এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং

    pi
    অন্যান্য | ২০ জুলাই ২০১১ | ২৯৫০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • pi | 72.83.103.132 | ২০ জুলাই ২০১১ ১৯:৫৩484053
  • এনিয়ে এখানে কিছুদিন আগেও বেশ কিছু তর্ক-বিতর্ক, আলোচনা হয়ে গেছে :

    http://www.guruchandali.com/guruchandali.Controller?portletId=8&porletPage=2&contentType=content&uri=content1293439091427&contentPageNum=12

    গুরুচণ্ডা৯ র ফেসবুক গ্রুপেও ঘুরেফিরে এনিয়ে প্রচুর আলোচনা হয়ে চলেছে।
    তাঁদেরকে এখানেও লিখতে অনুরোধ করবো।

    সম্ভব হলে ওখানকার কিছু আলোচনার সূত্র এখানে দিয়ে দেওয়া হবে।

  • Sushanta Kar | 117.198.56.35 | ২১ জুলাই ২০১১ ০০:৪৭484064
  • কল্লোল বাবুর মতগুলো আমার ভালো লেগেছে। "আজম খান আরও বলেছেন , ""আমি নিজেও এ সব কারনে অনেক বছর নিজেকে মুক্তি যোদ্ধা হিসেবে পরিচয় দেই নি।""
    যুদ্ধপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে আজম খান বলেছেন, ""স্বাধীনতার পর পরই এই বিচার হওয়া উচিৎ ছিল। কিন্তু তা হয়নি, কারণ ভারত সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে হস্তক্ষেপ করে পাকিস্তানী সেনাদের স্বসন্মানে পাকিস্তানে ফের্ৎ পাঠিয়েছে। একই সঙ্গে এর পরের সরকারগুলো ক্ষমতার লোভে পাক সেনাদের সহযোগি যুদ্ধপরাধীদের লালন - পালন করেছে।
    কিন্তু তা না হয়ে ভারত যদি মুক্তিযুদ্ধে শুধু সহায়কের ভূমিকা পালন করতো, আমরা নিজেরাই যদি আমাদের যুদ্ধ শেষ করতে পারতাম,তাহলে পরিস্থিতি ভিন্ন হতো। নয় মাসে নয়, নয় বছর পরেও দেশ স্বাধীন হলে আমরা স্বাধীনতা বিরোধী - যুদ্ধপরাধীদের বিচার করতে পারতাম।""
    বিপ্লব যদি বেহাৎ না হয়েই থাকতো, তবে আজম খানের এই কথাগুলোর মানে কি?" এ নিয়ে তর্ক করা যায় যদি আমার কেবল উগ্র ভারত প্রেম থাকে। ওদিকের প্রেমটাকেও না বুঝবার মানসিকতা থাকে। ভারতীয় সম্প্রসারণবাদ ভারতীয়দের জন্যেও ভালো নয়। প্রতিবেশির বিরোধ থেকে সে কোনোদিনই মুক্ত হতে পারে না। তাকে সব্বাই সন্দেহের চোখে দেখছে আর দেখবে। ভারতের কোনো বাংলাদেশ প্রেমটেম ছিল না তখন। সোজা সোভিয়েত ইউনিয়নের নির্দেশ পালন করছিল। আর পাকিস্তান লড়ছিল আমেরিকার নির্দেশে। আমাদের দেশগুলো ছিল ঐ দুই মহাশক্তির পুতুল মাত্র। সঙ্গে ভারতের আঞ্চলিক প্রতাপ বাড়াবার কারণতো ছিলই। এপারের বাঙালিরা যে খুব বাংলাভাষার টানে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পাশে দাঁড়িয়েছিল তা মোটেও নয়। ইসলাম বিদ্বেষ, আর দেশভাগের বদলা নেয়াও একটা কারণ ছিল। পাকিস্তান ভুল --তা প্রমাণ করবার উত্তেজনা। আর তাই এখন, বাংলাদেশকে অনুগ্রহ করবার পুরস্কাকার যেচে বেড়ান তারা। তাতেই তাদের ঠুনকো প্রেমের স্বরূপ বেড়িয়ে পড়ে। পাশের দেশ মুক্তি যুদ্ধে নেমেছে তার সমর্থণে মন্দ কিছু নেই। পেলেস্টাইনের পাশে যদি দাঁড়াতে পারি, বাংলাদেশ্তো আমাদের প্রতিবেশি। কিন্তু সেই সব অবৈপ্লবিক আবেগের টানে ভুলে গেছিলাম, বিপ্লব যারা রপ্তানি করছে, গাছের কাঠালকে যারা অকালে কিল মেরে পাকাচ্ছে তাদের উদ্দেশ্যটা কী? আর পরিণামতাই বা কী হবে? বাঙ্গালদেশকে আরো লড়তে দিলে এক শক্ত গণতন্ত্র হয়ে উঠে আসতে পারত। কিন্তু ভারত তা চায় কি? নেপালের রাজতন্ত্র বিরোধী লড়াইয়ের সময় ভারতের দোলাচল বেশ ভালৈ দেখা গেছে। ঐসব দেশে পূর্ণ গণতন্ত্র আসুক তা ভারত চায় কী? ন মাসের বিপ্লবে ধর্ষণ ইত্যাদির কথা হচ্ছে! পৃথিবীর কোন দেশে এসব না করে বিপ্লব দমাবার চেষ্টা হয়েছে। ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে এমন হাজারো অভিযোগ রয়েছে। মণিপুরেরে মায়েদের এর বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক এক লড়াই এখন দুনিয়া খ্যাত ইতিহাস হয়ে গেছে। এগুলো একেবারেই ঠুনকো যুক্তি। কিন্তু, আমার এই কথাগুলোর এই মানে নয় যে আমি বিএনপি জামাতের ভারত বিরোধীতাকে কোনো বৈধতা দিচ্ছি। ওরা তো আর বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্নকে কোনোভাবেই প্রতিনিধিত্ব করে না!
  • kallol | 220.226.209.2 | ২১ জুলাই ২০১১ ০৯:৪৮484075
  • সুশান্তকে ধন্যবাদ। কিন্তু আলোচনাটা চলুক।
    বিপ্লব, কুলদা বা আরও কেউ যিনি সত্যিই এবিষয়ে অধিকারী, তাঁরা লিখুন।
    এমনিতে যা সব লেখ পাই, তা হয় গবেষণামূলক বা বিখ্যাত মানুষদের লেখা। যারা মাটিতে দাঁড়িয়ে লড়েছিলেন, তাঁদের লেখা বেশী পাই না। যাও দুচারটে পড়েছি, সেগুলো ৭১এর পরে পরেই লেখা ফলে ঠিকঠাক দেখতে গেলে যে দূরত্ব দরকার সেটা তৈরী হয় নি।
    তবে যেমনই হোক - লেখা শুরু হোক।
  • Netai | 121.241.98.225 | ২১ জুলাই ২০১১ ১০:২৬484086
  • ভারত সোভিয়েত ইউনিয়নের নির্দেশ পালন করছিল!!!!!
    আমি যে শুনেছিলাম ভারতের সোভিয়েতের সমর্থন নিয়েই লড়াইতে নামে।
  • PT | 203.110.246.230 | ২১ জুলাই ২০১১ ১২:১৮484097
  • ইতিহাস তো বলে যে ইন্দিরা প্রথমে আমেরিকার কাছে গিয়েছিলেন। সেখানে প্রত্যাখ্যাত হয়ে সোভিয়েতের কাছে যান। তাহলে সোভিয়েতের নির্দেশ পালনের কথাটা কোথা থেকে আসল?
    The Pakistan army conducted widespread atrocities against the civilian populations of East Pakistan.[6][7] An estimated 10 million refugees fled to India, causing financial hardship and instability in the country. The United States under Richard Nixon supported Pakistan, and mooted a UN resolution warning India against going to war. Nixon apparently disliked Indira personally, referring to her as a "witch" and "clever fox" in his private communication with Secretary of State Henry Kissinger (now released by the State Department).[8] Indira signed the Treaty of Friendship and Cooperation, resulting in political support and a Soviet veto at the UN. এটা wiki থেকে নেওয়া - কিন্তু এর বাইরে নতুন কোন তথ্য আছে কারো কাছে?

