এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  গান

  • ঋতু গুহ

    Abhyu
    গান | ২৭ ডিসেম্বর ২০১১ | ৩১৮২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • Abhyu | 117.194.206.102 | ২৭ ডিসেম্বর ২০১১ ১৭:৫৫505479
  • চলে গেলেন প্রবাদপ্রতিম রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী - ২৪শে ডিসেম্বর ২০১১ - পরের দিন আনন্দবাজারে বেরোলো ছোট্ট একটা খবর - আর কিছু না।

    "রবীন্দ্রসঙ্গীতশিল্পী ঋতু গুহ প্রত হলেন। হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে শনিবার বিকেলে তাঁর জীবনাবসান হয়। এ দিন দুপুরে তাঁর দক্ষিণ কলকাতার বাড়িতে শিল্পী হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। রবীন্দ্রসঙ্গীতের শ্রোতৃমহলে ঋতু গুহ পরিচিত অর্ধশতক ধরে। রবীন্দ্র জন্মশতবর্ষে (১৯৬১) তাঁর প্রথম রেকর্ড প্রকাশিত হয়। রবীন্দ্রনাথের সার্ধশতবর্ষে প্রণ হল তাঁর। রবীন্দ্রসঙ্গীতে তাঁর শিক্ষা কাকা দক্ষিণী-র প্রাণপুরুষ শুভ গুহঠাকুরতার কাছে। দীর্ঘ সঙ্গীতজীবনে দেশে-বিদেশে বহু অনুষ্ঠান করেছেন ঋতু গুহ, রেকর্ডও প্রকাশিত হয়েছে অনেক। তবে শারীরিক কারণে বেশ কিছু দিন তিনি কিছুটা অন্তরালেই ছিলেন।"
  • kumu | 122.176.32.39 | ২৭ ডিসেম্বর ২০১১ ১৮:০০505490
  • শেষ লাইনটির প্রয়োজন ছিল কি?

    এত বড়মাপের একজন শিল্পীকে যথোচিত শ্রদ্ধা জানাতেও দায়সারা মনোভাব।
  • Abhyu | 117.194.206.102 | ২৭ ডিসেম্বর ২০১১ ১৮:০০505501
  • ওনাকে নিয়ে, ওনার গান নিয়ে আপনারা লিখুন কিছু। ন্যাড়াদা, শিবাংশুদা লিখুন। অন্যরাও লিখুন। আমি পরে কিছু গান শোনাবো।
  • siki | 122.177.189.106 | ২৭ ডিসেম্বর ২০১১ ২১:১৫505512
  • খুব সম্ভবত আজকালে বুদ্ধদেব গুহ বেশ চড়া সুরের প্রো-সিপিএম লেখা লিখতেন বলেই হয়তো আনন্দবাজারের এরকম ঔদাসীন্য।
  • Shibanshu | 117.195.129.78 | ২৮ ডিসেম্বর ২০১১ ০০:০৬505518
  • ঋতু গুহ চলে গেলেন।

    এই মূহুর্তে ওনার শিল্পশৈলী, কণ্ঠসম্পদ বা অন্যতর গায়কি নিয়ে কোনও বিশ্লেষণী আলোচনা করতে মন চাইছে না। হ্যাঁ, বেশ কিছুদিন আমরা তাঁর সঙ্গীত পরিবেশনা শুনতে পাচ্ছিলাম না। কিন্তু ছিলেন আমাদের মধ্যে, এটুকু স্বস্তিই বা কম কি?

    সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় আমাদের বাল্যকালে ওনার রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশনকে মন্দিরের কারুকার্যের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন সনাতন পাঠক নামের আড়ালে। আরো বলেছিলেন, 'দিন ফুরালো হে সংসারী'র মতো গানও তিনি বই দেখে গান। তিনি যদি বই দেখে রবীন্দ্রসঙ্গীত গাওয়া বন্ধ না করেন, তবে একদিন দেখা যাবে নীলু নামের একটি তরুণ মঞ্চে ছুটে গিয়ে তাঁর বইটি নিয়ে পালিয়ে যাবে। কারণ তিনি যে স্তরের মগ্নতা নিয়ে গান করেন, সেখানে বইয়ের দিকে তাকানো অনুচিত। তাকাতে গিয়ে তাঁর মনোসংযোগে বাধা পড়তে পারে। এই মন্তব্যের কাছাকাছি সময়ে তাঁর সঙ্গে মুখোমুখি কথা বলার একটা সুযোগ হয়েছিলো। গান নিয়ে দুচারটে কথা হতে হতে হঠাৎ আমি বলে উঠলুম, আপনি এখন বই দেখে গাইছেন না তো? একটু হতচকিত হয়ে তিনি প্রশ্ন করলেন, কেন বলোতো? আমি বলি, ঐ যে নীলু এসে বই কেড়ে নিয়ে যাবে বলেছে। তখন বুঝতে পেরে উচ্চকিত হাসিতে সমুঙ্কÄল হয়ে উঠলেন।

    এই সাক্ষাতের আগে ওনার গান প্রথম শুনি জামশেদপুরে, একাত্তর সালে, তখন বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ পুরোদমে চলেছে। আমি তখন নেহাৎ স্কুলবালক। বেঙ্গল ক্লাবে একটি সান্ধ্য অনুষ্ঠানে তিনি ও শ্রীমতী কৃষ্ণা হাজরা এসেছিলেন গান শোনাতে। তখনও ঠিক গান শোনার তালিম হয়নি আমার। সেদিন গাওয়া যে গানগুলি এখনও আমার মনে আছে, ' তুমি খুশি থাকো', 'খেলার সাথি' ও 'তোমার সোনার থালায়'। তখন রবীন্দ্রসংগীত বলতে যে ছাঁচটি মাথায় ছিলো, সেখানে শেষ কথা ছিলেন, সুচিত্রা, দেবব্রত এবং হেমন্ত। ঋতু ছিলেন সেই বৃত্তের বাইরের মানুষ। সত্যিকথা বলতে আমার তো বটেই, আমার মতো অনেক সাধারণ শ্রোতার কাছেও ঐ শৈলী হয়তো একটু অতি নির্জল, অতি নিবিষ্ট বোধ হয়েছিলো। কিন্তু তাঁর 'তোমার সোনার থালায়', সংগীতের আকূতি মানুষের কণ্ঠে জারিত হয়ে শ্রোতার সংবেদনশীলতাকে যেভাবে নাড়া দিয়ে যায়, তার সমান্তরাল অন্য উদাহরণ বিরল হয়েই থেকে গেছে।

    তার পর পঁচাত্তর, ছিয়াত্তর, সাতাত্তর সালে তাঁর গান নিয়মিত শোনার সুযোগ হয়ে ছিলো। তখনও মাঝেমধ্যে বুদ্ধদেব গুহ পড়তুম। সেই কিশোর বয়েসে' খেলা যখন'য়ের চরিত্রগুলির মধ্যে দিয়ে তৈরি করা গান, নারী, নাগরিক রুচিবোধ ও পরিশীলিত বেঁচে থাকার পৃথিবীর নেশায় বেশ মৌতাত ধরেছিলো। এখন বুঝি, একজন 'ভালো' শিল্পীর রচনাকৌশলের একটা মুখ্য অঙ্গ ইল্যুশন ও ফ্যান্টাসির মলাটে নিত্যজীবনের মলিন প্রান্তগুলিকে ঢেকে রাখা। তবে এই 'ভালোত্ব' প্রায়শই শ্রেষ্ঠত্বের পর্যায়ে উন্নীত হয়না। হয়তো একটু অধিক সাধারণীকরনের ঝুঁকি থেকে যাবে, যদি বলি বুদ্ধদেব ও ঋতু গুহের সৃষ্টির নিদর্শন গুলি দিয়েই যদি আমরা এই বিচার করতে যাই, তবে দেখবো প্রথমজন চিরকাল 'ভালো' হয়েই থেকে গেলেন। জনপ্রিয়তার মোহ বা শ্রেয়তর সৃষ্টির সাধ্যের অভাব, কারণ যাই হোক না কেন। কিন্তু দ্বিতীয়জন প্রায়ই শ্রেষ্ঠত্বের সীমা ছুঁয়ে এসেছেন।

    মনে আছে, রবীন্দ্রসংগীত সম্মেলনের সময় এক সন্ধ্যায় রনো গুহঠাকুরতা গান গাইছিলেন। তাঁর গানে ছিলো টিপিক্যাল দক্ষিণীর মুদ্রাদোষ বা গুণ, যাই বলা হোক না কেন। আমরা তখন দক্ষিণীর ছাত্রছাত্রীদের গান গাওয়ার ধরন নিয়ে হাসাহাসি করতুম। এক একজন দক্ষিণীর গায়ককে দেখতাম যতোক্ষণ কথাবার্তা বলছেন ততোক্ষণ বেশ সহজ, স্বাভাবিক। কিন্তু যেই গান গাইতে শুরু করলেন, তখন যাকে বলে গালে মার্বেলগুলি নিয়ে গাওয়া, সেরকম একটা কৃত্রিমতা প্রকট হয়ে উঠতো। আমরা তখন ইতরযানী শ্রোতা। সর্বসমক্ষে মনের কথা বলার মতো আত্মবিশ্বাস অর্জন করে উঠতে পারিনি। নিজেদের মধ্যেই বলাবলি করতাম। দক্ষিণীর ট্রেনিংকে নিরেস বলার হিম্মত ছিলোনা। তো রনোর গান নিয়ে আমরা একটু আওয়াজ টাওয়াজ দিয়েছিলুম। পরদিন সকালে একটা আড্ডায় বসে শুনলুম ঋতু একজনকে বলছেন, গতকাল কিছু ছেলেপিলে রনোর গানের সময় কীসব বলেছে, তাই ও বেশ নার্ভাস হয়ে গেছে। তা সে পালের গোদা যে সামনে বসে এই সব শুনছে সেটা উনি জানতেন না। ঋতুকে কখনও হার্মোনিয়াম বাজিয়ে গাইতে শুনিনি। কণিকার সঙ্গে যেমন গোরা, ঋতুর সঙ্গে তেমন রনো ( একবার অভিরূপকে বাজাতে শুনেছিলুম)। সেদিন সন্ধ্যায় ঋতুর অনুষ্ঠান ছিলো। সঙ্গে রনোর হারমোনিয়ম সঙ্গত করার কথা। নার্ভাস হয়ে পড়লে তো মুশকিল। তা আমি সবার পক্ষ থেকে তাঁকে অভয় দিলুম আজ আর ওসব হবেনা, তবে একটা শর্ত আছে। 'সে আবার কী?' তিনি একটু বিড়ম্বিত বোধ করেন। আমি বলি, আপনাকে আজ যাই হয়ে যাকনা কেন, 'ওগো কাঙাল' গাইতে হবে। একটু সুর করে বলেন, 'তাই....?' তিনি নিশ্চিন্ত হন।

    সন্ধেবেলা ঋতু মঞ্চে বসে কোনরকম ভূমিকা ছাড়াই সূত্রপাত করলেন, 'তুমি যে এসেছো মোর ভবনে....'। সেই আঁচলটি গায়ে জড়িয়ে, একটু উন্নত গ্রীবায়, শান্ত মুখশ্রী নিয়ে। স্পষ্ট উচ্চারণ, স্পষ্টতর স্বরনিক্ষেপ, অভ্রান্ত সুরসংস্থান। প্রথম গানটি থেকেই তিনি প্রবাদপ্রতিম ঋতু গুহ। আমরা গান শোনাকালীন তো কোনও রকম মতবিনিময় করতে পারছিলুম না। কিন্তু দুটি গানের মধ্যে বলাবলি করি, যে তথাকথিত মুদ্রাদোষগুলি দক্ষিণীর ট্রেডমার্ক, সেই 'দোষ'গুলি কীভাবে 'গুণ' হয়ে উঠছে ওনার পরিবেশনায়, সেটাই আমাদের মতো শ্রোতাদের কাছে শিক্ষনীয়। চূড়ান্তভাবে স্বরলিপিনিষ্ঠ হয়ে, কোনও রকম আপোস না করে, গানে অবলীলায় প্রাণ প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধি তিনি আয়ত্ব করেছিলেন। রবীন্দ্রসংগীতে দক্ষিণীর শ্রেষ্ঠ অবদান তিনি। যদিও সেই সন্ধ্যার অনুষ্ঠান তাঁর একক ছিলোনা, তবে সাত আটটি গান তিনি গাইলেন। দুয়েকটি একটু অপ্রচলিত, কিন্তু অধিকাংশই আমাদের প্রিয় গানগুলি। যখন 'গভীর রজনী নামিল হৃদয়ে' গাইছেন এবং তার পরেই চলে যাচ্ছেন ' আহা, আঁখি জুড়ালো হেরিয়ে' দুটি গানই একেবারে ভিন্ন ধরন ও চলনের উদাহরণ, কিন্তু পরিবেশনার মধ্যে একধরনের ক্ল্যাসিসিজম ফুটে উঠছে। কোনও রকম প্রগলভতার স্থান নেই। আজকের প্রজন্মে রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশনার মধ্যে এই অকারণ প্রগলভতার প্রাদুর্ভাব ও প্রিয়তা অনেক সময় ভুল সংকেত বহন করে আনে। তিনি যখন অনুষ্ঠান শেষ করেন 'ওগো কাঙাল' দিয়ে, শ্রোতাদের যেন আর কিছু চাওয়ার নেই। এই তেত্রিশ বছর পরেও সেই পরিবেশনা স্মরণ করে আমি রোমাঞ্চিত বোধ করছি।

    এই সময়ে তিনি ছিলেন তাঁর শ্রেষ্ঠতার শিখরে। আমার সৌভাগ্য হয়েছিলো কলকাতা ও জামশেদপুরে বেশ কয়েকবার তাঁর অনুষ্ঠান শোনার। রবীন্দ্রসংগীতের কান তৈরি করতে আমি সবাইকে আরও দুএকজনের গানের সঙ্গে অতি অবশ্য ঋতুর গান শোনার অনুরোধ করি।

    সামনে বসে তাঁর গান শেষ শুনি বছর বারো আগে পাটনায়। ওখানকার রবীন্দ্রভবনে পঁচিশে বৈশাখের অনুষ্ঠানে। সঙ্গে অভিরূপও ছিলেন। তবে সেই অনুষ্ঠানে আমার চেনা ঋতুকে পাইনি। কণ্ঠ স্ববশে ছিলোনা। তিন সপ্তকেই কাঁপছিলো। তাঁর পক্ষে অকল্পনীয়, সুরচ্যুতিও হচ্ছিলো মাঝেমাঝেই। নিজে বুঝতে পারছিলেন। মাত্র চারটে গান গাইলেন। তার মধ্যে মনে আছে শুধু, 'তোমার সঙ্গে প্রাণের খেলা'। এই গানের বাকি সিদ্ধ যে সব শিল্পী আছেন, সুচিত্রা, নীলিমা, অশোকতরু, সবার থেকে আলাদা, কিন্তু শুদ্ধতার একটা পর্যায় সেই পরিবেশনা।

    এই লেখাটা যতোক্ষণ লিখছি, শুনছি তাঁর রেকর্ডের গান। 'দেবতা জেনে দূরে রই দাঁড়ায়ে', 'সেই তো তোমার পথের বঁধু','মাঝে মাঝে তবে দেখা পাই',' তুমি জাগিছো', 'কে এসে যায় ফিরে ফিরে', 'অমৃতের সাগরে', আরও কতো মণিমুক্তো। একটা কথাই মনে হয়, এখনও আমার গান শোনা শেখার কতো কিছু বাকি থেকে গেছে।

    তিনি প্রায় আমার মায়ের বয়সি ছিলেন, একটু ছোটো। প্রজন্মের ফারাক, চিন্তাধারার পার্থক্য, রুচিবোধের প্রভেদ, সব কিছুই যেন অলীক হয়ে যায়। শুধু থেকে যায় ভালো লাগার নির্যাস, মজে যাবার নেশা, যা আমার এই শরীরটার সঙ্গে সঙ্গে একদিন ধোঁয়া হয়ে যাবে। হয়তো আবার ফিরে আসবে সেই পুণ্যফল , যদি পরজন্ম থাকে।

    ঋতু, আমরা তারার পানে চেয়ে ডাকবো আপনাকে। আসবেন, যাবেন। নতুন নামে, নতুন গানে, চিরকালের সেই ঋতু, পুরোনো হবেনা কোনদিন।
  • Ghanada | 223.223.131.135 | ২৮ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:০২505519
  • ঋতু গুহ নিয়ে এই স্মৃতিচারণ খুব ভালো লাগল। অনবদ্য।
  • Ghanada | 223.223.131.135 | ২৮ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:০৮505520
  • আসলে, *সরকার* আর * সরকার*, এই দুজন আম বাঙালীর মনন ঠিক করে নেবেন বলে ঠিকা নিয়েছেন বলে মনে করেন। যদিও বাঙালী এটা মনে করে না।
    তাই *ঋতু গুহর* প্রতি এই ঔদাসীন্য।

  • aranya | 144.160.98.31 | ২৮ ডিসেম্বর ২০১১ ১২:২৫505521
  • সুন্দর লিখেছেন শিবাংশু। ভাল লাগল।
  • kallol | 119.226.79.139 | ২৮ ডিসেম্বর ২০১১ ১৬:৪৫505522
  • শিবাংশু। তোমার সাথে পরিচয় না হলে কি কি হতো, কে জানে। সে অবশ্য গুরু সম্পর্কেও বলা যায়।
    ঋতু গুহ আগে মন দিয়ে শুনিনি। মূলত: আমি নিজে দক্ষিণী ঘরানা বিমুখ বলে। আমার দোষের মধ্যে কৈশোর-যৌবনে বামপন্থী। ফলে রবীন্দ্রনাথ দেবব্রত-সুচিত্রা ফিল্টার লাগিয়ে শোনা, তাও দরকারী গান, অর্থাৎ কিনা আগুণ জ্বালো টাইপ। পরে একটু অন্য ধরনের গলা শুনতে চেয়ে রাজেশ্বরীর প্রেমে পড়ে হাবুডুবু। ঋতু কেমন অচেনাই থেকে যেতেন। ভাগ্যিস তুমি ছিলে। তাই ওনাকে শুনছি, আর ডুবে যাচ্ছি।
    তোমায় আর ধন্যবাদ দিলে গরু ঘোড়া বাঘ ভাল্লুক উল্লুক সবাই হাসবে।
    তাই...................
  • Kaju | 121.242.160.180 | ২৮ ডিসেম্বর ২০১১ ১৭:০৭505480
  • আমার এখানে লেখা মানে অনধিকার প্রবেশ। তবু আমার ভালোলাগাটুকু জানাতে খুব ইচ্ছে হল এই স্মৃতিচারণের দিনে।

    উনি তো আমার প্রজন্মের শিল্পী নন। সামনে থেকে বা টিভিতে কোথাও-ই ওনার গান শুনিনি। তবু ওনাকে অন্যের থেকে আলাদা করে চিনেছি, নিজে থেকে মন ওনার গান ভালোবেসেছে ছোটোবেলায় শোনা সকাল সাড়ে ছটায় কলকাতা-ক এর 'চয়ন'-এ একদিন 'মধু গন্ধে ভরা', 'প্রভু তোমা লাগি আঁখি জাগে', 'তোমার সোনার থালায়' শুনে। আরো হয়ত শুনেছি, কিন্তু এই কটা গান প্রথম ওনার গলাতেই শোনা। তখন রবীন্দ্রসঙ্গীত বোঝার বয়স নয় আমার, শুধু চিরন্তন সুরের মনকাড়া পরিবেশনে মুগ্‌ধ হবার বয়স। সেই থেকে চিনলাম কে ঋতু গুহ। নামটা গেঁথে গেল মনে, যাঁর গানে একটু শান্তি পাওয়া যায় গাঢ় বিষণ্নতার দিনে। তারপরে ক্যাসেটে শুনেছি অনেক পরে। এখনো যখন মনখারাপের সময় ওনার 'আজি যে রজনী যায়' বা 'দেখা যদি দিলে ছেড়ো না আর' শুনি গীতবিতান আর্কাইভে, গভীরে অশ্রুপাতের মেঘ ঘনিয়ে আসে।
  • i | 59.93.199.45 | ২৮ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:৪৪505481
  • পল কক্সের দ্য আইল্যান্ড ছবিতে ঋতু গুহর গলায় মাঝে মাঝে তব দেখা পাই ব্যবহৃত হয়েছিল।
  • i | 59.93.199.45 | ২৮ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:৪৯505482
  • বেশ কিছু অপ্রচলিত রবীন্দ্রসঙ্গীত রেকর্ড করেছেন ঋতু গুহ। যেমন-
    সারাবরষ দেখি নে মা, মা তুই আমার কেমন ধারা বা সবার সাথে চলতেছিল অজানা এই পথের অন্ধকারে
    কিম্বা পাখি বলে চাঁপা... বহু গান...
    এই সব গান ইয়ু টিউব বা এস্নিপ্সে পাওয়া যায় না।
    আস্তে আস্তে লিস্ট করে দেব, সকলে লিখবেন যার যা মনে পড়ে-
    অভ্যু বা আর কারোর কাছে থাকলে এই সুতোয় ধরা থাকবে।
  • MR | 70.122.242.230 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১১ ০২:৩৯505483
  • ঋতু গুহর মতো আর কেউ গাইতে পারেও নি আর পারবেও না - "একি লাবণ্য পূর্ণ প্রাণ"। অনবদ্য।
  • maximin | 59.93.243.61 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১১ ০২:৪৯505484
  • মোর পথিকেরে বুঝি এনেছ এবার। অনেকদিন আগেকার গাওয়া।
  • maximin | 59.93.243.61 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১১ ০২:৫১505485

  • Abhyu | 117.194.209.232 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:১১505486
  • আছে। লিস্ট দিন।
  • ranjan roy | 14.97.156.88 | ৩১ ডিসেম্বর ২০১১ ০২:১৬505487
  • শিবাংশু,
    এই সব গুলোর সাথে আমার ভেতরে বাজে "" বন্ধু, রহো রহো সাথে'' আর "" কে বসিলে আজি হৃদয়াসনে, ভুবনেশ্বর প্রভু!''
    আর ""তোমার সোনার থালায় সাজাবো'' গানে যখন শুদ্ধ দার্ঢ্যে উচ্চারিত হয়"" চন্দ্রসূর্য পায়ের কাছে মালা হয়ে জড়িয়ে আছে'' তখন মনে হয় আর কিছুই চাওয়ার নেই।
  • i | 59.93.206.242 | ১৭ জানুয়ারি ২০১২ ১৬:০২505488
  • আমার ২৮শে ডিসেম্বরের পোস্টের প্রেক্ষিতে, কিছু অপ্রচলিত রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা -

    ১। পাখি বলে চাঁপা
    ২। সারা বরষ দেখি নে মা
    ৩। সবার সাথে চলতেছিল
    ৪। সে যে বাহির হল
    ৫। নয়ান ভাসিল জলে
    ৬। নির্জন রাতে নি:শ্‌ব্‌দ চরণপাতে
    ৭। কেন জাগে না জাগে না
    ৮। বাহির হলেম আমি
    ৯। ডাকিছ কে তুমি তাপিত জনে
    ১০। হৃদিমন্দিরদ্বারে বাজে

    গানগুলি লংপ্লেয়িং চাক্তিতে/ সি্‌ডতে পাওয়া যায় । ইয়ু টিউব/ এস্নিপ্সে এখনও দেখি নাই। প্রবাসীজনের জন্য অভ্যু যদি এখানে এই সব গান তুলে দিতে পারে, ভালো হয় খুব।
  • i | 59.93.206.242 | ১৭ জানুয়ারি ২০১২ ১৬:০৮505489
  • ১১। দিন ফুরালো হে সংসারী
    ১২ । তোমার সোনার থালায়
  • siki | 122.177.192.89 | ১৭ জানুয়ারি ২০১২ ১৬:৪২505491
  • প্রসঙ্গত, সারেগামা এইচএমভি আবার নতুন করে লং প্লেয়িং রেকর্ড প্লেয়ার বাজারে এনেছে। দামগুলো অবশ্য উরিত্তারা লেভেলের। তবে রসিকজনের জন্য অবশ্যই প্রেসক্রাইবড।

    যদি এলপি রেকর্ড থেকে থাকে, তবে এইসব প্লেয়ার কেনার কথা ভাবতে পারেন।

    http://epaper.hindustantimes.com/PUBLICATIONS/HT/HD/mailcontent/GalleryView.shtml?GId=15012012117001
  • I | 115.117.248.42 | ১৭ জানুয়ারি ২০১২ ২৩:৪৩505493
  • শিবাংশুদা'র লেখাটা খুব ভালো লাগলো।
  • Abhyu | 97.81.90.26 | ২২ জানুয়ারি ২০১২ ০৮:৫৫505495
  • সবার সাথে চলতেছিলো

    হৃদিমন্দিরদ্বারে

    নির্জন রাতে

    বাহির হলেম আমি

    দিন ফুরালো

  • i | 137.157.8.253 | ২৩ জানুয়ারি ২০১২ ০৬:২৮505496
  • এই ত্তো। অভ্যুকে কি বলে ধন্যবাদ দি!
    বাকি গানগুলো হবে?
  • Abhyu | 97.81.75.239 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০১:৪৫505497
  • আমি নিশিদিন তোমায় ভালোবাসি

    এ কী করুণা

    সেই তো তোমার পথের বঁধূ

    আমার পরাণ লয়ে

    ব্যাকুল বকুলের ফুলে

  • Sudipta | 71.68.105.54 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১০:০১505499
  • অভ্যুদ কে 'প্রাণসখা হে' গান টার জন্য একটা বড়সড় থ্যাঙ্কু! ঋতু গুহ-র না থাকা টা যে কত বড় ক্ষতি ....

    ''সেই ধন্য নরকুলে, লোকে যারে নাহি ভুলে...
  • Abhyu | 97.81.75.239 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১০:০৪505500
  • ঐ সিডিটা আমি কলেজ স্ট্রীট থেকে কিনেছিলাম; নির্বাচিত ব্রহ্মসঙ্গীত, খুব সুন্দর কালেকশন।
  • i | 124.171.40.223 | ১৬ মার্চ ২০১২ ১৫:৪৫505502
  • আমার নিখিল ভুবন হারালেম

  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন