এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • খাওয়াদাওয়া নিয়ে ইন জেনেরাল ভারতীয়দের প্যাকনা এবং এতদবিষয়ক প্রস্তাব

    Ekak
    অন্যান্য | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ | ৪১৮৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • j | 230.227.106.153 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ১৭:০১584396
  • ডোভার লেন বাজারে যখন কাঁকরোল বিকোতে দেখেছিলাম তখন ঐ একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল

    বাঁশবনের পাশে গজানো উপদ্রবটি আবার বাজার থেকে লোকে কিনে খায় !
  • de | 190.149.51.67 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ১৭:০৪584397
  • বেচারারা!!

    ধুঁধুল বা পোড়লের ছেঁচকি ভালোই খেতে -- কাঁকরোল আমার খুব প্রিয় --

    রাঁধতে জানলে সব ভালো --
  • de | 190.149.51.67 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ১৭:০৬584398
  • তবে ছোবড়ার পোড়ল আলাদা -- তেতো খেতে, রান্নার পোড়ল মিষ্টি মতো!
  • শ্রাবণী | 134.124.244.107 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ১৭:৩৯584399
  • সেটাই, একক এখানে বাঙালীদের কথা বলছে তাও দুর গেরামে গঞ্জের নয়, শহুরে বাঙালীর কথা যাদের হাতে পছন্দ অপছন্দ করার ক্ষমতা আছে, তা তারা তো যা ভালো লাগবে তাই খাবে, সস্তা দেখার দরকার কী.......এটা কিছুতেই সারা ভারতের লোকের কথা হতে পারেনা এবং আমার মনে হয়না এখানে কারোর সেই পর্যাপ্ত স্যাম্পল সাইজ আছে যার বেসিসে এত বড় কথা বলা যায়।
    খরগোশ ইঁদুর খায় যেমন এদেশে অনেক জায়গা আছে যারা বনের আলু যব জোয়ার বাজরা ভালোবেসে খায়, সেটাই সেখানে সহজে সস্তায় বা নিখরচায় পাওয়া যায়, না গেলে খরগোশ ধরে খাবে। গরীবের খাওয়ার অভ্যেস আবার পছন্দে অপছন্দে হয় নাকি!
  • dukhe | 212.54.74.119 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ১৭:৪৫584400
  • অস্ট্রেলিয়া থেকে এক সায়েব এয়েচিল। হেইচ আরের বেজায় শখ ব্যাটাকে গন্ধরাজ ভেটকি খাওয়াবে। নিয়ে গেল ও ক্যালকাটায়। কিন্তু হায়। গন্ধেই তিনি পিছিয়ে গেলেন। নলেনগুড়ের পায়েসের তো প্রশ্নই নেই।
    সাহেবে কী খায় ?
    ১। পাঁউরুটি (বিভিন্ন রূপে)
    ২। মাংস (বিভিন্ন রূপে)
    ৩। পাঁউরুটির মধ্যে মাংস (বিভিন্ন রূপে)
    এদেরকে মিশনের হস্টেলে রাখলে যে কী হত!
  • siki | 132.177.1.177 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ১৮:০১584401
  • সাহেব লেটুস শাকও খায়। পরমানন্দে।
  • চান্দু মিঞা | 127.193.48.254 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ১৮:৩৬584402
  • দুখে এইটা কি কইলেন যতদূর জানি অস্ট্রেলিয়ান সাহেবরা Barramundi বলতে অজ্ঞান। আর উহাই ভেটকি।

    http://en.wikipedia.org/wiki/Barramundi
  • dukhe | 212.54.74.119 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ১৮:৪০584403
  • তা সাহেবে গন্ধরাজ বরামুন্ডি না খাইলে দুখে আর কী করবে?
  • aka | 178.26.203.155 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ১৯:০৬584404
  • যেকোন খাবার হল অ্যাকোয়ার্ড টেস্ট। নতুন খাবার দেখলে বিভিন্ন কারণে প্যাকনা হতে পারে। যেমন এককালে লেটুস/স্যালাড ইত্যাদি নিয়ে ছিল মূলত মনে হয় সামাজিক। বাঙালী হয়ে ঘাসপাতা চিবুতে হলে জাত যাবে ইত্যাদি। মাজেলস নিয়ে ছিল, সেটা মনে হয় গেঁড়ি, গুগলি ইত্যাদির কথা মনে করে। এখন দুইই হু হা খাই। বললে বিশ্বাস করবেন না এমনকি বিয়ার নিয়েও ছিল, কেমন চিরোতার জল মনে হত। এই ব্যারিয়ারটা থাকতে পারে অনেক নতুন খাবারের ক্ষেত্রেই, প্রশ্ন হল সেটাকে অতিক্রম করে এক্সপেরিমেন্ট করার ইচ্ছে আছে কিনা। না থাকলে বহু অমৃতর থেকে নিজেকে বঞ্চিত করছেন। যেমন ধরা যাক মাজেলস, সঠিক সশ থাকলে উফ্ফ টেরিফিক। ভেবে দেখুন পৃথিবীর সবথেকে পিওরেস্ট ফর্ম অফ মাংসগুলোর মধ্যে অন্যতম। জলের নীচে পলিউশন কম। ওদিকে খেতেও দুর্দান্ত। কিন্তু প্রথম প্রথম নাক সিঁটকোবেনই।
  • Ekak | 69.99.230.125 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ১৯:২৩584406
  • আজ্ঞে , ওই "ইচ্ছে" টাই বড় ব্যাপার ।
    সেইটা কেন গড়ে ওটেনা টাই নিয়েই চিন্তা ।

    একটা কারণ হতে পারে যে সরকার বা কোনো সংস্থা এগুলোকে মানুষের মধ্যে প্রমোট করে না । চা ধরবার জন্যে ইংরেজ বানিয়া রা একসময় ফিরি তে চা গিলিয়ে গিলিয়ে শেষে নেশা তা ধরিয়ে ছাড়ল । তাহলে প্রমোট করলে কী না হয় ।

    এইযে মাশরুম এর দাম শহরের শপিং মল এ বেশি সেটা ক্যান ? উত্পাদন এর সঙ্গে সঙ্গে যদি আলু পটলের মত গ্রামের বাজারেই বিক্কিরি হয়ে যেত তাহলে মাশরুম কে প্রিসার্ভ করার খরচ বাঁচত । সেই সঙ্গে চাহিদা বেশি থাকলে মাশরুম উত্পাদন ব্যবসা আরও বার্ত। দাম আপনি কমত । এখন তা হয়না ।

    গ্রামে গিয়ে মাশরুম এর উপকার নিয়ে ওয়ার্কশপ করে দেখতে পারেন যাদের বিশ্বাস "গরিব মানুষ সব খায় " । খেতে না পেয়ে থাকলেও, প্রোটিনের অভাবে বাচ্চারা শুকিয়ে গেলেও মাশরুম কে অপশন হিসেবে নেবেননা অধিকাংশ গরিব মানুষ । বলে সিলভার কার্প কেই জনপ্রিয় করা গেলনা । আরে সবকিছু কী সমান সুস্বাদু হয় ? হয় না । ব্রয়লার এর মুরগি র মত স্বাদহীন জিনিস আমরা নানারকম নতুন কায়দায় রান্না করে তাকে খাদ্য করে তুলছি তো ?

    আর যদি আপনাদের এনালজি মেনে নি যে শহরের লোকদের যত প্যাখনা , গেরামের গরিব মানুষ ( গেরামের লোক মানেই গরিব নয় , এনিওয়ে :) ) যা পান টাই খান তাহলে গ্রামের যে ছেলেরা একসময় উদ্দ্যোগ নিয়ে সমবায় করে বিভিন্ন ফার্মিং শুরু করেছিল সেগুলো বন্ধ হয়ে যেতনা । কিপিং অল "আদার প্যারামিতার্স " কন্স্ত্যান্ট শুধুমাত্র চাহিদা র জায়গা থেকেই ব্যবসা চলত । চলেনি ।
  • aka | 178.26.203.155 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ১৯:৪৮584407
  • যেকোন চেঞ্জের ক্ষেত্রেই বেশির ভাগ মানুষের অ্যাংক্সাইটি অ্যাটাক হয়। সেই চেঞ্জটা কত খারাপ এটা প্রমাণ করা হল ডিফেন্স মেকানিজম।

    কেউ কেউ যেমন সেই চেঞ্জ মানিয়ে নেয়, আবার কেউ কেউ এতই স্থবির যে কোনদিনও চেঞ্জের কথা ভাবতে পারবে না। দুটোর কোনটাই ভুল নয়। দুই ধরণের লোক। তবে মা বলত খিদে পেলে বাঘেও ধান খায়।
  • তাতিন | 132.252.251.244 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ১৯:৫৬584408
  • পাব্লিক কৃমি খেতে পারলেই সব খাদ্য সমস্যা কমে যায়। রিসাইক্ল করবে আর খাবে।
  • aka | 178.26.203.155 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ২০:০২584410
  • কাঠ খেলেও ফার্নিচার বেরয়, কৃমি খেলে কি আর কৃমিই বেরোবে। অবশ্য কৃমি খেলে যদি নুডল বেরয় তাহলে সমস্যাই নেই। একবার কৃমি খেলেই সমস্যার সমাধান। (অ্যাজাম্পশন হল নুডল খেলে আরও নুডল বেরয়)।
  • শ্রাবণী | 69.94.107.108 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ২০:০৪584411
  • সাধে কী বলি, এদের গাঁ গেরাম এসপ পশ্চিমবঙ্গের গেরাম সম্বন্ধে আইডিয়া লিমিটেড।
    আমি যে গ্রামের মেয়ে সেখানে আশপাশ দশটা গ্রামে বাজারে সে কোনকাল থেকে বর্ষা থেকে পুজো পর্যন্ত খড়ের ছাতু (মাশরুমের এক জাত) লোকে করে ও খায়.....উদ্বৃত্ত বাজারে বিক্রি হয়। এখনো পুজোতে গেলে আমরা প্রায় রোজই ছাতুপোস্ত খাই, হয় বাজার থেকে এনে নয় কেউ না কেউ দিয়ে যায়।
    গেঁড়ির ঝাল, (যাকে গুগলি বলে মনে হয়)গেঁড়ি পোস্ত শামুক এসব গরীব থেকে মধ্যবিত্ত সবাই খায়...গেঁড়িপোস্ত ডেলিকেসি বিশেষ। জ্বর বা শক্ত অসুখ থেকে উঠলে সিঙি মাছের ঝোলের সাথে গেঁড়ির ঝোলও খাওয়ানো হয়। শহরের লোকেদের এ নিয়ে নাক সিঁটকাতে অবশ্য দেখেছি।
    আমি অল্পদিন দুর্গাপুরে ছিলাম খুব ছোটোতে। সেখানেও বাড়ি বাড়ি কচুপাতায় করে গেঁড়ি বিক্রি করতে আসত, বলত "জলমাগুর".....মাগুরের মতই গুণ তাই ঐ নাম।

    এরকম আরো অনেক জিনিসের উদাহরণ দেওয়া যায়। এখানে মানে নয়ডায়, গাজিয়াবাদে হাট বসে, হাটে সারা শীত বাটন মাশরুম পাওয়া যায়, মাস স্কেলে চাষ হয় এদিকে। মীরাটে সমস্ত সাউথের সবজি চাষ হচ্ছে, এখানকার সাউথ ইন্ডিয়ান দোকানগুলোতে ট্যাপিওকা, চালকুমড়ো কচুপাতা সব মীরাট থেকে আসে, এদিকের লোকেরাও আজকাল সাউথের সবজি খাচ্ছে।
    ছত্তিশগড়ের হাটেও একরকম মাশরুম দেখতাম লোক্যাল, কিন্তু ভয়ে খেতাম না, ওদিকের লোকেরা আরামসে খেত।
  • | 135.20.82.166 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ২১:২৯584412
  • কাল থেকে কচুপোড়া আর ঘন্টা খাবো। এর থেকে বড়ো শিফ্ট ভাবা যায়?
  • Blank | 180.153.65.102 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ২১:৩৩584413
  • আমি সব খাই, শুঁটকি মাছ ছারা। কুকুরের বমি টা ট্রাই করতে পারবো কিনা জানিনা।
    লেটুসের মতন অখাদ্য জিনিস খাওয়া অসম্ভব।
    আর কিছু মতামত লাগবে?
  • | 24.96.165.153 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ২১:৩৭584414
  • যবের ছাতু দিব্বি খেতে। চাতুর কচুরীও বেশ চমৎকার। আর ডালিয়ার খিচুড়ি তো আমি রোজ টিফিনে বানিয়ে আনি।
  • aka | 178.26.203.155 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ২১:৫৩584415
  • বালক লেটুস হল ভদকার মতন নিজের টেস্ট নাই, ড্রেসিংয়ে টেস্ট।
  • শঙ্খ | 118.35.9.186 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ০০:৪০584417
  • যদ্দুর মনে হয় উপায় থাকলে, সাধ্য থাকলে খাবার নিয়ে প্যাখনা সবাই করে।

    নিজের এবং কাছাকাছি বেশ কিছু স্যাম্পেল দেখে যেটা বুঝেছিঃ
    অর্ডার করে খাবার মেলার দিনগুলোয় এই খাব না, ঐ ছোঁব না এটা নিত্য-নৈমিত্তিক ব্যাপার। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পড়লে বাঘেও ধান খায়, এক্কেবারে খাঁটি কথা।

    অনেককেই দেখেছি কিনওয়া বা ব্রাউন রাইস দেখলে নাক সিঁটকাতে। একটু পোলাউ স্টাইলে খেতে খেতে দিব্যি অভ্যেস হয়ে যায়। পরে এমনিই খাওয়া যায় দিব্বি।

    নিজে থেকে ধুমধাড়াক্কা খাবারের অভ্যেস কেউই পালটে ফেলতে পারে না। আমার তো মনে হয় তুলনামূলক ভাবে ভারতীয়দের এবং বিশেষ করে বাঙ্গালীদের এই খাবার নিয়ে রিজিডিটি সব থেকে কম।
  • lcm | 138.48.127.32 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ০০:৪৮584418
  • একক ধরেছে ঠিক, খাওয়া নিয়ে বায়ানাক্কা বেশী। আর, শঙ্খ যেটা বলতে চেয়েছে সেটাকে একটু এক্সটেন্ড করলে -
    খাওয়ার অভ্যাস/অনভ্যাস প্রাইমারিলি অর্থনৈতিক অবস্থার সঙ্গে জড়িত। এছাড়া সামজিক/ধার্মিক/ভৌগোলিক... ফ্যাক্টর তো আছেই।
    যেমন, যে বলছে যে ধরো একটা বিশেষ খাবার খেতে পারে না, দুদিন না খেয়ে থাকলে সেই খাবার অমৃত মনে হবে, চেটেপুটে খেয়ে নেবে।
  • শঙ্খ | 118.35.9.186 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ০১:৩০584419
  • বললে হয়তো প্রোফাইলিং হয়ে যাবে, কিন্তু একমাত্র তামিলিয়ানদের দেখেছি ঝড়-ঝঞ্ঝা-স্যান্ডি সব উপেক্ষা করে দিনের পর দিন, রাতের পর রাত, বেলার পর বেলা শুধু এবং শুধুমাত্র কার্ড রাইস খেয়ে চালিয়ে দিতে। দুটো ডলার বাঁচানো? কৃচ্ছসাধন? মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন? ল্যাদ?

    এই প্রশ্নের উত্তর অ্যাঞ্জেল-ডেমন কিংবা দান্তে (ডেভিল মে ক্রাই পশ্য), কারোর কাছেই নেই মনে হয়।
  • S | 138.231.155.50 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ০১:৪৩584420
  • শঙ্খ,
    আপনার দেখার সঙ্গে আমার দেখা মিলে যাচ্ছে।আমাদের সাত দিনের ইয়েলোস্টোন ট্যুরে আমার তামিল বন্ধু সারাদিন শশা আর কলা খেয়ে থাকত। রাতে হোটেলে ফিরে মাইক্রোয়েভে ভাত বানিয়ে সেই আদি অকৃত্রিম কার্ড রাইস।
  • কৃশানু | 213.147.88.10 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ১০:১১584421
  • তামিলদের নিয়ে কথাটা সত্যি।
    কিন্তু আমার আবার দুই খান তামিল রুমমেট ছিল, একজন খাঁটি ট্যাম ব্র্যাম আর আর এক জন মাল্লু ট্যাম। এদের সাথে একসাথে কি না খায়নি। গরু শুয়োর ছাড়ান দেন। অক্টোপাস কাঁচা, শেল উল্টিয়ে তাল শাঁসের মত অয়েস্টার, আরো কত কি।
    আমার খাদ্যাভাস এর যেটুকু খুন্ত্খুন্তামি ছিল, এদের সাথে থেকে উধাও হয়ে গ্যাছে।
    তবে ইটা ঠিক, এরা এক্সেপশন।
    এবার আরেকখান গল্প।
    ২০১১ এর বিশ্বকাপ। ইন্ডিয়া অস্ট্রেলিয়া-র কোয়ার্টার ফাইনাল। আমি আর ওই ট্যাম ব্র্যাম বেড়াতে বেড়াতে জোশীমঠে। এমনিই পাহাড়ি সহর , সাতটার মধ্যে সব বন্ধ হয়ে যায়, সেদিন ঝাঁপ প্রায় খোলেইনি। হোটেলে ডিনার করব না, একটু লোকাল দোকানের খাবার চেখে দেখব বলে ঠান্ডার মধ্যে বেরিয়েছি। একটাই খাবারের দোকান খোলা। হাতে গোনা জনা তিন কর্মচারী আর দু তিনটি বাচ্ছা নিয়ে খান দশেক লোক বসে, একসাথে। মনে হলো একই ফ্যামিলি। ভাত আর মুরগি খাচ্ছে।

    একটি কর্মচারী জল টল নিয়ে আমাদের দিকে এলো। স্কোর বিনিময় হবার পর জিগ্গেস করলো কেয়া চাহিয়ে। বললাম মুরগি। 'ইয়ে সকাহারি ভোজনালয় হ্যায়' তিনি উবাচ। আমরা বললাম মানে? এই যে পাশের টেবিলে মুরগি খাচ্ছে? হিন্দিতেই বললাম।
    পাশের টেবিলের এক ভদ্রলোক ঘুরে তাকিয়ে শ্যামবাজারী ইস্টাইলে - ইয়ে মানে হুয়া কেয়া ---
    আমি বললাম আপনি বাংলাতেই বলুন।

    তিনি যা বললেন --
    ওহ আপনি বাঙালি? আসলে অনেক ঘুরে আসছি তো, প্রায় দিন তিনেক হলো মাছ মাংস কিছু খাওয়া হয় নি, পাওয়াই যাচ্ছে না। আর এই জোশীমঠে সব দোকানই নিরামিস। আজ বিকেলে দেখলাম গোটা মুরগি বিক্রি হচ্ছে। কিনে তো নিলাম। রান্না করি কোথায়। হোটেলে রান্না করতে দেবে না। এই একটাই দোকান খোলা। এদের এসে ধরলাম। কিছুতেই রাজি হয় না। শেষে বাচ্ছা দের দেখিয়ে, ডাক্তার খেতে বলেছে, সরির খারাপ এইসব বলিয়ে কথা হলো, ওরা রান্না করে দেবে, আমি পাশে দাড়িয়ে ইনস্ট্রাকশন দেব। সেভাবেই শুরু হলো, কিন্তু পারে না কি! শেষে আমাকেই গামছা জড়িয়ে নেমে পড়তে হলো।

    ভ্রমনপিপাসু বাঙালি-র মাছ ভাতের দাবি কিন্তু লেজেন্ডারি। জানি অফ টপিক, তবু গল্পটা শেয়ার না করে পারলাম না।
  • dd | 125.187.41.77 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ১০:২২584422
  • এই ধরুন হীরকের রানী ভগোমান টইতে আপাদমস্তক ঝগড়া চলছে।তীক্ষ খোঁচা,গোদাটে মুগুরাঘাত,দুর থেকে ছোঁড়া স্নাইপার বুলেট,কার্পেট লিং....ইত্যাদি।
    ঠুক করে লিখে দিন "কিন্তু এই মমতার আমালেই বাংলাদেশের ইলিশ এসেছে কলকেতায়। ওঃ। আমার বৌ ঝা রাঁদেন। আপনেরা আমস্বত্ত দিয়ে ইলিশকারী খেয়েছেন? না? ইটি একটি পুর্ব বসনিয়ান রান্না"। ব্যাস।

    ব্যাস।ব্যাস। হু হু করে টই পলিটিস্ক থেকে হুড়মুড়িয়ে ইলিশের টই হয়ে যাবে।
  • S | 109.26.201.94 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ১০:২৭584423
  • হা হা হা হা হা হা হা।
  • ব্যাং | 132.167.247.46 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ১০:২৮584424
  • মাল্লু ট্যাম কী জিনিস? হয় মালয়ালি , নয় তামিল। মালয়ালি আর তামিল ভাই ভাই এমনটাও কখনো শোনা যায় নি। মাল্লু ট্যাম জিনিসটা কী, একটু বিশদে ব্যাখা করা যায় কি?
  • kc | 204.126.37.78 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ১০:৩১584425
  • মাল্লু ট্যাম হল মাল খোর তামিল।

    হুঁঃ, এ আবার ক্যুইজ করে।
  • lcm | 34.4.162.218 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ১০:৫৬584426
  • হা হা, পলিটিক্স থেকে ইলিশের টই
  • kumu | 132.176.32.39 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ১১:৩৭584428
  • এককের বক্তব্য আমি বোধহয় বুঝেছি খানিকটা।একটু নিজ অভিজ্ঞতা বলি-
    বহুকাল আগে,যখন কুমু কুমুদিনী ছিল,তখনকার কথা-
    সয়াবীনের খাদ্যগুণ নিয়ে বিতর্ক আছেই,অনেক বিতর্কের মতই তা থামার নয়।যা হোক,সেই আপিসে আমরা ও NDDB মিলে সয়াবীনের ডাল বানাই।সয়াবীন থেকে তেল বের করে নিলে যে soya flour পাওয়া যাবে,তাকে TWIN SCREW EXTRUSIONকরে তৈরী,দেখতে ছোলার ডালের মত তবে একটু ফ্যাকাশে,খেতে আহা মরি কিসু নয়,তবে খারাপও নয়।
    প্রোটিন মুগ/তুর/উরদ ডাল ইঃ তুলনায় ৩০-৩৫%(যদ্দুর মনে পড়চে) বেশী,অন্য ডালের তুলনায় অনেক সস্তা পড়বে,কিছুটা প্রি কুকড হওয়াতে রাঁধতে সময় ও জ্বালানী কম লাগবে,আর আ যে বিতর্কিত ব্যাপারগুলো আছে,সেগুলোও ৯০% কম হবে।
    ৫০০ গ্রাম প্যাকেট দিল্লীর নিম্ন/উচ্চ মধ্যবিত্ত এলাকায় বিতরণ করা হয়,দরজায় গিয়ে ছেলেমেয়েরা গুণাগুণ ব্যাখ্যা করে দিয়ে আসে,কিছু জায়গায় কিয়স্ক লাগে ইঃ।
    অন্তত ৮৫% প্যাকেট না খুলে ফেরত দেয়,কারণ
    -উল্টাসিধা ডাল বাচ্চাদের/বুড়োদের খাওয়ানো যাবেনা,
    -যে কোন সয়াবীনের খাবার খেলেই পেটের রোগ হয়
    -অসুস্থ হলে ডাক্তারের খরচ কে দেবে?ইত্যাদি ইত্যাদি।
    যারা প্যাকেট খুলেছিল,তাদের ফিডব্যাক আরো ভয়ানক-
    দুনিয়ার সব অসুখই তাদের হয়েছে ঐ ডাল খাবার পর।
    গুজরাটে রেসপন্স ভাল ছিল,আশ্চর্য এই যে গুজরাটে ডাল দেয়া হয় গ্রামের লোকদের।
    যদ্দুর শুনেছিলাম strong plus বা এইধরনের কোন ব্র্যান্ড নামে রিলায়েন্স এই ডালটি মুম্বাই/পুনেতে মার্কেটিং করে,কিন্তু খুব বেশী চলেনি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল প্রতিক্রিয়া দিন