এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ছেলে পুলে মানুষ করার প্রবলেম ও সল্যুশন

    kiki
    অন্যান্য | ৩০ জুলাই ২০১১ | ৩৮৯৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kiki | 59.93.204.179 | ৩০ জুলাই ২০১১ ২২:২২482481
  • যাঁরা মা ও বাবা, যারা হতে চলেছেন এবং যারা ভবিষ্যতে হবেন সবার জন্য এই টই।

    তো শুরু হয়ে যান।

    আর নিনাদিদি কোথায়? তুমি এখেনেই বরঞ্চ লিখে ফেলো , কি লিখবা কইছিলে যে।
  • Nina | 68.45.76.170 | ৩১ জুলাই ২০১১ ০০:০২482492
  • কিকিয়া :-))
    লিখুম লিখুম--কাল, রোব্বার (আম্রিকান) রাত্তির বেলায়---
  • Nina | 68.45.76.170 | ৩১ জুলাই ২০১১ ০৩:১৬482503
  • আমি খানিকটা শেষ থেকে শুরু র মতন করে আমাদের জীবনের অভিজ্ঞতা , এ দেশে ছেলে মেয়ে মানুষ করার বিষয় লিখব।
    প্রথমে আমি আমার একটা চিঠি এখানে দিচ্ছি যেটা আমি লিখেছিলাম বার্ড কলেজের অ্যাডি্‌মশন অফিসারকে , যখন আমার মেয়ে অ্যাপ্লাই করা শুরু করল বিভিন্ন কলেজে ----ও ওখানে আরলি অ্যাডমিসন পেয়েছিল---সেসব কথায় পরে আসছি---মেইন কথাগুলো আমি কাল লিখব , একহ্ন অশুধু আমার চিঠিটা কপি পেস্ট করছি যাতে তোমরা একটা আইডিয়া পাও---

  • Nina | 68.45.76.170 | ৩১ জুলাই ২০১১ ০৩:২৪482514
  • I begin with the erstwhile philosophy of our Indian family, but whether it is representative of any Indian family or a few or a handful, I do not know. The first born, especially if it is a son, has to be perfect. Immigrating to a new country puts fears into you. Survival for your family becomes primary. Many families equate the need to survive with the need to raise a successful, professional son. Outside the genetic desire to pass on genes, there is the desire to carry on the Name in the new country. The son will do this. Sometimes your fear will make many decisions for you, and I understand how some fears can be interpreted as foolish, but it is difficult to convince a parent of that idea.

    Baby of the family is always the baby, especially if it is a girl. We feel the need to protect her because she is so fragile, so precious. Our son, first born, has been our source of pride, and I understand that this is a parent imposed reality. Our daughter, three years younger than her brother, has been our source of joy. Pride does not override joy as superior, you can even argue the opposite. Please bear with me, I am trying to explain our perspective in sometimes confusing world.

    We were giving all the strict discipline guidelines to the man-child, with the almost militaristic wish that he becomes a perfectionist in everything, that he studied The Most.
    Baby girl was our adorable toy, “ she is so cute, She is spelling CAT the other way TAC- SO SWEET, she is only five” we would say. The boy would have to sit in a corner for an hour for the same mistake even at the age of four.

    I still remember that night so vividly. California Achievement Test results were out. Our son scored 99% in all categories and our daughter scored 85/90%. That night my daughter wrote a poem of which I only remember one line - “ My brother is the spotlight...I am the shadow” she was seven. We were taken aback.

    I will always feel guilty for not saving her first poetry, but after that incident, I began to notice this baby girl’s unique depth and clarity. From then on she never ceased to amaze me with her qualities. The poor kid has had to go to the same schools and get all the hand-me-down teachers from her overachieving brother. She enters a class and teacher’s first reaction to her always “ Oh you are .... ‘s sister, one of my best students ever.’ And so she faces expectation on top of expectation, something she resented. It made her curl down inside herself more and more.

    The bright side of that process was that her inside started getting stronger, richer, with incredible depth which she always tries to hide with utmost care. Her self comes out in her soul searching poems or her writings about any strong cause or beliefs.

    She has always shown her excellence in the things her brother never did ( so no comparison, please). She got two straight A’s at Brown University’s Pre-college credit courses in Journalism and Social Psychology. Her father is so proud of her Photography work for her high school course, since he is an amateur photographer and artist. She always did very well in Creative writing and Journalism courses, again, in all territories brother never attempted. I feel as proud of Anwesha as she’s come to terms with her strong convictions, passions and talents - established her own strong identity not anybody’s shadow. One thing we could never do with her, which we could with our son, was make her do activities that she did not want to do. Naturally, she grew up taking music,dance, painting, community work and writing, writing poems, writing for worthy causes ( member of Amnesty International) writing for school paper so on and so forth. This I think is another bright side to this complex story.

    To make a long story short she’s become a very interesting, creative person with a unique clarity and depth. I hope this does not sound arrogant, but I believe that I see her, I see who she is, and it makes this mother very proud.
  • aka | 24.42.203.194 | ৩১ জুলাই ২০১১ ০৮:৩৮482525
  • নীনাদির লেখার জন্য সাগ্রহে অপেক্ষা করছি।
  • Sumit | 68.192.169.219 | ৩১ জুলাই ২০১১ ১৬:২১482536
  • Alright Nina, this says it! Amazing but not unexpected.
  • Nina | 68.45.76.170 | ০১ আগস্ট ২০১১ ০৫:৩৬482547
  • একটি আজব বাবা মার গজব কহানী:
    (১)
    এখন কত রকমের স্কুল হয়েছে--কত রকমের ট্রেনিং ক্লাস । হবু বাবা মায়েদের জন্য শেখানো হয় ডেলিভারির সময় দুজনের কি করা উচিৎ । পরে ইনফ্যান্ট কেয়ারের ও ট্রেনিং দেওয়া হয় । খুবই ভাল ব্যবস্থা কারণ এখন তো আর সেই দিদা ঠাকুমা জেঠিমারা সঙ্গে থাকেন না , আপনি-কোপনির সংসার আর সেখানেও বাবা মা দুজনেই অফিসের বাবু, বাচ্চা যায় ডে-কেয়ারে । আমরা বই পড়ে বচ্চা মনুষ করি !
    তাই আমি বলি কি আজকের যুগে আমাদের দরকার পেরেন্টিং স্কুল। কি ভাবে বাচ্চা মনুষ করব ---কতটা শাসন, কতটা লালন কতটা তাড়ন ইত্যাদি প্রভৃতি।
    আমি তোমাদের একটা গল্প শোনাই----
    একটি ফ্যামিলি, বর বউ একটি ছেলে , একটি মেয়ে , যেমন হয় আর কি, তারা এল আমেরিকায় , আত্মীয়স্বজন ছেড়ে young couple দেশে বাবা মা মাসী পিসিদের ছত্রছায়া ছেড়ে ।
    প্রথম সন্তান ছেলে --একে প্রথম সন্তান তায় ছেলে , তাকে হতে হবে পারফেক্ট !!
    মানুষ কখনও পারফেক্ট হয়না--কে বলেছে ? কচি বাবা মা উঠে পড়ে লেগে যায় , হয় কিনা তারা দেখিয়ে দেবে । এটা mid 80's কথা, তখন এখানের জীবনে আজকের তুলনায় একটু কঠিন ছিল, ছিলনা সেল ফোন, ছিলনা ঘরে ঘরে ল্যাপটপ ইত্যাদি। মাইক্রো ওয়েভ ও অজস্র চ্যানেলের টি ভি ই তখন বিশাল সম্পদ।
    ছেলেটি খুব সেন্সিটিভ, বুদ্ধিমান। একটু চোখে পড়ার মতনই বুদ্ধি তার। ছোটবেলায় 30 পর্য্যন্ত গুনতে শেখানোর পর সে নিজেই 31 to 39 বলে, বলে thirtyten তারপর ঐ 40 50 60 so on and so forth শিখিয়েই কাজ শেষ। এইরকম আরও কিছু কিছু বুদ্ধির পরিচয়--তার বাবা মা আপ্লুত। সেই ছোট্ট থেকে গুছিয়ে কথা বলা নানা বিষয় --পার্টিতে গেলে কাকু মাসিরা ডেকে ডেকে তার কথা শোনে। দেশে দাদুর কোলে বড় হয়েছে চার বছর , আর এখানে আসার পরও তাঁরা প্রতি বছর গরমে আসেন তিনচার মাস থাকেন--দাদুর কাছে গীতার কর্মযোগ শুনে তার মুখস্ত , ছ বছর বয়সেই।
    যাইহোক, স্কুলে ধীরে ধীরে তার বেশ নাম হয়। টীচারদের প্রিয় , সব সাবজেক্টে ফুল মার্ক্স পায়। একটু চুপচাপ প্রকৃতির আর তার খুব ভাল লাগে ক্লাসের সেই মেয়েদের যাদের রদ্দুরের মতন চুল :-)
    মেয়ে, একে ছোট তায় মেয়ে, সে তার বাবা মায়ের খেলার পুতুল । সে আবার বাঁহাতে লেখে তাই 3, B সব উল্টো লেখে --আর বাবা মা হেসে কুল পায়না।
    আর ছেলে ---না না তাকে শক্ত হাতে মানুষ করছে তারা । সে যদি ক্লাস টু তে শক্ত বানান ভুল করে মার কাছে কানমলা, অঙ্ক ভুল করলে বাবার কাছে ধ্যাতানি--গর্দভ , মায়ের বুদ্ধি পেয়েছিস ( মা কিন্তু ইকনমিক্সের ছাত্রী) তা বেশ কঠোর হাতে মানুষ হচ্ছে সে। তার ফলও হাতে হাতে --ছোট্টবেলা থেকেই সে স্কুলের আই কিউ টেস্টে হাই স্কোর করে । ক্লাস ওয়ানে আবার টুতেও ডাবল প্রোমোশান পেয়েছিল , কিন্তু সে চায়নি নিতে। মাথায় একটু ছোট্টখাট্ট বয়সের তুলায় আর আমেরিকান বাচ্চারা তার বয়সি যারা, তারাই বড়সড় তার থেকে তাই একটু ভয় পায় , বাবা মাও জোর করেনি। শিখুক প্রতিটি স্টেপে , সব ক্লাসের পড়াশোনা।
  • Nina | 68.45.76.170 | ০১ আগস্ট ২০১১ ০৭:১০482558
  • (২)
    হাই অ্যাচিভার সেই ছেলে --সামারে নানান সায়েন্স সংক্রান্ত স্পেশাল প্রোগ্রামে সিলেক্টেড হয়ে নানান সামার ক্লাস করে। সে লেখেও দারুণ , ছবিও আঁকে --কিন্তু না না বাবা বলেছে ছেলেরা এইসব বাজে জিনিষে সময় নষ্ট করেনা । তাকে তো ডাক্তার হতে হবে, সায়েন্টিস্ট হতে হবে, একটা ভাল জীবন তৈরী করতে হবে ।
    একের পর এক ক্লাস সে টপাটপ পার করে--সবেতে এক নম্বরে থাকে , শুধু তাই নয় টীচাররা তার লেখা পেপার বোর্ডে টাঙায় অন্যদের দেখানো হয়--কাকে বলে ভাল লেখা।

    আর মেয়ে---সে নেচে গেয়ে হেসে খেলে বেড়ায় । ভাই 99% এ থাকে সে কোনওমতে 80/90% । অঙ্ক একেবারে ভালবাসেনা। সে ছবি আঁকে, কবিতা লেখে , প্রাইজ পায়। বাবার চোখের মণি সে।যা বলে বাবা তাতেই হ্যাঁ! ন বছর বয়সে বাবাকে ভজিয়ে সঙ্গে নিয়ে চুল পার্ম (কোঁকড়া) করিয়ে আসে, মাকে না বলে। মাকে বল্লে তো কিল খাবে।
    কিন্ডারগার্ডেনে ক্যাপ গাউন পড়ে গ্র্যাজুয়েট হয়ে তার কি আনন্দ --ব্যাস, আর সে পড়বেনা , এবার সে পেইন্টার হবে, ফোটোগ্রাফার হবে । অবশ্য এই আব্দারটি তার বাবাও মঞ্জুর করতে পারেনা--ব্যাজার মুখে তাকে স্কুলে যেতেই হয়। স্কুলে সে দুনিয়ার এক্সট্রা ক্যারিকুলার অ্যাক্টিভিটি নিয়ে সদাই ব্যাস্ত , পড়াশোনাটা কোনওমতে করে নেয়। এদিকে টীচাররা ওকে দেখলেই শুধু বলে ওর ভাইএর কথা, সেও যেন ভাইর মতন হয়--তাই সে দুচোক্ষে দেখতে পারেনা তাদের। উঁচু ক্লাসে গিয়ে সে সযত্নে এড়িয়ে চলে সেই সব ক্লাস যাতে তার ভাইএর নাম, লেখা বোর্ডে টাঙানো, উদ্ভট সব সাবজেক্ট নেয় সে--জান্রালিজম, ফোটোগ্রাফি, সোশাল সায়েন্স তো কি তো কি---তার তো খুব সুবিধে তাকে নিয়ে তো বাবা মার চিন্তা নেই, ও ঠিক একটা কিছু করে নেবে!
    দুজনেই ছবি আনকতে ভালবাসে, কবিতা ভালবাসে---মেয়ে খুব উৎসাহ পায় বাবা মার--কিন্তু ছেলে --বাবা তো ক্ষেপেই যায় বেদম--" কি?! কবিতা লিখবি? গাছের পাতা গুনবি? খাবি কি?
  • Nina | 68.45.76.170 | ০১ আগস্ট ২০১১ ০৭:৪৯482560
  • (৩)
    ছেলের অঙ্ক খুব প্রিয় সাবজেক্ট। ছোটবেলা থেকেই ভালবাসে অঙ্ক করতে। নানান কমপিটিশনে যায় প্রাইজ পায়। বাবা মাও খুব উৎসাহ দেয়। সেই ছোট্ট বয়সে তো বাবাকে পাগোল করে দিত অঙ্ক দাও দাও করে। স্কুলের হোমওয়ার্ক জলভাত, শেষ করেই তার শুরু হত বাবার পেছনে ঘোরা--কিন্তু বাবাও তখন চাকরী করে মাস্টার্স করছে, মা কমপিউটার প্রোগ্রমিং এর কোর্স করছে --নিজেদের হোমওয়ার্ক নিয়ে ব্যাতিব্যস্ত তখন তো বকুনি খেত এই অঙ্ক করার জন্য।
    মিডল স্কুল শেষ হয়, সে চান্স পায় প্রেস্টিজিয়াস প্রাইভেট স্কুল Choete এ স্কলারশিপ ও পায় খুব ভাল। Choete খুব নামী স্কুল, কেনেডিরা পড়েছে ঐ স্কুলে--খুব দামী ও --স্কলারশিপ পেয়েও যা টাকা লাগবে বাবামার পক্ষে অসম্ভব --পারেনা তারা তাকে পাঠাতে সেই স্কুলে । খুব মন খারাপ , আরও উঠে পড়ে লাগে তারা ছেলেকে দশের এক করে মানুষ করতে। বেস্ট স্কুল ডিস্ট্রিক্টে বাড়ি কেনে যাতে বেস্ট পাব্লিক স্কুলে যায় ছেলে মেয়ে।

    হাই স্কুলে সে সমস্ত শক্ত AP লেভেলের কোর্স নিয়ে পড়তে থাকে। তার সঙ্গে জাগে মা রাত্রে কফি করে দেয়, চোখ রাখে যাতে ঘুমিয়ে না পড়ে। টেস্টের পড়া, হোমওয়ার্ক সারতে কত রাত হয়ে যায়, এক একদিন তো রাত তিনটে চারটেও বেজে যায়। আবার পরের দিন ভোর ছটায় তাকে নড়া ধরে তোলে মা--স্কুল শুরু হবার আগে যে ক্রস কাϾট্র টীমের দৌড় প্রাকটিস থাকে, আবার স্কুলের শেষে টেনিস টিমের প্রাকটিস--সেতো ভার্সিটি টিমে খেলে। শুধু পড়া করলেই চলবে নাকি? খেলাধুলা করতে হবে, গান-বাজনা শিখতে হবে , নানান এক্সট্রা ক্যারিকুলার অ্যাকটিভিটি তে থাকতে হবে--তবে না পাবে প্রেস্টিজিয়াস আই ভি লিগ কলেজে চান্স! আর ওকে তো হারভার্ডে যেতে হবে , হবেই হবে!
    করে চলে সে অক্লান্ত পরিশ্রম। পিয়ানো বাজায়, টেনিস খেলে , ডিবেট টিমের ক্যাপটেন আর সামারে যায় সে নানান প্রি কলেজ কোর্সে জন হপলিন্স, হারভার্ড --কি না। জমা হয় কত কত ফেদার্স ওর ক্যাপে । স্কুলে বছরের শেষে দুহাত ভর্তি প্রাইজ পায় ---শুধু সে পায়না একটু সময় বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করার, কিম্বা প্রাণভরে ঘুমোবার কিন্তু তার অ্যাচিভমেন্ট তো বাড়তেই থাকে। সারা আমেরিকা থেকে সেরা ডিবেটারদের মধ্যে প্রথম হয়ে UNO তে যায় নানান দেশের ছেলেমেয়েদের মধ্যে প্রথম হয়---কিন্তু তাই বলে কি তাকে মাথায় তুলতে হবে নাকি। সবসময় বাবা মা বলে ' বনগাঁয়ে শেয়াল রাজা তুই" New England Ivy তে ঢুকতে হলে সারা আমেরিকার ক্রীম স্টুডেন্টের সঙ্গে কমপিট করতে হবে " সে পাড়ার কাকা মাসিরা যতই ধন্যি ধন্যি করুক না কেন--এখনও তো আসল পরীক্ষাই বাকি--হার্ভার্ড!
  • Nina | 68.45.76.170 | ০১ আগস্ট ২০১১ ০৮:২০482482
  • (৪)
    বাধ্য ছেলেটা বড্ড , মুখ বুজে করে যায় এই পাগোল বাবামার ইচ্ছাপুরণ! কখনো সখনো ফুঁসে ওঠে অবশ্য, কিন্তু সে শুধু মায়ের কাছে--" কেন আমি পার্টি করবনা, কেন আমি ছবি আঁকা কবিতা পড়া এসব করবনা? বাবা তো বোনকে কিছু বলেনা, ও কত লাকি" মা বোঝায় " আরে পাগোল, সারা জীবন পড়ে আছে, এখন একটু কষ্ট করে দিন কিনে নে। বোনের কি তোর মতন বুদ্ধি আছে নাকি --তোর ভালোর জন্যই তো বলি আমরা। তুই যখন তোর ছেলেকে Choete এ পাঠাবি তখন হয়ত আমরা থাকবও না তখন তুই বুঝবি কেন বাবা মা বলত কথাগুলো"

    কলেজ অ্যাপলিকেশন শুরু হয়! সামারে সে হার্ভার্ডে সামার কোর্স করতে গিয়ে চারটে স্কুল বিজিট করে--ইয়েল, ব্রাউন, ডার্টমথ আর এম আই টি ---বাবার শখ এম আই টি , মায়ের হার্ভার্ড কিন্তু ছেলের পছন্দ হয় ডার্টমথ। আবার ধ্যাতানি হয় হার্ভার্ড নয় এম আইটি ---ছেলে এবার রুখে ওঠে--এম আই টি সে কিছুতেই যাবেনা " M I T is square and I am round, I don't fit there বাবা বলে আচ্ছা তোকে যেতে হবেনা, কিন্তু অ্যাপ্লাই কর দেখি তোকে নেয় কিনী---ছেলে বলে লিখে দাও যে আমি পেলেও আমাকে জোর করবেনা---আর ,Univ of Penn এ যাবেইনা কারণ বাড়ীর কাছে সে কিছুতেই থাকবেনা--তবু apply কর । একদিন Penn এর অফিস থেকে ফোন---ওদের অ্যাপলিকেশনে একটা এসে কোয়েশ্চেন ছিল---তুমি তোমাঅর অটোবায়োগ্রাফি লিখেছ ৪০০ পাতার বই--page#250 তে কি অছে আমাদের লেখ। ও নাকি তাতে লিখেছে
    Chapter iv নীচে page # 250 দিয়েছে। অ্যাডি্‌মশন অফিসার হেসে বল্ল খুব ইন্টারেস্টিং পেজ , কিন্তু আমরা তোমার লেখাও পড়তে চাই তাই একটা এসে লিখে পাঠাও।
    সব ভাল স্কুলে পায় সে অ্যাডমিশন , M I T তে পায় কিন্তু চুক্তি অনুযায়ী যায়্‌না---বাবার চোখে জল--বলে তুই একটা আদতে গাধাই। হার্ভার্ডে সে পায়না, একমাত্র রিজেকশন, কিন্তু সে মহাখুশি --ডার্টমথ যাবে । ডার্টমথ তাকে স্পেশাল চিঠি দিয়ে ডাকে ---মাও খুসি , হার্ভার্ডের দুখ: আছে কিন্তু মায়েরও বড্ড ভাল লেগেছে Lonely at the Top, Dartmouth

    শুরু হয় আর এক অধ্যায়- এবার বাড়ী থেকে দূরে, সে মনের আনন্দে নিতে থাকে ইংলিশ, অ্যা®¾থ্রাপলোজি অঙ্ক---বাবাও লাফাতে থাকে --এত পয়সা দিয়ে তুই ইয়ার্কি মারবি? ছেলে বলে আমি ইংলিশ মেজর নেব। আমি আইভি লিগ কলেজের প্রফেসর হব, বো টাই বেঁধে সাইকিলে করে ক্লাস নিতে যাব। ইং লিশে a+ পায়--বাবার মাথায় হাত---কি? কটা টাকা রোজগার করবি ইংলিশ পড়ে? আই ভি লিগে না হাতি কোন এঁদো পচা কলেজে চান্স পাবি --মানুষ হ" ইডিয়েট ! মা ও ওর ইংলিশের পেপারগুলো পড়ে মুগ্‌ধ , কি দারুন লেখে ছেলেটা--কি খুশি ছেলে। পড়ুক না যা মন চায়---কিন্তু বাবা আর্তনাদ করে---ছেলের ভবিষ্যত মা হয়ে নষ্ট করছ?! মাও ভয় পায়---(ইংলিশ পড়ে কি কেউ মানুষ হয়না! নাই বা হল কাঁড়ি কাঁড়ি তাকা ডাক্তারদের মতন) মেনে নেয় বাবার কথা--সত্যি তো ছেলে সায়েন্স না পড়লে চলে? চলে্‌ত থাকে বাবা ছেলের রাগারাগি--মা না পারে ববাকে ,না পারে ছেলেকে পুরোটা সায় দিতে---ভেবে পায়না কি ঠিক কি ভুল! আর করে চলে ভুলের পর ভুল, শুধু ভুল!
  • Nina | 68.45.76.170 | ০১ আগস্ট ২০১১ ০৮:২৮482483
  • ইশ! সব্বইকে খুব বোর করছি--কাল শেষ করব। ভয় পেওনা --আর বেশি কিছু নেই---শুধুই অন্ধকার!
  • siki | 123.242.248.130 | ০১ আগস্ট ২০১১ ০৯:১৯482484
  • তাড়াতাড়ি শেষ করো। বসে আছি।
  • rimi | 24.42.203.194 | ০১ আগস্ট ২০১১ ০৯:২১482485
  • নিনাদি, ছেলেটার জন্যে বড় কষ্ট হচ্ছে।

    আচ্ছা ছেলেটি ইমোশনালি তার বাবা মার থেকে অনেক দূরে সরে যায় নি? নিজের মনের কথা সে কতোটা শেয়ার করত বা করতে পারত?
  • Arpan | 112.133.206.22 | ০১ আগস্ট ২০১১ ০৯:৫১482486
  • নীনাদি, তোমাকে থ্যংকু। আমার মেয়েও বামপন্থী আর অক্ষরগুলো প্রায়শই উল্টো লেখে। মা একটু চিন্তিত আর বাবাটি যথারীতি যেসব বাচ্চাদের ডিসলেক্সিয়া হয় তারা ক্ষণজন্মা হয় এইসব আটভাট বকে। (যদিও এইটাকে মোটেও ডিসলেক্সিয়া বলে না বোধহয়);-)
  • pi | 72.83.100.43 | ০১ আগস্ট ২০১১ ১০:১৩482487
  • জোর করে ডানপন্থী করতে যেও না। তালেই কোন অসুবিধে নেই। চিন্তারও কিছুই নেই।
    দাদাকে মেরেধরে জোরজার করে বামপন্থা ছাড়ানো হয়েছিল। লেখার জন্য বাঁহাত বার করলেই নাকি তাতে স্কেল পড়তো। দশ বছরের ছোট আমি অবশ্য এসব দেখিনি কিছু। জ্ঞান হয়ে ইস্তক দাদাকে ডানহাতে লিখতে, খেতে কিন্তু বেশিরভাগ কাজের জন্যই প্রথমবার, স্বাভাবিকভাবে বাঁহাত বাড়িয়ে দিতে দেখতাম। পরে মা এই নিয়ে খুব আক্ষেপ করতো। এই করতে গিয়ে বেশ কিছুদিন অব্দি লেখার স্পিড খুব খারাপ হয়ে গেছিল। হাতের লেখাও খারাপ হয়ে গেছিল। তবে শেষেরটা আমার মনে হয়, এমনিও হত। আমার নিজের হাতের লেখার যা ছিরি। এটা জেনেটিক ব্যাপার, তা কিছুতেই মা কে বা আমার স্কুলের দিদিমণিদের বোঝাতে পারিনি :(
  • Abhyu | 97.81.68.136 | ০১ আগস্ট ২০১১ ১০:১৮482488
  • বামপন্থীরা অঙ্কে ভালো হয় :)
    আই এস আইতে বিস্ট্যাটে প্রতি ব্যাচেই অন্তত: একজন বামপন্থী থাকে (থাকত)। আমাদের ব্যাচের তথাগত আবার দু-হাতেই লিখতে পারতো!
  • Abhyu | 97.81.68.136 | ০১ আগস্ট ২০১১ ১০:১৯482489
  • তবে নিরঞ্জন বলে ওর এখনো জামার বোতাম পরাতে অসুবিধে হয় (মানে খুব সুবিধে হয় না)
  • siki | 123.242.248.130 | ০১ আগস্ট ২০১১ ১০:৩৬482490
  • :)

    অপ্পন, আমিও জন্মগতভাবে বামপন্থী। ছোটোবেলায় আমিও চক দিয়ে মেঝেতে উল্টো BCD লিখতাম বলে মা বাবা ভয় পেয়ে জোর করে আমার হাতেখড়ি দিইয়ে আমাকে জোর করে ডান হাতে লেখা শেখান। এবং খাওয়া।

    তখন লোকে ডিসলেক্সিয়াও বুঝত না, কেবল বাঁ হাতে লিখলে ঠাকুর রাগ করে এই কারণে কাউকে লিখতে দেওয়া হত না।

    আমার আজও বাঁ হাত কাজের হাত। কেবল খাওয়া আর লেখা ছাড়া আর কোনও কাজই ডান হাতে করতে পারি না। ছুরি কাঁচি পিলার ধরা, টেবিল টেনিস খেলা, ফুটবল ক্রিকেট ব্যাট ধরা বালতি তোলা সুটকেশ তোলা, সমস্তই বাঁ হাতে। ও হ্যাঁ, তবলাটা ঠিক ঠিক হাতেই বাজাই অবশ্য :)

    বামপন্থীকে জোর করে দক্ষিণপন্থী করতে গেলে বাজে চাপ পড়ে মস্তিষ্কে, এটা সত্যি, তবে আমি নিজে সেসব কিছু ফীল করি নি।

    আমার মেয়ে ছোটো বয়েসে, ডানহাতেই উল্টো অক্ষর লিখত। আমরা তখন সদ্য সদ্য তারে জমিন পর দেখেছি। এখন বুঝি, অত ছোটো বয়েসে ডানদিক বাঁ দিক কনসেপ্টটা বাচ্চাদের থাকে না, ওটা পরে ঠিক হয়ে যায়। অভ্যেসের ব্যাপার।

    আমার থেকে বেশ আগে জন্মেও অমিতাভ বচ্চন, দেবশ্রী রায় ইত্যাদিরা দিব্যি বামপন্থী। তাদের কেউ কখনও বারণ করে নি। :)
  • pi | 72.83.100.43 | ০১ আগস্ট ২০১১ ১০:৩৭482491
  • হুম। দাদাও ছিল বটে আই এস আই তে।
  • ppn | 112.133.206.22 | ০১ আগস্ট ২০১১ ১১:২৩482493
  • না না, জোর করে ডানপন্থী করার কোন প্রশ্নই নেই। এমনিতেই বামপন্থীরা এই বাজারে সংখ্যালঘু। :)
  • i | 137.157.8.253 | ০১ আগস্ট ২০১১ ১১:৪৫482494
  • নিনাদিদির আন্তরিক পরিবেশন । সব থেকে ভালো লাগছে যা- এই সুতোর শিরোনাম থেকে একটু দূরত্বেই অবস্থান করে লিখছেন নিনাদিদি। তার ফলে ঠিক ছেলেপুলে মানুষ করার সল্যুশন হিসেবে গ্রহণ না করে একটু অন্যভাবে নিলাম লেখাটি। অন্য সুতোয় অর্পণ যেমন বলেছেন নিজের নিজের লড়াইএর কথা-সেই রকম ব্যক্তিগত ছোটো বড় মেজ লড়াই অথবা কনফিউজড হয়ে গড্ডলিকায় গা ভাসিয়ে না লড়তে পারা- অতীত বর্তমান বা ভবিষ্যতের সব রকম লড়াই বা সমঝোতায় যখন একা -লেখাটি পাশে থাকবে। অনেক ধন্যবাদ, নিনাদিদি। পরবর্তী কিস্তির অপেক্ষায়-
  • M | 59.93.199.83 | ০১ আগস্ট ২০১১ ১২:৪৫482495
  • দিদিয়া,
    পড়ছি, কিছু বলার ও আছে, আগে শেষ করি তোমারটা শোনা। আর ছেলে আর মেয়েটি সামনের যে বিরাট সময় পড়ে রয়েছে তাতে আনন্দ আর খুশী পাক প্রান ভরে।
  • kiki | 59.93.199.83 | ০১ আগস্ট ২০১১ ১২:৫৪482496
  • উপস!!! এই কিকি আর মানসী আমায় জ্বালিয়ে খেলো তো!!!:X
  • Lama | 203.132.214.11 | ০১ আগস্ট ২০১১ ১৪:৪৬482497
  • হুতো অনর্গল উল্টো লিখতো। লেখার সামনে আয়নাধরলে ঠিকঠাক পড়া যেত।
  • aka | 24.42.203.194 | ০১ আগস্ট ২০১১ ১৬:২৮482498
  • আমার পুত্র ডানপন্থী হয়েও এই সেদিন অবধি সব উল্টো লিখত যেমন পাঁচ, সাত, বি, ডি ইত্যাদি ইত্যাদি। ভয় পেয়ে ডাক্তারকে জিগ্যেস করেছিলাম। বলেছিল এটা ডেভল্পমেন্টের পার্ট আরও বছর খানেক এমন চললে দেখা যাবে। পড়তে অসুবিধা না হলে চিন্তার কিছু নেই।
  • Nina | 68.45.76.170 | ০২ আগস্ট ২০১১ ০৪:৩৩482499
  • তোমাদের সব্বাইকে অনেক অনেক ভালবাসা জানাই। তোমাদের সঙ্গে কষ্টটা ভাগ করে নিয়ে বড় হাল্কা লাগছে ---আর মনে হচ্ছে সবার ভাল হোক, মন হাল্কা হোক , সবাই নিজের নিজের জীবনে খুব সুখি হও নিজের মতন করে।

  • aka | 24.42.203.194 | ০২ আগস্ট ২০১১ ০৪:৪১482500
  • নিনাদি এই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আমাদের মতন পশ্চাৎ রাইপ নবীশ বাপ মায়ের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। খুবই মূল্যবান এই অভিজ্ঞতা।
  • pi | 128.231.22.99 | ০২ আগস্ট ২০১১ ০৫:১৬482501
  • নিনাদির কথা শেষ হয়নি তো।
  • Nina | 68.45.76.170 | ০২ আগস্ট ২০১১ ০৫:৪৩482502
  • (৫)
    কলেজের যুদ্ধ তো সবে শুরু--বায়োলজি তো নিচ্ছেই না, কেমিস্ট্রিতে বাজে করছে শুধু ম্যাথ, ফিজিক্স ইংলিশ অ্যা®¾থ্রাপলজি তে সময়, চেষ্টা সব যাছে। কলেজ ক্যাম্পাসের পেপারের এডিটর, দরুণ সব আর্টিকেল বেরোয়, Free Tibet এর মেম্বার--আরও কত কি---আর্টিকেলগুলো বাবাও তারিফ করে, কিন্তু বেশি আদিখ্যেতা করতে বারন করে মাকে--এসবের জন্য সারা জীবন পড়ে আছে , আসল সাবজেক্ট , আসল গোল থেকে সরে না যায় যেন--মা বলার চেষ্টা করে ল' পড়ুক না---বাবা তো তাজ্জব , এদেশের লইয়ার রা নাকি দারুন লম্বা চওড়া, অন্য রকম আর ও জাস্ট পাঁচ ফুট পাঁচ --ও নকি একেবারে পাত পাবেনা ঐ লাইনে। আর বেশি কিছু বলতে গেলেই বলে --ঠিক আছে তোমার ছেলে তুমি বোঝ, পরে আমাকে বোলোনা কি হবে, ছেলের সবনাশের জন্য তুমি দায়ি, একলা---ভয় পায় মা, সত্যি তো , না বাবা দরকার নেই , বাবাই ঠিক।
    ইতিমধ্যে ভগবানের দয়ায় জুনিয়র ইয়ারে সে যায় west coast এ 'সক ইন্টিটিউতে কাজ ও Dr Ramachandran এর কাছে নিউরো ফিল্ডে পড়াশোনা করবে। খুব খুশি , এতদিনে পেয়েছে তার প্ল্যাটফর্ম সায়েন্স ফিল্ডে , ও নিউরো নিয়ে পড়বে--হাঁপ ছেড়ে বাঁচে সব্বাই।
    গ্র্যাজুয়েট করে, এবং বলে এই নিউরোতেই সে রিসার্চ করবে , ডার্টমথেই প্রফেসর গাজানিগার আন্ডারে---বাবার খুব মন:পুত না হলেও --অন্তত কবিতা তো নয়--সায়েন্স---
    এরপর গুলো বড় আকস্মিক ও কষ্টের---

    রিসার্চে প্রফেসরের সঙ্গে খটাখটি লাগে, আর এই সময় একটি বিশেষ মেয়ে বান্ধবী ও হয়, অবশ্যই রদ্দুরের মতন চুল।

    মেয়ের তখন অক্সফোর্ডে , জুনিয়র ইয়ার, স্প্রিঙ্গ ব্রেকে, সারা ইউরোপ বেড়াবে, বাড়ী আসবেনা, ছেলেও বলে সেও গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে মেইনে যাবে বেড়াতে , ----বাড়ী আসছেনা।

    তারিখটা আজও মনে আছে ২২শে মার্চ! ছেলে মেয়ের স্প্রিঙ্গ ব্রেক, কিন্তু দুজনেই বাড়ী আসেনি এবার। বন্ধুর অ্যানিভার্সারি , পার্টিতে মায়ের কেমন যেন মনটা অস্থির লাগছে, ভাল লাগছেনা কিছু। বাড়ী চলে আসে, কান্না পাচ্ছে --এক অদ্ভুত ফিলিংস , কে জানে কেন, সারারাত ছটফট করে মা--কি হল ছেলে মেয়ে সব ঠিক আছে তো, ফোনেও পাচ্ছেনা ----

    এর ঠিক এক সপ্তাহ পর --ছেলের ই-মেল!
  • Nina | 68.45.76.170 | ০২ আগস্ট ২০১১ ০৬:০৪482504
  • আমি কাজ পড়া সব ছেড়ে দিয়েছি। আমার সঙ্গে এখন কোনো কনট্যাক্ট কোরোনা। শুধু যে হোটেলে থাকত, সেটা গ্রাড স্টুডেন্টদের ডর্ম হিসেবে দেয়া হয়, জেহেতু প্রোগ্রাম কুইট করেছে তাই এবার তার রেন্ট নিজেকে দিতে হবে --সেটা যেন আমরা কিছুদিন দিই আর ওকে ক্যানড ফুড মাসে একবার মেলে পাঠাই--দেখা সে করবেনা। শুধু একবার গিয়ে ওর গাড়ি, দামী ঘড়ি ও শৌখীন জিনিষ সব যেন আমরা নিয়ে আসি ওর এসব কিছু লাগবেনা!
    আজ কত সহজে লিখলাম কথাগুলো--কিন্তু সেদিনকার কথা মনে পড়লে আজও নি:শ্বাস বন্ধ হয়ে যায়।

    আর বাড়াবো না কারণ এরপর শুধুই অন্ধকার এ যাত্রা----দু বছর এমন করে কাটায় , কারুর সঙ্গে দেখা না করে , তারপর হাতে পায়ে ধরে বাড়ী নিয়ে এসেছি ---এখন আগের চেয়ে ভাল---কিন্তু কোনো চেনা লোকের সঙ্গে দেখা করেনা, সব রকম চেষ্টা করেছি---শুধু বলে give me time নিজের মনে থাকে, বই পড়ে ---বাড়ীতে থাকে। আমরা বাড়ীতে তাই কাউকে ডাকতে পারিনা---সময় ও ভগবানই ভরসা---
    আজও জানিনা বেড়াতে গিয়েই বা কি হল---আর প্রফেসর নিজেও কত ই-মেল করেছেন ফিরে আসার জন্য তারও উত্তর দেয়না---ম্যানিক ডিপ্রেশন কিন্তু কোনও ডাক্তার দেখাবে না , ওষুধ খাবেনা, নাকি time will heal, please give me time এটুকুই বলে।

    বাবা মা ছোটটির দিকে তাকিয়ে সব বজায় রেখে চলে, চোখের জলও শুধু আড়ালেই পড়ে--একে অপরকে স্বান্তনা দেয়--সব ঠিক হয়ে যাবে, ভগবান আছেন!!

    শুধু একদিন বলেছিলাম "হ্যাঁরে 22nd march আমার খুব শরীর খারাপ করছিল --শুধু মনে হচ্ছি তুই কিম্বা বোন কেউ একজন ভাল নেই---চমকে উঠেছিল----অনেক জিজ্ঞেস করার পর শুধু বলেছিল you did! how strange, indded. Well, I am alive
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু প্রতিক্রিয়া দিন