এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মৃত্যু পরবর্তী পারলৌকিক ক্রিয়ার

    de
    অন্যান্য | ১৫ মার্চ ২০১২ | ৪৯০০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • de | 180.149.51.68 | ১৫ মার্চ ২০১২ ১৫:২৯534783
  • মৃত্যু পরবর্তী পারলৌকিক ক্রিয়ার যাথার্থ্য -- এইটে লিখতে চাইছিলাম --

    ঝিকির জন্য খুলে দিলাম --
  • kallol | 119.226.79.139 | ১৫ মার্চ ২০১২ ১৫:৪৩534794
  • যিনি চলে গেলেন তাঁর পারলৌকিক ক্রিয়া পালন করা না করা একান্ত ব্যাক্তিগত বিষয়। আমার বাবার মুখাগ্নি, কাছা, মাথা মুড়ানো, শ্রাদ্ধ, নিয়মভঙ্গ আমি কোনটাই করিনি। আমার ছেলে আর ভাই বোন বউ করেছে। আমি স্মরণ সভা করেছিলাম। বাবার বন্ধু আমাদের পাড়াতেই থাকতেন ফণিবাবু, শচীনকত্তার গান, নজরুলের গান গেয়েছিলেন।
    কিন্তু যার এইসবে আস্থা আছে, তার কাছে খুব সুন্দর ব্যাপার। মানুষটির জন্য পরলোকে ভাত কাপড় জলের ব্যবস্থা করা। তার আত্মা যাতে শান্তিতে থাকে তার জন্য প্রার্থনা করা।
    মুস্কিল তাদের, যাদের এসবে আস্থা নেই কিন্তু নিয়মের চাপে করতে হয়, তাদের।
  • Nina | 12.149.39.84 | ১৫ মার্চ ২০১২ ২২:২৩534805
  • আমার বাবা এইসব মানতেন না--তাঁর নিজের মা যখন চলে গেলেন বাবা তখন বৃটিশ জেলে বন্দী। জেলর বলেছিলেন মায়ের কাজ হিসেবে যা জা করতে হয় সব ব্যাবস্থা করে দেবেন---বাবা বলেছিলেন প্রতি রবিবার রাজবন্দীদের জে বড়াখানা খাওঅয়ানো হয় সেটা যদি জেলের সমস্ত বন্দীদের দেয়া হয়--সেটাই হবে তাঁ মায়ের কাজ--তাই হয়েছিল।
    পরে কিন্তু বাবা বলতেন --এইটা এক বিরাট ইন্ডাস্ট্রি--ডোম থেকে পুরুত থেকে নানা দোকানি--অনেক লোকের রুজি-রোজকার---এর বোধহয় তাই দরকার!
    আমার নিজস্ব অভিজ্ঞতা--যখন এই মর্মান্তিক দিন এল তখন বোধশক্তি নাম্ব--যে যা বলছে কলের পুতুলের মতন করে যাচ্ছি---বিশ্বাস অবিশ্বাস কোনো বোধই নেই---কি কি করেছি মনেও নেই। তর্ক করার শক্তি ও ছিলনা--আর ধাক্কটা কেমন যেন করে দিয়েছিল--দুবারই :-(
    আর এই পরপর কি সব করে চলেছি---বারবার করে মন্ত্র উচ্চারণ করছি--আর মাথয় গেঁথে যাচ্ছে--মানুষটা নেই--মানতে বাধ্য হচ্ছি--জানিনা এগুলো সত্যি ই বড্ড নিজস্ব--যে যেভাবে শান্তি পায়।
    একটা কথা খুব মনে পড়ে--নিয়মভঙ্গের দিন--আমার দাদারা ( কাজিন--আমি ওনলি চাইল্ড) সব ব্যাবস্থা করছে দেখাশোনা---খাবার দাবার--আমি ক্লুলেস---হঠাৎ মনে আছে আমার এক দাদা হঠাৎ এসে বল্ল--দেখ তো একটু চেখে ফিশফ্রাইটা --ঠিক আছে কিনা--অনেকে খাবে--আমি এক্ষুণি কমলাভোগ টেস্ট করেছি তাই বুঝতে পারবনা---ঘোরের মধ্যে খেয়ে বলি না ভাল হয়েছে। আমার ও মার দুজনেরই খুউব প্রিয় ভেটকি ফ্রাই--মারই কাজের ক্কথা এটা।
    পরে যখন খেতে বসেছি কিছুই খেতে পারছিনা--আমর কাছে ফিশ্‌ফ্‌রাই আনল যখন --হাউ হাই করে কাঁদছি আমি খাবনা
    দাদা পরিবেশক কে বল্ল ওকে ছেড়ে দিন--আমি আগে খাইয়ে দিয়েছি।

  • riddhi | 108.218.136.234 | ১৫ মার্চ ২০১২ ২২:৫৩534816
  • প্পন বাবুর ২:১১পি এম এর পোস্ট টা নিয়ে।

    জেনেরিক প্রবলেম। মানে বাবা মা, বাচ্চা মাঝে সাঝেই কিছু জিনিস চান যা আমার যুক্তি মানে না। তো, সেগুলো কর্তে হয় ফালতু বাওয়াল ঠেকানোর জন্য। বা মর্মান্তিক দু:খ না দিতে। এখন মাঝে মাঝেই কিছু সুযোগ থাকে যেখানে কিস্‌সু না করে একটা মিথ্যে দিয়ে উতরে যাওয়া যায়। তো সেটা তো ওপ্তিমাম, শুধু সুযোগ টা কম থাকে। মৃত্যু সেই সুযোগ দেই, শুনতে খুব খারাপ লাগলেও। তাহলে তার ব্যবহার করই যুক্তিযুক্ত। যদি সত্যি আত্মায় 'অবিশ্বাস' হয় ।

    আর এখানে ধরে নিচ্চি, পিসী মাসী জেঠুদের চাপ ফাপ নেই। শুধু নিজের ওপর।
    না তো বাওয়াল এড়াতে অনেক কিছুই করতে হয়। বেস্ট হয়, ধর্ম শাস্ত্র ভাল করে পড়ে কোন লোচা বের করে বা বানিয়ে দেখানো, একটা মিনিমান জিনিস করে পার পাওয়া যায়।
  • riddhi | 108.218.136.234 | ১৫ মার্চ ২০১২ ২২:৫৪534827
  • এটা ভাটের একটা পোস্ট নিয়ে প্পনবাবুর। কল্লোলবাবু যেটা বল্লেন মৃত্যুর পর -'একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়' করি কি না করি।
  • rimi | 168.26.205.19 | ১৬ মার্চ ২০১২ ০০:৪৫534838
  • নিনদির পোস্ট ভালো লাগল।

    মৃত্যু বিষয়ে সম্পূর্ণ অন্যরকম পার্স্পেক্টিভ পেয়েছিলাম দুজনের কাছে।

    গত বছর বেশি কিছু মৃত্যুর অভিজ্ঞতা হয়। খুব কাছের একজন মানুষ মৃত্যুর কাছাকাছিও চলে যান। সকলেই বয়স্ক। আমার সহকর্মী শামিমের সঙ্গে একদিন এই নিয়ে কথা বলি। শামিম একাধিকবার প্রিয়জনের মৃত্যু দেখেছেন। শামিম বললেন, "দেখো, জীবনের মতন মৃত্যুকেও মানুষের সেলিব্রেট করা উচিত। মৃত্যু তো জীবনেরই একটা অংশ। মৃত্যু ছাড়া জীবন পূর্ণতা পাবে কেমন করে? "

    আমার বাবার অসুস্থতা নিয়ে গত বছর একটা সময় পর্যন্ত খুব চিন্তিত ছিলাম। অথচ মাকে দেখি, রিউম্যাটয়েড আর্থরাইটিসে পঙ্গু, কিন্তু দিব্বি হাসিখুশি ফুর্তিতে আছে। বাবার কিছু হলে মাকে কে দেখবে, কিভাবে জীবন কাটবে ইত্যাদি নিয়ে একদিনের জন্যেও মাকে দুশ্চিন্তা করতে দেখলাম না। মাকে জিজ্ঞেস করি, "তোমার ভয় বা দু:খ হয় না এতো মৃত্যু আর মৃত্যুর কাছাকাছি চলে যাওয়া মানুষদের দেখে?"
    মার উত্তর: " দূর! একটা কথা ভেবে দ্যাখ, মৃত্যু না থাকলে, মানে কেউই মারা না গেলে, এইটুকু পৃথিবীতে এতো লোকের জায়গা হত কেমন করে? আমি তো একটা জীবন পুরো কাটিয়েই দিলাম, এবার তো আমাকে পরের প্রজন্মদের জন্যে জায়গা ছেড়ে দিতেই হবে, আমি খুশিমনে তার জন্যে প্রস্তুত। সময়োচিত মৃত্যু দু:খের নয়, বরং আনন্দের।"

    মার কথা শুনে বুঝি যে মৃত্যু নিয়ে মার ইতিমধ্যেই ভাবা হয়ে গেছে। মৃত্যু নিয়ে তার মনে এতটুকু ভয় বা অনিশ্চয়তা নেই। আমারো মনের ভার হাল্কা হয়ে গেছে সেদিন থেকে। সময়োচিত মৃত্যুকে আমিও এখন অন্য চোখেই দেখি।
  • Sibu | 74.125.59.177 | ১৬ মার্চ ২০১২ ০১:২৯534849
  • আমি মায়ের সময় ধর্মীয় বিধি সবই পালন করেছিলাম। কারণ, মা মানত এবং চাইত।

    আমার ইচ্ছাপত্রে বলা আছে আমার জন্য যেন এসব না করা হয়।
  • riddhi | 64.134.148.146 | ১৬ মার্চ ২০১২ ০৩:২২534860
  • শিবুদা, কেউ নিজে চাইলে একশবার কর্তেই পারে। কিন্তু কোন অবিশ্বাসীর ' মৃত ব্যক্তি চাইতেন' বলে করার কোন যুক্তি নেই কিছু।
    এখানে শুধু শ্রাদ্ধ কর্ম না। কেউ কিছু হয়তো জীবৎকালে ইচ্ছে করল। যা আপ্নার যুক্তিতে ভুল।
    তার 'ইচ্ছে' পূরণ এর দায়িত্ব (যা তাকে খুশী করার তাগিদ থেকে আসে) ততক্ষন, যতক্ষন সে আচে। এর পরেও সেটা করার বোধ সেই জায়গা থেকে আসে যেখানে আমি মনে করি মৃত্যুর পরেও তার কোন রকম অস্তিত্ব আছে।

    শুধু, মৃতুর কাজ নিয়ে ইচ্ছে অন্য 'ইচ্ছে' র তুলনায় হাল্কা গোলমেলে কারণ, 'ইচ্ছে' টা 'ইচ্ছেকর্তা' কেই রেফারেন্স করে। 'আমার বডির সথে অমুক করিস' ইত্যাদি। কিন্তু ওনার ফ্রেম ওফ রেফারেন্সে উনি তখনো 'থাকবেন', ওনার দেহের সাথে কোনভাবে যুক্ত। কিন্তু আমার ফ্রেম এ না। তাই আমার ক্ষেত্রে এতে লজিকাল কোন সমস্যা নেই।

    এটা উল্টো দিক দিয়েও সত্যি। আপনার যদি কোন বিশ্বাসী আত্মীয় থাকে, তার আপনর ইচ্ছেপত্র টোটাল ইগনোর করা উচিত। তার মতে আপনি মরে যাবর পরে একজন আত্মা। এখন আপনি নিশ্চয় বুঝেছেন আপনি ভুল ছিলেন। একটা ভুল থেকে ইচ্ছে টা করেছিলেন। তাই বিশ্বাসী/অবিশ্বাসী সব ক্ষেত্রেই মৃত ব্যক্তির ইচ্ছে টা ম্যাটার কর উচিত না।

  • Sibu | 74.125.59.177 | ১৬ মার্চ ২০১২ ০৩:২৯534871
  • ভালবাসার কথা যদি বাদও দাও, নীতির প্রশ্নে আমার মনে হয় যাঁর ব্যাপার তার ইচ্ছাই প্রধান। আমার মৃত্যুর পর আমার ইচ্ছাপত্র ইগনোরড হলে আমি খুশি হব না মোটেই।

    পার্টিকুলারলি, এখানে উত্তরাধিকারের একটা ব্যাপার আছে। সেটা যাস্ট পয়সা নয়, আরো কিছু। ত্যাজ্য মা-বাবা যদি আমি (ইমোশনালি) করতে না পারি তো আর কি উপায়?
  • pi | 128.231.22.249 | ১৬ মার্চ ২০১২ ০৩:৩২534784
  • মৃত্যুর পর অখুশি হওয়া যায় ?
  • riddhi | 64.134.148.146 | ১৬ মার্চ ২০১২ ০৩:৪১534785
  • সেটাই। মৃত্যুর পর খুশী কি?
    মৃত্যুর পরো 'ওনার ব্যাপার ' কি করে থাকছে? এই কন্টিনিউটি টা আসে তো অবিনশ্বর আত্মায় বিশ্বাস থেকে।
  • riddhi | 64.134.148.146 | ১৬ মার্চ ২০১২ ০৩:৪৯534786
  • কিরকম উত্তরাধিকার? ইমোশানালি ত্যজ্য না হয়েও তো করা যায়। শোকে ভেঙ্গে পড়া , বারবার /সারাজীবন অভাব অনুভব করা, আর ইচ্ছেটা পূরন না করা এই দুটো আলাদা জিনিস হয়ে যায়, মৃত্যুর পরে।
    তবে এটা যদি বলেন যে আবেগের ভারে এই বিষয়ে চিন্তা ব্লারড হয়ে যায়, ঠিক আছে। কিন্তু যুক্তিতে উল্টোটাই বলে।
  • Sibu | 74.125.59.177 | ১৬ মার্চ ২০১২ ০৩:৫৩534787
  • মৃত্যুর পরের ব্যাপার আসছে সোশ্যাল ক¾ট্রাক্ট থেকে। সমাজে যদি মরনোত্তর ইচ্ছা ইগনোর করার কালচার থাকে, সেটা আমার জন্য খারাপ ব্যাপার।

    যেহেতু মা মনে করত পারলৌকিক ক্রিয়া ইত্যাদি উত্তরাধিকারের জন্য দরকার, সেহেতু সেই উত্তরাধিকার ত্যাগ না করে ওটা বাদ দেওয়া যায় না।
  • riddhi | 64.134.148.146 | ১৬ মার্চ ২০১২ ০৪:১৮534788
  • সমাজ যদি ইগ্নোর করে,
    খারাপ ব্যাপার কেন?
  • Sibu | 74.125.59.177 | ১৬ মার্চ ২০১২ ০৪:২১534789
  • খারাপ, কেন না সেটা আমার পছন্দ না।
  • riddhi | 64.134.148.146 | ১৬ মার্চ ২০১২ ০৪:২১534790
  • এখানে মরণোত্তর টাকা পয়্‌সার ক¾ট্রাক্ট বাদ দিয়ে বলছি। ওটা হলে 'খারাপ' তো হবেই না, 'খুব ভাল' ব্যাপার হয়েযেতে পারে। তবে ওগুলো বাদ আপাতত।
  • riddhi | 64.134.148.146 | ১৬ মার্চ ২০১২ ০৪:২৩534791
  • কিন্তু তখন তো আপনি থাকবেন না।
    এনিওয়ে, কাটি এখন।
  • Sibu | 74.125.59.177 | ১৬ মার্চ ২০১২ ০৪:২৭534792
  • এস। কিন্তু এটা নিয়ে তোমার সেই ঋদ্ধি-উবাচ ফুলঝুরিগুলো দেখব এক্সপেক্ট করছিলাম । :)
  • kallol | 115.242.140.75 | ১৬ মার্চ ২০১২ ০৭:০৮534793
  • পারলৌকিক ক্রিয়া একান্তই যে করবে/যার করার কথা, তার ব্যাক্তিগত বিষয়। যার পারলৌকিক ক্রিয়া (আমার মতে) তার কোন ইচ্ছে অনিচ্ছে থাকতেই পারে না। কিন্তু যারা মনে করেন মৃত্যুর পরেও মানুষের অস্তিত্ব থাকে তাদের কথা আলাদা। সেই বিশ্বাস থেকেই তো পারলৌকিক ক্রিয়াকান্ডগুলি সংগঠিত হয়।
    আমরা অনেকই এমন বহু সিদ্ধান্ত নেই যা আমাদের বাবা-মা-আত্মীয়স্বজনের মতের সাথে মেলে না, আবার উল্টোটাও করি। তাই বলছি এটা নিতান্তই ব্যক্তিগত বিষয়, কে কিভাবে পরিস্থিতির সামনা করবে। পারলৌকিক ক্রিয়া সম্পন্ন করলেই সে ভীষণ অপ্রগতিশীল হয়ে গেলো এমন ভাবার কোন কারন নেই, আবার না করলেও কেউ খুব বিপ্লবী হয়ে যায় না।
    রিমির সহকর্মী শামিমের সাথে সম্পূর্ণ একমত, মৃত্যুই জীবনের শেষ উৎসব। সেটা উৎসবের মতোই পালন করা উচিৎ।
    এখন এই বয়সে এসে (না না ৭০ / ৮০ নয়, আমি মাত্র ৫৭) মনে হয় - প্রস্তুত থাক। কখন সময় আসবে কেউ জানে না। যখন সময় হবে যদি টের পাস, শান্ত হয়ে তাকে গ্রহন করিস।
    বাবা গান ভালোবাসতেন, শচীনকর্তার ছাত্র ছিলেন, তাই আমি বাবার মৃত্যুর উৎসবে কাছের মানুষদের ডেকে গান শুনিয়েছি। আমার ভাই-বোন-ছেলে-বউ শ্রাদ্ধ করেছে।
    আমার মা খুব ধার্মিক মানুষ, প্রচুর পূজোআর্চা করেন। উনি মারা গেলে আমি কথা দেবো। মহাভারত বা রামায়ণের কোন একটা অংশের কথকতা হবে। এমনটাই ভেবেছি। অবশ্য আজকাল শুনেছি কথকঠাকুরের বড়ই অমিল। দেখি, কীর্তনও করা যায়। দেখা যাক।
  • aka | 75.76.118.96 | ১৬ মার্চ ২০১২ ০৭:৩২534795
  • মৃত্যু জীবনের শেষ উতসব এ ঘোষণা যিনি করতে পারেন তিনি অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী মানুষ। আমার দেখা দু একটি উদাহরণ আমি জানি তারা নিজেদের জীবনে অনেক কিছু অ্যাচিভ করেছেন। সাম আপ করলে জীবনের শেষ বয়সে এনাদের অপ্রাপ্তির থেকে প্রাপ্তির ওজন বেশি। কিন্তু এনারাই সব নয়। এনাদের বাইরেও অনেকে আছেন যারা ইহ জীবনের অপ্রাপ্তি পুষিয়ে নিতে চান পরলৌকিক জীবনে।

    যে চলে গেল সে কি সত্যিই চলে গেল? সে যদি কিছু চায় এবঙ্গ কেউ তাকে তা দেবে বলে তাহলে সেই বলার দাম নেই?
  • kallol | 115.242.140.75 | ১৬ মার্চ ২০১২ ০৮:০৮534796
  • যারা পরলোকে বিশ্বাস করেন তাদের ক্ষেত্রে ইহলোকের অপ্রাপ্তি পরলোকে পুষিয়ে নেবার ব্যাপার থাকে। আরে সেই জন্যই তো ঈশ্বর নির্দেশিত পথে চলাটাই বাঞ্ছনীয়। স্বর্গে গেলেই পরম ও নিরবিচ্ছিন্ন সুখ, এবং সবই জাগতিক সুখ। শুধু সেখানে নাকি ইলিশ মাছ নেই, তাই মুজতবা আলি সেথায় যাবেন্না বলে ঠিক করেছিলেন।
    কিন্তু যিনি পরলোকে বিশ্বাস রাখেন না, তার ক্ষেত্রে প্রাপ্তি, অপ্রাপ্তি সবই এজগতেই সীমাবদ্ধ। আর সত্যি কথা বলতে কি অপ্রাপ্তি কার নেই? একটা গান বেঁধে ফেলেছিলাম, তাতে একটা লাইন এসে গেছে - সারা জনম হাঁটলে পরেও দেখবি পথ রয়েছে বাকি। পথ কি ফুরোয়? নাকি পথ হাঁটাটাই সব। গন্তব্য পৌঁছানো কি থাকে? এক গন্তব্যে পৌঁছে তো দেখি অন্য এক গন্তব্য আকাশ-মাটির সীমানায় হাতছানি দেয়। তাই চলাকে গন্তব্যের বাঁধন থেকে ছুটি দিয়ে পথ হাঁটতে চাই। যেন কোথাও যাবার নেই। পথে হাঁটতে হাঁটতে তোমাদের পাই, বন্ধু কুড়াই, বন্ধুত্ব কুড়াই। ধন্য হই। তবু তো তার মাঝে পেতে চাওয়া থেকেই যায়, বাম সরকার যাক - এও তো গন্তব্য বটে। আজ মনে হচ্ছে মমতা সরকার অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে। তো লড়াই। সে আরেক গন্তব্য। গন্তব্যকে পুরোপুরি ছুটি আর দিতে পারলাম কোই।
  • Du | 117.194.195.40 | ১৬ মার্চ ২০১২ ১২:০০534797
  • রিমি, তুমি শামিমের যেমন বললে আমারও তেমনই অবস্থা অনেকটা। বলিনা, কারন লোকের খারাপ লাগে, আমার নিজেরও মনে হয় আমি বোধ হয় স্বাভাবিক নই। পরের পর সবাই চলে গিয়েছেন এক এক করে, কখনোই কিছু করার ছিল না। তবু আপ্রাণ লড়াই ছিল তখন, সব কটা ক্ষেত্রেই যার শেষ হয়েছে হেরে গিয়ে। এখন মনে হয় , যাবার দিন এলে সকলকেই চলে যেতে হবে। আমি শিখেছি বাঁচিয়ে রাখার সমস্ত আকুলি বিকুলির পাশে সবসময় ভেতর ভেতরে জানতেই হয় যে শেষ পর্য্যন্ত , জীবনের সব রুপ রঙ সম্পর্ক ভালোবাসার শেষ পরিণতি মৃত্যুতেই।

    আমার ছোট কাকা সেদিন বলছিলেন , 'আরে আমরাও এখন ভাবতে শুরু করেছি, এই দেহটাই আমি। কত টানাটানি এই দেহটাকে রাখবো বলে, আরে পুরোনো হয়ে গেলে ছেড়ে তো দিতেই হবে'। সেই চিরদিনের ' বাসাংসি --' , সেই শোনা কথা , কিন্তু কোথাও যেন এর প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়নি।
  • PT | 203.110.243.23 | ১৬ মার্চ ২০১২ ১৩:৫৯534798
  • এই সব মৃত্যু পরবর্তী অনুষ্ঠান গুলোর একটা practical অবদান আছে। সেটা ধর্মীয়ভাবে না ভাবলেও চলে। একটা পারিবারিক , সামাজিক মানুষ চলে গেল। একটা ছেদ পড়ল যে মানুষগুলো রয়ে গেল তাদের জীবনেও। এর পরে পরিবার বা সমাজ আবার জীবন শুরু করবে কিভাবে? ৭-১০ দিনের শোক পালনের পরে কোন একটা অনুষ্ঠান normalisation-এর কাজ করে। তারপরে মৎসমুখী করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়া। এই গোটা পদ্ধতিটা কোন সংস্কৃত মন্ত্র উচ্চারণ না করে বা প্রেতলোকের ওপরে কোন বিশ্বাস না রেখেও পালন করা যায়।
  • de | 203.197.30.4 | ১৬ মার্চ ২০১২ ১৭:১৮534799
  • আমারো কল্লোলদার মতৈ মনে হয় -- আসল কথা প্রিয়জনের স্মরণ, সেটা যে যেভাবে করতে চাইবে। আমার চুপ করে বসে স্মরণ করতেই ভালো লাগবে! লোকজন, হই-হট্টগোল, এতো নিয়ম-আচার পালন, সর্বোপরি খাওয়া-দাওয়া নিয়ে অতিরিক্ত হইচই, নীনাদি যেমন লিখলো - কাছের মানুষদের এগুলো মোটেই ভালো লাগে না! তার ওপরেও থাকে কিছু অতিরিক্ত পরামর্শদাতা লোকজন, নিয়মেরও যে কতো রকমফের আছে! হবিষ্যি-অশৌচ ইত্যাদীর নিয়মগুলো এখনো এতো প্রিমিটিভ! এসব নিয়ে কথা বলতে গেলে প্রচুর সেন্টিমেন্টাল ব্ল্যাকমেল করা হয়!

    তবে এই কথাটা বড্ড ভালো লাগলো -- মৃত্যু জীবনের শেষ উৎসব! বড় দামী কথা!
  • sda | 59.97.139.57 | ১৬ মার্চ ২০১২ ১৭:৪২534800
  • প্রিয়জনের মৃত্যু উপলক্ষে লোকজন ডেকে পাত পেড়ে খাওয়ানোর মতো অশ্লীল এবং অমানবিক প্রথা এতদিন যে কি করে টিঁকে আছে সেটাই বিস্ময়ের।
  • aka | 168.26.215.13 | ১৬ মার্চ ২০১২ ১৮:৪৬534801
  • এটা মনে হয় সব দেশেই আছে। এককালে মনে হয় শ্রাদ্ধ অনেক দেরিতে হত। শোকেরও একটা শেষ আছে তো।
  • PT | 203.110.243.23 | ১৬ মার্চ ২০১২ ১৮:৪৭534802
  • সেতো সারা বিশ্ব জুড়েই হয়!
  • PT | 203.110.243.23 | ১৬ মার্চ ২০১২ ১৮:৫২534803
  • "আধুনিক" দেশগুলোতে মৃত্যুর পরে কালো পোশাক পরে কবর দিতে যাওয়া, তারপরে কবরে একমুঠো করে মাটি ফেলা ইত্যাদিকে কি প্রিমিটিভ প্রথা বলা যায়?
  • Nina | 12.149.39.84 | ১৬ মার্চ ২০১২ ২০:১৪534804
  • P T16 Mar--1:59 সঙ্গে একমত।
    আর আমার নিজের মনে হয়েছে ঐ সময়টা লোকজন ঘিরে থাকা হয়ত ভালই---

    আমি আগে ভাবতাম বাবা ছাড়া আমার জীবন কিছুতেই চলবে না---এদেশে আসার পর হয়ত কখনও রাত্রে খারাপ স্বপ্ন দেখে ঘুম ভেঙে গেছে --তক্ষুণি ফোন করেছি--কেমন আছ--ঘুমের মধ্যেও চোখ জলে ভাসা-----কিন্তু সত্যি যেদিন ব্যাপারটা ঘটে গেল---কেমন ফিলিংলেস --কিছু বুঝতেই পারছিনা---এও ভেবেছি--
    একি--আমার তো কান্না পাচ্ছে না--আমার তো কষ্টে প্রাণ বেরোচ্ছে না--সে এক দিশেহারা অবস্থা---ঠিক বলে বোঝানো যায়না---সেই ঘোরটা কাটে ঐ হৈ চৈ শ্রাদ্ধ-শান্তির প্রতি পদে ঠোক্কর খেতে খেতে--ঠিক কি হল ব্যাপারটা বোধগম্য হতে---

    আর আজকাল কেউ কারুর ওপর জোর করেওনা--যে যার মতন করেই করে পালন---
    এই পুরো ব্যাপারটা যে চলে গেল তার জন্য আদৌ নয়--যারা রয়ে গেল তাদের জন্যে।
  • riddhi | 128.83.230.17 | ১৭ মার্চ ২০১২ ০১:০২534806
  • পিটি (১:৫৯) প্লীজ এগুলো জাস্টিফায় করবেন না। ওরকম প্রাকতিকাল অবদান, সব কিছুতেই দেখলে পাওয়া যাবে। ব্যাপারটা অনেকটাই আকা এন্ড কো: নিবেদিত কাহানীর ডিকন্সত্রাকসন হয়ে যাচ্ছে।
    আমার ইচ্ছে আমি কদিন মুষরে পড়ে থাকব। সেটা শুধু এক বা দু দিনো হতে পারে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক প্রতিক্রিয়া দিন