এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • রাণা আলম | 111.210.183.184 | ২৯ মে ২০১৩ ১৮:৫৮609633
  • পাঁচ ইয়ারি কথা...(সোমরস পর্ব)

    অনেকে মদখোরদের খারাপ চোখে দেখে থাকেন।আমি তার উল্টো।আমি সুস্থ মানুষের চেয়ে মাতালদের মধ্যেই বেশী ফ্রি ফিল করি।আর মদ খেলে কি কি ভালো হয়,তার বর প্রমান নিচের ঘটনাটা।আমাদের এক বন্ধু কিছুতেই নিজের জন্য পাত্রী ঠিক করতে পারছিলোনা।কয়েক পেগেই তা সমাধান হয়ে গেল।নিচে ঘটনাটা দেওয়া থাকল।

    আজ একটা ছোট পার্টি ছিল।উপলক্ষ ছিল কোন উপলক্ষ খুঁজে না পাওয়া।আমি এবং আর চারজন।তাদের নাম লিখছিনা,ধরা যাক,নামগুলো হল অমল,বিমল,কমল এবং ইন্দ্রজিত।
    বাদল সরকার ক্ষমা করুন,আর কোনো নাম মনে পড়লো না।এরা পাঁচজনই সরকারী চাকুরে।অমল বয়সে বড়,মনের বয়স একুশ,দুটি কন্যাসন্তানের পিতা এবং পাঁড় সিপিএম,বিমল অতীব হ্যান্ডসাম,তার চেহারা দেখে মেয়েরা প্রেমে পড়ে কিন্তু বিমল মেয়ে পছন্দ করে না ছেলে তা নিয়ে ঘনিষ্ঠ মহলে সংশয় আছে।বিমল কে নিয়ে একটা কথা বলে রাখা দরকার।বিমল আর আমি একসাথে মেসে থাকতাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়,বিমলের একটা অদ্ভূত প্রবণতা আছে,ও যাকে পছন্দ করে,তার কোন দোষ দেখতে পায়না আর যাকে অপছন্দ করে,তার সব কিছুতেই দোষ দেখতে পায়।আমাদের সাথে মেসে থাকতো একটি ছেলে,তার নাম ধরা যাক তপন।তপন আমাদের জুনিয়র।বিমল কোনো অজ্ঞাত কারণে তপন কে দেখতে পারতোনা।শুধু দেখতে পারতোনা,তাই নয়,নিজের ব্যবহারে তপন এবং আশেপাশের লোকেদের বুঝিয়ে ছাড়তো যে ও তপন কে পছন্দ করছেনা।আমি একদিন জিজ্ঞেস করলাম কোন কারণে ও তপন কে অপছন্দ করে?
    বিমল অনেক ভেবে-টেবে মাথা-টাথা চুলকে বললো, ‘ও ছোঁড়া্টা একটু ক্যামন,কথা-টথাগুলো ক্যামন যেন,মানে বুঝতেই তো পারছিস,ইয়ে,মানে ওইসব কারণেই ছোঁড়াকে পছন্দ করতে পারিনা’।
    একদিন রাতে,বিমল তখন চারপেগের খদ্দের।যারা নেশা করে,তারা জল খেয়েও মাতাল হয়।বিমল কল্যাণী বিয়ারের একটা বোতল মেরে ফুল বেহেড।আমার কাছে এসে খানিক কোয়ান্টাম ফিজিক্স আর বাজার-দরের সম্পর্ক নিয়ে আলফাল বকলো,কাছেই তপন বসেছিল,বিমলের চোখ তপনের দিকে পড়লো,বিমল মাঝে মধ্যেই গা জোয়ারি করে থাকে,তপন ভয়ে জড়সড় হয়ে বসলো।আমি বিমল’কে চিনি,তপন কে ইশারা করলাম,যে নিশ্চিন্ত থাক,কিচ্ছুটি হবেনা,বিমল পেটে মদ পড়লে সাক্ষাত যুধিষ্ঠির।বিমল তপনের কাছে গিয়ে বসলো,তপনের দিকে স্নেহাদ্র দৃষ্টিতে তাকিয়ে স্পষ্ট স্বরে বললো,
    ‘আমি জানি,আমি তোর উপর খুব অত্যাচার করি যেটা ঠিক নয়।আর এই জন্য তুই আমাকে ভয় পাস,তাও জানি।এটা ঠিক নয়।মেসে সিনিয়র-জুনিয়র,সবাই দাদা-ভাই এর মত থাকবে।তুই তো আমার ভাই-এর মত’,
    এই অব্দি বলে বিমল পকেট থেকে একটা পঞ্চাশ টাকার নোট বের করে তপনের হাতে গুঁজে দিয়ে বললো,
    ‘এটা রাখ।তোর দাদা,তোকে আজ চকোলেট খাওয়ার জন্য দিল’,
    তপন তখন কি করবে তা ভেবে পাচ্ছেনা,তপন কে দ্বিধাগ্রস্ত হতে দেখে বিমল আরো করূণাঘন হয়ে গেল,
    ‘আমি জানি,তুই ক্যানো টাকাটা নিচ্ছিস না।কিন্তু তোর এই দাদা’র দিব্যি,আজ তোকে টাকাটা নিতেই হবে,নইলে আমি শান্তি পাবোনা’।
    আমি আড়চোখে ইশারা করলাম টাকাটা নেওয়ার জন্য।ব্যাপারটা তখনই মিটে গেল।পরদিন সকাল দশটায় ঘুম থেকে উঠে বিমল আমাদের ঘরে এসে খুব তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তপনের দিকে চেয়ে রইলো।বিকেলে একসাথে বাজারে যাচ্ছি,বিমল আমাকে বললো,
    ‘জানিস,সকালে ঘুম ভেঙ্গে সিগারেট কিনতে যাবো বলে মানিব্যাগে হাত দিয়ে দেখি পঞ্চাশ টাকা নেই।আমার শিওর ওই তপন শালাই চুরি করেছে’।
    কমল বয়সে ছোট,খান পাঁচেক প্রেম করেছে,আগের চারটি তাকে লেঙ্গি মেরেছে,সেই দুঃখে পঞ্চমটিকে কমল নিজেই লেঙ্গি মেরেছে,ষষ্ঠের সন্ধানে আছে এবং ইন্দ্রজিত বিয়ে করার জন্য পাত্রী খুঁজছে বছর দুয়েক হল।সাতটা আবশ্যিক ক্রাইটেরিয়া নিয়ে পাত্রী খুঁজতে শুরু করেছিল,এখন তা গোটা তিনেকে ঠেকেছে।নিন্দুকেরা বলে কালেক্রমে একটাই ক্রাইটেরিয়া পড়ে থাকবে এবং তা হল,পাত্রীটি যেন মেয়ে হয়।
    বাকি রইলাম আমি,এই কাহিনী’র সূত্রধর।সবার হাঁড়ি ভাঙ্গলে নিজেরটাই বা বাকি থাকে ক্যানো?আমার উড বি মালকিনের নাম সায়ন্তিকা এবং আমি বংশানুক্রমিক স্ত্রৈণ।
    প্রত্যেকের ঠিকুজি-কুলুজি দেওয়া হল,এবার ঘটনায় আসি।আজ সন্ধেতে মাটন বিরিয়ানি’র সাথে পর্যাপ্ত পানীয়-এর ব্যবস্থা ছিল।ককটেল’টা আমি বানিয়ে সার্ভ করছিলাম।প্রত্যেকের পেটেই কয়েক পেগ করে পানীয় গেছে ততক্ষণে।ব্লেন্ডার্স প্রাইড,সোডা আর স্প্রাইটের ককটেল প্রত্যেকের মুখ আলগা করে দিল।ইন্দ্রজিত মনের মত মেয়ে পাচ্ছেনা বলে দুঃখ করছিল,
    ‘শা-শালা,অ্যাদ্দিনেও একটা মনের মতন বউ পেলাম না ভাই।যেহারে বউ খুঁজছি,সে হারে খুঁজলে ভগবান কে পেয়ে যেতাম,জানিস’।
    অমল,মানে অমলদা খুব স্পষ্টবাক, ‘তুমি ভাই ভগবান কে নিয়ে কি করতে?যা করতে চাইছো তার জন্য ফিজিক্যাল বউ দরকার,ও কাজ ভারচুয়াল ভগবান কে দিয়ে হবেনা।তাই বউ খোঁজো,যার কাজ তাকেই করতে দাও’
    মহিলা অভিজ্ঞ কমল বললো, ‘দাদা,ভালো মেয়ে পাওয়া খুব মুশকিল,আমাকে দ্যাখোনা,পাঁচটা প্রেম করে ফেল্লাম,একটা মেয়েও টিকলো না’
    বিমল একটু মুখর,মানে খিস্তি দিতে পটু,কমল’কে বললো, ‘তুই ***** ,মেয়ে খোঁজো তো ***** এর জন্য’
    কমল উত্তেজিত হয়ে উঠলো।সামাল দেওয়ার জন্য আমি ইন্দ্রজিত কে জিজ্ঞেস করলাম, ‘হ্যাঁরে ইন্দ্র,লাস্ট যে মেয়েটাকে দেখে এলি,সেটা তো তোর বেশ পছন্দ বলছিলি...’
    ইন্দ্রজিত গ্লাসে একটা চুমুক দিয়ে বললো, ‘ সব ঠিক আছে।কিন্তু মেয়ের মা বড্ড কথা বলে...’
    অমলদা চোখ তুলে জিজ্ঞেস করলো, ‘এটাও কি তোমার ক্রাইটেরিয়া ছিল নাকি যে শাশুড়ি’কে কম কথা বলতে হবে?’
    অমলদা দাদা মানুষ,তাই ইন্দ্রজিত খিস্তি দিতে গিয়ে থেমে গেল,অথবা জুতসই খিস্তি খুঁজে পেল না,মাথা চুলকে বললো, ‘না,মানে সবকিছুতে অতিরিক্ত কৌতূহল,বড্ড বেশী জিজ্ঞাসা...’
    কমল দুপেগেই মাতাল হয়,মাঝখান থেকে নাক গলিয়ে বললো, ‘মেয়ের মা গুলোই ওরম হয়।আমার তিননম্বর,করবী...’
    বিমল কমল’কে থামিয়ে বলল,‘আরে তোর তিননম্বর তো শ্যামলী,করবী চার নম্বর...’
    বিমল বিজ্ঞানের ছাত্র,তথ্যগত ভ্রান্তি একদম সহ্য করতে পারেনা।
    কমল একগাল হাসলো, ‘থেঙ্কু দাদা,তো যা বলছিলাম,ওই তিন না চার নম্বর,করবী না শ্যামলী,কিছু একটার মা,খালি আমাকে জিজ্ঞেস করতো,তুমি আমার মেয়ে’কে এত ফোন করো ক্যানো?সিনেমা দেখতে যাও ক্যানো?রোজ আমাদের বাড়ি আসো ক্যানো?এরকম নানা ভ্যানতাড়ামো প্রশ্ন...’
    ইন্দ্রজিত জিজ্ঞেস করলো, ‘তুই কি বলতিস?’
    ‘কদিন সহ্য করলাম।তারপর দিলাম বিষ ঝেড়ে।পরিষ্কার বললাম,দেখুন কাকীমা,আপনার যদি বয়স থাকতো,তাহলে আপনাকে নিয়েই পার্কে যেতাম,সিনেমা দেখতে যেতাম,ফোন করতাম।কিন্তু আপনি তো এক্সপায়ারি ডেটের প্রোডাক্ট।তাই আপনার মেয়েকে নিয়ে ঘুরি’...কমল উত্তর দিল।
    অ্যাঁ,একথা তুই বলতে পারলি,তারপর কি হল?...আমাদের সমবেত জিজ্ঞাসা
    ‘বেশী কিছু হয়নি’,কমল আশ্বস্ত করলো আমাদের, ‘ওই বলামাত্রই বামগালে একটা পটাস করে থাপ্পড় খেলাম।সেদিন বিকেলে শ্যামলী ডানগালে থাপ্পড় মেরে রিলেশন খতম করে চলে গেল,আর আমিও রাগে সেদিন রাতেই করবী’কে প্রোপোজ করে বসলাম’
    ‘না-না,ইন্দ্র,তুই কমলের কথা শুনিস না,ফ্রিতে থাপ্পড় খেয়ে গালদুটো পাশবালিস হয়ে যাবে’,বিমল বললো।
    অমলদা জিজ্ঞেস করলো, ‘ইন্দ্র,তুমি আজ অব্দি বিয়ের জন্য কটা মেয়ে দেখেছো?’
    ইন্দ্রজিত হিসেব করে বললো নটা।অমলদা ফ্ল্যাট।বললো, ‘তুমি একটা বিয়ে করার জন্য নটা মেয়ে দেখেছো?তোমার তো কপালে কষ্ট আছে’
    আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘অমলদা,তুমি কটা মেয়ে দেখেছিলে?’
    অমলদা বললো, ‘আরে ভাই,আমার অত ভাগ্য ছিল না।বছরখানেক হল চাকরি করি তখন,বৌদি একদিন ডেকে বললো তোমার বিয়ে ঠিক হয়েছে অমুকের মেয়ের সাথে।আমি খানিক গাঁইগুই করলাম।কিন্তু বাবা’র সামনে বলার সাহস ছিলোনা।সন্ধেবেলা বাবা ডেকে পাঠালেন।মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছি,বাবা বললেন, ‘তোমার জন্য একটি সুলক্ষণা মেয়ে বেছেছি।তা তোমার শুনছি আপত্তি আছে।তোমার কি নিজের কোন মেয়ে পছন্দ আছে?’
    আমি জানালাম যে নেই।বাবা তখন জিজ্ঞেস করলেন, ‘মেয়েকেই বিয়ে করবে তো নাকি অন্যকিছুকে?’
    আমি তো হতবাক।বাবা শেষ করলেন, ‘যদি মেয়ে বিয়ে করাই ইচ্ছে থাকে,তাহলে এই মেয়েটিকেই বিয়ে করতে হবে’।ব্যাস,কথা শেষ’।
    কমল একটা মুর্গীর রোস্টে কামড় দিয়ে জিজ্ঞেস করলো, ‘ইন্দ্রজিতদা’র কপালে কষ্ট আছে বলছো ক্যানো?’
    অমলদা বললো, ‘শোনো তাহলে,অমুক হাইস্কুলের টিচার জীবনদা,একুশ-বাইশ বছর থেকে বিয়ের জন্য মেয়ে খুঁজছে,যাকেই দ্যাখে,কোনো না কোনো খুঁত বেরিয়ে যায়।এই করে প্রায় কুড়ি বছর পেরিয়ে গেল,তাও মেয়ে জোটেনা জীবনদা’র।শেষে একটা খোঁজ পাওয়া গেল,এক ব্যবসায়ী’র মেয়ে আছে,খুব চটজলদি বিয়ে দেবে।জীবনদা’র প্রোফাইল বা বয়সে মেয়েপক্ষের আপত্তি নেই।মেয়ের বয়স আঠেরো।আরও জানা গেল,মেয়ে কারুর সাথে পালানোর তালে ছিল,তাই এত জলদি প্রায় না বেছেই মেয়ের বিয়ে দিচ্ছে।তা জীবন’দা তখন মরীয়া হয়ে উঠেছে।মেয়ে হলেই হবে।কথা পাকা হওয়ার আগে জীবনদা আমাদের নিয়ে একবার মেয়ে দেখতে গেল।আমরা বসে আছি।দু-একটা মেয়ে উঁকি মেরে গেল।তারপর ভিতর মহলে গুঞ্জন।আল্টিমেটলি,মেয়ে দেখালো না।খালি হাতে ফিরলাম।মেয়ের মা নাকি বেঁকে বসেছে।পরে জানা গেল,আজ থেকে কুড়ি বছর আগে,জীবনদা এই মেয়ের মা’কেই দেখতে গিয়ে না-পসন্দ করে এসেছিল।শেষমেষ জীবনদা’র আর বিয়েই হলনা’।
    ইন্দ্রজিত কাঁচুমাচু স্বরে,মেঘে ঢাকা তারা’র নকল করে অমলদা’র হাত ধরে বললো, ‘কিন্তু,দাদা,আমি বিয়ে করতে চাই’।
    অমলদা বললো, ‘তাহলে লাস্টের যেটাকে ভালো লেগেছে বলছো,সেটাই ফাইনাল করে ফ্যালো’।
    তখনি ইন্দ্রজিতের ফোনটা বেজে উঠলো,ইন্দ্র তাকিয়ে বলল, ‘উড বি শাশুড়ি ফোন করেছে রে...’
    বিমল বলল, ‘ফোনটা ধরে তোর সম্মতি’র কথা বলে দে’
    ইন্দ্রজিত কি মনে করে ফোনটা লাউড স্পিকারে দিয়ে কল রিসিভ করলো,
    ‘হ্যালো,ইন্দ্রজিত বলছো?’
    ‘হ্যাঁ,কাকীমা।বলুন।ভালো আছেন তো?’
    ‘আছি গো।আমি আসলে ফোন করলাম,তোমাদের সম্মতি আছে কিনা তা জানার জন্য।তোমাদের বাড়ি-ঘর সবই পছন্দ আমাদের।এখন- ‘
    ‘বাড়ি-ঘর দিয়ে আর কি হবে কাকীমা,ছেলেটা ক্যামন সেটাই আসল,আর আমি তো আপনাদের ছেলেরই মতন’
    ‘উঁহু,জামাই-এর মতন’
    ‘জামাই আর ছেলে তো সেই একই হল কাকীমা’
    ‘তা তোমাদের কোন দাবী আছে কি বাবা’?
    ‘দাবী????কিসের দাবী???আপনারা বিশ্বাস করে মেয়েটাকে আমার হাতে তুলে দিচ্ছেন,এটাই তো বড় কথা’
    ‘আর বাবা,আমার মেয়ে জানতে চাইছিল,তুমি কোন নেশা করো নাতো?’
    ইন্দ্রজিতের একহাতে তখন সিগারেট আর আরেক হাতে মদের গ্লাস।তা অগ্রাহ্য করে অবলীলায় বলে দিল,
    ‘নেশা???কাকীমা,আপনাদের ইন্দ্রজিত আজ অব্দি সিগারেট টাচ করে দ্যাখেনি’
    ‘তা বেশ বাবা,শুনে ভালো লাগলো।আমি তাহলে তোমার কাকুর সাথে কথা বলে তমার বাবা’কে ফোন করবো।এখন ছাড়ি তাহলে।ভালো থেকো’

    এতদিন ধরে যা হচ্ছিল না,আজ সামান্য মদের দৌলতে তা সুসম্পন্ন হয়ে গেল।
    সানাই বাজলে সকলকে আমন্ত্রণ রইল।
    আর হ্যাঁ,মদ খেলেই সব সত্যি বলতে হবে,এমনটা কোন কথা নেই...
    (ঘটনা এবং চরিত্র,উভয়েই বাস্তব,তাই নাম গুলো পালটে দেওয়া হয়েছে)
  • | 24.97.100.106 | ২৯ মে ২০১৩ ২১:৪১609643
  • এই সেরেছে! এটাও যদি নেশা কাটলে কেঁচিয়ে যায়? সেই তপন বেচারীর ৫০ টাকার নোটের মত? মাতালদের কক্ষুণো বিশ্বাস করতে নাই।
  • শ্রী সদা | 127.194.214.182 | ২৯ মে ২০১৩ ২১:৫৬609644
  • কমঃ ইন্দ্রজিৎ ভালো কেস খেলেন। ঐ জন্যে নৈশ অবস্থায় কখনো কমিটমেন্ট করতে নেই ঃ)
  • Blank | 180.153.65.102 | ২৯ মে ২০১৩ ২২:০২609645
  • এই জন্যি আমি মদ খেলেই শান্ত হয়ে বসে থাকি, কিস্যু করি না। এই সদা জানে সেটা।
  • কৃশানু | 213.147.88.10 | ২৯ মে ২০১৩ ২২:১৯609646
  • খুবই শান্ত থাকে। কোনো ভুল নেই।
  • bratin | 122.79.40.112 | ৩০ মে ২০১৩ ০১:৪৮609647
  • কারা আলোচনা য় নেমেছে দেখুন।বুনান সদা আর কৃশানু। তিন দিকপাল ঃ))
  • bratin | 122.79.40.112 | ৩০ মে ২০১৩ ০২:০৩609648
  • তবে মদ্য পানে "দিল কি বাত জুবান পে আ যাতা হ্যায়'

    (অ্যাটলিস্ট নভিস দের ক্ষেত্রে)
  • cb | 99.231.125.36 | ৩০ মে ২০১৩ ০৩:০২609649
  • ইয়ে, ককটেল করতে গেলে দুটো মদ মেশাতে হয় বোধহয়, শুধু সোডা/স্প্রাইট মারলে হবে না
  • Blank | 180.153.65.102 | ৩০ মে ২০১৩ ০৩:৪৬609650
  • তার কোনো মানে নেই। স্ক্রু ড্রাইভার, ব্লাডি মেরি ইত্যাদি একটা বেস দিয়েই তৈরী।
  • r | 213.91.201.54 | ৩০ মে ২০১৩ ০৮:৪২609634
  • স্ক্রু ড্রাইভার , ব্লাডি মেরি মকটেল, ককটেল নয়।
  • শ্রী সদা | 132.176.98.243 | ৩০ মে ২০১৩ ০৯:৫৪609635
  • আমি যদ্দুর জানি, মকটেল মাস্ট বি নন-অ্যালকোহলিক।
  • কৃশানু | 177.124.70.1 | ৩০ মে ২০১৩ ০৯:৫৯609636
  • স্ক্রু ড্রাইভার ব্লাডি মেরি ককটেইল। এদের করেসপন্ডিং মকটেল থাকতে পারে টিটোটেলার দের জন্য। কিন্তু তা অজ্জিনাল নয়।
  • ! | 213.112.82.2 | ৩০ মে ২০১৩ ১০:১০609637
  • ককটেলের বিজ্ঞানসম্মত defn - An alcoholic drink consisting of a spirit or several spirits mixed with other ingredients, such as fruit juice, lemonade, or cream.

    এক বা একাধিক স্পিরিট থাকতে পারে...
  • bratin | 122.79.41.80 | ৩০ মে ২০১৩ ১০:৪৩609638
  • আমিও তাই জানি মকটেল নন অ্যালকোহলিক।
  • phutki | 131.241.146.122 | ৩০ মে ২০১৩ ১০:৫৯609639
  • ব্লাডি মেরীর মকটেল ভার্সানের নাম তো ভার্জিন মেরী। স্ক্রু ড্রাইভারের মকটেলের আলাদা নাম আছে কি?
  • কৃশানু | 177.124.70.1 | ৩০ মে ২০১৩ ১১:০২609640
  • অজ্জিনাল নয়, কিন্তু কাকুকে স্ক্রু ড্রাইভার মকটেল বলে জিগালে চারটে রেসিপি পেয়ে যাবে।
    এগুলো সবই পার্টিতে নন দ্রিনকার দের জন্য বানানো।
  • phutki | 131.241.146.122 | ৩০ মে ২০১৩ ১১:০৬609641
  • রেসিপি খুঁজলে তো ককটেল বলেই খুঁজবো :)। আমি আলাদা নাম আছে কিনা খুঁজতে চাইছি। তো আপিসে তো সবই ওয়েবসেন্সের কল্যাণে ব্লকড।
  • কৃশানু | 177.124.70.1 | ৩০ মে ২০১৩ ১১:১৭609642
  • আলাদা নাম নেই। যদ্দুর জানি।
    রেসিপি নিশ্চই জানো। আমি যেভাবে করি বলে দি।
    ভালো কমলা লেবু কিনে স্লাইস করে নিতে হবে, যত সরু সম্ভব (কোয়া ছাড়ালে চলবে না)।

    ট্রপিকানার ১০০% অরেঞ্জ জ্যুস। চিনি মেশানো হলে চলবে না।

    এই জ্যুস আর ভদকা ২:১ থেকে ৪:১ রেশিওতে মেশাতে হবে, নিজের পছন্দ অনুযায়ী। এবার স্লাইস গুলো গ্লাস এর গায়ে আটকে দেওয়া যায়। আমার পারসনাল পছন্দ গ্লাস এর মধ্যে ফেলে দেওয়া। এক দু পেগ পরে, আগের স্লাইসটা না তুলে, আরেকটা স্লাইস ফেলে দিতে হবে গ্লাস এর মধ্যে।

    এরকম খান পাঁচেক স্লাইস জমতে জমতে ইসে শেষ হয়ে যাবে। স্লাইস গুলো ততক্ষণে ফুলে টইটুম্বুর। তখন ওই স্লাইসগুলো চুসে চুসে খেয়ে ফেল। পুরো উলুত পুলুত খেতে :-)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন