এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Siddhartha Sen | 131.104.249.99 | ০৮ মার্চ ২০১২ ১০:২৮536108
  • উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস ল্যাজে-গোবরে হবার পর আজ একটা ইংরিজি খবরের কাগজে দেখলাম এক নামী সাংবাদিক একটা বড় কলাম লিখেছেন। যার মোদ্দা কথা হল, রাহুল বাবা রাজার বাড়ির লোক, তাঁর পক্ষে পলিটিক্সে নামাটাই ভুল। ইউ পি-র আম আদমীর পাল্‌স বোঝা আরৈ অসম্ভব। কেম্ব্রিজে পড়াশোনা করে, নিউ ইয়র্কে চাকরী করে আর সর্বোপরি গান্ধী পরিবারের ঐ তুলনাহীন আভিজাত্যের মধ্যে বড় হয়ে ওঠা একজনের পক্ষে কি করে বোঝা সম্ভব সাধারণ মানুষের সুখ-দু:খ? মোদ্দা কথায়, রাহুলের ইউ পি-র ভার নেওয়াই উচিত হয়নি, কারণ তিনি ইউ পি কে চেনেন না। কারণ রাহুলের রাজনীতি করাটা একটা শখের বিলাসীতা মাত্র।

    লেখাটাকে পাত্তা দেবার কোনো দরকার ছিল না। রাহুলকে আমি চিনি না, কাজেই তিনি ইউ পি-কে চেনেন কি চেনেন না তাও জানি না। কিন্তু লেখাটার মুল সুরটা খুব চেনা। সুখী-স্বচ্ছল অভিজাত পাব্লিকের আম-আদমীর কথা ভেবে বিশ্ব উদ্ধার করা উচিত না, কারণ তারা আম-আদমীকে চেনে না। এক-ই ভাষায় নন্দীগ্রাম পর্বে সিপিএম বলত ঠান্ডা ঘরে বসে থাকা বুদ্ধিজীবিরা নন্দীগ্রাম-জংগলমহলের মানুষদের কতটা চেনেন যে তাদের হয়ে রাস্তায় নামছেন? বা, বিদেশে ডলার রোজ্‌গার করা বিপ্লবীকুলের নন্দীগ্রামের জন্য চোখের জল ফেলাটা কুমীরের কান্না। এক পর্যায়ে গিয়ে এই প্রচার এমন মারাত্মক জায়গায় উঠেছিল যে জে ইউ-র ছাত্ররা ন্যানো-বিরোধীতা করে টিসিএস-এর ক্যাম্পাসিং এ বসছে, এবার বিদেশ যাবে। এখনো অনেক জায়গায় জে ইউ-র নক্সালদের সম্বন্ধে দাগিয়ে দেওয়া হয় যে এরা পড়াশোনা শেষ করে আমেরিকা যায় এবং বিপ্লব বিপ্লব সুখী খেলা খেলে। একই ভাষায় মমতাও আজকাল বুদ্ধিজিবিদের খিস্তি করছেন, যে তাঁরা সমাজের ওপরতলার জীব, তাঁদের কি অধিকার আছে সাধারন মানুষের দাবী নিয়ে রাস্তায় নামার? তাঁরা কঠিন জীবনের কতটুকু জানেন?

    ব্বাপ! কি যুক্তি মাইরী! আন্দোলনে নামতে গেলে এখন থেকে তাহলে জীবনে জীবন যোগ করাটা মাস্ট? ন্যাকামোর একটা লিমিট রাখতে হয়! বন্য প্রাণী সংরক্ষণ নিয়ে কথা বলতে গেলে কি তাহলে সুন্দরবনের গাছের ওপর মাচা করে ঘর বেঁধে রল কেঁদোর সাথে গা ঘষাঘষি না করলে এবার থেকে গুণে গুণে পাঁচশো ঘা বেত? না কি মরুভুমির ওপর ডকুমেন্টারি করার আগে উটদের পাত পেড়ে বসিয়ে খাওয়াতে হবে? রাহুল ভাল কি খারাপ বা ইউ পি-র ভার নেওয়া উচিত হয়েছিল কি না সেসব জানি না, এ লেখা সে সব কিছু নিয়ে নয়, কিন্তু বিলাসী জীবন কাটানোর জন্য মানুষের হয়ে রাস্তায় নামা যাবে না? আগে গ্রামে গ্রামে রোদে জলে ঝড়ে ঘুরতে হবে, বুঝতে হবে কালবৈশাখির ঝড়ে মাথায় কাঁচা বেল পড়লে কতটা ফাটে, তারপর নন্দীগ্রাম নিয়ে কথা বলার অধিকার জন্মাবে-এ কি আদিগন্ত ধাষ্টামো মা? এক্‌জন লোক, মোটামুটি স্বচ্ছল জীবন কাটিয়ে একটা গাড়ি চাম্পি মামণি আর পঞ্চাশলাখি ফ্ল্যাট বাগানোর পর যদি ওয়ান ফাইন মর্নিং তার মনে হয় যে লালগড়ে মার খাওয়া ট্রাইবালদের নিয়ে সে পদ্য লিখবে, তাহলে তার সে আলুথালু প্রচেষ্টা নেহাত হ্যাক থু তার শ্রেণী অবস্থানের সমীকরণে?

    এই মানসিকতাটা হেবি ডেঞ্জারাস, তিনখানা কারণে। এক নম্বর, যারা এই কথা বলে, মমতা বুদ্ধ যে কেউ, তারা একটা মনসব্দারী খাটায়। যে, এই জায়গাটা আমার, এখানে মাস্তানী করব আমি। তোকে খেলায় নেব, যদি তুইও সেই মাস্তানীর নিয়মকানুন গুলো জানিস আর মানিস। আর আনকোরা হলে আব্বুলিশ। মুশকিলটা হল, আমাদের সাধারণ মানুষদের মধ্যেও এই ব্যাপারটা ঢুকে গেছে। নন্দীগ্রাম কান্ডের সময় বহু সিপিএম সমর্থক এবং সিপিএম বিরোধীদের খিস্তি খেতে দেখেছি, না, তার রাজনীতির কারণে নয়, সে বাইরে থেকে কেন দেশের মানুষের কথা ভেবে কুমীরের কান্না কাঁদে্‌ছ তাই নিয়ে। তাহলে তো ভাই আর দেরী কেন, এ লজিক প্রসারণ করো সমাজের সর্ব আংগিনায়, যে তুই যদি বহিরাগত হোস তাহলে আমার এলাকায় পা দিতে দেব না। কোনো বাড়িতে বাচ্চা বৌটাকে এবার আঁশবটিতে কুটলেও বাড়ির পাঁচিলের সাড়ে তেত্রিশ ইঞ্চি সীমানার বাইরে থাকা কোনো বহিরাগত কর্‌ণ্‌পাত করতে পারবে না সে মেয়ের হাউহাউ চিত্‌কারে। আরো বাপ্পো, এবার যদি কোর্টে রেপিস্ট হাউমাউ হাতজোড় `ধর্মাবতার, বিরোধী পক্ষের উকিল কি করে বুঝবেন বান্টু খাড়া করে যৌবন কাটানোর কি জ্বালা`, তাহলে কোন লজিকে ডিফ থাকবেন সে পাকাচুল জ্ঞানবৃদ্ধ এহেন সকাতর স্ফুরনে?

    এই লজিকেরই যমজ ভাই হল, বিদেশে থেকে তুমি কোন মুখে দেশের কথা বলো হে, যেখানে তুমি সেই দেশে হয়ত ফিরবেই না কোনোকালে? নোংরা ঘরের নিন্দে করবে, কিন্তু ঝাঁট দেবার জন্য ঝাড়ু হাতে তুলবে না, ইয়ার্কি হচ্ছে? এদের থুতনীটা ধরে একটু নাড়িয়ে দিয়ে বলতে ইচ্ছে করে, `বাবু আমার, আমেরিকান সাম্রাজবাদের বিরুদ্ধে কলকাতার রাস্তায় যারা নেমেছিল তাদের ক`জন ভিয়েতনাম ইরাক গেছিল?` ভারতে থেকে আমেরিকার সমালোচনা করে ফাটিয়ে দেওয়ায় একাই একশো, আর আমেরিকায় বসে ভারত সরকারকে খিস্তোলে মরালিটির ট্যাক্সো? তাহলে ভৌগোলিক অবস্থানই গলা তোলবার মাপকাঠি? কেম্ব্রিজে পড়াশোনা করা যুবকের দিল্লীর বাড়ি সুখ-বিলাসীতা বজায় রেখে ইউ পি-র মাটিতে নামা? ভুল? কবীর সুমনের ইসরাত জাহানের গান? ভুল? কলকাতায় থেকে শর্মিলা চানুর পক্ষে কলম ধরা? ভূলভুলাইয়া?

    একটু আঁতেলগণ মাথা নেড়ে বলবেন `আসলে ব্যাপারটা কি জানো, জীবনে জীবন যোগ না করলে হয় না। নিজের শ্রেণী-অবস্থান বজায় রেখে ই এম আই জমিয়ে এসি ঘরে থেকে গরীব মানুষের কথা বলাটা সুবিধাবাদ।` যাক্কলা ! প্রত্যেকটা মানুষই তো সুবিধেবাদী রে ভাই! প্রত্যেকে চায় নিজে ভাল থাকতে, এমনকি আমাদের সমাজতান্ত্রিক সাহিত্যে যাদের জন্য কাঁউ কাঁউ তিস্তা, সেই সর্বহারাকেও যদি অপশন দেওয়া হয় বিপ্লব না কি মাসে লাখ টাকার মাইনের চাকরি, তাতে সে কোনদিকটা বেছে নেবে? আর এতে দোষের কি আছে? ব্যাপারটা হল, মেজরিটি চায় নিজেকে ভাল রাখতে। তার রাজনৈতিক চেতনাও নিজেকে ভাল রাখার জন্যেই। যে কাউকে জিজ্ঞেস করে দেখুন, সে বামপন্থী কেন? যতই মুখে বলুক হ্যান বিশ্বাস করে ত্যান বিশ্বাস করে, মোদ্দা কথায় গিয়ে দাঁড়াবে, ঐ দর্শনটা তার ভাল্লাগে, তাকে আনন্দ দেয়, তাই সে বামপন্থী। নিজে একফোঁটা আনন্দ পাচ্ছি না, কিন্তু বিশ্বের ভাল হবে এই বাধ্যবাধকতার জন্য বাঁদর থেকে মানুষে বিবর্তনে শ্রমের ভূমিকা নিয়ে চিল্লাচ্ছি, এ জিনিস জিন্দেগীতে হয় না- মানুষ কি মেশিন নাকি দাদা? ঐ আনন্দটাই আসল। সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে প্রত্যেকটা মানুষ স্বার্থপর এবং সুবিধেবাদী, কারণ সে সেটাই করে যেটা তাকে ম্যাক্সিমাম আনন্দ দেয়। এখন কেউ কেউ আছে যাদের অপরিসীম ধক, তারা সেই আনন্দটুকু চেটেপুটে ভাগ করে নেবার জন্যে স্বাচ্ছন্দ্য ছুঁড়ে ফেলে দিতে পারে। তাদের জন্য ইয়াব্বড় হাঁ সমেত লাখো কুর্নিশ। সিমলের অত ধনী বাড়ির সন্তান হয়েও প্রায় কপর্দকহীন অবস্থায় গোটা ভারত হেঁটে ঘোরা, বা চুড়ান্ত অভিজাত পরিবারে এমনকি বাংলা ভাষার ছিটেফোঁটাটুকুও গায়ে না লাগিয়ে বিদেশে যাওয়া, মার্ক্সবাদে দিক্ষীত হওয়া এবং ফিরে এসে রেল-শ্রমিক ইউনিয়নের সর্বক্ষণের কর্মী হিসেবে যোগদান করে বস্তিতে দিনযাপন, এসব জিনিস আমাদের ডিসপেপসিয়া আক্রান্ত পাকস্থলী সহজে নিতে পারে না। কৃষ্ণ-রাম না রজনী পাম, কার ম্যাজিকে এহেন রুপান্তর, তা কল্পনাও করতে পারিনা আমরা। কিন্তু ম্যাক্সিমাম মানুষ তো সেরকম পারে না, তারা তো সাধারণ, বৌ বাচ্চা নিয়ে সংসার। তারা বিদেশে থাকবে, ভাল চাকরি করবে, নিজেদের এবং পরবর্তী প্রজন্মকে সুরক্ষিত করবে, ঘরের খাবে, তারপর হাতে একটা কঞ্চি নিয়ে বেড়োবে বুনো মোষের সন্ধানে। তাহলে তাদের কারোর কথা বলার অধিকার নেই? তাদের স্‌ৎ ভালবাসা, সহ নাগরিকের পাশে দাঁড়াবার প্রসটুকুও দুছ্‌ছাই হয়ে যাবে? এদের তো পিঠ চাপড়ানো উচিত যে এই ঢ্যামনামির আর শুধু নিজেরটুকু গুছিয়ে নেবার দিনেও এরা অন্যরকম ভাবে। আর জীবনে জীবন যোগ করা? একজন কৃষকসভার গরীব চাষী এটা ভেবে রাজনীতি করতে আসে না যে জ্যোতি বোস তার ঘরের দাওয়ায় বসে মুড়ি খাবে। সে এটুকু প্রত্যাশা করে যে তার প্রতিদিনের স্ট্রাগলটাকে অনুভব করার এবং ধরার মতন চেতনা জ্যোতি বোসের আছে। আমেরিকাবাসী বিপ্লবীদের ক্ষেত্রেও এক-ই কথা খাটে।

    আর শুধু রাজনীতি কেন, শিল্প সাহিত্যেও এই মনসব্দারী সংস্কৃতির জয়জয়কার। `সুবিমল মিশ্রকে খিস্তি মারছিস? পারবি ওর মতন এক পিস রামায়ন চামার নামাতে?` বা `কবিতার ফর্ম ভাংতে গেলে আগে সেই ফর্ম বুঝতে হয়`। মানে, ভয়েস তোলার পতাকা আপনি তখনি পাবেন, যখন আপনার পকেটে থাকবে `ঘরের লোক` হবার সার্টিফিকেট। মোদ্দা ব্যাপার, একটা সিস্টেমকে আপনি বাইরে থেকে বিশ্লেষণ করতে পারবেন না। আপনাকে তার অংশ হতে হবে। আর এই টার্মটাই সবচেয়ে গোলমেলে। আপনি কুড়ি বছর ধরে ছন্দে কবিতা লিখলেও তার পর এক-ই কথা শুনতে হবে, যদি ছন্দ ভাংগেন। সম্পুর্‌ণ্‌ব্‌হাবে ফর্ম আপনি তখনি বুঝবেন, যদি সারাজীবন তার দাসত্ব করে যান, আর একবার-ও প্রথাবিরোধী না হোন। এ যদি সফট ফ্যাসিবাদ না হয়, তাহলে ফ্যাসিবাদ কি?

    দু নম্বর দিকটা আরো সাংঘাতিক। আপনি যদি আমেরিকা থাকেন, বা ভারতের কর্পোরেট চাকুরিজীবী হন, বা ন্যানোর বিরোধীতা করে টিসিএস-এর ক্যাম্পাসিং-এ বসেন, আপনি কি বলছেন সেটা আর দেখা হবে না, বরং দেখা হবে কে বলছে। আপনার কথাগুলো শোনার আগেই দাগিয়ে দেওয়া হবে আপনি সুবিধেবাদী। হতেই পারে যে আপনি যা বলছেন তা পুরোটা ভুল। কিন্তু এক্ষেত্রে, লক্ষ্য করুন, আক্রমণটা আপনার বক্তব্যকে করা হচ্ছে না, করা হচ্ছে ব্যাক্তি আপনাকে। এটা করা খুব সহজ। তাহলে আপনি যা বলছেন তার ভ্যালিডিটিটুকু (যদি থাকে) খুব সহজে এড়িয়ে যাওয়া যায়, আক্রমণের লক্ষ্য হয়ে ওঠেন ব্যাক্তি আপনি। এই দাগিয়ে দেওয়ার রাজনীতি মমতা করেন `সিপিএম`-এর ভুত দেখিয়ে, সিপিএম করত `সিআইএ`-র ভুত দেখিয়ে, এবং সিআইএ করত কমিউনিস্টদের ভুত দেখিয়ে। ভগবান, তুমি যুগে যুগে ভুত পাঠায়েছ বারে বারে!

    তিন নম্বর দিকটা আমাদের টিপিকাল বাংগালী স্বভাবের মধ্যে জড়িয়ে আছে। আমরা বহুবর্ণ জীবনকে মেনে নিতে পারিনা। হয় এটা, নয় ওটা। রাজনীতি করলে সর্বত্যাগী সন্নাসী হতে হবে, আর মাল্টিন্যাশনালে চাকরি করলে মোনা-শোভিত বাহু, রোলেক্স শোভিত কব্জি এবং গগলস শোভিত ফেস-কাটিং-এর শাইনিং জঞ্জীর-অজিত। আমরা মানতে পারিনা যে জীবনের অনেক রং থাকতে পারে। যে লোকটা ছেলেকে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াচ্ছে, নাইট-ক্লাবে নাচানাচি করছে, সময়বিশেষে সে-ই সালোয়া জুড়ুমের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামতে পারে। এবং তার দুখানা অনুভুতিতেই সে তুংগ স্‌ৎ। আবার যে মজদুর লাল ঝান্ডার নিচে লড়ছে, সে-ই বাড়ি গিয়ে বৌ পেটাতে পারে। মানুষের সাদা কালো হয়না। লাবড়া ছ্যাঁচড়া ঘন্ট বিরিয়ানী সব কিছু জড়ামড়ি করেই মানুষ বাঁচে। তাকে এক রং-এ রাংগিয়ে দেওয়া যেহেতু সে আমেরিকায় বসে আইরিশ রাম খায় তাই ফুকো ফুঁকতে পারার অধিকার হারিয়েছে-এ নেহাত ছ্যাঁচড়ামো।

    এ তো গেল নীতিগত দিক। অনেকে বলতে পারে, কিন্তু নিজের শ্রেণী অবস্থান অক্ষত রেখে, দুরে বসে থিসিস লিখলে কি সমস্যার সমাধান হবে? আ বে, সেই যুক্তিতে তো কোনো কিছুতেই সমস্যার সমাধান হবে না। `পারজানিয়া` বানিয়ে মোদীর গদি ওল্টানো যাবে না, ফারেনহাইট ৯/১১ বানিয়ে বুশের দ্বিতীয় বার প্রেসিডেন্ট হওয়া আটকানো যাবে না, দুর্বারের সাথে সেমিনার করে মেয়েপাচার কমানো যাবে না। তা সত্বেও মানুষ ওগুলৈ করবে, কারণ ব্যাক্তিমানুষের ওখানেই প্রতিরোধ। সে মোদীর গালে থাপ্পড় লাগাতে পারবে না বলে লিটল ম্যাগে গপ্প লিখবে, সুদানে জেনোসাইড না আটকাতে পারার অসহায়তায় কলকাতায় সেমিনার করে মাথার চুল ছিঁড়বে, বুশকে লাথাতে না পারার রাগ মেটাবে আমেরিকান এমবাসির জানলায় ঢিল ছুঁড়ে। তার প্রতিরোধের সীমাবদ্ধতা তার প্রসের মহত্বকে কিছুতেই ওভারকাম করে না। এর বেশি কিছু করার তার সাধ্য নেই? তা নেই তো নেই। সে যেটুকু পারে সেটুকুও না করলে তাকে বরং খিস্তি করার বেশি রাইট জন্মাত। ব্যাক্তি-মানুষের এই সামান্য প্রচেষ্টাকে রাষ্ট্র খিল্লি করে? ছেঁড়া যায়। রাষ্ট্র আমাদের পাত্তা দিয়েছে যে আমরা রাষ্ট্রকে পাত্তা দেব?

    মোদ্দা কথা, প্রত্যেকের সামাজিক সচেতনতার অধিকার আছে, সেটা তার শ্রেণী অবস্থান দিয়ে জাজ্‌ড হতে পারে না। সে যা বলছে তার প্রেক্ষিতে তাকে ধুইয়ে দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু সে নিজে যা, তার প্রেক্ষিতে নয়। লক্ষ্য করুন, একবারো বলা হচ্ছে না রাহুল গান্ধী যা করেছেন তা ঠিক, বা সিংগুর কান্ডে কতিপয় প্রবাসী মিলে গুরু সংহতি প্রগতির পাতায় যা লিখতেন তা ঠিক। কিন্তু তাঁদের ভুল বলার অধিকারটুকুও আছে, এবং তাঁদের ব্যাক্তিজীবনের `সুবিধেবাদী` অবস্থান সেই অধিকারকে কিছুতেই
    কেড়ে নিতে পারে না।
  • Lama | 116.203.164.112 | ০৮ মার্চ ২০১২ ১১:৪৩536119
  • ভাবিয়ে তুললেন মশায়
  • dd | 123.237.15.232 | ০৮ মার্চ ২০১২ ১৩:৩৪536130
  • এটা তো বহুচর্চিত আর খুব তর্কের ব্যাপার। আরো কঠিন কেনো না সকলেরই ব্যক্তিজীবন নিয়ে টানাটানি হয়ে যায়। ইচ্ছা না থাকলেও।

    সিদ্ধার্থের বাকী যুক্তি মানলেও - একটি ক্ষেত্রে মনে হচ্ছে অতিসরলীকরন হচ্ছে । সেটা - কলকাতায় বসে ভিয়েৎনামের জন্য আকাশ ফাটানো আর ভারতীয় হয়ে আমেরিকায় বসে আমেরিকারই মুন্ডপাত করা, কি জানি, এই দুটোকেই একাসনে বসাতে একটু মন খুঁত খুঁত করে।

    এবং তিনো মাকু ভাজপা এইসব নিয়ে যেকোনো সুখাসনে বসে বাজার গরম করা আর সশস্ত্র মাওবাদীদের আন্দোলনকে নিরাপদ দূরত্বে বসে উৎসাহ দিয়ে যাওয়া ঠিক একরকম লাগে না। খুব ,খুবই সুক্ষ বিচার, কিন্তু যে রাজনীতিতে মানুষের জন্য অত্যাচার,মৃত্যু একেবারে জলভাত সেটিকে শুধু লিং দিয়ে সাপোর্ট করে যাওয়া পছন্দ হয় না।
    অন্য মানুষদের বলা হছে ভাই সব, তোমরা লড়ো,মরো ইত্যাদি, আর আমি নিজের জীবনে কোনো রকম বাদ ছাঁদ না দিয়ে পদ্য লিখে লিং দিয়ে তোমাদের মদত দিচ্ছি - এটা,এটাও কেমন জানি ভাল্লাগে না।
  • sda | 117.194.196.172 | ০৮ মার্চ ২০১২ ১৩:৪৫536141
  • ডি ডি একদম মনের কথাটা বললেন।
  • PM | 86.96.228.84 | ০৮ মার্চ ২০১২ ১৫:৩১536152
  • ধরুন আপনি X দাবির জন্য আন্দোলন করছেন। ধরুন দাবীটা শেষমেষ আদায় হোলো। কিন্তু দেখা গেলো যে যাদের জন্য আন্দোলন তাদের লং টার্ম-এ প্রচুর ক্ষতি হোলো। কিন্তু আপনি এর ধারে কাচ্ছে থাকেন না। আপনি কোনো ভাবে স্টেকহোল্ডার নন। তাই সেই ক্ষতিতে আপনার কিছু যায় আসে না। আপনি যে আন্দোলন করছেন তার জন্য উদ্বুত নেগটিভ-গুলো যদি আপনাকে ভোগ করতে না হয় তো আপনার পর্টিসিপেসানের মুল্য কি? এই উদাহরন টা সিঙুরের ক্ষেত্রে প্রযয্য । এখোন সমস্ত ক্ষতি ওখান্‌কার চাষীদের-ই পোয়াতে হচ্ছে, আমাদের নয়..... যারা নাকি চাষীদের দু:খে কেঁদে ভসিয়েছিলাম।

    এবার ধরুন আপানার TCS এর উদাহরন। আপনি বলছেন TATA রক্তচোষা ভ্যম্পায়ার। TATA কে বয়্‌কট করো। এদিকে আপনি দিব্যি TCS এর ক্যম্পাস এ বসছেন। মানে ঐ বয়্‌কট ইত্যদি অন্যরা করবে, তার জন্য ক্ষতি টাও তাদের-ই হবে। আপনি শুধু একটূ স্যডিস্ট আনন্দেই খুশী। কিন্তু ক্ষিরটা আপান্র চাই-ই, ওটা ছড়া যাবে না। এক্ষেত্রে কি "কে" বলছে আর "কি" বলছে দুটোকে কি আলাদা করা যায়? যারা শেষমেষ ভুক্তভোগী হবে তাদের-ই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে আদৌ আপানার তাদের হয়ে "বয়্‌কট"-এর দাবী তোলার অধিকার আছে কিনা।

    মুকেশ আম্বানি ৪০০০ কোটি টাকার বাড়িতে থেকে জনগনকে কামিনী কাঞ্চন ত্যাগ এর বানী দিতেই পারেন। কিন্তু জনগন কিভাবে সেটা গ্রহন করবে সেটা তাদের ওপোর ছেড়ে দেওয়াই ভালো। আরো ভালো তারা যদি শুধু "কে বলছে" সেটা না দেখে "কি বলছে" সেটাও দেখে সিদ্ধান্ত নেয়।
  • Nim | 72.89.196.150 | ০৮ মার্চ ২০১২ ২১:২৬536163
  • আমেরিকায় বসে আমেরিকার মুণ্ডপাত করা যাবে না কেন?

    দুবেলা আমার পেছনে আছোলা বাঁশ পড়লেও আমাকে দাঁত কেলিয়ে বলতে হবে যে "আমি ধন্য?" এই আদেখলাপনা করেই জাতটা গেলো।

    লং আইল্যাণ্ডে কিছু আদেখলা বাঙালীর দর্শন মিলেছিল আমার ভীষণ চেনা একজনের।

    প্রথম প্রশ্ন "তোমার আমেরিকায় এসে ঠিক কেমন লাগলো? মানে ঠিক কতটা overwhelmed?"

    কে রে ভাই? অত overwhelmed হয়ে যাবার কি আছে? লে হালুয়া! যত সব গাঁওয়ারের দল!

    এরপর ছেলেপুলে আরো না ঘরকা না ঘাটকা, বাংলা জানে না অতি অবশ্যিই!!! এবং বাপ মা আমেরিকান কায়দায় বাচ্চা বড় করতে গিয়ে সাপের ছুঁচো গেলা করে বসে আছে, বাপ মায়ের ও বিশেষ আলাদা কিছু না, তারা বাঙালী ghetto তে মেশে, ফি বছর বঙ্গ সম্মেলন মারায় আর imported ইলিশ খেয়ে দেশজ ঢেকুর তোলে, ভিজে মেকুরের মত!

    এরপর তাকে snapple দিয়ে বলা হোলো, এটা খেয়ে দেখো, icedtea ফি তো আবার দেশে পাওয়া যায় না!

    বুঝুন কাণ্ড, Snapple নিয়ে বাড়াবাড়ি, এগুলো pure**বাজারি!

    এরপর এলো christmaswine, বন্ধু একে মেয়ে, তয় আমেরিকায় এসেছে, কাজেই এক মধ্যবয়স্ক semi আমেরিকান বললেন, দেশে তো আবার wine টোয়াইন মেলে না, এটা খেয়ে দেখো, ফরাসী ওয়াইন।

    হা কপাল, ৮০%california ২০% ফরাসী, তাতে আবার একটা ওয়াইন নয়, বেশ কিছুর mixture,

    ভদ্রলোককে এ তথ্য দেবার পর কিরকম গুম হয়ে গেলেন।

    আসলে এই শিকড়টা গভীরে, সাদা চামড়া=প্রভু=দেবতা, দেবতাদের দেশ=স্বর্গ!

    মাইরি, কদিন আগে কোন এক বন্ধু দেখলাম সাদা মেয়ে পটিয়েছে, লোকে কমেণ্টের বন্যা বইয়ে দিলে, ছোকরা রাতারাতি হিরো হয়ে গেল।

    কি নাকি, বন্ধুদের মধ্যে একমাত্র সাহেব মেয়ে তুলেছে!!!

    এই আদেখলাপনার শেষ কোথায়?
  • Siddhartha Sen | 131.104.249.99 | ০৮ মার্চ ২০১২ ২৩:১৪536172
  • তাহলে বলতে হবে আন্দোলনের দাবীটা ভুল ছিল। কিন্তু আমার অবস্থান/আন্দোলন করার অধিকার ছিল না কি?আর তার সাথে কিছু যাওয়া আসার কি সম্পর্ক? যদি সিংগুরে টাটার কারখানা না হবার ফলে চাষীদের ক্ষতি হয়, তাহলে তার দায় যেমন ওখানকার লোকাল আন্দোলনকারী নেতাদের, তেমনি বাইরে বসে থাকা সেই আন্দোলনের সমর্থকদের। দ্বিতীয়জনের দায়টা বেশি হয়ে গেল যেহেতু সে এর আঁচ নিচ্ছে না, এর যুক্তিটা কি? বরং দায় তো বেশি লোকাল নেতাদের, কারণ তারা আন্দোলন পরিচালনা করেছে, ডিরেক্টলি ইন্‌ব্‌হল্‌ব্‌হ্‌ড থেকেছে।

    আর জাস্ট সিংগুর প্রসংগে, টিসিএস-এর যুক্তিটা খাটেই না। কারণ আন্দোলনটা ছিল টাটা বা ন্যানোর বিরুদ্ধে নয়, জমি অধিগ্রহণ পদ্ধতির বিরুদ্ধে। সেই বেপরোয়া অধিগ্রহণ না হলে, ন্যানো অতি ভাল জিনিস। ম্যানেজমেন্টের নিরুদ্ধে স্ট্রাইক ডাকার পরের দিন থেকে কি সেই ইউনিয়নের সক্কলে সেই ফ্যাক্টরিতে কাজ করার নৈতিক অধিকার হারিয়ে ফেলে?
  • Siddhartha Sen | 131.104.249.99 | ০৮ মার্চ ২০১২ ২৩:২০536173
  • আর ইডিয়েট অথবা রামদেব না হলে কামিনী-কাঞ্চন ত্যাগের বাণী কেউ দেয় না। মুকেশকে দেখে আর যত বিরক্তি-ই আসুক, ইডিয়েট বলে মনে হয় না
  • sda | 117.194.196.172 | ০৯ মার্চ ২০১২ ০০:০২536174
  • এই কথায় কথায় প্রতিবাদ আর প্রতিরোধ শুনলেই পস্টো বোঝা যায় কোলকাতা কেন কখনো লুরু বা পুনে হবেনা। ইনফির অফিস অব্দি আটকে যাচ্ছে এস এ জেড বিরোধী আন্দোলনের জন্যে। ছাত্রদের আর দোষ কি , নেগেটিভ রাজনীতির বিষ ঢুকে গেছে এই রাজ্যের আবহাওয়ায়।
  • PM | 2.50.42.138 | ০৯ মার্চ ২০১২ ০০:৪২536109
  • সিদ্ধার্থাবাবু , আপনি যে অবস্থানটার কথা বলছেন সেটাকে সাদা বাংলায় সুবিধাবদী অবস্থান বলে।

    সে অবস্থানটা আপনি নিতেই পারেন। কে আটকাচ্ছে।

    আপনি আপনার বক্তব্যে বহু কিছু ধরে নিয়েছেন। অমিও একটা "যদি" ধরেছি মুকেশ-এর ক্ষেত্রে।, আপনার বক্তব্যের ক¾ট্রাডিকসান দেখাতে। মুকেশ আদৌ ওটা বলেন নি। কিন্তু যদি বলতেন কেউ শুনতো কি? আর মজার কথা মুকেশ-এর উদাহরন টার বিরোধীতা করতে গিয়ে আপনি কিন্তু "কি বলেছে" দেখলেন না "কে বলেছে" সেটাই দেখলেন :) বললেন মুকেশ এরকম বলতেই পারে না, কারন ও ইডিয়েট না। মানে কে বল্লো আর সে এটা বলতে পারে কিনা বা তার বলার যোগ্যতা আছে কিনা সেটা বিচার করলেন।

    সাধারন মানুশ-ও এটাই করে। যদি না করে তাহলে সিঙুরে যারা ১৮ লাখ টাকা একর -এর সুজোগ থেকে বঞ্চিত হয়ে হাত কামরাচ্ছে তাদের মতো অবস্থা হবে। যারা ৪০০ একরের অনিচ্ছুক চাষীর গল্প শুনিয়ে গেচিলো তারা আজ ত্রিসিমানায় নেই
  • Siddhartha Sen | 131.104.249.99 | ০৯ মার্চ ২০১২ ০০:৫০536110
  • আরে আমি তো বলেছি মুকেশ ইডিয়েট না বলে বলেনি। বললে আর কি, তাকে ইডিয়েট বলতাম। সেটা হরিদাস পাল বললেও বলতাম, এবং মুকেশের সমান-ই খিস্তি খেত।

    আর সিংগুর নিয়ে যারা আন্দোলন করেছিল, ঠিক কি ভুল বলছি না, তাদের সবাইকে আঁচ পাওয়াটা বাধ্যতামুলক? তাহলে সিপিএম-ই বা সিংগুর নিয়ে পাল্টা আন্দোলন করেছিল কেন? মানে ঐ ক্যাম্পেন, সিংগুর নিয়ে লেখালেখি, জনমত তৈরী করা ইত্যাদির কথা বলছি। পার্টির নেতাদের-ও তো আপাতভাবে আঁচ লাগবে না গায়ে। ওখানে কারখানা করার দরকার কি ছিল, আপনার যুক্তি মেনেই? লাভ যাদের হত বা ক্ষতি, পার্টির সাথে তাদের কি সম্পর্ক?

    পার্টি/সরকার যেমন একটা সমষ্টি চেতনা থেকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, বিরোধীতাটাও সেই সমষ্টি চেতনা থেকেই এসেছিল। দু পক্ষেই, ব্যাক্তিগত/সামাজিক অবস্থানটা ম্যাটার করেনি।
  • Siddhartha Sen | 131.104.249.99 | ০৯ মার্চ ২০১২ ০০:৫১536111
  • বা ধরুন প্রকাশ কারাতের/প্রভাত পট্‌নায়েকদের-ই বা দিল্লী বসে সিংগুর নিয়ে লেখালেখির কি দরকার ছিল? তাদের গায়েও তো আঁচ লাগবে না।
  • a | 65.204.229.11 | ০৯ মার্চ ২০১২ ০১:২৪536112
  • আরে ধুর ওসব বাজে কথায় কান দেবেন না মহায়। যা নিয়ে চান তাই নিয়ে আন্দোলন করুন, মূল্যবান মতামত দিন, ঠেকাচ্ছে কে? আপনার টাইম, আপনার কলম বা ইন্টারনেট, কারো বাপের পয়সায় নাকি? লড়ে যান, আমরা আপনার ঠিক পিছনেই আছি
  • riddhiman | 128.83.230.17 | ০৯ মার্চ ২০১২ ০৩:১৫536113
  • সিদ্ধার্থ বাবু । সুবিধেবাদীর দেফ এই হলে, আইনস্তাইন থেকে অমর্ত্য সবার কাছা খুলে যাবে।

    ধরুন আমি একজন সাচ্চা বিপ্লবী। আমি তো হাড়ে হাড়ে এদের চিনি- দুনিয়ার ভাল নিয়ে ভাবা যাদের শুধুমাত্র মনের খোরাক।
    কিন্তু ধরুন এদের মধ্যে একজন অর্থনীতিবিদ ফ্রি ট্রেড নিয়ে একটা নির্মোহ ব লিখল। সে তো ইউসেবল। বা একজন পাগলা** কবি, র‌্যান্ডমলি হিট খেয়ে দু একটা অসাধারন পিস নামায়। বাকি সময় অলিপাবে, আনন্দবাজারীদের পয়সায় মাল খায়। আমি তো তার কোট ইউস করে গেট মিটিং মাতিয়ে দিতে পারি। বা আইন্‌স্‌টাইনের প্রবন্ধ দেখিয়ে বলে্‌ত পারি, দেখ,একটা ঘ্যাম বিজ্ঞানী সোস্যালিস্ম নিয়ে কি বলছে, যদিও মনে মনে জানি পলিতিক্স নিয়ে লোকটার চিন্তা কি কিরকম ঘাটা। তো, আমার স্ট্রাটেজি হওয়া উচিত এইসব লোকদের এলিয়েনেট না করা, যে অবস্থান থেকেই লিখুক না কেন। আমি যদি সিরিয়াস কাজকম্মো করি , আমার একচুয়ালি এদের নিয়ে প্রবলেম থাকার কথা না, এস লং অস আই নো হোয়াট টু এক্সপেক্ট ফ্রম ডেম।
    আসলে ঝাট তখনি জ্বলে যখন দেখি, ঐটুকুও আমি করি না।
  • riddhi | 128.83.230.17 | ০৯ মার্চ ২০১২ ০৩:১৭536114
  • সরি, আগের পোস্ট টা পি এম কে উদ্দেশ্য করে।
    সিধুবাবুর বক্তব্যের সাথে একমত।
  • riddhi | 128.83.230.17 | ০৯ মার্চ ২০১২ ০৩:২৬536115
  • ডিডি দা আমেরিকা নিয়ে যেটা বললেন, সেটা পাতি বায়াস হয়ে গেল না কি? কল্কাতায় এইচ এস বি সি তে কাজ করে লিখলেই বা কি আঁচ পড়বে বলুন?

    যদি পাতি 'সুবিধে' কোয়ান্টিফায় করি, আমেরিকতে গ্র্যাড স্টুদেন্টের থেকে কলকাতা/মুম্বাই এ কর্পোতে চাকুরিরত বেশী আরামদায়ক জীবনযাপন করে।
  • kallol | 119.226.79.139 | ০৯ মার্চ ২০১২ ০৯:৪০536116
  • সিদ্ধার্থ।
    আপনার Date:08 Mar 2012 -- 10:28 AM পোস্টে প্রায় সবেতেই একমত, একটা জায়গা ছাড়া - "বিপ্লব নাকি মাসে লাখটাকার চাকরী"। এই যে ""মানসিকতা""র কথা বলা হলো এটাই সার্বজনীন এই ধারনাটা ঠিক নয়। আপনার উদাহরনেই আসি। একজন বড়োলোক বাপের ছেলে বিলেত থেকে ব্যারিস্টারী পড়ে এসে আসামে রেল শ্রমিকদের সংগঠিত করতে গেলো। আপনি ১০০০০০% ভুল। উনি একা যান নি। ওঁর মতো আরও অসংখ্য মানুষ সারা ভারতের নানান অঞ্চলে ওরকম কাজ করতে গেছিলো। তারা হয়তো বিলেত ফেরৎ নন, বা গুটি কতক তাওও ছিলেন। কিন্তু তারাও ইচ্ছে করলে চাকরী-বাকরী করে বউ বাচ্চা নিয়ে সংসার করতে পারতেন। সে সব না করে কেউ কমিউনিস্ট পার্টিতে কেউ লোহিয়ার সাথে, কেউ গান্ধীর সাথে বুনো মোষের শিং ধরে পটকান দিচ্ছিলেন। তারা পরবর্তীকালে জ্যোতি বসু হননি, তাই তাদের কথা আমরা ভুলে যাই, মনে রাখি একজনকে যিনি নামী হয়ে গেলেন।
    কাজেই "বিপ্লব নাকি মাসে লাখটাকার চাকরী" বল্লেই লোকে লাফিয়ে দ্বিতীয়টার জন্য যাবে এটা স্বতসিদ্ধ নয়।
    আমি এই পোড়া ব্যাঙ্গালোরেই অনেককে ব্যাক্তিগতভাবে চিনি যারা অন্যটাই করেছে। নাম দিয়ে দিচ্ছি গুগল করে দেখে নিন।
    অভিষেক মজুমদার - আইটিওয়ালা। সোনাটায় চালাক বাক্সো বাজাচ্ছিলো। সব ছেড়ে স্কলারশিপ নিয়ে বিলেত গেলো নাটক নিয়ে পড়তে। ফিরে এসে ব্যাঙ্গালোরেই নাটক করছে। এখনো খুব সফল নয়।
    স্পাটিকা রামানুজম - দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট। টাইটানে করে খাচ্ছিলো ভালো। সব ছেড়ে স্কলারশিপ নিয়ে বিলেত গেলো নাটক নিয়ে পড়তে। ফিরে এসে ব্যাঙ্গালোরেই নাটক করেছে। আপাতত: মুম্বাইতে ছোট খাটো অভিনয় করছে। এখনো খুব সফল নয়।
    সৃজিত মুখার্জি - জেএনইউয়ের ইকনমিক্স, এম ফিল। ব্যাঙ্গালোরে স্যাপএ ভালো চাকরী করতো। সব ছেড়ে নাটক। প্রথম ৫ বছর চূড়ান্ত অসফল। এখন চূড়ান্ত সফল।
    বিবেক বিজয়কুমারন - আইটিওয়ালা। কলেজ থেকে বেড়িয়ে কোন চাকরীই করলো না। ব্যাঙ্গালোরে নাটক করে। একটা স্কুলে নাটকের শিক্ষক। সেও ছেড়ে দিলো কোথায় একটা নাটকের ওয়ার্শপ করতে যাবে বলে। এখনো সফলতা পায় নি।
    এরকম আরও ১৫টা নাম এখুনি বলে যেতে পারি শুধু ব্যাঙ্গালোরের।
    এরকম মানুষ সারা পৃথিবীতে কোটি কোটি। তাই আমরা ভালো নাটক দেখি, ভালো সিনেমা দেখি, ভালো গান শুনি (মনে পড়ে গেলো, অজয় চক্রবর্তি আর শ্রীকান্ত আচার্য - এরা সফল তাই নাম জানি, এরকম কয়েক লক্ষ মানুষ আছে যারা সফল হন নি, তাই তাদের নাম জানি না)।
    কিন্তু এরা সবাই মিলে একটা কথাই চিখ চিল্লিয়ে বলে গেছে/যাচ্ছে/যাবে - "বিপ্লব নাকি মাসে লাখটাকার চাকরী" এরকম জায়গায় প্রথমটাকেই বাছবে অনেক অনেক অনেকে।
  • kallol | 119.226.79.139 | ০৯ মার্চ ২০১২ ০৯:৪২536117
  • * এরকম কয়েক লক্ষ কোটি মানুষ আছেন, যারা সফল হন নি, তাই তাদের নাম জনি না।
  • kallol | 119.226.79.139 | ০৯ মার্চ ২০১২ ০৯:৫১536118
  • পিএম।
    আপনার Date:08 Mar 2012 -- 03:31 PM পোস্টের TCS সংক্রান্ত লাইনটি। টাটার বিরোধীতা করলে টাটায় চাকরী করা যাবে না? বা, টাটার দোকানে ইন্টারভ্যু দেওয়া যাবে না? একটু ফিরে দেখুন আপনি নিজেই বুঝবেন এই কথাটার কোন মানে নেই। কেউ যদি মার্কসের সারপ্লাস ভ্যালু তঙ্কেÄ বিশ্বাস করে তবে সে কোন শিল্পে চাকরী করতে পারবে না? সেখানে সে নিজে শোষিত হবে, আবার তার কাজের মধ্য দিয়ে শিল্পপতিকে অন্যদের শোষণ করতে সাহায্য করবে।
    তফাৎ আছে - আমি সিঙ্গুরের বিরোধীতা করবো, আর তখনকার রাজ্য সরকারের পুরষ্কার বা টাটার দেওয়া ফান্ড নেবো - এটা দ্বিচারিতা। কিন্তু আমি সরকারী বা টাটা কর্মচারী হতেই পারি।
  • Siddhartha Sen | 131.104.249.99 | ০৯ মার্চ ২০১২ ১১:০৮536120
  • কল্লোলদা, হাজার হাজার আছে। আপনি যাদের নাম করলেন তাদের কাউকে কাউকে বি্‌য়্‌ক্‌তগত্‌ব্‌হাবে চিনিও। তাদের প্রত লাখো সেলাম কারণ আমি ওরকম হতে পারব না, সাহস নেই।

    কথাটা ছিল, ম্যাক্সিমাম সেরকম নয়। তারা সাধারণ, ভাল থাকতে চায়, শান্তিতে থাকতে চায় (এই গাল খাওয়া আমেরিকার বিপ্লবীদের মতই)। এবং নিজেদের ভাল থাকার জন্য ভাল চাকরি বাকরিও নেয়। আবার সেই অবস্থান থেকেই রাস্তাতেও নামতে পারে, আন্দোলনেও যায়। দুখানা অবস্থানেই তারা স্‌ৎ। মুশকিলটা হল, প্রথম-পক্ষের মহত্বটাকে গ্লোরিফাই করার জন্য মধি্‌য়্‌বত্তের সমাজ সচেতনতাকে একটু হ্যাটা মারা হয়। সেটা মারা উচিত না বলেই মনে হয়।

    আর আমায় আপনি বলতে হবে না :) গানের সুত্রে আপনি আমার কিশোর-বয়েস থেকেই খুব কাছাকাছি, রাজনীতির তফাত সত্বেও
  • Siddhartha Sen | 131.104.249.99 | ০৯ মার্চ ২০১২ ১১:০৯536121
  • *দুখানা অবস্থানেই তারা অনেস্ট বলতে চেয়েছি.।অএই গুরুর ফন্ট খুব ঝামেলার :(
  • kallol | 119.226.79.139 | ০৯ মার্চ ২০১২ ১১:২৯536122
  • সিদ্ধার্থ।
    আরে না না। এতে আমার কোন দ্বিমত নেই। কিন্তু ঐ যে বল্লে মানুষ ভালো থাকতে চায়, ওটাই শেষ কথা। কিসে সে ভালো থাকবে সেটা তার বেছে নেওয়ার ব্যাপার। সেটা এলডিসি হতে পারে সিইও হতে পারে, বিপ্লব হতে পারে যা খুশি তাই হতে পারে। এবার প্রশ্ন অধিকাংশ কি চায়। তাতে কি? অধিকাংশ দিয়ে ভোটে জেতা যায়, পণ্য বেচে লাভ করা যায়। আর কোন কিছুতে ""অধিকাংশ""এর কোন দাম আছে কি?

    তোমার কাছে আমার গানের গল্প শোনা বাকি আছে। বসে আছি কিন্তু।
  • kallol | 119.226.79.139 | ০৯ মার্চ ২০১২ ১২:০৩536123
  • খবরের একটা অংশ পড়ে বেশ অদ্ভুত একটা অনুভুতি হলো। http://www.aajkaal.net/report.php?hidd_report_id=169640&show=21696409
    কিষেনজী প:ব:তে সংগঠন করবেন বলে ১৮ বছর ধরে এ রাজ্যে থেকেছেন, বাংলা শিখেছেন।
    মাওবাদীদের রাজনীতিকে সমর্থন করার কিছু নেই। কিন্তু একটা কথা ভাবলে খুব হতাশ লাগে, এই ডেডিকেশন কি ভুল রাজনীতির ভুলভুলাইয়াতেই থাকবে শুধু?
    অন্য বামেরা কেরালা-প:ব:-ত্রিপুরাতেই আটকে। এতো হিন্দি বলয়-টলয় শুনলাম। কোথায় কি? বরং অন্ধ্র, মহারাষ্ট্রের মতো পুরোনো বাম বেল্টেও তারা না হয়ে যাচ্ছে।
  • Nim | 72.89.196.150 | ০৯ মার্চ ২০১২ ১২:৩৩536124
  • রাজনীতিটা যে অগাগোড়া ভুল সেইটে আপনাকে কে বললে? আর সিপিএম, বাংলা দেখেও শিক্ষে হয়নি, গোটা দেশে ওরকম ইতরামি না ছড়ানৈ ভালো!
  • ranjan roy | 14.97.252.24 | ০৯ মার্চ ২০১২ ১২:৩৬536125
  • আমার মনে হয় কোথাও একটা ভুল বোঝাবুঝি হচ্চে। পি এম তুলেছেন নৈতিক দায়িত্বের কথা। আর সিদ্ধার্থ বলছেন আলাদা আলাদা সামাজিক-আর্থ অবস্থান থেকে কোন বিষয়ে বক্তব্য রাখার অধিকারের কথা।
    একটু ভেবে মনে হল আসলে সিদ্ধার্থ নিজেও নৈতিকতার প্রশ্নই তুলেছেন--- উল্টো দিক থেকে।
    ওনার কথা যদ্দূর বুঝেছি:
    ১) প্রত্যেক মানুষ বাঁচতে চায়, ভালভাবে খেয়ে পরে বাঁচে্‌ত চায়।
    ২) কিন্তু নিজেদের সামাজিক অবস্থান(শ্রেণীগত) একটা গিভেন ফ্যাক্টর, যাতে তাঁদের কোন হাত নেই।
    ৩) এখন সেই পজিশনে থেকে তাঁরা নানান ভ্যালু'র প্রশ্নে মানসিক ভাবে ""আক্রান্ত" হন। শরুণ, সামাজিক অসাম্য, শোষণ, করাপশন।
    ৪) সেই জায়গা থেকে নিজেদের সাধ্যমত বা কে কত ডিগ্রিতে আক্রান্ত সেই ভাবে সবাই রি-অ্যাক্ট করেন। কেউ মাল্টিন্যাশনালে চাকরি করেও কমিউনিস্ট পার্টি তে চাঁদা দিয়ে। কেউ ঘরবাড়ি ছেড়ে হোলটাইমার হয়ে। কেউ আন্না হাজারে হয়ে। কেউ চুপচাপ করাপ্ট বসের আন্ডারে মুখবুঁজে চাকরি করে কিন্তু নিজে ঘুষ না খেয়ে।
    এখন প্রথম দল প্রণম্য, কিন্তু দ্বিতীয় দলকে কেন হ্যাটা করা হবে?
  • kallol | 119.226.79.139 | ০৯ মার্চ ২০১২ ১৩:৫৯536126
  • নিম।
    মাওবাদীদের রাজনীতি ভুল এটা আমার মত। কারুর সাথে মতে না মিলতেই পারে। আমি কেন মাওবাদীদের রাজনীতি ভুল মনে করি, সেটা অন্য আলোচনা। খুব ছোট্ট করে বলতে পারি ৭০এ আমিও ঐ একই রাজনীতিতে অংশ নিয়েছি। আমার জীবনের অভিজ্ঞতায় বুঝেছি ঐ দর্শণ ভুল। ওভাবে সমাজ বদলায় না।
    বাংলার সিপিএম বা সর্বোচ্চ নেতৃত্বের সিপিএম দেখাটা খন্ড দেখা। এখনো সারা ভারতে সিপিএমে বহু ভালো মানুষ আছেন। কিন্তু আমি বলছিলাম আদর্শের প্রতি ভালোবাসার কথা। যে ভালোবাসা থেকে একজন ১৮ বছর ধরে নতুন ভাষা শেখে, নতুন দেশকে চেনে। আদর্শ ভুল কি ঠিক তা দিয়ে সেই মানুষটার কমিটমেন্ট, ডেডিকেশনের বিচার হয় না।
  • b | 125.20.82.168 | ০৯ মার্চ ২০১২ ১৫:০৩536127
  • রঞ্জনদা,

    PM এর কাছে মনে হয় ব্যাপারটা গ্রহণযোগ্যতার। ঐ রামকেষ্টদেবের গল্পের ডাক্তারের মত। সে-ই যদি গুড় খায়, আর পেশেন্টকে বলে গুড় খেও না, তবে তার বিশ্বাসযোগ্যতা চলে যায়, অন্তত: পেশেন্টের কাছে।

    প্রতিবাদ করতেই পারেন, মাল্টিন্যাশনালে চাকরি করে কমিউনিস্ট পার্টিকে চাঁদা দিতেই পারেন, তবে, মনে হয়, (বোল্ড ও আন্ডারলাইন), মানুষ বিপদে আপদে হোলটাইমারের কথাটাই শুনবে বা বিশ্বাস করবে। 'দেশে বিদেশে' পড়া সেই পেশোয়ারী গুন্ডা সর্দারের মত। দাঁড়িয়ে থেকে মার খেয়েছে, তাই সর্দার।
  • dukhe | 202.54.74.119 | ০৯ মার্চ ২০১২ ১৫:৩৬536128
  • এই b কিন্তু আবার রঞ্জনদাকে রামকেষ্ট দেখাচ্ছেন ! :)
  • PM | 2.50.42.138 | ০৯ মার্চ ২০১২ ১৫:৩৮536129
  • b-কে ক। ফলাফলের অংশিদার না হলে আমি কেউ কোনো ইস্যু তে আন্দলোন করলে বা ওস্কানি দিলে তার গ্রহনযোগ্যোতা আমার কাছে শুন্য। ক্ষেত্রবিশেষে কোনো ক্ষেত্রে সেটা আমি শখের মজদুরী বা কোনো ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি বলে মনে করবো। ক্ষেত্রবিশেষে বিরোধিতাও করবো ক্ষুদ্র সমর্থ দিয়ে। সিধু বাবু যদি বলেন এটা "রে রে করে তেড়ে যাওয়া" তো তাই সই।

    সেই মেধা অরুন্ধতি আজ কোথায় যারা সিঙুর নিয়ে তুল্কলাম করেছিলেন? বরং আমি বেচা মান্না বা রবিন্দ্রনাথ বাবুকে কে বেশী গুরুত্ব দেবো কারন আজকের সিঙুর্বাসীর হতশা ক্ষোভ তাদের-ই সামলাতে হচ্ছে।
  • kallol | 119.226.79.139 | ০৯ মার্চ ২০১২ ১৫:৫০536131
  • পিএম।
    হয়তো আমার বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে।
    তাহলে ইরাকে মার্কিন আক্রমনের বিরোধীতা করবে শুধু ইরাকীরা? আফগানিস্তানের ব্যাপারে শুধু আফগানেরা?

    ধরুন, আমি মনে করি, কৃষি জমির ওপর শিল্প করা ঠিক না। শিল্প করতে হবে অনাবাদী জমিতে। সেখানকার পরিকাঠামো উন্নত করার দায় সরকারের। আমরা ট্যাক্স দেই তার জন্য। তাই আমি সিঙ্গুরের / নন্দীগ্রামের বিরোধীতা করব।
    আমার চিন্তা ভুল হতে পারে। কিন্তু যতক্ষন সেটা আমি বুঝতে না পারছি, ততক্ষণ আমি বিরোধীতা করতে পারবো না?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন