এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ম্ন্গ্ফ্হ

    hashem
    অন্যান্য | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ | ৪৮৯৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • 123 | 111.219.7.211 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ২১:২৯619007
  • শিগ্গির শিগ্গির ল্যাহেন দেহি মহায়!!
  • 0 | 24.96.7.120 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ২১:৩৪619008
  • তড়াক করে লাফ দিয়ে উঠে বসলুম। আমার কাঁধ ছেড়ে দিয়ে স্বামীনাথন ধপ করে মেঝেতে বসে পড়ল। বসেই ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে সে কী কান্না তার।মাঝেমধ্যে দু-একটি দুর্বোধ্য মান্দ্রাজী শব্দ বলচে, আবার কান্নায় ভেঙে পড়চে। চৌকাঠের ওপর চৌকিদার হতাশ মুখ করে পা ছড়িয়ে বসে রয়েচে।
    অনেক কষ্টে স্বামীনাথনকে কিছুটা ধাতস্থ করা গেল। এরই মধ্যে রাজিন্দরের কাছ থেকে ভয়ঙ্কর খবরটি শুনলাম।শুনে আমারও বুক ভেঙে গেল। দিনের আলোর ওপরে কে যেন এক পোঁচ কালি লেপে দিল।

    ভি পি আর আর রেড্ডি আমাদের ফিল্ড অফিসার। তৈলঙ্গি। পুরো নাম ভেঙ্কটপতি রাজা রামালু রেড্ডি। নামখানি অমন বাজখাঁই জবরদস্ত হলে কি হবে, মানুষটি বড় অমায়িক। আর কাজের প্রতি নিষ্ঠাও তাঁর দেখবার মত। পাপি হিলস-এর জঙ্গলে চালুক্যরাজ রাজরাজ নরেন্দ্র-র প্রতিষ্ঠা করা একটি শিবমন্দিরের ভ্গ্নাবশেষ আবিষ্কার ওঁরই কীর্তি। ওঁর বিশ্বাস এই শিবমন্দিরটি আসলে এক বিশাল মন্দির কমপ্লেক্সের অংশ, এবং পুরো মন্দির স্থাপত্যটির আরো বেশ খানিকটা অংশ খুঁজে বের করা সম্ভব। আমরা সেই কাজেই রাজামুন্দ্রিতে এসে ঘাঁটি গেড়ে ছিলুম। গোটা দলের মধ্যে আমি ও স্বামীনাথন কেবল ভিনরাজ্যের, তাই সার্কিট হাউজে থাকতুম। বাকিরা স্থানীয়, যে যার বাড়ি থেকে আসাযাওয়া করত। কিন্তু রেড্দিসাহেবের কাজের প্রতি এমনই টান, তিনি ঐ জঙ্গলের মুখেই একখানি ছোটখাটো বাড়ি বানিয়ে বাস করতেন। সে বাড়িতে আপিসের সকলের জন্য ছিল তাঁর অবারিত দ্বার। আপিসেরই বা বলবো কেন, নিজের চক্ষে দেখেছি, স্থানীয় গরীব-দুঃখী বুনো মানুষজন জ্বর-ব্যামোয় রেড্ডি সায়েবের কাছ থেকে বিনে পয়সায় বায়োকেমিক ওষুধ নিয়ে যাচ্চে। ঐ বায়োকেমিক ছিল ওঁর শখ। আর ছিল দেশের মানুষজনের প্রতি ওঁর অগাধ ভালোবাসা। স্ত্রী, তরুণ ছেলে ও একটি অ্যালসেশিয়ান কুকুর নিয়ে ওঁর ছোট্ট সংসার।

    মানুষজনও বড় ভালোবাসতো তাঁকে। কতবার আমরা তাঁর ওখানে গিয়ে চা খেয়ে এসেচি, গপ্পোগুজব-আড্ডা দিয়ে এসেচি। ওঁর পুত্র শঙ্কর এসে আমাদের সামোসা-পাপরি চাট দিয়ে গেছে, আমাদের সঙ্গে হাসিমুখে গল্পগাছা করেচে। বড় মায়াবী মুখখানি ছিল ছেলেটির, যে দেখত সেই ভালোবেসে ফেলত। গৃহিণী খুব একটা বেরোতেন না, লাজুক ছিলেন। তাই বলে যে পর্দানশীন ছিলেন, তাও নয়। আজকালকার দিনে এমন একটি পরিবার সচরাচর দেখা যায় না।
  • kumu | 133.63.112.76 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ২২:২৬619009
  • মায়াবী মুখ ছিল?
  • 0 | 24.99.83.179 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ২২:৩৬619010
  • এই রাক্ষুসে উপদ্রব শুরু হবার পর থেকে সকলেই ওঁকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দিত। তারপর যখন মানুষ নিঁখোজ হওয়া শুরু হল, তখন কত যে লোক তাঁকে বাড়ি বদলে শহরে এসে থাকতে বলেচে তার ইয়ত্তা নেই। উনি হেসে উড়িয়ে দিতেন। বলতেন-আমার কিছু হবে না। রাক্ষস আমার বন্ধু। কিম্বা বলতেন , হ্যাঁ, রাক্ষস না আরো কিছু ! দেখোগে কোন বুড়ো কিম্বা জখমী চিতা কিম্বা হয়তো জঙ্গলের রাজা রয়াল বেঙ্গল টাইগার খেপে উঠেচে।কিন্তু ক্রমেই বুনোদের মধ্য থেকে মানুষ মারা যাওয়ার ঘটনায় উনি বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন। প্রায়ই বলতেন, পুলিশের বড়োসাহেবের সঙ্গে কথা বলে এর একটা কিছু বিহিত করতে হবে।

    কথা তিনি বলেওছিলেন। কিন্তু পুলিশ এর কিছু সুরাহা করতে পারে নি। কথা চলছিল হায়দরাবাদ থেকে বড়ো শিকারী এনে জঙ্গল চিরুনি দিয়ে আঁচরানোর মত করে বিটিং করিয়ে কিছু যদি করা যায়। কিন্তু বুনোদের সর্দার এসে বলেছিল- এ জন্তুজানোয়ার কিছু না রে, সাহেব। আমরা এত বছর ধরে এই জঙ্গলে আছি, কত শিকারখেলা খেলতে যাই, এ জঙ্গল আমাদের চেনা । এ দানো আছে। আমরা এ বন ছেড়ে চলে যাচ্ছি। তুইও চলে যা।

    সেই যাওয়া আর হয়ে উঠল না রেড্ডি সাহেবের। ঘটনাটা বলচি।

    কাল রাত্তিরে ঝড় আসবার কিছু আগে থেকেই অ্যালসেশিয়ান কুকুরটি কেমন অস্থির হয়ে উঠেছিল। চাপা গলায় গরগর আওয়াজ করতে করতে সে কেবলি জানালার ধারে ছুটে ছুটে যাচ্ছিল। আবার মাঝেমধ্যে দু পায়ের ফাঁকে লেজ গুটিয়ে কেমন ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ছিল সে। কখনো বা বিকট শব্দে ঘেউ ঘেউ করে যেন কোন অদৃশ্য শত্রুকে ভয় দেখাচ্ছিল। বাড়িতে কেউই বুঝে উঠতে পারছিল না কুকুরটির এহেন আচরণের কারণ। সব মিলিয়ে কেমন একটা অস্বস্তিকর দমচাপা ভাব।

    বেশীক্ষণ অপেক্ষা করতে হল না তাদের। কয়েকমিনিট পরেই সেই অদেখা আগন্তুকের উপস্থিতি টের পাওয়া গেল।একটা ধুপ ধুপ আওয়াজ দূর থেকে ক্রমেই কাছে এসে একসময় বাড়ির চারধারে ঘুরতে লাগল। পায়ের শব্দ! আর সেই সঙ্গে ঝড়ের আওয়াজ ছাপিয়ে কার একটা তীব্র শ্বাসের আওয়াজ। যেন সেই অশুভ আগন্তুক বাড়ির ভেতরে ঢুকতে চায় , কিন্তু কিভাবে ঢুকবে, সেইটে ভেবে উঠতে পারচে না। অ্যালসেশিয়ানটির গরগর ধ্বনি ক্রমেই বেড়ে উঠচে, শঙ্কর তাকে প্রাণপণ চেষ্টাতেও জাপটে ধরে রাখতে পারচে না। কুকুরটি বাদে বাকি সবাই শ্বাস বন্ধ করে চুপচাপ গুটিসুটি হয়ে বসে রয়েচে।

    এমন সময় হঠাৎ শঙ্করের শোবার ঘরের জানালার কাছে এসে পায়ের আওয়াজ থামলো। শ্বাসের শব্দ আরো ঘন হয়েচে। হঠাৎ কুকুরটি তিরের বেগে শঙ্করের বন্ধন ছাড়িয়ে সটান লাফ দিয়ে বন্ধ জানলা খুলে বাইরে গিয়ে পড়ল। পরক্ষণেই তার তীব্র মরণ আর্তনাদে কানে তালা ধরে গেলো। শঙ্করও হিতাহিতজ্ঞানশুন্য হয়ে - জ্যাকি-ই - বলে লাফ দিয়ে বাইরে গিয়ে পড়ল; বড় ভালোবাসতো সে কুকুরকে। রেড্ডিসাহেব বন্দুক হাতে ছুটে এলেন।

    কিন্তু ততক্ষণে বড় দেরী হয়ে গেছে। অন্ধকারের মধ্যে দেখা গেল একটি ঘন মিশকালো বিশালাকৃতি মূর্তি একটি মনুষ্যশরীরকে পিঠে ফেলে ধুপধাপ পা ফেলে দূরে চলে যাচ্ছে। অন্ধকারের চেয়েও অন্ধকার সে মূর্তির কাঁধে ঐ দেহটি শঙ্করের। চলতে চলতেই সে শঙ্করের শরীর থেকে এক এক করে সব ক'টি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ছিঁড়ে ছিঁড়ে ফেলচে। আর শঙ্করের মরনান্তিক আর্তনাদ শুনতে পাওয়া যাচ্চে। রেড্ডিসাহেব গুলি ছুঁড়লেন। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে গেলো।

    রাতের অন্ধকারে শঙ্করের আর্তনাদ আমরা শুনতে পেয়েছিলুম। গুলির শব্দ শুনতে পাই নি। সম্ভবতঃ সেই সময় বাজ পড়েছিল।
  • T | 24.139.128.15 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০০:৫৮619011
  • বুনিপ নাকি?
  • aranya | 78.38.243.161 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০১:৪৪619012
  • হেমেন বাবু o হয়ে জন্মেছেন দেখছি, খুব জমাটি হচ্চে
  • aranya | 78.38.243.161 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০১:৪৫619013
  • বুনিপ তো বাঁদর, নিরামিশাষী
  • nina | 78.37.164.19 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০১:৫৮619014
  • থামতে জানার আর্ট-----
    - পাঠককুল যে নিঃশ্বাস বন্ধ করে বসে আছে-----
  • a x | 86.31.217.192 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০২:৪৯619015
  • কুকুরে বন্ধ জানলার কপাট খুলে বেরিয়ে গেলো! :-O
  • শঙ্খ | 151.0.9.76 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৪:০৩619017
  • শুধু তাই না, এমনকি তার পেছন পেছন শঙ্করও জানালা দিয়ে বাইরে লাফিয়ে পড়ল
    ঃ-))
  • aranya | 78.38.243.161 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৫:৪৭619018
  • শুধু খুঁত ধরে।

    জানলার ছিটকিনি লাগাতে ভুলে গেছিল। হঠাৎ দমকা হাওয়ায় জানলার কপাট খুলে গেল আর কুকুরটি তিরের বেগে ইঃ

    o-র হয়ে ঠিক করে দিলাম।
  • cm | 37.56.196.50 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৭:০৯619019
  • ম্ন্গ্ফ্হ এসেছে বললামনা।
  • I | 59.136.136.25 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৯:০৫619020
  • আহা, বলেছেন তো জানলায় গরাদটরাদ থাকে না। অত বড় অ্যালসেশিয়ান শরীরের সমস্ত ভর ও তার সঙ্গে বেগ ইত্যাদি নিয়ে ঝাঁপ দিয়েছে, তাই জানলার ছিটকিনি ভেঙ্গে গেছে। শঙ্কর জানলা দিয়ে লাফ দিয়েছে তা তো বলেন নি !
    আপনি লিখুন ০ বাবু। এরা দুষ্টু লোক, এদের কথায় কান দেবেন না।
  • cm | 37.56.196.50 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৯:৩২619021
  • গপ্পোটাকি ডমরুধরের লাইনে যাবে?
  • kumu | 133.63.112.76 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১১:৫৬619022
  • গরাদ ছিল না? ঐ রকম জায়গায় গ্রীল বা শক্ত গরাদ থাকার কথা।যাগ্গে দরজা দিয়ে বাইরে চলে গেছিল।
    এর পর কিছু আছে?
  • 0 | 24.99.178.101 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১৪:০১619023
  • সাহেবের বাড়ি গিয়ে দেখি সে এক মর্মান্তিক দৃশ্য। দেখে চোখের জল রোধ করা যায় না। সাহেবের গৃহিণী মুহুর্মুহু অজ্ঞান হচ্চেন। সাহেব বুক চাপড়ে চাপড়ে হাহাকার করে কাঁদচেন। চারিদিক লোকে লোকারণ্য। পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ। আমায় দেখে সাহেব দুহাত বাড়িয়ে হাহা করে কেঁদে উঠলেন। বললেন, "রাজেন, দানো কেন আমায় নিয়ে গেল না ! শঙ্করকে কেন নিয়ে গেল সে ! আমিই তো ওর মৃত্যুর জন্য দায়ী! লোকে কতবার বলেচে, বাড়ি বদলাও। আমি কান দিই নি। ওঃ সে কী বীভৎস মৃত্যু, রাজেন !"
    বলতে বলতেই ছুটে বেরিয়ে গেলেন জঙ্গলের দিকে। "দানো, আমাকে নাও, আমাকে নাও" বলে। লোকজন গিয়ে ধরাধরি করে তাঁকে আবার ফিরিয়ে আনলে। আমার চোখের জল আর বাঁধ মানল না।

    ভারাক্রান্ত মনে বাড়ির আশপাশ পায়চারি করতে লাগলুম। লোকের ভিড়ে গতরাতের মর্মান্তিক ঘটনার চিহ্ন তেমন কিছু দেখতে পেলুম না। শুধু ভাঙ্গা জানলাটির আশপাশের কিছুটা অংশ পুলিশ দড়ি দিয়ে ঘিরে রেখেচে। মাটিতে তখনো চাপচাপ রক্ত জমাট বেঁধে রয়েচে। রক্তের ফোঁটা চলে গেচে সার দিয়ে সেই জঙ্গলের মধ্যে। লোকজনের সেখানে যাওয়ার সাহস নেই। শুধু বেশ কিছু পুলিশ এদিক-ওদিক তল্লাশী করচে।
    আর রয়েচে সেই বিকট রাক্ষস-তাকে রাক্ষসই বলো, দানোই বলো, কি পিশাচ, যাই বলো না কেন-তার বিশাল বিশাল পায়ের ছাপ। ছাপ দেখে মনে হল দানোটি অন্ততঃ আট-ন ফুট লম্বা। এমনিতে মানুষেরই মত পায়ের ছাপ , কেবল আকারে প্রকাণ্ড। কুকুরটিরও চিহ্নমাত্র নেই। মনে হয় তাকেও সে শঙ্করের মতই কাঁধে তুলে নিয়ে চলে গেচে।

    মনে হঠাৎ করে প্রচণ্ড এক ক্রোধ জেগে উঠল। ভীষণ প্রতিশোধস্পৃহা। একটি ফুলের মত তরুণের এই অবস্থা যে করেচে, সে পিশাচ-ই হোক, রাক্ষসই হোক,দত্যি-দানো যাই হোক না কেন, তাকে রাজেন চৌধুরী ছাড়বে না।
    স্থির করলাম এই হট্টগোলের মধ্যে নয়, গোলমাল থিতিয়ে এলে পর -আগামীকাল ভোর ভোর যাত্রা করবো জঙ্গলের দিকে। শয়তানটাকে উচিৎ শিক্ষা দিতে হবে।
  • siki | 127.213.241.145 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১৫:৩০619024
  • এক ধাক্কায় সেই ছোটবেলা ফিরে এল।

    তুলকালাম হচ্ছে। একটু ধরে লিখুন। পুরোটা না পড়ে ছাড়চি না।
  • phutki | 24.99.137.73 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১৯:০৯619025
  • অপূর্ব হচ্ছে।
  • 0 | 24.99.83.112 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১৯:১৪619026
  • স্বামীনাথন তল্পিতল্পা গুটিয়ে বাড়ি চলে যাচ্চে। সুবিধেই হল; চৌকিদারকেও জোরাজুরি করে মুলুকে পাঠিয়ে দিলুম। বেশী জোর করতে হল না। তারও মনোগত ইচ্ছে ফিরে যাওয়ার। এমন চাকরি করার চেয়ে সে না খেয়ে মরবে, তাও আচ্ছা। দেশে গেলে কিছু না হোক খেতিবারি রয়েচে। শুধু যাওয়ার আগে সজল চক্ষে বললে-"আপ, সাহাব?'' আমার সঙ্গে তার এই ক'দিনে বেশ ভালো জমে গিয়েচিল। আমি তাকে বুঝিয়ে বল্লুম , এদিককার কাজকম্ম গুটিয়ে রেড্ডিসাহেবকে হায়দরাবাদ ফেরত পাঠিয়ে আমিও ফিরে যাব বাঙালামুলুকে। দু-একদিনের ওয়াস্তা।

    রাতে আমার ডাবল ব্যারেল বন্দুকটি কেরোসিন তেল দিয়ে মুছে সাফ করে রাখলুম। বিলেতের হল্যাণ্ড অ্যাণ্ড হল্যাণ্ড কোম্পানির বন্দুক, এ দিয়ে খ্যাপা হাতি, বুনো মোষ,ভয়ঙ্কর বাঘ-সিঙ্গি অবধি শিকার করা যায়। দানো বাবাজির জন্যে ক'বার বন্দুক চালাতে হবে, কে জানে। হ্যাভারস্যাকের মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণ খাবারদাবার (দিন দুয়েকের মত), জলের বোতল আর তাজা কার্তুজ ঢুকিয়ে তৈরী করে রাখলুম। আর নিলুম আমার তিন সেলের টর্চ বাতিটি। এটি একনাগাড়ে ৫ ঘন্টা অবধি জ্বলে। মনে হয় না এ যাত্রায় তার বেশী একে জ্বালানোর দরকার পড়বে। তারই মধ্যে একটা এস্পার ওস্পার কিছু হয়ে যাবে। হয় দানো মরবে, নয়তো আমি।

    রাতে হাল্কা কিছু খেয়ে শুয়ে পড়লুম। ঘড়িতে যদিও চারটের অ্যালার্ম দিয়ে রেখেছি, মনে হল না তার দরকার পড়বে। মনের মধ্যে একটা অদ্ভুত উত্তেজনা বোধ করচি। সে রাতে কিছুতেই আর ঘুম এল না। অনেকক্ষণ ঘুমোনোর বৃথা চেষ্টা করে অবশেষে সাড়ে তিনটে নাগাদ উঠে পড়লুম। হাত-মুখে ধুয়ে পরিষ্কার হয়ে নিয়ে আমার কেরোসিন স্টোভে বড় এক কাপ লাল চা বানিয়ে ক'টি বিস্কুট ও কেক সহযোগে প্রাতরাশ সারলুম। ভোরের হাল্কা হাওয়া বইচে। আকাশ ফর্সা হতে শুরু করেচে। আশ্চর্য ! গত রাতের উত্তেজনার লেশমাত্র এখন আর মনের মধ্যে নেই। মন অদ্ভুত শান্ত। এই সময় ! দানোর এতাবৎকালীন হানাদারি-র হিসেবনিকেশ করে বুঝতে পেরেচি, সে রাতের অন্ধকারে শিকার খুঁজতেই পছন্দ করে,অর্থাৎ নিশাচর। দিনের বেলা সম্ভবতঃ তার ঘুমের সময়। অতএব দিনেই তাকে কাবু করতে পারবার সুযোগ সবচেয়ে বেশী। অতর্কিতে আক্রমণ কর্তে পারলে সফল না হওয়ার কোনো কারণ দেখলুম না। সে যত বড় রাক্ষসই হোক না কেন, মানুষের চেয়ে শক্তিমান আর কে !
  • | 24.97.164.224 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১৯:১৮619028
  • কিন্তু রাত্তিরে গন্ধওলা মুখ নিয়ে যে মুখের ওপরে ঝুঁকে পড়েছিল, সে কোথায় গেল?
  • aka | 34.214.145.19 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ২০:১২619029
  • ওটা স্বপ্ন। তুলকালাম হচ্ছে।
  • 0 | 24.99.83.112 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ২০:১৭619030
  • মনে একটু ফুর্তির ভাব এসে গেল। গুনগুন করে গান গাইতে গাইতে পাহাড় চড়চি। অবিশ্যি পাহাড় বলে এক যদি শিমলে-দার্জিলিংয়ের পাহাড় ভেবে থাকো , তাহলে ভুল করবে। এ হিমালয়ের সেই গগনচুম্বী তুষারাবৃত নগশ্রেণী নয়, পথে পথে হেয়ারপিন লুপের মত বাঁক এখানে নেই। এটি পুর্বঘাট পর্বতশ্রেণীর অংশ, গ্রানাইট -কোয়ার্টজাইট, লাইমস্টোন ও বক্সাইটে তৈরী একটি ন্যুনতর পাহাড় পাপিকোন্দালু। কিন্তু তাই বলে নিসর্গশোভায় কোনো অংশে হীন নয় সে। চলেছি শাল -অর্জুন-রোজউডের জঙ্গলের মধ্য দিয়ে, গাছের তলায় তলায় ঘন আন্ডারগ্রোথ। সকালের তরুণ আলো এসে পড়চে ডালপালার ফাঁক দিয়ে। পাখীদের কলতান ও ব্যস্ততা শুরু হয়ে গেচে। আমি যদিও তেমন পাখি চিনি নে, তবু লম্বা হলদে-বাদামী লেজঝোলা, কালো ঝুটি প্যারাডাইস ফ্লাইক্যাচারকে চিনতে অসুবিধে হল না। জঙ্গুলে ময়না ও নীল-কালো হুইস্লিং থ্রাশ দেখলুম, মাথার ওপর দিয়ে ব্রাহ্মণী চিল উড়ে যাচ্চে -তাকে দেখেও চিনলুম। নানা রংয়ের প্রজাপতিরা এদিক-সেদিক উড়ে বেড়াচ্চে। থেকে থেকেই বিচিত্র সব জন্তুজানোয়ারের ডাক শুনতে পাচ্চি। চিতল-সম্বর -কৃষ্ণসার হরিণ, হনুমানের ডাক চিনতে পারচি। দু-একবার হাতির বৃংহণ শুনতে পেলুম মনে হল। আরো সব অজানা জানোয়ার ও পাখীর ডাক, ঘাসবনের মধ্য দিয়ে জঙ্গলের সরসরে হাওয়া, গাছেদের ফিসফিসানি সব মিলিয়ে একটি বিচিত্র মাধুর্য তৈরী করেচে। শুরুর দিকে বিস্তীর্ণ গোদাবরীর অস্ফুট কলধ্বনি কানে আসচিল, এখন সে আওয়াজ দূর থেকে দূরতর হতে হতে মিলিয়ে গেচে। পায়ের সামনে দিয়ে একটি শুকনো পাতার রঙের গিরগিটি সরসর করে চলে গেল। সাবধানে পা ফেলতে হচ্চে, এখানে সাপের উপদ্রব যথেষ্ট। গোখরো-কেউটে-করেত-চন্দ্রবোড়া ইত্যাদির মত বিষাক্ত সাপ তো রয়েইচে, নির্বিষ রক পাইথনের ন্যাজে পা পড়লে সেও ছেড়ে কথা কইবে না।

    জঙ্গলের রাস্তায় পথ হারানোর সম্ভাবনা প্রবল। এতক্ষণ রক্তের দাগ অনুসরণ করে আসছিলুম। দানোর পায়ের দাগ কিছুদূর অবধি নরম মাটির ওপর দিয়ে গিয়ে তারপর জঙ্গলের ঝরাপাতার ওপরে অদৃশ্য হয়ে গিয়েচে। এখন রক্তের দাগও এদিক -ওদিক আর তেমন দেখতে পাচ্চি না। শুধু জঙ্গলের মধ্যে ভাঙা ডালপালা -দলে যাওয়া পাতা ও ঘাস ইত্যাদি দেখে দেখে সাবধানে পথ করে এগুচ্ছি। আশ্চর্য ! তবে যে শুনলুম সে দানো শঙ্করের শরীর ছিন্নবিচ্ছিন্ন করতে করতে পালিয়ে গিয়েছিল! সেসবের চিহ্ন কোথায় গেল তাহলে! তবে কি পিশাচ সেসব পথে ফেলে যায় নি, সবসুদ্ধ উদরস্থ করেচে! হা ভগবান, কী নৃশংস !

    এক জায়গায় এসে আর পথ খুঁজে পাই না। এখানে দলিত-মথিত ঘাস-পাতা, ভাঙা ডালপালার চিহ্ন এসে শেষ হয়েছে। তার মানে কি দানো এখানেই কোথাও লুকিয়ে রয়েচে? চারিদিকে সতর্ক চোখ চালিয়ে খুঁজতে লাগলুম।
    বেশী খুঁজতে হল না। ঐ তো একটি নুয়ে আসা শিশু গাছের ভাঙা ডালে একটি নীল রঙের জামার টুকরো ঝুলচে ! ও জামা নিশ্চিত শঙ্করের! হাঁচোড়পাঁচোড় করে উঠে এলুম। জায়গাটি কিছুটা উঁচু। শিশু গাছের ডালটিকে কে যেন মট করে ভেঙ্গেচে। সেখানেই ঝুলে রয়েচে শঙ্করের জামার একটি ফালি। রক্তমাখা। নুয়ে আসা গাছের ডালখানি শরীরের সমস্ত জোর দিয়ে সরিয়েই দেখি- বিস্ময়! একটি গুহার মুখ যেন দেখতে পাচ্চি ! আসলে নুয়ে পড়া গাছ ও তার আশপাশের উঁচু ঝোপঝাড় মুখটিকে আড়াল করে রেখেছিল। চট করে কেউ গুহামুখটিকে দেখতে পাবে না।

    আমি আর কালবিলম্ব না করে গুহার ভেতর ঢুকতে প্রস্তুত হলুম। এইবার টর্চবাবাজীবনের কাজ শুরু হল।
  • aka | 34.214.145.19 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ২০:২৭619031
  • জমে ক্ষীর, আজই শেষ হোক।
  • a x | 86.31.217.192 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ২০:৩২619032
  • ওরেবাবা! তারপর?
  • kumu | 133.63.112.81 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ২০:৫১619033
  • একা একা ঢুকবেন? সাবধান!
  • de | 130.62.166.78 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ২১:৩১619034
  • জলদি লেখেন মশাই -- আমার কন্যা নইলে রাত্তিরে আর ঘুমাবে না -- অংক করতে করতে এসে মাঝে মাঝে টই রিফ্রেশ করে পড়ে যাচ্ছে ঃ)

    সত্যি কি রিফ্রেশিং লেখা!
  • 0 | 24.99.83.112 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ২১:৩৭619035
  • গুরুর নাম স্মরণ করে গুহার মধ্যে পা রাখলুম। ভেতরটা একটা বিশ্রী সোঁদা, ভ্যাপসা গন্ধে ভরপুর। পায়ের তলার পাথর পিছল। পা টিপে টিপে হাঁটচি। কোথা থেকে টুপ টুপ করে অবিরাম জল পড়চে। গুহার ছাদ থেকে স্ট্যালাকটাইট ঝুলে রয়েচে। রাশি রাশি বাদুরও। আমায় দেখে তারা ভ্রুক্ষেপমাত্র করচে না। কেবল তাদের গায়ে আলো এসে পড়লে একবার ডানা ঝাপটিয়ে উঠচে, এইমাত্র।গুহার ভেতরটি তেমন সংকীর্ণ নয়। ভালো বাসস্থানই বেছেছেন দানোবাবাজি।

    কিছুদূর অবধি গিয়ে থমকে যেতে হল।এখনো অবধি দানোর অস্তিত্ব টের পাই নি। কিন্তু এইবারে গুহা দুভাগে ভাগ হয়ে দুদিকে চলে গেছে পথ। কোনদিকে যাবো তাই ভেবে মাথা চুলকোচ্চি।

    হঠাৎ কোত্থেকে যেন হি হি হাসির আওয়াজ। পরিষ্কার বাংলাভাষায় কে বলে উঠল- "পথ হারিয়েচেন?'

    আমার হাত থেকে টর্চ পড়ে গেল। মেঝেতে একটি তেরচা আলোর চক্কর। বাকি গুহা অন্ধকার।

    -"ভয় পেলেন? আচ্ছা, আমি আলো করে দিচ্চি"-আবার সেই কন্ঠ।

    দেখতে দেখতে ডানদিকের রাস্তাটি একটি অস্ফুট গোলাপী আলোয় ভরে উঠল। সেই আলোয় দেখতে পেলুম, একটি বালক অথবা বামনাকৃতি মানুষ হাসিমুখে দাঁড়িয়ে রয়েচে। গায়ের রং গোলাপের সঙ্গে চন্দন মেশালে যেমন হয় তেমনি। গলার স্বরটি বেশ গম্ভীর, তাইতেই বোঝা যাচ্চে, বালক এ নয়। গায়ের চামড়ায় একটিও কুঁচকোনো দাগ নেই। ন্যাড়া মাথা। না, পুরো ন্যাড়া বল্লে ভুল হবে, মাথার মাঝখানটিতে এক গোছা চুল উঁচু হয়ে রয়েচে, হার্জসাহেবের আঁকা টিনটিনের মত। গায়ে তার একটি অদ্ভুত আলখাল্লা জাতীয় পোশাক, সে পোশাক এসে হাঁটুর নীচে শেষ হয়েচে। পায়ে মোজাহীন বুটজুতো। কোথায় দেখেচি এক্জে, কোথায়? এত চেনা চেনা লাগচে কেন?
    আবারো পরিষ্কার বাংলাভাষায় সে বল্লে- "ম্গ্ফহ-য়ে স্বাগত !'

    -"মংগফ?''

    -"ম্গ্ফহ। আপনি মংগফ বলতে পারেন । একটা জিভে এর চেয়ে বেশী আর উচ্চারণ করতে পারবেন না।"
    -"ত্ত..তুমি...আপনি কে? আপনি কি মানুষ? এ কোন জায়গা? শিগগির বলুন... নইলে...''-আমি হাতের বন্দুক উঁচিয়ে ধরলুম।

    আশ্চর্য ! হাত-পায়ে আমার যেন খিল ধরে গেল। বন্দুক হাত থেকে খসে পড়ে গেল। যেন স্তম্ভন হয়েচে। আমি সেখানেই বজ্রাহতের মত দাঁড়িয়ে রইলুম।

    -" বন্দুকের দরকার নেই। আমি যেই হই, আপনার শত্রু নই। আমি দূর গ্রহ থেকে এসেচি। আপনার ও আমার শত্রু একই। কিন্তু সে বড় ভয়ানক। সেও পৃথিবীর মানুষ নয়। এই গুহার নাম ম্গ্ফহ। এ এক ভয়ানক গোলকধাঁধা। অজস্র গলিঘুঁজি-ভুলভুলাইয়া রয়েচে। এর মধ্যে তাকে খুঁজে বের করা দুঃসাধ্য ব্যাপার। এক কাজ করুন। আপনি বাঁদিকের রাস্তা ধরে চলে যান। আমি ডানদিকের রাস্তা ধরি। বিপদে পড়লে "গোলাপীবাবু" বলে চীৎকার করবেন। এটা যদিও আমার আসল নাম নয় ! নিন, টর্চ তুলে নিন।" বলে সে একটু হাসল। অমনি সাথে সাথে আমার হাত-পায়ের বল আবার ফিরে এল।

    গোলাপীবাবু ! এতক্ষণে মনে পড়ল। এ তো মানিকের গল্পের বই থেকে উঠে এসেচে ! কিন্তু তা কী করে হয় ! সে তো সত্যিকারের প্রাণী নয়, গল্পের চরিত্রমাত্র। তাহলে?

    -"গোলাপীবাবু, শুনুন.."
    কোথায় কে ! আলো মিলিয়ে গেছে। সঙ্গে গোলাপীবাবুও। আমি টর্চ তুলে নিলুম।

    এখন তোমরা ছেলেছোকড়ার দল হয়তো বলবে, বুড়োটা ড্যাম লায়ার। যত রাজ্যের আজগুবি গপ্পো ফাঁদচে। সে কালে বসে সে মানিকের বই পড়ে কী করে ! অ্যানাক্রনিজম বা ঐ কী বলো তোমরা-কালানৌচিত্য দোষ - ইত্যাদি সাতপাঁচ নানারকম কথা পাড়বে।
    তা আমিও বলি বাপু, তোমরা আজকাল কথায় কথায় বড্ড দোষ ধরো। ছাত্রের দোষ, দিদিমণির দোষ, বাবা-মা'র দোষ, ইস্কুলের দোষ, ইউজিসি-র দোষ, বিষ্ঠার দোষ! আমাদের সময় আমরা অত দোষঘাট বিচার করতুম না। স্থান-কাল-পাত্রাপাত্র বিচার না করে যা পেতুম পাঠ্য-অপাঠ্য সব একধারসে পড়ে ফেলতুম। আমাদের কালে অ্যানাক্রনিজম বলে কিছু ছিল না। থাকলে কি আর মানিকের ঐসব মজাদার লেখাপত্তর, কি জয় গোসাঁইয়ের কবিতা পড়তে পেতুম !
  • T | 24.139.128.15 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ২১:৪২619036
  • অ্যাঁ! শেষে এই।
  • | 24.97.164.224 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ২১:৪৬619037
  • যাঃ
  • kc | 188.61.96.29 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ২১:৫০619039
  • গন্ধটা অনেকটা ইন্দোর মতন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই প্রতিক্রিয়া দিন