এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • কলম্বাসের লগবুক

    saikat
    বইপত্তর | ১৫ জুন ২০১১ | ৬৪৮১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • saikat | 202.54.74.119 | ১৫ জুন ২০১১ ১৬:৪৪479714
  • গল্পটা পুরোন। ইতিহাসেরই অন্তর্গত। ১৪৯২ থেকে ১৫০২ অবধি, New World-এর আবিষ্কার ও দখলদারি কায়েম রখার জন্য অ্যাডমিরাল ক্রিস্টোফার কলম্বাসের
    চারটি যাত্রা। কলোনী বানানোর শুরু। ক্ষতময় ইতিহাসের আর এক দিক।

    একটা বই পড়ছিলাম, Four Voyages। কলম্বাসের ঐ চারটি যাত্রা নিয়ে। বইটা মূলত কিছু লেখার সংকলন: কলম্বাস ও আরো কতিপয় ব্যক্তির চিঠি,
    কলম্বাসকে নিয়ে সমসাময়িক এক ঐতিহাসিকের লেখা, কলম্বাসের ছেলে হার্নান্ডো কোলোনের লেখা কলম্বাসের জীবনী এবং প্রথম যাত্রার সময়ে লেখা কলম্বাসের লগবুক।

    কিছুটা আঁখো দেখা হাল। কিছুটা শোনা কথা। কিছুটা গল্প। সেই সময়ের যখন ইউরোপের সাথে দেখা হছে নেটিভদের।
  • achintyarup | 121.241.214.38 | ১৫ জুন ২০১১ ২৩:২৮479725
  • তারপর?
  • M | 59.93.198.85 | ১৭ জুন ২০১১ ০৮:২৬479736
  • ,
  • Lama | 203.132.214.11 | ১৭ জুন ২০১১ ১৩:৪৩479747
  • আমার কিছু কিছু অভিজ্ঞতা কলম্বাসের অনুরূপ। এই তো সেদিন নীলমহল বলে একটা বিয়েবাড়ি যাবো বলে বেরিয়ে নীলকমল বলে অন্য একটা বিয়েবাড়ি গিয়ে পৌঁছলাম। আর ভাবতে শুরু করলাম ওটাই নীলমহল। তারপর দেখি পাত্রপাত্রী কাউকেই চিনতে পারছি না। তখন লুকিয়ে কেটে পড়লাম
  • saikat | 202.54.74.119 | ২৪ জুন ২০১১ ১৮:৫৯479758
  • আবিষ্কার/পুনরাবিষ্কার
    ----------------------------

    কলম্বাসের আবিষ্কারের পঞ্চাশ বছরের বেশী সময় পরে, ১৫৪৭ সালে প্রকাশিত হয় স্পেনীয় ঐতিহাসিক ওভিদিয়ো-র সুবিশাল ইতিহাসগ্রন্থ Historia general y natural de las Indias (General and natural history of the Indies)। ষোড়শ শতকে পরিপ্রেক্ষিতে কলম্বাসের যাত্রার এবং তৎপরবর্তী সময়ের "প্রামাণ্য" ও "সরকারি" ইতিহাস। গ্রন্থটিতে ওভিদিয়োর একটি বক্তব্য ছিল, যে ভূখন্ডটি কলম্বাস আবিষ্কার করেন, তার অস্তিত্ব অনেক আগে থেকেই জানা ছিল, সঠিক অবস্থান এবং সামুদ্রিক পথটুকুসুদ্ধ যা মানুষ ভুলে গিয়েছিল ! কসমোগ্রাফি নিয়ে জ্ঞান থাকার সুবাদে কলম্বাস ঐ জায়গাটিকে "নতুন" করে আবিষ্কার করেন। শুধু তাই নয়। প্লিনি, সোলিনাস, ইসিডোর প্রভৃতি প্রাচীন লেখকদের লেখা ব্যবহার করে এবং স্পেনীয় রাজবংশের বংশচরিতের ওপর ভিত্তি করে ওভিয়েদো প্রমাণ করেন ঐ সব লেখকের লেখায় বর্ণিত Hesperides দ্বীপটি আর কিছুই নয়, কলম্বাস আবিষ্কৃত ইন্ডিজ যার ওপর বহু প্রাচীনকাল থেকেই স্পেনীয় রাজবংশের দখলি স্বীকৃত এবং এটা পরম সৌভাগ্যের যে রাজা ফার্দিনান্দ এবং রাণী ইসাবেলার আমলে কলম্বাস ঐ ভূখন্ডের পুনরাবিষ্কার করেন যার ওপর সমসাময়িক সম্রাট চার্লস V-এর প্রতিপত্তি আরও বিস্তৃত হয়েছে।
    (প্রমাণ করে দেওয়া গেল, ঐ সকল জমি-জায়গা আদতে স্পেন-এরই! )

    ওভিদিয়োর যুক্তিগুলো মজাদার ! কলম্বাসের বীরত্ব স্বীকার করে নিয়েও এটা বলা যে কলম্বাস আবিষ্কার করেননি "পুনরাবিষ্কার' করছেন, এই মতের সাথে, পরবর্তীকালে কলোনিকরণের ক্রিটিক হিসেবে যা বলা হয়েছিল যে এমন এক ভূখন্ড যেখানে মানুষ তার সমাজ-সভ্যতার বিশেষ এক রূপ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বাস করছে তাকে কীভাবে "আবিষ্কার" করা যায়, সেই মতের যেন মিল আছে !

    ওভিদিও আর একটা "গল্পকথার" উল্লেখ করেন। স্পেন থেকে ইংল্যান্ডগামী এক মালবাহী জাহাজ মাঝসমুদ্রে প্রবল হাওয়া ও ঝড়ের মধ্যে পড়ে পশ্চিমদিকে সরতে সরতে ইন্ডিজের কোন এক দ্বীপে গিয়ে পৌছয় এবং সেখানে উলঙ্গ মানুষজনের সাথে তাদের দেখা হয়। যথেষ্ট পরিমানে খাবার থাকার জন্য তারা ঐ দ্বীপে কিছুদিন থাকতে পারে এবং আবহাওয়া ঠিক হলে ঐ জাহাজের চালক ও আরও তিন চারজন নাবিক পর্তুগালে পৌছয়। এরকম বলা হত যে ঐ চালক কলম্বাসের বিশেষ বন্ধু ছিল এবং কলম্বাস তাকে নিজের বাড়ীতে রেখে চিকিৎসা করান। কিন্তু অল্প কিছুদিনের মধ্যে লোকটি মারা গেলেও, মারা যাওয়ার আগে ঐ দ্বীপের অবস্থানের একটি ম্যাপ কলম্বাসকে তৈরী করে দিয়ে যান। ফলে বন্ধুটি মারা যাওয়ার পরে ঐ দ্বীপের সম্বন্ধে জ্ঞাতব্য বিষয় একমাত্র কলম্বাসই জানতেন !

    ওভিদিয়োর বক্তব্য, আদতে এই ঘটনাটি সত্যিই ঘটেছিল কিনা জানা যায় না, কিন্তু এরকম একটি গল্প সমকালে বিশেষ প্রচলিত ছিল।
  • i | 137.157.8.253 | ২৯ আগস্ট ২০১১ ১০:০৪479769
  • বন্ধ হল কেন?
  • saikat | 202.54.74.119 | ২৯ আগস্ট ২০১১ ১২:৪৭479780
  • ভুলেই যাই। অচিন্ত্যবাবুর ইতিহাসের গপ্প পড়লে মনে পড়ে .....
  • saikat | 202.54.74.119 | ২৯ আগস্ট ২০১১ ১৩:২১479791
  • প্রথম যাত্রার লগবুক
    ========================

    প্রথম যাত্রার লগবুকটা, কলম্বাসের হাতে লেখা অরিজিনাল লগবুকটা আর পাওয়া যায় না। বলা হয়, ঐ যাত্রা থেকে ফিরে এসে কলম্বাস তাঁর ঐ লগবুক স্পেনের রাজা-রাণীর কাছে অর্পণ করেন। রাণী ইসাবেলার নির্দেশে ঐ লগবুকের একটি কপি করা হয় যাকে Barcelona Copy বলা হয়েছে। এই কপিটি কলম্বাসকে দেওয়া হয় যা উত্তরাধিকারসূত্রে কলম্বাসের ছেলে হার্নান্ডোর কাছে পৌছয়। এর ওপর ভিত্তি করে হার্নান্ডো, কলম্বাসের জীবনী রচনা করেন।

    কিন্তু কলম্বাসের লগবুকটি যা তিনি স্পেনের রাজা-রাণীকে দিয়েছিলেন তার আর সন্ধান মেলে না। কোন এক সময় কোনভাবে হারিয়ে যায়। উপরন্তু ঐ Barcelona Copy-টিও ১৫৫৪-র পরবর্তী কোন সময়ে হারিয়ে যায় !

    তাহলে কলম্বাসের লগবুক বলে যা প্রচলিত, অতি আধুনিক কালেও যেটি বিভিন্ন বইএর অন্তর্ভুক্ত , সেটির উৎস কী?

    ১৬ শতকের বিতর্কিত স্পেনীয় ব্যক্তিত্ব, ঐতিহাসিক, খ্রীস্টান পাদ্রী ও সমাজ সংস্কারক বার্থোলোমিউ দে লা কাসা (Bartolomé de las Casas) ১৫৩০ সাল নাগাদ ঐ Barcelona Copy থেকে লগবুকটির একটি সংকলন করেন। সেই সময় থেকে এখন পর্যন্ত ঐ সংকলনটিই (digest) কলম্বাসের প্রথম যাত্রার লগবুকের একমাত্র নিদর্শন। অর্থাৎ লগবুক বলে যা থাকছে, তা firsthand কিংবা secondhand-ও নয়, thirdhand বলা যেতে পারে !

    (কলম্বাসের লগবুক -- barcelona copy-- লা কাসার digest-- ইংরেজী অনুবাদ -- penguin classics-এর বই -- ঐ বই নিয়ে এই টই : ইতিহাস ক্রমশ: গল্প হয়ে ওঠে)
  • i | 124.171.30.12 | ২৯ আগস্ট ২০১১ ১৭:১২479794
  • লিখুন। আর থামবেন না।
  • kd | 59.93.206.8 | ২৯ আগস্ট ২০১১ ১৭:৫৮479715
  • ইংরিজিতে 'Discovery' আর 'Invention' দু'টি শব্দ আছে। বাংলায় 'আবিষ্কার' কোনটির প্রতিশব্দ? অন্যটির প্রতিশব্দ কী?
  • saikat | 202.54.74.119 | ২৯ আগস্ট ২০১১ ১৮:৪৬479716
  • বার্থোলোমিউ দে লা কাসা
    ==========================

    দু' চারটে কথা।

    বিংশ শতকের দৃষ্টিভঙ্গী দিয়ে লা কাসার কাজকর্ম ও চিন্তাভাবনাকে বিচার করে তাঁকে গণ্য করা হয়েছে লিবারেশন থিওলজি এবং মানবাধিকার সংক্রান্ত ধারণার অগ্রপথিক হিসেবে।

    লা কাসা-র বাবা, কলম্বাসের প্রথম যাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন। নিজে ১৫০২ সালে New World-এর উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। খুব কাছ থেকে লা কাসা প্রত্যক্ষ করেন নেটিভদের ওপর নেমে আসা অত্যাচার, লুন্ঠন আর দাসত্ব।

    রচনা করেন A Short Account of the Destruction of Indies। বর্ণনা দেন কনকিস্তাদোরদের করা অত্যাচারের। ঐ বইতে লেখেন অধুনাতন কিউবার তৎকালীন এক গোষ্ঠী প্রধান Hatuey-লে পুড়িয়ে মারার ঘটনার। স্পেনীয় গভর্নর ডিয়েগো ভেলাস্কোয়েজের নির্দেশে Hatuey-কে পুড়িয়ে মারার আগে তাঁকে সুযোগ দেওয়া হয় খ্রীস্টান হওয়ার যাতে মৃত্যুর পরে তাঁর আত্মার স্বর্গপ্রাপ্তি ঘটে। মৃত্যদন্ডপ্রাপ্ত Hatuey জানতে চান, স্বর্গেও সাদা মানুষরা থাকে কিনা। স্বর্গেও সাদা মানুষরা থাকে জানতে পেরে Hatuey বলে যে সেক্ষেত্রে সে খ্রীস্টান হতে চায় না, কারণ এমন কোন জায়্‌গায় সে যেতে চায় না, যেখানে মানুষেরা একই রকম নৃশংস।

    কলোনীর মানুষদের নিয়ে লেখা একাধিক বইএর সুবাদে এবং তাদের পক্ষ নিয়ে কথা বলার জন্য সমসময়ে এবং পরবর্তীকালেও লা কাসা বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠেন। ইংরেজ সাম্রাজ্যের উথ্‌থানের সময়ে লা কাসার লেখাকে ইংরেজরা ব্যবহার করে স্পেনীয় সাম্রাজ্যের সমালোচনার জন্য। স্পেনীয় জাতীয়তাবাদীরা তাঁর ওপর পাগল, বিধর্মী তকমা চাপান। বলা হয় তাঁর লেখা অতিকথন আর অতিরঞ্জন দোষে দুষ্ট। যা লিখেছেন তার অনেক কিছুই ঘটেনি। স্পেনীয় উপনিবেশবাদ ভালই ছিল, তার কোন খারাপ প্রভাব পড়েনি।
  • kiki | 59.93.241.191 | ২৯ আগস্ট ২০১১ ২১:৩০479717
  • সৈকত,
    খুব ভালো লাগছে। এ প্রসঙ্গে একটু বলি? আসলে কদিন আগে হরিপদ ঘোষালের বিশ্বসভ্যতার ধারা বলে একটা বই পড়ছিলাম।

    ঐতিহাসিকরা সারা বিশ্বের মানুষকে প্রধানত: কয়েকটি ভাগে ভাগ করেছেন।

    ১। ইউরোপ,এবং ভুমধ্যসাগরের চারিপাশ আর পশ্চিম এশিয়া থেকে উদ্ভব জাতিগোষ্ঠী রা ককেশিয়ান।

    ২।পুর্ব এশিয়া ও আমেরিকার জাতিরা মঙ্গোলিয়ান।

    ৩।আফ্রিকার-- নিগ্রো।

    ৪। অষ্ট্রেলিয়া আর নিউগিনির--অষ্ট্রেলয়েড।

    ৫।আরবের যাযাবর-- সেমিটিক।

    এ ছাড়া আরো ছোট ছোট বেশ কিছু জাতি আছে যারা এর অন্তর্গত নয়।
  • kiki | 59.93.241.191 | ২৯ আগস্ট ২০১১ ২১:৪৬479718
  • এখানে বলছে, নতুন প্রস্তর যুগের শেষভাগে মঙ্গোলিয়া থেকে একদল মানুষ বেরিং প্রনালীর কোন স্থলপথ ছিলো, যেটা এখন আর নেই,সেখান দিয়ে উত্তর আমেরিকায় আসে।

    আবার ভারতীয়রা দশহাজার কি তারো আগে এলুশিয়ান দ্বীপের পথে দলে দলে আমেরিকায় আসে।এবং বহু মিল থেকে এও মনে হয় যে মেক্সিকোর আদিম সভ্যতার উৎস ও ভারতবর্ষ ছিলো।

    কারন মেক্সিকো , পেরু এবং অনেক জায়গায়(জানতে চেয়ে লজ্জা দেবেন্না, এখানে লেখা নেই)খনন করে যেসব মুর্তি,মন্দির, মঠ ,প্রাসাদ ও বাড়ীর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে সেগুলো বানানোর পদ্ধতি ,শিল্পরীতি ভারতীয়দের মতন।এখানকার আদিম অধিবাসীরা গনেশ, ইন্দ্র,বরুন,শালগ্রাম শিলা ও মুর্তিপূজা করতো।
    (ডিডিদাদা ,কেমন গুলিয়ে যাচ্ছে,ভারতীয় সভ্যতাই তো বললো তিন , চার হাজার বছরের পুরোনো, নাকি সেটা ভারতে আর্য সভ্যতা?)মেক্সিকোতে নাকি চড়ক পূজার মতো কোনো পূজা হয়।এরাও ভারতীয়দের মত অনাবশ্যক জটিলতা ভালোবাসে(আমায় কিছু বলে লাভ নেই, আমি বলছি না, আমি তো টুকছি।বাবারে!)মায়া, আজটেকরা সাপের পূজা করতো।এমনকি মেক্সিকোতে পুরোহিত প্রথা(চীনাদের নাকি পুরোহিত বলে কিছু হতো না),শবদাহ প্রথা , সতী এসব ছিলো। ওরা হিন্দুদের মতো লগ্ন মেনে বিয়ে করতো, এমনকি মেয়েরা সিঁদুর পর্যন্ত্য পরতো।তাছাড়া এখনো এদের মধ্যে জাতিভেদ প্রথা , পঞ্চায়েত প্রথা এখনো আছে, যা কিনা পুরাকাল থেকে চলে আসছে।
  • kiki | 59.93.241.191 | ২৯ আগস্ট ২০১১ ২১:৫৯479719
  • এখানে বলছে সেই প্রাচীন যুগের ভারতীয়রা পুব ,পশ্চিম দুদিকেই গেছিলো।পশ্চিমে পারস্যের দিকে আর পুবে মালয়, শ্যাম,বালি ও যবদ্বীপ(এটা কোন জায়গা?)থেকে ইন্দোনেশিয়া ও পলিনেশিয়া হয়ে মধ্য আমেরিকায় আসে।অর্থাৎ কিনা খ্রীষ্টের জন্মের অনেক শতাব্দী আগেই ভারতের আর্য আর মঙ্গলরা আমেরিকায় কলোনি করে,আর তারাই সেখানকার আদীম অধিবাসী।কলম্বাস আমেরিকার সেইআদিম অধিবাসীদের যে ইন্ডিয়ান বলেছিলেন তা আসলে ভুল ছিলো না সেই অর্থে।

    এই এশিয়ানরা আস্তে আস্তে আমেরিকার উত্তর থেকে দক্ষিনদিকে ছড়িয়ে পরে,তখন উত্তর আমেরিকায় দলে দলে বল্গা হরিন আর দক্ষিনে পালে পালে বাইসনরা রাজ করে বেড়াতো।আরো ছিলো বিরাট বিরাট সব জন্তু।
  • kiki | 59.93.241.191 | ২৯ আগস্ট ২০১১ ২২:৪১479720
  • এখানকার সভ্যতার চলাটা খুব ধীর ছিলো।এই আদিম অধিবাসীরা যাযাবর অবস্থা সবাই কাটিয়ে উঠতে পারেনি।তারা পাথরের ভোঁতা অস্ত্র ব্যবহার করতো।তবে তামা আর সোনার ব্যবহার জানতো ,কিন্তু লোহার ব্যবহার জানতো না।একহাজার খ্রীষ্টপুর্বাব্দে এখানে ইউরেশিয়া থেকে আলাদা এক সভ্যতার সৃষ্টি হয়।এখানে বীজবপন আর শস্যতোলার সময় নরবলি দেওয়া হত।আসলে পুরোহিতরা এতটা ক্ষমতালোভী ছিলো যে তারা শাসন ,যূদ্ধ , আইন সব নিজেদের হাতে রাখতো এবং যুগে যুগে যা হয়, সাধারন মানুষকে ভয় দেখিয়ে ক্ষমতা হাতে রাখা, সেটাই হচ্ছিলো আদিম প্রথায়।মজা হলো অন্য সব সভ্যতায় প্রসেসটা বদলে যেতে লাগলো এবং নরবলির প্রচলন কমে যেতে লাগলো, কিন্তু এখানে সেটা বেড়ে যেতে লাগলো।মায়ারা লিখতে শিখেছিলো। এমনকি পুরোহিতরা জটিল পঞ্জিকা তৈরী করেছিলো। তারা খুব সুন্দর মাটির পাত্র তৈরী করতে শিখলো আর বস্ত্র তৈরী এবং তা রঙীন করা।লেখার জন্য চামড়ার ব্যবহার হতো, কাগজ নয়।
  • hu | 12.34.246.72 | ২৯ আগস্ট ২০১১ ২২:৫৬479721
  • সব প্রাচীন প্যাগান সভ্যতাতেই তো প্রাকৃতিক শক্তির পুজো হত, পুরোহিততন্ত্রের রমরমা ছিল। তারা কি সবাই ভারত থেকে এসেছে নাকি? বাড়ি বানানোর পদ্ধতি ভারতীয়দের মত - এটাতেও কেমন সন্দেহ হয়। পেরুর আন্দিজ ভূমিকম্পপ্রবণ। সেখানে বাড়ি, মন্দির তৈরী হত পাথরের গায়ে পাথর সেট করে। চুন-সুরকির ব্যবহার ছিল না। এমন ভাবে খাঁজে খাঁজে পাথর বসানো হত যাতে ভূমিকম্প হলে পাথরের দেওয়াল নড়াচড়া করার জায়গা পাবে, তারপর আবার সব শান্ত হয়ে খাঁজে খাঁজে মিলে যাবে। এরকম বাড়ি প্রাচীন ভারতে তৈরী হত কি? বানানোর দরকারই বা কি ছিল?
  • kiki | 59.93.241.191 | ২৯ আগস্ট ২০১১ ২২:৫৯479722
  • এতক্ষন নিজের মতো করে ছোট করে দিলাম, লাষ্ট পোষ্ট টা লেখকের ভাষায় দিচ্ছি:

    ইউরেশিয়ার বিভিন্ন জাতির সভ্যতা পরস্পরের উপর প্রভাব বিস্তার করে ক্রমোন্নতির সোপানে উঠেছে কিন্তু কূপমন্ডূকতা ও সংকীর্নতার জন্য আমেরিক সভ্যতা শৈশবকাল অতিক্রম করতে সমর্থ হয়নি।মেক্সিকোর লোক পেরুর কথা জানতোনা, পেরুরা মেক্সিকোর সংবাদ রাখতো না।তারা স্বদেশের সংকীর্ন ভৌগোলিক সীমার মধ্যে আবদ্ধ ছিল।বুদ্ধিমান প্রতিবেশী উন্নতির উদ্বোধক।চিন্তা ও ভাবের আদান-প্রদান ও সমাবেশ ব্যক্তি বা জাতির শক্তি বৃদ্ধি করে।ঈর্ষাহীন প্রতিযোগিতা উৎকর্ষ ও উন্নতির পথ পরিস্কৃত করে।শতাব্দীর পর শতাব্দী আমেরিক জাতিসকল চিরাচরিত প্রথায় তাদের জীবনযাত্রা নির্বাহ করেছে,কোন উচ্চতর আদর্শ তাদের দৃষ্টি আকর্ষন করেনি,কোন নূতন ভাবের বিদ্যুৎ-রেখা তাদের অন্ধকার মনের উপর আলোকপাত করেনি।তাদের জীবন বদ্ধ জলাশয়ের মতো পূতিগন্ধময় হয়ে উঠলো--তারা যে তিমিরে সেই তিমিরেই থেকে গেল। কয়েক শতাব্দী পরে ইউরোপীয় জাতিদের সংস্পর্শে এসে তারা বৃহত্তর জগতের সন্ধান পেল বটে কিন্তু ধনলিপ্সু স্পেনীয়রা "সুবর্নের দেশে" এসে তাদের উপর যে অমানুষিক অত্যাচার করেছিল তাতে তাদের জীবন-প্রদীপটির ক্ষীন রশ্মি নির্বাপিত হয়ে গেলো।পরাধীনতার ঘন অন্ধকার তাদের জীবনের উপর যবনিকা টেনে দিল।
  • kiki | 59.93.241.191 | ২৯ আগস্ট ২০১১ ২৩:০৮479723
  • শুচিস্মিতা,
    আমি খুব ভালো জানিনা, তবে টোটো মিলবে এমন দাবী বোধায় নয়। রীতি গুলো মিলছে। আর এগুলো হিসটোরিয়ান --- এলিয়ট,স্মিথ,হিউয়েট এদের মতে।আমার মতে নয়।
  • kiki | 59.93.241.191 | ২৯ আগস্ট ২০১১ ২৩:১০479724
  • হ্যাঁ, অবশ্যই হরিপদ বাবুর ও তাই মত।
  • pi | 128.231.22.133 | ৩০ আগস্ট ২০১১ ০৬:১২479726
  • মাইগ্রেশন এশিয়া থেকে হয়েছিল বটে, কিন্তু ভারত থেকে তো নয় ! সাইবেরিয়া।

    এই DNA ডাটা তো বেশ স্বীকৃত।
  • kiki | 59.93.242.148 | ৩০ আগস্ট ২০১১ ১০:০১479727
  • টইটা মনে হয় ঘেঁটে ফেল্লাম।

    সৈকত,
    স্যরি।

    পাই,
    আমার স্বল্প জানা আর আমার মনে হওয়া গুলো থেকে তোমার উত্তর দেবার চেষ্টা করছি।

    একচুয়ালী, ইতিহাস ব্যপারটা বোধহয় পুরো পুরি বিশ্লেষন নির্ভর।সেভাবে সলিড কোনো প্রমান হয় না। পন্ডিত ইতিহাসবিদরা একেকটা তথ্যের উপর নির্ভর করে তত্ব দেন।কিছুটা নিছের পছন্দের দিকেও ঝোল টানা থাকে।তবে যুক্তি না থাকলে সেগুলো টেঁকে না।

    আমাদের আদিম সভ্যতার পর যে প্রাচীন সভ্যতা গুলো দেখা যায়,সেগুলো হলো:

    ১।সুমেরিয়া,ব্যবিলোনিয়া,আসিরীয়া(৪৫০০--৩৩০ খ্রী পূ)

    ২।সিন্ধু সভ্যতা(খ্রী: পূ: ৩২০০)

    ৩।মিশর (খ্রী: পূ: সাতহাজার থেকে পাচ্ছে)

    ৪।চীন:(এটাও অনেক প্রাচীন সভ্যতা, কিন্তু প্রাচীন ইতিহাস সেভাবে পাওয়া যায় নি,২৭০০ খ্রী: পূ: থেকে পাওয়া যায়)

    এই সভ্যতাগুলোর প্রত্যেকের ই নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট আছে।

    তো মোটামুটি এদের থেকেই ছড়িয়েছে অন্যান্য সভ্যতা গুলো, এভাবেই ইনি ধরে নিচ্ছেন মনে হয়।

    আর আর্য্য সভ্যতা মোষ্ট প্রবাবলি মধ্য এশিয়া থেকে চারিদিকে ছড়িয়ে পরে,এদের মধ্যে যারা ভারতে এসেছিলো এবং সেখানকার প্রাচীন সভ্যতার সাথে মিশে যায়,তারা যখন মাইগ্রেট করে বোধহয় এই মিক্সড সভ্যতা সংস্কৃতি গুলো তারা সঙ্গে করে নিয়ে যায়।

    এ নিয়ে একটা ইতিহাসের টই হলে ভালো হয়, যাঁরা এই বিষয় গুলোর গভীরে যান, লিখলে ভালো হয়।

    যেমন কোরান(?)বা মুসলিমদের কি আরো আদি কোনো ধর্মগ্রন্থ আছে, আমি জানিনা, তো কোনো একটা বই পড়ছিলাম, সেখান থেকে কিছু কোট করা ছিলো। আবার খ্রীষ্টানদের পুরানো ধর্মগ্রন্থ থেকে কোট করা ব্যান্ডেল চার্চের লেখার সাথে তার বেশ মিল আছে।
    মানে এই দুই ধর্ম বোধহয় একই জায়গা থেকে ভাগ হয়ে যাওয়া দুই দল।
  • saikat | 202.54.74.119 | ৩০ আগস্ট ২০১১ ১৭:১১479728
  • মানুষখেকো মানুষ
    ==============

    ফরাসী নৃতাঙ্কিÄক ক্লদ লেভি স্ট্রাউসের Tristes Tropiques বইয়ের শেষের দিকে পড়েছিলাম, মানুষের সভ্যতায় এমন কোন সময়ই আসেনি যখন অন্য কোন প্রাণীর বদলে মানুষ মানুষের মাংস খেয়েই শরীর ধারণ করেছে। ধর্মীয় রিচুয়ালের অঙ্গ হিসেবে অথবা বিশেষ পরিস্থিতিতে খাবার না পেয়ে মানুষ নরমাংস ভক্ষণ করেছে। কিন্তু সেই প্রাচীন সময় থেকেই, গ্রীক সভ্যতার সময় থেকেই মানুষখেকো মানুষের উল্লেখ লেখাপত্রে পাওয়া যায়। হেরোডোটাস ও প্লিনির লেখা এর উদাহরণ। ঐ সব মানুষদের বলা হয়েছে anthropophagite। আধুনিক কালে, anthropophagite শব্দের বদলে কিন্তু আমরা Cannibal শব্দেই অভ্যস্ত।

    শব্দটির etymology মোটামুটি একরম -

    cannibal
    1550s, from Sp. canibal "a savage, cannibal," from Caniba, Christopher Columbus' rendition of the Caribs' name for themselves . The natives were believed to be anthropophagites.


    অর্থাৎ, ইংরেজী ভাষায় শব্দটির প্রচলন ঘটে ১৫৫০ সাল নাগাদ স্প্যানীশ canibal শব্দ থেকে। কিন্তু কলম্বাসের সাথে এই শব্দটির সম্পর্ক কী? তিনি কি ক্যানিবালদের দেখেছিলেন? নাকি তাদের সম্বন্ধে শুনেছিলেন? অথবা শোনা কথার ভিত্তিতে তিনি হিংস্র, রক্তপিপাসু নরখাদক নেটিভদের ধারণাটির নির্মাণ করেছিলেন? কী দেখেছিলেন বা শুনেছিলেন তার একমাত্র নথি প্রথম যাত্রার সময়ে তাঁর লেখা লগবুকের বিভিন্ন অংশ।

    ১১ই অক্টোবর ১৪৯২, মধ্যরাতের পরে অভিযাত্রী দল ডাঙার কাছে পৌছয় এবং সেই হিসেবে ১২ই অক্টোবর, ১৪৯২ তাঁরা স্থলভূমি স্পর্শ করেন। ডাঙায় নামার পর, সেখানকার অধিবাসীদের কলম্বাসের নরমসরমই মনে হয়েছিল। উলঙ্গ, মুখে বিভিন্ন রঙ মাখা ঐ সব মানুষদের সম্বন্ধে লেখেন They do not carry arms nor know what they are, because I showed them swords and they took them by the edge and ignorantly cut themselves. They have no iron: their spears are sticks without iron, and some of them have a fish's tooth at the end and others have other things. তাদের শরীরে আঘাতের চিহ্নর কারণ জানতে চাইলে তারা বলে যে কাছের এক দ্বীপের লোকেরা তাদের ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে এবং তাদের বাধা দিতে গিয়েই ঐ আঘাত তারা পেয়েছে।

    কিছুদিন পর, ৪ঠা নভেম্বর, আর এক দল অধিবাসীর সাথে সোনাদানা সংক্রান্ত কথাবার্তার ভিত্তিতে কলম্বাস লগবুকে লেখেন certain old men replied that in a place they called Bohio there was an infinite quantity of gold, and that they wore it at the neck and in the ears and on the arms and on the legs, and also pearls. He understood further that they said there were large ships and merchandise and all this was to the south-east. He understood also that a long distance from there, there were men with one eye and others with dog's snouts who ate men and that on taking a man they beheaded him and drank his blood and cut off his genital parts. গল্পটা জটিল হয়। কলম্বাস যে ভাবে লিখেছিলেন ঠিক সেই ভাবেই কি নেটিভরা বলেছিল? নাকি দীর্ঘদিন ধরে ইওরোপীয় মানুষের চিন্তাভাবনায় অসভ্য মানুষ নিয়ে যে ধারণা তারই ছাপ পরেছে এই লেখায়?

    আরও কিছুদিন পর, ২৩শে নভেম্বর, অন্য এক দ্বীপের দিকে যাত্রার সময়ে, কলম্বাসের জাহাজের ইন্ডিয়ানদের কথার ভিত্তিতে লেখা হয় and beyond this cape there was another land or cape which also extends to the east which the Indians he was carrying called Bohio, and which they said was very large and had upon it people who had an eye in the forehead and others which were called cannibals of whom they showed great fear. And as soon as they saw that they were taking that course, he says that they could not talk, as they said cannibals ate them and they are a people who are very well armed.

    তারিখটা খেয়াল রাখার মত। বলা যেতে পারে, এই ২৩শে নভেম্বর, ১৪৯২ তারিখেই ইওরোপীয় কোন ভাষায় cannibal শব্দটির (স্প্যানীশে canibales) অন্তর্ভুক্তি ঘটে!

    কিন্তু এও ঠিক কলম্বাস প্রথমেই মানুষ খাওয়ার ঘটনাটি মেনে নেন নি। যুক্তি হিসেবে লেখেন since they were armed they must be an intelligent people, and he believed that they had captured some of the other Indians and that because they did not return to their own country, they would say that they ate them. উপরন্তু "অপর" কেউ যে "আমার" কাছে ভয়ের এবং সেটাই কারণ মানুষখেকো মিথের জন্মের, হয়ত সেই যুক্তিতেই চলে এও লেখেন They believed the same in regard to the Christians and the Admiral, when some of them first saw them.

    (আরও আছে। পরে লিখব। দুটো কথা বলার -

    প্রথমত, কলম্বাসের স্প্যানীশে লেখা লগবুক, তার ওপর ভিত্তি করে লা কাসার স্প্যানীশে করা সংকলন, এবং তার ইংরেজী অনুবাদ - এত হাতফেরতা হয়েছে কলম্বাসের লগবুকের যে উদ্ধৃত অংশগুলোর বাংলা অনুবাদ করে জটিলতা না বাড়ানোই ভাল।

    দ্বিতীয়ত:, দেখা যাবে লগবুকের লেখায় কখনও প্রথম পুরুষ ব্যবহার হয়েছে কখনও বা তৃতীয় পুরুষ। এর দায়ও লা কাসার। উনি সংকলনটি করার সময়ে নিজের মত করে প্রথম ও তৃতীয় পুরুষে বাক্যগঠন করেন।)

  • de | 203.197.30.4 | ৩০ আগস্ট ২০১১ ১৭:৩৫479729
  • খুব ভালো লাগছে লেখাটা পড়তে!
  • dri | 117.194.231.181 | ৩১ আগস্ট ২০১১ ০০:০৬479730
  • কিন্তু কলম্বাস নিজে বোহিওতে গিয়ে কী দেখলেন? ঐ এক-চোখো মানুষ বা ক্যানিবালের দেখা পেলেন?
  • dri | 117.194.231.181 | ৩১ আগস্ট ২০১১ ০০:০৯479731
  • আরেকটা ব্যাপার আমার অনেক দিনের কিউরিওসিটি। কলোনিস্টরা যখন নতুন দেশে গিয়ে পৌঁছত, ওরা একে অন্যের ভাষা বুঝত কিকরে? ডাম্ব শ্যারাড খেলত বোধ হয়। কী বুঝতে কী বুঝেছিল কে জানে।
  • I | 14.96.184.36 | ৩১ আগস্ট ২০১১ ০০:১৪479732
  • রমরমিয়ে চলুক।
    দ্রি-কে ক।
    ইস্‌স, এর সাথে আমার ঐ অনুবাদটা এগিয়ে নিলে বেশ হত। second fiddle গোছের একটা-কিছু হত।
  • aka | 168.26.215.13 | ৩১ আগস্ট ২০১১ ০০:১৯479733
  • গ্র্যাণ্ড ক্যানিয়নের যুদ্ধটা এরকমই একটা মিসান্ডারস্ট্যান্ডিং থেকে না? দুর কিসুই মনে পড়ে না।
  • Sibu | 66.102.14.1 | ৩১ আগস্ট ২০১১ ০০:২৯479735
  • রিজয়েন্ডার। দাসেরা প্রানের দায়ে প্রভুর ভাষা শিখে নেয়। এই আমাদের মত।
  • dri | 117.194.231.181 | ৩১ আগস্ট ২০১১ ০০:৪০479737
  • সে তো ধীরে ধীরে। আমি বলছি একদম শুরুর দিকে। ধরুন ফাস্ট কয়েক মাস।

    সে তো নেটিভদের ভাষা শেখাতে রেন অ্যান্ড মার্টিনকে বইও লিখতে হয়েছিল।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন