এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • গুরুচন্ডালী ৭

    r
    অন্যান্য | ২১ মার্চ ২০০৬ | ১৮৭৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • B | 194.202.143.5 | ২৩ মার্চ ২০০৬ ২২:০৩497082
  • ঠিক।
  • tan | 131.95.121.251 | ২৩ মার্চ ২০০৬ ২২:১৮497084
  • একেকজনের কবিতা খুব বেশী সংখ্যায়।যেন ডাইরি খুলে উজার করে দিয়ে দিয়েছেন।
    এইটা নিয়ে সম্পাদক একটু ভাববেন, কবিতা ভালো জিনিস,তবে একটু গুরুপাক, একবারে এত দিলে পেটখারাপ হয়ে যেতে পারে পাঠকের।:-)))
  • b | 194.202.143.5 | ২৩ মার্চ ২০০৬ ২২:৫৫497085
  • মল্লিকা ধর - অগ্নি জাতক
    ----------------------------

    আমার বুঝতে অসুবিধে হচ্ছে। আবার পড়তে হবে।

    ব্যক্তিগত মতামত হল অগ্নি আর শুদ্ধতার সম্পর্কটা একটু dodgy। কিন্তু এই লেখাটা ভাবাচ্ছে।

    মল্লিকা, আপনি ভাবালেন। দাঁড়ান আরো পড়ি।

    কার কি মনে হয়েছে বললে সুবিধে হয়।
  • Saikat Bandyopadhyay | 192.128.166.68 | ২৩ মার্চ ২০০৬ ২৩:০৪497086
  • সুচেতা আর্যনীল মুখোপাশ্যায়ের স্ক্রোলচিত্র কবিতাটি নিয়ে একটি প্রশ্ন তুলেছিলেন। প্রশ্নটি আর্যনীলের কাছে পাঠানো হয়েছিল। উত্তরে উনি জানিয়েছেন, যে কবিতাটি কৌরবের কবিতা ক্যাম্পে পোস্ট করা হয়েছিল। ""কিন্তু কবিতা ক্যাম্প কোনো পত্রিকা নয়। ওখানে আলোচনার জন্য কবিতা পোস্ট করা হয়। সময় মতো সরিয়ে নেওয়াও হয়।''

    সৈকত
  • b | 194.202.143.5 | ২৩ মার্চ ২০০৬ ২৩:০৫497087
  • না ধরতে পারছি না, আগের কথা সব ফেরৎ নিচ্ছি।

    আবার পড়বো পরে।
  • tan | 131.95.121.251 | ২৪ মার্চ ২০০৬ ০৬:৩৬497088
  • বোধি ইউ আর ইন আ গুড কম্পানি।
    আমিও বুঝি নাই অগ্নিজাতক,তবে হাল ছাড়ি নাই,লড়িয়া যাইতেছি।বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচ্যগ্র... হ্যানো ত্যানো।
    কি বলো?
    তারপরে তো ব্যাখাবিশ্লেষনের জন্য চন্দ্রকান্তকে ধরবোই।:-)))
  • suman | 203.101.25.158 | ২৪ মার্চ ২০০৬ ১২:৪০497089
  • গুরু ৭ - বেরোনর অপেক্ষায় ছিল আমার কাজগুলো - এখনো অর্ধেক পড়ে উঠতে পারিনি। যেটুক পড়লাম তাতে বলা যায়
    -গুরু বেরোলো, পাড়া জুড়োলো - বর্গী এলো "দেশ" এ।

    বোধিসত্ব দারুণ। ক্যানভাসে পুরো ছবিটাই আছে - যেখানে প্রত্যেকে স্বমহিমায়।

    দময়ন্তীর লেখাটা পড়ে ভালো লাগলো তবে আগেরবারের লেখাটা পড়ে এবারের জন্য আরো বেশি প্রত্যাশা হয়ছিল।

    r এর একটা ছোটো মন্তব্যে বিক্রমের লেখাটা থেকে যেন একটা পর্দা উঠে গেল। আবার পড়লাম - আরে এটা তো আদ্যন্ত ভালোবাসার গল্প। দারুণ।

    আর্যনীল এর কবিতা ভালো লাগে। এবারেও "কলম করা পঙক্তিগুলো" আর "অর্থাৎ চিত্রনাট্য" মুগ্‌ধ করেছে।

    বাকি গুলো বাকি আছে।

    tan এর একটা কথা - "একেকজনের কবিতা খুব বেশি সংখ্যায়" প্রসঙ্গে বলি - কবিতার ও কি জন্মনিয়ন্ত্রণ দরকার?
    আর ডায়েরী যদি এক মাসেই ভরে ওঠে - তবেই বা কি করা উচিৎ?
  • dri | 66.81.197.121 | ২৪ মার্চ ২০০৬ ১৪:০৯497090
  • আমি লিখিয়ে নই, আর খুব সামান্যই পড়িয়ে। তবে যুগটা ফ্রী স্পীচের কিনা। নিষ্ট্যালেন্টেড, বেগুন পাঠকের কথারও একটা ইয়ে আছে।

    যাহোক, গল্পগুলো পড়লাম।

    বোধিসঙ্কÄর লেখার হাত ভালো। তিন ছাত্রের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে কলেজ পলিটিক্সের কমেϾট্রটিও বেশ টানটান। লেখার পরতে পরতে, শব্দচয়নে, চরিত্রবিন্যাসে কোথায় যেন হিউম্যানিজ্‌ম লুকিয়ে আছে। একটু হতাশাও পেলাম কি? অপূর্ণ বাসনা? ডেভেলাপমেন্টের গণ আন্দোলনকে ঠেলে সরিয়ে দেওয়া। মৃত্যুর কারন খোঁজার চেষ্টা বন্ধ হওয়া। ভালো লাগল।

    শমিতের ফুটনোট কনস্ট্রাকশানের ডিটেলতায় মুগ্‌ধ। প্রতি লাইনে, প্রতি ফ্রেজে, প্রতি শব্দে ভাবনাচিন্তার ছাপ। আর অট্টহাসি। সবমিলিয়ে ইমপ্যাক্টটাও জব্বর।

    দময়ন্তীর এই পার্টটা তাড়াহুড়োয় লেখা মনে হল। তবু চরিত্রগুলো আর তাদের মধ্যে পাওয়ার প্লে বেশ টানলো। ব বল্লেন, শর্মি চরিত্র বাদ দিতে। আমার কিন্তু বেশ প্রাসঙ্গিক লাগলো। ছেলেরা যখন খারাপ কথা বলল, পাওয়ার এক্সারসাইজ করল ছেলেরা, শর্মি তখন এট দ্য রং এন্ড অব দ্য পাওয়ার স্ট্রাকচার। সেটাকে শর্মি ওভারকাম করল কিভাবে -- নিজেকে ফ্লার্ট হিসেবে অরগানাইজ করে। তখন শর্মি পাওয়ার এক্সারসাইজ করল। পুরো গল্পটাই ক্ষমতা, তার প্রয়োগ আর তার মধ্যে চরিত্রগুলোর এডজাস্টমেন্ট। তবে এই টপিকটার যতটা পোটেনসিয়াল ছিল, ততটা হয়নি। আমি তো বলব, আবার লিখুন। চরিত্রগুলোকে রেখে, ঘটনাগুলোকে রেখে। হয়ত ঘটনাগুলোর মধ্যে বুনোটটাকে একটু বদলে, হয়ত একটা মুল গল্প ঢুকিয়ে, শুরু আর শেষটা একটু চিন্তাভাবনা করে। এই থীমটা ফেলে দেবেন না। ঠিকঠাক নামাতে পারলে মাষ্টারপীস হতে পারে।

    মল্লিকার গল্পটা পড়ে আবছা আবছা যা বুঝেছি তা হল এই। মানুষ অমৃতের ছানা নয়, আগুনের ছানা। আগুনের সাথে প্রথম টক্কর প্রেমিকার মাথায় বাজ পড়া দিয়ে। (দাবানলের কথাটা অনেক চেষ্টা করেও স্পট করতে পারলাম না)। বিগ ব্যাংএর সময় আমরা সবাই একই বিন্দুতে ছিলাম। সেখান থেকেই স্টার্ট। তারপর অগুনেরা সারা বিশ্বে আলো ছড়াচ্ছে। আর আমরাও যে যার মত ছড়াচ্ছি। কিন্তু আগুনের সাথে আমাদের নাড়ীর সম্পর্ক আনডিনায়েবল। ঠিক বুঝলাম না শেষ লাইনটা চিতায় পোড়া মিন করেছে কিনা -- ওয়ান ফাইনাল ফ্লিং উইথ ফায়ার। পুরো লেখাটায় একটা জোরালো আধ্যাত্মিক ওভারটোন রয়েছে। এবার অন্যদের সাহায্য চাইছি।

    বিক্রমের লেখা লোকে বলেছেন সমকামী, প্রেম, যৌনতা। আমার মনে হয়েছে এটা দুই কিশোরের যৌন কৌতুহল আর ফিজিকাল এক্সপ্লোরেশান। মানে এরা সমকামী হতে পারে, আবার সেক্সুয়ালি কিউরিয়াস বিপরীতকামীও হতে পারে। পাপবোধ নিংড়ে ফেলে দিয়ে একটা সিমপ্যাথেটিক ডেপিকশান বেশ চোখ টানল।
  • b | 86.135.216.189 | ২৪ মার্চ ২০০৬ ১৪:১২497091
  • র ই ঠিক। আমি ও মানছি। বিক্রমের গল্প টা চমৎকার প্রেমের গল্প। আরো একবার পড়েছি।

  • amit | 203.197.196.1 | ২৪ মার্চ ২০০৬ ১৯:৪৮497092
  • বিষয় কবিতা (গুরু সাত):
    সব্যসাচী সান্যালের কবিতা সম্পর্কে স্রেফ কিছু বলার কথা খুঁজে পাচ্ছিনা। খারাপ লাগলো এই দেখে যে শব্দ ব্যবহার ঠিক হয়নি। চয়ন করা শব্দ (আমার তাই মনে হয়েছে,কেন তা শব্দগুলিকে নিয়ে নাড় ঘাঁটা, সাজানো এসব করলেই বোঝা যাবে আশা করি), অথচ ব্যবহার ঠিক মত হয়নি। তাঁর ব্যবহৃত শব্দরা যা দাবি করে তা ঠিক ঠিক মিটিয়ে দিতে পারেন নি তিনি। অথচ এই শব্দদের কেউ কেউ আমার কাছে স্বত:স্ফুর্ত ভাবে এলে আমি নিজেকে ধন্য মনে করতাম। বিজ্ঞানের বিষয় কে টেনে নিতে গিয়ে টাল খাওয়াই শুধু দেখতে পেলাম,আত্তীকরণ নয়।

    শৌভ চট্টোপাধ্যায়ের লেখা প্রায় কবিতা হয়ে উঠেছিল, যদি না চমক দেওয়ার প্রচেষ্টা থাকত। জানিনা, এ স্বেচ্ছাকৃত না আমার কল্পনা বা বিভ্রম।

    আর্যনীল মুখোপাধ্যায়ের লেখা আমি এই প্রথম পড়লাম। ভালো লাগলো না। প্রথম কবিতা পারস্পর্যহীন পোস্টার প্রায়। দ্বিতীয় ও তৃতীয় কবিতা সম্পর্কে বলা যায় ""চুপ কর, শব্দহীন হও--"" এত কথা কি না বললেই নয়! চতুর্থ কবিতা সম্পর্কে বেশী কিছু বলতে রাজি নই, ভালো লাগেনি।

    সুমনের লেখা মোটের উপর ভালো লাগল। তবু কিছু আক্ষেপ থেকে গেল। ""ঊটকো"", ""সেদিন মৌলালীতে"", ""উগ্রপন্থী"", ""কথায়-সুরে"" এই লেখাগুলোতে এত শব্দ কেন,এত কথা কেন, আর কিছু মিল (প্রধানত, ""কথায়-সুরে"" তে যা শুনতে কেমন একটা লাগে, পরিণত নয় মোটেই) কি না দিলেই চলছিল না! শব্দের আধিক্য কি ঐ তাল টি রক্ষা করতে গিয়ে? কারণ সেক্ষেত্রে অবশ্য শব্দ বেশী আসবেই। সুমন , তোমার জন্য শুভকামনা রইল আর হ্যাঁ, ধন্যবাদ ও।

    বিশেষ দ্রষ্টব্য:
    এ সমস্ত আমার একান্ত নিজস্ব মতামত, যা দীর্ঘদিন ধরে ধীরেধীরে গড়ে উঠেছে, মানে আমি নিজে যেভাবে কবিতা কে চিনি, তার কাছে যাই, লিখতে চাই। যাঁরা লিখেছেন তাঁরা একে পাত্তা না দিলেই আমি খুশি হব।
  • tan | 131.95.121.251 | ২৪ মার্চ ২০০৬ ১৯:৪৮497093
  • দ্রি,আপনার আলোচনায় উৎসাহিত হয়ে আমিও আবার পল্লুম অগ্নিজাতক।কিন্তু প্রেমিকার মাথায় বাজ পড়াটা স্পট কত্তে পারলুম না।দাবানল একজায়গায় এট্টু দেখলাম বটে,কিন্তু বেশী না।
    আধ্যাত্মিক টোনের চেয়ে বেশী মনে হলো অন্য কিছু আছে।মানুষের বাস্তব ইতিহাসের একটা আলোছায়া গপ্পো।
    শেষটা বোধহয় চিতায় পোড়া নয়,বোধহয় অন্য কোনো সিম্বল।বন্ধনমুক্তি জাতীয় কিছু হতে পারে কি? বা শৃঙ্গজয়?
    ঈশ,এসময় চন্দ্রকান্ত থাকলে কত উপকার হোতো।

  • tan | 131.95.121.251 | ২৪ মার্চ ২০০৬ ২০:০১497095
  • কবিতার সংখ্যা প্রসঙ্গে আগে যা বলেছি এখনো বলছি।
    পোলাউ মাংস খুব উপাদেয় জিনিস, কিন্তু গুরুপাক।তাই একসঙ্গে চোদ্দো থালা সাজিয়ে দিলে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশী।
    কবিতাও তাই।একটি বা দুটি পেলে যতটা থেমে থেমে যতটা ভালোভাবে রসগ্রহণ করা যেতো,এক স্ট্যাক পেলে তার চেয়ে অনেক কম ভালো হয়।
    পরিবেশনা সূক্ষ্ম শিল্প,কবিতায় সেটা আরো জরুরী দরকার।
    একজন সাধারণ পাঠক হিসাবে আমার তো এই মনে হয়। জানিনা অন্যেরা কি বলবেন। অপেক্ষায় রইলাম।

  • vikram | 134.226.1.136 | ২৪ মার্চ ২০০৬ ২০:১৩497096
  • কিছু সংখ্যক কবিতা দিয়ে কিন্তু একজনের একটা সময়ের আর কখোনো একটা জেনারের লেখাকে ধরা যায়।

    সুমনের কবিতাগুলো আমি কিন্তু বই এর মতো পড়লাম।

    অমিতের কথার মধ্যে ঐ মিলের ব্যাপারটাতে আমি একমত।

    বিক্রম

  • Arijit | 128.240.229.3 | ২৪ মার্চ ২০০৬ ২০:১৭497097
  • দাঁড়াও এবার আম্মো ফিল্ডে নামচি।
  • Arijit | 128.240.229.3 | ২৪ মার্চ ২০০৬ ২১:১০497098
  • প্রথম পোশ্নো - লম্বা গল্প আর বড় গল্পের মধ্যে তফাত কি? "লম্বা গল্প" কি গুরু-স্পেশ্যাল?
  • tan | 131.95.121.251 | ২৪ মার্চ ২০০৬ ২১:২৭497099
  • দ্রি,বুঝেছি বুঝেছি। প্রেমিকার মাথায় বাজ বলতে হয়তো আপনি ঐ "চরিতার্থকামা নারীর হাতে পাবকের নখবিলিখন" এর জায়গাটা বলতে চাইছেন!কিন্তু ওটা তো মশাল ধরাতে গিয়েও হতে পারে!
    বিগ ব্যাং এর কথা কি কোথাও ছিলো লেখাটায়? একজায়গায় আদি অগ্নির তাপ কথাটা দেখলাম।কিন্তু নিশ্চিত করে বলা যায় কি যে ওটা বিগ ব্যাং? হতেও পারে নাও হতে পারে।
    আরেকটু ভালো করে পড়ে দেখি। কিন্তু না,আধ্যাত্মিক টোন পাচ্ছি না,বরং আরো বেশী করে অন্য কিছু পাচ্ছি।
    কি জানি অন্যেরা কি বলবে।

  • vikram | 134.226.1.136 | ২৪ মার্চ ২০০৬ ২১:৩৬497100
  • যা লেখার তাতো গল্পেই লেখা হয়ে গেছে।

    পাঠককে লেখিকার সাথে ইন্টার‌্যক্ট কেনো কত্তে হবে?

    জবাব চাই জবাব দেও।

    বিক্রম
  • tan | 131.95.121.251 | ২৪ মার্চ ২০০৬ ২১:৪০497101
  • বিক্রম,এরে কয় কেমিক্যাল অ্যানালিসিস।:-))))
  • tan | 131.95.121.251 | ২৪ মার্চ ২০০৬ ২১:৪২497102
  • উপন্যাস নেই কেন? সম্পাদক-সম্পা-আ-আদক,কোথায় গেলেন?

  • Arijit | 128.240.229.3 | ২৪ মার্চ ২০০৬ ২১:৪৩497103
  • রাবণ মার্ডি
    ----------

    চেনা ছবি, বছরের পর বছর ধরে একই ছবি ঘুরে ফিরে আসে চোখের সামনে, শুধু জায়গার বদল হয়। গণআন্দোলনও অধিকাংশ সময় এই ভাবেই থমকে যায় (দ্রি-র লেখার সুত্র ধরে)।

    লেখা - টানটান। চরিত্রগুলো জীবন্ত। কিন্তু এটা কি গল্প? গল্প ক্যাটেগরিতে রয়েছে বলে জিজ্ঞেস করলুম। এটা কিন্তু গল্প নয় - এটা কমেন্টারি, বিবরণ। সাহিত্যিক দিক থেকে এতাকে কি ক্যাটেগরি বলবে?

    দিন আনি, দিন খাই
    ------------------

    আমি ঠিক ফ্লো-টা খুঁজে পেলুম না। হতে পারে আমি বুঝিনি। কিন্তু প্রতিটা প্যারাগ্রাফ কেমন ডিসক্রীট, একটা থেকে আরেকটার মধ্যে কিছু ফাঁক, হঠাৎ বদল। হতে পারে আমি কনভেনশনাল লেখা পড়ে অভ্যস্ত, তাই এক প্যারাগ্রাফ থেকে আরেকটাতে যাবার সময় একটা সুতো ধরে যেতে হয়।

    ভাষা - আনকনভেনশনাল। আবার ভালো, কি মন্দ - জানি না।
  • dri | 129.46.240.42 | ২৪ মার্চ ২০০৬ ২৩:৩৮497104
  • আমার মনে হয়েছে ঐ ঘটনা মশালের আগের যুগের। মশাল মানে তো আপনি আগুন জ্বালাতে পারেন, চকমকি দিয়ে হোক আর দেশলাই দিয়ে হোক। কিন্তু এসবের আগে মানুষ আগুনকে কিভাবে পেত? বাজ পড়ে হয় গাছে আগুন লাগত, নয় মানুষ পুড়ে মরত। চরিতার্থকামা নারীর মুগ্‌ধ মরচক্ষুর আগের প্যারায় ছিল তো বিদ্যুতের বর্ননা। বিগ ব্যাংএর কথা মনে হয়েছে ঐ যয়গাটায় -- সেইখানে একই বিন্দুতে যখন তুমি আমি ও এই মহাজগত একীভুত হইয়া ছিল ...। অধ্যাত্মের ব্যাপারটা ভেগ, আমার একটা গাট ফিলিং বলতে পারেন। মানে এই হে পাবক, হে সবিতা, হে ঈশর এইসব দেখে মনে হয়েছে একটা হায়ার বিয়িং এর কাছে নত হওয়ার ব্যাপার আছে।
  • tan | 131.95.121.251 | ২৪ মার্চ ২০০৬ ২৩:৪৫497106
  • না হে দ্রি,আগুন জ্বালানোর আগেও মশাল পাওয়া যেতো,বহু আগেই। দাবানলের জ্বলন্ত গাছ থেকে বা বাজ পড়ে আগুন ধরে যাওয়া গাছ থেকে বা আগ্নেয়গিরির লাভা থেকে লেগে যাওয়া আগুন সংগ্রহ করে আনা হতো শুকনো ডালের আগায়। অগ্নিচয়ন আসলে আগুন জ্বালানো শেখার আগের ব্যাপার।
    এই কুড়ানো আগুনই রক্ষা করা হতো কাজে লাগানো হতো।তুলনায় অনেক পরে আগুন জ্বালানো শিখেছে মানুষ।
  • tan | 131.95.121.251 | ২৪ মার্চ ২০০৬ ২৩:৪৯497107
  • আর দ্রিঘাংচু, মানুষের ইতিহাসে হায়ার বিইং এর কাছে নত হওয়ার একটা ব্যাপার যে আছে,সেটা কি অস্বীকার করা যায়?

  • dri | 129.46.240.42 | ২৫ মার্চ ২০০৬ ০০:৫৮497108
  • হম। অগ্নি চয়ন। এইটা মাথায় আসে নি তো। সত্যিই তো, একবার আগুন ধরে গেলে সেটা প্রিজার্ভ করা যায়। ঐ যুগে জন্মালে আমার যে কি হত! গাছে আগুন লেগে গেলে পালিয়ে আসতাম। একটা লাঠিতে করে একটু আগুন নিয়ে আসার বুদ্ধিটুকুও হত না।

    যাইহোক, দাবানলের যায়গাটা খুঁজে পেয়েছি -- বজ্রপাতে জ্বলে উঠল শুষ্কমৃত বৃক্ষ ...। তারপর আগুনে যে পোড়ে সেটা এক্সপেরিমেন্ট করে মানুষ বুঝল। নিজেরা পুড়ে। তারপর, উইথ টাইম, যাগযজ্ঞ প্রদীপ এইসবে আগুন এল। তারপর তাপ দিয়ে বড় বড় জিওলজিকাল চেঞ্জ হল -- বালি থেকে স্ফটিক।

    হুঁ, একটু একটু করে ক্লিয়ার হচ্ছে। আলোচনা করলে মাথা পরিস্কার হয়।
  • tan | 131.95.121.251 | ২৫ মার্চ ২০০৬ ০২:৫৫497109
  • দ্রিঘাঞ্চু,নিজেরা তো পুড়লো বটেই,অন্যান্য বহু প্রাণী পুড়লো।আর তা দেখে মানুষে ফোকটে মাংস রোস্ট করা শিখে গেলো।রান্না করা জিনিস খেয়েদেয়ে দেহেমনে তাগড়াই হয়ে সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম কূটকাচলে বুদ্ধি বার করলো।:-)))
    তবেই না এত হম্বিতম্বা!
  • vikram | 134.226.1.194 | ২৫ মার্চ ২০০৬ ১৭:২৪497110
  • তনু,
    ঠিক এই ভাষা গপ্পোটা লিকলে ক্যামোন হতো?

    বিক্রম
  • indrani | 202.128.112.252 | ২৫ মার্চ ২০০৬ ১৭:৩৮497111
  • সেই মেয়েটা ভেলেভেলেটার প্রথম পর্বে দময়ন্তীর আপাত: আবেগহীন নিরাসক্তভঙ্গীতে বর্ণিত হয়েছিল নিনির ভালো মন্দ গুলিয়ে যাওয়ার ঘটনা, একের পর এক।শেষ পর্বে সেই নিরাসক্ত ভঙ্গীটি হারিয়ে গেছে অনেকখানি, প্রায় প্রতিটি ঘটনার সঙ্গেই কোনটা হওয়া উচিত ছিল বা কি করলে কি হ'ত এই ধরণের মন্তব্যে। কিছু লাইন বর্জন করা যেত না?বা মন্তব্য সম্বরণ?
    দ্বিতীয় পর্বকে শেষ পর্ব হিসেবে মানতে কষ্ট হয় , লেখাটির বিস্তার অনেকখানি-মাত্র দুটি পর্বে তাকে কেন ধরতে গেলেন দময়ন্তী?হীরু রায়ের বটতলা পেরিয়ে,...বেত্রবতীর খেয়ায় পাড়ি দেওয়ার অনুপম লাইনটি এত অল্পে লেখা যায় বুঝি?
  • indrani | 202.128.112.252 | ২৫ মার্চ ২০০৬ ১৭:৫৬497112
  • মল্লিকা কি ইন্দ্রনীলের 'নিহত অশ্বের স্বরলিপি'তে প্রভাবিত?

    বিক্রমের গদ্যের প্রথম প্যারাগ্রাফে মজে আছি -বার বার পড়েও আশ মেটে না প্রথম প্যারা। বাকিটুকু তানবিস্তার।

    এ সবই আমার ব্যক্তিগত মনে হওয়া।
  • tan | 131.95.121.251 | ২৫ মার্চ ২০০৬ ২২:১৩497113
  • বিক্রম,কি যে বলো!পাঠকের ভাষা হে পাঠকের ভাষা।সে যে সর্বদাই অনেক জোরদার,অনেক আইসোট্রোপিক,অনেক ফ্লেক্সিবল।
    ঐ তো ওপাড়াতেই তো শিখলাম রাইটারলি পড়া!একটা লেখা হয়ে যাবার পরে প্রতিটি পাঠক সেটাকে নতুন করে লিখতে থাকে প্রত্যেকবার পড়ার সময়। ঠিক কিনা?

    দ্রিঘাঞ্চু,
    ধন্যবাদ।নতুন করে চোখ খুলে দেবার জন্য।আকাশের বিদ্যুতের আঁকাবাঁকা উজল রেখাগুলোও যে নখবিলিখন বলে মনে হতে পারে,সেটা প্রথমবার পড়ার সময় মনে হয় নি।এখন চট করে মনে হলো আপনার আলোচনা পড়ে।
    তবে পাঠককে কি বেগুন বলা যায়? তারচেয়ে করোলা বললে কেমন হয়?:-)))
  • tan | 131.95.121.251 | ২৫ মার্চ ২০০৬ ২২:১৯497114
  • ইন্দ্রানীদি,আমারও তাই মনে হয়।"নিহত অশ্বের স্বরলিপি"খুব পাওয়ারফুল লেখা,প্রভাবিত লোকে হতে পারেই।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন