এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • হিন্দু ধর্মের খারাপ কিছু দিক এবং যৌক্তিকতা


    অন্যান্য | ২৩ নভেম্বর ২০১২ | ১৬২৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • তাতিন | 132.252.251.244 | ২৪ নভেম্বর ২০১২ ০৯:২৪576604
  • কোনও এককালে একটা স্টাডি পড়েছিলাম। ব্রেন এর স্ট্রাকচার-এর সঙ্গে স্পিরিচুয়ালিটির কোরিলেশন আছে, সেই স্ট্রাকচারাল ফেলোমেনাটাও নাকি অঞ্চল ভেদে পাল্টায়। এইজন্য, মেজর উপাসনাপদ্ধতিগুলো কয়েকটা নির্দিষ্ট অঞ্চলেই গড়ে উঠেছে। লিং খুঁজে পেলে দিয়ে যাবো।
  • dd | 125.241.115.147 | ২৪ নভেম্বর ২০১২ ১০:৩৭576605
  • বেদ উপনিষদ ইঃতে বিগ্রহ নেই মন্দির নেই । পুজো আচ্ছাও নেই (নট টু বি কন্ফিউজড উইত যাগ যজ্ঞ)।
  • ekak | 69.99.230.125 | ২৪ নভেম্বর ২০১২ ১২:০৮576606
  • @ব
    সেই অভেদানান্দ থেকে শুরু করে এখনকার "হিন্দুইস্ম এন্ড মডার্ন সায়েন্স " অল্পবিস্তর ঘাঁটা আছে । একেবারে আউট অফ দা ব্লু "বাল" বলে দি নি । সামনে বসলে ভালো হত , গুরু র পাতাও মন্দ না ।
    এনারা জেনে বা না জেনে কিছু লজিকাল ফ্যালাসি ইউস করেন । কোথাও সার্কুলার কথাও গ্রীসিয়ান হক হকুম কে একটু কায়দা করে উল্টে দেন ।ফাল্সিফিকেসনের ধার ধরেন না । এই খেলা তা বহুদিন আগের । এখনো চলছে । যে পয়েন্ট গুলো তুমি দিলে অর যে কোনো একটা নিয়ে তুমি ই শুরু কর । আই এম গেম :)
  • siki | 24.97.45.219 | ২৪ নভেম্বর ২০১২ ১৩:০০576607
  • "হিন্দু" ধর্ম বলেও তো অ্যাজ সাচ কোনও ধর্ম নেই।
  • ranjan roy | 24.99.7.205 | ২৭ নভেম্বর ২০১২ ২২:৪২576608
  • হিন্দুধর্মের অনেক সম্প্রদায়, অনেক উপাসনা পদ্ধতি। তাহলে কোনটাকে হিন্দু কি করে বলব? আমার মনে হয় তিনটে সামান্য লক্ষণ ধরা যেতে পারে। এক, দেহাতিরিক্ত আত্মায় বিশ্বাস, দুই, কর্মফলে বিশ্বাস ও তিন, জন্মান্তরে বিশ্বাস। এর কোন একটা বা দুটো লক্ষণ অন্যধর্মে আছে কিন্তু একসঙ্গে এই তিনটে বোধহয় শুধু হিন্দুধর্মে আছে।

    @ব,
    এক, যাগযজ্ঞের কোন র‌্যাশনাল ব্যাখ্যা নেই। আদিম সমাজে আগুনের আবিষ্কার অত্যন্ত মহত্বপূর্ণ ছিল।আদিম কৌমি সমাজে শিকার করে পুড়িয়ে খাওয়া ছিল স্বাভাবিক। সেই থেকে গৃহদেবতা হিসেবে ঘরের কোণে আগুন জ্বালিয়ে রাখার ট্র্যাডিশন ও প্রিয়জনকে যজ্ঞের আগুনে প্রিয় খাবার উৎসর্গ করার প্রথা।
    এর সঙ্গে পরে যুক্ত হল ম্যাজিক্ব বা ইন্দ্রজাল। তাতে বলি এবং উৎসর্গ মিলে মিশে গেছে। অশ্বমেধ-গোমেধ-রাজসূয় ইত্যাদির অনুষ্ঠান খেয়াল করুন।
    আজকাল যে বলা হয় আগুনে ঘি-মধু-দধি ইত্যাদি উৎকৃষ্ট দ্রব্য দিলে কল্যাণ হয়, বাতাবরণ শুদ্ধ হয়--- বাজে কথা। এগুলো পুড়ে কার্বন ছড়ায়।
    দুই, না। একমেবাদ্বিতীয়ম হল অদ্বৈত বেদান্তের ব্যাখ্যা। বেদের কর্মকান্ডের শাখার অনুগামী দের ( পূর্বমীমাংসা দর্শন) কাছে ইন্দ্রজাল সত্যি। দেবতা শব্দময়ী, অর্থমাত্র। কাজেই তেত্রিশকোটি দেবতা। বেদে তো জুয়ো খেলার অক্ষ বা জ্বরব্যাধিকেও দেবতা ধরে নিয়ে প্রসন্ন হবার জন্যে আকুতি রয়েছে।
  • ranjan roy | 24.99.7.205 | ২৭ নভেম্বর ২০১২ ২৩:০৪576609
  • @ ব,
    তিন, চার, পাঁচঃ
    পাথর বা কোন আইকনে দেবত্ব আরোপ মানুষের বিশ্বাসের ভিত্তিতে প্রতীক স্বরূপ। বিবেকানন্দ ভাল বলেছিলেন-- ঠিক যেমন আমরা প্রিয়জনের ছবির প্রিন্ট দেখে খুশি হই। মন্দির-মসজিদ-গির্জা একইভাবে বিভিন্ন বিশ্বাসের উপাসনা এবং সামুহিক প্রার্থনাগৃহ, আর কোন তাৎপর্য নেই।
    ছয়ঃ
    বেশ কিছু মন্দিরে অহিন্দুদের ঢোকা নিষিদ্ধ, যেমন পুরীর মন্দিরে। ইন্দিরা গান্ধীকে পার্শি বিয়ে করায় ঢুকতে দেয়া হয় নি। আমার সামনে কিছু ক্যানাডিয়ানকে নানান অছিলায়( যেমন জুতো-বেল্ট-ব্যাগ নামিয়ে রাখুন, তারপরে স্নান করে আসুন) আটকে দেয়া হল। আমি তখন পুরোহিতদের জিগ্যেস করে জানলাম যে এটা ওদের বাই-ল'জ এ আছে। এখনো বেশ কিছু মন্দিরে অছুতদের ঢোকা মানা।
    সাত,
    তীর্থস্থানের ব্যাপারটা বিশ্বাসীদের শ্রদ্ধা জানানোর জায়গা। কমরেডদের যেমন লেনিন-মাওয়ের মুসোলিয়াম, লন্ডনের হাইগেট চার্চ। কিন্তু তার জন্যে বিশেষ নিয়ম কানুন পুরোহিত তন্ত্রের তৈরি। হেজিমনির চেষ্টা।
    প্রখ্যাত বৌদ্ধ দার্শনিক ধর্মকীর্তি সম্ভবতঃ তাঁর 'প্রমাণবার্তিক' গ্রন্থে বলেছেন যে বর্ণাশ্রম, জন্মান্তর, দান, তীর্থস্থানে স্নান করে পুণ্য--- এসবে বিশ্বাস করা মুর্খতার নামান্তর।
    আট,
    বিশ্বাসে অনেক কিছুই হয়। ঈশ্বরের যা এসেন্শিয়াল ফিচার তাতে নররূপে আবির্ভাবের প্রশ্ন ওঠে না। কারণ শরীর ধারণ করলে শরীরের সমস্ত বিকারকেও ধারণ করতে হয়। রামকৃষ্ণদেবও ক্যান্সারে কষ্ট পেয়ে মারা গিয়েছিলেন।
    শেষে একটা কথা বলি। সমস্ত ধর্মেরই বর্তমান সমাজে একটা আবশ্যকতা আছে, একটা কমন ফাংশন আছে। তাহলে হল এই অন্যায় সমাজে ন্যায়ের আশাকে বাঁচিয়ে রাখা। ঠাকুর আছেন, সব দেখছেন। পাপের ঘড়া পূর্ণ হলে ওনার দন্ড নেবে আসবে পাপীদের ওপর-- এই বিশ্বাস অনেক সময় অসহনীয় কষ্ট, শোককে সহ্য করতে সাহায্য করে। যেমন সত্তরের গোড়ার দিকে ' পঁচাত্তরের মধ্যেই ভারত মুক্ত হবেই' এই বিশ্বাস অনেক নকশালপন্থীদের অত্যাচার-ক্ষয়ক্ষতি সইবার শক্তি দিয়েছিল।
  • a x | 138.249.1.194 | ২৮ নভেম্বর ২০১২ ০৪:০২576610
  • রিদ্ধি কি ইলেক্ট্রনকে মেটাফর বলল?
  • electron | 127.194.195.132 | ২৮ নভেম্বর ২০১২ ০৬:৫৪576611
  • ফ্রি বডি ডায়াগ্রামে আঁকা গুল্লি গুলোকে মেটাফর বলল, যা ইলেকট্রনকে রিপ্রেজেন্ট করে।
  • dukhe | 212.54.74.119 | ২৮ নভেম্বর ২০১২ ০৯:৩৭576612
  • রঞ্জনদারে কোশ্নো - বৌদ্ধরা কি জন্মান্তর মানে? জাতকগুলোর কেসটা কী? মানে গুগলকাকু তো আছেনই, কিন্তু সময় কম।
    আর পাপীদের দণ্ডটণ্ড কি সব ক্ষেত্রে চলবে? বেদান্ত, যদ্দূর (খুব অল্পই) জানি, ভ্রম স্বীকার করেন, পাপ নয়।
  • rivu | 78.232.113.69 | ২৮ নভেম্বর ২০১২ ১১:০৬576614
  • ইলেকট্রন নিজেই এসে কনফিউসন কিলিয়ার করে দিয়ে গেছে। বাহবা।

    রঞ্জনবাবুর লেখা অসাধারণ। দুখে বাবু, যতদুর জানি, মানে।
  • Treebeard | 24.96.66.128 | ২৮ নভেম্বর ২০১২ ১১:২২576615
  • ভুবনেশ্বরে লিঙ্গরাজ মন্দিরে বেশ বড় বড় করে নোটিশ লাগানো আছে যে অহিন্দুদের ওই মন্দিরে প্রবেশ নিষিদ্ধ।
  • j | 230.227.106.153 | ২৮ নভেম্বর ২০১২ ১১:৫৭576616
  • পুরীর জগন্নাথ মন্দিরেও ইন্দিরা গান্ধীকে নাকি ঢুকতে দেওয়া হয় নি
  • Blank | 180.153.65.102 | ২৮ নভেম্বর ২০১২ ১৬:০০576617
  • ১। অভেদানন্দের লেখা পড়তে আমার বেশ ভালো লাগে।
    ২। বৌদ্ধরা জন্মান্তর মানে। এক জন্মেই মুক্তি পাওয়ার জন্য বজ্রযান। হীনযানে মুক্তি আসবে বহু জন্ম পরে।
    ৩। প্রচুর মন্দিরে অহিন্দু দের ঢোকা নিষিদ্ধ। অদ্ভুত ভাবে পুরীর মন্দিরের প্রধান পুজারীরা হিন্দু নয়।
  • Blank | 180.153.65.102 | ২৮ নভেম্বর ২০১২ ১৬:০২576618
  • ছাগ বলিদানের করা হয় কাম ত্যাগের প্রতীক হিসেবে। এমনিতে বলিদান নিয়ে আমার কোনো আপত্তি নেই। আমি মাংস খেতে খুব ভালোবাসি।
  • dukhe | 212.54.74.119 | ২৮ নভেম্বর ২০১২ ১৬:২৯576619
  • এটা তো অদ্ভুত। পুরীর মন্দিরের প্রধান পূজারীরা তাহলে কোন ধর্মের? অ ব্ল্যাংক?
    আর বৌদ্ধরা কি আত্মা মানে? না মানলে কার জন্মান্তর হবে?
  • Blank | 180.153.65.102 | ২৮ নভেম্বর ২০১২ ১৭:০৪576620
  • আরে আদিবাসীরা তো হিন্দু নয়। সাওতাল, কোল, ভীল এদের কি হিন্দু বলা যায়? পুরীর মন্দিরের প্রধান পুরোহিতের বংশ এমনই আদিবাসী।
    হ্যা আত্মা, জন্ম চক্র ইত্যাদি হিন্দু দের মতনই। বজ্রযানে তো ভুত, ভালো ভুত, খারাপ ভুত সব আছে।
  • কল্লোল | 125.241.54.54 | ২৯ নভেম্বর ২০১২ ১১:৩৬576621
  • সাঁওতাল, মুন্ডা এরা মোটেও হিন্দু নয়। এদের আলাদা দেবদেবী আছে। পূজোর আলাদা পদ্ধতি আছে। কোল, ভীলদের সাথে কোন আদানপ্রদান আমার হয় নি, তাই ওঁদের ব্যাপার বলতে পারবো না।
  • কল্লোল | 125.241.54.54 | ২৯ নভেম্বর ২০১২ ১১:৪০576622
  • তাতিনের উট খাওয়ার ইচ্ছে দেখলুম।
    লুরুতে ঈদের সময় উট কুরবানী হয়। সে সময় লুরু এলে খাইয়ে দেবো।
    তেমন স্বাদু নয়। খুব ফাইবার। প্রচুর সেদ্ধ করতে হয়।
    লুরুতে খুব ভালো গোরু ও শুওরও পাওয়া যায়। পরীক্ষা প্রার্থনীয়।
  • ekak | 69.99.230.125 | ২৯ নভেম্বর ২০১২ ১১:৪৫576623
  • সাঁওতাল দের পৃথিবী সৃষ্টির গপ্পগুলো ভারী মজার । দারুন কিছু উপকথা আছে । হিন্দু ধর্মের সঙ্গে কুন মিল নাই ,নেহাত মিল খুঁজলে সব সাহারা আফ্রিকা র উপকথার সঙ্গে পাওয়া যাবে ।

    বায় দ্য ওয়ে ; ব গেল কোই ?
  • b | 135.20.82.164 | ২৯ নভেম্বর ২০১২ ১২:২৫576625
  • আমার এক মাস্টার মশায় ছিলেন, মরক্কো-র। ওনাকে উটের মাংসের ব্যাপারে প্রশ্ন করে নাক কুঁচকে বলেছিলেন ছ্যা ছ্যা ভদ্দরলোকের পাতে ওসব দেওয়া যায় নাকি ইত্যাদি।
  • ekak | 69.99.230.125 | ২৯ নভেম্বর ২০১২ ১২:৩২576626
  • উটের মাংস চিবিয়ে গাল ব্যথা হয়ে যায় :| ঐজন্ন্য়েই তো কালিদাস উট্র বলেছিলেন । সত্যি উট্র-উট্র খেতে । সবচে ভালো খেতে বাচ্চা মোষ । আহা নেপালের দিনগুলো মনে পরে গ্যালো । দু ঘন্টার জন্যে কার্ফু খুললেই বেরিয়ে পড়তুম । ভুতেবাহাল থেকে টুকটুক চরে থম্মেল ।
  • ranjan roy | 24.96.3.219 | ২৯ নভেম্বর ২০১২ ১৩:৪০576627
  • বৌদ্ধধর্মের ব্যাপারে বোধহয় শিবাংশু এবং ডিডি আমার চেয়ে ভাল বলতে পারবে। আমি যদ্দূর জানি বলছিঃ
    বৌদ্ধধর্মকে মোটামুটি তিন ভাগে (রাহুল সাংকৃত্যায়নকে মেনে) ভাগ করা যায়। ১) আদি বৌদ্ধধর্ম( বুদ্ধের সমসাময়িক,), ২) হীনযান, ৩) মহাযান( বুদ্ধের মৃত্যুর পরে বিভিন্ন মহাসংঘীতির অর্থাৎ ন্যাশনাল লেভেল কনফারেন্স হয়ে দুই যানের আলাদা হয়ে যাওয়া--- একেবারে সিপিআই , সিপিএম কেস!!!)
    আদি বৌদ্ধধর্ম এবং হীনযানীরা দেহাতিরিক্ত কোন আত্মাকে স্বীকার করে না। সেই জন্যে বৈদান্তিক আত্মবাদিন দের বিপরীতে বৌদ্ধধর্ম(আদি এবং হীনযান) নিজেদের অনাত্মবাদিন বলে।
    আগে বৌদ্ধদার্শনিক ধর্মকীর্তির যে শ্লোক উদ্ধৃত করেছি তাতে দেহাতিরিক্ত আত্মায় বিশ্বাসকেও উনি মূর্খতার নমুনা হিসেবে ধরেছেন।
    নোটঃ এই বইটি (ধর্মকীর্তির প্রমাণবার্তিক, ভারতে লুপ্ত হয়ে গেছিল। রাহুল তিব্বত থেকে চুরি করে আনেন। তখন বৌদ্ধদর্শনের বিরাট পন্ডিত সেন্ট পিটার্সবার্গের আচার্য্য শেরবাটস্কি(আদৌ কম্যুনিস্ট নন) বলেছিলেন যে এই বইটির প্রাপ্তি/উদ্ধার এমন মহত্বপূর্ণ ঘটনা যে একটা আন্তর্জাতিক ইন্ডোলজিস্ট কনফারেন্স করে এটা সেলিব্রেট করা উচিৎ।
    মূল বৌদ্ধদর্শনের আর হিন্দু বেদান্তের তফাৎ টা হল ক্ষণিকবাদে আর শ্বাশ্বতবাদে।
    বেদান্ত মনে করে যা পরিবর্তনশীল, নাম-রূপ-পরিচয় বদলায়, তা শ্বাশ্বত নয়, তা অসত্য। সত্য হল যা স্থান-কাল-নির্ভর নয়। যা অজর, অপরিবর্তনশীল। কাজেই ক্ষণে ক্ষণে রূপ বদলানো এই দৃশ্য জগৎ অসত্য, শুধু ব্রহ্ম সত্য, কারণ তা অপরিবর্তনশীল, শ্বাশ্বত।
    উল্টোদিকে বৌদ্ধদর্শন মনে করে সব কিছুই in a state of flux। কোন কিছুই অপরিবর্তনীয় নয়, সব ক্ষণে ক্ষণে বদলায় এটাই শ্বাশ্বত সত্য। অর্থাৎ কোন কিছুই শ্বাশ্বত নয়-- এটাই সত্য। ওনাদের মতে যা জন্মায়, তা একটি সীমা পর্য্যন্ত বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়, তারপর তার ক্ষয় শুরু হয়, শেষে একদিন শেষ হয়। এটাই সত্য। ফলে ওনাদের মতে আত্মা-পরজন্ম মানা সম্ভব ছিল না। ওরা বলতেন --দীপো ভব। যেমন দীপের থেকে শিখা অন্য দীপে ছড়িয়ে যায়। তেমনি জ্ঞানের জ্যোতি শিষ্যপরমারায় ধারাবাহিকতা বজায় রাখে, পুরুষানুক্রমে সম্পত্তির মত। এছাড়া কোন জন্মান্তর ওরা মানতেন না।

    সব পাল্টে গেল মহাযানে। এঁদের মধ্যে( কয়েক শতাব্দীর প্রভাবে) হিন্দু বেদান্তের প্রভাব এল। মহাযানের মূল দুটো দর্শন অসঙ্গ-বসুবন্ধুর বিজ্ঞানবাদ(শুদ্ধ চেতনা) এবং নাগার্জুনের মাধ্যমিক( শূন্যবাদ) প্রায় শংকরের অদ্বৈত বেদান্তের মত। ফলে ধীরে ধীরে এল তন্ত্র-মন্ত্র , বজ্রযান-যোগিনীযান, সুন্দরী তারাদেবী, পদ্মপাণি অবলোকিতেশ্বর। এল জাতক কথা, যাতে অমিতাভ বুদ্ধের বহু জন্মের গল্প জুড়ল। আর ক্রমশঃ বৌদ্ধধর্ম হিন্দুধর্মের একটি শাখা হয়ে গেল। শেষে জয়দেবের দশাবতার স্তোত্রে বুদ্ধ হয়ে গেলেন বিষ্ণুর অবতার!!!! কাজেই আত্মা তো এলই। একই ভাবে অনাত্মাবাদিন জৈন ধর্মের এই হাল হল।
    সিপিএম ইলেক্শানে জিতে শুয়োরের খোঁয়াড় পার্লামেন্টে গেল। কদ্দিন সরকারে যাব না , যাব না করে সরকার বানাল। তারপর সরকারে এসে কাজ করাই মূল লক্ষ্য হয়ে গিয়ে ধীরে ধীরে একটি সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট পার্টি হল
  • PT | 213.110.246.230 | ২৯ নভেম্বর ২০১২ ১৩:৫৭576628
  • ছাগ বলিদান নাকি কাম বলিদানের প্রতিক? এতো বিভৎসকাম!!

    ঠিকরে পড়া চোখ। বেরিয়ে আসা জিভ
    http://www.anandabazar.com/29edit5.html
  • Blank | 180.153.65.102 | ২৯ নভেম্বর ২০১২ ১৪:০৯576629
  • নাহ রঞ্জন দার সাথে মহাযান নিয়ে একটু বিতর্ক আছে আমার। মহাযানীরা প্র্যাকটিসিং তান্ত্রিক। বৌদ্ধ ধর্মের সাথে তন্ত্র মিশেছে এখানে, যেভাবে হিন্দু ধর্মের সাথেও তন্ত্র এসে মিশেছে।
    আর জাতকের গল্পের উৎপত্তি আমার মনে হয় বজ্রযানের অনেক আগে। সাল অনুসারে জাতক প্রায় ৪০০ বিসি। জাতকের গল্পের মুল জায়গাও কাশি কেন্দ্রিক। বজ্রযানের জাতকের গল্প এই জাতক থেকে অনেক আলাদা।
  • Blank | 180.153.65.102 | ২৯ নভেম্বর ২০১২ ১৪:১২576630
  • পাঁঠার দোকানে পাঁঠা কাটা আর হাড়িকাঠে কাটার মধ্যে কি তফাৎ?
  • dukhe | 212.54.74.119 | ২৯ নভেম্বর ২০১২ ১৫:৫৮576631
  • PT, মৌতোড়ে প্রচুর বলি হয়। 'জাগ্রত' কালী বলে মূর্তিকে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখাও হয়!
    আজকের আরেকটা লেখা -http://anandabazar.com/29edit4.html
  • jhumjhumi | 127.194.234.86 | ২৯ নভেম্বর ২০১২ ১৬:২৭576632
  • @একক মৌতোড়ে বাচ্চা মোষ ও বলি হয় বেশ কয়েকটা।
  • PT | 213.110.246.230 | ২৯ নভেম্বর ২০১২ ১৮:৪৬576633
  • এদেশেও Prevention of Cruelty to Animals (Slaughter House)-সম্পর্কিত নিয়ম-কানুন আছে। তার মধ্যে একটা এক্ষেত্রে অবশই প্রযোজ্যঃ
    No animal shall be slaughtered in a slaughter house in sight of other animals.
    http://www.moef.nic.in/legis/awbi/awbi17.html
  • PM | 93.231.150.162 | ২৯ নভেম্বর ২০১২ ১৯:২৮576634
  • রন্জনদার ওপোর CPM এর প্রভাব অতুলনীয়। সব তুলনায়, উপমায় কোনো না কোনো ভাবে ছিপিয়েম এসেই যায়। তাবলে বুদ্ধ ধর্মের সাথেও ????? ঃ)ঃ)
  • PT | 213.110.246.230 | ২৯ নভেম্বর ২০১২ ২২:৩৮576636
  • আম্মো-ও ঠিক বুঝলুম না ছিপিএম কোত্থেকে এল। কিছুদিন আগে কে একজন অভিযোগ জানিয়েছিলেন যে, যে কোন টইতে আমি-ই নাকি তিনো-ছিপিএম নিয়ে আসি!!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন