এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ranjan roy | 132.175.163.14 | ২৪ অক্টোবর ২০১৩ ১২:২৮621360
  • গুরুর পাতায় কারা লেখেন? মেইন লাইনের পলিটিশিয়ান না সাইডলাইনে বসে থাকা জ্ঞানীরা?
    মেইনস্ট্রীম পলিটিশিয়ানরা যদি গুরুতে লিখবেন তবে পার্টি জার্নালে কে লিখবে?
    ফের ইস্যু ছেড়ে বক্তার প্রতি নজর?

    কমিউনিস্ট পার্টির মেম্বার ( সমর্থকদের কথা নয়)
    আদৌ কোন ব্যক্তিগত ধর্মাচরণ করতে পারেন কি না?
    বা, করলে তাঁর ঘোষিত নিরীশ্বরবাদী নাস্তিক দর্শনের( দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ) প্রতি আনুগত্যে প্রশ্নচিহ্ণ তোলা যাবে না? স্পষ্টতঃ ধার্মিকচিহ্ণ ধারণ করলেও না? তিনি বিশেষ দলের নেতা, অথচ ব্যক্তিগত আচরণ সেই দলের ঘোষিত আদর্শের বিরোধী হলেও?
    লালুপ্রসাদের আচরণ নিয়েও ওনার ভক্তরা একই রকম ভাবেন। বা জনৈক "বাপু"র ভক্তরাও।
    সবাই খালি ষড়যন্ত্রের গন্ধ পায়!
  • cm | 71.95.189.220 | ২৪ অক্টোবর ২০১৩ ১২:৩৪621361
  • তাবলে তক্কোটাই বেকার নয় পরিবারটাই খারাপ।
  • PT | 213.110.243.21 | ২৪ অক্টোবর ২০১৩ ১৩:০১621362
  • "চোখে আঙুল দাদা" তো সকল সাইডলাইনের ধারে বসে জ্ঞানদান করা পাবলিককে নিয়েই লেখা। যতদূর মনে করতে পারি, এই নাটকটি সমালোচনাজীবি (বুজির আরেক প্রকারভেদ) ব্যক্তিমানুষকেই কেন্দ্র করে লেখা-কোন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নেই।

    সব বক্তব্যেই ব্যক্তি আক্রমণ নামক ষড়যন্ত্রের গন্ধ পেলে চলবে?
  • কল্লোল | 125.244.228.38 | ২৪ অক্টোবর ২০১৩ ১৩:৩৩621363
  • আরেঃ রঞ্জন তুমিও পরো। পিটি কি এসব কথা জানে না নাকি!!
    ওর মহান দায়িত্ব আছে সিপিএমের সব কিছু ডিফেন্ড করার। তাতে ওর যুক্তি কম পড়ে যায়। তখন ও দুটো লাইনে খেলে -
    ১) আমি বলছি এ চোর। পিটি তখন বলে - কেন, বি সি ডিও তো চোর।
    লাও বোঝো। তাতে কি আর এ-র চোর হওয়া আটকায়?
    ২) নাম না করে ব্যক্তি আক্রমন। যদি সোজাসুজি জিজ্ঞাসা করা যায় তবে অস্বীকার করে - "তাহলে তো নাম ধরেই লিখতাম" এই কথা বলে।
    এই যে পিটি সাইড লাইন-টাইন বলে যাচ্ছে এটা তো আমাকে বলা নয়। অন্যদের বলা যারা মনে মনে আমায় সাপোর্টচ্ছেন, তাদের।
    আমি তো সাইড লাইনে থাকি না। দরকার হলে রাস্তায় নামি। সে মমতাকে কালো পতাকা দেখানোই হোক বা নন্দীগ্রাম, সেটা তো পিটি জানেই।

    এগুলো পিটির খেলা খেলা সারা বেলা।
    ওতে রাগ কত্তে নেই।
  • PT | 213.110.243.21 | ২৪ অক্টোবর ২০১৩ ১৪:২২621364
  • কল্লোলদা

    তুমিও কি সিপিএমের নিন্দে করার জন্য দোকান খুলে বসে নেই। "ভ্ন্ড" শব্দের তীব্রতা সম্পর্কে তোমার কোন ধারনা আছে বলে তো মনে হয় না। এই শব্দ ব্যবহার করে তুমিও তো ব্যক্তি আক্রমণই করছ। বলার স্বাধীনতা আছে বলে যাকে যা খুশী বলে দেওয়া যায় নাকি?

    কালো পতাকা দেখিয়ে তুমি আত্মশ্লাঘা বোধ করতে পার। কিন্তু তাত্বিক তোল্লাই দিয়ে মমতাকে ক্ষমতায় দেখার চিন্তা যে চুড়ান্ত বালখিল্য রাজনীতি ছিল সেটা ধামা চাপা দেওয়ার জন্যই হয়্ত কালো পতাকা নিয়ে রাস্তায় নেমেছ এমনও তো হতেই পারে।

    এবার সরাসরিই বললাম। যাতে তোমাকে কি বলছি তাই নিয়ে RR-এর কোন confusin না থাকে।
  • PM | 233.223.153.221 | ২৪ অক্টোবর ২০১৩ ১৫:১৭621365
  • যদ্দুর মনে পড়ছে ব্যঙ্গালোরের রাস্তা দিয়ে মমতা চলে যাওয়ার পরে তিন চার জনে মিলে সেখানে পৌছে একটি কালো পতাকা নাড়িয়েছিলেন। এই ইন্ভেস্ট্মেন্টটি গুরুর পাতায় আর কদিন সুদ দেবে ? সুদ তো মনে হয় আসলের তিন গুন হয়ে গেলো ঃ)

    তার চেয়ে একটু রেকারিং ইন্ভেস্ট্মেন্ট করুন--রোজ রাতে শুতে যাবার সময় ব্যঙ্গলোরের বাড়ির জানলা থেকে মমতার উদ্দেশ্যে একটু কালো পতকা নেড়ে দিন।

    দিনের বেলা সিপিয়েম ব্যসিং চালিয়ে যান- যেমন চালাচ্ছেন ঃ)
  • ranjan roy | 132.175.163.14 | ২৪ অক্টোবর ২০১৩ ১৫:১৮621366
  • পিটি,
    ধরেই নিলাম কল্লোল ও আমি সিপিএম এর নিন্দে করার জন্যে দোকান খুলে বসে আছি আর আপনি তিরিনো -বুজি-এপিডি আর-মানবাধিকার ইত্যাদির জন্যে। তাতে কি এল গেল?
    কথা হচ্ছে আমাদের বা আপনার দেওয়া তথ্য বা যুক্তির যাথার্থ্য নির্ণয়েই আলোচনা কেন সীমাবদ্ধ থাকবে না?

    দেখুন, সুরজিত একটি বড় দেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক অবস্থায় শিখ নামক ধার্মিক সম্প্রদায়ের সুনির্দিষ্ট প্রতীক ধারণ করতেন ও গুরুদ্বারা কমিটির রাজনীতিতে সংলগ্ন থাকতেন। তাহলে মার্ক্সিস্ট আদর্শের দর্শনের ( দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদের) যে নিরীশ্বরবাদী ধারণা ও ধর্মকে জনগণের আফিম বলা তার বিপরীত আচরণ করা হল না কি? উনি সাধারণ সমর্থক নন, রোল মডেল। তাহলে একে ভন্ডামি ছাড়া কি বলা যায় আপনিই বলুন!
    আপনি এড়িয়ে গেলেন। বললেন--"যাকে যা খুশি বলা যায় নাকি?"
    কোথায় " যাখুশি" বলা হয়েছে? নির্দিষ্ট তথ্য ও আদর্শগত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে সমালোচনা করা হচ্ছে।
    আপনি বলুন যে ঃ
    ১)সুরজিত ওসব ধারণ করতেন না, কুৎসা করা হচ্ছে। অথবা,
    ২) পার্টিমেম্বারদের ব্যক্তিগত ধর্মাচরণে কোন বাধা নেই; এটা আদৌ আদর্শের পরিপন্থী নয়। তাহলে আপনার আক্ষেপ দাঁড়াবে।

    কিন্তু আপনি সুরজিতের মত মহান নেতার সম্বন্ধে প্রশ্ন তোলার অধিকারকেই আক্রমণ করছেন। খেয়াল করুন, আজ লালুর বা আশারাম বাপুর ভক্তরা একই বক্তব্য রাখছে--- এই সব তুচ্ছ লোকে কি করে অমন লোকের বিরুদ্ধে কথা বলছে!

    আর আপনার যুক্তিপরম্পরা মানলে গুরুর পাতায় অনেকেরই শচীন, সৌরভ, ফাব্রেগাস, ইনিয়েস্তা, জাভি নিয়ে কথা বলার অধিকার থাকে না।
    বা যাঁরা গৌতম দেবের মত হাতে গুন্ডার ছুরির ঘা বা মমতার মত মাথায় লাঠির বাড়ি খান নি তাঁদের ও ওই দুই নেতার সমালোচনার
    অধিকার থাকে না!!!
  • cm | 71.95.189.220 | ২৪ অক্টোবর ২০১৩ ১৫:৩৭621367
  • সরাসরি এ আলোচনায় না ঢুকে বরং একটা অন্য গপ্পো করি। ধরা যাক কোন একটা থিওরেমের কতগুলো কন্ডিশন স্যাটিসফাই করলে কিছু কনক্লুশন টানা যায়। এখন কখনো কখনো এমনো হয় যে কোন একটা কন্ডিশন বাদ দিলেও গোটা কনক্লুশন ফলো না করলেও অনেকটাই ফলো করে। তাহলে এই ক্ষেত্রে কি বলা যায় যে সব কন্ডিশন না মিটলেও থিওরেমটি প্রাসঙ্গিক?
  • ranjan roy | 132.175.163.14 | ২৪ অক্টোবর ২০১৩ ১৫:৪৯621369
  • পিএম,
    সিপিএম কে হারিয়েছে সিপিএম।
    সিপিএম ব্যাশিং ও করছে সিপিএম।
    একের পর এক সিপিএম টিকিটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা তিনোয় যোগ দিচ্ছে, বিরুদ্ধে ভোট দিচ্ছে।
    মার্কসবাদকে বিজ্ঞান ঘোষণা করা দল নতুন ফরমান দিচ্ছে যে মেম্বারদের ব্যক্তিগত ধর্মাচরণে কোন বাধা নেই, এতদিন ছিল! যে রাজ্যে সিপিএম ক্ষমতায় আছে সেখানে এক নেতা ঠিকেদারি করে দুকোটি টাকা কামিয়ে দশলক্ষ টাকায় শুয়ে সগর্বে ঘোষণা করছে যে অন্য কমরেডরাও রোজগার করছে, আমি ওদের মত ভন্ড নই!

    এর বেশি ব্যাশিং করবে কারো সাধ্য কি!

    আর যখন সংখ্যাতত্ত্বে এলেন তো বিনীত প্রশ্ন--- মমতা কমরেড সুদীপ্ত গুপ্তের মৃত্যুর পর কতবার লুরুতে গেছেন? আর লুরুবাসী কল্লোল কতবার পথে নেমেছে? এদিকে কোলকাতাবাসী গুরুর দল কতবার মমতাকে সামনে বা পেছনে কালো পতাকা দেখিয়েছেন?
    আর সুদীপ্তের বাবা যে ইদানীং নিজের ছেলের মৃত্যুর তদন্ত নিয়ে কথা বলতে আলিমুদ্দিনে গিয়ে দুর্ব্যবহার পেয়ে প্রেসের কাছে ভেঙে পড়েছিলেন সেটাও মনে করুন। ওনার অপরাধ আগে থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করে কেন আসেন নি?
    গৌতম দেব এক মুম্বাইয়ের ব্ল্যাকলিস্টেড দালালকে নিয়ে আলিমুদ্দিনে চা পার্টি করে প্রেস কে বললেন-- মুলায়েমের দূত এসেছে, ওঁরা জ্যোতিবসুর শতবার্ষিকী উদযাপন করবেন।
    তড়িঘড়ি এস পি অস্বীকার করে স্টেটমেন্ট দিল যে সব মিথ্যে। লোকটা ওদের কেউ নয়, আর শতবার্ষিকীর জন্যে ওরা কিছুই ভাবে নি।

    আর কারো ব্যাশিং য়ের দরকার আছে?
  • PT | 213.110.243.21 | ২৪ অক্টোবর ২০১৩ ১৬:৪৫621370
  • এড়িয়ে গেলাম আমি?

    জানতে চেয়েছিলাম যে কাছা দিয়ে ধুতি পরলে সেটা ধর্ম-নিরপেক্ষ পোষাক হয় কিনা!! সে উত্তর তো পেলামই না তার বদলে আমার যুক্তিহীনতা ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তৃত গাল শুনলাম।

    আর "সুরজিতের মত মহান নেতার সম্বন্ধে প্রশ্ন তোলার অধিকারকেই আক্রমণ" কোথায় করলাম? আপত্তি করেছি "ভন্ড" নামক শব্দটি প্রয়োগ করার ব্যাপারে। সেটাও করা হচ্ছে এক মৃত ব্যক্তির ব্যবহারিক জীবন সম্পর্কে। তাঁর রাজনীতিকে আক্রমণ করুন না-কে বারণ করছে!

    আমার চেনা এক শিখ বন্ধুর কাছে শুনেছিলাম যে শিখধর্মে পাগড়ী লাগানোর অন্যতম কারণ জতটা না ধর্ম তার নাকি অনেকটা এইরকমঃ "Upon establishing turban as a Sikh identity Guru Gobind Singh Ji said, “My Sikh will be recognized among millions”!!

    বুদ্ধবাবু বা জ্যোতিবাবুও তাঁদের ধার্মিক (হিন্দু) পুর্বপুরুষদের কাছ থেকেই কাছা দিয়ে ধুতি পরা শিখেছিলেন। আর এই উপমহাদেশে (এমনকি বিলেতের রাস্তাতেও) কাছা দেওয়া ধুতি পরা লোককে দেখলে প্রায় চক্ষু মুইদ্যা হিন্দু হিসেবেই ধরে নেওয়া যায়।
  • PT | 213.110.243.21 | ২৪ অক্টোবর ২০১৩ ১৬:৪৭621371
  • **যতটা না ধর্ম তার চাইতেও নাকি
  • সিকি | ২৪ অক্টোবর ২০১৩ ১৬:৫২621372
  • কাছা দিয়ে ধুতি পরাটা ধার্মিক?

    হে লুঙ্গিপ্রেমীগণ, লুঙ্গি পরাটাও কি ধার্মিক ব্যাপার?
  • PT | 213.110.243.21 | ২৪ অক্টোবর ২০১৩ ১৬:৫৫621373
  • হিন্দুত্বের পরিচায়ক তো বটেই!
  • সিকি | ২৪ অক্টোবর ২০১৩ ১৭:০৬621374
  • মাইরি এইভাবে জানা ছিল না। কাছা দিয়ে ধুতি মূলত বাঙালি পোশাক, এইভাবে জানতাম।
  • PT | 213.110.243.21 | ২৪ অক্টোবর ২০১৩ ১৭:১২621375
  • প-ব-র বাঙালীরা (বিশেষতঃ উচ্চবর্ণের বাঙালী) চিরকাল হিন্দু বাঙালী আর মুসলমান বাঙালীকে "বাঙালী" আর "মুসলমান" হিসেবে ভেবে ও ডেকে এসেছে। বাচ্চা বয়স থেকে "দুর্গাপুজা বাঙালীর সব চাইতে বড় উৎসব" লিখেছি রচনায়। সংখ্যার বিচারে এটা তো বোধহয় ঈদ সম্পর্কে বলা উচিৎ।
  • কল্লোল | 125.242.233.153 | ২৪ অক্টোবর ২০১৩ ১৮:৩৩621376
  • পিএম। কার সুদ কে দেয়।
    আমি চেষ্টা করি আমার কাছে যা প্রতিবাদ যোগ্য সেটর সাধ্য মতো প্রতিবাদ করা।
    ১) প্রথমতঃ দুটো লোক নয়, অনেকেই গেছিলো সেদিন কলো পতাকা দেখাতে। আমরা তিনজন আমি, একক আর সাত্যকি একটু দেরীতে পোঁছেছিলাম। ব্যাঙ্গালোরের এসএফ`আই ও ছিলো। তরা সময় মতোই পৌঁছেছিলো।
    আপনার অবগতির জন্য জানাই - প্রতিবাদটি আমি ও সাত্যকি ইনিশিয়েট করেছিলাম। এখানকার এসএফ`আইকে আমরাই রাস্তায় নামাতে উদ্যোগ নিয়েছিলাম।
    ২) কামদুনি নিয়েও সই সংগ্রহ হয়েছে। এটাতেও এসএফ-আই বন্ধুরা ছিলো, ঝান্ডা না নিয়ে।
    ৩) গৌহাটি ও মুম্বাই বিস্ফোরন ও হামলায় রাস্তায় ছিলাম
    ৪) ভূপাল গ্যাস কান্ডে খোলামকুচি রায়ের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছি।
    ৪) নন্দীগ্রাম নিয়ে প্রতিবাদেও রাস্তায় ছিলাম।
    আর এই সবগুলোর জন্য শুধু দলে ভিড়ে যাই নি। উদ্যোগ নিয়েছি।

    এই ৫৮ বছরের জীবনে দুবার সরকারী অতিথি হতে হয়েছে রাজনৈতিক কারনে। আর সেগুলো বিকালে ঢুকে - সন্ধ্যায় ছেড়ে দেবার মতো খেলা খেলা ছিলো না।
    কাজেই কার সুদ কে দেয়।

    অনেকেই বড় বড় কথা বলেন এখানে। অন্যায়ের প্রতিবাদে রাস্তায় নামছেন, এমন তো হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া দেখি না।

    সাইড লাইনের তত্ত্ব অনেকটা আকাশের দিকে ছোঁড়া থুৎকারের মতো হয়ে যাচ্ছে।
  • কল্লোল | 125.242.233.153 | ২৪ অক্টোবর ২০১৩ ১৮:৪০621377
  • পিটি।
    হ্যাঁ, ব্যক্তি সুরজিত সিংকে ব্যক্তিগত ভাবেই ভন্ড মনে করি।
    তোমায় আর কি বলব। তুমি আমায় ভন্ড বলেছো। তাতে কিই বা আসে যায়। কিন্তু সেটা ব্যাক্তি আক্রমণ। পিএমও তাই করলেন।
    যাগ্গে। ভালো থাকুন/থেকো।
  • কল্লোল | 125.242.233.153 | ২৪ অক্টোবর ২০১৩ ১৮:৪৬621378
  • "কাছা দেওয়া ধুতি পরা লোককে দেখলে প্রায় চক্ষু মুইদ্যা হিন্দু হিসেবেই ধরে নেওয়া যায়।" কি সব যুক্তি!!!
    তাহলে চিদাম্বরম, করুণানিধি, কামরাজ, রাজাগোপালচরী, রজনীকান্ত - এরা হিন্দু নয়, সেটাও "প্রায় চক্ষু মুইদ্যা" কইয়া দেওয়া যায়।
  • PT | 213.110.243.21 | ২৪ অক্টোবর ২০১৩ ১৯:০৯621380
  • কল্লোলদা

    তুমি যাকে যা খুশী বলতেই পার সেতো আগেই বলেছি। তাতে তুমি আনন্দও পেতে পার। কিন্তু সেটাতে যুক্তি বিশেষ নেই। অবিশ্যি অনেকে বিখ্যাত লোকেদের গালাগাল দিয়ে নিজেরা খ্যাতি অর্জনের চেষ্টা করে। তুমি সেই চেষ্টায় রত কিনা সেটা বুঝতে পারছি না।

    আর কাছা নিয়ে বেশ একটু গা জোয়াড়ি তক্ক হচ্ছে। কজন মুসলমানকে কাছা দিয়ে ধুতি পরতে দেখেছ? বাংলাদেশে কারা কাছা দিয়ে ধুতি পরে? মুজঃফর আহমেদ ধুতি পড়তেন কিনা সেটাও জানতে সাধ হচ্ছে। না পরলে কেন পরতেন না তার কারণও।

    এ তক্ক চালু রাখাই যায়। চিদম্বরম, রাজাগোপালাচারী, কামরাজ ইত্যাদিরা মাছ মাংস ডিম খান/খেতেন কিনা-না খেলে কেন খান/খেতেন না সেটা জানলেও ভাল লাগত।

    অর্থাৎ শুধু পাগড়ী নয় সেকুলর দেশের রাজনীতিবিদদের কেউই তাঁদের ধার্মিক/পারিবারিক tradition ছাড়তে না পারার কারনে গোটা দেশটি গত ৬৫ বছর ধরে ভন্ডদের দ্বারাই পরিচালিত হচ্ছে। তার মধ্যে থেকে শুধু একজনকে বেছে নিয়ে ভ্ন্ড ছাপ্পা লাগালে যে লাগায় তার sense of judgment ও রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা নিয়ে তুমুল সন্দেহ হতে থাকে।
  • PT | 213.110.243.21 | ২৪ অক্টোবর ২০১৩ ১৯:৪৫621381
  • "তোমায় আর কি বলব। তুমি আমায় ভন্ড বলেছো। তাতে কিই বা আসে যায়। কিন্তু সেটা ব্যাক্তি আক্রমণ।"

    কল্লোলদাঃ তোমায় খুব বেশী হলে আমি "চোখে আঙুল দাদা"-বলেছি। তবে মনে করিয়ে দিই যে এর আগে একবার বুদ্ধবাবুর স্ত্রী সম্পর্কেও তুমি unparliamentarian শব্দ প্রয়োগ করেছিলে। আমি তখনও তার প্রতিবাদ করেছিলাম।
  • siki | 131.243.33.212 | ২৪ অক্টোবর ২০১৩ ২০:০২621382
  • মমতা চলে যাবার পর কয়েকজন কালো পতাকা নাড়িয়েছিল, এই স্টেটমেন্টটা, বলতে বাধ্য হচ্ছি, পুরোটা না জেনে একটা ফ্লাইং স্টেটমেন্ট। পিএম জানেন কিনা জানি না, কালো পতাকা দেখানোর কথা কোনওভাবে মমতার কাছে আগেই পৌঁছে গেছিল। ফলে সিকিওরিটি এই কলোপতাকা দেখানেওয়ালাদের সঙ্গে খুব সুন্দর রকমের একটা লুকোচুরি খেলেছিল সেদিন। মিডিয়াতে ব্রডকাস্ট করা হয়েছিল মমতা নির্দিষ্ট ফ্লাইটে না গিয়ে দেড় ঘণ্টা পরের ফ্লাইটে যাচ্ছেন ব্যাঙ্গালোর। কালো পতাকা দেখানেওয়ালারা সেইমত তাদের প্ল্যান রিসেট করে। মনে রাখতে হবে সেদিন ছিল উইকডে। সবাইকার অফিস ছিল। এবং এতকিছু হবার পরে সবাইকে ভড়কি দিয়ে মমতা তার পূর্বনির্দিষ্ট ফ্লাইটে, অথবার তারও আধঘণ্টা আগের একটা ফ্লাইটে ব্যাঙ্গালোর চলে আসেন, এবং সোজা মান্না দে-র বাড়িতে চলে যান।

    কালো পতাকা দেখানেওয়ালাদের কানে যতক্ষণে এ খবর পৌঁছয়, এবং অফিস থেকে ম্যানেজ করে যতক্ষণে তারা বেরোতে পারেন, ততক্ষণে ব্যাঙ্গালোরের রাস্তায় জ্যাম শুরু হয়ে গেছে, এবং গন্তব্যে তারা পৌঁছবার আগেই মমতা সগৌরবে নিজের কাজ সেরে এয়ারপোর্টের দিকে বেরিয়ে যান।

    একটা বড় রকমের লুকোচুরি খেলে সেদিন এদের ভাঁওতা দিয়েছিল মমতার সিকিওরিটি টিম। একেবারে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করার মতন ব্যাপার হলে সিকিওরিটি সম্ভবত এই খেলা খেলত না। তাই ফাঁকা মাঠে গিয়ে কালো পতাকা নাড়িয়ে আসার মাহাত্ম্যটাকেও আমি খুব কম করে দেখতে রাজি নই।
  • cm | 127.193.51.43 | ২৪ অক্টোবর ২০১৩ ২০:২৩621383
  • আমি ভারী বোকা হয়ে গেছি তাই তক্কোটার মাথামুন্ডু বুঝছিনা। তাহলে কি এপিঠওপিঠ করে বুদ্ধ ভটচাযের নাম বহধ্দ্ব্দ্স্স্জ দ্ঘ্দ্শ্দ্শ্দ্শ করা উচিত তাহলে কোন ধর্মের সাথে যোগ থাকেনা। আপনারা সবাই যারা ধর্মের সাথে যোগ রাখতে চাননা তারা ওরকম নাম রেখেছেন নাকি?

    ওর চেয়ে মাথায় ঘোমটা দিয়ে মুসলমানদের ধাপ্পা দেওয়া শতগুণে নিন্দনীয় তা নিয়ে কি মত শুনি?
  • aranya | 154.160.226.53 | ২৪ অক্টোবর ২০১৩ ২০:২৮621384
  • নিরীশ্বরবাদ, ধর্ম না মানা - এসব ছাড়াও তো কমিউনিজমের অন্য দিক আছে - সব মানুষের সমান অধিকার ইঃ, সুরজিৎ হয়ত সেদিক টাকেই বেশী প্রাধান্য দিতেন। ভারতের রাজনীতিতে বিভিন্ন দলের মধ্যে সিপিএম-ই তার বিচারে সাধারণ মানুষ, গরিব মানুষ-এর জন্য সব চেয়ে বেশী কাজ করতে পারবে, এমন কিছু ভেবেছিলেন হয়ত।
    পার্টি মেম্বার মানে তো কারও কাছে দাসখত লিখে দেওয়া নয়

    পিটি লিখেছেন - 'যারা কিছু না করেই (এমনকি পাগড়ি বা কাছা কিছুই ধারণ না করেও) ভন্ডামি করে তাদের নিয়ে তো বহু আগেই "চোখে আঙুল দাদা" থ্যাটার লেখা হয়েছিল' । "চোখে আঙুল দাদা"-রা ভন্ড, তা লেখা পড়েই বোঝা যাচ্ছে। তবে কল্লোল-দা কিছু না করে অন্যের দিকে আঙুল তোলেন - এ জিনিস মানে, হজম করা মুশকিল
  • ranjan roy | 24.97.222.112 | ২৫ অক্টোবর ২০১৩ ০০:৪৭621385
  • অরন্য,
    সুরজিতের কথা উঠেছে আজ সিপিএম কমরেডদের ব্যক্তিগত ধর্মাচরণে ছাড় দিয়েছে বলে। এতদিন দেয় নি, কোন কমিউনিস্ট পার্টিই দেবে না। তো এটা আদর্শগত বেসিক ব্যাপার।তাই হজ যাত্রা ইত্যাদি নিয়ে কৈফিয়`চাওয়া হত।
    সে নিয়ে উচিত-অনুচিত এড়িয়ে গিয়ে পিটি তুললেন 'কাছা দিয়ে ধুতি পরা ' হিন্দুত্বের চিহ্ন ' ইত্যাদি প্রশ্ন। মুজফফর আহমদ শার্ট প্যান্ট পাজামা পড়তেন। আব্দুল গণি, রেজ্জাক খানও তাই। মহম্মদ ইলিয়াস, মহম্মদ ইসমাইল ও মহম্মদ আমিনরা হাফ শার্টের সঙ্গে প্যান্ট, পাজামা ইত্যাদি পড়তেন। বঙ্গে ধুতিটা প্রধানতঃ বাঙালীবাবুদের চিহ্ন, মূলতঃ করণিকদের। আদৌ হিন্দুত্বের নয়। ফ্যাক্টরিতে কর্মরত শ্রমিকদের অধিকাংশ পেশার তাগিদেই হাফ ও ফুল প্যান্ট, পাজামা ইত্যাদি পড়েন।
    নাম্বুদ্রিপাদ, গোপালন এঁরা কাছা না দিয়ে ধুতি পড়তেন।
    পিটির অ্যাসাম্শন হল-- মুসলমানরা কাছা না দিয়ে ধুতি পড়ে, তাহলে কাছা দিয়ে ধুতি মানেই হিন্দুত্বের ধার্মিক প্রতীক।
    তাহলে দাড়ি না রাখা কমরেডরা "হিন্দু" কমরেড?

    ধুতি-পাজামা-প্যান্ট মূলতঃ সময় , এলাকা, পেশার সঙ্গে যুক্ত পোশাক।
    কিন্তু শিখদের কেশ, কাচ্ছা, কঙ্গন, কৃপাণ ইত্যাদি ঘোষিত ভাবেই ধার্মিক প্রতীক, যেমন হিন্দুদের উপবীত।কোন পার্টি মেম্বার যদি উপবীত ধারন করেন তবে তিনি অবশ্যই ভন্ডের তকমা পাবেন।
    আর জেনারেল সেক্রেটারি পার্টির নীতি ও এথিক্সের সিম্বল। কাজেই তাঁর ধর্মীয় পোশাকের সঙ্গে আইডেন্টিফাই করা অবশ্যই রং মেসেজ দেবে। ওঁর কোন শারীরিক বৈশিষ্ট্য, মুদ্রাদোষ বা একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার নিয়ে কথা হচ্ছে না তো!

    পিটি এড়িয়ে যান নি?
    তো বলুন না আপনার কী মত? মানে কমিউনিস্ট পার্টির নেতাদের ধর্মাচরণের অধিকার নিয়ে? এটাই তো মূল কথা। মানে এখন আর রেজ্জাক মোল্লার মার্ক্সের আগে মহম্মদকে বসানো বা হজ নিয়ে শো-কজ করলে পার্টি শক্তি হারাবে, তাই কি মৌলিক নীতিতে পরিবর্তন?
  • ranjan roy | 24.97.222.112 | ২৫ অক্টোবর ২০১৩ ০২:১৩621386
  • সিএম,
    এটা কি কথা বললেন? প্রশ্নতো আপনার-আমার মত লোকদের নিয়ে নয়। আমি তো সাইড লাইনে বসে ফালতু কপচানো লোক।প্রশ্ন হল কমিউনিস্ট পার্টির মেম্বার বিশেষ করে নেতাদের নিরীশ্বরবাদ নিয়ে।
    কমিউনিস্ট আদর্শের মূল তিনটে খুঁটি।
    এক, দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ নামক নাস্তিক দর্শনে আস্থা। এর মানেই কোন আস্তিক ভাববাদী দর্শনে অনাস্থা। কোন অতীন্দ্রিয় শক্তিতে অবিশ্বাস। পূজো আচ্চায়, প্রার্থনায়, আধিভৌতিক শক্তিতে অনাস্থা।
    দুই, একই দর্শনের প্রয়োগে ইতিহাসের বস্তুবাদী ব্যাখ্যায় অর্থাৎ সমাজের চালিকা শক্তি হিসেবে শ্রেণী সংগ্রামে আস্থা।
    তিন, মানুষ সচেতন ভাবে সমাজ পরিবর্তনে সক্ষম-- এই আস্থার লজিক্যাল করোলারি হিসেবে শ্রমিকশ্রেণীর পার্টির নেতৃত্বের প্রয়োজনীতায় আস্থা।
    আর এই তিনটে আলাদা স্বতন্ত্র আস্থা নয়। প্রথমটা মানলে পরের গুলো প্রায় লজিক্যাল নেসাসিটি।

    ফলে প্রথমটাই না মানলে কমিউনিস্ট সমর্থক হওয়া যায়, পার্টিমেম্বার হওয়া যায় না। নেতা হওয়া অবশ্যই ভন্ডামি। ভাবের ঘরে চুরি।

    আর সেকুলার কান্ট্রিতে কোন রাষ্ট্রনায়কের কোন ধর্মের প্রতি বাহ্যিক পক্ষপাত থাকাই উচিত নয়। বিভিন্ন দিনে শুভেচ্ছা বাণী দেওয়ই যথেষ্ট। নিজের ঘরের ভেতর ধর্মাচরণ করুন( কমিউনিস্ট না হলে)। কোন সম্প্রদায় আয়োজিত সার্বজনিক পূজো-প্রার্থনায় না যাওয়াই উচিত।
    এ ব্যাপারে নেহরু আদর্শ।
    মাথা ঢেকে মসজিদে বা গুরুদ্বারায় ( সেখানেও মেয়েদের মাথা ঢাকতে হয়) রাষ্ট্রনায়কের যাওয়া মানে ধর্মীয় ভাবাবেগ এক্সপ্লয়েট করে রাজনৈতিক মাইলেজ তোলার চেষ্টা, যেই করুক। এখন যিনি রাজনৈতিক আদর্শে নিরীশ্বরবাদী নন তাঁর মাথা ঢেকে অন্য ধর্মের অনুষ্ঠানে যাওয়া আর রাজনৈতিক মতাদর্শে নিরীশ্বরবাদী হয়ে ধার্মিক প্রতীক পালন করে গুরুদ্বারা কমিটির নির্বাচনে সক্রিয় ভাবে মাথা গলানো--- কোনটা বেশি ভন্ডামি ভেবে দেখুন।
    নাম-পদবি জন্মসূত্রে পাওয়া ; কিন্তু অ্যাডাল্টের ধার্মিক আদর্শ নির্বাচন তাঁর নিজস্ব ভল্যুশন। তাঁর চেতনার সংজ্ঞা।
    স্তালিন তাঁর পিতৃপ্রদত্ত নাম জোসেফ বর্জন করেছিলেন কী? বুদ্ধদেব কোন দুঃখে বদলাতে যাবেন।
    কিন্তু যাঁরা বলেন " আমি আগে ব্রাহ্মণ, তারপর বা`ঙালী, তার পর কমিউনিস্ট" বা " মার্ক্সের চেয়ে মহম্মদ বড়" তাঁদের কমিউনিস্ট নেতা বলে মেনে নেওয়া মুশকিল।
  • aranya | 154.160.226.53 | ২৫ অক্টোবর ২০১৩ ০২:৪১621387
  • রঞ্জন-দা টেকনিকালি কারেক্ট।
    একটা অন্য কথা জিগাই - ধরুন কেউ বলল, কমিউনিজম, মার্ক্সিজম ইত্যাকার কোন ইজমে ইন্টারেস্ট নাই, পাতি মানুষের জন্য কাজ করতে চাই আর মনে করি পার্লামেন্টারী পার্টিগুলোর মধ্যে সিপিএম-এ যোগ দিলে সেটা সবচেয়ে ভাল ভাবে করা যাবে। সিপিএম কি তাকে মেম্বার করবে?
  • ranjan roy | 24.97.222.112 | ২৫ অক্টোবর ২০১৩ ০৩:০৪621388
  • এখন হয়তো করবে, জানি না।
    আগে হলে( আমাদের সময়) বলা হত AG মানে অ্যাকটিভ গ্রুপে এসো। একজন লোক্যাল পার্টি মেম্বার দায়িত্ব নেবেন। মানে মেন্টর হবেন।কোন একটি গণ সংগঠনে ( ছাত্র-যুব-শ্রমিক-কৃষক) নিয়মিত যুক্ত থেকে গন আন্দোলনে কাজ করতে বলবেন। পার্টি ক্লাসে নিয়মিত যেতে হবে। মতাদর্শগত শিক্ষা শুরু হবে। ছয়্মাস পরে পার্টির লোক্যাল সেল মেন্টরের ওপিনিয়ন নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ক্যান্ডিডেট মেম্বার করবেন বা করবেন না। শিক্ষানবিসির সময় আরো ছয়মাস বেড়ে যাবে। অনেকটা অফিসে প্রোবেশনের মত।
    আবার রিভিউ হবে। সেখানে মেম্বার হওয়ার জন্যে আবেদনকারী ব্যক্তিটির গণ আন্দোলনে নিষ্ঠা ও মতাদর্শগত দৃষ্টিকোণ নিয়ে কথা হবে (তাতে অব্শ্যই মার্ক্সের নিরীশ্বরবাদী দর্শন ও শ্রেণীসংগ্রামে আস্থার কোয়ালিটি দেখা হবে)। সন্তোষজনক না হলে আবার একবছর পিছিয়ে যাবে। হ্যাঁ, তৎকালীন পার্টি-প্রোগ্রামের প্রতি আস্থা ও কতটা বুঝেছে এটা খুব মহত্বপূর্ণ প্যারামিটার। এ ভাবেই আমার তিনকাকা, কাকিমা, পিসি ও এক দাদা সিপিএম এর মেম্বার হয়েছিলেন। আমি হচ্ছিলাম, এজি, ছাত্র-যুব'র জয়েন্ট সেক্রেটারি অবধি হয়েছিলাম। কলোনী এলাকার একটি মারকাটারি মেয়ে আমার সঙ্গে জয়েন্ট সেক্রেটারি।
    অনেক উজ্বল সম্ভাবনা!
    কিন্তু কপালে নেইকো ঘি, ঠকঠকালে হবে কী!
    মৌলানা আজাদে ভর্তি হয়ে ইডেন হোস্টেলের আড্ডায় ভীড়ে আমার ইহকাল-পরকাল, মানে সিপিএম-পড়াশুনো দুটোই গেল।
  • aranya | 154.160.226.53 | ২৫ অক্টোবর ২০১৩ ০৩:২৫621389
  • খুবই টাফ ক্রাইটেরিয়া ছিল এককালে, মেম্বার সিলেকশন প্রসেসে, শুনেছি এমন।
    সিপিএম, পড়াশুনো হয় নি, সে ঠিক আছে, প্রেমটা না হয়ে থাকলে সেটা একটা দুঃখের ব্যাপার বটে
  • PT | 213.110.246.230 | ২৫ অক্টোবর ২০১৩ ০৮:৪৪621391
  • RR

    আপনি যখন ঢুকেই পড়লেন আলোচনায় তখন বলি যে "ভ্ণ্ড" শব্দটি প্রায় শেষ বিশেষণ যার পরে আর বিশেষ কিছু বলার থাকে না। ভন্ডামি মাপার বহুবিদ উপায় আছে। আমার বিচারে হরকিষণ ভন্ড নন।

    যেমন ধরুণ গণতন্ত্রকে "রক্ষা" করার জন্য বিধানসভা লন্ড্ভন্ড করে এক্জন ক্ষমতায় এলেন। তাকেই গণতন্ত্রের রক্ষাকারী আখ্যা দিয়ে একদল তোল্লাই দিলেন। এই রাজনৈতিক চরিত্রটিকে কল্লোলদা বা আপনি ভন্ড বলেননি - অন্ততঃ এখনো পর্যন্ত। কাজেই আপনাদের দুজনেরই নিরপেক্ষতা নিয়ে আমার ব্যাপক সন্দেহ আছে আর তাই এত কথা।

    তার চাইতেও বড় কথা- আপনাদের চাইতেও বড় মাপের "চোখে আঙুল দাদা"রা আছেন-যারা আপনাদের দুজনের অত্যন্ত পছন্দের মানুষ। একজন শ্রদ্ধেয় অশোক মিত্র। কিংবা প-ব- পোচুর তথাকথিত "মানবাধিকার" কর্মী। অশোক মিত্র অর্থমন্ত্রীত্ব ছাড়ার পর থেকে বাম আন্দোলনের প্রসারের জন্য ঠিক কি কি করেছেন সেটার একটা তালিকা পেলে মন্দ হত না। আর পুলিশ-কর্তাকে মানবাধিকার কমিশনে ঢুকিয়ে দেওয়ার পরে বাম আমলের সতত প্রতিবাদী মানবাধিকার কর্মিদের চুলের ডগাটুকুও টিভিতে দেখেছি বলে মনে করতে পারছি না। এদেরকে আমি ভন্ড বলব? নাঃ-আমার মনে হয়না আমার সেই যোগ্যতা আছে।

    "বঙ্গে ধুতিটা প্রধানতঃ বাঙালীবাবুদের চিহ্ন"- এটাকে একটু ঠিক করে দিই। "বঙ্গে ধুতিটা প্রধানতঃ হিন্দু বাঙালীবাবুদের চিহ্ন"। জোর করে ধুতিকে "আপামর" বাঙালীর পোশাক বানানোর এই প্রচেষ্টার সঙ্গে বাস্তবের সঙ্গে কোন যোগাযোগ নেই।

    "কিন্তু যাঁরা বলেন " আমি আগে ব্রাহ্মণ, তারপর বা`ঙালী, তার পর কমিউনিস্ট" বা " মার্ক্সের চেয়ে মহম্মদ বড়" তাঁদের কমিউনিস্ট নেতা বলে মেনে নেওয়া মুশকিল।"

    হরকিষেন এইজাতীয় বক্তব্য রেখেছিলেন কোথাও? আর ফারাকটা আপনি দেখতে পাচ্ছেন না? যাঁর কাছে" মার্ক্সের চেয়ে মহম্মদ বড়" তিনি পার্টিতে ক্ষুদ্রতর হতে হতে প-ব-র একটা কোণে আশ্রয় নিয়েছেন। আর সুর্জিৎ দাড়ি-পাগড়ী নিয়েও একটি সর্ব-ভারতীয় - (কাস্ত্রোর কাছে the bread man) রাজনৈতিক চরিত্র হয়ে উঠেছিলেন।

    যারা কম্যুনিস্ট আদর্শকে লিখিতভাবে পরিত্যাগ করেছে বা বাম আন্দোলনের প্রসারের জন্য কোন চেষ্টা করেনা তাদের মুখ থেকে "কি করিয়া সাচ্চা কম্যুনিস্ট হইতে হয়" সম্পর্কে জ্ঞান শুনলে নিজের মজন্তালী সরকার হওয়া ছাড়া আর কিই বা করার থাকতে পারে?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই প্রতিক্রিয়া দিন