এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং

    pi
    অন্যান্য | ২০ জুলাই ২০১১ | ২৯৫১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kallol | 220.226.209.2 | ২২ জুলাই ২০১১ ১২:৫৩484077
  • লসাগুর Date:22 Jul 2011 -- 12:21 PM
    পোস্টের সাথেও একমত। শুধু শেষটা ভারত বাজে - একটা গোটা দেশ বাজে বা ভালো হয় না। ভারত সরকার বাজে, সে বিজেপি, কং জনতা যেই হোক না কেন।
  • Netai | 121.241.98.225 | ২২ জুলাই ২০১১ ১৩:৩৯484078
  • প্রতিবেশী দেশ বন্ধু দেশ হলে এক হাজার একটা সুবিধে। কিন্তু কারন হিসেবে বলা হয়ে থাকে সীমান্ত দিয়ে কাতারে কাতারে নিরুপায় অনুপ্রবেশ। এদের প্রতি সরকার সহানুভুতিশীল ছিল। এদিকে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে পড়েছিল।

    আবার পাকিস্থান ভারতে বোম্বিং শুরু না করলেও কি ইন্দিরা কি ছায়াযুদ্ধ ছেড়ে সরাসরি মাঠে নামতেন? ব্যাপারটা প্রশ্নাতীত নয়।
  • PT | 203.110.246.230 | ২২ জুলাই ২০১১ ১৪:০৩484079
  • কারো কারো মন্তব্যে যেন ৭০-৮০-র দশকের সোভিএত প্রসঙ্গে বহু প্রচলিত ""সামজিক সাম্রাজ্যবাদ"" তত্বের গন্ধ পাচ্ছি!
  • kallol | 220.226.209.2 | ২২ জুলাই ২০১১ ১৪:৫৫484080
  • আজ্ঞে ওটা আমার মন্তব্যে।
  • dd | 124.247.203.12 | ২২ জুলাই ২০১১ ১৫:০২484081
  • ছি কল্লোল।
    টইতে এ সব কি গন্দো ছাড়ছো ?
  • Netai | 121.241.98.225 | ২২ জুলাই ২০১১ ১৫:০৮484082
  • ডিডিদা :)))))
  • kallol | 220.226.209.2 | ২২ জুলাই ২০১১ ১৫:১২484083
  • আরে না না। ওতো তঙ্কেÄর গন্ধো। আসল মাল বের হলে তখন বেশ গন্ধো মাতরম হবে।
  • Biplob Rahman | 202.164.212.14 | ২২ জুলাই ২০১১ ১৯:৫৬484084
  • দেরীতে চণ্ডালের আগমন হেতু আগের পাতার রেশটেনে বিনয়ের সঙ্গে নিবেদন:

    'বেহাত বিপ্লব' চেতনার ধারকরা হয়তো জানেন না, '৭১ এ বিপ্লব হয় নাই, সূচনা যা হয়েছিল মাত্র, তা-ও গোষ্ঠি বিপ্লবীদের ভ্রান্ততঙ্কেÄ এর মৃত্যু ঘটে চোরাবালিতে অচিরেই, জনবিচ্ছিন্নতায় অকালে [পড়ুন, সিরাজ সিকদার: অন্য আলোয় দেখা http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=7133]

    '৭১ এ যে গণযুদ্ধটি হয়েছিল, সেটি 'স্বাধীনতার যুদ্ধ'...এমন কি এই যুদ্ধের আকুতি আরো খানিকটা ছাপিয়ে 'মুক্তিযুদ্ধ' এর বৃহ্‌ৎ বলয়টিকে ধারণ করে; যে যুদ্ধটি দেশ স্বাধীন হওয়া মাত্রই ফুরিয়ে যায় না... একে সমাজ, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, সভ্যতা ইত্যাদি বিনির্মাণের সঙ্গে বার বার এগিয়ে নিতে হয়।

    পপ সম্রাট ও মুক্তিযোদ্ধা আজম খান যেমন বলেন, "দেশের দু:সময়ে আমি এই প্রজন্মকে অন্য এক মুক্তির গান শোনাতে চাই। কারণ, এ দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি, প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনার মুক্তি এখনো আসেনি"...[পড়ুন, আমি যুদ্ধ শেষ করতে পারিনি : আজম খান http://www.sachalayatan.com/biplobr/10798]

    তাই 'অপার বাংলা'তে ফারুক ওয়াসিফ -- "একাত্তরের বেহাত বিপ্লবের বিপ্লবী, হায় বাংলাদেশের হাহাকার জাগানো আজম খানকে তাই প্রতিরোধী চেতনার শিল্পী হিসেবেই ভাবতে হবে"-- ইত্যাদি বলে যে ফ্যান্টাসি তৈরি করেন বা তারই নির্দেশিত ভাবনার হাহাকারে ভাবনার দায়ভার পাঠকের ওপর চাপিয়ে দেন[পড়ুন, আজম খান: প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের জাগর পুরুষ http://www.guruchandali.com/?portletId=20&porletPage=1&pid=wpgc:///2011/06/06/1307339940000.html] বা 'টইপত্তর' এ নিয়ে বেশ খানিকটা হইচই বা উগ্র-উষ্ণা প্রকাশই শেষ প্রশ্ন নয়।

    বরং মুক্তিযুদ্ধটি কতটা মাত্রায় সত্যিকারের দেশপ্রেমিকদের চেতনাবন্দি হবে, এটিকে কি কৌশলে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে চালিয়ে নেওয়া হবে এবং শেষ পর্যন্ত তা আজম-কাঙ্খিত 'মুক্তি'র অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর পন্থা ও রাজকূটকে ধারণ করে কী না -- এটিই এখন সন্দেহাতীত মুখ্য প্রশ্ন।

    ---
    হৃদকমল,

    ["তা ইন্দিরা গান্ধীর কি নি:স্বার্থ ভাবেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাহায্য করেছিলেন, নাকি তার স্‌ট্‌র্‌যাটেজিক ইন্টারেস্ট কিছু ছিল? সে ব্যাপারে কি কেউ কিছু বলবেন? মনে হচ্ছে আজকাল রাজনৈতিক দলের সাপের-তেল, জোঁকের-তেল ফেরিঅলাদের বনই ইতিহাস হবে? ইন্দিরা গান্ধীর যদি মুক্তিকামি, স্বাধীনতাকামি পূর্ব্বঙ্গবাসির সাহায্যে তাঁর আদর্শগত কারণে হাত বাড়িয়ে থাকেন তাহলে সেই একই আদর্শ তিনি মুক্তিকামি, স্বাধীনতাকামি কাশ্মিরবাসিদের উপর প্রয়োগ করেননি কেন?"]

    প্রশ্ন রেখে যথার্থই বলেছেন। 'বেহাত বিপ্লব' এর খোয়াবনামা থেকে আলোচনাটিকে 'স্বাধীনতা যুদ্ধ' তথা 'মুক্তিযুদ্ধ'এ লাইনবন্দি করায় ধন্যবাদ।

    ---

    মুক্তিযুদ্ধকে বিষয় করে চিন্তাটিকে খুঁচিয়ে তোলায় পাই'কে সাধুবাদ জানাই। চলুক। ...

  • Hrithkomol | 188.28.41.26 | ২৫ জুলাই ২০১১ ০৪:৩৫484085
  • আমার গত পোস্টে ইন্দিরা গান্দী’র বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য এবং ভারতের দাদাগিরি ও বাংলাদেশের কথিত ভারত বিরোধীতা নিয়ে চলমান বিতর্কে ‘আরও দুচারখান কথা কওয়ার ইচ্ছে’র ছিল বলেছিলাম। কিন্তু আমার গত কমেন্টে lcmবাবু বা তার দেশপ্রেমবোধ বেশ আহত হয়েছে। যার প্রকাশ “বুঝলাম .... ইন্দিরা গান্ধী স্বার্থপর, স্বৈরাচারী, নীচ। কংগ্রেস বাজে। ভারত বাজে” খেদোক্তিতে। খেদের ব্যাপারটা হয়ত কল্ললবাবু ঠাহর করতে পারেননি। এখনও দেশ বলতে এস্ট্যাব্লশমেন্ট ও সাধারণ মানুষকে একাকার করে করেন এমন পাবলিক কম না। এটাই হল জাতীয়তাবাদি ‘মাহাত্ম্য’। এখানে উল্টো দিকে এস্ট্যাব্লশমেন্টের প্রতিনিধি হিসেবে ইন্দিরা গান্ধীকে সামনে নিয়ে আসার মধ্যে রয়েছে আরেকটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য।

    আগের পোস্টেই উল্লেখ করেছি ১৯৭১ এ স্বাধীনতাকামি পূর্ব বাংলার মানুষের ভারতীয় এস্ট্যাব্লশমেন্টের ও সাধারণ মানুষের সাহায্য ও সহযোগিতা অপরিহার্য ছিল। সেদিন পশ্চিম বঙ্গের সাধারণ মানুষ ‘জয় বাংলা’র মানুষের জন্য যে সাহায্য সহমর্মিতা দিয়েছিল তা ৯৫ ভাগ বাংলাদেশি মানুষ আজও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। কিন্তু স্বাধীনতাত্তোরকালে কি প্রক্রিয়ায় ভারতের সঙ্গে (ভারত বলতে আমি ভারতের এস্ট্যাব্লশমেন্টকে বলছি) বাংলাদেশের মধুর সম্পর্ক তিতে হতে শুরু করে এবং আরও পরে ভারত-ফোবিয়া বাংলাদেশি একটি ধারার জাতীয়তাবাদি রাজনীতির উপাদেনে পরিণত হয় সেটা ব্যাখ্যা করা এই প্লাটফর্মের সীমিত পরিসরে অসম্ভব। তবে সংক্ষেপে একথা বলা চলে যে, এখানে এটা স্বার্থের সংঘাত ও কিছুটা হলেও দাদাগিরির ব্যপার ছিল। যেটাকে নানা ভাবে রঞ্জিত করে কার্যকর ফোবিয়ায় পরিণত করা সম্ভব হয়েছে। সুতরাং এখানে আমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতীয় (ইন্দিরা গান্ধী’র) স্বার্থের পটভূমি, পরবর্তি ‘দাদাগিরি’ যা পরবর্তিতে সম্পর্কের তেতো ও অবিশ্বাস সৃষ্টিতে ইন্ধন দিয়েছে এবং (যেমনটা আমার পূর্বে উল্লেখ করেছি) কি ভাবে ‘স্বাধীনতা যুদ্ধের’ নেতৃত্ব নির্দিষ্ট দল ও শ্রেণীর হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার ভয়ে ৯ মাসের মাথায় কিলিয়ে কাঠাল পাকানোর মত ‘স্বাধীনতা’ এনে দিয়েছিল; যার দুর্ভোগ, এত ত্যাগ ও রক্তপাত সত্বেও, বাংলাদেশের মানুষকে ভোগ করতে হচ্ছে।

    পার্থ চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত ‘ওয়েজেস অফ ফ্রিডম: ফিফটি ইয়ার্স অফ দ্য ইণ্ডিয়ান নেশন স্টেট’ বইয়ে সুবির ভৌমিক তাঁর এক গবেষণা লেখা (নর্থ-ইস্ট ইন্ডিয়া: দ্য এভ্যুলশন অফ এ পোস্টকলোনিয়াল রিজিওন)-এ দেখিয়েছেন ১৯৭১ সনে ভারতের অখণ্ডতা, বিশেষ করে বিচ্ছিন্নতাবাদি আন্দোলনে উত্তাল উত্তর-পূর্ব ভারতের নিয়ন্ত্রণ ও অখণ্ডতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের জন্মে ও মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করা ছিল ভারতের স্‌ট্‌র্‌যাটেজিক স্বার্থের বিষয়। অন্তত: ভারতের দিক থেকে। সুতরাং ১৯৭১ সনের মহেন্দ্রক্ষণে পূর্ব বাংলা স্বাধীনতার দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে ইন্দিরা সরকার এটাকে সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছিল। তিনি আরও দেখিয়েছেন কি ভাবে বিচ্ছিন্নতাবাদের কাছে প্রায় নতিস্বীকার করে রাজী ভারতীয় প্রশাসন শুধু বাংলাদেশের জন্মের সুবিধে ব্যবহার করে গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হয়েছে। শুধু তাই নয়, পূর্ব পাকিস্তানের বিলুপ্তি চীনের সঙ্গে সম্ভাব্য সীমান্ত বিরোধেও ভারতের নিরাপত্তা সুবিধে দিয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা আজ পারমাণবিক আস্ত্রধারী পাকিস্তান শুধু ভারতের পশ্চিম সীমান্তে সীমাবদ্ধ। আজ অখণ্ড পাকিস্তান থাকলে পশ্চিম সীমান্ত তো বটেই, ভারতের পেটের মধ্যে পারমাণবিক পূর্ব পাকিস্তান তার নিরাপত্তার জন্য নাভীশ্বাস হত। এই হিসেবটা বুঝা কি খুবই কঠিন?

    সুতরাং, ৩ হাজার ৬ শো সৈন্যের প্রাণহানি সত্বেও লাভ-ক্ষতির পুঙ্ক্ষাণুপুঙ্ক্ষ বিচারে বাংলাদেশের জন্মের ভারতই সব চেয়ে বেশি লাভবান। এমনকি বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের চেয়েও। এ সত্বেও গত ৪০ বছরে ভারত সীমান্তে বিএসএফ-এর হাতে অনেক ৩ হাজার হতদরিদ্র বাংলাদেশি নাগরিক প্রাণ হারিয়েছে। আজ পর্যন্ত একটা কেস গণতান্ত্রিক ভারতের কোর্টে পর্যন্ত ওঠেনি। এটাও দাদাগিরির নামান্তর।

    স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের প্রেমের সম্পর্ক তেতো হতে শুরু করে। যার মূল কারণ অবশ্যই দাদাগিরি। ব্যবসা-বাণিজ্য, এক তরফা রাজনৈতিক সুবিধে আদায়, চুক্তি ভঙ্গ করা ইত্যাদি এর মধ্যে আছে। এটা মানতে যাদের কষ্ট হয়ে তাদের বলি, শুধু বাংলাদেশ নয়, প্রতিবেশি প্রায় সব দেশের সঙ্গেই ভারতের সম্পর্ক এরকম। ইসরাইলের পরে ভারতই সম্ভত একমাত্র দেশ পৃথিবীতে যার চার দিকের প্রায় সব প্রতিবেশির সঙ্গেই সন্দেহ ও অবিশ্বাসের। পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, চীন, বাংলাদেশ এমন কি নেপাল, কারুর সঙ্গেই খুব একটা সুসম্পর্ক বলা যায় না।

    বলেছিলাম ১৯৭১-এ মুক্তিযুদ্ধে সাহায্যের পাশাপাশি একটি বৈপ্লবিক সম্ভাবনার কথা। যেহেতু ইন্দিরা প্রশাসনের মূল উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তান ভেঙে একটি অনুগত সরকার চালিত দেশ প্রতিষ্টিত করা, শুরু থেকেই তারা দীর্ঘস্থায়ি গেরিলা-ক্যাম্পাইনের সম্ভাব্য বিপদ, যেমন তাদের স্বশ্রেণীর আওয়ামী লীগের হাতছাড়া হয়ে থেকে হার্ডকোরদের হাতে নেতৃত্ব চলে যাওয়া এবং পূর্ব বাংলার সশস্ত্র বিপ্লবী উন্মাদনা ভারতে বিশেষ করে পশ্চিম বঙ্গে হওয়া ইত্যাদি, সম্পর্কে আগাগোড়া সচেতন ছিল। আর যে কারণে ৯ মাসে স্বাধীনতার কাঁঠাল কিলিয়ে পাকানো হয়েছিল। তার ফল হয়েছে প্রায় পাকিস্তানি চরিত্র সম্পন্ন আরেকটি দেশের জন্ম যার নাম, পতাকা আর জাতীয়সংগীত আলাদা। আর তার কুফল বাংলাদেশের মানুষ আজও ভোগ করেছে।

    যাক এ নিয়ে একটা বিস্তারিত লেখা দাঁড় করিয়েছি; সময় সুযোগ মত গুরুচন্ডালিতে পোস্ট করব।

  • lcm | 69.236.169.213 | ২৫ জুলাই ২০১১ ০৪:৫৯484087
  • না, আমি বুঝেছি।
    ...
    ইন্দিরা স্বার্থপর, স্বৈরাচারী, নীচ।
    কংগ্রেস বাজে।
    ভারত মহান।
    ...

    না, অবশ্য এই পোস্ট-এর পর ক্লিয়ার হল কেন ভারত বাংলাদেশের মুক্তিতে মদত দিয়েছিল। কেননা এতে ভারতের খুব লাভ হয়েছিল, কি রকম লাভ? এই যেমন, সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশের নাগরিকদের খুন করা। স্বাধীনতায় হেল্প না করলে কি এমন লাভ হত!

  • lcm | 69.236.169.213 | ২৫ জুলাই ২০১১ ০৫:১০484088
  • "স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের প্রেমের সম্পর্ক তোতো হতে শুরু করে" ---
    সঙ্গে সঙ্গে নয়। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর থেকে। ঠিক বেছে বেছে ভারতের স্বাধীনতা দিবসের দিনে ১৯৭৫-এ মুজিবর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের খুন করে ক্ষমতার হাতবদল হয় বাংলাদেশে। এত কিছু লিখলেন, আর এটা ভুলে গেলেন।
    অবশ্য এটা নিয়ে আলোচনা করা মুশকিল - তাহলে আবার আমেরিকা/সিয়া... জল অন্য দিকে চলে যাবে। তার চেয়ে বরং, ভারত নিয়েই হোক.....
  • Hrithkomol | 188.28.41.26 | ২৫ জুলাই ২০১১ ০৭:১৪484089
  • cmআপনার দেশপ্রেম বোধ তারিফ ও প্রণিধানের দাবি রাখে! তা মশায় এতো দেশপ্রেম নিয়ে মার্কিন দেশে পড়ে আছেন কেন!! অবশ্যে বিদেশেও অনেক দেশপ্রেমিক মানুষ আছে ১৫ অগাস্ট ইত্যাদি বিশেষ বিশেষ দিনে অনুষ্ঠান করে গান গায় 'আমার এইদেশেতে জন্ম (!) জেন এই দেশেতে মরি।' তা এত কিছু থাকতে ১৫ অগাস্ট কেন হল সেটা নিয়ে পড়লেন। বুঝেছি ভারতের জন্য ভীষণ অসম্মানের হয়েছে বটে। দু:খিত আমি বলিনি যে, তারিখটা আমি নির্ধারণ করিনি। আমি করলে অন্যদিন করতাম নিশ্চয়। যাই হোক একটা প্রশ্ন করতে হচ্ছে - তা শেখ মুজিব নিহত হলে নতুন সরকার (যার অধিকাংশ সদস্যই আওয়ামী লীগের ছিল)-এর সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখার ঘোষণা ভারতই দিয়েছিল। এটা কেমন কথা হল? বন্দুর প্রতি এই কী আপনার মহান প্রেমময় দেশের কৃতজ্ঞতা, সহানুভূতি? শেখ মুজিব নিহত হলে কাদের সিদ্দিকী তার ভাই-ব্রাদার ও অনেক সঙ্গি-সাথী নিয়ে ভারতে গিয়েছিল। মুজিব হত্যাকারি সরকারের বিরুদ্ধে আবার যুদ্ধ করবে ভেবে। কিন্তু ভারত কোন সাহায্য করল না। কেন?

    আগেই বলেছি মুজিব হত্যার পরে যে সরকার ক্ষমতায় আসে তার প্রেসিডেন্ট খন্দকার মুশতাক থেকে শুরু করে অধিকাংশ মন্ত্রী ছিল আওয়ামী লীগ থেকে আসা। মানে আরও পরিষ্কার করে বললে (আপনার জন্য) আগের রাত পর্যিন্ত তারা শেখ মুজিবের ক্যাবিনেটেই ছিল! ১৫ অগাস্ট মুজিব হত্যার পর মুজিবের পার্লামেন্টও (যার ৯৮% এমপি শেখ মুজিবের দলের ছিল) নতুন সরকার অজ্ঞাত কারণে বহাল রেখেছিল প্রায় ৩ মাস। কিন্তু মুজিব হত্যার প্রতিবাদের একজন এমপি-ও পদত্যাগ করেনি। খুনি সরকারের কাছ থেকে এমপি হিসেবে বেতন ভাতাও নিয়েছে। তহন বহু এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতা তখন প্রকাশ্যে দেশ-বিদেশের পত্রপত্রিকায় শেখ মুজিবের একদলীয় বাকশাল শাসনের সমালোচনা করেছে। বুঝলেন কি কেন? কারণ তার জনপ্রিয়তা তখন ডাব্বা! আর কেন হবে না - বাংলাদেশের মানুষ কি এই পাকিস্তানের মত একনায়কের শাসনে বাস করতে দেশ স্বাধীন করেছিল? ওহো! আপনিতো আবার ভারত স্বাধীন করে দিয়েছিল না বললে দুক্কু পাবেন! সরি।
  • kallol | 115.242.204.32 | ২৫ জুলাই ২০১১ ০৭:১৭484090
  • না লেখার কি আছে। বেছ বেছে ১৫ অগাষ্ট মুজিবকে খুন করার চক্রান্তে সিআইএ জড়িত বলে অনেকেই মনে করেন। মুজিবের হত্যাকারীরা যে সব দেশে আশ্রয় পেলেন, সেটা দেখলেই পরিষ্কার হয়ে যায়।
    ভারত তখন সোভিয়েত শিবিরে। তাই আমেরিকার চেষ্টা ছিলো ভারতকে বাঁশ দেওয়ার। পাকিস্তান ভেঙ্গে বাংলাদেশ হতে ভারতের স্বস্তি হয়েছিলো, অন্তত পূর্ব সীমান্ত নিয়ে ঝামেলা হাঠলো। সেটা কে ভোগে পাঠানো গেলে, আমেরিকা ও পাকিস্তানের লাভ।
  • kallol | 115.242.204.32 | ২৫ জুলাই ২০১১ ০৭:২৩484091
  • হৃৎকমলবাবু। আপনার সাথে একমত নানান ব্যাপারে। কিন্তু ব্যক্তিগত আক্রমনের ব্যাপারটায় আপত্তি জানালাম। আমেরিকায় বা কামস্কাটকাতে কে কেন থাকবে, সেটা তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এর সাথে তার চিন্তার কোন সম্পর্ক নেই। চিন্তার বিরোধীতা করুন, ব্যক্তির নয়।
  • guru | 166.205.136.184 | ২৫ জুলাই ২০১১ ০৭:৩২484092
  • So... What's the conclusion? In 1971 did India help Bangladesh get freedom? Did India rule Bangladesh after that? Is Bangladesh a province of India now? India did good to Bangladesh then, at least some Bangladeshis think so. Is there anything wrong in this thinking?
  • Hrithkomol | 188.28.41.26 | ২৫ জুলাই ২০১১ ০৭:৫১484093
  • কল্লোলবাবু, বুঝেছি আপনার কথা। কিন্তু ভদ্রলোকের পোস্ট দুটো আবার পড়ুন এবং লক্ষ্য করুন উনি কি বলেছেন? উনি মোটামূটি আমাকে মুজিব হত্যাকারিদের একজনই গণ্য করে বসে আছেন। আমি এত কিছু লিখলাম কিন্তু ভারতের স্বাধীনতা দিবসে শেখ মুজিবকে হত্যার কেন করা হল সেটা ভুলে গিয়েছি কারন "এটা নিয়ে আলোচনা করা মুশকিল - তাহলে আবার আমেরিকা/সিয়া ... জল অন্য দিকে চলে যাবে। তার চেয়ে বরং, ভারত নিয়েই হোক" quiteprovocative নয় কি? আবার উত্তর-পূর্ব ভারতের সুবিধের কথাটা উহ্য রেখে উনি শুধু সীমান্তে নিরীহ নিরিস্ত্র হত-দরিদ্র মানুষ, যাদের বাস্তবে রাষ্ট্র বলে কিছু নেই, তাদের মারার বিষয়টা নিয়ে খোঁচা দিলেন। আসল কথা মানুষ মরছে কিনা? আমি মোটেই 'বাংলাদেশি নাগরিক' মরছে বিবেচনায় লিখিনি। আমার কাছে মানব প্রেম আর দেশ নামক এন্টিটির প্রেম এক নয়। এত দেশপ্রেমিক আমি নই।

    সিআইএ র ব্যাপারে আপনি যেটা বলেছেন সেটা একটি বেশি সাদা-কালো ব্যখ্যা বলেই মনে হয়, যদিও খন্দকার মুশতাক আওয়ামী লীগের চরম দক্ষীণপন্থার লোক ছিলেন। কিন্তু মুজিব হত্যাকারিদের বেশির ভাগ আশ্রয় পেয়েছিল লিবিয়াতে। সে হিসেবে সিআইএ বা আমেরিকাকে জড়িত করা মশকিল হয়ে পড়ে। আর সিআইএ নিজেদের উদ্যোগে ক্য দেতা করলে এত জুনিয়ার অফিসার দিয়ে করবে বলে মনে হয় না। সব মেজর-কর্নেল ছিল। তবে ক্য দেতায় আমেরিকা খুশি হয়েছিল তাতে সন্দেহ নেই।
  • lcm | 69.236.169.213 | ২৫ জুলাই ২০১১ ০৯:৪২484094
  • বোঝো! হৃদকমল তো রীতিমত উত্তেজিত, হৃদস্পন্দন বেড়ে গেল নাকি!

    আমার মত, ভারত বাংলাদেশকে ১৯৭১-এ হেল্প করাতে অফ্‌ কোর্স দু দেশেরই সুবিধে হয়েছে। তুমি বলছ যে না, বাংলাদেশের এতে ক্ষতি হয়েছে - ভারত বাংলাদেশকে সুযোগ বুঝে ব্যবহার করেছে নিজের স্বার্থে। আমি এর সাথে একমত নই।

    বাংলাদেশ ভারতকে আমন্ত্রণ জানায় সামরিক সাহায্যের জন্যে। বাংলাদেশের মাটিতে পাকিস্তানের সঙ্গে লড়াইয়ে বাংলাদেশের মানুষ ভারতীয় সৈন্যর উপস্থিতি কাম্য মনে করে, বাধা দেয় না। চীনের কাছে সাহায্য চাইলে ঢাকায় কয়েক লক্ষ চীনা সেনা প্লেন থেকে নামলে বাংলাদেশের মানুষ খুশী মনে মেনে নিত কি না সন্দেহ আছে।

    আর দ্বিতীয় কথা হল, বাংলাদেশের ৪০ বছরের ইতিহাসে ১৯৭৫-এ মুজিবর হত্যা একটি বড় ঘটনা। এর পরবর্তী কালে একের পর এক মিলিটারি কু, গুপ্ত হত্যার এবং দীর্ঘ মিলিটারি শাসনের ইতিহাস - এই সময় ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক ততটা বন্ধুত্বপূর্ন ছিল না। তার কারণ, ১৯৭৫ এর পর থেকে দীর্ঘ সময়ের জন্য বাংলাদেশে সামরিক শাসন। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সামরিক শাসন ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে প্রভাব ফেলেছিল - এসবের উল্লেখ ছাড়া ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ব্যাখা সম্ভব নয়, সে কথাই বলতে চেয়েছিলাম।

    আর এই দেশপ্রেম, খুনী --- এসব আবার কি। নেটে টাইপ করে দেশপ্রেমিক হওয়া যায় নাকি। ইরাক যুদ্ধ নিয়ে খুব চারিদিকে তর্কবিতর্ক চলছে, তখন লোকজন এরকম দুমদাম বলে বসত ইরাক-প্রেমী, বা, মার্কিন-প্রেমী। তক্কে এরকম হয়। যেমন কাশ্মীর প্রসঙ্গে এখানেই কোথাও আমি পোস্ট করেছিলাম যে কাশ্মীরে গনভোট না করে ভারত ঠিক করে নি, কাশ্মীরের মানুষ ফিল্‌ড বিট্রেড্‌ - তাহলে আমি কি তখন ভারতবিদ্বেষী ছিলাম। তবে কি, তক্কে এরকম হয়।

  • lcm | 69.236.169.213 | ২৫ জুলাই ২০১১ ০৯:৫৩484095
  • আর একটা ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হল, এই এস্ট্যাবলিশমেন্ট বা ব্যক্তি বা দেশ ---

    আমি যখন বলছি, ইন্দিরা বাজে, কংগ্রেস বাজে, ভারত বাজে। তখন, কল্লোলদা আমাকে সংশোধন করে দিলেন যে ভারত বাজে কথাটা ঠিক নয়, একটা গোটা দেশ কি করে বাজে ভালো হয়। ঠিক কথা। কিন্তু, এই একই যুক্তিতে, ভারতের বাংলাদেশের ওপর দাদাগিরি কথাটা ঠিক নয়, হওয়া উচিত ইন্দিরার বা কংগ্রেসের বাংলাদেশের ওপর দাদাগিরি। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ কথাটাও ভুল বিবেচ্য হওয়া উচিত, হওয়া উচিত ওবামা সাম্রাজ্যবাদ। কিন্তু তাই কি হয়। লিবিয়ায় যেখানে বোম পড়ছে সেখানে গিয়ে বোঝানো মুশকিল যে এটা আমএরিকার দাদাগিরি নয়, এটা ওবামার সরকারের দাদাগিরি।
  • kallol | 220.226.209.2 | ২৫ জুলাই ২০১১ ১০:১৪484096
  • লসাগু।
    তুমি লিখেছিলে
    ১) ইন্দিরা স্বার্থপর স্বৈরাচারী নীচ
    ২) কংগ্রেস বাজে
    ৩) ভারত বাজে
    যেহেতু তুমি ইন্দিরা আর কংগ্রেসের থেকে ভারতকে আলাদা করে বাজে বললে, তাই আমি বলেছিলাম একটা গোটা দেশ বাজে বা ভালো হয় না।
    আলোচনার সময় আমরা ভারত সরকার বা আমেরিকা সরকার ব্যবহার না করে ভারত বা আমেরিকা ব্যবহার করি। এটা পরিপ্রেক্ষিতের ওপর নির্ভর করে কি বোঝাতে চাইছি। যখন কেউ বলে ভারতের বৈচিত্র, তখন ভারত সরকারের বৈচিত্র বোঝায় না, বোঝায় ভারত ভূখন্ডটির/মানুষের বৈচিত্র। যখন বলা হয় ভারত দাদাগিরি করছে, তখন ভারত সরকারের কথা হয়, ভূখন্ড বা মানুশাদের কথ বলা হয় না। তেমনি আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদ বললে, সাধারণ আমেরিকানদের বোঝায় না, বোঝায় সরকারকে।
  • Hrithkomol | 188.28.75.64 | ২৫ জুলাই ২০১১ ২০:৩৯484098
  • lcm-এর তঙ্কÄ সঠিক হলেতো ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ বলেও কিছু থাকে না! কি বলতে হবে সেটা কে? ২০০ বছরে ২য় জর্জ থেকে শুরু করে ৩য় জর্জ, ৪র্থ জর্জ, ভিক্টোরিয়া হয়ে ৬ষ্ঠ এডওয়ার্ড, ৫ম জর্জ, ৭ম এডওয়ার্ড, ৬ষ্ঠ জর্জ; দশটা রাজার কার নামে সাম্রাজ্যবাদ হবে? সরকার প্রধানের নামে ধরলে তো ৫৭টা প্রধানমন্ত্রির মধ্যে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ ভাগ গরে দিতে হয়! হাজার হোক আজ যে একীভূত ভারত তৈরি হয়েছে সেটা উপনিবেশিক ব্রিটিশদের কল্যাণে।

    জাতি-পরিচয়, জাতীয়তা ও জাতিরাষ্ট্র ডমিনেন্ট শ্রেণীর এন্টিটি। কিন্তু সাধারণ ও নিচের শ্রেণীর মানুষ যত এই এন্টিটির সঙ্গে নিজেদের শনাক্ত করবে, সেটাকে ‘নিজের’ জ্ঞান করে ধুপধুনো দেবে ততো শাসককূলের লাভ। হেন্স ‘ন্যাশনাল অইডেন্টিটি’ হেন্স ‘প্যাট্রিয়টইজম’‘প্যাট্রিয়টইজম’ আধুনিক রাষ্ট্রের ধর্ম বিশ্বাস। সম্পূর্ণ ভূয়া ‘কমননেস’-এর ধারণার উপর প্রতিষ্ঠিত।

    আমার পোস্টে খুব ছহি করে উল্লেখ করেছি (যদিও সেটা দরকার করে না) ভারত বলতে কি বোঝায়। এস্ট্যাব্লিশমেন্ট শব্দটা ব্যবহার করেছি। বাংলাদেশে দাদাগিরিটা সত্যতা কবুল করলে, সে দাদাগিরি অবশ্যই ভারতীয় শাসকশ্রেণীর ব্যবসা বাণিজ্য, রাজনৈতিক কর্তৃত্ব ও সুবিধে জন্য দাদাগিরি। ইন্দিরা গান্ধির কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু কার্যত: ইন্দিরা গান্ধিও গুরুত্ব পূর্ণ ইস্যু নয়। যেমন নয় ওবামা। তারা শাসকদের প্রতিনিধি মাত্র। বর্তমান জামানায় আরও বলা যায় ওবামা সাহেবরা কর্পোরেটদের স্বার্থের প্রতিনিধি। যে কারণ বুশ ওবামার মধ্যে পার্থক্য উনিশ আর বিশের। মাস ছয়েক আগে ওবামার বহু বছর আগে লেখা ‘ড্রিমস অফ মাই ফাদার’ পড়ছিলাম দ্বিতীয় বার। কেনিয়ায় তাঁর স্‌ৎ ভাইবোনদের ও আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে সময় কাটানোর কাহিনী। কোন ভাবেই সেই ওবামাকে প্রেসিডেন্ট ওবামার সঙ্গে মিলাতে পারছিলাম না আর। লেখার দুর্দান্ত হাত আছে; প্রেসিডেন্সি চলে যাওয়ার পর অফুরন্ত সময় পাবেন হাতে – তখন আবার হাত খুলে লিখবেন ক্ষমতায় থাকতে কি করতে চেয়েছিলাম কেন পারিনি ইত্যাদি।

    ‘পিক এন্ড চুজ’ সুবিধে মত লিবিয়ায় বোম পড়ার উদাহরণটা দিয়েছেন। কিন্তু বিষয়টা একটু জটিল হলেও খুব জটিল নয়। তার প্রমাণ দাদাগিরি প্রকাশ হওয়ার ভয়েই ওবামা সাহেব লিবিয়া জড়িত হতে চাননি। ইউনিলিটেরালি তো নই। কিন্তু ব্যাপারটা কি বুঝতে আরও সহজ হয়না যদি কিউবা, আফগানস্তান, ইরাক দেশের উদাহরণ ধরি? কি বলে সেখানকার লোকেরা? আমেরিকাই ইরাকে সাদ্দাম ও আফগানস্তানে তালেবান, মুজাহেদীন এমন কি ওবামার মত দুর্বৃত্ত পয়দা করেছিল এখন আমেরিকার দখলদারি এসব দুর্বৃত্তশক্তিকে লেজিটিমেট হিসেবে সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য করছে। কারণ তারা রেজিস্টেন্স-ফোর্স। এ জগত প্যারাডক্সে ভরিপুর। কিন্তু আমরা মুদ্রার উল্টো পিঠটা সচরাচর দেখতে চাই না। আমেরিকা পৃথিবীর সব চেয়ে ক্ষমতাধর সামরিক শক্তি বটে। কিন্তু মুদ্রার উল্টো পিঠে এও লেখা আছে, বিশ্বে সব থেকে বেশি যুদ্ধপরাজয় ও বেইজ্জতি হজম করেছে আমিরাকাই। অধিকাংশ দাদাগিরির ব্যাটেল লস্ট। ভিয়েতনাম, ক্যম্বোডিয়া, বে অফ পিগ, লেবানন, সোমালিয়ার সঙ্গে এখন পাইপলাইনে ইরাক ও আফগানস্তান। খুব সম্মানের সঙ্গে এক্সিটের রাস্তা আছে বলে মনে হয় না। দখলদারি মজার জিনিস এই গলিতে যদি কেউ একবার আসে, সেই তো ফাঁসে!’

  • r2h | 198.175.62.19 | ২৫ জুলাই ২০১১ ২২:৫৩484099
  • এই আলোচনার সঙ্গে খুব প্রাসঙ্গিক কিছু নয়

    http://www.mediafire.com/?vob2b66l9vj76h7
  • kc | 89.203.49.18 | ২৫ জুলাই ২০১১ ২৩:২৫484100
  • বাংলাদেশের লোকেরা এই সাইটটার কথা প্রায় সবাই জানেন। এপারের বেশী লোক জানেননা বলেই মনে হয়। পড়ুন। মুজিবর রহমানের অন্যতম হত্যাকারী মেজর ডালিমের ওয়েবসাইট।
    http://www.majordalimbubangla.com/
  • lcm | 128.48.44.141 | ২৬ জুলাই ২০১১ ০৪:৪৪484101
  • হৃদকমল, আমার কোনো তঙ্কÄ নেই। আমি বলেছিলাম ইন্দিরা বাজে, ভারত বাজে। অর্থাৎ, ৫ম জর্জ সাম্রাজ্যবাদী মানে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী। জেনারেলি লোকজন এরকম মানেই করেন। যেমন ইরাক যুদ্ধের কন্টেক্স্‌টে আমি কাউকে বলতে শুনিনি - বুশ সাম্রাজ্যবাদী কিন্তু আমেরিকা(দেশ) ভাল।

    তবে হ্যাঁ, যেটা কল্লোলদা বুঝিয়েছেন কখন দেশ বললে সেই দেশের সরকার বোঝায়, আর কখন দেশ বলতে গোটা দেশের মানুষ বোঝায়, সেটা ঠিক। কিন্তু তক্কের সময় তো অনেকের এসব ঠিক থাকে না, সহমত না হলেই তখন লোকে আবেগের ঠেলায় তকমা লাগাতে ভালোবাসে - দেশপ্রেমী, দেশদ্রোহী... এসেট্রা।

  • PT | 203.110.246.230 | ২৬ জুলাই ২০১১ ১৬:১৫484102
  • ডালিমের এই ওয়েব-সাইটটি কবেকার? এতে লেখা আছে যে তিনি ১৯৯৫ সালের পরে "দেশে ফিরে নিজস্ব ব্যবসা শুরু করেন।" অন্যত্র দেখছি যে On August 28, 2008, the High Court division of Supreme Court of Bangladesh একটি রায় দেন। সেই রায় অনুযায়ী The individuals who received life imprisonment included
    Lieutenant Colonel (Rtd.) Shariful Haque (Dalim) (absconded, now living in Canada)

  • kc | 89.203.49.18 | ২৬ জুলাই ২০১১ ২০:৩০484104
  • উনি তো অনেকদিন ধরেই আত্মগোপন করেই থাকেন। বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় এনারা একটু আধটু দেখা দিতেন।

    এটাও দেখুন কর্নেল রশিদ আর কর্নেল ফারুক রহমানের সাক্ষাৎকার।

  • hrithkomol | 188.29.123.16 | ২৭ জুলাই ২০১১ ০৪:১৫484105
  • LCM, কল্লোল যেটা বলেছে সেটা আরও একটু সোজা করে বলা যায়, রাজনৈতিক অর্থে দেশ বলতে তার শাসকদের মিন করে। কারণ রাষ্ট্র জিনিসটাই পলিটিক্যাল এন্টিটি। আর ভৌগলিক বা সাংস্কৃতিক অর্থে বললে সাধারণত: আম-জনতাকে বোঝানো হয়। যদিও অনেক সময়ে ‘জাতীয় সংস্কৃতি’ রাজনৈতিক ভাবে তৈরি করা রাষ্ট্রের পরিচয়ের অনুগামি হয়ে যায়। যেমন ১৯৪৭ এর পর বর্তমানে যেটা ভারত রাষ্ট্র সেটা যদি পাকিস্তান পাকিস্তান, বাংলাদেশের মত তার নতুন একটা নামকরণ করত, তাহলে ধারণা করা যায় পাকিস্তানি এবং বাংলাদেশি নির্বিশেষে এ উপমহাদেশের কারুই নিজেদের ‘ভারতীয়’ পরিচয় পরিচিত করতে আপত্তি থাকত না।
  • hrithkomol | 188.29.123.16 | ২৭ জুলাই ২০১১ ০৪:৫১484106
  • যাক, ইন্দিরা গান্দী বা ভারতের সাহায্য নিয়ে বিতর্কটা আবার চাঙ্গা করার চেষ্টা করি। এই সাহায্যের জন্য বাংলাদেশের কাছে ভারতের বিশেষ কৃতজ্ঞতা বা সমীহ পাওয়ার আছে কিনা তা নিয়ে আমি আমার বিস্তারিত মত বা যুক্তির আগে আমি একটা প্রশ্ন রাখলাম সবার জন্য। ১৯৭৫ সনে বাংলাদেশে শেখ মুজিব সরকার উৎখাতের পর থেকেই ইন্দিরা সরকার বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাবাদি গেরিলাদের মুক্ত হাতে সাহায্য সহযোগিতা ও মুক্তিযোদ্ধাদের মতই ট্রেনিং ও অস্ত্র যোগান দিয়েছে। রীতিমত ট্রেনিং ক্যাম্প করে ট্রেনিং দেওয়া হয়ছিল। ১৯৭৭ সনে ইন্দিরা সরকারের পতন পর্যন্ত এটা চলেছে এবং ১৯৮০ তে ক্ষমতা এসেও আবার চেষ্টা করেছে। মোরারজি দেশাই সরকার এয়াট বন্ধ রেখেছিলেন। বাংলাদেশের ১৩টা সিনো-তিবেতিয়ান স্মপ্রদায় বাস করে। মজা হচ্ছে ১৯৭২ সনে শেখ মুজিবুর রহমান ইন্দিরার ক্যাজুয়াল অনুরোধ অগ্রাহ্য করে পাহাড়ি জনগোষ্ঠির জাতিসত্বার স্বীকৃতি না দিয়ে বরং আইনজারি করে তাদের জোর করেই 'বাঙালি' করেছিলেন। অথচ এদের সঙ্গে কিন্তু তখন ভারত তা নিয়ে পাহাড়ি গেরিলাদের সাহায্য করাতো দূরের কথা, এমন কি শেখ মুজিব কে বিন্দুমাত্র চাপও দিল না। কিন্তু মুজিব মরার পরে, মুখে দুদেশই সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখার কথা ও আগের সব চুক্তি মেনে চলার কথা বলা সত্বেও প্রায় পর দিন থেকেই ইন্দিরা সরকার 'শান্তি বাহিনী'কে অস্ত্র, ট্রেনং, বারতের ভূখণ্ড ব্যবহার সহ সব রকম সাহায্য শুরু করল।

    এখন আমার প্রশ্ন খুবই সিম্পল, এই সাহায্য কি ইন্দিরা গান্ধী পাহাড়ি সংখ্যালঘু জাতিসত্বার মুক্তির জন্য করেছিলেন, নাকি নিজের রাজনৈতিক স্বার্থে করেছিলেন?
  • kc | 89.203.49.18 | ২৭ জুলাই ২০১১ ০৮:৫০484107
  • এটা বোধহয় ইন্দিরা গান্ধি প্রতিহিংসায় করেছিলেন। কারণ ১৫ই আগস্টের অভ্যুত্থানের পরেপরেই বাংলাদেশ সরকার প্রথম যে কাজটি করেন সেটি হল ভারতের সঙ্গে ২৫ বছরের সহযোগিতা চুক্তি বাতিল করেন। ফলশ্রুতিতে যে কোনও অমুজিব সরকার ভারতের চক্ষুশূল হয়ে ওঠে। আর ইন্দিরা গান্ধি যা করেছিলেন মোরারজী দেশাই স্বভাবতই তার উল্টোটাই করবেন।
  • Bratin | 117.194.98.99 | ২৭ জুলাই ২০১১ ০৯:৪৭484109
  • আমর এই ব্যাপরে তেমন পড়াশোনা নেই। সবার আলোচনা থেকে বিষয় টির অনেক গুলো দিক উঠে এসেছে।

    আমার প্রশ্ন এই পরিস্থিতে তে ইন্দিরা গান্ধী ঠিক কী করলে সব দিক রক্ষা পেত ( 'সাপ ও মরতো লাঠি ও ভাঙ্গতো না' টাইপস!!'? কল্লোল দা,KC আর LCM দা,PT দা একটু বলবে/বলবেন প্লিজ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ মতামত দিন