এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ব্রহ্মপুত্র ও চীন

    r
    অন্যান্য | ০২ মার্চ ২০১২ | ২২৮৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kallol | 119.226.79.139 | ২১ মার্চ ২০১২ ১৪:৪৮527854
  • ডিডি।
    বিসূচিকার ওষুধ ছিলো। সেরে যেতো কিনা জানি না। তবে জল ব্যবহারের সংষ্কৃতির ফলে আখছার মহামারী ঘটতো না। তাই বলে একদম ঘটতো না। এমন মোটেই নয়। বসন্তেও লোক মরতো। তো?
    আচ্ছা ধরা যাক - মানুষ আর মরবে না, অমর। বিজ্ঞান তাই করলো। তখন?
    হ্যাঁ পশ্চিম আমাদের ওটাই শিখিয়েছে।
    অল্প বয়সীরা চিরকাল বয়ষ্কদের অছেদ্দা করেছে। কিন্তু বার বার জেনেছে ওটা করা ভালো নয়। ইয়াং বেংগল শিখিয়েছে - ওটাই প্রগতি। তাদের হিরো বানিয়ে। তাফাৎটা ঐখানে। মান্যতা দেওয়া আর না দেওয়া।
    পিটি।
    বীজানু/জীবানু তঙ্কেÄর সাথে কলোনী স্থাপনের যোগ - পড়ুন নিম্নবর্গের ইতিহাস। দীপেশ চক্রবর্তির লেখা। আনন্দ। সম্পাদক: গৌতম ভদ্র ও পার্থ চটোপাধ্যায়।
    আরও ডিটেল বাড়ি গিয়ে দিচ্ছি।
    কিন্তু প্রশ্ন : আপনার মাথায় ডান্ডা মেরে তারপর আপনাকে যদি মাথায় আলু হওয়ার শারীরবিদ্যিয় কারণ বোঝাই - ভালো লাগবে কি? নাকি তাতে আমি মহান আবিষ্কারক হয়ে যাবো।

  • kallol | 119.226.79.139 | ২১ মার্চ ২০১২ ১৪:৪৯527855
  • পিটি।
    না না, অমন করবো না। ওটা যুক্তির কথা বল্লাম।
    নেমন্তন্নটা বাতিল করে দিও না ভায়া।
  • kallol | 119.226.79.139 | ২১ মার্চ ২০১২ ১৪:৫৩527856
  • হ্যাঁ। পিটি। আলেকজেন্ডারের লোকেরা সেই পশিম থেকেই এসেছিলো। তারাও আমাদের জলের ব্যবহার জানতো না। গ্রীসে তো আমাশা ছিলো না।
  • kallol | 119.226.79.139 | ২১ মার্চ ২০১২ ১৫:১৮527857
  • আমার ছেলের এইডস হলে কি করবো?
    সারে না এমন অসুখ চিরকাল ছিলো।
    সুকুমার রায় কালাজ্বরে মারা গেলেন। কেন ? ওষুধ তো ছিলো - জার্মন ওষুধ। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের বলি। ওষুধ থেকেই বা কি হলো?
  • dd | 110.234.159.216 | ২১ মার্চ ২০১২ ১৫:২২527858
  • PT তো এই লাইনেরই লোক। ঐ সব অসুদ ফসুদ নিয়ে কারবার। ভালো জানবেন আয়ুর্বেদের লিমিটেশন।

    সেই অথর্ব বেদ থেকে শুরু, শিকর বাকড়, মন্ত্র, এইসব দিয়ে চিকিচ্ছে হতো। যক্ষা ছিলো, আরো অনেক রোগ ছিলো।
  • kallol | 119.226.79.139 | ২১ মার্চ ২০১২ ১৫:৩৬527859
  • মানুষ মরবেই। আয়ুর্বেদে মোটেও দুনিয়ার সব অসুখ সারে না, এটা আয়ুর্বেদ না পড়েও বলা যায়। কোন বেদে সব অসুখ সারে সেটা যদি কেউ বলে দেয় তো মানি। অ্যালোপ্যাথি-বেদে? হোমিওপাথি-বেদে?

  • tatin | 122.252.251.244 | ২১ মার্চ ২০১২ ১৫:৪৭527860
  • আলোপাথি-র অসারতা প্রমাণ হয় হোমিওপাথির থেকে। হোমিওপাথির ওষুধে প্লেসেবো ভিন্ন কাজ নেই, কিন্তু বেশিরভগ ক্ষেত্রে হোমিওপাথরা আলোপাথিক ওষুধ খেতে বারণ করেন। ফলে রোগির ওপর ওষুধের নেগেটিভ এফেক্ট আসেনা এবং সে ভালো হয়ে যায়।---

    উইকিতে এভাবেই ব্যাখ্যা করা আছে
  • dd | 110.234.159.216 | ২১ মার্চ ২০১২ ১৫:৪৭527861
  • না, না।
    এটা অ্যালোপাথি বনাম আয়ুর্বেদের তরজা নয়। আয়ুর্বেদ ইত্যাদি ছিলো বলেই না এলোপ্যাথি এলো।

    কিন্তু কল্লোল তুমি যা কইলে তাতে মনে হোলো তুমি খুব জেনেরালাইজড করছো, যেমতি (আমার মনে হোলো তুমি কইলে)প্রাচীন যুগে স্বাস্থ্যব্যবস্থা অতি চমৎকার ছিলো। হালার পো বৃটিশেরা এসে সেটাকে গাছে তুললো,প্লাস অল্প বয়ষ্কদেরো সেখালো দুর্মতি।

    এইটা মানলাম না।
  • kallol | 119.226.79.139 | ২১ মার্চ ২০১২ ১৬:০৮527862
  • প্রাচীন কালে স্বাস্থ্যব্যবস্থা বলে কিছু ছিলো না। স্বাস্থ্যব্যবস্থা বিষয়টি ঔপনিবেশিক ধারনা। স্বাস্থ্য কে বিষয় করে তোলা হয় ঔপনিবেশীক সময়ে।
    তার আগে কিছু সামাজিক বিধি ছিলো। সেগুলো বাড়ি বানাবার থেকে ব্যক্তির স্বাস্থ্য সম্পর্কিত, এরকম অনেক কিছুরই ছিলো। সেগুলো সব যৌক্তিক ছিলো এমন দাবী কখনো করিনি। কিন্তু পাঁচ হাজার বছরের পর্যবেক্ষণ ছিলো, খোঁজা ছিলো। তাতে এই ভূগোলে অনেক কিছুর সুরাহা হতো। বালিশের ওপর বসলে পশ্চাদ্দেশে ফোঁড়া হয়। চৌকাঠে বসলে গৃহস্থের অমঙ্গল হয়। যৌক্তিক নয়, কিন্তু অনেক ফালতু ঝামেলা থেকে বাঁচায়।
    কঠিন অসুখ হলে (সেটা ঘুসঘুসে জ্বরও হতে পারে) তাকে উঠোনের এককোনে ঘর তুলে রেখে দেওয়া হতো। বা ওরকম ঘর আগে থেকেই থাকতো। তার স্নান-খাওয়া আলাদা। এটা করলেই অধিকাংশ অসুখের ছড়িয়ে পড়া আটকে যেতো। এটার সাথে অনেক রিচুয়াল ছিলো। ঝাড়-ফুঁক, মন্ত্র পড়া, সত্যনারায়নের পূজো। এগুলোকে কুসংষ্কার প্রমান করতে গিয়ে পশ্চিম ঐ বেসিক বিধিগুলোর সম্পর্কেও বিরূপতা গড়ে তোলে, হ্যাঁ গড়ে তোলে। এটা ঐতিহাসিক সত্য যে ঔপনিবেশীক আমলের আগে মহামারী ততো শোনা যায় নি।
  • kallol | 119.226.79.139 | ২১ মার্চ ২০১২ ১৬:২৩527864
  • পশ্চিমে মা-বাবার নাম ধরে ডাকে সন্তান। আমাদের এখানে সেটা করলে কান মলা খাবে। কোনটা ভালো কোনটা খারাপ?
    পশ্চিম শিখিয়েছে নতুন মানেই ভালো। নিহিতার্থ, পুরোনো মানেই খারাপ।
    এটা আসলে একটা ঔপনিবেশীক প্রকল্প। যাতে পশ্চিমের জ্ঞানচর্চাকে আমাদের জ্ঞানচর্চার ওপরে স্থান দেওয়া যায়। মান্যতা আদায় করতে হবে। নইলে শাসন করা যাবে না। বারবার সিপাহী বিদ্রোহ ঘটবে, ব্যাবসার ক্ষতি হবে। তাই শান্তি চাই, শান্ত সময় চাই, আর পশ্চিম যে গুণগতভাবে প্রাচ্যের চেয়ে উঁচুতে সেটা মানাতে হবে। ব্যাস। কেল্লা ফতে হলো তাতেই। আজও পর্যন্ত সেই ট্র্যাডিশণই সমানে চলিতেছে।
  • dd | 110.234.159.216 | ২১ মার্চ ২০১২ ১৬:২৮527866
  • কিন্তু বেদেও বৈদ্য ও ভিষজের কথা আছে, বৃত্তি হিসাবে। দেবতাদের মধ্যেও অশ্বিনীদ্বয় ডাক্তার ছিলেন। অপারেশন করতেন ওসুদ দিতেন।
    ইন্দ্রও টোটকা চিকিৎসা জানতেন। চর্ম রোগ থেকে টাকে চুল গজানো - এ সবি করতেন।

    প্রফেশনাল ডাক্তার ছিলো, মানে "স্বাস্থ্যব্যবস্থা" ছিলো। তা তুমি না বলছো কেনো ?
  • PT | 203.110.246.22 | ২১ মার্চ ২০১২ ১৬:২৮527865
  • এইডস হলে ওষুধ খাওয়াবেন। ৮০-র দশকের মাঝামাঝি সময়ে আবিষ্কৃত প্রথম ওষুধটির নাম AZT। সেটি এখনও ব্যবহৃত হয়। তার সঙ্গে আরও অনেক ওষুধ যুক্ত হয়েছে।

    যুবরাজকে দেখুন- আপাতত: ক্যান্সারকে কলা দেখিয়ে বাড়ি এসেছে। আবার হলে? ওষুধ খাবে -না সারতেও পারে, মরে যাবে। মানুষ মরবে না এমন দাবী চিকিৎসা বিজ্ঞান কখনো করেছে নাকি?
  • ranjan roy | 115.118.214.172 | ২১ মার্চ ২০১২ ১৬:৪২527867
  • মাইরি! কল্লোল আবার উগ্রবাদী হয়ে যাচ্ছে!:))))
    সাইবেরিয়ার বধ্যভূমি থেকে ফিরে দস্তয়েভস্কির স্লাভোফিল মতবাদের প্রচারক হয়ে যাওয়া? না:, ইউরোপীয় উদাহরণ নয়, খাঁটি দেশজ উদাহরণ দেব। আন্দামান-বার্মার পথে
    সমুদ্রে লাফিয়ে পালিয়ে গিয়ে আবার ধরা পড়ে সাভারকরের হিন্দু মহাসভা গড়ে বিশ্বযুদ্ধে ইংরেজদের জন্যে সৈন্য রিক্রুট করার উদাহরণ? না:, আমি হয়তো আরেক এক্সট্রিমে যাচ্ছি।:))))
  • tatin | 122.252.251.244 | ২১ মার্চ ২০১২ ১৬:৪৯527868
  • কল্লোলদাকে ক এর পর ক।

    বিহেভিয়ারিয়াল ও লাইফস্টাইল রিলেটেড অসুখ গুলোর কথাও খুব উল্লেখযগ্য এইখানে
  • kallol | 119.226.79.139 | ২১ মার্চ ২০১২ ১৬:৫১527869
  • ডিডি।
    বৃত্তি থাকা, আর ব্যবস্থা থাকার মধ্যে পার্থক্য আছে।
    একজন কবিরাজ কি করতেন? চাষবাস করতেন। জমিজমা ছিলো, সেখানে লোক খাটিয়ে সংসারের খাবার জোগাড় করতেন। কখনো জমিদার বাবুর কঠিন অসুখ সারিয়ে গলার হার পেতেন। জমিজমাও পেতেন। সে তো জমিদারীতে একজন কবিরাজ, একজন নাপিত, একজন ধোপা, একজন ডোম রাখতেও জমি দিতেন। যাকে তখনকার পরিভষায় বলতো বসানো বা বসত করানো। মোট কথা কবিরাজ ডাগদারী করে খেতেন না।
    আজকের ডাক্তার কি করে? ডাগদারী, তার সাথে বই লেখে, গান গায়, জিমনাস্টিক করে, টেনিস খেলে, কিন্তু সংসার চালায় ডাগদারী করে। এইটা করতে গিয়ে তাকে হাসপাতালের সাথে যুক্ত হতে হয়, ওষুধ কোংএর সাথে যুক্ত হতে হয় (একটাও খারাপ অর্থে নয়), আরও কত কি করতে হয় - ডাগদারেরাই বলতে পারেন। এটাকে ব্যবস্থা (সিস্টেম) বলে। অন্যটা ব্যবস্থা নয়।

  • kallol | 119.226.79.139 | ২১ মার্চ ২০১২ ১৭:০২527871
  • পিটি।
    আমিও তো তাইই বলছি। অসুখ হলে ওষুধ খাবে, পথ্য করবে, নিয়ম মানবে। সারতেও পারে নাও পারে। সেটা সেদিনও সত্যি আজও সত্যি।
    মানুষ মরবেই।
    তার জন্য খামোখা নিজেদের বাসস্থানটাকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাওয়ার যৌক্তিকতা কি?
    মানুষের মারা যাওয়াটাকে ঋণাত্মক ভাবে ধরার কি আছে? এটাও পশ্চিম শিখিয়েছে। মরার আগে মরিতে নাই। আর প্রাচ্য কি বলে? মরার আগেই মরে যাও - জিন্দা মুর্দা, জ্যান্তে মরা। বুদ্ধ শিখিয়েছেন দু:খ, জরা, ব্যাধি, মৃত্যুকে জয় করা যায়। বুদ্ধ ঈশ্বরে বিশ্বাস করতেন না।
    মৃত্যু তো জীবনের শেষ উৎসব। আত্মায় বিশ্বাস করি না। চার্বাকেরাও করতো না। কিন্তু মরে যাওয়াটা মোটেও খারাপ না। একদম না।
  • dd | 110.234.159.216 | ২১ মার্চ ২০১২ ১৭:০২527870
  • বোঝো।

    আমি তো বেদের যুগেই আটকে আছি।
    এর্পরের শুশ্রুত চরক ,রাজা রাজরার বড়ো কবরেজ - অদ্দুরে আসি নি। শাস্ত্র ছিলো, বৃত্তি ছিলো, স্কুল ছিলো। আর কি চাই হে তোমার ?

    সে জাগ্গে, তোমার এই "বড়োদের মুখে চোপা করার" নীতি একটি পশ্চিমা চাল, এটা বেশ মনে ধরলো। কিন্তু মানলাম না।

    এখন দেখতে হবে সাহেবরা আসার আগেই এদেশে জেষ্ঠ্যদের দুর ছাই ডোন্টো কেয়ার ছিলো কি না।
    ব্যাপারটা শুধু ই রাম আর লক্ষণ, না কি বালি সুগ্রীব,শুক্র বৃহষ্পতি, রাবন বিভীষন - এদেরকেও নেওয়া যায়।

    মাজ খান থেকে ব্রহ্মপুত্র তিব্বত ভেসে গেলো, আমারও আজকের মতন আপিস শেষ, নেট সেষ।
  • saikat | 202.54.74.119 | ২১ মার্চ ২০১২ ১৭:০৭527872
  • ডস্টয়েভস্কি "স্লাভোফিল" মতবাদের "প্রচারক"??প্রচারক?

    রঞ্জনদা মনে হয় Demon উপন্যাসটার কথা ভেবে বলছেন, যেরকম সমসাময়িক প্রগতিবাদীরা বলত ! কিন্তু সেও তো প্রকাশ হয়েছে ১৮৭২-এ, আর সাইবেরিয়া থেকে ফিরেছেন ১৮৪৯ সালে।
  • pi | 72.83.76.34 | ২১ মার্চ ২০১২ ১৭:২০527873
  • ম্যালেরিয়ার রমরমা তো রেলের দাক্ষিণ্যেই।

    যাই হোক, এই ইস্যু নিয়ে এত কিছুই বলার যে লিখতে ল্যাদ লাগছে। :(
  • PT | 203.110.247.221 | ২১ মার্চ ২০১২ ১৭:৫৮527875
  • সাহেবদের জন্যে আয়ুর্বেদ আর চিকিৎসা শাস্ত্রের সব্বোনাশ হয়েছে? কি জানি, প্রফুল্লচন্দ্র তো অন্য কথা বলছেন:

    Decline of Science in India

    …a knowledge of arts and science perished with the institution of the caste system in its most rigid form…

    …the very touch of a corpse, according to Manu, is enough to bring contamination to the sacred person of Brahmin……

    …The arts being thus relegated to the low castes and the professions made hereditary……

    …The intellectual portion of the community being thus withdrawn from the active participation in the arts, the how and why of the phenomena –the coordination of the cause and effect –were lost sight of.

    …the spirit of enquiry gradually died out …..and India for once bade adieu to the experimental and inductive sciences. Her soil was rendered morally unfit for the birth of a Boyle, De Cartes or a Newton and her very name was all but expunged from the map of the scientific world.


    অবস্থা এতই ঘোরালো ছিল যে সাহেবরা Calcutta Medical School খুলে ছাত্র পাচ্ছিল না মরা কাটতে হবে বলে। সংস্কৃতজ্ঞ মধুসূদন গুপ্ত রাজি হলেন মরা কাটতে ১৮৩৬ এর ১০ই জানুয়ারি। সাহেবরা নাকি ৫০ বার তোপ দেগে সম্বর্ধনা জানিয়েছিল মদুসূদনকে। মানুষের শরীরের ভেতরে কি আছে না জেনে চিকিৎসা করা যায় নাকি?
  • lcm | 128.48.44.141 | ২১ মার্চ ২০১২ ২২:০৪527876
  • সেরেছে! কল্লোলদা কি বলতে চাইছেন !
    যারা খুব খারাপ পরিস্থিতিতে যেন তেন ভাবে বেঁচে আছে, তাদের মরে যাওয়া উচিত।
  • kallol | 119.226.79.139 | ২২ মার্চ ২০১২ ০৯:২৪527877
  • লসাগু।
    হ্যাঁ, তাই বলছি, তবে ওভাবে নয়। কোন কিছু যা জীবন্ত তার মৃত্যু কামনা করা আমাদের আজকের মূল্যবোধে খুব খারাপ, অপ্রগতিশীল।
    কিন্তু আমি বলেছিলাম যে শিশু মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে গেলো, মত্যুর অধিক যন্ত্রনা নিয়ে বাঁচতে, আমি তার মৃত্যুতে শোকাহত হবো না। সে বেঁচে গেলো বলে আনন্দও করবো না।
    যে বয়ষ্ক মানুষটি রোগে ভুগে মারা না গিয়ে বেঁচে রইলো অসীম অবহেলায়, দূরছাই সয়ে অর্ধাহারে অনাহারে, আমি তার বেঁচে থাকার কোন অর্থ পাই না। সে মারা গেলে শোক নেই, তার বেঁচে থাকায় আনন্দও নেই।
    মৃত্যুকে জীবনের শেষ ঘটনা হিসাবে দেখলে, মৃত্যু নিয়ে এই অহেতুক শোক চলে যায়। মৃত্যু কামনা করা পরিস্থিতি বিশেষে ভালো। মৃত্যুই তো একমাত্র নিশ্চিত এই অনিশ্চিত জগতে।
  • kallol | 119.226.79.139 | ২২ মার্চ ২০১২ ১০:০১527878
  • পিটি।
    মানুষের শরীরের ভিতর কি আছে না যেনে যদি চিকিৎসা করা নাই যায় তবে ৪৮০০ বছর ধরে ভারতে রোগ হলেই মানুষ মরে যেতো।
    আর প্রশ্নটা শুধু চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। প্রশ্নটা উন্নয়নের ধারনা নিয়ে, চিকিৎসা তার একটা অংশ মাত্র।
    চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতি না হলে মানুষের গড় আয়ু কমে যেতো। তাতে যে কি ভায়ানক খারাপ হতো তা আমি এখনো বুঝতে পারিনা। তাতে রামায়ণ মহাভারত থেকে মেঘদূত, জ্যামিতি থেকে শূণ্যের ধারণা, দান্তে থেকে শেক্সপিয়র, কামু থেকে রবীন্দ্রনাথ, নিউটন, কোরানিকাস, গ্যালিলিও, আর্যভট্ট, ভাষ্করাচার্য, চীনা ও জাপানী ওয়াশের পেইন্টিং, অজন্তা ইলোরা কোনটাই আটকে থাকে নি।

    ডিডি।
    চিরকাল ছোটরা বড়দের অচ্ছেদ্দা করে এসেছে - দেশে দেশে যুগে যুগে। কথাটা হলো এই আচরণটা প্রাতিষ্ঠানিকতা পচ্ছে কি না। ঈশপ বা পঞ্চতন্ত্র বা জাতকের গল্প, ঈলিয়ড-অডিসি, রামায়ণ-মহাভারত সব জায়গায় এই অচ্ছেদ্দার গল্প আছে। কিন্তু যারা এই কাজ করে তারা খারাপ - এটাই বলে এসেছে এই গল্পগুলো।
    নতুনকে বরণ করো - যেটা অনুচ্চারিত হয়ে মগজ অধিকার করলো পুরোনোকে ঝেঁটিয়ে দূর করো। এই চিন্তাকে প্রাতিষ্ঠানিক চিন্তার অন্তর্গত করে নেওয়া হলো। ঔপনিবেশিক চিন্তায় এই মনোভাবকে উপনিবেশে মান্যতা দেওয়া হলো। এই চিন্তার দুটো মেরুর টানাপোড়েন তারাশঙ্কর-বিভুতিভুষণ-মানিকে পাবে। নতুনকে বরণ করতে গিয়ে, পুরোনোকে অচ্ছেদ্দা করা আর খারাপ থাকলো না।

    যাই হোক টইটা নিজের যায়গায় ফিরে আসুক। আমার সাথে অনেকের চিন্তার জায়গায় মিলছে না। তো কি আর করা। অমিলটা থাক।
  • Du | 117.194.206.130 | ২২ মার্চ ২০১২ ১০:০৮527879
  • মরে যাওয়াকে অত বেশি ভয় না করাই ভালো। আমার ঠাকুর্দা শুনেছি প্রায় প্রতিদিনই মাকে বলতেন, বৌমা তাড়াতাড়ি খাওয়াদাওয়া করে নিও সবাই, রান্নাগুলো যাতে নষ্ট না হয় অশৌচ পড়ে গিয়ে। এতটাই রেডি ছিলেন তিনি। আমাদের হাতে এখন এমন ক্ষমতা এসে যাচ্ছে যে মৃত্যুকে আমরা অনেক দীর্ঘায়িত করতে পারি আমরা। তাই এই দর্শনকে আমাদের একটু বোধ হয় দরকারই আজ। চিড়ে হাতে মহাপ্রস্থান আর ইরদিন ভেন্টিলেটরে শুয়ে থাকার একটা মিডল পাথ - বা বলতে চাইছি একটা মেনে নেবার হিউমিলিটি আমাদের কালটিভেট করতে হবে -- আজ না হলেও অচিরেই।

    টপিকের বাইরেই কথা বললাম - তাও ভ্যারাইটি অনুষ্ঠানের সঞ্চালিকা স্টাইলে মিলিয়ে দিই একটু (:)) - বিস্তীর্ণ দুপারে হাহাকার থাকলেও -বুঢ়ালুইত যেন চিরদিন বয়ে চলে।

  • PT | 203.110.247.221 | ২২ মার্চ ২০১২ ১০:৪১527880
  • Kallol
    তক্কটা একটা অবাস্তব জায়গায় চলে এসেছে। এখন বলাই যায় যে অজন্তার গুহাশিল্প না থাকলেই বা কি হত। কিংবা রবীন্দ্রনাথ খামোকা ১৯৩৮-এর রোগশয্যা থেকে বেঁচেই বা উঠলেন কেন আর বিবেকানন্দ তো ৩৯-এ না মরে ১৯-এই যেতে পারতেন। সব চাইতে বড় কথা মানুষ আদৌ না থাকলে পৃথিবীতেই বা কি আসত যেত - পরিবেশ নিয়ে কোন সমস্যাই হত না!!
  • dd | 110.234.159.216 | ২২ মার্চ ২০১২ ১০:৫২527881
  • টইএর টপিকের 'বাইরে' বলে কিছু আছে?

    ভেবে দেখলাম কল্লোলের কথায় যুক্তি আছে। কিন্তু ও তো আর মিত্তির্দার মতন গুছিয়ে লিখতে পারে না, আমার মতনই গোলগোল করে লেখে তাই পয়েন্টগুলো বুঝতে অসুবিদে হয়।

    ভাব সম্প্রসারন করলে হয় " ওরে পোদো, আয়ু বাড়ালেই কেস মিটে গেলো? কোয়ালিটি অব লাইফটা একটু দেখবি না? স্বাস্থ্য চাই,টাকা চাই,সংগী চাই, এনটারটেইনমেন্ট চাই নইলো শুধু বেশী মৃত্যু করেই বিজ্ঞান আর আধুনিক সভ্যতা কি এমন মাথাটা কিনেছে?" তাই তো? কল্লোল?

    সত্যি। ধরুন আপনারা সবাই দুশো বছর বাঁচলেন কিন্তু অশক্ত শরীরে একাকী রয়ে গেলেন ছেন্নাইতে। চাই সেরম কিসু দীর্ঘ জীবন?
  • dd | 110.234.159.216 | ২২ মার্চ ২০১২ ১০:৫৩527882
  • "বেশী মৃত্যু নয়" - বেশী বয়সে মৃত্যু।
  • abastab | 14.139.163.29 | ২২ মার্চ ২০১২ ১১:৩১527883
  • আয়ু বাড়লে তো সবারই বাড়বে, তাই একাকীত্বের প্রশ্ন নেই। সমস্যা অন্যত্র, তখন ২০০ তে আশ মিটবেনা ২০০০ বছর বাঁচার ইচ্ছে হবে। আদর্শ আয়ু অবশ্য অতি সহজ পাটিগণিতের নিয়মেই নির্ধারণ করা যায় আর সেটা ঐ ৩০-৪০-এর কাছাকাছি কিছু একটা হবে।
  • abastab | 14.139.163.29 | ২২ মার্চ ২০১২ ১১:৩৩527884
  • কল্লোলদা অন্য ইস্যু যেটা তুলতে চাইছেন সেটা নিয়ে ভালো অলোচনা হতে পারে। উন্নয়ন বলতে আমরা কি বুঝি। এবং গত দুই/ তিন সহস্রাব্দে সত্যি সত্যি বিরাট কিছু উন্নতি হয়েছে কি?
  • kallol | 119.226.79.139 | ২২ মার্চ ২০১২ ১১:৫০527886
  • ডিডি নিগ্‌ঘাত সংক্ষেপিকরনে (বাংলায় যাকে প্রেসি করা বলে) ফাস্টো হতো।
    পরেরবার দেখা হলেই আমার তরফ থেকে রাম বা বিয়র, যেটা পছন্দ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই প্রতিক্রিয়া দিন