এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মদন ঘোষ আত্মসমালোচনা ও সাতেঙ্গাবাড়ি

    Ishan
    অন্যান্য | ০৯ জুলাই ২০১১ | ২৭৭৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • Ishan | 117.194.37.80 | ০৯ জুলাই ২০১১ ১১:৪২477549
  • সিপিআইএম দলের রাজ্য সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য মদন ঘোষ সম্প্রতি "মানুষের দরবারে' নামক একটি লেখা লিখেছেন গণশক্তিতে। http://bangla.ganashakti.co.in/shownews.php?w=1284&h=1386&year=2011&month=7&date=6&page=4&dpn=257857

    (মদন ঘোষ কে যাঁরা জানেন না, তাঁদের জন্য একটু ছোট্টো করে পরিচিতি। মদন ঘোষ সম্ভবত সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদকমন্ডলীর সবচেয়ে লো-প্রোফাইল সদস্য। যদিও শোনা যায়, তিনি দলটির পরবর্তী রাজ্য সম্পাদক হতে চলেছেন। এটা অবশ্যই শোনা কথা, যা সত্য নাও হতে পারে।)

  • Ishan | 117.194.37.80 | ০৯ জুলাই ২০১১ ১১:৪৭477560
  • এই লেখাটা নিয়ে এমনিতে টই খুলে ফেলার কোনো কারণ নেই। কিন্তু ব্যক্তিগতভবে আমার চোখে লাগে লেখাটির একটি বিশেষ অংশ। সেটা নিয়ে একটা বুলবুলভাজা লিখব ভেবেছিলাম, হয়তো লিখবও, কিন্তু তার আগে এখানে একটা ছোট্টো ঝলক।
  • Ishan | 117.194.37.80 | ০৯ জুলাই ২০১১ ১২:০০477571
  • লেখাটিতে মদন ঘোষ অনেকগুলো পয়েন্ট করে করে নানা বিষয়ে মূল্যায়ন করেছেন। মূলত: সিপিআইএম এর "বিপর্যয়' বিষয়ক মূল্যায়নই। সেগুলি ক, খ, গ, ঘ করে দেওয়া আছে। এরকমই একটি পয়েন্ট ট। সেখানে মদনবাবু একটা কথা যা লিখেছেন, ইতিপূর্বে সিপিএমের কোনো শীর্ষনেতা লেখেন নি। প্রকাশ্যে বলেন ও নি।

    কি লিখেছেন মদন বাবু?

    "কেউ কেউ সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রামের ঘটনাকে এক ব্যাকেটে রাখেন। বিষয়টি আদৌ ঠিক নয়। নন্দীগ্রামে সরকারের এক বর্গমিটার জমিও অধিগ্রহণের প্রস্তাব ছিলনা। সরকারের পরিকল্পনায় ছিল পেট্রোরসায়ন শিল্প স্থাপন। এর জন্য বন্দর সংলগ্ন জমি প্রয়োজন। স্থানীয়স্তরে কোন আলোচনায় বিষয়টি এসেও থাকতে পারে। সম্ভবত তাতেই আতঙ্কিত হয়েছিলেন হলদিয়ার চর জমির আইনী অধিকারহীন কিছু মানুষ। বিরোধীশক্তি একে ব্যবহার করেছিল ধর্মীয় রং মিশিয়ে। গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস আক্রমন কর হয়েছিল মিথ্যাশ্রয়ী অজুহাতে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বাধা দেওয়া হয়েছে সর্বতোভাবে। তারপরের অধ্যায়ে তথাকথিত "মাওবাদী'দের যুক্ত হওয়র কথ সকলের জানা। অস্ত্র পাওয়া-র নাটক চলছে রাজ্যজুড়ে। কিন্তু কেউ কোনো প্রশ্ন তুলছেন না তৃণমীলের সাংসদ কবীর সুমনের লেখা পুস্তকে সাতেঙ্গাবাড়ি অধ্যায় সম্পর্কে। এক্ষেত্রে পুলিস প্রশাসনের ভূমিকায় দু:খজনকভাবে প্রাণ গেছে কিছু মানুষের। স্বাভাবিক ভাবেই দায় বর্তেছে সরকারের উপর। বিরোধী রাজনৈতিক অভিসন্ধির বিষয়টা আড়ালে চলে গেছে'।
  • Ishan | 117.194.37.80 | ০৯ জুলাই ২০১১ ১২:১১477582
  • এসব যুক্তিগুলি আমরা আগেও শুনেছি। নতুন কিছু না। সেটা নিয়ে চাপান-উতোর করার জন্য এই টই খোলা হয়নি। এখানে যেটা নতুন, সেটা হল কবীর সুমনের পুস্তকের প্রসঙ্গ। এবং বিশেষ করে সাতেঙ্গাবাড়ি পর্বের উত্থাপন।

    আমরা ইদানিং সাঁইবাড়ি বা ছোটো আংরিয়া নিয়ে প্রচুর কথাবার্তা শুনি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের সাম্প্রতিক ইতিহাসে, আমার ব্যক্তিগত মতে পুবে সাতেঙ্গাবাড়ি, পশ্চিমে ধরমপুর, এবং এরকম আরও কয়েকটি জায়গায় "আসলে' কি ঘটেছিল, সে নিয়ে আলোচনা স্থান পাওয়া উচিত। মদনবাবুকে ধন্যবাদ, তিনি সাতেঙ্গাবাড়ি অধ্যায় এবং কবীর সুমনের প্রসঙ্গ তুলে এনেছেন। কবীর সুমনের বিবরণের প্রসঙ্গ তুলেছেন। তিনি প্রশ্ন তুলতে বলেছেন কবীর সুমনের লেখা সাতেঙ্গাবাড়ি অধ্যায় নিয়ে।

    ঠিক সেইটাই আমি করতে চাই এই লেখায়। আর অন্য কিচ্ছু না।
  • Ishan | 117.194.37.80 | ০৯ জুলাই ২০১১ ১২:২০477591
  • সাতেঙ্গাবাড়ি অধ্যায়ে ঢোকার আগে একটা ছোট্টো ই®¾ট্রা। কবীর সুমনের যে বইটির নাম মদনবাবু লেখেননি, সেটি হল "নিশানের নাম তাপসী মালিক'। বইটি ছেপেছেন মিত্র ও ঘোষ। উৎসর্গ করা হয়েছে কিষেণজি, অসীম গিরি, এবং সমস্ত সংসদীয় দলের অতি সাধারণ সমর্থকদের যাঁরা দলীয় সংঘর্ষে প্রাণ হারান, ঘর হারান ইজ্জৎ হারান।

    বইটিতে উঠে এসেছে বঙ্গের রাজনীতির এক অতি-আলোচিত অধ্যায়ে রাজনীতিক প্রবাহের মধ্যে কবীর সুমনের যাত্রার ধারাবিবরণী। লেখার বিষয়গুলি বিতর্কিত, সাধারণ রাজনৈতিক আলোচনায় এসবের জায়গা হয়না, মূলত: ধামাচাপা দিয়ে দেওয়া হয়। ভঙ্গীটি অননুকরণীয়, সুমনের কথার মতোই। পক্ষে থাকুন বা বিপক্ষে, দুই পক্ষের কোনো একটি হন, বা তৃতীয় জন, আমার ব্যক্তিগত মত এই, যে, সুমনের ব্যক্তিগত এই যাত্রাটি সকলেরই অবশ্যপাঠ্য। এই সময়ের একটি দলিল বিশেষ।
  • Ishan | 117.194.37.80 | ০৯ জুলাই ২০১১ ১৩:৪৬477592
  • এবার সিধে সুমনের বই। সাতেঙ্গাবাড়ি অধ্যায়।

    ২০০৯। নভেম্বরের শুরু। নন্দীগ্রাম। তারিখটা বইয়ে স্পষ্ট করে লেখা নেই। ধরে নেওয়া যেতে পারে ১৪ই মভেম্বরের মোটামুটি দিন পনেরো আগে। পুনর্দখলের ফাইনাল রিহার্সাল চলছে সাতেঙ্গাবাড়িতে। "সংঘবদ্ধ', "সুপরিকল্পিত' হামলা চালিয়ে সিপিআইএমের "খুনে বাহিনী' ধ্বংস করেছে সাতেঙ্গাবাড়ি। কিন্তু তারা তখনও পাকাপাকি দখল নিতে পারেনি। গ্রামবাসীরা নিশ্চয়ই পাল্টা আঘাত হেনেছেন, নইলে তো ওখানে সিপিএমের শিবির থাকার কথা।

    সুমন চলেছেন সাতেঙ্গাবাড়ির পথে। মমতার নির্দেশে। সুমনই কেন? আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত সংখ্যায় ভারি শাসক বাহিনীর সংঘবদ্ধ আক্রমন ঠেকিয়ে দিয়েছেন যে গ্রামবাসীরা তাঁরাই সুমনকে দেখতে চেয়েছেন। কথা শুনতে চেয়েছেন। কেন সুমনই? সুমন জানেন না।

    সুমনকে মমতা নির্দেশ দিচ্ছেন ফোনে। সুমনের সঙ্গে আছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অসীম গিরি। আছেন সুকুমার মিত্র। কয়েকজন "নন-পলিটিকাল' বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে যেতে বলছেন মমতা। সুমন নিজেও তখনও কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। ফলে সূত্র খুব জটিল না বলেই মনে হচ্ছে সুমনের। সিপিএমের বিরাট সশস্ত্র বাহিনীকে একদিনের জন্যেও হটিয়ে দেবার ক্ষমতা ধরেন যে গ্রামবাসীরা, তাঁরা সম্ভবত কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। মনে হচ্ছে সুমনের।
  • Ishan | 117.194.37.80 | ০৯ জুলাই ২০১১ ১৩:৫১477593
  • *২০০৭।
  • Ishan | 117.194.37.80 | ০৯ জুলাই ২০১১ ১৪:০৩477594
  • সুমন মিডিয়াকে নিয়ে যেতে চাইছেন না। প্রতিরোধকারীদের খুঁটিনাটি মিডিয়ায় প্রচার হতে দিতে চাইছেন না।

    সিপিএম বাহিনী আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আক্রমন করেছে গ্রামে। নির্বিচারে ধ্বংস, লুটপাট, ধর্ষণ করেছে। একের পর এক বাড়ি ধ্বংস। সুমনদের দেখে বেরিয়ে আসছেন মেয়েরা। বলছেন তাঁদের চরম বিপদের কথ। ঘরের সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে অক্রমনকারীরা। লুট করে নিয়ে গেছে অবশিষ্ট সবকিছু। যাবার আগে পুড়িয়ে দিয়ে গেছে বাড়ি। গ্রামবাসীরা বলছেন -- সিপিআইএম হানাদাররা কোনও কোনও বাড়ির গোরুগুলোকে একটি ঘরে আটকে, বাইরে থেকে দরজা ভালমতো বন্ধ করে দিয়ে সেই ঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। গোরুগুলো আর্তনাদ করতে করতে জ্বলেপুড়ে মরেছে।

    মেয়েরা জড়ো হচ্ছেন। এক প্রবীণা আর্তনাদ করছেন। তাঁরও বাড়ি শেষ এবং স্বামী খুন হয়েছেন। ওয়ান মোর ক্যাজুয়ালটি ইন আ ওয়ার জোন। বিজনেস অ্যাজ ইউজুয়াল।

    সুমনের সঙ্গী অধ্যাপক বলছেন -- কী করা যায় বলুন তো? কিছু টাকা দিলে কি খারাপ দেখাবে?

    আহ, এই তো তারিখ লিখেছেন সুমন। লিখছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার ভাড়াখাটা ঘাতক সাভিম্বির কার্যকলাপ দেখেছেন তিনি। কিন্তু সেই নভেম্বরের তিন তারিখ সাতেঙ্গাবাড়িতে যা দেখেছেন, তার কোনো তুলনা নেই।

    তার মানে এটা তিন তারিখ। ১৪ তারিখের ১১ দিন বাকি।
  • Ishan | 117.194.37.80 | ০৯ জুলাই ২০১১ ১৪:১২477595
  • ওয়ার জোনে ধানক্ষেতে উপুড় হয়ে আছেন কোনও কোনও গ্রামবাসী। হাতে ওয়ান শটার। কোনো কোনো বন্দুক সুমনদের দিকে তাক করা। কোনও কোনও বন্দুক উল্টো দিকে। ওয়ার জোনে টহলদারী চলছে।

    সুমনদের পাহারা দিতে এসেছেন চার যুবক। তাঁদের মুখের অনেকটা ঢাকা। কাঁধে ওয়ান শটার বা টু শটার।

    নন-পলিটিকাল লোক ছাড়াও অন্য একটি গাড়িতে আছেন শেফ সুফিয়ান এবং শিশির অধিকারী। তাঁদেরও পাহারা দিতে এসেছেন কয়েকজন যুবক।

    আজ হটিয়ে দেওয়া গেছে, কিন্তু আজ বা কালই আধুনিকতম অস্ত্র নিয়ে আবার আক্রমন হবে এই এলাকায়। সিপিআইএম বাহিনী ছেড়ে দেবেনা। এই অবস্থায় এই প্রতিরোধকারীদের অবস্থান ফাঁস সুমন হতে দিতে পারেন না। চান না। তিনি তাই মিডিয়া চান না। তিনি পক্ষপাতিত্ব করছেন? করছেন, লিখেছেন সুমন। যুদ্ধপরিস্থিতিতে বাছবিচার তিনি করবেন। "আমি, আমরা যুদ্ধে আছি'।
  • Ishan | 117.194.37.80 | ০৯ জুলাই ২০১১ ১৪:২৬477550
  • দিনে দুপুরে গ্রামের রাস্তায় কয়েকটা কুকুর একসঙ্গে কেঁদে কেঁদে ফিরছে। সাতেঙ্গাবাড়ির কুকুর।

    প্রত্যেকটি বাড়ি ধ্বংস। পোড়া। "বিহার ঝাড়খন্ড আর ওড়িশার ডাকাতদের নিয়ে কয়েক কোটি টাকা খরচা করে এক বিশাল খুনে বাহিনী তৈরি করেছে সিপিআইএম। তাদের হাতে আধুনিক অস্ত্র দেওয়া হয়েছে। তারা কিছুটা দূরে শিবির গেড়ে অপেক্ষা করছে।'

    ভোর থেকেই শোনা যাচ্ছে গুলির আওয়াজ। গুলি চালাচ্ছে "ভাড়া করা খুনীগুলো' তাদের শিবির থেকে। গ্রামের একটি জায়গা থেকে দেখাও যাচ্ছে শিবিরটা। অন্য নানা দিক থেকেও গুলি চলছে। সিপিআইএম বাহিনী ঘিরে ফেলেছে এই গ্রাম। বড় ধরনের আক্রমন আসন্ন।

    কিন্তু গতকালের আক্রমনটা প্রতিহত করল কে? কোন শক্তি? লুটপাট করে পালানোর জন্যই কি এসেছিল হানাদররা? কোথাও যেন হিসেবটা মিলছে না। গ্রামবাসীদের মধ্যে একদল নিশ্চয়ই আছেন, যাঁরা প্রশিক্ষিত।

    কোথাও তৃণমূলের কোনো পোস্টার নেই। ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির নিশানও অনুপস্থিত। তাহলে আক্রমনটা ঠেকাচ্ছে কারা? কোথাও স্পষ্ট কোনো জবাব নেই। যেই ঠেকাক, "সূর্য সেনের সেই বংশধরদের' প্রণাম জানাচ্ছেন সুমন। মনে মনে।
  • Ishan | 117.194.37.80 | ০৯ জুলাই ২০১১ ১৪:৩৩477551
  • পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাড়াতাড়ি গ্রাম থেকে বেরিয়ে যেতে চাইছেন। বেলা পড়ে আসছে। সন্ধ্যে হলে হানাদাররা আক্রমন করতে পারবে আরও সহজে।

    গ্রামবাসীরা সভার আয়োজন করেছেন। বিদ্যুৎ নেই গ্রামে। জেনারেটর নেই। ব্যাটারি চাইত মাইক নেই। ছোটো মেগাফোন নেই। শুধু একটা বেঞ্চি এনেছেন গ্রামবাসীরা। সামনে মাটিতে বসে আছেন মহিলারা। দূরে মাঠে বন্দুকধারী প্রহরীরা।

    এক-দুজন মিডিয়াম্যান ক্যামেরা নিয়ে কিকরে যেন চলে এসেছেন। তাঁদের ক্যামেরা খুলতে বারন করেছেন সুমন। এখানে কারা আছে কি করছে তা বাইরের কারও জানার দরকার নেই আপাতত। "আমরা যুদ্ধে আছি। এখানে রাজনীতি-রাজনীতি খেলা হচ্ছে না।'
  • Ishan | 117.194.37.80 | ০৯ জুলাই ২০১১ ১৪:৪১477552
  • পার্থ খালি গলায় অতি সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা দিচ্ছেন। একটাই কথা: নন্দীগ্রামের কথা আজ সারা বিশ্ব জেনে গেছে। সিপিএমের অপশাসন আর বেশিদিন চলবেনা। আমরা আছি আপনাদের সঙ্গে। ব্যস।

    পার্থ সুমনকে বলছেন, আসল বক্তা আপনি। আপনি যা যা বলার বলুন। শীতের শেষ বেলার ধূসর আলোয় সুমন তাকিয়ে আছেন সারি সারি মুখের দিকে। ময়লা পোশাক। অপুষ্টির ছাপ। আর চোখে অদ্ভুত এক দৃষ্টি।

    বাকপটু সুমন বলতে উঠে বিপন্ন বোধ করছেন। এই মানুষদের, এই রকম মুহূর্তে, কি বলবেন তিনি? তিনি নিজের পরিচয় দিচ্ছেন। সংহতি জ্ঞাপন করছেন। বলছেন বাইরের লোকেদের সনজে ঢুকতে দেবেন না। বলছেন, সিপিআইএম যা করেছে ও করছে তার জবাব কি হওয়া উচিত আপনারা ভালই জানেন। তরুণরা জোরে জোরে হাততালি দিচ্ছেন।

    সুমন লড়াইয়ের কথা বলছেন। প্রয়োজনে মেয়েদেরও অস্ত্র হাতে লড়তে হতে পারে বলছেন। যদি কিছু সাহায্য লাগে, অবশ্যই জানাতে বলছেন।
  • Ishan | 117.194.37.80 | ০৯ জুলাই ২০১১ ১৪:৫৭477553
  • বক্তৃতা শেষ হবার পর শ্রোতাদের সারি থেকে উঠে আসছেন এক প্রবীণ। মাথায় সাদা টুপি। গালে সাদা দাড়ি। দীর্ঘদেহী সেই মানুষটি বলছেন --

    "আমায় নামাজ পড়তে যেতে হবে, বেশি সময় নেই। শুনুন -- আমি বেঁচে থাকলে আপনি ভাত পাবেন। তাই চাল ডাল পাঠাবেন না আমাদের। একখানা এস এল আর দিন।'

    সাংবাদিকতার রিফ্লেক্সে সুমন ভাবছেন, এস এল আর? ক্যামেরা? এই পরিস্থিতিতে? ক্যামেরা কেন?

    এক গ্রামবাসী সুমনের উদ্ধারে এগিয়ে এসে বলছেন: চাচা বলছেন কালাশনিকভ রাইফেলের কথা। সিপিএমের সঙ্গে ওয়ান-শটার টু-শটার দিয়ে লড়াই করা যাচ্ছেনা। ম্যাগাজিনওলা বন্দুক চাই। এক লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা দাম। একটা যদি দেন তো খুব উপকার হয়।
  • Ishan | 117.194.37.80 | ০৯ জুলাই ২০১১ ১৫:০১477554
  • সুমন ফিরে আসছেন সাতেঙ্গাবাড়ি থেকে। মাথায় কালাশনিকভ। তৃতীয় বিশ্বের মুক্তির প্রতীক।

    এক লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা জোগাড় করে ফেলতে পারব চাচা। ভাবছেন সুমন। কিন্তু কালাশনিকভ? সে কোথায় পাওয়া যায়?
  • Ishan | 117.194.37.80 | ০৯ জুলাই ২০১১ ১৫:৩১477555
  • সুমনের লেখায় সাতেঙ্গাবাড়ি অধ্যায় এখানেই শেষ।

    তবে আমার লেখা শেষ নয়। তার প্রথম কারণ, এই, যে, আমি, এই ব্যক্তিলেখকের এখানে সুমনের কাছে একটু ক্ষমা চাওয়ার আছে। ঠিক হোক বা ভুল, এই লেখা সুমনের, আমার নয়। ফলে লিখতে গেলে তাঁর হুবহু বক্তব্যই দেওয়া উচিত। তৃতীয় ব্যক্তির বয়ানে দিলে বক্তব্য মার খেতে বাধ্য।

    ব্যক্তিগতভাবে এই লেখায় সুমনের লেখার স্পিরিটটা হুবহু রাখার চেষ্টা করেছি। একেবারেই পারিনি বলবনা, কিন্তু সুমনের ভঙ্গীকে হুবহু ধরা বোধহয় শুধু আমি না, অন্য কারো পক্ষেই অসম্ভব। বিশেষ করে সে যদি ব্যক্তিগতভাবে এই অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে না যায়।

    ফলে বক্তব্যকে ছোটো করে বলতে গিয়ে যদি কিছু ড্যামেজ ঘটিয়ে থাকি, সে জন্য ক্ষমা প্রার্থনীয়। সুমনের বক্তব্য হুবহু যদি কেউ জানতে চান, তাঁর আসল বইটি পড়ে নেওয়াই উচিত। এই লেখা নয়।

    ---------------------------

    কিন্তু লিখলামই যখন, তখন এর সঙ্গে পাঠকের সুবিধার্থে একটি ছোট্টো ফুটনোটও দেওয়া প্রয়োজন। সুমন এখানে লিখেছেন তিন তারিখের কথা। এর দুদিন পরে পাঁচই নভেম্বর আক্রমনের মুখে সাতেঙ্গাবাড়ির "প্রতিরোধ' ভেঙে পড়ে। নামহীন সেই চাচার কালাশনিকভের প্রয়োজন ফুরোয়। এলাকা "পুনর্দখল' হয়। কোন পক্ষে কতগুলি লাশ পড়ে সে হিসেব সকলেই অবশ্য কম্বলের নিচে চেপে দিয়েছেন।

    তারিখটা মনে রাখুন। পাঁচই নভেম্বর, ২০০৭। এ হল সেই অভিযানের প্রথম ভাগ, যাকে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী "সূর্যোদয়' আখ্যা দিয়েছিলেন।
  • Ishan | 117.194.35.77 | ০৯ জুলাই ২০১১ ১৭:২৮477557
  • লেখা শুরু করেছিলাম শ্রী মদন ঘোষ এর উদ্ধৃতি দিয়ে। শেষও মদনবাবুকে দিয়েই করা যাক।

    মদনবাবু লিখেছেন সুমনের বই এর সাতেঙ্গাবাড়ি অধ্যায় নিয়ে কেউ কোনো প্রশ্ন তুলছেন না কেন। এই একই অভিযোগ নিয়ে ইয়েচুরিরা নাকি দিল্লীও গিয়েছিলেন শুনেছি। চিদাম্বরমের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। সাথে ছিল জেরক্স করা এই পরিচ্ছেদটি।

    মদনবাবু এই লেখা পড়বেন কিনা জানিনা। যা দিনকাল, পড়েও ফেলতে পারেন। পড়ুন বা না পড়ুন, স্পষ্ট করে জানাতে চাই, সুমনের লেখা নিয়ে প্রশ্ন তুলছি। জানতে চাইছি ওড়িশা বিহারের ডাকাতদের হাতে আধুনিক অস্ত্র তুলে দিয়ে "খুনে বাহিনী' কি বানানো হয়েছিল? হলে কোন আদর্শের ভিত্তিতে? কি কারণে? গ্রামকে গ্রাম জ্বালিয়ে "খুনে বাহিনী'কে দিয়ে অবাধে খুন-জখম-লুঠতরাজ কি করানো হয়েছিল? হলে কেন? বিপক্ষ "বাহিনী'র ঠিক কতজনকে হত্যা করা হয়েছিল? এবং সর্বোপরি নিজের দেশের, নিজের রাজ্যের মানুষের বিরুদ্ধে শাসক পার্টি এই অভিযান কেন চালিয়েছিল? স্রেফ "শিক্ষা' দিতে?

    পৃথিবীর সবাই আপনার পার্টির ক্যাডার নয় মদনবাবু। যে, মুখপত্রে যা লিখলেন, মাছিমারা কেরানির মতো সেটাই বেদবাক্য বলে মেনে নেবে। কেউ কেউ অরিজিনাল টেক্সটগুলিও পড়ে। পড়লে, তারা প্রশ্নগুলো আপনাদের দিকেই তুলবে।

    আপনি বলবেন, নন্দীগ্রামের লোকেরা কি ওয়ান-শটার ধরেনি? ধরেছিল মদনবাবু। কিন্তু আপনিও জানেন, আমিও জানি, আক্রান্ত এবং আক্রমনকারীর বলপ্রয়োগ কক্ষনো এক মাপকাঠিতে মাপা হয়না। আপনারা বলশালী ছিলেন। আপনারা ক্ষমতাবান ছিলেন। আপনারা বিরুদ্ধমতকে কেন নিশ্চিহ্ন করে দিতে চেয়েছিলেন, এই প্রশ্ন যেকোনো অ-ধামাধরা লোকের মাথায় সর্বপ্রথম আসবে, যদি সে এই লেখাটি পড়ে, যা আপনি পড়তে বলেছেন। সে জানতে চাইবে না, আক্রমনের মুখে পড়ে কেন নন্দীগ্রামের লোক বন্দুক হাতে নিয়েছিল। কোনঠাসা লোক হিংসার পথ নিলেও সে জনতার সহানুভূতিই পায় মদনবাবু।

    আপনি দীর্ঘদিন রাজনীতি করেছেন। কিন্তু এই সোজা সত্যটি বোঝেন নি। লোকে তাই আপনাদের ছুঁড়ে ফেলেছে। এখনও না বুঝলে আবারও ফেলবে। শিখ হত্যার দায় নিয়ে কংগ্রেসকে ক্ষমা চাইতে হয়েছিল। পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে যা করেছেন, তার জন্য নি:শর্ত ক্ষমা চান কমরেড। অন্য কোনো ভাবেই আপনারা "ঘুরে' দাঁড়াতে পারবেন না।

    যা মনে হয় লিখলাম। ক্যাডারকুল হইচই করে ঝাঁপিয়ে পড়লে পড়তে পারেন। সেসব তো সিঙ্গুর পর্ব থেকেই শুনে আসছি। অভ্যেস হয়ে গেছে। কিন্তু ঐ যে ডিডিদাদা বলেছে সইত্যের পথ থেকে বিচ্যুত হইওঅনা ... সে কথা তো আর ফেলতে পারিনা। :)

    (লেখা শেষ)
  • Ishan | 117.194.35.77 | ০৯ জুলাই ২০১১ ১৭:৩৪477558
  • না এটা নভেম্বরের কথা। "পুনর্দখল'। সুমনের ১৪ই মার্চের অ্যাকাউন্টও এই বইয়ে আছে। অন্যদের অ্যাকাউন্টও নানা জায়গায় আছে। ইচ্ছে করলে সেসবও তুলে আনা যায়।
  • santanu | 91.226.168.2 | ০৯ জুলাই ২০১১ ১৭:৫১477559
  • ধ্যাত! সৌমিত্র বাবুর লেখাটা কোন রাত নিয়ে, ২০০৭ এর ১৪ মার্চ না ২০০৮ এর?
  • pi | 72.83.103.132 | ০৯ জুলাই ২০১১ ১৮:১৫477561
  • শান্তনুদা, না , ওটা আগের ঘটনা। ১৪ ই মার্চ, ২০০৭।
  • pi | 72.83.103.132 | ০৯ জুলাই ২০১১ ১৮:৩০477562
  • সিপিএম সুমনের এই বই নিয়ে আগেই বিস্তর জলঘোলা করেছে। চিদুবাবুর কাছে এই বই নিয়ে গিয়ে নালিশ ঠুকেছিল। মানে, এটি তৃণমূলের মাও কানেকশনের 'প্রমাণ ' বলে :)

    http://articles.timesofindia.indiatimes.com/2011-01-07/india/28365280_1_nishaner-naam-tapasi-malik-kabir-suman-trinamool-leaders-sisir-adhikary

    গণশক্তিতেও আগে অন্য লেখায় এই প্রসংগ আনা হয়েছিল।
  • pi | 72.83.103.132 | ০৯ জুলাই ২০১১ ১৮:৩০477563
  • সিপিএম সুমনের এই বই নিয়ে আগেই বিস্তর জলঘোলা করেছে। চিদুবাবুর কাছে এই বই নিয়ে গিয়ে নালিশ ঠুকেছিল। মানে, এটি তৃণমূলের মাও কানেকশনের 'প্রমাণ ' বলে :)

    http://articles.timesofindia.indiatimes.com/2011-01-07/india/28365280_1_nishaner-naam-tapasi-malik-kabir-suman-trinamool-leaders-sisir-adhikary

    গণশক্তিতেও আগে অন্য লেখায় এই প্রসংগ আনা হয়েছিল।
  • Bratin | 117.194.97.134 | ১০ জুলাই ২০১১ ১১:৫৭477564
  • এই লেখা টির পরে PT দা, শিবু দা, fevi, KC এনারা কোন বক্তব্য রাখবেন না?
  • Suvajit | 59.177.203.111 | ১০ জুলাই ২০১১ ১২:১২477565
  • মদনবাবুর লেখার পর আলিমুদ্দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি। আত্মসমালোচনা করুন কিন্তু ভল্যুম লো করে।
    http://www.anandabazar.in/10raj2.html

  • machi mara kerani | 14.96.82.188 | ১০ জুলাই ২০১১ ১৪:৪০477566
  • তৃণমূল - মাওবাদী সংস্রব প্রমান করে নতুন কি কাজ করবেন মদন বাবু?
  • machi mara kerani | 14.96.82.188 | ১০ জুলাই ২০১১ ১৪:৪২477567
  • আলিমুদ্দিন এর খবর সবাই এতো তাড়াতাড়ি পেয়ে যান... আমরা কেন পাই না?
  • dd | 124.247.203.12 | ১১ জুলাই ২০১১ ১৪:৩৭477568
  • মদন বাবু তো যথাযথই লিখেছেন।

    কে ঠিক কে ভুল সেতো তক্কের ব্যাপার। ঈশেনের সাথে মদনের তাতে মিলবে ক্যানো?

    উনার মোদ্দা বক্তব্য ছিলো নকুদের সাথে তিনোমুলের একটা যোগাযোগ আছে। সে তো ছিলোই। কবীর সুমন শুধু এম্পি হয়ে লিখে সেটাকে আরো সহজ করে দিলেন। বা বলা যায় ছাপ্পা মেরে দিলেন।

    ব্যাস।
  • dd | 124.247.203.12 | ১১ জুলাই ২০১১ ১৪:৪৬477569
  • ভামেদের মনে থাকবে।
    বছর পনেরো কুরি আগে কংগ্রেসের গনি খান চৌধুরী খুব শোরগোল তুলেছিলেন। জনসভায় গিয়ে বল্লেন সিপিএমি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐসব পেটো ফেটো আর পাতে দেওয়া যায় না। আপনেরা স্টেন গান ধরুন। প্রচুর হাত্তালি।

    এর পর জনসভায় গেলেই সমর্থকেরা স্টেন গান দিন,স্টেন গান দিন করে হল্লা করে। মেডিয়া সেই সব পোস্টারের ছবি দেখায়।

    হাই কম্যান্ড দিলো হুড়কো। গণি খান তখন বলেন "আরে ছি ছি। হিংসার পথ কখনোই আমাদের পথ নয়। ঐ স্টেন গান ফান ওগুলো মিছিমিছি বলেছি। প্রতীকি ব্যাপার, বুঝলেন্না।"

    ইহাই পার্লিয়ামেন্টারী পথ। মহাজনেরা এ পথেই হাঁটেন।
  • Ishan | 117.194.35.223 | ১১ জুলাই ২০১১ ১৬:০০477570
  • সুমন একবারের জন্যও "মাওবাদী' লেখেন নি তো। ফলে "প্রমাণ' করা যাবেনা।

    এছাড়াও এই বইয়ে সুমনের ১৪ই মার্চের অ্যাকাউন্টও আছে। আঁখো দেখা হাল। (সেও নাহয় কোনো সময়ে লিখব)। সুমনকে সাক্ষী মানতে গেলে মদনবাবুর বিপদ কিন্তু পোচ্চুর। মমতার চেয়ে ঢের বেশি। :)
  • dd | 124.247.203.12 | ১১ জুলাই ২০১১ ১৬:০৮477572
  • আরে,ক্ষী নাইভ কথাবার্ত্তা।(আমাদের ঈশেনের)।

    কোনো রাজনীতি ছাড়াই জ্যানোগন কখনো হয় ? কক্ষনো না। নেভার। ওরা কারা? যাদের পিঠে এক শটার দুই শটার, চায় কালাশনিকভ। স্রেফ বর্নহীন স্বচ্ছ মানুষ?

    উনারা আক্রান্ত হচ্ছেন সিপিয়েমি হার্মাদের হাতে। মার খাচ্ছেন কিন্তু লড়ে যাচ্ছেন। তাইলে উনারা হয় তিনোমুলী নয় মাওবাদী। সোজা হিসেব। সমাজবাদী জনতা পার্টী,ডি এম কে , এ সব তো নয়। আর বর্নহীন গন্ধহীন মানুষ কখনো হয় না কি?

    সুমনের লেখারও দরকার নেই। মুখে কালো কাপড়,পিঠে বন্দুক। লড়ছেন সিপিয়েমের সাথে। এর পর ও আবার "মাওবাদী" লিখে দিতে হবে?

    ব্যাস। প্রমান হয়ে গেলো।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে প্রতিক্রিয়া দিন