এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কোয়ার্ক | 69.90.249.141 | ২৪ মে ২০১২ ১০:৪৭545343
  • ধুত্তোর!
  • বুড়ো | 132.248.183.1 | ২৪ মে ২০১২ ১২:৩৫545344
  • অবীন্দ্রনাথের গানে যন্ত্রাণুষঙ্গ নিয়ে তর্কটা একটু তামাদি হয়ে গেছে। কিছু গানে এক্সপেরিমেন্টগুলো ভালো খুলেছে। যেমন সুমন উদাহরণ দিয়েছেন সুবিনয় রায়ের "এ কী সুধারস আনে" গানে ওয়াই এস মুলকির অ্যাকর্ডিয়নের। আবার কিছু গানে শ্রুতিকটু হয়েছে। যেমন দেবব্রত বিশ্বাসের "আলোর কমল আলোখানি"র প্রিলিউড। এক্সপেরিমেন্ট হওয়াই উচিত। যথারীতি কিছু উৎরাবে, কিছু উৎরাবে না। কিছু ভালো লাগবে, কিছু ভালো লাগবে না। ব্যক্তিগতভাবে অ-ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রানুষঙ্গই আমার কানে ভালো লাগে। সে এস্রাজ বা আড়বাঁশিই হোক, বা চেলো কি ওবো।

    কিন্তু দুটো ব্যাপার ভাবার আছে। সুমনের জবানে, প্রত্যেক দেশের ল্যান্ডস্কেপের মতো একটা সাউন্ডস্কেপ আছে। তেমনি প্রত্যেক গানের ঘরানারও একটা বিশেষ সাউন্ডস্কেপ আছে- সুরের নিজস্ব অনুষঙ্গ আছে। লিরিকাল গানে এই সাউন্ডস্কেপের আরও একটি মাত্রা যোগ করে ভাষার ধ্বনি। প্রত্যেক ভাষারই কিছু ধ্বনিগত বৈশিষ্ট্য আছে, এবং ধ্বনিগত সীমাবদ্ধতা আছে। কথাকে যদি তর্কের খাতিরে বাদও দিই তাও যে কোনো যন্ত্রানুষঙ্গকে সুর ও ভাষার এই ধ্বনিকে একটু রেয়াত করতে হয় যাতে একে অন্যের সঙ্গে সংঘাতে না জড়িয়ে পড়ে। ইদানীং এইরকম ভাবনাচিন্তার ছাপ বিশেষ চোখে পড়ে না। কে শপিং মলে কি গুনগুন করল বা বন্ধুদের আড্ডায় গাইল সেটা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কিন্তু পেশাদার সঙ্গীতশিল্পী হলে তার পেশাদারিত্ব সঙ্গীত নিয়ে একটু শিক্ষা এবং একটু ভাবনাচিন্তা দাবী করে। এবং একটু শ্রদ্ধা।

    দুই নম্বর হল বহু ব্যবহারে অতিজীর্ণ হতে হতে রবীন্দ্রনাথের গান অমিত চৌধুরীর ভাষায় মিউজিক থেকে মিউজাকে পরিণত হয়েছে। মার্ক স্টিলের বেঠোফেনের উপর তথ্যচিত্রে কীবোর্ডে বাজানো নাইন্থ সিম্ফনির একটা কাঁদুনে ভার্শন শোনানো হয়। মার্ক স্টিলের মতে এদের মাথায় বাড়ি মারা উচিত। এখন রবীন্দ্রসঙ্গীতের অবস্থাও তাই। গানটা কি-কেন-কিভাবের থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল একটা চেনা সুর বাজছে- শপিং মলে, ট্রাফিক লাইটে, আই ভি আর সিস্টেমে, রিং টোনে। আফটার অল রবীন্দ্রনাথ তো, বাজলেই হল। অ্যারন কোপল্যান্ড তিনভাবে গান শোনার কথা বলেছিলেন- প্রথম, কান দিয়ে- শুনছি, আরাম পাচ্ছি- এইটুকুই। দুই, কান ও হৃদয় দিয়ে। তিন, কান, হৃদয় ও মস্তিষ্ক দিয়ে। অবন ঠাকুরও শিল্পের এইরকম তিনতলা বাড়ির কথা বলেছিলেন। একতলায় ক্রাফটসম্যানদের আনাগোনা, যারা রসদ যোগায় দুইতলার জন্য যেখানে শিল্পরসিকদের মজলিস বসেছে। আর তিনতলায় শিল্পী এবং তার শিল্প- ঈশ্বরবন্দনার মত। কোপল্যান্ড বা অবন ঠাকুররা জানতেন না যে অধুনা বঙ্গদেশে একটি বেসমেন্টও আছে। সেখানে গান শুনতে মস্তিষ্ক বা হৃদয় তো দূর, কানও লাগে না। শোনাটা প্রবৃত্তিগত অভ্যাসের মত- রবীন্দ্রনাথ তো, বাজলেই হল।
  • সংশোধন | 132.248.183.1 | ২৪ মে ২০১২ ১২:৩৬545345
  • *রবীন্দ্রনাথের
  • kumu | 132.160.159.184 | ২৪ মে ২০১২ ১৩:০৩545346
  • কোয়ার্ক,
    গিয়ে,ঐ গানটিতে ক্লিক করুন।
  • ডিডি | 120.234.159.216 | ২৪ মে ২০১২ ১৩:২১545347
  • ন্যাড়া,কল্লোল,

    এই যে বুড়োবাবু দু তিনটে এগজাম্পোল দিয়ে ব্যাখ্যা করলেন, তাতে আম ও আমড়া সকলেরই উবগার হয়।

    তোমরাও তত্ত্বের লগে লগে ওরম লিং টিং দিলে তো পারো। যেমন ওর্ণবের রবীন্দ্রসংগীত ক্যামন লাগে? নয়ন তোমারে আর আনন্দধারা? ও খানে তো প্রচুর মিউসিক নিয়ে ক্যারদানি আছে।

    আমি প্রচুর ভাল্লাগে ঐ গান দুটো।
  • maximin | 69.93.161.248 | ২৪ মে ২০১২ ১৪:০২545348
  • রমা মজুমদার (কর) এর গান শুনেছেন কেউ? রবি ঠাকুর এনাকে শান্তিনিকেতনে রেখে দিতে চেয়েছিলেন দিনু ঠাকুরের উত্তরাধিকারী হিসেবে।
  • বুড়ো | 132.248.183.1 | ২৪ মে ২০১২ ১৪:০৯545349
  • রমা মজুমদার

  • maximin | 69.93.161.248 | ২৪ মে ২০১২ ১৪:১৫545351
  • কী ব্যাপার এই সকালবেলার বাদল আঁধারে ইউ টিউবে শুনতে তো মন্দ লাগলনা।
  • maximin | 69.93.161.248 | ২৪ মে ২০১২ ১৪:৩৬545353
  • কিন্তু একই প্লেয়ারে যদি রমা মজুমদারের বারি ঝরে ঝরো ঝরো আর অমিতা সেনের চিনিলে না আমারে কি শুনি?
  • maximin | 69.93.161.248 | ২৪ মে ২০১২ ১৪:৪৩545355
  • প্রসঙ্গ রবীন্দ্রনাথের গানের শিল্পী হতে গেলে একটু রবীন্দ্রনাথের গভীরে যাওয়া দরকার। রমা মজুমদার খুব গভীরে গিয়েছিলেন এমন একখানি উদাহরণ পাই? অথচ রমা মজুমদারের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ একটি ডুয়েট রেকর্ড করেছিলেন 'তোমার সুরের ধারা' (সম্ভবত ১৯৩২ এর রেকর্ড) রবীন্দ্রনাথ এর দ্বৈত কন্ঠের রেকর্ড এই একটি-ই।
  • Somen Dey | 125.187.58.171 | ২৪ মে ২০১২ ১৭:০৯545357
  • রবীন্দ্রনাথের গান কি এমন হনু যে গভীরে যেতে হবে ?
    প্রায় একশো বছর ধরে যে গান মানুষ শুনে যাচ্ছে , শিখে যাচ্ছে , চর্চা করে যাচ্ছে , ভেবে যাচ্ছে এবং এখনো শয়ে শয়ে নতূন শিল্পীরা নতুন করে পুরনো গান আবার রেকর্ড করছেন এবং সেই গান এখনো বেস্ট সেলার হয়ে যাচ্ছে , এরকম একটি উদাহরন কি সারা পৃথিবীতে আর একটি পাওয়া যাবে কি ?
    আতু পুতু করে রবীন্দ্রসঙ্গীতের সর্বনাশ হয়েছে ? ওপরে যা লিখলাম তা যদি সর্বনাশের লক্ষন হয় তা হলে এমন সর্বনাশ চালু থাক ।
    গভীরে গিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা অনেক হয়েছে - কয়েকটি উদাহরন - বাক্সবদল ছবিতে মায়ার খেলা গান 'ওরা সুখের লাগি চাহে প্রেম .....' এর সঙ্গে একটি ওয়েস্ট্রান ক্লাসিক্যাল এর ধাঁচে অরকেস্ট্রেসন আছে , যেটি সত্যজিত রায়ের করা।
    কনিকার গানে 'ফাগুন করিছে হা হা ....' এখানে হা হা এর উচ্চারনে হাহাকার ।
    জর্জদার গানে 'তখন গাছের পাতায় বিন্দু বিন্দু ঝরে জল .....' এখনে বিন্দু বিন্দু উচ্চারনে পাতা থেকে জল পড়ার চিত্রকল্প।
    এ গুলো করতে গেলে তো একটু গভীরে যেতে হবে । আর তা না গিয়ে করলে --- কোন একটি ব্যান্ড যেমন ' ঝড় কে পেলেম সাথী' রেকর্ড করেছে এত দ্রুত লয়ে এবং অজস্র বাজনা ব্যবহার করে , যে মনে হচ্চে ঝড় নয় সাইক্লোন এসেছে।
  • কল্লোল | 129.226.79.139 | ২৪ মে ২০১২ ১৭:২২545358
  • তা, ধরুন ভাটিয়ালী বা আগমনী, কিংবা ঠুমরী বা রেগে কোন ধরনের গান তার গভীরে না গিয়ে গাওয়া যায়?
    যখন ঈদম শাহ হাহাকারে গেয়ে ওঠেন মাঝি তর নাম জানি না / আমি ডাইক দিমু কারে, কিংবা পূজোর আগ দিয়ে উঠোনে গেয়ে ওঠেন হপ্তান্তের ভীখারীণী, যাও যাও গিরি আনিতে গৌরী, বা যখন নয়না দেবী ডুকরে ওঠেন্ন মোরা সইয়াঁ বুলায়ে আধি রাত / য়ে নদীয়াঁ বৈরী ভয়ি, কিংবা ক্রোধে ঝলসে ওঠেন বব মার্লে - নো য়োমান নো ক্রাই - এর কোনটা গভীরে না গিয়ে গাওয়া যায়?
    না বুঝে না জেনে গভীরে না ঢুকে কি খেউড়ও গাওয়া যায়? আমার মনে হয় না।
    প্রত্যেকটি সৃষ্টির সম্মান আছে, তাকে সেই সম্মান দিতে হয়।
  • ঢ্যাঁড়স | 220.210.15.150 | ২৪ মে ২০১২ ১৯:১৬545359
  • সুর বুকে না বাজলে গাওয়াই যায় না।
  • Generic Letter | 81.182.169.251 | ২৪ মে ২০১২ ১৯:২৯545360
  • রবীন্দ্রসঙ্গীতের মত এরকম প্রাতিষ্ঠানিকভাবে regulated আর কোন গানের ধারা এযুগে আছে কি? রেটরিক্যাল প্রশ্ন নয়, সত্যিই আমার জানা নেই।
  • পাই | 82.83.81.233 | ২৪ মে ২০১২ ২০:১৪545361
  • গভীরে যাওয়া বলতে এখানে কোন গভীরের কথা হচ্ছে ? হৃদয় না মস্তিষ্ক ?
  • Generic Letter | 161.201.30.167 | ২৪ মে ২০১২ ২১:১৯545362
  • "গভীরে যাওয়ার" একটা উল্টোদিকও আছে। আমার মনে হয়, ভাল করে রবিগান গাইতে গেলে একজন গায়কের শুধু রবীন্দ্রনাথে সীমবদ্ধ থাকলে চলে না (তাহলে শুধু আর পাঁচজনের কপি হয়) - ছড়িয়ে পড়ার প্রয়োজনটাও ভুললে চলে না।
  • pinaki | 148.227.189.8 | ২৪ মে ২০১২ ২১:২৭545364
  • আমি অবশ্য পাপী মনে অন্য একটা জিনিস খেয়াল করলাম। এককের লেখার মধ্যে একটা রিদ্ধি রিদ্ধি ব্যাপার আছে কিন্তু। মাঝে মধ্যে ঝিলিক দেয়। ঃ-)
  • বুড়ো | 24.99.61.13 | ২৪ মে ২০১২ ২১:৩৮545365
  • রবীন্দ্রনাথের গানের রেগুলেশন নিয়ে কতগুলো মিথ রয়েছে।

    এক, রবীন্দ্রনাথ স্বহস্তে লিখিত চিঠিতে স্পষ্ট লিখে গেছেন তাঁর মৃত্যুর পরে তাঁর গানের যাবতীয় দায়িত্ব বিশ্বভারতীর হাতে থাকবে। এত স্পষ্ট উইল যা আগে কখনও দেখি নি সেটা দুই এক বছরের পুরোনো কোনো পত্রিকার শারদীয়া সংখ্যাতে সম্ভবতঃ অপ্রকাশিত চিঠি হিসেবে ছাপা হয়েছিল। কাজেই রবীন্দ্রনাথ ভীষণ স্বাধীনতার স্বপক্ষে ছিলেন কিন্তু কিছু দুষ্টু লোক রাজার রাজত্বে সবাইকে রাজা হতে দিল না- ব্যাপারটা সেরকম মোটেও নয়। রবীন্দ্রনাথ নিশ্চয় বোঝেন নি ব্যাপারটা পরে কেঁচে গণ্ডুষ হবে কিন্তু রবীন্দ্রসঙ্গীতের উপর বিশ্বভারতীর নিয়ন্ত্রণ রবীন্দ্রনাথের ইচ্ছানুসারেই হয়েছে।

    দুই, দেবব্রত বিশ্বাস বিশ্বভারতীর নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে ছিলেন না। তিনটি বিষয়ে মতানৈক্য ছিল- এক, অনুমোদন পদ্ধতি নিয়ে- আলোচনার মাধ্যমে খোলামেলা অনুমোদনের পদ্ধতি ছেড়ে গোপনীয় আমলাতান্ত্রিক পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়া নিয়ে; দুই, অনুমোদনের ইনকন্সিস্টেন্সি নিয়ে- কিছু লোক সহজেই এদিক ওদিক করেও অনুমোদন পাচ্ছেন অথচ কেউ কেউ পাচ্ছেন না- তা নিয়ে; এবং তিন, কারা অনুমোদন করবে সেই প্রশ্নে। নিজের থেকে বয়সে অভিজ্ঞতায় এবং ছোটো কারুর থেকে অনুমোদন নিতে রাজি ছিলেন না। যদি একা জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র পরীক্ষক থাকতেন তাহলে তাঁর সামনে অনুমোদনের পরীক্ষা দিতে দেবব্রত রাজিই ছিলেন।

    পোস্ট ফ্যাক্টো মনে হয় সবসময় ভালো না হলেও মোটের উপর ব্যাপারটা খুব একটা খারাপ হয় নি। যথেচ্ছ স্বাধীনতা এবং আর্কাইভাল ও কোডিফিকেশনের অভাবে সাংগীতিক উত্তরাধিকারের কি করুণ অবস্থা হতে পারে নজরুলের গানই তার স্পষ্ট প্রমাণ।
  • ন্যাড়া | 132.172.212.1 | ২৪ মে ২০১২ ২২:২১545366
  • কোডিফিকেশনের রকমফের আছে। প্রামাণ্য স্বরলিপি প্রকাশের মধ্যে তা সীমাবদ্ধ রাখা যেত। যেটা অনেকাংশে দ্বিজেন্দ্রলালের গানে হয়েছে। ফলে কোন গানের পরীক্ষা ছাড়াই দ্বিজেন্দ্রলালের গানের সুর বিপথগামী হবার অভিযোগ আসে না। দ্বিজেন্দ্রলালের গানেরও অন্তত দুটো স্কুল আছে - যথা, গোবিন্দগোপাল যেমন গাইতেন যা কিনা দিলীপ রায়ের গায়নপন্থী; অন্যটা হরেন চাটুজ্জের গায়নপন্থী যাকে কৃষ্ণা চাটুজ্জে জনপ্রিয় করেন।

    রবীন্দ্রনাথ-দিলীপ-রায় চিঠিতে রবীন্দ্রনাথ এও বলেছিলেন যে তাঁর ভয় মাঝারিমানের গাইয়েদের নিয়ে। ভাল গাইয়েদের স্বাধীনতা দিতে তিনি প্রস্তুত। সব মিলিয়ে ওনার গানের সুর দেখলে, সঙ্গীতচিন্তা পড়লে বোঝা যায় উনি নিজের গানে কী চাইতেন। গানে কলোয়াতি পছন্দ নয়, ওনার গান মীড়প্রধান। কথার ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ ইত্যাদি। সেই সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের কাছে গান শিখেছেন, তাঁরা ও তাঁদের রেকর্ডেড গানও ছিল।

    মোদ্দা যেটা বলতে চাইছি, সেটা হল কোডিফিকেশন অনেক ভাবেই করা ছিল ও যেত - বিশ্বভারতীই করতে পারত, এত হাই-হ্যান্ডেড ব্যবহারের প্রয়োজন ছিল না। বিশ্বভারতীর এই হাই-হ্যান্ডেডনেসের জন্যে আমরা তেঅমন অসাধারণ গাইয়ে কী পেয়েছি?
  • বুড়ো | 24.99.61.13 | ২৪ মে ২০১২ ২২:৩৯545367
  • এই হাই-হ্যান্ডেডনেস নিয়েই দেবব্রতর মূল আপত্তি। এটা যে কোনো ইনস্টিটুশনের ক্ষেত্রেই হয় বিশেষতঃ যে ইনস্টিটুশন কোনো একজন বিশেষ প্রবল প্রভাবের ভিত্তিতে তৈরি। যখন তিনি বা তাঁর প্রত্যক্ষ শিষ্যরা থাকে না, তখন ট্র্যাডিশন রাখতে আমলাতন্ত্রের আশ্রয় নিতে হয়। একমত।

    কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সংরক্ষণের একটা প্রয়োজন ছিল। ব্যক্তিগতভাবে মনে হয় সেই যাবতীয় ক্ষমতাতন্ত্রের হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও সেই সংরক্ষণের কাজটা হয়েছে। অন্যভাবে হলে হয় তো আরও ভালো হতে পারত।

    প্রতিষ্ঠান তৈরি হলে এই ট্রেড অফের মুখোমুখি হতেই হয়। বিবেকানন্দ বলেছিলেন- যদি মিশন বানাই তাহলে সেই স্পিরিটটা আর থাকবে না, আবার না বানালে সাস্টেইন করা যাবে না। রবীন্দ্রনাথ মেইড হিজ চয়েস।
  • ranjan roy | 24.99.158.53 | ২৪ মে ২০১২ ২৩:৪৪545368
  • বুড়োকে তিনতলা ক'। বিশেষ করে বিবেকানন্দের বক্তব্যের প্রসংগ টানায়।
  • কল্লোল | 129.226.79.139 | ২৫ মে ২০১২ ১৪:১১545369
  • নারে রঞ্জন। আমার মনে হয় না। মিশন হয়েছে বলে কি আমরা রামকৃষ্ণ বা বিবেকানন্দকে মনে রেখেছি? নাকি বিশ্বভারতীর জন্য রবীন্দ্রনাথকে! তাহলে তো নজরুলকে কেউ মনে রাখতো না, বা, জীবনানন্দকে।
    মিশন আর বিশ্বভারতী রয়ে গেছে প্রতিষ্ঠান হয়ে, স্পিরিটটা চলে গেছে। তবে আর কি হলো।
  • i | 134.168.170.84 | ২৫ মে ২০১২ ১৮:৫৫545370
  • গানের গভীরে যাও ব্যাপারটা ঠিক কি?
    পার্বতীবাবুকে মনে পড়ে গেল।
    সেদিন পার্বতীবাবু বলছিলেন,
    "আসলে-বুঝলে-ছবিকে -বা শুধু ছবিকেই বা বলব কেন যে কোন টেক্স্টকেই মূলত দুরকমভাবে দেখা যায়। একটা ছবিকে আমি দেখছি-অ্যানালিটিকাল অ্যানালিসিস অর্থাৎ আমি টুকরো টুকরো করে দেখব অর্থাৎ আমাকে করতে হবে কি ছবিটি কি, কার, ছবিটির উৎস সন্ধান, ছবিটি কখন এঁকেছিল, সেই সময় সে কি ভেবেছিল-তার সঙ্গে ডায়লগিং করা-ছবিটার সোর্সে যাওয়া,এটা অ্যানালিটিকাল দৃষ্টিভঙ্গি। আমি এই দৃষ্টিভঙ্গিকে মনে করি সুইসাইডাল।... আমি বিশ্বাস করি অ্যানালিটিকাল নয় সিন্থেটিকাল বিশ্লেষণ, এটা হল যা আছে তার সঙ্গে আমার আমিত্ব যোগ করে মানে করব। যেমন আয়রন ইজ হেভি-এটা হল অ্যানালিটিকাল কিন্তু আয়রন ইজ রেড বলালে কালই অন্য একজন এসে বলবে আয়রন ইজ ইয়েলো আর এটা যত বলবে ছবিটা তত রূপ পাবে। আয়রন তত রূপ পাবে, একটা ছবি অসংখ্য ছবি হয়ে যাবে। ...অ্যানালিটিকাল বিশ্লেষণ , রিভার্স প্রসেসে যাওয়া, উৎসে যাওয়া, অ্যারিস্টটলিয়ান পদ্ধতিতে অ্যানালিটিকাল অনুসন্ধান -তার সামাজিক, ঐতিহাসিক মূল্য আছে, ব্যক্তিগত মূলয়ও কারো কারো কাছে আছে। কিন্তু শিল্প হয় কি নিজেকে উত্তের্ণ করে যায়, নিজেকে ছপিয়েও যায়। এই ছাপানো জিনিসতা তো সিন্থেটিকাল অ্যাপ্রিসিয়েশন ছাড়া সম্ভব নয়। ছবি যখন নিজের দুকূল ছাপিয়ে যায়, নদী যখন নিজের দুকূল ছাপিয়ে যায়, বান নিয়ে আসে-তখন সে আর নদী থাকে না। তখন যে ডায়ালগিংটা হয়... এটা তাকে অন্য সৃষ্টির দিকে ঠেলে দেয়।'
    গ্যালারির খোলা লনে বসে পার্বতীবাবু ছবির কথাই বলছিলেন সেদিন।
    আপনেরা গানের গভীরে যাওয়ার কথা কইলেন, আমার মনে পড়ে গেল এই আর কি।
  • পাই | 82.83.81.233 | ২৫ মে ২০১২ ১৮:৫৯545371
  • যথেচ্ছ স্বাধীনতা দেবার ফলে নজরুলের গানের ঠিক কি ক্ষতি হয়েছে ?
    আর আর্কাইভ নেই এমনও তো না। স্বরলিপি রয়েছে। আর কী কী ভাবে কী সংরক্ষণ ও রেগুলেশনের প্রয়োজন ছিল ?
  • পাই | 82.83.81.233 | ২৫ মে ২০১২ ১৯:০২545372
  • পার্বতীবাবুর কথাগুলো খুব ভাল লাগলো। গানের জন্যও ভীষণভাবে প্রযোজ্য। অন্তত আমার কাছে।
  • i | 134.170.230.19 | ২৭ মে ২০১২ ১২:১৪545373
  • নীলিমা সেনের আর পীযূষকান্তি সরকারের র গাওয়া আহা তোমার সঙ্গে প্রাণের খেলা শুনুন পাশাপাশি। আমি এই মুহূর্তে লিঙ্ক দিতে পারছি না; মার্জনা করবেন।
    নীলিমা সেনের গায়কীতে নিবিড় সমর্পণ, পীযূষকান্তির গায়কীতে গানটি একদম বদলে গিয়ে নতুন গান হয়ে যায়। পাশাপাশি শুনলে বুঝবেন। এখন আপনি অ্যাক্সেপ্ট করতেও পারেন এই অন্যভাবে গাওয়াটা / নাও পারেন।
    আমার বক্তব্য এটাই, গায়ক / শ্রোতা সকলেই যেন স্বাধীন হন। লেখার ক্ষেত্রে যেমন আমি মনে করি, লেখক এক পাতা লিখবেন তো এক শাদা পাতা ছেড়ে যাবেন পাঠকের জন্য। গানেও তাই। যে অনুভূতি রবীন্দ্রনাথের, গায়ক যেন নিতান্ত পরাধীনের মত তা অনুসরণ না করেন।
    ইদানিং পার্বতীবাবুতে মজে আছি।
    পার্বতীবাবু বলেন, 'ছবির নাম দেওয়াতে আমি বিশ্বাস করি না... নাম দিলে কি হয়..দর্শক জানে কি-যে ছবির মানে এই তাৎপর্যটা-ঐ শব্দের মানেটা, নামের সংঘর্ষটা.. এবং ছবিটাকে এই নামের মানে দিয়ে বুঝতে যায়। তখন দর্শক অধীন হয়ে পড়ে। সে একটা শব্দের, একটা অর্থের অধীনতার মধ্যে পড়ে যায় এবংequally সে তখন যে অসীম, অফুরন্ত লাইন-একটা অনির্দিষ্টিতার আভাস সেগুলো সে ভুলে যেতে থাকে। সে ঐ নামের মানে দিয়ে ছবিটাকে বুঝতে থাকে, তখন সে নিজেকে চাকর ভাবে ... একজন ক্রীতদাস দর্শক কখনও প্রভু হতে পারে না।'
  • ব্ল্যাঙ্ক | 69.93.242.63 | ২৭ মে ২০১২ ১৩:০০545375
  • ছবিতে নাম দেওয়ার ব্যাপারে এক্কেবারে ক্যাপিটাল ক
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন