এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  নাটক

  • ইচ্ছের অলি-গলি

    I
    নাটক | ২৭ জুন ২০১১ | ২৩৬৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ishan | 122.248.183.1 | ০১ জুলাই ২০১১ ১৩:৩৩478838
  • স্ট্রিট কার নেম এ সেক্ষ নাই? অধীর আগ্রহে ওয়েটিং। :)
  • siki | 123.242.248.130 | ০১ জুলাই ২০১১ ১৪:১৮478839
  • না, ঠিক নেই। হিন্দিতে বললে বলতে হবে সাসু-মা। বাংলায় শাশুড়ি। ব-ফলা কেবল শ্বশুরে আছে, শাশুড়িতে নেই।
  • Shibanshu | 117.195.185.110 | ০১ জুলাই ২০১১ ১৪:৩১478840
  • এই টইটা আগমার্কা পোস্ট মডার্ন। যদুপুরের কম্পা লিটদেরও ফেল মেরে দেবে। আইবিএস বাঙালির জিনে আছে, পদ্যের মতই। ডাক্তারের আইবিএস সুখে শান্তিতে বেড়ে উঠুক এই কামনা করি। নয়তো লেখাটা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
  • kumudini | 122.160.159.184 | ০১ জুলাই ২০১১ ১৪:৩৮478841
  • খালি বাজে কতা!শিবাংশু পজ্জন্ত-------

    এবার নাটকটার কতা শুরু হোক।
    কতদিন স্টেজে নাটক দেখা হয় নি।
  • M | 59.93.210.108 | ০১ জুলাই ২০১১ ১৭:০৬478842
  • ভ্যাঁক! ন,স,র ই-কার ইত্যাদিদের বর্নবিদ্বেষ এর বিরুদ্ধে দিকে দিকে আন্দোলনের ডাক দিয়ে গেলুম।
  • I | 14.99.108.105 | ০১ জুলাই ২০১১ ২২:৫৫478843
  • সেক্ষ ক্রমে আসিতেছে। রাই ধৈর্যং রহু ধৈর্যং। :-)
  • achintyarup | 59.93.243.34 | ০২ জুলাই ২০১১ ০৬:০৫478844
  • কতক্ষণ ধৈর্যং? ও ডাগদার? সে বিষয়ে পেসকিপশনে কিছু নাই তো দেখছি
  • suddhasatya | 117.194.225.24 | ০২ জুলাই ২০১১ ০৬:২৫478845
  • এগোচ্ছেনা যে। অ্যাকাডেমির সকাল অনেকক্ষণ হয়েছে। তারপরে?
  • I | 14.99.121.15 | ০৩ জুলাই ২০১১ ০০:০৫478846
  • স্ট্রীটকার নাটকের কোনো সার্থক বাংলা রূপান্তর হতে পারে কিনা আমি জানিনা। বস্তুত: আজকের আমেরিকাতেও হয়তো আর তা সম্ভব না। বাংলায় তো নয়ই। যে নাটকের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে আছে আমেরিকার দক্ষিণের ফ্লেভার, সেই ১৯৪৭ সালের দক্ষিণ, কিংবা হয়তো তারো আগেকার (কেন, সে কথায় পরে আসছি), তাকে আজকের কলকাতায় কি করে মঞ্চস্থ করা যেতে পারে অপরিবর্তিত ভাবে( আমি অবিকৃত শব্দটি ব্যবহার করলাম না)?
    সেঁজুতি বলছিল কতগুলো প্র্যাকটিকাল অসুবিধের কথা। ১৯৪৭ সালের পোস্ট-ওয়ার আমেরিকাকে ধরতে গেলে চাই উপযোগী সেট, কস্টিউম; একটা ছোট দলের পক্ষে এইরকম একটা ব্যয়বহুল প্রযোজনা যে কত কঠিন , সেটা নাটকের লোকেরা ভালো জানবেন। কিন্তু ১৯৪৭-কে ২০১০ সালে টেনে আনলেই কী বেশ সুবিধা হয়ে যায়? টেনেসি-র এই নাটকে জন্মদাগের মত লেগে রয়েছে সাতচল্লিশের আমেরিকান সাউথ, সেই দাগ মুছে ফেলতে গেলে নাটকটা গরীব হয়ে যায় না অনেক ?

    নতুন কোনো দাগ গড়ে তুলতে হয় তাহলে। অথবা বিশ্বাস রাখতে হয় এমন কোনো দেঁওদেউলের গাঁথনিতে যা শীতযুদ্ধ পেরিয়ে,এতগুলো মৃতদেহ মাড়িয়ে,আস্ত একটা বিকল্প মতাদর্শের ধ্বংসস্তূপ পেরিয়ে , বহুবিধ নারীবাদী তরঙ্গের দোলায় দুলে এখনো সাতটি তারার তিমিরের মত নিষ্কম্প। হ্যাঁ, নেই যে তেমন কলজে এই নাটকের , সে কথা আমি অন্তত: মনে করি না। এই নাটকের সেই টাইমলেসনেসের কথা মাথায় রেখেই হয়তো নাটকটা করতে আসা অবন্তি ও আরশি'র। কিন্তু আমি অ্যাজ এ মানুষ, সেরিবেলার ডিসর্ডারে ভুগি; আমার টালমাটাল গেইট, বর্ডারের ওপর দিয়ে দোদুল্যমান হাঁটি, আমার মনে ক্রমাণ্বয়ে সন্দেহ ও ভরোসার জন্ম হয়।
  • I | 59.93.247.230 | ০৩ জুলাই ২০১১ ০০:৩৪478848
  • যেমন মনে করুন না নাটকের এই প্রায় ওপেনিং ডায়ালগ-ব্লঁশ বলছে : They told me to take a street-car named Desire, and transfer to one called Cemeteries, and ride six blocks and get off at—Elysian Fields!

    এর তো বাংলা হয় না কোনো ! কলকাতা শহরে স্ট্রীটকার নেই,- ট্রাম , হ্যাঁ, আছে, কিন্তু তাদের নাম ডিজায়ার রাখে নি কেউ, তাদের কারো নাম সেমেটারি নয়। ডিজায়ারের শেষ ঘন্টি পেরিয়ে
    সেমেটারিতে যে উঠে আসতে হয়, যদি আপনি নিজের অন্তিম গন্তব্যে পৌঁছতে চান-সেটা কে , কীভাবে তাহলে বলে দেবে এই কলকাতা'র দর্শকদের? আর সেই গন্তব্য, আপনি জানতেন না, এলিজিয়ান ফিল্ডে কোলস্কি পরিবারের গেরস্থালিতে; সেই গেরস্থালি একটা একলা সাদা রংয়ের কুঁড়ে, তার চারপাশে আদিগন্ত অনন্ত সবুজ ঘাস, আকাশ সেখানে নেমে এসেছে মাথার ঠিক ওপরে, তার পুঞ্জ মেঘে আর দক্ষিণসমুদ্রের হাওয়ায় কেবলি মৃত মানুষের দীর্ঘশ্বাস- কেননা সে তো এলিজিয়ান ফিল্ডের আকাশ, সেই এলিজিয়ান ফিল্ড, গ্রীক পুরাণের মৃত মানুষের রাজ্য।

    হায়, বাংলার দর্শকরা এই মেটাফরের তেতো-করুণ স্বাদ পেলেন না। মাথার মধ্যে টিং টিং করে বাজতে থাকে শেষ ট্রামের ঘন্টা, সে জীবনকে আরেকটু বেশী চেটে খেতে গিয়ে আনমনে এক প্রৌঢ় কবির রক্ত মাখিয়ে ফেলেছে চাকায়, এখন কুয়াশায়-হিমে দাঁড়িয়ে রয়েছে জবরজং স্ক্র্যাপইয়ার্ডে, মহীনের অলৌকিক ঘোড়াদের মত দাবনা নাড়াচ্ছে, বড্ড মশা, শীত, ঘুম,আবছায়া, ঘুম.......

  • suddhasatya | 117.194.230.191 | ০৩ জুলাই ২০১১ ০১:২১478849
  • "আমি ঠিকানাটা দেখিয়ে রাস্তাটা জানতে চাইতে ওঁরা আমাকে বললেন, ঐ যে গাড়িটা দেখুন পেছনে লেখা আছে, 'পাগল রে, বাসনা মনাগুণ/ যত ঘি বাড়ে তত গুণ', ঐটেতে চেপে বসুন। যেখানে নামাবে সেখানে ঠিক তখনই দাঁড়িয়ে থাকবে আরেকটা গাড়ি। উঠে পড়বেন আবার। ও, কেমন করে চিনবেন? দেখবেন ওটার পিছনেও লেখা আছে, 'ভোলা মন, সব যাবারই শেষ ঠিকানা/ শ্মশান কিম্বা কবরখানা'। উঠে পড়লেন! ঠিক ছটা স্টপেজ পরে নেমে যাবেন। পৌঁছে গেলেন কবড়ডাঙা।"

    আপনার লেখাটা পড়তে পড়তে একবার ব্লঁশের সংলাপটাকে রূপান্তর করার অক্ষম চেষ্টা করে দেখলাম আর কি! খুব উপভোগ করছি আপনার লেখা।
  • i | 124.168.140.149 | ০৩ জুলাই ২০১১ ১৬:৫৭478850
  • কেমন করে এত ভালো লেখে...
  • I | 14.96.186.144 | ০৩ জুলাই ২০১১ ১৬:৫৮478851
  • শুদ্ধসত্ব, বেড়ে !
  • I | 14.96.186.144 | ০৩ জুলাই ২০১১ ১৭:৫৩478852
  • কিংবা বেলে রিভে। দুবোয়া পরিবারের সেই প্রাচীন, অভিজাত ম্যানসন, যেখান থেকে চিরনির্বাসিত হতে হয় ব্লঁশকে। ফরাসীতে এই শব্দের মানে "সুন্দর স্বপ্ন'। এক সুখ স্বপ্ন থেকে চ্যুত একটি মেয়ে, যে খুব স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসে, যে আর কোনোদিনই ফিরে যেতে পারবে না সেই সুন্দর স্বপ্নে। বেলে রিভে-তে। শব্দবন্ধটির এই কাঙ্খিত বোধে আমরা , বাঙালী দর্শকরা কী করে আর পৌঁছবো, আমরা যারা ফরাসী জানি না, ব্লঁশের মত "ফ্রেঞ্চ' নই, "সাদার্নার' নই!

    আমেরিকান সাউথ। সে আসলে এক বিশাল প্ল্যাসেন্টা , পরতে পরতে জড়িয়ে থাকে এই নাটকের ভ্রূণটিকে। বিশালকায় এক পচনশীল হেমন্তের ফলের মত এই ভুগোল-সমাজ-রাজনীতির পরিসর তার মিষ্টি-পচা গন্ধে মাতোয়ারা করে রেখেছে পোস্ট সিভিল ওয়ার আমেরিকার মানুষজনকে। আরো বেশী করে দক্ষিণের লেখক-শিল্পীদের। এমন না যে টেনেসি জানেন না এই ক্ষয়ের কথা, কিন্তু মৃত্যুঘ্রাণে তাঁর মন পড়ে থাকে, "আমি একে ভালবাসি', বলেন তিনি। যেমন ভালবাসে ব্লঁশ দুবোয়া।

    সত্যি বলতে কী, ব্লঁশ কিন্তু দ্বিতীয় বিশযুদ্ধোত্তর আমেরিকান নারীর প্রতিনিধি নন মোটে। ১৯৪৭ সাল, যুদ্ধ শেষ হয়েছে
  • I | 14.96.186.144 | ০৩ জুলাই ২০১১ ১৭:৫৪478853
  • দু:খ, ভুল করে সাবমিট বাটন টেপা হয়ে গেছে। শেষ লাইন থেকে শুরু করি তাহলে আবার।
  • I | 14.96.186.144 | ০৩ জুলাই ২০১১ ১৮:৩৮478854
  • ১৯৪৭ সাল, যুদ্ধ শেষ হয়েছে দু বছর । আমেরিকান মেয়েরা ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে বেশ কয়েকবছর হল; এমন সব কাজে যা ছিল আগে ছেলেদের মনোপলি-কারখানার কাজ, জুতোর দোকানের সেলস্‌ম্যানগিরি ( নামেই কী পুরুষগন্ধ!), এয়ারফোর্স সার্ভিস পাইলট, ব্যাঙ্কের টেলার -কী নয় ! নতুন মেয়েদের রিপ্রেজেন্টেটিভ হল "রোজি দ্য রিভেটার'; নতুন উদ্যম, নতুন আত্মবিশ্বাস, নতুন আশা। পুরুষের ওপর নির্ভরতা দিনে দিনে কমছে। বাড়ছে সম্মান।

    সেইখানে দাঁড়িয়ে এই নাটক, সাতচল্লিশ সালের এই নাটক, এমন সব নারী চরিত্রের কথা বলে, যারা নিয়ত ভঙ্গুর, একটি পুরুষ, একটির পর আরেকটি পুরুষ যার টিকে থাকার জন্য আবশ্যিক শর্ত। ব্লঁশ সেই মানুষকে জড়িয়ে ধরতে চেয়ে তার আকর্ষ বাড়িয়ে দিয়েছে বারবার, যেমন করে মাধবীলতা চায় সহকারের শরীর। স্টেলা , নাটকের শেষে সে দু টুকরো হয়ে গেছে, সে জানে স্ট্যানলি ধর্ষণ করেছে ব্লঁশকে, তবু সেই জানা-কে অস্বীকার করতে হবে তাকে, তার আর কোনো রাস্তা জানা নেই জীবনের, স্ট্যানলিহীন কোনো অ্যাভেন্যু, যে পথ ধরে সে আর তার নবজাত হেঁটে যেতে পারবে; মাথা উঁচু করে কিনা, সে প্রশ্ন পরের।

    কেন এমন ? টেনেসী, যাঁকে কেউ কেউ বলেছেন "সম্পূর্ণ রাজনীতিহীন একজন লেখক' কি দেখতে পান না সময় ? হয়তো পান না। হয়তো তাঁর মন পড়ে থাকে সিভিল ওয়ার পরবর্তী দক্ষিণে , বিশাল দক্ষিণ, ফাঁপা দক্ষিণ, এপিক ফর্নিকেশনে ফুরিয়ে আসা দক্ষিণ, তার রোম্যান্টিসিজ্‌ম, ফরাসী সুগন্ধ আর ঢুঁ ঢুঁ ব্যাঙ্কব্যালান্সের দক্ষিণ। উত্তরের হাতে ধর্ষিত দক্ষিণ।

    এই সব। এসব তো আমাদের মত আম বাঙালীর রক্তের মধ্যে নেই, আজকে অন্তত: আর নেই। আমরা কিছুটা জানি, কিছুটা আন্দাজ করতে পারি, জলসাঘরের ফুরিয়ে আসা-ভেঙে আসা ঝাড়বাতির ছবি আমাদের মনে পড়ে; কিন্তু সে সব আমাদেরও ফেলে আসা স্মৃতি, আজ এই ২০১০-১১তে কোনো রেলিক নেই সেই মৃত চল্লিশের, এক অলৌকিক সিয়ঁসের টেবিল পাততে হয় তাহলে আরশি-কে, সেই মৃত সময়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে গেলে।
  • ranjan roy | 122.168.203.76 | ০৩ জুলাই ২০১১ ২২:৩৪478855
  • ডাক্তার পাগল করে দেবে।
    ফরাসী সুগন্ধ আর ঢুঁ-ঢুঁ ব্যাংক ব্যালান্স!
    কোলকাতায় গেলে আর একবার যোগাযোগ করে গিয়ে নাটকটা আবার দেখবো।
    ব্লঁশ শব্দটির মানে জানতাম না যে!

    শুদ্ধসঙ্কÄ,
    সাধুবাদ! অমন অনুবাদের প্রচেষ্টার জন্যে।
  • I | 14.96.186.144 | ০৩ জুলাই ২০১১ ২২:৩৯478856
  • রঞ্জনদা !
    ব্লঁশ মানে সাদা (পবিত্রতা'র কোনো অনুষঙ্গ থাকতে পারে)।
  • I | 14.96.186.144 | ০৩ জুলাই ২০১১ ২৩:৪৮478857
  • এবং নিউ অরলিন্স। তাকেও আমরা ভালো করে চিনি না, চেনার কথাও না। অথচ এই নাটক দেখতে গেলে চিনে নিতে হবে নিউ অরলিন্সকে। মাথায় রাখতে হবে তার জ্যাজ-ডিক্সিল্যান্ডে ম ম অ্যাম্বিয়েন্স, তার মাল্টিকালচারাল-মাল্টিএথনিক সত্বা, যেখানে পোলিশ (স্ট্যানলি), হিস্পানিক (পাবলো), কালার্ড ( নামহীন নিগ্রো মহিলা), নীচুতলার সাদা আমেরিকান ( বাড়িওয়ালী ইউনিস), অভিজাত অতীতের আমেরিকান (স্টেলা) এক আকাশের তলায় হাঁটে , চলে, গান গায়, মদ খায়, পোকার খেলে। গ্রেট আমেরিকান কলড্রন; আমেরিকান পাইয়ে ভাগ বসাতে আসছে পৃথিবীর নানা প্রান্তের নানা মানুষজন। পুরনো সাউথের খোলস ফেলে রেখে জেগে উঠছে নতুন সাউথ; এখন থেকে আর বংশমর্যাদা নয়, শ্রম দিয়ে , পুরুষকার দিয়ে ( হা:, পুরুষকার , কী শভিনিষ্ট পৃথিবীর এই ভাষাসমূহ) চেনা হবে মানুষজন। নিউ অরলিন্স, নিউ অরলিন্সই সেই একমাত্র স্থান দক্ষিণের মধ্যে, যেখানে পাব্লিক স্কোয়ারে নিগ্রো মানুষেরা গান গাইতে পারত। তাদের প্রাণের গান জ্যাজ। ব্লুজ। ডিক্সিল্যান্ড।

    তো এইরকম, এত অজস্র পাঁচিল ডিঙিয়ে যেতে হবে এ নাটক নামাতে গেলে। যে কোনো অনুবাদ-রূপান্তরের ক্ষেত্রেই অবশ্য বলা চলে এ কথা; বলতে বলতে গত রবিবারের ( কাকতালীয় ভাবে যে রবিবার আমরা নাটকটা দেখছি) প্রতিদিনের সাপ্লিমেন্ট -টায়( "তর্জমা') ঋতুপর্ণ ঘোষের তুলে দেওয়া একটা কহাবত মনে চলে এল, যার সেক্সিষ্ট ওভারটোনের জন্য ঋতুপর্ণ আগাম ক্ষমা চেয়ে রেখেছেন- ট্রান্সলেশনস্‌ আর লাইক উওম্যান, দে আর আইদার বিউটিফুল অর ফেইতফুল।
  • I | 14.96.186.144 | ০৪ জুলাই ২০১১ ০০:১৪478859
  • কাজেই এ নাটকটা করতে গেলে সেই সেরিবেলার গেইটে হেঁটে যেতে হবে নাটকের মানুষদের, সেই টালমাটাল পায়ে, বর্ডারের ওপর দিয়ে,দড়ির ওপর দিয়ে হাঁটা । দড়ির এক দিকে বিশ্বস্ততা, অন্য দিকে সৌন্দর্য।

    কঠিন কাজ। এই কঠিন কাজটা করতে গেলে যে সব দৃশ্যের জন্ম হয়, তাদের একটা সমালোচনা করতে বসা আরো কঠিন আমার পক্ষে । কেননা আমি নিজেও জানি না, আমার মতামত কতদূর সৎ হবে, কতখানি পক্ষপাতহীন। তাছাড়া আমার টেক্সট পড়ে নাটক-সিনেমা ইত্যাদি দেখতে গিয়ে আবারো কেউ ঠকে যাবেন, এবং ফিরে এসে আমায় খিস্তোবেন, এতটা উদারতা , মাইরি, রাত বারোটা দশে উৎসারণ করে চাপ হয়ে গেল। কাজেই ভালো-খারাপ, ও লাইনেই আমি যাবো না ( মানে না যাওয়ার চেষ্টা করবো আর কী, অন্তত: খুব বেশী পার্টিজান মন্তব্য করব না), আমি শুধু কতগুলো তথ্য বলে বলে যাবো।
  • I | 14.96.186.144 | ০৪ জুলাই ২০১১ ০১:০০478860
  • অবন্তী খানিকটা নিজের মত করে সাজিয়েছেন নাটকটাকে। বেশ কিছু ছোটখাটো চরিত্র বাদ দিয়েছেন, যেমন নিগ্রো মহিলা, নার্স ও ডাক্তার; নিউজপেপার বয়কে অন্যরকমভাবে এনেছেন মঞ্চে, সে কোনো বাস্তবের চরিত্র নয়, স্কিনটাইট কালো পোশাক-পরা একটি প্রায় -কিশোর স্যুররিয়াল উপস্থিতি, সে যেন অন্ধ ডিজায়ার ব্লঁশের (এইটা আমার বেশ ইয়ে, পছন্দ হয়েছে)। সব মিলিয়ে রিয়ালিটি কমেছে, অ্যাবস্ট্রাক্টনেস বেড়েছে, তার ফল- না:, আমি আর কিছু বলব না।
    অন্ধ মেক্সিকান ফুলওয়ালীকেও পর্দার সামনে আসতে দেখা যায় নি, তার বদলে ব্লঁশ নিজেই মৃত্যু ও ডিজায়ারের দড়ি টানাটানি-র কথা বলতে বলতে এক এক বার বিকৃত গলায় চীৎকার করে উঠছে -ফুল চাই, ফু-উ-ল, স্বর্গের ফুল ! আর নেপথ্যে স্প্যানিশ ভাষায় কেউ ডেকে গেছে-flores para los muertos ! flores para.....
  • I | 14.96.186.144 | ০৪ জুলাই ২০১১ ০১:২৪478861
  • এতে করে অন্যরকম একটা এফেক্ট এসেছে নাটকে। অবশ্য তাই করতে গিয়ে নাট্যকারের ডিজায়ারড ( কেমন দিলাম !) অর্থ থেকে সরে আসা হয়েছে হয়তো খানিকটা-অন্ধ নিয়তির হাতে শ্মশানের ফুলের গোছা চোখের সামনে দেখতে পেলে গা আরো ছমছম করে উঠতো কিনা, সেটা সভার বিচারের জন্য ছেড়ে দিলাম (তবে, এইটাই নাট্যকারের নিজের মানে কি না, আর তাতে দর্শক-পরিচালক-অভিনেতাদের কী ইয়ে গেল, ভাবার দরকার আছে বলে তো মনে হয় না)।

    একটা গান জোড়া হয়েছে নাটকে, পৌলমী বসু-অর্থাৎ স্টেলার গলায়, একটা লালাবাই---পৌলমী বেশ ভালো গেয়েছেন-দূর , অত রাখঢাক ভাল্লাগে না-- তাতে ভালো এফেক্ট এসেছে।

    এবং গর্ভিণী স্টেলাকে যখন হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়, তখন যে দ্রুতলয়ে পৌন:পুনিকভাবে উচ্চারিত শব্দবন্ধ প্রথমে আস্তে, পরে ক্রমেই জোরালো হয়ে উঠে শেষে একেবারে গমগম করতে থাকে--- শুনলাম একটি স্প্যানিশ কবিতার অংশ ,মানে "বাজরার রুটি'--সেটাও একটা ইমপ্যাক্ট তৈরী করে। এই শব্দ আরো একাধিকবার ব্যবহার করা হয়, কোন কোন সীনে মনে করতে পারছি না--এবং প্রত্যেকবারই নিজের বরাদ্দ কাজ করে ফিরে আসে।

    তাই বলে শেষ দৃশ্যে ডাক্তার-নার্সের অনুপস্থিতি মেনে নেওয়া গেল না। এতে করে ব্লঁশের ক্লোজিং ডায়ালগ্‌- হু এভার ইউ আর, আই হ্যাভ অলওয়েজ ডিপেণ্ডেড অন দ্য কাইণ্ডনেস অব দ্য স্ট্রেঞ্জারস্‌- এই সংলাপটির প্রতি অবিচার করা হয়। ব্লঁশের এই সিগনেচার-সংলাপের অন্তর্লীন বিষাদময় সৌন্দর্যকে ফুটিয়ে তুলতে গেলে অন্ততপক্ষে ঐ দয়ালু ডাক্তারের উপস্থিতি জরুরী ছিল মনে হয়।
  • I | 14.96.186.144 | ০৪ জুলাই ২০১১ ০১:২৮478862
  • দু:খিত। রাত একটার পোস্টে "স্বর্গের ফুল'-কে পড়তে হবে "শ্মশানের ফুল'। ঘুম পাচ্ছে বোঝা গেল।
  • I | 14.99.230.127 | ০৫ জুলাই ২০১১ ২২:৪৭478863
  • স্ট্রেঞ্জারস্‌। ব্লঁশ কবে থেকে কত অগণিত স্ট্রেঞ্জারের দিকে বাড়িয়ে রেখেছিল তার হাত, সুখ পাবে বলে। আর আমরা , পুরুষেরা এলাম, ওর হাত নিজের হাতে নিলাম; ওকে নিয়ে নাচলাম একসঙ্গে। বিছানায় গেলাম। পরদিন সকালে মায়ের কথা মনে পড়ে গেল আমাদের, বৌয়ের কথা, সংসারের কথা। ওকে ফেলে এলাম আমরা, ওর নগ্ন নির্জন হাত, ঐ হাতে আমাদের লালা'র দাগ লেগে রইল, লেগেই রইল। সময়, সেও তো এক স্ট্রেঞ্জার ব্লঁশের কাছে, সময়কে সে চিনতে পারে না, সেই সময়-সেও এসে চেটে গেল ঐ হাত। একে একে চামড়া খসে গেল, মাংস গলে গেল, পড়ে রইল হাড়। কঙ্কাল হাত। কঙ্কাল আঙুল।

    অন্ধ ফুলওয়ালী, তাকেও তো চেনে না ব্লঁশ, সে-ও এক স্ট্রেঞ্জার তার কাছে, ইচ্ছের অলিগলি দিয়ে সে বিক্কিরি করে যায় শ্মশানের ফুল। ব্লঁশের শরীরময় শীতকাঁটা ধরিয়ে দিয়ে।

    অপরিচিত মানুষজন, তোমাদেরি ওপরে চিরটাকাল ভরসা করে এসেছি আমি। তোমরা, হে প্রিয় মানুষেরা, চিরটা কাল কী দু:খই না দিলে !
  • I | 14.99.230.127 | ০৫ জুলাই ২০১১ ২৩:২৭478864
  • আলোকে পছন্দ করত না ব্লঁশ। আলো তার মুখের রেখা'র ত্রিকোণমিতি মেলে ধরে, আলো তার অতীতের অন্ধকারে অনধিকারী ঢুকে পড়ে। অথচ একদিন কী আলোই না এসেছিল ঘরে। সেই যে ভাবুক ছেলেটির সঙ্গে বিয়ে হল, কবিস্বভাব ছেলেটির সঙ্গে।

    "তারপর একদিন ওকে আমি বিছানায় দেখতে পেলাম অন্য পুরুষের সঙ্গে,ওরই বন্ধু এক বয়স্ক পুরুষের সঙ্গে। যেন কিছুই জানি না, এমনি ভাব করে এরপর আমরা ক্যাসিনোয় গেলাম। নাচ শুরু হল, ভারসুভিয়ানা পোলকা'র তালে তালে নাচ; আর নাচতে নাচতে , ওকে, আমার বরকে বললাম-আমি তোমাকে ঘেন্না করি। সে অমনি , ছুটে বেরিয়ে গেল ক্যাসিনো থেকে, আর সবাই শুনল -একটা গুলি'র শব্দ। ও নিজের মাথায় গুলি করে মরে গেছে। সেই পোলকা- সে কিন্তু বাজতেই থাকলো।'

    সেঁজুতিকে আমার অনবদ্য লেগেছে এই জায়গায়।
  • I | 14.99.230.127 | ০৫ জুলাই ২০১১ ২৩:৩৮478865
  • অনিন্দ্যও বেশ ঝরঝরে অভিনয় করলেন । নাটকের প্রয়োজনে পুরুষ- শরীরের ঐ রকম ব্যবহার আমি বাংলা নাটকে আর দেখি নি (তিস্তা-পাড়ের বাঘারুকে বাদ দিলে), অবশ্য ক'টা নাটকই বা আমি আর দেখেছি ! স্টেজের ওপরে পৌলমী-র সেই চাপা ম্যাঁও ম্যাঁও বলতে বলতে হামাগুড়ি দিয়ে স্ট্যানলী-র দিকে এগিয়ে আসার যৌনতা মনে থাকবে।
    মঞ্চসজ্জা বেশ নিরাভরণ ও ছিমছাম । ভালো লাগে। আলো, যাকে বলে খবরের কাগজের ভাষায় "যথাযথ'। আমরা যা বুঝি আর কী !
  • I | 14.99.230.127 | ০৬ জুলাই ২০১১ ০০:১২478866
  • ব্লঁশ যেন এক দিকভ্রান্ত দিগবধূ, চুনের পাহাড়ের ওপর দিয়ে, বালিয়াড়ি আর সমুদ্দুরের লোনা জলের ওপর দিয়ে খালি -পায়ে ছুটে চলেছে সে; হাওয়ায় উড়ছে ওর চুল, ওর সস্তা সুগন্ধ--আর পিছনে পিছনে ডাইনী-র মত সাঁ সাঁ ছুটে আসছে সময়, ছুটে আসছে মৃত্যু , তার কালো ঝাঁটায় চড়ে। রাতের আকাশে রূপোলী চাঁদ, জ্যোৎস্নায় ভাসতে ভাসতে চলেছে চাঁদ। দাঁড়াও হে মৃত্যু, একটু দাঁড়াও, জানি সবই তো নেবে তুমি, সব সম্মান-প্রতিপত্তি-ডলার-সুগন্ধ, টান টান চামড়া,চোখের ভ্রূভঙ্গি-নিও, তাই নিও, শুধু কয়েকটা মিনিট দাঁড়াও, মিচ আসবে, তার সঙ্গে চাঁদ পাড়তে যাবে ব্লঁশ, যদিও সে কাগজের চাঁদ, ঝুলছে কার্ডবোর্ডের আকাশে।

    আর ছুটে আসছে যুদ্ধ। দাঙ্গা। মহামারী। "আমার তখন অল্প বয়স, আমাদের বাড়ির কাছেই সেনা ছাউনি ছিল; সৈনিকরা আমাদের বাড়িতে আসত, খুব ফূর্তি করত; আমার মা কিছু দেখতে পেত না।'

    যেন রীনা ব্রাউন। যুদ্ধ তাকে খুন করে রেখে যায়, প্রতি রাতে নতুন নতুন সৈনিকের বিছানায় উঠত সে , যুদ্ধ তার ঈশ্বরকে খুন করে রেখে গেছে কাল। আর কোনো মুখর পাখি নেই তার, নেই, কোনো গীতাঞ্জলী। ঈশ্বর নেই, ঈশ্বরকে কাল রাতে আমি নিজের হাতে খুন করে এসেছি-ফাদার কৃষ্ণেন্দুকে বলে সে।

    রীনা জেনে যায় নি। আমরা , ঋত্বিকের দর্শকরা জানলাম ঈশ্বর গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে পড়তে গিয়েও পারে না, সেই দৃশ্যে স্পয়েলস্পোর্টের মত উঁকি মারে হরপ্রসাদ। হেরো মানুষ। সে জানে , "নচিকেতা ওয়াজ এ ফুল', জানে " অমৃতের পুত্রেরা দাঙ্গা দ্যাখে নাই, মৃত্যু দেখে নাই, দেশভাগ- যুদ্ধ দ্যাখে নাই'।
  • ranjan roy | 122.168.222.196 | ০৬ জুলাই ২০১১ ০০:১৪478867
  • আমি ডাক্তারের অমন মায়াবী লেখার মধ্যে নাক গলাতে সাহস করিনে। খালি একটা কথা বলবো।
    পুরুষগন্ধ! হ্যাঁ, মঞ্চ মাঝে মাঝে ম'ম করে যখন বিশেষ করে স্ট্যানলি আসে। অনিন্দ্য উপস্থাপন করেছেন এক ব্রুট, প্রভূত্বব্যঞ্জক পেশিবহুল আদিম পুরুষকে ।
    যে শারীরিক ক্ষিপ্রতায় চিতাবাঘের শিকার ধরার মত স্ট্যানলি ডিভান ডিঙিয়ে
    ব্লঁশকে কব্জা করে তা বহুদিন মনে থাকবে।
  • I | 14.99.230.127 | ০৬ জুলাই ২০১১ ০০:২৭478868
  • সেই রাত-নরকের সেই রাতে- কে তবে ধর্ষণ করে কাকে? স্ট্যানলী ধর্ষণ করে ব্লঁশকে। নতুন আমেরিকা ধর্ষণ করে পুরনো আমেরিকাকে। বাস্তব, আছোলা কড়া পুরুষ-বাস্তব ধর্ষণ করে আমাদের স্বপ্ন-সাধ-আশা-আকাঙ্খাকে। আমাদের যৌথ খামার ভেঙ্গে পড়ে, আমাদের সোভিয়েত। আমার সোনার বাংলা। পুঁজি এসে অভিরামের হাতের কলম কেড়ে নিয়ে তাকে বাস-ড্রাইভারের পোষাক পরায়। সীতাকে ঢোকায় বেশ্যাপল্লীতে। মজা, কইলকাতার বীভৎস মজা। যুদ্ধ। দাঙ্গা। দেশভাগ। মহামারী। সেই পোলকা বেজেই চলে।

    ভেঁপু বাজে। নরকের ভেঁপু। বড়দিনের রাত। এই ঘরে, মা, নবজাতক আসে? নির্ঘুম রাতে গৌতম হালদারের গলায় বের্টোল্ড ব্রেখট গেয়ে ওঠেন-যারা মিথ্যে বানায় আর স্বপ্ন বানায় আর স্বপ্ন বিক্রি করে ডলার কামায়, তার কোথায় থাকে? হলিউড হলিউড এই নরকে।

    আমিও তো তাই কত মিথ্যে বানাই, রোজ মাথা করে হেঁট আর ভরাতে এ পেট---বেচারা শিল্পকার কোথায় থাকে?

    নরকের পথঘাট দেখে দিল খুশ !! হাসছে সবাই, কত রঙীন মানুষ !!!!!
  • nk | 151.141.84.194 | ০৬ জুলাই ২০১১ ০০:৩০478870
  • উফ্‌ফ্‌ফ, এই বড়াইকে মাঝে মাঝেই জোরজার করে করে এইসব নাটক সিনেমা দেখানো হোক আর আবশ্যিকভাবে রিভিউ লেখানো হোক! মানুষে কীভাবে এরকম পাগলারকম লেখে! একেবারে উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে "আমায় ডুবাইলি রে আমায় ভাসাইলি রে অকুল দরিয়ার বুঝি কুল নাই রে", করে দিচ্ছে!

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে প্রতিক্রিয়া দিন