    ইন্দিরা বাঙালী প্রেমে যুদ্ধে গিয়েছিলেন না পাকিস্থান ভাঙার উদ্দেশ্যে সে নিয়ে তক্ক হতে পারে। এটা খানিকটা নন্দীগ্রামে-গুলি+মমতার-প্রবেশ+বামসরকারের পতন জাতীয় কেসও হতে পারে। কিন্তু যে ভাবে উদ্বাস্তু ঢুকছিল দেশে সেটা যে কোন সরকারের উদ্বেগের কারণ হতেই পারে। ১৯৭২ পর্যন্ত আমি সোদপুরে ছিলাম - বিপুলজলতরঙ্গের মত উদ্বাস্তুর স্রোত আমার নিজের চোখে দেখা।
  • siki | 123.242.248.130 | ২১ জুলাই ২০১১ ১২:২৬484108
  • :-)))
  • kallol | 220.226.209.2 | ২১ জুলাই ২০১১ ১৩:১৩484119
  • ৭১এ ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশ ঝামেলায় ইন্দিরা প্রথমে আমেরিকার কাছে যান - এমন ইতিহাস কোথায় আছে?
    ভারত তখন খোলাখুলি ভাবে সোভিয়েৎ শিবিরে। আর পাকিস্তান তো তখন আমেরিকার সাথে সামরিক জোটেও ছিলো।
  • PT | 203.110.246.230 | ২১ জুলাই ২০১১ ১৩:২৭484121
  • "যান" মানে কি আর হেঁটে হেঁটে গিয়েছিলেন......!
    In May, Indira Gandhi [ Images ] wrote to Nixon about the 'carnage in East Bengal' and the flood of refugees burdening India. After L K Jha, then the Indian ambassador to US, had warned Kissinger that India might have to send back some of the refugees as guerillas, Nixon commented, 'By God we will cut off economic aid (to India)............'

    On his return (from China), during a meeting of the National Security Council, Nixon continued his India bashing. The Indians, he noted, are 'a slippery, treacherous people.'

    ....August 9 ... India and the Soviet Union signed a treaty of peace, friendship and cooperation
    http://www.rediff.com/news/2006/dec/26claude.htm

  • kallol | 220.226.209.2 | ২১ জুলাই ২০১১ ১৪:০৬484122
  • এটাকে যাওয়া বলে!!
    আপনি লিখলেন ইন্দিরা প্রথমে আমেরিকার কাছে গিয়েছিলেন। প্রত্যাখ্যাত হয়ে রাশিয়ার কাছে যান।
    আর আপনার তথ্য বলছে - ভারত আমেরিকাকে বলছে পূর্ব বাংলায় পাকিস্তানের অত্যাচার ও উদ্বাস্তু স্রোত নিয়ে, তারপর হুমকি দিচ্ছে - এরপর ঐ উদ্বাস্তুদের গেরিলা বানিয়ে ফেরত পাঠাবে। এটাকে বলছেন আমেরিকার কাছে গিয়ে প্রত্যাখ্যাত হওয়া!!
    আজকে সন্ধ্যায় পারলে ৭০ দশকে ভারত-সোভিয়েৎ সম্পর্ক নিয়ে কিছু তথ্য দেওয়া যাবে।
  • PT | 203.110.246.230 | ২১ জুলাই ২০১১ ১৪:১৬484054
  • ভারত আমেরিকাকে ""হুমকি"" দিচ্ছে .... হা..হা...হা....অনেকদিন বাদে বেশ নির্মল আনন্দ পেলাম।

    ...মানে ইন্দিরার আমেরিকার কাছ থেকে আর কি কি শোনার অপেক্ষাতে ধৈর্য ধরে থাকা উচিৎ ছিল তার যদি একটা লিস্টি দেন।
  • Netai | 121.241.98.225 | ২১ জুলাই ২০১১ ১৪:২৯484055
  • একটু অন্য প্রসঙ্গ, কিসিঞ্জারের কীর্তি-
    In recent years, Kissinger has come under fire for private comments he made to Nixon during the Bangladesh-Pakistan War in which he described then-Indian Prime Minister Indira Gandhi as a "bitch" and a "witch". He also said "The Indians are bastards," shortly before the war.[30] Kissinger has since expressed his regret over the comments.[31]

    http://en.wikipedia.org/wiki/Henry_Kissinger

  • PT | 203.110.246.230 | ২১ জুলাই ২০১১ ১৪:৩০484056
  • Nixon-Kissinger conduct - a first person account

    By M.V.Kamath
    http://www.indiadivine.org/audarya/hinduism-forum/190573-nixon-i-want-piss-indians.html


    The plane which she traveled was ordered to come a halt at New York's Kennedy Airport close to a stinking urinal deliberately. One had to hold one's nose while passing by. According to the lowest level of protocol, she was received by a junior States Department official. I
    was one of those present on the occasion.

    Nixon was angry with Indira
    Gandhi because the Government of India was very much opposed to his Vietnam Policy.

    As he later told Kissinger: "We can't let these goddam sanctimonious Indians to get away with
    this. They've pissed on us on Vietnam for five years".

    Nixon:I want to piss on the Indians

    http://www.indiadivine.org/audarya/hinduism-forum/190573-nixon-i-want-piss-indians.html

  • Netai | 121.241.98.225 | ২১ জুলাই ২০১১ ১৪:৩৬484057
  • কালের কি অপার মহীমা। পরবর্তীতে এই কিসিঞ্জার আদবানীর কাছে সুপারিশ করছেন নিউক্লিয়ার ডিলের জন্য-
    After apologizing for his use of the word 'bitch' in reference to Mrs. Indira Gandhi, Kissinger met India's main Opposition Leader Lal Krishna Advani in early October 2007 and lobbied for the support of his Bharatiya Janata Party for the Indo-US civilian nuclear agreement.[citation needed]

    Kissinger said in April 2008 that "India has parallel objectives to the United States" and he called it an ally of the U.S.[63]


  • kallol | 220.226.209.2 | ২১ জুলাই ২০১১ ১৪:৩৭484058
  • অপনার পোস্ট : Date:21 Jul 2011 -- 01:27 PM

    After L K Jha, then the Indian ambassador to US, had warned Kissinger that India might have to send back some of the refugees as guerillas
    warned কথাটার মানে : to admonish or exhort, as to action or conduct: She warned her employees to be on time.
    এটাকে বাংলায় হুমকি/শাসানি বলে।
    আমেরিকাকে ভারত সোভিয়েৎএর চামচা হয়ে দুকথা শোনাতে গেছিলো।
    ঐ যে মহাভারতে শকুনির ছেলে উলুক গেছিলো পান্ডবদের গালি দিতে, তেমনই।
    আমেরিকার থেকে কিছু শুনতে যায় নি ভারত। আমেরিকা তো খোলাখুলিই পাকিস্তানের পক্ষে তখন। ওটা সোভিয়েৎএর বকলমে হুমকি। যাকে বাংলায় প্রক্সি বলে।
    আর এক বার হাসতে পারেন। টেকনিকালি আটকাবে না। কিন্তু আর না। তিন বার হাসলে যেন কিসব বলে।
  • Netai | 121.241.98.225 | ২১ জুলাই ২০১১ ১৫:০৫484059
  • সোভিয়েৎএর চামচা!!!!! ভারত কি তবে সোভিয়েতের বকলমে লড়ে গেলো?

    ভারত নিজ স্বার্থে (উদ্বাস্ত বা অন্য যে কোন কারন ই হোক) লড়াইতে জড়িয়েছিল। এই লড়াইতে নামার জন্য সোভিয়েতের সমর্থন খুব জরুরি ছিল। এবং ইন্দিরা তা আদায় করেন।

  • kallol | 220.226.209.2 | ২১ জুলাই ২০১১ ১৫:২২484060
  • আজ সন্ধ্যেবেলা পারলে ৭০ দশকে সোভিয়েৎ-ভারত ""বন্ধুত্বের"" কিছু তথ্য দেওয়া যাবে।
  • Netai | 121.241.98.225 | ২১ জুলাই ২০১১ ১৫:২৯484061
  • এই খানে বলছে ঐ সাক্ষাৎকারে নিক্সন ইন্দিরাকে আশ্বস্ত করেন।

  • kallol | 220.226.209.2 | ২১ জুলাই ২০১১ ১৬:৫১484062
  • গোটা টেক্সটা থেকে খুব পরিষ্কার ভারত আর রাশিয়ার সম্পর্ক। আমেরিকার পয়সা দিয়ে ভারত রাশিয়া থেকে অস্ত্র কিনছে।

    পারলে আজ সন্ধ্যে বেলা ৭০ দশকে ভারত-সোভিয়েৎ ""বন্ধুত্বের"" কিছু তথ্য দেবো।

    এবার নিক্সন-ইন্দিরা সাক্ষাতকার নিয়ে আপনার লিং উল্লেখিত কল্যানী শংকরের বই কি বলছে।
    At a time when India is seen, rightly or wrongly, as intensely engaged in an effort to get closer and closer to United States, it is useful read this book by the well- known journalist and author Kalyani Shankar. The principal theme is how Indira Gandhi was crafty enough to outwit Richard Nixon (ওরে ঈশেন একটা তলদাগের কল দে অন্তত:। ভলো হয় মোটা হরফ করা গেলে) ,himself a superb practitioner of the wicked art of real politik, in the context of the 1971 war between India and Pakistan bringing into being Bangladesh. Those of us who are old enough do have an idea of how Indira Gandhi did it. But Shankar by accessing the declassified US material and using her contacts with some of the major actors, including Henry Kissinger, has given us a reasonably comprehensive account of what happened and why it happened the way it happened.
    http://www.ambassador-fabian.com/index.php/2010/11/10/nixon-indira-and-india-politics-and-beyond/
    ইন্দিরা গেছিলেন নিক্সনকে টুপি পরাতে। আশ্বস্ত হতে নয়। নিক্সন গান্ডুর মতো আশ্বস্ত করেছিলো হয়তো। পরে নিজের গান্ডুত্ব বুঝতে পেরেছিলো।
    ঐ উলুক - পান্ডব কেস।
  • kallol | 220.226.209.2 | ২১ জুলাই ২০১১ ১৬:৫৭484063
  • ইন্দিরা নিক্সন কে টুপি পরাতে গেছিলো। ক্ষি ক্ষান্ডো। তাও কে বলছে না কল্যানী শংকর। সেও আবার আমেরিকার নথিপত্র ঘেঁটে।
    অ পিটি হাসলে নাকি?
    একবার তো হাসতেই পারো।
    আমি বাবা হাসছি না।
  • Netai | 121.241.98.225 | ২১ জুলাই ২০১১ ১৭:০৭484065
  • ভারত পাকিস্থানের গৃহযুদ্ধে সরাসরি হস্তক্ষেপ করলে আমেরিকা যেন ভারতের বিপক্ষে না নেমে পড়ে এটুকু আশ্বাসবাণীই ইন্দিরা শুনতে চেয়েছিলেন। ইন্দিরা তা শুনতেও পেয়েছিলেন। এটাকে টুপি পরানো বললে টুপি পরানো। কূটনৈতিক সফলতা বললে তাই। বাকী বিশ্ব নিরব থাকলে পাকিস্থানকে পর্যুদস্ত করা খুব ই সম্ভব ছিল। বাকী বিশ্বকে নীরব রাখতে গেলে একটা বড় শক্তিকে পাশে পেতেই হত।
  • Netai | 121.241.98.225 | ২১ জুলাই ২০১১ ১৭:২৪484066
  • আর নিক্সন মূলত দুটো ভুল করেছিলেন। যে কারনে তিনি গান্ডু বনেছিলেন। ভুল দুটি হল-
    ১। পাকিস্থানের ক্ষমতা নেই ভারতকে নিরুৎসাহিত করার। এটা বুঝতে না পারা।
    ২। ইন্দিরা গান্ধী কে আশ্বস্ত করা।
    (প্রথম আলোর লিংকে দেওয়া আছে)।
  • kallol | 220.226.209.2 | ২১ জুলাই ২০১১ ১৭:২৭484067
  • কূটনীতি বা টুপি পরানো কোনটাতেই আমার আপত্তি নেই।
    ভারত আমেরিকাকে হুমকি দিয়েছিলো বলতে পিটি হাসলেন। আমার এটাই প্রমাণ করার ছিলো, যে ঘটনা তাই ছিলো। ভারত হুকমি দিয়েছে - পূর্ব বাংলায় পাকিস্তানের অত্যাচার বন্ধ না হলে যে উদ্বাস্তু ভারতে আসবে, তাদের গেরিলা বানিয়ে ফেরৎ পাঠানো হবে।
    আর ইন্দিরা গান্ধী (ভারত) নিক্সনকে (আমেরিকাকে) টুপি পরিয়েছিলো।
    এখন আর কেউ হাসছে না।
    ব্যস। আমার এই তক্কো খতম।
  • PT | 203.110.246.230 | ২১ জুলাই ২০১১ ১৯:৫৮484069
  • এখনও হাসছি। তার কারণ ভারত আমেরিকাকে সোবিএতের চামচে হয়ে দুকথা শোনাতে গিয়েছিল এই যদি ইতিহাসের ব্যাখ্যা হয় তাহলে তো আমরা দুবার হেরেছি।
    প্রথম হার: সেই ভারত লাজ-লজ্জা বিসর্জন দিয়ে এখন আমেরিকার চামচেতে পরিণত হয়েছে। তখনও আমেরিকা পাকিস্থানকে সমর্থন করছ্‌ল আর আমেরিকা এখনও পাকিস্থানকেই সমর্থন করে যাচ্ছে।
    দ্বিতীয় হার: উল্টে বাংলাদেশের আদ্দেক মানুষ ভারতকে প্রায় শত্রু দেশ হিসেবে গণ্য করে!!
  • Abul Khayer | 113.11.85.118 | ২১ জুলাই ২০১১ ২২:১৭484070
  • যে "ভুলে ভুলুক কোটি মন্বন্তরে, আমি ভুলিবো না, আমি কভু ভুলিবো না"
    byAbulKhayeronWednesday, July20, 2011at3:28pm

    নবজাত স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মদানে ধাত্রীর ভূমিকা পালন করেছিলেন প্রিয়দর্শিনী!

    মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রাখায় ভারতের প্রত প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মননায় অভিষিক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ ও পাকিস্তানের কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানকে নি:শর্ত মুক্তিদানে পাকিস্তান সরকারের উপর চাপ প্রয়োগে বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে সম্মত করাতে তাঁর অবদান ইতিহাসে রত্নখচিত হয়ে আছে। বিশেষকরে মুক্তিযুদ্ধের অন্তিমলগ্নে ডিসেম্বরে যখন পাকিস্তান বাহিনী অতর্কিতে ভারত আক্রমণ করে তখন থেকে বিজয় অর্জন পর্যন্ত প্রতিটি দিনই ছিল সুকঠিন। সেই সময়ে রাষ্ট্রনায়কোচিত প্রজ্ঞা এবং অসামান্য কূটনৈতিক দক্ষতার পরিচয় দেন ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন সরকার। ১৯৭১-এর রক্তঝরা সেই দিনগুলোতে ভারত সরকার ও লোকসভার সিদ্ধান্ত, প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা-বিবৃতি এবং ভ্রাতৃপ্রতীম দেশরক্ষায় প্রত্যক্ষভাবে যুদ্ধে অংশগ্রহণের দায়-দায়িত্ব গ্রহণ এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন এসবই এখন ইতিহাসের অংশ। কী ঘটেছিল সেই দিনগুলোতে-

    ১৯৭১-এর ডিসেম্বরের ৩ তারিখ, পাকিস্তান সেনাবাহিনী মুক্তিবাহিনীর চতুর্মুখী গেরিলা আক্রমণে বিধ্বস্ত হয়ে উপায়ন্তর না দেখে দিশেহারা হয়ে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। বাঙালীর বিজয় যখন আসন্ন, পক্ষান্তরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পরাজয় সময়ের ব্যাপার মাত্র। তখন বাংলাদেশের কাছে পরাজয়ের গ্লানি এড়ানো, ভারতের কাছে পরাজিত হলে যুদ্ধরত পাকিস্তানী সৈন্যরা জেনেভা কনভেনশনের সুযোগ লাভ করবে, সর্বোপরি ভারত সরাসরি এ যুদ্ধে জড়ালে যুদ্ধবিরতির জন্য মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের মদদে জাতিসংঘ এগিয়ে আসবে তাতে হয়ত শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের ঐক্য অটুট রাখা সম্ভবপর হবে। ঐদিন পাকিস্তান বিমানবাহিনী আকস্মিকভাবে পশ্চিম ভারতের বিমান ঘাঁটিগুলোতে তথা শ্রীনগর, অবন্তীপুর, অমৃতসর, ফিরোজপুর, চণ্ডীগড়, ফরিদকোট, পাঠানকোট, সাদেক, ওকহা, জোধপুর ও উত্তরলাই, আম্বালা, এমনকি দিল্লীর সন্নিকটে আগ্রার বিমানক্ষেত্র এবং পূর্ব ফ্রন্টের আগরতলা বিমান ঘাঁটিতে বিনা উস্কানিতে আক্রমণ চালায়। এসময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী মহীয়সী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী এক সংক্ষিপ্ত সফরে কলকাতায় গড়ের মাঠে বক্তৃতারত অবস্থায় পাকিস্তান কর্তৃক আক্রান্ত হওয়ার সংবাদটি অবহিত হন। কালবিলম্ব না করে তাঁর ভাষণ সংক্ষিপ্ত করে স্বাধীন বাংলাদেশের পরমহিতৈষী সদ্য প্রত শ্রী সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়কে সঙ্গে নিয়ে ঐদিনই রাত ১০-৩০ মিনিটে দিল্লী ফিরে তিনি রাষ্ট্রপতি শ্রী ভি ভি গিরি ও উর্ধতন নেতৃবৃন্দের সঙ্গে জরুরী বৈঠক করেন। অত:পর রাষ্ট্রপতি শ্রী ভি ভি গিরি ভারতে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করেন।

    বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত সঙ্কটজনক পরিস্থিতি মোকাবেলায় রাত ১২-২০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এক বেতার ভাষণে বলেন, "শত্রুরা আমাদের বিমানক্ষেত্রসহ সীমান্ত সন্নিহিত সবগুলো প্রতিরক্ষা অবস্থানের ওপর হামলা চালিয়েছে। এরকম সমূহ বিপদের মধ্যেও ভারত যথেষ্ট ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। বিগত মার্চ মাস থেকেই আমরা একটা ব্যাপক বিপদগ্রস্ত (পূর্ব পাকিস্তানের) জনগণকে অত্যন্ত কাছ থেকে দেখেছি। তাদের দোষ ছিল যে, তারা গণতন্ত্রের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। তাদের সমস্যা আমাদের ছুঁয়েছে, ভাবিয়েছেও বটে। চেষ্টা করেছি, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে এ সমস্যা সমাধানের। কিন্তু বিশ্ব সভা মূল সমস্যাগুলোকে পাশ কাটিয়ে বাইরের দিকটা সামান্য আলোচনায় এনেছে মাত্র। ফলে স্বাভাবিক নিয়মেই অবস্থার অবনতি ঘটেছে। অসীম সাহসী শে০র্যবান মুক্তিযোদ্ধারা জীবনকে বাজি রেখে যুদ্ধ করে যাচ্ছে দেশপ্রেমের উন্মাদনায়। আমরা তাদের সম্মান করি। আজ এই যুদ্ধ ভারতের যুদ্ধ হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করলো। এর দায়িত্ব ন্যস্ত হয়েছে আমার ওপর, আমার সরকারের ওপর এবং সর্বোপরি ভারতের সমস্ত জনগণের ওপর। যুদ্ধের তাণ্ডব থেকে আমাদের আর পেছনে ফেরার কোন উপায় নেই। আমাদের দেশপ্রেমিক মানবতাবাদী যোদ্ধা জওয়ানরা দেশের প্রতিরক্ষার জন্য এগিয়ে চলেছে। সারা ভারতে ঘোষণা করা হয়েছে জরুরী অবস্থা এবং এর সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।" বাংলাদেশের মুক্তিকামী জনগণের গণতন্ত্রের পক্ষে ভোট প্রদান এবং জীবনবাজি রেখে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতীয় মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন পূর্বক শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী এ যুদ্ধকে ভারতের যুদ্ধ হিসেবেও আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দেন। এমন সহমর্মী সমবেদনা প্রকাশ এবং অপর দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে নিজ দেশের স্কন্ধে তুলে নেয়ার মহঙ্কÄ সচরাচর দৃষ্ট নয়। কেবলমাত্র আদর্শিক ও নৈতিক বন্ধনই পারে এরূপভাবে একাত্ম হতে। প্রদত্ত ভাষণে তিনি আন্তরিকতার সঙ্গেই বলেন, "বিপদগ্রস্ত (পূর্ব পাকিস্তানের) জনগণকে অত্যন্ত কাছ থেকে দেখেছি" এবং "তাদের সমস্যা আমাদের ছুঁয়েছে, ভাবিয়েছেও বটে। চেষ্টা করেছি, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে এ সমস্যা সমাধানের"- এ কথাটি নিছক কথার কথা নয়। শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী সারা বিশ্ব ঘুরে স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্ব জনমত গড়ে তুলেছিলেন।

    এর পরদিন অর্থাৎ ৪ ডিসেম্বর, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহামান্য অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের যে০থ দস্তখতে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে পত্র প্রেরণ করা হয়। ঐ পত্রের মূল বক্তব্য ছিল, "আমরা গভীর বেদনার সাথে লক্ষ্য করছি, গত ৩ ডিসেম্বর মধ্যাহ্নে পাকিস্তান সামরিক জান্তা কাপুরুষোচিতভাবে আপনার দেশ আক্রমণ করেছে। এহিয়া খানের সর্বশেষ এই অপরিণামদর্শী অপকর্ম সুস্পষ্টভাবে আন্তর্জাতিক রীতি-নীতির লঙ্ঘন যা চূড়ান্তভাবে এটাই প্রমাণ করে যে, তার লক্ষ্য হচ্ছে উপমহাদেশের রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে স্নায়ুবিক চাপ, ধ্বংস এবং আর্থসামাজিক উত্তেজনা বৃদ্ধি করা। পশ্চিম পাকিস্তান সরকারের এবংবিধ নগ্ন অভিলাষ সম্পর্কে বাংলাদেশের জনগণ সচেতন এবং ৯ মাসের কিছু আগেই তারা এর বিরুদ্ধে স্বাধীনতার জন্য সংগ্রামের সূচনা করেছিল। ইতোপূর্বে ১৫ অক্টোবর এবং ২৩ নবেম্বর পাকিস্তান সামরিক জান্তার সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতির বাস্তবতা বিশ্লেষণ করে আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করে জানিয়েছিলাম যতক্ষণ না পর্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে দখলদার বাহিনীর পূর্ণাঙ্গ পরাজয় সুনিশ্চিত হচ্ছে ততক্ষণ লক্ষ্য পূরণে আমরা অবিচল থাকব। আপনার দেশের ওপর এহিয়া এবং তদীয় দোসর জেনারেলগণ কর্তৃক সম্পাদিত আগ্রাসন মোকাবেলায় বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আগ্রাসীদের বিতাড়নে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধে সযত্নে লালিত আমাদের ঐক্যবদ্ধ ও সাধারণ মূল্যবোধ অনুযায়ী চালিত হবে। ম্যাডাম প্রধানমন্ত্রী, ডিসেম্বরের ৩ তারিখ আপনার দেশের বিরুদ্ধে পাকিস্তান কর্তৃক সম্পাদিত নগ্ন আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পাকিস্তানী আগ্রাসী শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধরত বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনী যে কোন সেক্টরে বা যে কোন ফ্রন্টে যুদ্ধে সদা প্রস্তুত। বাংলাদেশকে স্বাধীন ও সার্বভে০ম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষণটি ভারত সরকারের কর্মে শুরু থেকেই প্রতিফলিত। ১৯৭১-এর মার্চের ২৫ তারিখ রাত ১১-৩০ মিনিটে পাকিস্তান সামরিক বাহিনী কর্তৃক পূর্বপরিকল্পিত গণহত্যার নীলনকশানুযায়ী অপারেশন সার্চলাইট শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই অনিবার্য হয়ে উঠেছিল আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা ঘোষণার। আর সেই আনুষ্ঠানিকতা রক্ষার্থে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ কালবিলম্ব করেননি বরং গণহত্যা শুরুর এক ঘণ্টার মধ্যেই পূর্ব প্রস্তুতি মোতাবেক সংখ্যাগরিষ্ঠ আওয়ামী লীগ দলীয় নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের পরমাকাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতার ঘোষণা প্রদান করে বলেছিলেন, "আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন ...!" জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতার মুখনি:সৃত এই আমোঘ বাণী নব উদ্ভূত "গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের" রাজনৈতিক বৈধতা অর্জনের নৈতিক ভিত্তি যুগিয়েছিল। আমাদের স্বাধীনতা পেয়েছিল নিয়মতান্ত্রিক বৈধতা। স্বাধীনতা ঘোষণার এই নিয়মানুগ বৈধতার বলে বলীয়ান হয়ে নবীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের উদ্ভবে মুক্তিযুদ্ধের পরম মিত্র ভারতবর্ষের পক্ষে সম্ভব হয়েছিল মার্চের ৩১ তারিখে অর্থাৎ স্বাধীনতা ঘোষণার মাত্র ৫ দিনের ব্যবধানে বাংলাদেশে গণহত্যা বন্ধে লোকসভায় সর্বসম্মতভাবে প্রস্তাব গ্রহণ করে সমগ্র বিশ্ববাসীর কাছে এটা তুলে ধরা যে, স্বাধীন বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম ন্যায্য ও বৈধ। সর্বসম্মতভাবে গৃহীত এই প্রস্তাবে বলা হয়েছিল-

    "(১) পূর্ব বাংলার সাম্প্রতিক ঘটনাবলীতে এই সভা গভীর উদ্বেগ ও সমবেদনা প্রকাশ করছে। পূর্ব বাংলার সমগ্র জনসাধারণের আকাঙ্ক্ষা ও আবেগ দমন করবার উদ্দেশ্যে তাদের বিরুদ্ধে পশ্চিম পাকিস্তান হতে আমদানি করা সৈন্যবাহিনীর সাহায্যে প্রচণ্ড আক্রমণ করা হয়েছে। (২) ১৯৭০ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত পাকিস্তান জাতীয় নির্বাচনে সেখানকার জনগণ যে অভ্রান্ত রায় দিয়েছে, তাকে যথাযথ মর্যাদা দেওয়ার পরিবর্তে পাকিস্তান সরকার জনগণের সেই নির্ভুল অভিমতকে অগ্রাহ্য করার পথ বেছে নিয়েছে। (৩) পাকিস্তান সরকার আইনসম্মত উপায়ে জনগণের প্রতিনিধিবৃন্দের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করতে কেবলমাত্র অস্বীকার করেন নাই, বরং জাতীয় পরিষদকে তার ন্যায়সঙ্গত তথা সার্বভে০ম অধিকার গ্রহণে অন্যায়ভাবে বাধা দিয়েছেন। বেয়নেট, মেশিনগান, ট্যাঙ্ক, বিমান বহর ও ভারি গোলাগুলি প্রভৃতি দিয়ে বর্বরোচিত নগ্ন আক্রমণের দ্বারা পূর্ববঙ্গের জনগণকে অবদমিত করার চেষ্টা চলছে। (৪) ভারতীয় জনসাধারণ এবং সরকার সর্বদাই পাকিস্তানের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ, স্বাভাবিক ও ভ্রাতৃসুলভ সম্পর্ক স্থাপনের ইচ্ছা ও প্রচেষ্টা করছে। ভারতের অবস্থান এবং এই উপমহাদেশের জনগণের শতাব্দীব্যাপী ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহ্যগত বন্ধনের দৃষ্টিতে এই সভা আমাদের সীমান্তের এত সন্নিকটে অনুষ্ঠিত জঘন্য অত্যাচারের প্রতি উদাসীন থাকতে পারে না। একটি নিরস্ত্র এবং নির্দোষ জনগণের উপর এরূপ এক অমানুষিক অত্যাচারের বিরুদ্ধে আমাদের দেশের সর্বত্র জনগণ নি:সংশয়ে ধিক্কার দিয়েছে। (৫) পূর্ববঙ্গের জনগণের গণতান্ত্রিক জীবনধারণের এই সংগ্রামের প্রতি এই সভা গভীর সমবেদনা ও সংহতি জ্ঞাপন করছে। (৬) শান্তি এবং মানবাধিকার রক্ষার প্রতি ভারতের যে চিরস্থায়ী আগ্রহ রয়েছে, সেই পরিপ্রেক্ষিতে এই সভা অবিলম্বে সকল প্রকার শক্তির প্রয়োগ ও নিরস্ত্র জনতার নির্বিচার হত্যা বন্ধের জন্য দাবি জানাচ্ছে। পরিকল্পিতভাবে একটি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার কাজকে, যা গণহত্যার সমতুল্য, অবিলম্বে বন্ধের জন্য পাকিস্তান সরকারের ওপর প্রভাব সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এই সভা বিশ্বের সকল সরকারের এবং জনগণের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে। (৭) এই সভা গভীর প্রত্যয় ব্যক্ত করছে যে, পূর্ববঙ্গের সাড়ে সাত কোটি জনগণের এই ঐতিহাসিক অভ্যুত্থান জয়যুক্ত হবে। এই সভা এই আশ্বাস দিচ্ছে যে, ভারতীয় জনগণের পূর্ণ সহযোগিতা ও সমবেদনা তাঁরা তাঁদের এই ত্যাগ ও সংগ্রামের পিছনে লাভ করবেন।"

    বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি প্রদান উপলক্ষে ভারতীয় লোকসভার যুক্ত অধিবেশনে প্রদত্ত ঐতিহাসিক বক্তৃতায় শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী বলেন, "বাংলাদেশ 'গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ' নামে অভিহিত হবে। এই সভা নিশ্চয়ই চায় যে, আমি বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও তাঁদের অন্যান্য সহকর্মীদের নিকট আমাদের ঐকান্তিক সংবর্ধনা ও আন্তরিক অভিনন্দন পৌঁছে দেই। ... বাংলাদেশের জনগণ বিরাট বাধার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। ... বাংলাদেশ ও ভারতের সরকার এবং জনগণ স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য যে একসাথে কাজ করেছে তা স্‌ৎ প্রতিবেশীসুলভ দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। ... একমাত্র এরূপ একটি নীতিই এতদঞ্চলে শান্তি, স্থায়িত্ব ও প্রগতির পথ দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠা করতে পারে। ... বাংলাদেশ সরকার ভারতে আগত শরণার্থীদের দ্রুত প্রত্যাবর্তনের এবং তাদের জমি-জমা ও জিনিসপত্র ফিরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করার জন্য পুনরায় উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছে। ভারত স্বাভাবিকভাবেই এই প্রচেষ্টা কার্যকর করার ব্যাপারে সর্বতোভাবে সাহায্য করবে।" লোকসভার সকল সদস্যবৃন্দ দাঁড়িয়ে তুমুল হর্ষধ্বনির মাধ্যমে এই ঐতিহাসিক ঘোষণাকে অভিনন্দন জানান। সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে শুরু থেকে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন পর্যন্ত ভারত সরকার ও জনসাধারণ, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকা অবিস্মরণীয়। দীর্ঘ ২৬ বছরের সেনা শাসনে মুক্তিযোদ্ধা-রাজাকার জোড়কলম বানাবার হীন ও ষাড়যন্ত্রিক অপচেষ্টায় মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল অর্জন ভূলুন্ঠিত করবার নিরন্তর চেষ্টা হয়েছিল। তথাপি সেনাশাসক ও রাজাকারেরা সে চেষ্টায় সফলকাম হতে পারেনি। যুদ্ধোত্তর কালে স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্বের পক্ষে ভারতবর্ষ ও ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকাকে আমরা যতই প্রশ্নবিদ্ধ, বিতর্কিত করার অপচেষ্টা চালাই না কেন তা ধোপে টিকেনি। মহান মুক্তিযুদ্ধে যে দেশটি তার বিপুল দরিদ্র জনসাধারণের ভার বহনে অক্ষম হয়েও নবজাত স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মদানে ধাত্রীর ভূমিকা পালন করেছিল; পরম শ্রদ্ধা আর বিনম্রচিত্তে আমাদের জাতীয় ইতিহাসে তা রত্নখচিত হয়ে থাকবে। বাংলাদেশের রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে ৩,৬৩০ জন ভারতীয় সৈনিক আত্মদান করে, ২৩০ জন নিখোঁজ এবং ৯,৮৫৬ জন সৈনিক আহত হয়। ভিন জাতির এসব বীর সৈনিকদের সুমহান ত্যাগের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা না জানিয়ে, কৃতজ্ঞচিত্তে তাঁদের স্মরণ না করে ইতোমধ্যে অকৃতজ্ঞতার নিকৃষ্ট দৃষ্টান্ত আমরা যথেষ্ট স্থাপন করেছি। এক্ষণে জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার মহিয়সী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননায় ভূষিত করবার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে কৃতজ্ঞতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন। নি:সন্দেহে এই মহতী উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় বিগত দিনের পাপের প্রায়শ্চিত্ত হবে এবং সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে মুক্তিযুদ্ধের সত্য ইতিহাস সুপ্রতিষ্ঠিত হবে।
  • Sushanta Kar | 117.198.50.155 | ২১ জুলাই ২০১১ ২২:৫২484071
  • কল্লোল লড়াইটা ভালৈ চালাচ্ছেন চালিয়ে যান। আমি ভাই সব সময় আসতে পারিনা, কিছু মনে করবেন না।
  • lcm | 128.48.44.141 | ২১ জুলাই ২০১১ ২৩:১১484072
  • আবুল,
    আমরা তো এরকমই জানতাম। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় ভারতের ভূমিকা নিয়ে এক প্রস্থ তক্কো কিছুদিন আগে হয়েছে, এবং, তাতে ভারী অবাকও হয়েছিলাম কিছু কিছু দৃষ্টিভঙ্গী দেখে।
    ৩৬৩০ জন ভারতীয় সৈনিক মারা যান বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে - এই তথ্য জানতাম না। পোস্টটির জন্য ধন্যবাদ।
  • Hrithkomol | 188.28.93.34 | ২২ জুলাই ২০১১ ০৭:৩৮484073
  • তা ইন্দিরা গান্ধীর কি নি:স্বার্থ ভাবেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাহায্য করেছিলেন, নাকি তার স্‌ট্‌র্‌যাটেজিক ইন্টারেস্ট কিছু ছিল? সে ব্যাপারে কি কেউ কিছু বলবেন? মনে হচ্ছে আজকাল রাজনৈতিক দলের সাপের-তেল, জোঁকের-তেল ফেরিঅলাদের বনই ইতিহাস হবে? ইন্দিরা গান্ধীর যদি মুক্তিকামি, স্বাধীনতাকামি পূর্ব্বঙ্গবাসির সাহায্যে তাঁর আদর্শগত কারণে হাত বাড়িয়ে থাকেন তাহলে সেই একই আদর্শ তিনি মুক্তিকামি, স্বাধীনতাকামি কাশ্মিরবাসিদের উপর প্রয়োগ করেননি কেন? স্বাধীনতা তো দূর এস্তার, রেফারেন্ডামও দেওয়া হয়নি। নিরাপত্তা পরিষদের রেজলুশন অমান্য করায় শুধু ইরাকে বোমাহামলা করা যায়। অথচ এ কম্ম ভারত করেছে, ইসরায়েলও করেছে। খালিস্তান আন্দোলন কঠোর হাতে দমন করেছিল কে? স্বর্নমন্দির হামলার মত ভবহ ও সুইসাইডাল সিদ্ধান্ত 'মহিয়সী শ্রীমতি'ই দিয়েছেলন। হাজার লোক মরেছিল, বেশির ভাগ সিভিলিয়ান। 'অপারেশন ব্লুস্টার'-এর ভুত চার মাসের বেশি সময় মঞ্জুর করেনি মিসেস গান্ধীকে।

    আমি মোটেই সাজেস্ট করছি না যে ইন্দিরা গান্ধীর সাহায্য সেদিন প্রয়োজন ছিল না, বা তিনি উপকার করেননি, কিন্তু তিনি যেটা করেছেন সেটা সম্পূর্ণ নিজের হিসেব ঠিক রেখে স্বার্থ অনুযায়ি করেছেন। আর সেটা করতে গিয়ে বিপ্লবী যুদ্ধের শ্রাদ্ধও কম করেননি। নয় মাসে কিলিয়ে কাঠাল পাঁকানোর সুনির্দিষ্ট কারণ ছিল। সেই কারণের ধারাতেই আজ বাংলাদেশের ক্ষমতাশীন দল ইন্দারা গান্ধীকে নিয়ে এতো মাতোয়ারা হচ্ছে এবং তাদের দলীয় 'খায়ের খা'রা সাপের তেল বেচার আশায় লোক জমাতে তাসের খেলা দেখাচ্ছেন। এসব হল মুক্তিযুদ্ধ মোনপোলাইজ করে দলীয় রাজনীতি মার্কেটিংয়ের প্লয়।

    সময় পেলে আরও দুচারখান কথা কওয়ার ইচ্ছে রইল।
  • lcm | 69.236.172.99 | ২২ জুলাই ২০১১ ১২:২১484074
  • বুঝলাম....
    ইন্দিরা গান্ধী স্বার্থপর, স্বৈরাচারী, নীচ।
    কংগ্রেস বাজে।
    ভারত বাজে।
    ...

  • kallol | 220.226.209.2 | ২২ জুলাই ২০১১ ১২:৪৯484076
  • পিটি। আপনার Date:21 Jul 2011 -- 07:58 PM
    পোস্টের সাথে একমত। ভারত লাজলজ্জা বিসর্জন দিয়ে আমেরিকার চামচ হয়েছে। অবশ্য আজকাল আমেরিকা-পাকিস্তান সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। বরং আমেরিকা আজকাল ভারতকে তোল্লাই দিচ্ছে।
    আমি আন্তরিক ভাবে দু:খিত, কথা দিয়েও গতকাল ৭০ দশকে ভারত-সোভিয়েৎ ""বন্ধুত্ব"" নিয়ে লিখতে পারিনি। শনিবার রাতে চেষ্টা করব।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন