এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  গান

  • জর্জ বিশ্বাস: একশো বছর

    Shibanshu
    গান | ২২ আগস্ট ২০১১ | ৬০৪৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kallol | 119.226.79.62 | ২৫ আগস্ট ২০১১ ০৯:০৭491977
  • কারন বিতর্ক এড়িয়ে চলতে রায় মশাই নোবেল পেয়েছেন। তাই জর্জদার ঠাঁই হয় নাই।
  • dd | 124.247.203.12 | ২৫ আগস্ট ২০১১ ১১:১৭491978
  • মনে মনে ভাবছিলাম, এই দীপংকর (গা ঝ),শিবাংশু আর ন্যাড়ার লেখাগুলো আলাদা ভবে তিনটি লেখা কিন্তু একত্তর হয়ে একই মলাটের নীচে "জর্জ বিশ্বাস : সংগ ও অনুষংগ" বা অম্নি কিছু নামের চটি বই হয়ে বেড়োতো - তো দারুন হতো।

    তিনটে লেখাই দারুন জমেছে।
  • kallol | 119.226.79.62 | ২৬ আগস্ট ২০১১ ০৯:৫৭491979
  • দীপ্তেনকে দুহাত তুলে।
  • Shibanshu | 59.90.221.5 | ২৬ আগস্ট ২০১১ ১৩:৩৬491980
  • দু'তিনদিন ছিলুম না। এসে দেখি আলোচনা বেশ এগিয়ে গেছে। ন্যাড়াকে অনেক ধন্যবাদ। আমি দ্বিতীয় পর্যায়ে জর্জদার গানের যে কারিগরির দিকটি নিয়ে লিখবো ভেবেছিলুম, তা তিনি অনেকটা লিখে দিয়েছেন।

    ন্যাড়ার সঙ্গে আমি জর্জদার পরিবেশনার এই দুটি প্রধান চারিত্র্যলক্ষণের সঙ্গে একমত।

    . যন্ত্রনুষঙ্গ ও তার বিন্যাসের বৈচিত্র্য,
    . যেকোনও গান পরিবেশনের সময় তাঁর নিজস্ব সম্পদকে ( তাঁর কণ্ঠস্বর ও timingয়ের কৌশল) একশো ভাগ তুলে ধরা।

    সচরাচর রবীন্দ্রসঙ্গীতের বহু কুশল শিল্পীকেও দ্বিমাত্রিক ( সুর ও লয়/ তাল) পরিবেশনের বাইরে গিয়ে ঝুঁকি নিতে সেকালে বিশেষ দেখা যায়নি। রবীন্দ্রনাথের গানের মধ্যেও যে নাট্যমাত্রা আনা যায়, সেটা প্রথম পাই পঙ্কজকুমারের ঘরানায়। গানের মধ্যে যে সংলাপ তার শুদ্ধ বিবরণীপাঠ মাত্র না করে যদি তাতে 'রক্তমাংস'এর মানবিক মাত্রা ( পড়ুন, নাটকীয় আবেগ) যোগ করা যায়, তবে তা দৈবী মন্ত্রপাঠের ঊর্ধে গিয়ে মানুষের কাছে বেশি কার্যকরীভাবে পৌঁছোয়। তবে এই 'আবেগ' কতোটা পর্যন্ত স্বীকারযোগ্য তা নিয়ে তর্ক হতে পারে। এই প্রশ্নটা আজকের দিনে খুব প্রাসঙ্গিক, কারণ শিল্পীর এই স্বাধীনতাটির অপপ্রয়োগ বেশ দেখা যাচ্ছে। জর্জদার সেই মেধা ও সংযম ছিলো অনুকরনযোগ্য, কিন্তু নিম্ন বা মধ্য মেধার গায়করা যে এই শৈল্পিক সীমারেখাটির প্রতি সতত বিশ্বস্ত থাকতে পারবে না, তা হয়তো জানাই ছিলো এবং সেটাই ছিলো সম্ভবত সঙ্গীতবোর্ডের আশঙ্কা।

    ন্যাড়া যে কয়েকটি মাত্র গানের উল্লেখ করে জর্জদার যন্ত্রবিন্যাসের কৌশলটিকে বোঝাতে চেয়েছেন তা অসম্পূর্ণ থেকে যেতে বাধ্য ( আমিও এই সমস্যাটির নিদান খুঁজে পাইনি। কারণ সব প্রয়োজনীয় উদাহরণ শ্রোতাদের কাছে net থেকে পাওয়া না যেতেও পারে)। যতক্ষণ না শ্রোতাকে তা বিশদ শোনানো যাচ্ছে ততোক্ষণ তা অক্ষরবৃত্ত হয়েই থেকে যাবে সুরবৃত্ত হতে পারবে না। তবে তিনি শ্রমস্বীকার করে যে কটা উদাহরন পাঠকদের জন্য সূচিত করেছেন, তাঁর জন্য তিনি ধন্যবাদার্হ।

    যেমন, 'এইতো ভালো লেগেছিলো', পুরোনো রেকর্ড, যন্ত্রনুষঙ্গ শুনলে মনে হবে যেন একজন বাউল গাঁয়ের পথে পথে গেয়ে চলেছে, সুরের উচ্চাবচ, ধারাস্রোতের মধ্যে একটা গড়িয়ে যাওয়ার গতি আছে। এটাই ঐ সুরবিন্যাসের নাট্যরস। পুরোনো গানের মধ্যে 'আজি যতো তারা তব আকাশে'যন্ত্রবিন্যাসের মধ্যে একটা বিরাটকে ধরার জমকালো প্রয়াস আছে। অন্তত ষোলো পিস অর্কেস্ট্রা ব্যবহার হয়েছে মনে হয়। কয়েকটি গানের যন্ত্রায়োজন বিশেষ করে উল্লেখ করতে হয়, যেমন, গায়ে আমার পুলক লাগে, এ কী মায়া লুকাও কায়া, বহুযুগের ওপার হতে, দারুণ অগ্নিবাণেরে, গোধূলিগগনে মেঘে ইত্যাদি ইত্যাদি। 'বহুযুগের ওপার হতে' শুনলে মনে হয় সলিল চৌধুরির কম্পোজিশন। ম্যারাকাসের উল্লেখ করেছেন ন্যাড়া। 'প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে'র প্রায় সমান সুরে তৈরি ' আমার জ্বলেনি আলো অন্ধকারে'র লয় ধরে রেখেছে ম্যারাকাস। গলার রিভার্ব বাড়িয়ে শুধু কর্ডে আঘাত করে লয় ধরে রাখা তাঁর আগে রবীন্দ্রসঙ্গীতে আর কেউ করেনি। যেসব গানের সুরে অভিভাবক রাগের ভূমিকা প্রকট থাকে, সেখানে মূলত বাঁশি ( কারণ তাঁর কন্ঠের মন্দ্র ও বাঁশির তার পরস্পরকে বেঁধে রাখে) মুখ্য ভূমিকা পালন করে, তার সঙ্গে থাকে সেতার ও বেহালা। যেমন, আজি শ্রাবণ ঘন গহন মোহে, আমার যেদিন ভেসে গেছে, আমার রাত পোহালো ইত্যাদি। আবার একটু দ্রুত লয়ে, অনেক দিনের আমার যে গান, প্রিলিউড পিয়ানো দিয়ে, কিন্তু চলে যাচ্ছে বাঁশিতে। আবার ঢিমে লয় 'এ মণিহার' য়ে তিনি তাঁর কন্ঠের বেসকে প্রাধান্য দিচ্ছেন, তাই গানটি বাঁশি দিয়ে শুরু করে বেহালায় চলে যাচ্ছে। রবীন্দ্রসঙ্গীতের সুর ও বাণীর মধ্যে যে নাটকীয় টানাপড়েন তাকে তিনি সতত সফলভাবে খুঁজে পেয়েছেন এবং নিজের পরিবেশনায় তাকে মূলস্রোতের সঙ্গে পূর্ণ মর্যাদায় মিলিয়ে দিতে পেরেছিলেন।

    যতো বয়েস বেড়েছে, তাঁর কন্ঠস্বরের ন্যাচরল বেস বেড়েছে আর কমেছে লয়ের দ্রুততার দম। এই প্রাপ্তি ও ক্ষতি, দুটোকেই তিনি অবলীলায় ব্যবহার করতে পেরেছেন নিজের পক্ষে। যতোদিন গেছে তিনি গানের লয় কমিয়ে দিয়েছেন। স্বরবিতানে যে তালনির্দেশ করা আছে তাতে বদ্ধ না থেকে তালমুক্ত নাটকীয়তা নিয়ে এসেছেন গাইবার সময়। এই গুলো ই তো ছিলো তাঁর বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ। তবে এ সবই তাঁকে শ্রোতার কাছে বেশি করে নিয়ে এসেছে, সে শ্রোতা 'প্রস্তুত' বা 'অপ্রস্তুত' তার অপেক্ষা রাখেনি। পন্ডিতরা পরিস্থিতিটি ঠিক বুঝতে পারেননি তখন, রবীন্দ্রসঙ্গীতের শুদ্ধতা নিয়ে বেশ দ্বিধায় ছিলেন।

    জর্জ বিশ্বাস ও আভাস গাঙ্গুলি, দুজনেই রায়মশাইয়ের আত্মীয় ছিলেন। তবে আমার মনে হয় কন্ঠস্বরের adaptability, যেটা যেকোনও চিত্রগীতির প্রধান শর্ত, সেটা আভাসবাবুর অনেক বেশি ছিলো। রায়মশাই এই জন্যই হয়তো ঝুঁকি নেননি। 'বিতর্কে' যাবার কুন্ঠা তো তাঁর বিশেষ ছিলোনা বলেই জানি। আকাশ 'ভওড়া' বিতর্কটি যতোদূর মনে পড়ছে সুভাষ চৌধুরী মশাইয়ের বক্তব্য ছিলো, যেটা এক্ষণের জন্য রায়মশাইয়ের সাক্ষাৎকার নেবার সময় উল্লেখ করেছিলেন।

    'চিবিয়ে' শব্দ উচ্চারণ করার প্রবণতা আমরা রবীন্দ্রনাথের জীবৎকালের কিছু প্রধান শিল্পীদের কোনও কোনও গানে পাই। পথিকৃৎ হিসেবে এঁরা নমস্য, কিন্তু এখন আমরা এ ব্যাপারটি হয়তো পছন্দ করিনা। রুচি তো বদলাতে থাকে। এঁদের মধ্যে কনক দাসও আছেন, জর্জদার প্রথমদিকের গানে তাঁর প্রভাব ছিলো। পরেরদিকে তিনি নিজের অবস্থান খুঁজে নিয়েছিলেন।
  • Shibanshu | 59.90.221.5 | ২৬ আগস্ট ২০১১ ১৬:২৫491981
  • ভুল হয়ে গেছে। হয় চরিত্রলক্ষণ হবে বা চারিত্র্য :-(

    কিকি, নিনা সান্ধ্য ভাষায় কিছু আদেশ করেছে। ঠিক কী করতে হবে একটু যদি প্রাঞ্জল হয় :-)
  • kiki | 59.93.246.248 | ২৬ আগস্ট ২০১১ ১৭:৩২491982
  • ঐ , মানে, আপনার ব্যাথা নিয়ে যে দারুন লেখাটা লিখেছিলেন, সেটা আরেকবার লিখলে ভাল্লাগবে।এখেনে ভাঙ্গা প্রেম, হলেও হতে পারতো প্রেম ইত্যাদি নানা রকম টই আছে, চাইলে নিজেও একখান খুলে নিতে পারেন।এই আর কি!

    ব্যাস , আমি এবার তল্লাট ছেড়ে হাওয়া হয়ে গেলাম।
  • pi | 72.83.92.218 | ২৬ আগস্ট ২০১১ ১৮:১৯491983
  • 'আজি যত তারা তব আকাশে' কেন অমন ভাল লেগেছিল, টের পাইনি। আজ শিবাংশুদার লেখা পড়ে আবার শুনতে ইচ্ছে করছে। ঐ জমকালো অর্কেস্ট্রা।
    চলুক !
  • nyara | 122.172.33.215 | ২৬ আগস্ট ২০১১ ২৩:৩৬491984
  • টিম,

    সুমনের এই ইন্টারভিউটা দেখে নাও। প্রথমেই উনি বাংলা গানের উচ্চারণের বিবর্তন নিয়ে বলেছেন। এখন বাংলা ভাষায় এ ব্যাপারে বলার থেকে যোগ্যতর কেউ আছে বলে জানিনা। আগে থাকলেও শতেকে গুটিক। হোয়াট অ্যান অ্যানালিটিকালি মিউজিকাল মাইন্ড।

    #at=1790


    আর একটা অসামান্য কথা বলেছেন এই ইন্টারভিউতে - "গান আবেগ দিয়ে তৈরি হয় না, হয় গানের উপাদান দিয়ে"। বাংলা গানের সমালোচনার ধারায় এইটা আমি দেখি - সমালোচকরা আবেগে থরথর, কিন্তু উপাদানের অ্যানালিসিস নেই। ইতিহাস পাবে, কিন্তু বিশ্লেষণ নেই। ধূর্জটিপ্রসাদের অল্প কিছু চেষ্টা করেছিলেন, তবে নিজে মিউজিশিয়ান না হওয়ায় সেগুলো দাঁড়ায়নি (যদিও মরিস কলেজের ছাত্র)। দিলীপ রায় হয়তো পারতেন। অমিয় সান্যাল মশাই করতে পারতেন, কিন্তু রাগের স্ট্যাটিস্টিকাল অ্যানালিসিস করে সময় নষ্ট করলেন। অবশ্য 'লঘু' সঙ্গীতে বোধহয় ওনার বিশেষ উৎসাহ ছিল না। রাজ্যেশ্বরবাবুও 'লঘু' সঙ্গীতে তথৈবচ। সুধীরবাবু কথার অ্যানালিসিস কিছু করেছেন। সলিল চৌধুরীর একটা অসামান্য অ্যানালিসিস আছে নিজের গানের। আর যেটুকু করার করেছেন সুমন।
  • pi | 72.83.92.218 | ২৬ আগস্ট ২০১১ ২৩:৪৩491985
  • এই সাক্ষাতকারটা সুমনের নিজের খুব না-পসন্দ। ওনার মতে প্রশ্নকর্তা কিছু জানতেই না। অনেক কথা নাকি বলার ছিল, বলতে পারেন নি।
  • nyara | 122.172.33.215 | ২৬ আগস্ট ২০১১ ২৩:৫১491987
  • এ ধরণের ইন্টারভিউতে প্রশ্নকর্তার জ্ঞানের খামতির থেকেও বিরক্তিকর ফোন আসা, ফোন ধরা আর অমুক গানটা শোনাবেনের অনুরোধ। সুমন ডেফিনিটলি আরও অনেক বলতে পারতেন। সেদিন মুডে ছিলেন। কিন্তু যা বলেছেন, সেটা বলার মতনও আর লোক নেই।
  • pi | 72.83.92.218 | ২৭ আগস্ট ২০১১ ০০:০৫491988
  • আরো বলতে চান তো।
    ন্যাড়াদা, সাক্ষাতকার নেবেন ?
  • sudipto | 202.78.234.242 | ৩০ আগস্ট ২০১১ ১৭:৩৬491989
  • প্রথমেই শীবাংশু ধন্যাবাদ জানাই এখানের সূত্রটি দেবার জন্য।অনেক অজানা তথ্য পেলাম,আবার কিছু জানা ছিলো আগে,নতুন করে পেলাম। আমি মজলিশে লিখেছিলাম আমাদের দেশের শস্ত্রীয় সঙ্গীত মোনোফোনিক, অর্থাৎ কেউ গান করেন,বা কোনো যন্ত্র বাজান, আর সঙ্গে কেউ সংগত করেন,যেমোন তবলায়।
    রবীন্দ্র সঙ্গীত কেনো তখনকার দিনে এটাই প্রথা ছিলো। আমার জন্ম ১৯৪৬ সালে। জন্ম থেকেই গানবাজনা শুনছি। আমার ডাক্তার ঠাকুর্দা এস্রাজ বাজিয়ে অতুল প্রসাদের গান গাইছেন এখনো চোখের সামনে ভাসে। আমাদের যৌথ পরিবারে একটি অরগানো ছিলো। ছোটো কাকা দক্ষিনীর মনে হয় প্রথম ব্যাচ। ছোটো কাকা অরগান বাজিয়ে গাইছেন,সঙ্গে মা,দিদি,কাকিমারাও গান করছেন,এটা প্রায়ই শোনার সৌভাগ্য হয়েছিলো। তখন পঙ্কজ কুমার মল্লিকের রেডিও তে একটো অনুষ্ঠান হতো গান শেখার আসর।আমার মা ঐ খান থেকে বেশকিছু গান শিখেছিলেন। স্কুল কলেজে পড়ার সময় পাশত্য যন্রসঙ্গীত শেখার সুযোগ ঘটে।
    এই সময়েই বুঝতে পারি পাশত্য সঙ্গীতে পলিফোনিক বা সিম্ফনি ব্যাপারটা আছে যেটা আমাদের দেশে আগে ছিলো না। স্প্যানিশ গীটার যখন শিখছি ১৯৬৪ সালে,কর্ড বাজিয়ে তালের সঙ্গে রবীন্দ্র সঙ্গীত গাইবার চেষ্টা করতাম। বেশ ভাল ই লাগতো। তখন বুঝতে পারলাম দেবব্রত বিশ্বাষের গান এতো কেনো ভালো লাগে। তিনি ঐ সব সাবেকী যন্ত্র থেকে বেরিয়ে এসে কি সুন্দর অরকেস্ট্রেশান করেছিলেন তাঁর গানের সঙ্গে। প্রেলুড বা ইন্টার্লিউড হিসেবে গানের মূল সুর বাজানো তখন উঠেই গেলো। এখোনো অবশ্য অনেক শীল্পি আছেন যাঁরা ঐ সাবেকি রীতি মেনে চলেন,তবে সংখ্যায় তাঁরা খুব কম।চাকরী জীবনে ৮০র দশকে ঢাকুরিয়াতে একটি শীল্পি গোষ্টির সদস্য ছিলাম। ওখানে ড:চৈতালী সাহা ছিলেন আমাদের পরিচালিকা।পেশায় স্খুল/কলেজ শিক্ষিকা।ওনার বাড়িতে নিয়মিত আমাদের গানের আসর বসত।ওনার একটি গবেষনার বিষয় ছিলো western influence on Tagore songs।তখন কবিগুরুর অনেক গান,যেগুলো পাশাত্য সুর থেকে নেওয়া,সেগুলোর সঙ্গে পরিচয় হয়। যেমোন old lang syne,drink to me only with thine eyes,Nancy Lee ইত্যাদি।এই অনুঠানটি আমরা বহু যায়্‌গায় করেছি তখন।এখানে দেখলাম একজন waltz রিদিমের কথা বলেছেন।
    drink to me only গানটা থেকেই তো কবি কতোবার ভেবেছিনু গানটি করেছিলেন। জর্জ দার গান সামনে থেকে শোনার সৌভাগ্য আমার হয়েছিলো।কিন্তু কেনো অতো ভালো লেগেছিলো পরে বুঝেছিলাম।
    ভালো থাকবে সবাই,
    সুদীপ্ত
  • aka | 168.26.215.13 | ৩০ আগস্ট ২০১১ ১৭:৫৭491990
  • সুমনের এই ইন্টারভিউটা অসাধারণ, নব্বইয়ের দশকে এরকম একটা ভাষণ শোনার অভিজ্ঞতা হয়েছিল। ইন্টারভিউ না করে ওনাকে কথা বলতে দিলেই হয়। দুর্দান্ত কথা বলেন।
  • nyara | 122.166.161.65 | ৩০ আগস্ট ২০১১ ২০:৫৩491991
  • তো ইয়ে ভি দেখিয়ে -


  • kallol | 115.242.216.79 | ৩০ আগস্ট ২০১১ ২০:৫৬491992
  • এক্ষুনি চাই। সুমনের সাক্ষাতকার নিচ্ছে ন্যাড়া। এটা না হলে মারপিট হয়ে যাবে।
  • Tim | 198.82.20.109 | ৩০ আগস্ট ২০১১ ২১:০৪491993
  • ন্যাড়াদা, থ্যাঙ্কু।
  • pinaki | 122.174.26.231 | ৩০ আগস্ট ২০১১ ২১:২২491994
  • এই সাক্ষাৎকারটা কবে হচ্ছে? এটা না হলে ইতিহাস ক্ষমা করবে না। সময়ের যেন কোনো লিমিটেশন না থাকে। সুমনের এখন অঢেল সময়।

    আমি যদ্দূর জানি কবীর সুমনের একটা লক্ষ্য ছিল বাংলা গানের একটা রিসার্চ অ্যাকাডেমি না আর্কাইভ - কিছু একটা করার। যেহেতু উনি এখন বয়েসের কারণেই আগের মত গাইতে পারেন না, গুরুচন্ডালি যদি ওনাকে এই ধরণের রিসার্চের কাজে একটা ভূমিকা নেওয়াতে পারতো - খুবই ভালো হত। ন্যাড়াদা, কল্লোলদা, শিবাংশুদাদের মত সঙ্গী পেলে উনি এখনো অনেক কিছু দিতে পারেন বাংলা গানকে। আগের ফর্মে নয়। অন্য কোনো ফর্মে। একটা নতুন ভূমিকায়। সেটা একটা সাক্ষাৎকার দিয়েই শুরু হোক না।

    পাই এটা সিরিয়াসলি ভেবে দেখ।
  • pi | 128.231.22.133 | ৩০ আগস্ট ২০১১ ২১:৪৭491995
  • গান নিয়ে কথা হয়েছে ওঁর সাথে। ওঁর নিজেরই গুচ্ছ পরিকল্পনা, ভাবনা রয়েছে। কাজও করছেন।
  • nyara | 203.83.248.37 | ৩০ আগস্ট ২০১১ ২২:১৯491996
  • যাঁরা আমাকে সাক্ষাৎকার নিতে বলছেন, আমার প্রতি স্নেহবশত বলছেন। এটা ঠিক যে আমি সুমনের মতন লোকের গান-সম্বন্ধে কথা বলা খিদে-তেষ্টা ভুলে ঘন্টার ঘন্টা শুনতে পারি। কিন্তু মুখ খুললেই চিত্তির।

    অনেকদিন আগে, সবে সুমনের 'তোমাকে চাই' বেরিয়েছে, দুই বন্ধুর সঙ্গে ওনার বাড়িতে ঢুঁ মেরেছিলাম। আড়াই-তিন ঘন্টা আড্ডা হয়েছিল, মারিয়া-বৌদিও ছিলেন। আমি কতকগুলো আনসান প্রশ্ন করায় সুমন জিগেস করেছিলেন, 'আপনি কি সাংবাদিক?'
  • pi | 128.231.22.133 | ৩০ আগস্ট ২০১১ ২২:২৭491998
  • সুমন সিনেমা বানাতে চান। প্রোডিউসার খুঁজছেন।
  • Nina | 12.149.39.84 | ৩০ আগস্ট ২০১১ ২২:৩১491999
  • তাই ?! পাই ওনাকে বল শৈলেশ চৌধুরির সঙ্গে যোগাযোগ করতে--BSI Grp "মৌ বনে আজ" ছবির রিলিজের জন্য কলকাতা যাবেন যখন। :-)
    শৈলেশ প্রডিউস করেছেন, রাজা সেন ডিরেক্টর।
  • aranya | 144.160.98.31 | ৩০ আগস্ট ২০১১ ২২:৩২492000
  • প্রথমত আমি ন্যাড়াকে চাই, দ্বিতীয়ত আমি ন্যাড়াকে চাই,
    সুমন সাক্ষাতে ন্যাড়াকে চাই, প্রশ্নকর্তা রূপে ন্যাড়াকে চাই...
  • aranya | 144.160.98.31 | ৩০ আগস্ট ২০১১ ২২:৩৩492001
  • মানে, আমিও অন্যদের দাবিকে সমর্থন করছি আর কি।
  • Su | 86.160.15.140 | ৩১ আগস্ট ২০১১ ০২:৫১492002
  • কবীর সুমনের প্রথম পারফরম্যান্স লন্ডনে ১৭ই সেপ্টেম্বর রেডিং ইউনিভার্সিটি হলে, কেউ যদি আসতে চাও তাহলে চলে এসো।
  • kallol | 220.226.209.2 | ৩১ আগস্ট ২০১১ ০৮:৫৪492003
  • সুমনের এই এক ঝামেলা। আবার সিনেমা কেন? সলিল চৌধুরী কিন্তু খুব ঝুলিয়েছিলেন, টিভিতে।
    সুমন গান নিয়ে থাকলেই পারতো। প্রত্যেকের রাজনৈতিক মতামত থাকে, তা ব্যক্ত করাও যেতেই পারে, তা নিয়ে আন্দোলনে শামিল হয়াও যায়। এম্পি-টেম্পি হতে যাওয়াটা কোন কাজের কথা নয়।
  • kallol | 220.226.209.2 | ৩১ আগস্ট ২০১১ ০৯:০০492004
  • আর হ্যাঁ, ন্যাড়ার জন্য।
    সেদিনের ন্যাড়া আর আজকের ন্যাড়ায় ফারাক আছে। আমি না জেনেই বলে দিতে পারি। সাক্ষাতকারটা একজনকেই নিতে হবে এরকম কোন মানে নেই। সাক্ষাতকারটা - আচ্ছা, তাহলে আপনার প্রথম গান গাওয়ার কথা বলুন - এরকম চাই না। বরং আমার তো মনে হয়, ন্যাড়া, শিবাংশু, দীপঙ্কর, তিনজনে সুমনের সাথে আড্ডা দিলে কেমং হয়? ও: আমার গাইতে ইচ্ছে হচ্ছে - কাঁটা লাগাআআআআ...........
  • siki | 122.162.75.251 | ৩১ আগস্ট ২০১১ ০৯:৫৯492005
  • কথা হচ্ছে কল্লোলদা, তুমি চেনো ন্যাড়াদা শিবাংশুদা দীপংকরদা কে, আমি চিনি, কিন্তু সুমন তো চেনে না। সুমন কেন রাজি হবে এদের সাথে কথা কইতে? কে বাঁধবে ঘণ্টা?
  • pinaki | 122.174.37.159 | ৩১ আগস্ট ২০১১ ১০:১৫492006
  • কেন? পাই বাঁধবে?
  • kallol | 220.226.209.2 | ৩১ আগস্ট ২০১১ ১২:২৯492007
  • ঠিক। পাই বাঁধবে। সুমন যখন গুরুতে লিখছে। তখন এগুলো হয়তো পড়ছে। আশা করা যায় এটা হয়ে যাবে, যদি পাই ঠিকঠাক কথা পাড়ে।
  • nyara | 122.172.38.235 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২০:৪৯492009
  • সুদীপ্তবাবুকে - কেউ কেউ মনে করেন ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে পলিফোনি আছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন