এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পরমানু বিদ্যুতের ঝুঁকি

    anirban
    অন্যান্য | ০১ মার্চ ২০১৩ | ৩৯১৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • pi | 78.48.231.217 | ০১ মার্চ ২০১৩ ১৮:৪৩587287
  • সিংহ মহাশয় এখন কী বলছেন ?
  • pi | 78.48.231.217 | ০৫ মার্চ ২০১৩ ১৮:৪৪587298
  • কুদানকুলমের অবস্থা। এখনই এই !
    "ACCORDING to the Department of Atomic Energy and the authorities of Nuclear Power Corporation of India, the loading of uranium fuel rods at the 1,000 MWe-capacity first unit of the Koodankulam Nuclear Power Project was completed on 2 October last year, but has not produced a single unit of electricity so far. Critical equipment supplied by Atomstroyexport of Russia, building nuclear reactors abroad, were found to be shoddy and have developed leaks even before commissioning of the plant. The financial statement released by Atomstroyexport shows its losses have doubled in the last year and it is on the brink of bankruptcy. Russian engineers at the Koodankulam plant site have not been able to plug the leaks....
  • sch | 132.160.114.140 | ০৫ মার্চ ২০১৩ ১৯:১৭587309
  • এগুলো নিয়ে কেউ পার্লামেন্টে বলে না?
  • চান্দু মিঁঞা | 127.208.209.175 | ০৫ মার্চ ২০১৩ ১৯:৩৬587320
  • pi এর উদ্ধৃতির উৎস জানতে চাই।
  • চান্দু মিঁঞা | 127.202.92.88 | ০৫ মার্চ ২০১৩ ২১:৩৩587330
  • না উৎস অত্যন্ত গোলমেলে, আর কতগুলো জায়গা অস্পষ্ট। যেমন, "Critical equipment supplied by Atomstroyexport of Russia, building nuclear reactors abroad, were found to be shoddy and have developed leaks even before commissioning of the plant. " এ কি DAEর বক্তব্য? তারা কোন বুলেটিনে এ খবর দিয়েছে? ভদ্রলোক অনেক হিজিবিজি লিঙ্ক দিয়েছেন তার বদলে এই তথ্যের সূত্রটি দিলে ভাল হত।
  • anirban | 60.148.113.110 | ০৯ মার্চ ২০১৩ ০৬:১১587331
  • উৎস গোলমেলে নিশ্চয়ই। কিন্তু দুটো ব্যাপার আছে। এক - এখানে না হলেও যেখানে ইউরেনিয়াম মাইনিং হবে সেখানে দূষণ অলমোস্ট অবধারিত। সারা পৃথিবীতে শুধু ইউরেনিয়াম খনি থেকে যা বর্জ্য জমা হয়েছে তার পরিমান এক হাজার মিলিয়ন কিউবিক মিটার। আর এর থেকে যা দূষণ - মূলত জল আর মাটির দূষণ। খোদ আমেরিকাতেই ৩৬টি স্টেটে এই দূষণ। আমি নিজে এই নিয়ে কাজ করি। দুই - প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্ভাবনা ১% হলেও তা যে কখনই হবে না এটা বলা যায় না। ফুকুশিমার পর এটা ভীষনভাবে সত্যি। আর কোনভাবেই পরমানু বিদ্যুত ক্লীন এনার্জি হিসেবে তাপবিদ্যুতের বিকল্প হতে পারে না কারণ তার জন্য অনেক অনেক বেশী পরমাণু চুল্লী তৈরি করতে হবে সমস্ত দেশে। এই নিয়ে MIT র একটা দারুন স্টাডি আছে। লিংক দিয়ে দিলাম।
    http://web.mit.edu/nuclearpower/
  • চান্দু মিঁঞা | 127.193.39.184 | ০৯ মার্চ ২০১৩ ০৯:২৬587332
  • দূষণের ফলাফল কি নির্দিষ্ট অঞ্চলে আবদ্ধ রাখা যায়না?
  • PT | 213.110.246.230 | ০৯ মার্চ ২০১৩ ১৫:১৯587277
  • তেল শেষ হলে সেটার অনুপস্থিতি কিভাবে সামলানো হবে? আর কয়লা শেষ হলেই বা কি করা যাবে?
  • কল্লোল | 111.63.228.34 | ১০ মার্চ ২০১৩ ০৭:৫৬587278
  • আস্তে আস্তে কম প্রচলিত এনার্জিগুলোর ব্যবহার বাড়াতে হবে। তাতে হয়তো সেগুলো ঠিকঠাক ভাবে তেল ও কয়লার বিকল্প হয়ে নাও উঠতে পারে। সেগুলো মেনেই বাঁচতে হবে।
  • শ্রী সদা | 127.194.203.72 | ১০ মার্চ ২০১৩ ১০:১৮587279
  • সোলার পাওয়ারের উপর ভালো কাজ হচ্ছে আজকাল। গত দুই দশকে পাওয়ার কনভার্সন টেকনলজি অনেক উন্নত হয়েছে, আগামী দিনে আরো হবে।
  • PT | 213.110.246.230 | ১০ মার্চ ২০১৩ ১২:৫৫587280
  • এই সোলার পাওয়ার নামক রূপকথাটি সম্পর্কে আরো একটু বিশদে জানলে ভাল হত। যে দেশ গুলোতে সুর্যের আলো প্রায় অর্ধেক দিন পাওয়া যায় সে দেশের মানুষদের পক্ষে কল্পনা করাও অসম্ভব যে ছয় থেকে আটমাস শুন্য থেকে -১০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় বেঁচে থাকাটাই কি দুঃসহ ব্যাপার। আর সেইসব দেশে সুর্যের আলো না থাকায় তেল-কয়লা-পরমাণু বিদ্যুত বাদ দিয়ে সোলারের ভিত্তিতে ভবিষ্যতের কোন ছক কেউ কষে বলে আমার জানার নেই।

    আমাদের দেশে সোলার (বা "অন্য কোন") পাওয়ার নিয়ে যে তথাকথিত গবেষণা হয় তার বেশীর ভাগটাই গপ্প। আমরা চন্দ্রায়ন করছি আর অপেক্ষায় আছি কবে স্যাম চাচা সোলার সমস্যার সমাধান করে দেবে। আর এই সব নিয়ে যারা বেশী আলোচনা করে তারা সবাই তেল-কয়লা-পরমাণু পোড়ানো আলোর ব্যবহারই সব চাইতে বেশী করে। তারাই বক্তব্য রাখার জন্য সেমিনার ইত্যাদিতে যোগ দিয়ে বা সরকারকে প্রভাবিত করে গরীব বা শহর থেকে অনেক দুরে থাকা মানুষগুলোর কাছে বিদ্যুত পৌঁছোনোর ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

    Total energy consumption per capita per annum (2003)-এর হিসেব অনুযায়ী ভারতের স্থান ভিয়েতনাম, পেরু বা জাম্বিয়ারও নীচে। (চিন বলা যাবেনা - তাহলেই গনতন্ত্র নেই তাই বিদ্যুত আছে ইত্যাদি বক্তব্য আসতে থাকবে।) যেকোন ভাবেই বিদ্যুত উৎপাদন করে এই অবস্থানটা বদলানো অত্যন্ত জরুরী।
  • Sibu | 118.13.142.178 | ১০ মার্চ ২০১৩ ২২:০০587281
  • আমি এনার্জি নিয়ে একেবারেই নভিস। তাই প্রশ্ন বোকা বোকা হলে ক্যাল দিয়েন না।

    শুধু সোলার বা উইন্ডের বেসিসে প্ল্যান করা এখনো অর্থহীন। কিন্তু এগুলো মোর ট্রাডিশনাল পাওয়ারের সাথে মিলিয়ে কোন প্ল্যান কি হতে পারে? ধরুন ১০০ মেগাওয়াট পাওয়ার চাই। এবারে ৪০ মেগাওয়াট সোলার, আর ১০ মেগাওয়াট করে ১০টা থার্মাল ইউনিট (কয়লা ও গ্যাস মিলিয়ে) তৈরী করা হল। ৬টা থার্মাল ইউনিট সবসময়ে অন-লাইন রাখা হয়। বাকী চারটে সোলার প্ল্যাটের আউটপুটের ওপর বেস করে অন বা অফলাইন রাখা হয়। এরকম করা কি সম্ভব? বিশেষতঃ দূষণের দিক দিয়ে, পাওয়ার প্ল্যান্ট অফলাইন রাখলেও কি দূষণ হয়? হলে কতটা হয়। পাওয়ার প্ল্যান্ট অনলাইন আনতে কতটা সময়ের নোটিস লাগে?

    এইসব নিয়ে কেউ কি কিছু বলতে পারেন?
  • দ্রি | 116.79.104.163 | ১১ মার্চ ২০১৩ ০০:১৩587282
  • আমিও এই ব্যাপারে বেশী কিছু জানি না, কিন্তু জানতে চাই।

    শুনেছি ইলেক্ট্রিসিটির সোর্স হিসেবে সোলারের একটা খুব ইম্পর্ট্যান্ট লিমিটেশান আছে। একই পরিমান এনার্জি উৎপাদন করতে সোলারে কয়লা, তেল বা নিউক্লিয়ারের তুলনায় বহুগুন বেশী জায়গা (এরিয়া) লাগে। কারেন্ট টেকনজির ভিত্তিতে। ভারতের মত দেশে সেন্ট্রালাইজ্‌ড সোলার পাওয়ার প্ল্যান্টের সাইজ হতে হবে বিশাল। অত জায়গা বার করা শক্ত। তবে ডিসেন্ট্রালাইজ্‌ড মডেল ধরলে সোলারের ফিউচার আছে। মানে প্রত্যেকটা বাড়ির ছাদে সোলার প্যানেল। পিটিদার বলা সমস্যাগুলো খুব পার্টিন্যান্ট। যেসব দেশ বছরে ন'মাস মেঘলা থাকে সেইসব দেশে সোলার রিসার্চ হবে না। সোলার রিসার্চ ভারতের মত ট্রপিক্যাল দেশকেই করতে হবে। সোলার এনার্জি সাপ্লাইয়ের আনরিলায়েবিলিটিও একটা সমস্যা। মেঘলা দিনে কি হবে, রাতে কি হবে, এগুলো স্যাটিসফ্যাক্টারিলি সল্‌ভ করা দরকার। তাছাড়া গাড়ীর ক্ষেত্রে তেলকে কে রিপ্লেস করবে? নিউক্লিয়ার, সোলার এগুলো ভাবা মুস্কিল। তেল, ন্যাচারাল গ্যাস এগুলোই অপশান।

    মূলত কিছু শোনা কথা লিপিবদ্ধ করলাম। কমেন্টস ওয়েলকাম।
  • দ্রি | 116.79.120.117 | ১১ মার্চ ২০১৩ ০০:৪৪587283
  • অনির্বানের দেওয়া নিউক্লিয়ার এনার্জি নিয়ে স্টাডিটা পড়তে শুরু করেছি।

    একটা ব্যাপার খেয়াল করলাম। স্টাডি পার্টিসিপেন্টের মধ্যে আছেন জন পি হোল্ড্রেন। ইনি একজন ইউজেনিসিস্ট, গ্লোবাল ওয়ার্মিং ইভ্যাঞ্জেলিস্ট। ইনি খুব পাওয়ারফুল লোক। ওবামার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনলজি অ্যাডভাইসার।

    পুরো এফর্টটা বিশুদ্ধ সায়েন্টিফিক/টেকনলজিকাল ব্যাপার নয়। এতে যথেষ্ট পলিটিকাল ওভারটোন আছে। পার্টিসিপেন্টদের মধ্যে পলিটিকাল সায়েন্সের লোক আছেন। অ্যাডভাইসারি কমিটিতে এক্স-কংগ্রেস মেম্বার আছেন, কার্নেগি এনডাওমেন্টের লোক আছেন।

    এবং সেটা টের পাওয়া যাচ্ছে কিছু কিছু রেকমেন্ডেশানে। IAEA র ইনভেসিভ ইনস্পেক্শান, ভায়োলেটিং ন্যাশানাল সভার্নিটি। আবার অন্যদিকে কার্বন ক্রেডিটের আইডিয়া পুশ করার চেষ্টা।

    তবে ওয়েস্ট ডিসপোজালের ইস্যুটা গুরুত্বপূর্ণ। এরা দেখলাম ওয়ান্স থ্রু ফুয়েল সাইক্‌ল রেকমেন্ড করছেন, ক্লোজ্‌ড ফুয়েল সাইক্‌ল রেকমেন্ড না করে। খরচ বাঁচানোর জন্য। কিন্তু আবার প্রোলিফারেশানের ভয়ও বোধ হয় কাজ করে।

    সব মিলিয়ে বেশ ঘোরালো পলিটিক্স মনে হচ্ছে।
  • দ্রি | 116.66.66.124 | ১১ মার্চ ২০১৩ ২৩:১৫587284
  • ইউরেনিয়াম মাইনিং সবচেয়ে বেশী হয় অস্ট্রেলিয়ায়, কাজাকস্তানে, ক্যানাডায় এবং রাশিয়ায়। ভারতে খুব কম।

    অন্যদিকে থোরিয়াম ডিপোজিটে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া ফাস্ট।

    থোরিয়াম বেস্‌ড নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট নিয়ে ভাবনাচিন্তা কেমন এগোচ্ছে? এগুলোর সেফ্‌টি রেকর্ড, ওয়েস্ট ডিসপোজাল ইত্যাদির ব্যবস্থা কেমন? ইউরেনিয়াম বেস্‌ড পাওয়ার প্ল্যান্টের তুলনায়?

    কেউ যদি টেকনিকাল ডিটেলগুলো লেখেন তো ভালো লাগবে।

    থোরিয়াম নিউক্লিয়ার রিয়্যাক্টারে বোধহয় 'প্রোলিফারেশানের' সুযোগও কম। ইউরেনিয়াম রিয়্যক্টারে এন্ড প্রোডাক্ট হয় প্লুটোনিয়াম জেটা অ্যাটম বোম বানাতে কাজে লাগে। থোরিয়ামে কি এমন কিছু আছে?
  • pi | 172.129.44.120 | ১২ মার্চ ২০১৩ ০৫:০৬587285
  • সুজয় বসুর একটা লেখা রইলো ঃ

    পরমাণু শক্তি সম্পূর্ণ বর্জন করে শক্তি সমস্যার সুস্থ সমাধান করা সম্ভব
    সুজয় বসু
    ----------
    পরমাণু শক্তি চাই না। অনেকেরই ধারণা শক্তির এই চমকপ্রদ উৎসটি বাদ দিলে মানবজাতির শক্তির প্রয়োজন কিছুতেই মেটানো যাবে না। যদি বলা হয় পরমাণু শক্তি তো পৃথিবীতে ব্যবহৃত শক্তির ৬ শতাংশেরও কম যোগান দেয়, যেখানে জৈবভর অর্থাৎ কাঠ-পাতা, জীব-বর্জ্য, জলজ উদ্ভিদ ইত্যাদি থেকে পাওয়া যায় ১০ শতাংশ। কী এমন প্রভাব পড়বে পরমাণুর অংশটা অন্য উৎস থেকে মেটালে? তখনই শোনা যাবে খনিজ জ্বালানির সীমিত ভাণ্ডারের সমস্যা। তেল-গ্যাস-কয়লার ভাণ্ডার সত্যিই সীমিত। যে ক্রমবর্ধমান হারে এগুলি পোড়ানো হচ্ছে তাতে কয়েক দশকের মধ্যেই তেল-কয়লা সরবরাহে টান ধরবে অবধারিত ভাবেই। ইদানীং আবার তেল-কয়লা জ্বালানোর জন্য অন্য এক গভীর সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে --- বিশ্বের উষ্‌ণায়ন ঘটছে এবং তার প্রতিকারে জোর চাপ বাড়ছে কার্বন-ভিত্তিক জ্বালানির ব্যবহার দ্‌রুত কমিয়ে এনে বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে একটি সহনীয় মাত্রায় আনতে। সব মিলিয়ে এই শতাব্দীতে শক্তি সরবরাহের প্রধান উৎসগুলোর স্থায়িত্ব ও ব্যবহারযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অনেকেই মনে করছেন শক্তির ক্ষেত্রে সাবেকি পথ ছেড়ে নতুন দিশার সন্ধান করতে হবে।

    শক্তির উৎস নির্বাচনের ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় ভালোভাবে যাচাই করার দরকার, এগুলির মধ্যে প্রধান হল ঃ (ক) স্থানীয় লভ্যতা, (খ) অর্থনীতি ও (গ) পরিবেশ-অনুকূলতা। প্রতিটি দেশের রাজনৈতিক অবস্থানের দৃঢ়তা নির্ভর করে তার আবশ্যিক প্রয়োজনাদি মেটানোর ক্ষমতার ওপর। শক্তির ক্ষেত্রে স্থানীয় উৎপাদনেই প্রয়োজন না মিটলে আমদানির ওপর নির্ভর করতে হবে এবং আন্তর্জাতিক বাজার থেকে সংগ্রহ করতে গেলে তার দাম মেটানোর মতো অর্থের সংস্থান থাকতে হবে। উৎস সহজ এবং সরবরাহ সুলভে করতে পারলে অর্থনীতি গ্রহণযোগ্য হবে। কোনো শক্তির ব্যবহারে পরিবেশ দূষিত হলে, সে পরিবেশ স্থানীয় বা বৈশ্বিক যাই হোক, তার গ্রহণযোগ্যতা কমল --- দূষণ মারাত্মক হলে সেই উৎস বর্জন করতেই হবে। মোটামুটি এই তিনটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক অবস্থা থাকলে শক্তির উৎসটি নির্বাচন-গ্রহণে কোনো বাধা থাকবে না।

    পরমাণু শক্তির ক্ষেত্রে এই সীমিত বিচারেই এর গ্রহণযোগ্যতা থাকছে না। পরমাণু জ্বালানি ইউরেনিয়াম এদেশে আছে নামমাত্র। এখন বিদেশ থেকেই সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ দেশে থোরিয়াম আছে যা বিশেষ চুল্লিতে --- প্রজনী চুল্লিতে --- কিছুটা রূপান্তর ঘটিয়ে শোধন করে ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু তার প্রযুক্তি যদি বা আয়ত্ত করা যায়, রূপান্তরকাল অতি দীর্ঘ হওয়ায় বাস্তবে এই জ্বালানিকে প্রাথমিক ব্যবহারের স্তরে আনতেই কয়েক দশক পেরিয়ে যাবে। সুতরাং স্থানীয়ভাবে এই শক্তি উৎপাদনের জ্বালানির অভাব এমন প্রকট যে অন্যান্য দেশ, বিশেষ করে আমেরিকার, অনুগ্রহ ছাড়া এই শক্তি সরবরাহ সম্ভব হবে না। অর্থনীতির প্রশ্নটি সামান্য নয়, পরমাণু শক্তি বর্তমানে যা ব্যবহার করা হচ্ছে তা প্রচলিত শক্তির তুলনায় তো বটেই, এমনকী সৌরশক্তির তুলনায়ও মহার্ঘ। গত বছর আমেরিকার নর্থ ক্যারোলাইনার এক গবেষক গোষ্ঠী জানিয়েছে যে পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে ব্যয় বেড়েই চলেছে। বিপরীতে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন-ব্যয় কমছে এবং একসময় সৌরবিদ্যুতের দাম একক পিছু পরমাণু বিদ্যুতের দামের চেয়ে কম হবেই। এই গোষ্ঠী নানাবিধ তথ্যাদি সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ করে জানিয়েছে ২০১০ সালেই এই প্রত্যাশিত ঘটনাটি ঘটেছে। পরমাণু বিদ্যুতের অর্থনীতির বিচারে কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিকও রয়েছে। পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তেজস্ক্রিয় বর্জ্যের নিরাপদ সংরক্ষণ এবং চুল্লির বিস্থাপন (ডিকমিশনিং)-এর ব্যয়ের কোনো স্থির হিসাব এ পর্‌যন্ত কোনো দেশ থেকেই পাওয়া যায়নি। ওয়াকিবহাল মহলের এক অংশের মতে বিস্থাপনের ব্যয় স্থাপনের ব্যয়কেও ছাপিয়ে যেতে পারে। সর্বশেষে পরমাণু কেন্দ্র থেকে তেজস্ক্রিয় দূষণ। অন্যান্য সবরকম দূষণ থেকে এর প্রকৃতি আলাদা। অন্যান্য দূষণ সম্পূর্ণ অপসারণ না করতে পারলেও তার মাত্রাকে কমিয়ে আনা যায়। তেজস্ক্রিয় বিকিরণের নিম্নতম কোনো মাত্রা নেই যা ক্ষতিকর নয়। তেজস্ক্রিয় পদার্থের বিকিরণ-তীব্রতা কমে ওই মৌলের জ্ঞঅর্ধজীবনঞ্চ অনুযায়ী। যতটা সময়ে বিকিরণ-তীব্রতা অর্ধেকে নেমে আসে সেই পরিমাণ সময়ই ওই মৌলের অর্ধজীবন এবং এটি একটি ধ্‌রুবক অর্থাৎ কোনো প্রক্রিয়াতেই মৌলটির অর্ধজীবন পরিবর্তন করা যায় না। বিকিরণ মানুষের দেহযন্ত্রাদির বিকলন ঘটায় এবং জীনগত পরিবর্তন এনে পরবর্তী প্রজন্মগুলির মধ্যেও বিভিন্ন ধরনের বিকলন আনে। আক্রান্ত ব্যক্তির জীবনাবসান কাল নির্ভর করে বিকিরণমাত্রার ওপর। মাত্রা বেশি হলে কয়েক ঘন্টা, দিন বা সপ্তাহে; কম হলে কয়েক বছরে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অতি যন্ত্রণাদায়ক কর্কট রোগে। চের্নোবিল পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৯৮৬ সালে একটি চুল্লি বিস্ফোরণের ফলে ২০০৪ সাল পর্‌যন্ত প্রাণ হারিয়েছে ৯ লক্ষ ৮৫ হাজার মানুষ। এই হিসাব দিয়েছেন দুঞ্চজন রাশিয়ান পরিবেশ ও পরমাণু পদার্থবিজ্ঞানী। (এই তথ্যপুস্তকটির প্রকাশক জ্ঞনিউ ইয়র্ক একাডেমি অব সায়েন্সঞ্চ, প্রকাশ সাল ২০০৯।)

    পরমাণু শক্তির কোনো গ্রহণযোগ্যতাই স্থিতবুদ্ধির বিচারে নেই। মহার্ঘ, অতি বিপজ্জনক এই উৎসটি মানবকুল যত শীঘ্র বর্জন করে ততই এই গ্রহের মঙ্গল। একটি সঙ্গত প্রশ্ন উঠতেই পারে। তা হল পৃথিবীর এই ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর শক্তির চাহিদা, যা বেড়েই চলেছে ছেদহীন ভাবে, তার যোগান আসবে কোথা থেকে? সঙ্গত প্রশ্ন। কয়লার প্রচলন হয় ষোড়শ শতকে, খনিজ তেল উনবিংশ শতকের মাঝামাঝি থেকে। শিল্পযুগের সূচনা এই সময় থেকেই মোটামুটি ধরা হয়। শক্তির লাগামছাড়া ব্যবহারবৃদ্ধি ঘটেছে বিংশ শতকে। এই শতাব্দীর সূচনায় পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল ১৬০ কোটি এবং বাৎসরিক বাণিজ্যিক শক্তি ব্যবহারের পরিমাণ ছিল ১০০ কোটি টন তেল-সম (সম পরিমাণ খনিজ তেলের সম্পূর্ণ দহনে যে পরিমাণ শক্তি পাওয়া যায়)। শতাব্দী শেষে জনসংখ্যা দাঁড়ায় ৬০০ কোটি এবং শক্তি ব্যবহার ১০০০ কোটি টন তেল-সম --- অর্থাৎ চারগুণের কম জনসংখ্যা বাড়ল আর শক্তির ব্যবহার বাড়ল দশগুণ। ধরিত্রী এই চাপ সহ্য করার অবস্থায় নেই। খনিজ তেল ফুরিয়ে আসছে। বিপুল পরিমাণ তেল-কয়লার দহনে বাতাসে কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ লক্ষে ৩৯ ভাগে পৌঁছেছে। গত সাড়ে ছঞ্চলক্ষ বছরে এই পরিমাণ লক্ষে ৩০ ভাগ অতিক্রম করেনি। মানুষ এই পৃথিবীর আবহাওয়ায় এমন পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে যাতে জীবকুলের জীবনরক্ষাতেই এক গভীর সংকট দেখা দিচ্ছে। এখনই সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষার প্রয়োজনে শক্তির যথেচ্ছ ব্যবহার ও অপচয় বন্ধ করা প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক স্তরে এই আলোচনা গত দুঞ্চদশক ধরেই চলছে। সামান্য সচেতনতা এসেছে, কিন্তু শক্তি ব্যবহারের যে ধারা চলে আসছে তার কোনো পরিবর্তন লক্ষিত হচ্ছে না। সরকারি তরফে নিয়মরক্ষায় কিছু নির্দেশ, কিছু কর্মসূচি ঘোষিত হয়েছে। কিন্তু বাস্তবক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটছে না।

    শক্তি উৎপাদনের ক্ষেত্রে যেমন কার্বনহীন উৎসকে গুরুত্ব দিয়ে তার ব্যাপক প্রসার প্রয়োজন তেমনই শক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ও সংযমের সঙ্গে প্রয়োজন শক্তি সংরক্ষণের। শক্তি উৎপাদন করা হয় বিভিন্ন রূপে, প্রধান হল তাপশক্তি ও বিদ্যুৎ শক্তি। যান্ত্রিক শক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে স্থানীয় উৎপাদনই প্রাধান্য পায়, কারণ শক্তিকে এই রূপে স্থানান্তরে প্রেরণ প্রায় অসম্ভব। একমাত্র বিদ্যুৎ শক্তিকেই বিশেষ দক্ষতার সঙ্গে দূরদূরান্তে পরিচলন সম্ভব। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা প্রয়োজন যে নাগরিক জীবনযাত্রায় ও কলকারখানায় বিদ্যুতের ব্যাপক ব্যবহার থাকলেও বিদ্যুৎ শক্তি প্রায় সব দেশেই মোট ব্যবহৃত শক্তির এক-তৃতীয়াংশের মতো হয়। পরমাণু শক্তি একমাত্র বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তর করেই ব্যবহার করা হচ্ছে --- জাতীয় বিদ্যুৎ সরবরাহী তন্ত্রের সঙ্গে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে সংযুক্ত করেই এই শক্তির ব্যবহার হয়। সেদিক থেকে উৎস হিসেবে পরমাণুর একটা সীমাবদ্ধতাও রয়েছে।

    পরমাণু শক্তিকে সম্পূর্ণ বর্জন করার প্রস্তাবে দেখে নেওয়া দরকার পৃথিবীর প্রায় ৭০০ কোটি মানুষের শক্তির প্রয়োজন কীভাবে মেটে। জ্ঞইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সিঞ্চর সাম্প্রতিকতম পরিসংখ্যান (২০০৮ সালের) অনুযায়ী এই বছরে শক্তির ব্যবহার হয়েছে ১,২২৭ কোটি টন তেল-সম এবং তা সংগ্রহ হয়েছে শতকরা হিসেবে ঃ তেল ৩৩।২%, কয়লা ২৭।০%, প্রাকৃতিক গ্যাস ২১।১%, জলশক্তি ২।২%, জৈবভর ১০।০%, পরমাণু শক্তি ৫।৮% ও অন্যান্য (নবীকরণযোগ্য) ০।৭%। পরমাণু শক্তি (একমাত্র বিদ্যুৎ রূপেই) দিয়েছে পৃথিবীর মোট উৎপন্ন বিদ্যুৎ শক্তির ১৪ শতাংশের কম। ২০১০-এ এই অংশটা আরও কম হয়েছে। এই বছরে বিশ্বে বায়ুবিদ্যুৎ শক্তির উৎপাদন মোট বিদ্যুতের ২।৫%, উৎপাদনক্ষমতা ২ লক্ষ মেগাওয়াট। ২০২০ সালে এটা বেড়ে দাঁড়াবে ১৫ লক্ষ মেগাওয়াট। আগামী দশ বছরে বিদ্যুৎ ব্যবহারমাত্রা বাড়বে। যে হারে বাড়বে সেই হারে পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়বে না। ফলে তার অংশটা ১৪ শতাংশের কমই থাকবে। সুতরাং দায়িত্ব নিয়ে এটা নিশ্চয়ই বলা যায় যে বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনমাত্রা বাড়িয়েই পরমাণু বিদ্যুতের অভাব শতাংশে মেটানো যাবে। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষকদল আমেরিকার জ্ঞন্যাশনাল এরোনেটিক্‌?স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনঞ্চ বা নাসার সহযোগিতায় কৃত্রিম উপগ্রহ ও বেলুনের সাহায্‌যে সারা পৃথিবীর বায়ুপ্রবাহের গতি এবং স্থায়িত্ব সম্পর্কে তথ্যাদি সংগ্রহ করে এবং তা বিশ্লেষণ করে সাড়ে সাত হাজার বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনযোগ্য স্থানের সন্ধান পেয়েছেন। এঁদের মতে এই স্থানগুলির (যেমন টাসমানিয়া দ্বীপ) মাত্র ২০ শতাংশে বায়ুখামার (উইন্ডফার্ম) বসিয়ে সারা পৃথিবীর মানুষের বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো যাবে।

    সৌরকোষের সাহায্‌যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের দক্ষতা, সরকারি অবহেলা সত্ত্বেও, শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলির গবেষণার ফলে ধীরে ধীরে বাড়ছে। বাণিজ্যিক স্তরে এই কোষগুলির দক্ষতা ১৭ শতাংশে পৌঁছেছে। সঙ্গে সঙ্গে দামও কমছে। বর্তমানে সৌরকোষ বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা ১৫,০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়ে গেছে। আমেরিকার জ্ঞন্যাশনাল রিনিউয়েবল এনার্জি ল্যাবরেটরিঞ্চর তিন গবেষক সৌরশক্তি থেকেই ২০৫০ সালে আমেরিকার বিদ্যুৎ চাহিদার ৯০ শতাংশ মেটানোর পরিকল্পনার নকশা প্রকাশ করেছেন। একথা ঠিক যে সৌরশক্তি সবসময় সমানভাবে পাওয়া যায় না, এর হ্রাসবৃদ্ধি ঘটে। সর্বক্ষণের চাহিদা পূরণ তাৎক্ষণিক উৎপাদনে সম্ভব নয়। প্রয়োজন শক্তি সঞ্চয় ব্যবস্থার, সাধারণভাবে ব্যাটারির সাহায্‌যে যা অহরহই করা হয়ে থাকে। খুব বড়ো মাপে সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে ব্যাটারির দুর্বলতা রয়েছে। বড়ো মাপের বিদ্যুৎ শক্তি সঞ্চয়ের দুটি পৃথক পদ্ধতি অনেকদিন ধরে ইউরোপ ও আমেরিকায় চলছে। প্রথমটি হল নিচের জলাধার থেকে বিদ্যুতের সাহায্‌যে পাম্প করে জল ওপরের জলাধারে তোলা বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত থাকার কালে এবং প্রয়োজনে ওপরের জলাধার থেকে জল ছেড়ে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মতোই বিদ্যুৎ উৎপাদন করে ঘাটতি মেটানো। দ্বিতীয়টিতে জলের পরিবর্তে বাতাসকে খুব উঁচু চাপে বদ্ধ আধারে, মাটির নিচে কোনো গহ্বরে বা মাটির ওপরে কোনো ধাতব আধারে, রেখে দেওয়া বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত অবস্থায় কমপ্রেসর চালিয়ে আবার ঘাটতির সময় উঁচু চাপের বাতাসের সাহায্‌যে টারবাইন জেনারেটর চালিয়ে ঘাটতি মেটানো। পদ্ধতি দুটিই প্রাচীন এবং পরীক্ষিত, কোনো নতুন উদ্ভাবন প্রয়োজন নেই। এই জাতীয় যন্ত্রপাতি এখনই বাজারে বিক্রি হয়। স্বল্প সঞ্চয় ব্যাটারির সাহায্‌যেই করা যাবে। নতুন উন্নত ধরনের ব্যাটারি পাওয়া যাচ্ছে --- ওজন কম, সঞ্চয়-ক্ষমতাও বেশি। সুতরাং পরমাণু বিদ্যুৎ বর্জন করলে এই আধুনিক সভ্যতা রসাতলে যাবে ধারণাটা সম্পূর্ণ অমূলক। বস্তুত সাম্প্রতিক তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে আশংকা বাড়ছে সরবরাহ নিয়ে। উৎপাদন চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছতে খুব একটা দেরি নেই। তার পর থেকেই সরবরাহে স্থায়ী টান ধরবে। এ সম্পর্কে এখন থেকেই ব্যবস্থাদি নেওয়া দরকার, জরুরি ভিত্তিতে।

    একথা স্বীকার করতেই হবে, অস্ত্রসম্পর্ক জোরালো থাকার কারণে তৃতীয় বিশ্বের কয়েকটি দেশে, বিশেষ করে ভারত ও পাকিস্তানে, পরমাণু শক্তির খাতে ব্যয় বরাদ্দ অতি অসঙ্গতভাবে মাত্রাতিরিক্ত হয়েছে। ভারতে পরমাণু শক্তি কমিশন গঠিত হয়েছিল ১৯৪৮ সালে, দেশের স্বাধীনতা অর্জনের এক বছরের মধ্যেই। এশিয়ায় ভারতই ছিল অগ্রণী। সেই কাল থেকে এক বর্ধিত ব্যয় বরাদ্দে লালিত হয়েছে পরমাণু শক্তি বিভাগ। ষাট বছরের বেশি সময় পেরিয়ে এসে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে পরমাণুর অবদান মাত্র ৩ শতাংশ। নবীকরণযোগ্য শক্তি উন্নয়ন এ দেশে পরমাণুর প্রবল প্রতাপে অবহেলিতই থেকে গেছে। সরকারে একটি বিভাগ সৃষ্টি হয়েছিল ১৯৮২ সালে প্রধানমন্ত্রীর অধীনে --- জ্ঞঅচিরাচরিত শক্তি বিভাগঞ্চ (ডিপার্টমেন্ট অব ননকনভেনশনাল এনার্জি সোর্সেস)। এই বিভাগের উদ্যোগে ১৯৮৬ সালে গুজরাতে একটি ছোটো বায়ুবিদ্যুৎ যন্ত্র বসিয়ে এ দেশে বায়ুবিদ্যুৎ উন্নয়নের সূচনা হয়। মাত্র দশ বছরে, ১৯৯৬ সালে, বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনে ভারত তৃতীয় স্থানের অধিকারী হয়। এখনও অবধি এ দেশ বায়ু শক্তির ক্ষেত্রে গৌরবজনক পঞ্চম স্থানে রয়েছে। আন্তর্জাতিক বায়ু শক্তি সংস্থা --- জ্ঞইন্টারন্যাশনাল উইন্ড এনার্জি অ্যাসোসিয়েশনঞ্চ-এর বর্তমান সভাপতি একজন ভারতীয়। নবীকরণযোগ্য শক্তির ক্ষেত্রে গত নব্বইয়ের দশকে সরকারি ব্যয় বরাদ্দ ছিল পরমাণু শক্তি বাদে শক্তি খাতে সাধারণ মোট ব্যয় বরাদ্দের ১।৬ শতাংশ মাত্র। পরমাণুর প্রবল প্রতাপে নবীকরণযোগ্য শক্তির উন্নয়ন এ দেশে পূর্বাপর অবহেলিতই থেকেছে। শক্তি উৎপাদন ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে ডেনমার্ক একটি উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বায়ুবিদ্যুৎ প্রযুক্তিতে এই দেশ বিশ্বে সেরা। মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ২০১০ সালে বায়ু থেকে এসেছে ২৪ শতাংশ। প্রথম থেকেই ডেনমার্ক পরমাণু শক্তিকে বর্জন করে। অধিক গুরুত্ব দেয় শক্তির উৎপাদন-ব্যবহার ব্যবস্থাপনায়, অপচয় রোধে। এই দেশের জাতীয় আয় বেড়েছে শক্তি ব্যবহারের পরিমাণ না বাড়িয়েই। সরকার বিচক্ষণতার সঙ্গে একদিকে যেমন নবীকরণযোগ্য শক্তি, বিশেষ করে বায়ুশক্তির, প্রযুক্তি উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে, অন্যদিকে অপচয়কে যথাসম্ভব, প্রয়োজনে আইন করে, কমিয়ে এনেছে।

    ভারতে শক্তিনীতির কোনো দীর্ঘকালীন রূপরেখা রচিত হয়নি। বিশেষ বিশেষ পরিস্থিতিতে সরকারি কর্মসূচি ঘোষিত হয়েছে, অধিকাংশই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে। কিন্তু কার্‌যক্ষেত্রে সেগুলি আন্তরিকতা এবং সততার সঙ্গে অনুসৃত হয়নি। দেশে বিদ্যুৎ ঘাটতির পরিমাণ সামান্য নয়, অপচয়ের পরিমাণও কম নয়। অপচয় রোধে এক দশকেরও বেশি নানা টালবাহানার পর একটি সরকারি আইন পাশ হয়েছে ২০০২ সালে। আইনভঙ্গকারীদের শাস্তির উল্লেখও আইনে আছে, থাকতেই হবে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে আইনটি তেমন কার্‌যকর করা যায়নি। পরমাণু বিদ্যুতে সরকারি আগ্রহ ও আকুলতার বিপরীতে শক্তি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সরকারি উদাসীনতাকে ক্ষমার অযোগ্য বলতে দ্বিধা হয় না।

    বিপজ্জনক ও মহার্ঘ পরমাণু শক্তির কোনো প্রয়োজনই এদেশে নেই। নবীকরণযোগ্য শক্তির উন্নয়ন ও বিস্তার এবং সংরক্ষণের সঠিক ও সম্ভাব্য সুফল পেতে এক/দুই দশক লেগে যাবে। ততদিন কয়লাকে আশ্রয় করে শক্তির প্রয়োজন মেটানো যাবে --- কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ খুব একটা না বাড়িয়েই। সমস্যার গুরুত্ব কেউই অস্বীকার করে না। প্রয়োজন একটা সুস্থ সমাধানের।

    এই সমাধান আসবে পরমাণু শক্তিকে সম্পূর্ণ বর্জন করেই।

    http://www.guruchandali.com/default/2011/06/06/1307361480000.html#.UT5oSxzql_U
  • দ্রি | 59.14.80.114 | ১২ মার্চ ২০১৩ ২৩:১৭587286
  • সুজয় বসু বলছেন নো টু নিউক্লিয়ার। কিন্তু অনির্বানের দেওয়া স্টাডিটা তো বলছে, কোনভাবে দামটা অ্যাফোর্ডেব্‌ল করতে পারলেই নিউক্লিয়ার এনার্জি সাকসেসফুল হবে। এবং সেটা করার একটা উপায়ও বাৎলেছেন তারা। নিউক্লিয়ার এনার্জিকে (যেহেতু 'গ্রীন' এনার্জি) কার্বন ক্রেডিট দেওয়া হোক।

    কার্বন ক্রেডিটের নেট এফেক্ট হবে তেলের দাম বেড়ে যাবে, নিউক্লিয়ারের দাম কমে যাবে। আর ব্যাঙ্কাররা, যারা কার্বন ক্রেডিট ম্যানেজ করবে, তারা মাঝখানে কমিশান নেবে, ;-)।
  • দ্রি | 59.14.80.114 | ১২ মার্চ ২০১৩ ২৩:২৬587288
  • সুজয় বসুর লেখায় থোরিয়াম সম্বন্ধে আছে,

    "এ দেশে থোরিয়াম আছে যা বিশেষ চুল্লিতে --- প্রজনী চুল্লিতে --- কিছুটা রূপান্তর ঘটিয়ে শোধন করে ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু তার প্রযুক্তি যদি বা আয়ত্ত করা যায়, রূপান্তরকাল অতি দীর্ঘ হওয়ায় বাস্তবে এই জ্বালানিকে প্রাথমিক ব্যবহারের স্তরে আনতেই কয়েক দশক পেরিয়ে যাবে। সুতরাং স্থানীয়ভাবে এই শক্তি উৎপাদনের জ্বালানির অভাব এমন প্রকট যে অন্যান্য দেশ, বিশেষ করে আমেরিকার, অনুগ্রহ ছাড়া এই শক্তি সরবরাহ সম্ভব হবে না।"

    এইটা ভালো বুঝলাম না। মানে রিয়াক্টর বানানোর পর ইলেক্ট্রিসিটি পেতে কয়েক দশক লাগবে? সত্যি? এটা ঠিক লাগছে না। কেউ কি আরেকটু ডিটেল/ক্ল্যারিফিকেশান দিতে পারবেন?
  • দ্রি | 59.14.80.114 | ১২ মার্চ ২০১৩ ২৩:৩৬587289
  • সুজয় বসু সৌর শক্তি সঞ্চয়ের ইন্টারেস্টিং দুটি মেথডের কথা বলেছেন।

    "বড়ো মাপের বিদ্যুৎ শক্তি সঞ্চয়ের দুটি পৃথক পদ্ধতি অনেকদিন ধরে ইউরোপ ও আমেরিকায় চলছে। প্রথমটি হল নিচের জলাধার থেকে বিদ্যুতের সাহায্‌যে পাম্প করে জল ওপরের জলাধারে তোলা বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত থাকার কালে এবং প্রয়োজনে ওপরের জলাধার থেকে জল ছেড়ে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মতোই বিদ্যুৎ উৎপাদন করে ঘাটতি মেটানো। দ্বিতীয়টিতে জলের পরিবর্তে বাতাসকে খুব উঁচু চাপে বদ্ধ আধারে, মাটির নিচে কোনো গহ্বরে বা মাটির ওপরে কোনো ধাতব আধারে, রেখে দেওয়া বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত অবস্থায় কমপ্রেসর চালিয়ে আবার ঘাটতির সময় উঁচু চাপের বাতাসের সাহায্‌যে টারবাইন জেনারেটর চালিয়ে ঘাটতি মেটানো।"

    কিন্তু রিয়েলিস্টিক সিচুয়েশানে যখন অনেক সঞ্চয়ের ব্যাপার আসবে তখন কত বড় জলাধার/ধাতব আধার লাগবে? মানে সারাদিন সোলার চালিয়ে যদি সারা রাতের প্ল্যান করতে হয়, সেন্ট্রালাইজ্‌ড মডেলে সে তো বিশাল ব্যাপার।
  • PT | 213.110.246.230 | ১২ মার্চ ২০১৩ ২৩:৪৭587290
  • সেই স্যাম চাচার কাঁধে বন্দুক রেখে সৌরশক্তির সাধনা চলছে!!
  • দ্রি | 59.14.80.114 | ১৩ মার্চ ২০১৩ ০০:০৬587291
  • চের্নোবিলে কতজন প্রাণ হরিয়েছেন, এটা খুব হটলি কন্টেস্টেড ইস্যু।

    ২০০৫ এ IAEA, WHO ইত্যাদিদের বার করা রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৪০০০ থাইরয়েড ক্যানসার কেসকে চের্নোবিলের সঙ্গে সরাসরি জড়িত বলা যায় (রেডিওঅ্যাক্টিভ আয়োডিন কন্ট্যামিনেশানের জন্য)। বাকি কেসগুলোকে খুব স্ট্রংলি চের্নোবিলের কারণেই হয়েছে এরকম বলা যায় না। যেকোন জায়গাতেই ক্যানসার হওয়ার একটা রেট আছে। সেই রেট বাড়তেও পারে বিভিন্ন কারণে। কিন্তু এইরকম একটা ঘটনা ঘটলে মানুষের প্রবণতা থাকে ক্যানসার হলেই সেটাকে কজালি নিউক্লিয়ার অ্যাক্সিডেন্টের সাথে রিলেট করা। ইত্যাদি। এছাড়া মানসিক রোগেরও বৃদ্ধি পেয়েছিল, যেটা এই ধরণের ঘটনায় স্বাভাবিক। যদিও লং টার্ম মানসিক সমস্যা এই ঘটনার সাথে যুক্ত নাকি অন্য কোন ঘটনার (যেমন সোভিয়েত ভেঙ্গে যাওয়া) সাথে যুক্ত সেটা জোর দিয়ে বলা মুস্কিল।

    গ্রীনপীস এই রিপোর্টের বিরোধিতা করে অন্য একটি রিপোর্ট পেশ করে। আমি এই রিপোর্টটাও পড়ার চেষ্টা করেছি। আরো পড়তে হবে। কিন্তু প্রথম গ্লান্সে মনে হয়েছে, বড্ড বেশী, 'ইট ইজ এস্টিমেস্টেড' গোছের কথা আছে।
  • দ্রি | 59.14.80.114 | ১৩ মার্চ ২০১৩ ০০:২০587292
  • তারপর, আরেক জায়গায় বলেছেন,

    "স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষকদল আমেরিকার জ্ঞন্যাশনাল এরোনেটিক্‌?স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনঞ্চ বা নাসার সহযোগিতায় কৃত্রিম উপগ্রহ ও বেলুনের সাহায্‌যে সারা পৃথিবীর বায়ুপ্রবাহের গতি এবং স্থায়িত্ব সম্পর্কে তথ্যাদি সংগ্রহ করে এবং তা বিশ্লেষণ করে সাড়ে সাত হাজার বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনযোগ্য স্থানের সন্ধান পেয়েছেন। এঁদের মতে এই স্থানগুলির (যেমন টাসমানিয়া দ্বীপ) মাত্র ২০ শতাংশে বায়ুখামার (উইন্ডফার্ম) বসিয়ে সারা পৃথিবীর মানুষের বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো যাবে।"

    এইটা সম্বন্ধে আরো তথ্য চাই। এই ৭৫০০ জায়গার মধ্যে ভারতে কিছু আছে? কোথায়? শ্যামলবাবু (যিনি অনেকদিন আগে আসতেন) একবার বলেছিলেন অরুনাচলে নাকি এরকম জায়গা আছে। সত্যি? বায়ুশক্তি কি রিলায়েব্‌ল? বাতাসের তেজ তো বাড়ে কমে। তাহলে গ্রিডে তো ফ্লাকচুয়েশান হবে। সেটা কিভাবে ম্যানেজ দেওয়া যাবে? আমার কিরকম মনে হয়, এইগুলো তেল/কয়লা/নিউক্লিয়ারের পর এক্সট্রা হিসেবে থাকতে পারে। কিন্তু শুধু বায়ুর ওপর ভরসা করে এইরকম কনস্ট্যান্ট এনার্জি সাপ্লাই আমার ঠিক বিশ্বাস হয় না।
  • দ্রি | 59.14.80.114 | ১৩ মার্চ ২০১৩ ০০:৪৫587294
  • তেল ফুরিয়ে গেল, তেল ফুরিয়ে গেল বলে ধুয়ো উঠেছে। তেল/ন্যাচারাল গ্যাস অবশ্যই ফাইনাইট। সেভাবে দেখতে গেলে নিউক্লিয়ার ফুয়েলও ফাইনাইট। কিন্তু তেল এক্ষুনি ফুরোবে না। তেলের কোম্পানীরা সর্বক্ষণ সার্ভে করে যাচ্ছে কোথায় নতুন তেলের খনি আছে। খুঁজে পাওয়ামাত্রই তারা ডিক্লেয়ার করে না কিন্তু। কারণ, একসাথে সব তেলের খনি খুলে দিলে তেলের দাম পড়ে যাবে। সেটা লস। তেল তো পচে যাবে না। আস্তে আস্তে ছাড়লে একই তেলে বেশী দাম পাওয়া যাবে।

    আর্কটিকে প্রচুর তেল আছে। রাশিয়ার নর্থান স্লোপে, আলাস্কার নর্থান স্লোপে ম্যাসিভ অয়েল ফিল্ড আছে। খুব ঠান্ডা, ড্রিলিং একটু এক্সপেন্সিভ। কিন্তু পীক অয়েলের স্কেয়ার তৈরী করার পর তেলের দাম কিছুটা বাড়িয়ে দিলে এক্সপেন্সিভ ড্রিলিং ও পুষিয়ে যাবে। রাশিয়া তো এনভায়রনমেন্টাল মডিফিকেশান করে আর্কটিকের কিছুটা বরফ গলিয়ে দেওয়ার কথাও ভেবেছিল ড্রিলিং সহজ করার জন্য।

    এছাড়া ফ্র্যাকিং করে তো আমেরিকায় প্রচুর ন্যাচারাল গ্যাস তোলা হচ্ছে এখন।
  • pi | 172.129.44.120 | ১৩ মার্চ ২০১৩ ০০:৪৭587295
  • The Indian wind energy sector has an installed capacity of 17,365.03 MW (as on March 31, 2012). In terms of wind power installed capacity, India is ranked 5th in the World. Today India is a major player in the global wind energy market.

    The potential is far from exhausted. Indian Wind Energy Association has estimated that with the current level of technology, the ‘on-shore’ potential for utilization of wind energy for electricity generation is of the order of 102 GW

    ভারতের বায়ুবিদ্যুতের ম্যাপে তো অরুণাচল দেখলাম না। সব ই দঃ আর পঃ এ।

  • দ্রি | 59.14.80.114 | ১৩ মার্চ ২০১৩ ০১:১৩587296
  • 102 GW! এখনকার হিসেবে ভারতের টোটাল ক্যাপাসিটির প্রায় ৫০%? এটা কি কনস্ট্যান্ট আউটপুট? নাকি পীক? ফ্লাকচুয়েশান কত হবে?
  • দ্রি | 59.14.80.114 | ১৩ মার্চ ২০১৩ ০১:২৯587297
  • আরেকটা ইস্যু হল নিউক্লিয়ার এনার্জির কস্ট।

    মূল কস্টটা হল ইনস্টলেশান। অসম্ভব এক্সপেন্সিভ সেটাপ। এছাড়া ডিকমিশনিং এবং ওয়েস্ট ডিসপোজালের কস্টও আছে। কিন্তু রানিং কস্ট (ফুয়েল) খুবই কম। অর্থাৎ, প্রথম যে ঋণ নিয়ে ইনস্টল করতে হয়, সেটার সুদ তুলতেই টারিফ লাগাতে হয় প্রচুর।

    প্রশ্ন হল, নিউক্লিয়ার রিয়্যাক্টার এত এক্সপেন্সিভ কেন? এই মার্কেটে কি যথেষ্ট কম্পিটিশান নেই? কারা বানায় নিউক্লিয়ার রিয়্যাক্টার? জেনারাল ইলেক্ট্রিক, ওয়েস্টিংহাউস, অ্যারেভা, কান্ডু, ডুসান ... আর কে?
  • দ্রি | 116.77.70.160 | ১৮ মার্চ ২০১৩ ০৪:০২587299
  • উইন্ডমিল নিয়ে জার্মান এক্সপিরিয়েন্সঃ

    In 2000 Germany passed a major green initiative which forced providers to purchase renewable energy at exorbitant fixed prices and feed that power through their grids for a period of twenty years. Promulgated by a Socialist-Green coalition government – this initiative has since been embraced by Germany’s Conservative-Liberal majority, led by Chancellor Angela Merkel. In fact Merkel has doubled down on Germany’s renewable energy push in the wake of the 2011 Fukushima nuclear disaster in Japan – ramping up government’s plan to phase in renewables while taking the country’s nuclear power industry offline.

    Merkel’s government shut down eight reactors in the immediate aftermath of the Fukushima disaster (which was caused by a tsunami – a threat Germany isn’t exposed to) and has vowed to shut down all remaining nuclear facilities by 2022. The problem? Despite heavy government subsidization, renewable energies simply aren’t filling the void.

    “After deciding to exit nuclear energy, it seems as if Ms. Merkel’s coalition stopped its work,” a former German environmental minister told The New York Times last year. “There is great danger that this project will fail, with devastating economic and social consequences.”

    A year later the project is failing – resulting in what one German industry expert termed a “chaotic standstill.”

    Merkel’s energy plan called for the addition of 25,000 megawatts of sea-based wind turbine power by 2030. However through the first six months of 2012 only 45 megawatts had been added to Germany’s existing 200-megawatt supply, according to an industry analyst quoted by Reuters. And despite massive subsidies funded by a household energy surcharge (which currently comprises 14 percent of German power bills), major wind projects in the North Sea are being delayed or canceled due to skittish investors.

    The basic problem? Wind farms are notoriously unreliable as a power source. Not only that, they take up vast amounts of space and kill tens of thousands of birds annually.

    “Generating energy with wind involves extreme fluctuations because it depends on the weather and includes periods without any recognizable capacity for days, or suddenly occurring supply peaks that push the grid to its limits,” a 2012 report from Germany energy expert Dr. Guenter Keil notes. “There is a threat of power outages over large areas, mainly in wintertime when the demand is high and less (power) gets delivered from abroad.”

    A typical 20-turbine wind farm occupies an area of 250 acres. So in order for Merkel to achieve her objective, she would have to cover an area six times the size of New York City with turbines. Not surprisingly the erection of all those turbines – along with the infrastructure needed to route their inconsistent power supply back to the German heartland – would be astronomical.

    “The costs of our energy reform and restructuring of energy provision could amount to around one trillion euros by the end of the 2030s,” Germany’s environmental minister announced last month.

    That sum could rise even higher, as last month a Harvard University study revealed the extent to which the power generating potential of wind farms has been “overestimated.”

    “The generating capacity of very large wind power installations may peak at between 0.5 and 1 watts per square meter,” the study concluded. “Previous estimates, which ignored the turbines’ slowing effect on the wind, had put that figure at between 2 and 7 watts per square meter.”

    Such are the shifting sands upon which Merkel has staked her country’s energy future.

    Because renewable power sources have been so unreliable, Germany has been forced to construct numerous new coal plants in an effort to replace the nuclear energy it has taken offline. In fact the country will build more coal-fired facilities this year than at any time in the past two decades – bringing an estimated 5,300 megawatts of new capacity online. Most of these facilities will burn lignite, too, which is strip-mined and emits nearly 30 percent more carbon dioxide than hard coal.

    In other words Germany is dirtying the planet in the name of clean energy – and sticking its citizens with an ever-escalating tab so it can subsidize an energy source which will never generate sufficient power.

    This is the cautionary tale of command energy economics – one other nations would be wise to heed.

    http://www.forbes.com/sites/realspin/2013/03/14/germanys-green-energy-disaster-a-cautionary-tale-for-world-leaders/
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন