটে ফেলা প্রয়োজন। ছাগলকে পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন ও ভাল ঘরে রাখতে হবে। প্রতি লিটার দুধের জন্য ৪০০ গ্রাম সুষম খাবার খেতে দেওয়া দরকার।
    ৩) ছাগলের বাচ্চার পরিচর্যা- সুস্থ, সবল বাচ্চা জন্মাবার পরই উঠে দাড়াতে চেষ্টা করে এবং মায়ের পালানের বাঁটে মুখ দিয়ে দুধ খাওয়ার চেষ্টা করে। অনেক সময় হাত দিয়ে বাচ্চার মুখে বাঁট ধরানো শেখাতে হয় যদি কোন দুর্বল বাচ্চা অসমর্থ হয়। ছোট, মাঝারী ও বড় আকারের দেশী ছাগলের বাচ্চার জন্মের সময় ওজন থাকে যথাক্রমে ১ - ১.৫ কেজি, ২ - ২.৫ কেজি, ১.৫ - ৩ কেজি এবং সংকর ছাগলের বাচ্চার ওজন থাকে ৩ - ৩.৫ কেজি।
    জন্মাবার এক ঘন্টা পর&! #2439; বাচ্চাকে গাজলা দুধ খেতে দিতে হয়। হলুদ রংয়ের ঐ দুধ বাচ্চাকে খাওয়ালে শরীরে এক প্রকার রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা জন্মায়, তাছাড়া ঐ গাজলা দুধে খুব বেশী পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন-এ ভিটামিন-ডি ও খনিজ পদার্থ থাকে।
    প্রথম দু-সপ্তাহ বাচ্চারা কেবল মায়ের দুধ খাবে। তারপর ধীরে ধীরে ঘাস, কচিপাতা ইত্যাদি খেতে শুরু করে।
    ৪) প্রজনন পুরুষ ছাগলের পরিচর্যা- ২ মাসের মধ্যে প্রজননের জন্য ব্যবহৃত পুরুষ বাচ্চাকে বেছে নিতে হয়। সুস্থ, সবল বাচ্চাকে পরিমাণ মত দুধ ও পরে সুষম খাদ্য দিতে হয়।
    ৫) খাসীকরণ- যেসব পুরুষ ছাগল প্রজননের কাজে ব্যবহৃত হবে না তাদের ২ মাস বয়সে বা ২ - ৪ সপ্তাহে খাসী করিয়ে নিতে হয়। এর সুবিধা হল দৈহিক বৃদ্ধি বেশী হয়, মাংস সুস্বাদু হয়, চামড়া ভাল মানের হয় এবং লাভের পরিমাণ ও বেড়ে যায়।
    ৫) সনাক্তকরণ- ছাগলের খামারে প্রতিটি ছাগলকে চেনার জন্য একটা চিহ্ন দেওয়া হয়। কখনও বাচ্চার কানে চিমটে বা ট্যাগ লাগিয়ে। কখনও বা কানে নম্বর ছাপ (টাট্রুইং) মেরে বা কানে কাটা দাগ দিয়ে এই সনাক্তকরণ করা হয়। বাচ্চা জন্মাবার ১ সপ্তাহের মধ্যে এই চিহ্নিত করণ করতে হয়।
  • y | 59.164.190.170 | ০২ জুন ২০১১ ০৯:০৫472669
  • ছাগলের রোগ ও প্রতিকার

    ১) কৃমি রোগ- এই রোগে ছাগল খুব বেশী আক্রান্ত হয়। সাধারণত: আসকারিস জাতীয় গোলকৃমি,আফিস্টোম, লিভার ফ্লুক, চ্যাপ্টা কৃমি দ্বারা বেশী আক্রান্ত হয়। চারণ ভূমি ও বাসস্থান থেকে এই রোগ ছড়াতে পারে।
    লক্ষণ- এই রোগে পাতলা পায়খানা হয়। ঠিকমত ওজন বৃদ্ধি হয় না, শরীর শুকিয়ে যায়, পুষ্টিকর খাবারেও বৃদ্ধি হয় না। খাওয়া কমে যায়, দুর্বল হয়ে যায়। মৃত্যুও হতে পারে। চারণভূমিতে মলের সাথে এই কৃমি ছড়িয়ে পড়ে।
    চিকিত্‌সা ব্যবস্থা- বর্ষার আগে ও পরে নিয়ম করে কৃমির ঔষধ খাওয়াতে হয়। তবে কৃমির আক্রমণ যেহেতু যে কোন সময় হতে পারে তাই প্রতিমাসে একবার কৃমির ঔষধ খাওয়ানো দরকার।
    আসকারিস জাতীয় গোলকৃমি হলে পাইপ্যারাজিন আডিপেট পাউডার প্রতি ৪৫ কেজিতে ১০ গ্রাম হারে বা ছাগল পিছু ৩ গ্রাম করে খালিপেটে সকালে খাওয়াতে হয়, এরপর ২০ দিন পর আবার খাওয়াতে হয়। লিভার বা আস্ফিষ্টোম ফ্লুক হলে ডিসটোডিন ট্যাবলেট প্রতি কেজির জন্য ১০০ - ১৫০ মিগ্রা হারে বা অক্সিক্লোজানাইড লিকুইড ২ - ২.৫ মিলি প্রতি ছাগল পিছু দেওয়া যায় বা প্রতি ৫ কেজি ওজনের জন্য ১ মিলি দেওয়া হয়।
    ২) ছাগলের ছোঁয়াচে প্লুরো নিউমোনিয়া রোগ-
    লক্ষণ- এই জ্বর (১০৪ ডিগ্রি - ১০৭ ডিগ্রি ) শ্বাসকষ্ট, প্রথম অবস্থায় নাক দিয়ে জল বেরোয়, পরে হলুদ হয়ে যায়। কাশি হয়, দিনদিন রোগা হয়ে যায়, স্টেথো লাগালে বোঝা যায় বুকে জল জমেছে, খিদে কমে যায়। এক সপ্তাহের মধ্যে ছাগলটি মারা যায়।
    চিকিত্‌সা- টেট্রাসাইক্লিন ইনজেকশান বেশী মাত্রায় শিরায় করতে হবে তত্‌ক্‌ষণাত বা সালফামেজাথিম (৩৩১/%) হলে ৩০ মিলি একবারে ইনজেকশান দিতে হবে।
    ৩) গোট পক্স বা বসন্ত রোগ- এটি একটি ভাইরাস ঘটিত ছোঁয়াচে রোগ।
    লক্ষণ- এই রোগ দেখা দিলে প্রথমে জ্বর, সর্দি, চোখ ও নাক দিয়ে জল পড়ে, পালান, মুখে, কানে, ক্ষত বা জলফোস্কা দেখা যায়। এই জলফোস্কা অনেকসময় পেকে পুঁজ হয়। বাচ্চারা আক্রান্ত হলে মারা যায়। বড়দের দ্রুত চিকিত্‌সা করতে হয়। এই রোগের স্থায়িত্বকাল ২ - ৭ দিন।
    চিকিত্‌সা ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা- আক্রান্ত ছাগলগুলিকে অন্যত্র সরিয়ে দিতে হবে। কোন আন্টিসেপটিক ক্রিম বা লোশন ক্ষতে লাগাতে হবে। তার আগে হাইড্রোজেন পারাক্সাইড দিয়ে ক্ষত ধুয়ে দিতে হয়। প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা হিসাবে টিকা দিতে হবে। বসন্ত রোগে কোন ছাগল মারা গেলে তাকে মাঠে ও অন্য কোন খোলা জায়গায় ফেলা উচিত নয়। চুন মাখিয়ে গর্তে পুঁতে দিতে হয় মৃত ছাগলটিকে।
    ৪) এঁসো রোগ- ভাইরাস জনিত এই রোগ ছাগলেরও দেখা যায়। বিশেষত বর্ষার সময় এই রোগের প্রার্দুভাব বেশী দেখা যায় এবং খুব দ্রুত অন্যান্য ছাগলের মধ্যে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে।
    লক্ষণ- এই রোগে মুখের ভিতরের দিকে, জিহ্বায়, ঠোঁটে, পায়ের ক্ষুরে ঘা হয়। এফ.এম.ডি. ভ্যাকসিন বছরে দুবার নিলে এই রোগের আক্রমণ হয় না।
    ৫) পেট ফোলা বা ব্লোট- অনেক সময় নতুন সবুজ ঘাস প্রচুর পরিমাণে খেয়ে ফেললে পেট ফুলে যায়। বাঁ দিকের পেট ফুলে যায়। শ্বাসকষ্ট হয়। ছাগল ছটফট করতে থাকে। বেশী পেট ফুলে গেলে ছাগল মারা যায়।
    চিকিত্‌সা ও প্রতিকার- এক কাপ তিসির তেল খাইয়ে দিলে স্বস্তি পায়। তাছাড়া ব্লোটোসিল ২০ মিলি ১২ ঘন্টা অন্তর খাওয়ালে রোগ সেরে যেতে পারে। তবে অত্যধিক পেট ফুলে গেলে সুঁচ ফুটিয়ে গ্যাস বের করে দিতে হয়। কচি সবুজ ঘাস বেশী করে খাওয়ানো ঠিক নয়, সুবাবুলের পাতাও বেশী খাওয়াতে নেই।
  • y | 59.164.190.170 | ০২ জুন ২০১১ ০৯:০৫472668
  • ছাগলের বাচ্চার খাদ্য- ছাগলের বাচ্চার জন্মের ১ ঘন্টার মধ্যেই তাকে গাজলা দুধ খেতে দিতে হয়। এই দুধে প্রচুর এনার্জি, প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ থাকে এবং বাচ্চা রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়। প্রথম ৩ - ৪ দিন ঐ অবশ্যই খেতে দিতে হয়। জন্মের পর প্রথম সপ্তাহে দিনে ৩ বার ও পরে দুবার দুধ খেতে দিতে হয়।
    প্রথম দুই সপ্তাহ বাচ্চারা মায়ের দুধ খাবে। তারপর কচি ঘাস, পাতা, সুষম খাদ্য খাওয়ানো ধরাতে হবে। এইভাবে দুমাস পর্যন্ত মায়ের দুধও খাবে আবার কিড স্টাটারও খাবে। ২ মাস পর বাচ্চাগুলিকে মায়ের নিকট থেকে সরিয়ে দিতে হবে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে সুষম খাবার দিতে হবে।
    বাড়ন্ত বাচ্চার খাদ্য- ৩ মাস বা ৪ মাসের পর গুল্ম জাতীয় রাফেজ খাওয়ানো ধরাতে হবে। প্রতিদিন প্রায় ৩৫০ - ৪০০ গ্রাম ঐ গ্রোয়ার ম্যাস দিতে হবে।
    বড় ছাগলের খাদ্য- এই সময় ফিনিসার ম্যাস ছাগলকে দিতে হয়।
  • y | 59.164.190.170 | ০২ জুন ২০১১ ০৯:০৬472670
  • ছাগল পালনের নমুনা প্রকল্প

    (১০টি স্ত্রী ছাগল ও ১টি পুরুষ ছাগল)
    ক) মূলধনী ব্যয়-
    ১)ঘরবাড়ী
    প্রতি ছাগলপিছু ৯ বর্গফুট জায়গা হিসাবে
    মোট ৯×১১ = ৯৯ বর্গফুট, প্রতি বর্গফুট ৪০ টাকা।
    হিসাবে ছাগলের ঘরবাড়ী তৈরীর খরচ --------------- ৪০০০.০০ টাকা।
    ২) ছাগল পালনের যন্ত্রপাতি ও উপকরণ --------- ৩০০.০০ টাকা।
    ৩) ছাগল কেনার খরচ প্রতিটি ১০০০ টাকা হিসাবে ------ ১১০০০.০০ টাকা।
    মোট ১১ টি ছাগল ১১ × ১০০০ টি
    মোট খরচ -------- ১৫৩০০.০০ টাকা
    ৪) মূলধনের উপর সুদ (১২ শতাংশ) ----------------- ১৮৩৬.০০ টাকা;
    ৫) অপচয় বাবদ (১০ শতাংশ হারে) ------------------- ৪৩০.০০ টাক;
    মোট খরচের পরিমাণ (১৮৩৬.০০ + ৪৩০.০০ ) ------ ২২৬৬.০০ টকা
    খ) কার্যকরী মূলধন-
    ১) সুষম খাবারের জন্য ২৫০ গ্রাম প্রতিদিন হিসাবে
    (বাচ্চা প্রসবের ১ মাস আগে ও ২ মাস পরে
    মোট ৯০ দিনের) মোট ১০ টি স্ত্রী ছাগলের জন্য
    ১০ ×.২৫ × ৯০ = ২২৫ কেজি খাবার দরকার। ঐ খাবার ৭ টাকা কেজি
    দরে মোট খরচ (২২৫ ×.০০ ) ----------------- ৭১৫৭৫.০০ টাকা
    ২) পুরুষ ছাগলটির জন্য প্রজননের সময় ৩ মাসের
    মোট খাবার ২২.৫ কেজির ৭ টাকা হিসাবে প্রতি কেজি
    খাবার (২২.×.০০ ) ------------------------ ১৫৭.০০ টাকা
    ৩) ছাগল ও বাচ্চাদের সবুজ ঘাসের ৭৫ কুইন্টালের খরচ
    প্রতি কুইন্টালের মূল্য ৩০ টাকা হিসাবে (৭৫ × ৩০.০০) -- ২২৫০.০০ টাকা
    ৪) চিকিত্‌সা বাবদ খরচ ----------------------------- ৫০০.০০ টাকা
    ৫) অন্যান্য খরচ ------------------------------------- ১০০০.০০ টাকা
    কার্যকরী মূলধনের খরচ
    (১৫৭৫.০০ + ১৫৭.০০ + ২২৫০.০০ + ৫০০.০০ + ১০০০.০০)
    = ৫৪৮২.০০ টাকা
    মোট বার্ষিক খরচ (৫৪৮২.০০ + ২২৬৬.০০) ------------ ৭৭৪৮.০০ টাক
    গ) আয়-
    ১) ৬ - ৮ মাস পর্যন্ত ১০ টি ছাগলের মূল্য
    প্রতিটি ৭০০ টাকা হিসাবে ----------------------------- ৬৩০০.০০ টাকা
    ২) দুধের মূল্য প্রতিটি ছাগল ২৫০ মিলি দুধ দেয়
    হিসাবে মোট ২৫০ × ১০ = ২৫০০ মিলি এবং ১১ টাকা
    মূল্য প্রতি লিটার হিসাবে ------------------------------- ২৭৫০০.০০ টাকা
    ৩) ছাগলের মল মূত্রের মূল্য প্রতি ছাগল পিছু .৫ কেজি প্রতিদিন
    হিসাবে ৩৬৫ দিন =.৫ কেজি প্রতিদিন ৩৬৫ দিন = ২ কুই:
    এবং ২০ টাকা কুই: হিসাবে --------------------------- ৪০০.০০ টাকা
    ৪) ব্যাগ ও বস্তার মূল্য ------------------------------- ৫০.০০ টাকা
    মোট -------------- ৩৪২৫০.০০ টাকা
    ঘ) লাভ = (৩৪,৯৫০.০০ - ৭৭৪৮.০০) --------------- ২৭,২০২.০০ আকা
    প্রতিমাসে লাভ = (২৯,২০২.০০ ÷ ১২) ----------------- ২,২৬৭.০০ টাকা

    এক পলকে ছাগল পালন
    • বাংলার কালো ছাগলের বৃদ্ধিহার ভারতে সবচেয়ে বেশী।
    • প্রতিটি ছাগী দুই বত্‌সরে অন্তত: তিনবার বাচ্চা দেয় এবং প্রতি বিয়ানে দুই বা অধিক বাচ্চা প্রসব করে।
    • ক্রয় করার সময় মাদি ছাগলের বয়স ১১/২ - ২ বছরের বেশী হওয়া উচিত নয়। কম বয়সের স্ত্রী ছাগল ৮ - ১২ মাসের মধ্যে হলে ভাল হয়।
    • ১২ মাস ভাল ফল পেতে মাদি ছাগলের বয়স ১৪ - ১৮ মাস হলে ২ বছরের মাথায় বাচ্চা পাওয়া যাবে।
    • খামারে লাভজনকভাবে মাদি ছাগল ৬ - ৭ বছর বয়স পর্যন্ত রাখা যেতে পারে।
    • ছাগল ১২ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে।
    • প্রজননক্ষম পাঁঠার বয়স ১১/২ বছর।
    • ৮ - ১০ বছর বয়সের পর পাঁঠাকে প্রজননের কাজে ব্যবহার না করাই ভাল।
    • ১১/২ - ২ বছর বয়সের পাঁঠাকে বছরে ২০ - ৩০ বারের বেশী পাল দেওয়ানো উচিত হবে না।
    • এরপর ৭ - ৮ বছর পর্যন্ত বছরে ৫০ - ৬০ টির বেশী পাল দিতে দেওয়া উচিত হবে না।
    • প্রজননের পাঁঠাকে কখনই দিনে একবারের বেশী ব্যবহার করা চলবে না। সাধারণত: সপ্তাহে এক বা দুইবার ব্যবহার করা চলতে পারে।
    • ছাগলের ঋতুচক্র ১৮ - ২১ দিন অন্তর, গড়ে গরম থাকে ১৮ ঘন্টা।
    • গাভীনকাল - ১৪৫ - ১৫৩ দিন (গড়ে ৫ মাস)
    • খাসীকরণ সময় - ২ - ৩ মাস বয়সে।
    • মাতৃদুগ্‌ধ ছাড়ার বয়স - ২ - ৩ মাস বয়সে।
    • বাচ্চা হওয়ার ১ বা ২ মাস পর মাদীকে প্রজনন করা যেতে পারে।
    • যখনই গরম হওয়া জানা যাবে তখনই এবং বার ঘন্টা পর আর একবার পাঁঠার কাছে মাদী ছাগলকে নিয়ে যাওয়া উচিত।
    • স্ত্রী ও পুরুষের অনুপাত - ৫:
    • প্রসবের পর ১১/২ ঘন্টার মধ্যে ফুল পড়ে যায়।
    • ছাগল খড়, ভুট্টা ঘাস, সরগম ঘাস খেতে পছন্দ করে না।
    • ৮ টি পূর্ণবয়স্ক প্রাণীকে খাওয়াবার জন্য ৩৩০ ফুট × ৩৩০ ফুট জমি দরকার।
    • ২০ কেজি ওজনের ছাগলের জন্য দৈনিক ৫ - ৬ লিটার জলের প্রয়োজন, সবুজ ঘাস দরকার ১.৫ কেজি এবং সুষম খাবার লাগে ৩৫০ গ্রাম।
    • প্রতিটি পূর্ণবয়স্ক ছাগলের জন্য ১০ বর্গফুট জায়গা প্রয়োজন।
  • chhagol | 123.242.248.130 | ০২ জুন ২০১১ ১০:০৪472671
  • ম্যাঅ্যাঅ্যাঅ্যাঅ্যাঅ্যাঅ্যাঅ্যা

    যদিও বাছার আসল ঠিকানা
    এক ফুট বাই দশ ফুট!
  • Ishan | 122.248.183.1 | ০২ জুন ২০১১ ১১:৩৩472672
  • আরও চাই। :)

    এটা কি অজ্জিনাল? তা হলে ছাপতেও চাই। :)
  • dd | 124.247.203.12 | ০২ জুন ২০১১ ১২:০১472673
  • অন আ সিরীয়াস নোট, পুরা ভারতে ছাগোলের অনুল্লেখ বেশ সন্দেহজনক।

    গোরু,ঘোড়া ও ভেড়ার মাংস খাওয়া হতো নিয়মিত। মাছ ও চলতো। কিন্তু ছাগোল কই?

    ভেড়ার চেহারা ধরে ইল্বল এলে অগস্ত্য সাঁটিয়ে খেয়ে ফেল্লেন। বাতাপি যখন আকুল হয়ে ইল্বলকে ডাকতে লাগলেন তখন অগস্ত্য "মহামেঘের ন্যায় গড়ন করিয়া অধোদেশ হইতে বায়ু নির্গত করিয়া" (আরে: ছ্যা ছ্যা) কইলেন হজম হয়ে গ্যাছে।

    আবার ভেড়াকে পাবেন উর্বশী পুরুরবার গল্পে। সেখানে উর্বশী তার পোষ্য দুটি ভেড়াকে ছেড়ে কোথাও যাবেন্না।

    কিন্তু ছাগোল কই?

    এক ঐ অগ্নিদেবের বাহন হিসাবে এট্টু চান্স পেয়েছেন। নইলে জিরো।

    আমাদের কি তাহলে ভেবে নিতে হবে আর্য্যারা ভেড়াকে ছাগোলের থেকে বেশী প্রাধান্য দিতেন,ছাগোল মুলত: অনার্য্য জাতির পোষ্য। ফলত: ছাগোল আজ একটি গালি মাত্র, কিন্তু ভেড়া (বা বা ব্ল্যাক শিপ, বা মাই সুইট ল্যাম কিন, উম্মা উম্মা)এমন কি সাহেবদের কাছেও একটি টার্ম অব এন্ডিয়ারমেন্ট।

    তন্ত্রে কিন্তু ছাগ বলিই প্রশস্ত।
    ছাগোল কি তবে সাব অল্টার্ন?

  • PT | 203.110.243.23 | ০২ জুন ২০১১ ১২:১৫472674
  • ছাগল না ছাগোল?
  • dd | 124.247.203.12 | ০২ জুন ২০১১ ১২:২৬472675
  • যদি ছাগমুখ দক্ষের কথা জিগান তো এটা বলাই বাহুল্য দক্ষ খুব ভালো মানুষ ছিলেন না। উনি অনার্য্য শিবকে ইন স্পাইট অব বিইং হিজ জামাই, তার বাড়ীর পার্টীতে ডাকেন নি। পরে তার মাথা কাটা গেলে পার্বতীর অনুরোধে ছাগমুন্ড ইনস্টল করা হয়। বেশ অপমানকর প্লাস্টিক সার্জারী।

    কণিষ্কের অবশ্য এই সুযোগ ছিলো না।

    ব্রাত্য দোষ দুষ্ট বাঙালীরা কিন্তু ছাগোলকে কো অপ্ট করে নেন। পরবর্তী কালে ঈশ্বর গুপ্ত লেখেন "এমন পাঁঠার নাম যে রেখেছে পাঁঠা/ নিজে সেই পাঁঠা নয়, ঝাড়ে বংশে পাঁঠা"।

    কিন্তু সাব অল্টার্নের অভিশাপ এখনো ছাগোলদের তাড়া করে বেড়ায়। জীবনানন্দ পেঁচা চিল ইঁদুর বাদুরদের ইনক্লুড করলেও ছাগোলকে সযত্নে তাঁর কাব্য ভুগোলের বাইরে রেখেছেন। টেগোর বাবুও ছাগোলদের পাত্তা দেন নি। তিনি রবিবার বলে একটি বৃহৎ গল্পো লিখেছেন কিন্তু রবিবারের এক অপরিহার্য্য অংগ "পাঁটার ঝোল' নিয়ে কিছু বলেন নি। মুর্গি মটনের মটন পাঁটা না ভেড়া, এই কুট প্রশ্ন ও এড়িয়ে গেছেন।
  • dd | 124.247.203.12 | ০২ জুন ২০১১ ১২:৩১472676
  • অ্যাট পিটি

    ছাগল ডেফিনিটলি সঠিক বানান। কিন্তু আরেট্টু পরেই লাঞ্চ, আমি যথেষ্ট ক্ষুধার্ত্ত। এমত অবস্থায় গোলগাল ছাগোল বানানটাই লিখবো।

    পোস্ট লাঞ্চে যদি লিখি,তখন না হয় ছাগল লিখবো।

    এমন কি ছগল ও লিখতে পারি।
  • Kaju | 121.244.209.245 | ০২ জুন ২০১১ ১২:৩৬472678
  • দুর্দান্ত! কি মজা যে পাচ্ছি! ছাগোল নিয়ে বিশদে আলোচনার স্বার্থে একটি এক্ষকুলুসিভ টই খুল্লে হয় না, মানে ডিডিদা যদি অনুমতি দেন আর কি। না হলে লোকে আবার মূলস্রোতে ফিরে গেলে এগুলো হারিয়ে যাবে, খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হবে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন