এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  সিনেমা

  • Oh My God

    মৌ
    সিনেমা | ২১ নভেম্বর ২০১২ | ৫৫৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • মৌ | 233.223.142.8 | ২১ নভেম্বর ২০১২ ১৯:৫২576944
  • ভগোবান, আল্লাহ্‌, খ্রাইস্ট আমাদের খুব প্রিয় পাত্র। যদিও আমরা এনাদের দর্শন থেকে এখনো বঞ্চিত, তবুও এঁদের সম্মান রক্ষার স্বার্থে আমাদের সামনে যা কিছু দৃশ্যমান সব আমরা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিতে রাজি আছি। আমরা শান্তি প্রিয় ধার্মিক, আমাদের ধর্মানুভূতি এতটাই পরিষ্কার কেউ তাতে আঘাত এনে, রক্তাক্ত করে, নোংরা না করতে পারে, তার অ্যাডভান্স প্রটেকশান নিতে সব সময় আমারা ব্যস্ত। অবশ্যই, বিষয়বস্তুটিতে কি আছে, কি বলছে, কি হচ্ছে, ফল কি দাঁড়াচ্ছে - এই সব নিজেরা না জেনে, শুধু মাত্র উড়ো খবর শুনেই আমাদের ধর্মানুভূতিতে চূড়ান্ত আঘাত লাগে। সারা পৃথিবী জুড়ে হাজার হাজার সিনেমা, গল্প উপন্যাস, গান আমরা ব্যান করেছি কারণ আমাদের অতি সংবেদনশীল ধর্মানুভূতিতে আঘাত লেগেছে, অথবা অ্যাডভান্স প্রটেকশান হিশাবে যাতে আঘাত না লাগতে পারে তার জন্য।

    একটা হিন্দি সিনেমা রিলিজ হতে চলেছে, নাম ‘ওহ মাই গড’। সিনেমার অ্যাড টিভিতে দেখে আমি বেশ উৎসাহিত। ভগোবানের উপর বাটমারি মার্কা সিনেমা, দেখতেই হবে। সেই সঙ্গে আমার সিক্সথ সেন্স বলছে ‘এইবার পেপারে বেশ রমরমা নিউজ পাওয়া যাবে, এই রকম সিনেমা, অবশ্যই কন্ট্রো ক্রিয়েট করবে। আর এস এস, বজরং, সিভ সেনা কি রাম সেনা এরা কি আর চুপ থাকবে! ভগোবানের উপর পরেশ রাওয়াল কেস করছে বলে কথা’। সেই সঙ্গে ঠিক করলাম সিনেমাটা দেখবোই কিন্তু হলে গিয়ে না মার দাঙ্গা হতে পারে। এই সব সিনেমা সহজে দেখা যায় না। এটা আমার দোষ না, আমার মতন পাকা ও কাঁচার মধ্যবর্তী লেভেলে আটকে থাকা ইঁচড়ে পাকা বয়েসের কিউরিসিটি মাত্র।

    ‘ওহ মাই গড’ নিয়ে তেমন কিছুই হয় নি। সিনেমা’টা শুধু মিডিল ইস্টে ব্যান হয়ছে, ভারতে বোধহয় শুধুমাত্র পাঞ্জাবে ব্যান ছিল। পরেশ রাওয়াল আর আকসয় কুমারের কাছে কোর্টের নোটিশ গেছে আর আকসয় কুমার’কে কিছুদিন পুলিশ প্রটেকশান দেওয়া হয়। এই সব হয়ছে সিনেমা রিলিজ করবার আগে। না দেখে, না জেনে অ্যাডভান্স প্রটেকশান হিশাবে কিছু ছোট ছোট কেস কোর্টে জমা পড়ে।

    সিনেমা রিলিজ হল, কোন মার দাঙ্গা, পোস্টের ছেঁড়াছেড়ি, রাজনৈতিক মিটিং মিছিল কিছুই হল না। রিলিজ হবার অনেক দিন পর সিনেমাটা দেখলাম, ভালো লাগলো না। আমার ইঁচড়ে পাকা কিউরিসিটির যথার্থ মূল্য পেলাম না। কতো কিছু ভেবেছিলাম, সবাইকে খেপিয়ে তলার মতন এমন কোন ডাইলগ থাকবে, কিংবা কোন দৃশ্য। কিন্তু না, সিনেমাটা কোন অ্যাঙ্গেল দিয়ে কোন ধর্মকে অসম্মান করে না। কারু কোন ধর্মানুভূতিতে আঘাত করে না, তবে হ্যাঁ ধর্মপ্রতিষ্ঠানে আঘাত মারে, ধর্মকে না ধার্মিকদের আঘাত মারে। ভগোবান, আল্লাহ্‌, খ্রাইস্টকে আঘাত মারে না, আঘাত মারে এঁদের ফলোয়ারদের। ছবিটির মূল কথা কুসংস্কারের বিরুদ্ধে।

    (সিনেমা রিভিউ কোরতে আমি দক্ষ নোই, তাই যদি অজান্তে বা জেনে শুনে পুরো গল্পটা আমি বলে ফেলি তালে আমার কোনো লজ্জা নেই। তাছাড়া, কিছু দিনের মধ্যে সিনেমাটা টিভি’তে আসছে। অস্ট্রেলিয়ান মুভি ‘The man who sued God’এর অনুকরণে গুজরাটে একটি নাটক হয় ‘কাঞ্জী ভিরুধ(v/s) কাঞ্জী’-এর অনুকরণ ‘ওহ মাই গড’)।

    কাঞ্জী ভাই(পরেশ রাওয়াল) একজন হিন্দু(গুজরাটি) পরিবারে জন্ম নেয়া নাস্তিক চরিত্র। তার জীবিকা চোর বাজারে ঈশ্বরের মূর্তি বিক্রি করা। ভালো মতন জানেন ধার্মিকদের দুর্বলতা, আরও ভালো জানেন সেই দুর্বলতাকে কাজে লাগাতে। চোর বাজারে হিন্দু-মুসলমান’দের পুরনো ছোট বড় দোকানের ভিড়। প্রতিবেশী এক মুসলমান দোকানদার কাঞ্জি’কে বলে ‘ভাই একমাসের জন্য আমার দোকানের উপর নজর দিতে, আমি হজ কোরতে যাচ্ছি’। কাঞ্জীর উত্তর, ‘হজে গিয়ে টাকা বরবাদ না করে নিজের দোকানটা ঠিক কর, যা অবস্থা কোনদিন তোর মাথায়ে ভেঙ্গে পড়বে’। না, এই কথা শুনে অঞ্চলের মুসলমানরা কাঞ্জীকে পেটাতে যায়নি। সবাই জানে কাঞ্জী হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি বিক্রি করলেও ও ব্যাটা এক নাস্তিক। নিজের ধর্মের সম্বন্ধেও ও একই কথা বলে। বউ ও এক ছেলে এক মেয়ে নিয়ে কাঞ্জীর পরিবার। মেজেকে পাইলট আর ছেলেকে ক্রিকেটার বানানোর স্বপ্ন কাঞ্জীর। কিন্তু স্বপ্নতে ভাটা পড়ে। জন্মাষ্টমীর দিনে ছেলে(যার পরের দিন পরীক্ষা, হাত পা ভেঙ্গে না যায়), যাতে কৃষ্ণ সেজে দই-হাণ্ডি না ভাঙ্গতে পেরে তার জন্য কাঞ্জী রিউমার ছড়ায়ে কৃষ্ণ না কি তাঁর ভক্তদের হাত থেকে মাখন খাচ্ছে। সবাই দই-হাণ্ডি ছেড়ে দৌড় মারে কৃষ্ণকে মাখন খাওয়াতে। এই সময় ওঠে একটা ছোট্ট ঝড়, এই সময় ঘটে একটা ছোট্ট ভূমিকম্প। ভূমিকম্পে কারু কোন ক্ষয় ক্ষতি হয় না, সব কিছু বহাল তবিয়েতে থাকে কিন্তু চোরবাজারে শুধু মাত্র কাঞ্জীর দোকান ভেঙ্গে পড়ে। লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি এমনকি কাঞ্জীর বাড়িও বন্ধক রাখা। সবাই কাঞ্জীকে দোষ দেয়, তার নাস্তিকতা, ভগোবানের প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গি ইত্যাদি...। ভগোবান তাই কাঞ্জীকে শাস্তি দিয়েছেন। কাঞ্জী দাঁত ক্যেলাতে ক্যেলাতে বলে, কোন ক্ষতি হয় নি, দোকানের ইন্সিওরেন্স করা আছে।
    কাঞ্জী যায় ইন্সিওরেন্স কোম্পানির কাছে টাকা ক্লেম কোরতে। কিন্তু ইন্সিওরেন্স কোম্পানির টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশান(পিপীলিকার চাইতেও ক্ষুদ্র কিছু অক্ষর দিয়ে লেখা যা আমরা কেউই পড়িনা) অনুযায়ী ইন্সিওরেন্স ক্লেম সেই সব ক্ষতিতে পাস হয় যে ক্ষতি Acts of God’এর পর্যায়ে পড়ে না। এখান থেকেই শুরু হয় গণ্ডগোল এখান থেকেই শুরু হয় সিনেমা। হাজার দিক ভেবেও কোন উপায় না পেয়ে কাঞ্জী যায় কোর্টে কেস করতে।

    কাঞ্জীর কেস ছিল মূলত ইন্সিওরেন্স কোম্পানির বিরুদ্ধে Acts of God নিয়ে, সেটা চলে আসে God’এর বিরুদ্ধে। অনেক খুঁজেও কাঞ্জী কোনো লইয়ার পেলো না কেস লড়ার জন্য। অবশেষ দ্বারস্থ হল এক মুসলমান অ্যাডভোকেট হানিফ খুরেশীর(ওম পুরি) কাছে। যেহেতু কাঞ্জীর কেস কেউ নিতে চাচ্ছে না, খুরেশী জানালো আইন অনুযায়ী কাঞ্জী নিজেই নিজের কেস লোড়তে পারবেন। খুরেশী সাহায্য করে কোর্টের সব কাগজ পত্র তৈরি করতে। খুরেশী আল্লাহ্‌য়ে বিশ্বাসী কিন্তু জাত/ধর্মে নয়। কোন এক দাঙ্গায়ে হিন্দুদের হয়ে কেস লড়ে বলে তার জাতের লোকরা তার পা কেটে দেয়। পঙ্গু শরীর নিয়ে কোর্টে সে যেতে পারবে বা, কাঞ্জীকে সাহায্য করবার জন্য নিজের মেয়েকে পাঠায়ে। শুরু হয় কেস, ধর্ম প্রতিষ্ঠান, বড় বড় ধর্ম গুরুর কাছে যায় নোটিশ। ভগোবান’কেতো ডাইরেক্ট পাওয়া যায় না, সবাই বলে ঈশ্বর মন্দির মসজিদে থাকে তাই এই সব জায়গায়ে নোটিশ। কাঞ্জীর কেস কোর্ট গ্রহণ করে। কাঞ্জীর উপর মৌলবাদীরা আক্রমণ করে। ধর্ম নিয়ে কথা উঠলে কোনো কথা হবে না, হবে শুধু মার। এখন আবির্ভাব ঘটে মানুষের রূপ নিয়ে ভগোবান শ্রী কৃষ্ণের( অক্ষয় কুমার)। গোস্ট রাইডারের মতন বাইক চালিয়ে কাঞ্জীকে বাঁচায়ে। কৃষ্ণ কাঞ্জীর সাথে থেকে, কাঞ্জীকে ‘উপদেস দিয়ে’ সাহায্য করে। চলে কোর্টে লড়াই, ধর্ম গুরুদের আক্রমণ। প্রথম প্রথম কাঞ্জী ছিল একা, পরে কাঞ্জীর অনুগামী যুক্ত হয়। এরা সবাই ইন্সিওরেন্স কোম্পানির Acts of God নিয়মে জর্জরিত।

    সিনেমাটি প্রথম থেকে শেষ পুরো নিট অ্যান্ড ক্লিন। ছবিটি মটেও নাস্তিকতা প্রচার বা ঈশ্বরে অবিশ্বাস নীতি বহন করে না (ক্লাইম্যাক্সে কৃষ্ণের দর্শন ঘটে)। কোন ধর্মকে আঘাত করে না। ছবিটি বলে ঈশ্বরকে ভালবাসতে, ভয় কোরতে না। অন্ধবিশ্বাস বা কুসংস্কার, ধর্ম প্রতিষ্ঠানের (সব ধর্ম) কালো টাকা, ধর্মের নামে টাকার অপচয়, যত ধরণের ধর্ম ব্যবসা আছে একমাত্র এই সবের বিরুদ্ধে ‘ওহ মাই গড’ আঘাত মারে।
    ‘ওহ মাই গড’ বলে ঈশ্বর মন্দির, মসজিদ বা চার্চে থাকে না, কোন মূর্তি বা কোন প্রাচীন গ্রন্থে থাকে না। থাকে সব জায়গায়ে, সবার ভিতরে। পাখীদের সাথে বাসা বাঁধে কিংবা পিঁপড়েদের সাথে লাঞ্চ করে।

    তাসত্ত্বেও ‘ওহ মাই গড’ কিছু অতি সংবেদনশীল ধর্মানুভূতি যুক্ত ধার্মিকদের ধর্মে আঘাত করেছে। কিছু ব্লগ (পার্সোনাল) ও ফেসবুকের কিছু গ্রুপ ‘ওহ মাই গড’এর বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেছে। যত দুঃখী ও অশান্ত আত্মার পোস্ট ও কথা পড়লাম তাতে মনে হল সিনেমার কিছু কিছু ডাইলগ শান্তি প্রিয় ধার্মিকদের ধর্মানুভূতি অশান্ত করেছে। ডাইলগ গুলি হল—

    ১/ কাঞ্জী হনুমানকে বলেছে বডিবিল্ডার।
    বডিবিল্ডার কি কোনো অশ্লীল শব্দ!! বডিবিল্ডার’তো আমরা প্রশংসাসূচক অর্থে ব্যবহার করি। রামায়ণ বা যতো জয় বজরং বলির সিনেমা বা সিরিয়াল দেখেছি সবেতেই তো শ্রী রাম ভক্ত হনুমানের হেব্বি চেহারা। আমাদের ৺দারা সিং বডিবিল্ডার ছিলেন না!! আহেম, বাঁদর, হনুমান, জম্বুবান—এই নাম গুলো দৈনন্দিন জীবনে কাউকে ব্যাঙ্গ কোরতে ব্যবহার হয়। আপনাকে কেউ বডিবিল্ডার বা হনুমান বলে ডেকে ডাকুক, কোন নাম শুনে খুশী হবেন?

    ২/ কাঞ্জী ঈশ্বরের মূর্তি কেনার সময় গণপতিতে ‘পেট মোটা গণেশ’ বলেছে। ‘আড়াইশো টাকার’ মাতা সেরায়ালি ‘টাইগার ওয়ালী’ বলেছে।
    যাহ্‌ চলে, আমরাতো সব সময় গণেশ’কে পেট মোটা বলি। অনেক সময় গোবর গণেশ। একজন ভুঁড়ি ওয়ালা লোককে আমারা যতটা ‘গোপাল ভাড়’ বলে সম্বোধন করি তার চাইতে গোবর গণেশ নাম’টা বেশী ব্যাবহার হয়। মনে হয় না ‘গনশা’ কিছু মাইন্ড করবেন।
    ‘আড়াইশো টাকার’ মাতা সেরাওয়ালি, শুধু মাত্র সিনেমার ক্ষেত্রে ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগলো!! এই তো পুজোর সিজেন গেল, রাস্তায়ে রাস্তায়ে লক্ষ্মী, সরস্বতী ঠাকুরের মূর্তি কি ভাবে বিক্রি হয় তা নজরে পড়ে না। ‘ নিচের লক্ষ্মী ৫০ টাকা, তার পরের গুলো ৭৫, একদম উপরের বড় লক্ষ্মী ১৭৫ গঙ্গা জল ফ্রী...’। বড় রাস্তার কোনায়ে কোনায়ে দেখা যায়, শোনা যায়। হ্যাঁ আমাদের ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে না, আমাদের ধর্মানুভূতিতে তখন ব্যস্ত দর দাম কোরতে ‘৭৫’এর লক্ষ্মী ৫০’এ দিলে দাও নইলে অন্য দোকান দেখি’। অতি সংবেদনশীল ধর্মানুভূতিতে যুক্ত মনুষ্যগন, এক কাজ করলেই’ত হয়, এতই কোর্টে কেস ফাইল করেন যখন, তখন আর একটা কেস ফাইল করুন যত ঠাকুরের মূর্তি এবং পুজোর সামগ্রি (ইনক্লুডিং পুরুত মশাইয়ের দক্ষিনা) এগুলি যাতে ধর্ম প্রতিষ্ঠানের থেকে ফ্রী হিশাবে সাধারণ মানুষের কাছে পৌছায়ে তার ব্যবস্থা। না দেব দেবী বিক্রি হবেন, না দাম থাকবে, না দাম নিয়ে হাকাহাকি হবে।

    ৩/ কাঞ্জী কলসের ভিতর মাদ নিয়ে কাচ্ছে আর বলছে ওটা গঙ্গা জল।
    কি বোলব, গাঙ্গায়ে যে দূষণ হচ্ছে সে ব্যাপারে একটু প্রতিবাদ করুন। এক চামচি গঙ্গা জল চরণামৃত হিশাবে খেলে ফুড পয়েসিনিং হবার প্রবল সম্ভবনা আছে।

    ৪/ কাঞ্জীর কথা ‘আমাদের ভগোবানকে এই রকম দেখতে হয় না’, তার উত্তরে অক্ষয় কুমার (কৃষ্ণ) বলেছে তার লেটেস্ট ফটো ফেসবুকে আপলোড করা হয় নি।
    যাহ্‌ বাওয়া। সিনেমা’টি না দেখেই এই কথা নিয়ে বিতর্ক...!! মুভিটি দেখুন, যথার্থ ভাবে এর উত্তর বিশ্লেষণ করা আছে। নতুন কিছু বলার নেই।

    এই সামান্য কিছু কথা যা আমার মতন ইঁচড়ে পাকা পাবলিকদের যারা সব সময়, সব জায়গায়ে কন্ট্রো কিংবা ঝামেলা খুঁজে বেড়ায়ে তাদের মনে কোনো রেখা টানতে পারলো না, কিন্তু আপনাদের ধর্মানুভূতিতে চূড়ান্ত আঘাত আনল...!!! বড় আশ্চর্য...। আর সম্পূর্ণ সিনেমাটার মূল বক্তব্য... বুমেরাং। ধর্ম বোধহয় ধর্ম প্রতিষ্ঠান আর ধর্ম গুরুদের ভিতর সীমাবদ্ধ।

    সিনেমাটা দেখার মতন। বিশেষ করে কোর্টের যুক্তি তর্ক কিংবা কাঞ্জীর ধর্ম সম্বন্ধে নিউজ ইন্টারভিউ। ধর্মগুরু লিলাধরের ভূমিকায়ে মিঠুন চক্রবর্তী, হেব্বি। কেমন একটা সখি সখি ভাব। মৌলবাদীদের হাত থেকে বাঁচতে কৃষ্ণের বাইকের পিছনে ভয়ে কৃষ্ণকে জাপটে ধরে কাঞ্জী যখন বলে ‘আরে মারছে কেন, শান্তিতে বসে আলোচনা করলেই তো হয়’, তখন কৃষ্ণের উত্তর, ‘পিছনে দেখো(ডাণ্ডা কাটারি নিয়ে সবাই তেড়ে আসছে) শান্তিতে আলোচনা কোরতে যাবে কাটা পরবে’। ধর্ম কতটা শান্তির তা আলোচনা কোরতে শান্তির আগে একটা ‘অ’ যুক্ত হয়...। ক্লাইম্যাক্স আমার দারুন লেগেছে। কাঞ্জীর আক্রমণে যখন ধর্ম গুরু/প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক নেতার মন ত্রাহি মাং ত্রাহি মাং করছে, কাঞ্জীর সকল তর্ক বিতর্ক কোর্টে গ্রহণ হয়ছে, সেই সময় কাঞ্জী হয়ে যায়ে বিষ্ণুর ১১নং অবতার। কাঞ্জী বেঁচে ছিলেন, তাই নিজের মূর্তি/ মন্দির ভাঙ্গতে পেরেছেন। গৌতম বুদ্ধ যদি বেঁচে থাকতেন হয়তো একটা অবতার কম হত...।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন