এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • অনির্বাণ | 69.93.255.248 | ০৩ নভেম্বর ২০১৩ ২০:৩৮623558
  • ইডেন থেকে এয়ারপোর্ট যেতে যেতে মফস্বলের, আমার সেই বাংলা ইস্কুলের মাঠ’টার কথা মনে পড়বে, যে মাঠে হয়তো আর কোনো দিন ফিরে যাওয়া হবে না। কেন বলো তো?

    ভয়ে। জাস্ট ভয়ে।

    যদি মাঠ’টা আর অতোটা বড় মনে না হয়? ক্লাস সেভেনের চার ফুট দশ ইঞ্চির উচ্চতা থেকে যে মাঠ’কে মনে হত দিগন্ত ছোঁওয়া, এখন যদি তাকে নিতান্তই ছোটো মনে হয়, তাহলে?

    বাকিটা এখানে - http://chup-kotha.blogspot.in/2013/11/blog-post.html

    (আমি এই সাইটে প্রথমবার পোস্ট করছি, ইপ্সিতা পালের নিমন্ত্রণে। টেকনিক্যাল গ্লিচ নিজ গুণে ক্ষমা করবেন।)
  • অনির্বাণ | 69.93.255.248 | ০৩ নভেম্বর ২০১৩ ২০:৫২623559
  • প্রিয় সচিন,
    এবার তোমার হাজার হাজার ইন্টারভিউ হবে। তোমার হাতে তো এখন অনেক সময়, সবাই বুম মাইক নিয়ে তোমার ঘাড়ের ওপর হামলে পড়বে। একটা বাইটের জন্য। সবাই তোমার গল্প শুনতে চাইবে। বারবার শোনা গল্পগুলো আবার ফিরে ফিরে আসবে। হয়তো নতুন কিছু গল্প শোনাও যাবে। প্রাক্তন, বর্তমান এমনকি ভবিষ্যৎ ক্রিকেটার’রা তোমাকে নিয়ে চ্যানেলে চ্যনেলে আলোচনা বন্যা বইয়ে দেবে।

    এর মধ্যে, এই এত কিছুর মধ্যে আজকে কিন্তু আমি তোমায় অন্য গল্প শোনাব। ঠিক তোমার গল্প নয়। অন্য একজনের গল্প।

    ইডেন গার্ডেন। ভোরের আবছা কুয়াশা। ফেব্রুয়ারী, ১৯৯৩ [১]। একটা দশ বছরের ছেলে তার বাবার হাত ধরে ইডেনের গেট দিয়ে ঢুকে পড়েছে। এরকম বিশাল আয়তনের বিল্ডিং সে আগে দেখে নি। তার ধারণা ছিল, স্কুলের বিল্ডিংটাই সব চেয়ে বড়ো। হাই স্কুলে খেলার মাঠ নেই, জুনিয়র বেসিক স্কুলের মাঠটা বেশ বড়ো। কিন্তু জুনিয়র হাই স্কুলের মাঠটার মত বড়ো মাঠ হয নাকি। সেটার পাশে আবার দর্শকদের বসার জন্য দুটো গ্যালারি রযেছে। আশে পাশের কোনো স্কুলে এরকমটি নেই। কলকাতার স্কুলে সে একবার এসেছিল। বাবার সাথে। ধুস্‌ ধুস্‌। পুরো স্কুলটাই তার ওই মফস্বলের স্কুলের খেলার মাঠে এঁটে যাবে। সত্যি কথা বলতে, কলকাতায় এত ভিড়। বাসে, ট্রামে, মিষ্টির দোকানে। তার কলকাতা আসতে ভালো লাগে না।
    শুধু কলেজ স্ট্রিট আলাদা, একদম আলাদা। কত কত বই। বাবা বড়োদের বই কেনে। দশ বছরের ছেলেটা খোঁজে বেতাল, ম্যানড্রেক, লোথার। বাবা বলেছে ওগুলো নাকি বাবার আমলের বই। পাতলা রঙিন কমিক্‌সের বই। লেখা আছে সত্তর পয়সা দাম।
    - বাবা, বাবা – ওরা বইগুলো পাঁচ টাকা করে নিচ্ছে কেন? বেশী নিচ্ছে তো।
    - উঁহু বাবু। ওটা সাতষট্টি সালের দাম, ছাব্বিশ বছরে দাম বেড়ে গেছে। বইগুলো পুরোনো, নতুন করে দাম ছাপায় নি।

    ছেলেটা আবার ইডেনে ফিরে এল। সিঁড়িগুলো কি উঁচু উঁচু। বাবার এক হাতে ছেলে, আর এক হাতে টিফিন। তার ভিতরে কলা, ডিম সেদ্ধ, পাড়ার দোকানের কেক। সেই কোন ভোরবেলা বেরোবার সময় মা বেঁধে দিয়েছে। মফস্বলের বাস ধরে ঝাড়া দেড় ঘন্টা জার্নি করে এসপ্ল্যানেড। কন্ডাক্টর চেল্লাচ্ছিল, শ্যালদা, স্প্যানেড, শ্যালদা, স্প্যানেড। বাসে আসবার সময় ছেলেকে বাবা বুঝিয়েছেন, কথাটা স্প্যানেড নয়, এসপ্ল্যানেড। ইংরেজি শব্দ। বৃটিশ’রা যে দেশ’ই দখল করে, নদীর ধারে একটা টানা ঘাসে ঢাকা হাঁটার বা ঘোড়ায় চড়ার জায়গা তৈরী করে। তারে কয় এসপ্ল্যানেড।
    সেই এসপ্ল্যানেড থেকে বিশাল শহীদ মিনারের ধার ধরে আকাশবাণীর সামনে দিয়ে তারপরেও অ-নে-ক-টা হেঁটে তবে কিনা এগারো নম্বরের গেট।
    অনেকটা হেঁটে হেঁটে তারা যখন দোতলায় পৌঁছল, তখনই ইঁট-কাঠ-পলেস্তারার ফাঁক দিয়ে সবুজোদয় ঘটল। দ্বিতীয় হুগলী ব্রিজ থেকে গঙ্গাবক্ষে সূর্যোদয় হয়, আর ইডেনে শীতের কুয়াশার জালে সবুজোদয় হয়।

    সেই সবুজের মধ্যে সাদা জামা পরা গোটা তিরিশেক লোক দৌড় ঝাঁপ করছে। কি বড়ো স্টেডিয়াম, পিঁপড়ের মত সারি দিযে লোক ঢুকছে। স্টেডিয়ামের অন্য প্রান্তের মানুষজনকে পিঁপড়ের মতই লাগছে। মাথায় ইলাস্টিক দেওয়া তেরঙ্গা কাগজের টুপি। চাঁদি রক্ষা পাবে না, শুধু কপালে একটুখানি ছায়া।
    সাদা টুপি পরা বযস্ক একটা লোক, দুজন প্লেয়ারকে সাথে নিয়ে মাঠের মধ্যিখানে চলে গেল। হ্যান্ডশেক করল। পাশের লম্বা জুলপি'ওলা কাকুটা রেডিও চালিয়েছে।
    নমস্কার, ইডেন উদ্যানে আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি অজয় দে। আমার সাথে শ্রী পুষ্পেন সরকার। সুপ্রভাত।

    পুষ্পেনঃ আম্পায়ার রিপোর্টারের সাথে পিচ থেকে হেঁটে হেঁটে ক্লাবহাউসের দিকে ফিরে আসছেন ভারতীয় অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিন এবং ব্রিটিশ অধিনায়ক গ্রাহাম গুচ। আজহারের মুখের চওড়া হাসিই বলে দিচ্ছে টস ভাগ্য আজ ভারতের পক্ষে। কিন্তু টসে জিতে আজহার ব্যাটিং নিয়ে কি ঠিক করলেন? গঙ্গা থেকে ধেয়ে আসা উত্তুরে হাওয়ায় ম্যালকম আর জার্ভিসের সুইং কি ভারতীয় ব্যাটস্‌ম্যানেরা সামলাতে পারবেন? আপনার কি মনে হয় অজয়দা?

    অজয়ঃ দ্যাখো পুষ্পেন, ইডেন বরাবরই আজহারউদ্দিনের পয়া মাঠ। এ মাঠে প্রতিটি টেস্টে ওঁর সেঞ্চুরি আছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ইডেন উদ্যান আজকেও তাঁকে খালি হাতে ফেরাবে না।

    হো হো আওয়াজে রেডিও চাপা পড়ে গেল। মনোজ প্রভাকর ও নভজ্যোত সিং সিধু ব্যাট বগলে নিয়ে মাঠে নামছেন। স্টেডিয়াম অর্ধেকের বেশী ভরে গেছে। খেলা শুরু হল।
    দেখা গেল অজয় দে’ই ঠিক। গঙ্গার হাওয়া খুব একটা সামলানো যাচ্ছে না। লাঞ্চের পর পরই ৯৩ ফর ৩। ক্রিজে আজহার, আর একটা কুড়ি বছরের একটা ছেলে। খাটো চেহারার, দেখে মনে হয় কুড়ি নয়, আরো ছোটো। গ্রাহাম গুচকে দেখে মনে হচ্ছে ছেলেটির দাদু, অত্যন্ত বিরক্ত মুখে বড়দের খেলায় খুদে ছেলেটির অনধিকার প্রবেশ সহ্য করছেন।

    http://tinyurl.com/kzwh9jh
    কিছুক্ষণের মধ্যেই আজহার বুঝিয়ে দিলেন, খেলাটা টেস্ট ক্রিকেট হলেও মাঠ’টা ইডেন গার্ডেনস। যতই গঙ্গার হাওয়া দিক আর দশাসই দৈত্যের মত ফাস্ট বোলার হুঙ্কার দিক, তিনি আজহার, আর মাঠ’টা ইডেন গার্ডেনস। সুতরাং হিসেবটা আলাদা। বাকি ব্যাটসম্যানরা ঘুমপাড়ানি ব্যাট করছে করুক, কিন্তু আজহারের ‘রান-এ-বল’।
    পরে ব্যাট করতে নেমে আজহারের হাফ সেঞ্চুরি হয়ে গেছে, বাচ্চা ছেলেটির সবে সাতাশ। ইডেনে মেক্সিকান ওয়েভ শুরু হয়েছে। ঠিক দীঘাতে যেমন সমুদ্রের ঢেউগুলো। দূর থেকে ভেসে ভেসে আসে। লক্ষ্য রাখতে হয়। ঢেউ কাছে এলেই সময় বুঝে লাফিয়ে পড়তে হয়। একই রকম টেকনিক। পার্থক্য একটাই – ইডেনে শুধু মানুষের ঢেউ। লাফিয়ে ঝাঁপিয়ে মেক্সিকান ওয়েভে হো হো করতে করতে দশ বছরের ছেলেটা দেখে পাশের কাকুটা রেডিও ফুল ভলিউমে চালিয়ে দিয়েছে।

    - সপাটে অন ড্রাইভ। মহম্মদ আজহারউদ্দিনের ওপর ইডেন দেবতা আজ বড়োই সদয়। গুড লেংথের একটি আপাত নিরীহ বলকে স্রেফ কব্জির মোচড়ে ছিটকে দিলেন। ইডেনের নরম সবুজ গালিচার বুক চিরে লাল বল টপকে গিয়েছে সীমানা। অজয়দা, এই অসামান্য স্ট্রোকটি সম্বন্ধে আপনার মতামত কি?
    - দ্যাখো পুষ্পেন ......

    আজহারের ব্যাট যতই কথা বলুক না কেন, অন্য প্রান্তে কুড়ি বছরের ছেলেটা কিন্তু এক মন দিয়ে মাথা নিচু করে ব্যাট করে চলেছে। তার ব্যাটে ঝুরি ঝুরি রান হচ্ছে না বটে, কিন্তু আছে দৃঢ় প্রত্যয়। গুচের লাল কপালে কোচকানো ভ্রু দেখা যাচ্ছে।
    তারপর?
    তারপর বল পড়ে, ব্যাট নড়ে।

    দশ বছরের ছেলেটা আর জুলপি ওলা কাকুর মধ্যে বন্ধুত্ব হয়ে গেছে। কাকু মাঝে মধ্যে রেডিওটা ওর হাতে দিয়ে সিগারেট খেতে যাচ্ছে। সূর্য আস্তে আস্তে পশ্চিম দিকে ঢলে পড়ছে। হঠাৎ ফের মেক্সিকান ওয়েভ। ক্রিজে বাচ্চা ছেলেটির হাফসেঞ্চুরি হয়েছে। আজহার এগিয়ে এসে হাত মেলালেন। গ্লাভ্‌সে গ্লাভ্‌সে ঠোকাঠুকি।

    ইডেনের দর্শক নিজের আসনে গুছিয়ে বসতে না বসতেই ম্যালকমের বল তোমার ব্যাটের কোনা ছুঁয়ে স্লিপে হিকের তালুবন্দি। সকাল থেকে এই নিয়ে গ্রেম হিকের তিন নম্বর ক্যাচ। তুমি হেলমেট খুলে ক্রিজ থেকে ক্লাবহাউসের দিকে এগিয়ে আসছো। ছোটো ছোটো পায়ে। ক্লান্ত, অবসন্ন। একশো আটান্ন মিনিট ব্যাট করে, একশো আঠারো'টা বল ফেস করে পঞ্চাশ রান। টি শার্টের হাতায় মুখ মুছলে।
    যে দশ বছরের ছেলেটা তোমার লড়াই’টার সাথে একশো আটান্ন মিনিট ধরে নিজেকে রিলেট করে ফেলেছিল, তার তো চোখ ফেটে জল চলে আসার জোগাড়। সারা ইডেন দাঁড়িয়ে হাততালি দিচ্ছে।

    হঠাৎ হুঁশ ফিরল, বাবার গম্ভীর গলায়।
    - চল্‌ বেরিয়ে পড়ি।
    ছেলের চোখে প্রশ্ন দেখে বাবার উত্তর, এখন ইডেনে কত লোক জানিস? সত্তর হাজার। ঘন্টাখানেক পড়ে যখন খেলা ভাঙবে, এই সত্তর হাজার লোকের জন্য সত্তর’টা বাসও থাকবে না। চ, এই বেলা বেড়িয়ে পড়ি।
    বাবার হাত ধরে আবার ওই সিঁড়িগুলো ভাঙ্গা, আলো আঁধারি। আকাশবাণী, শহীদ মিনার, বাস গুমটি। বাড়ি ফেরা।

    কুড়ি বছর হুশ করে চলে গিয়েছে, সেই দশ বছরের ছেলেটা আজকে হুমদো তিরিশ। অফিসের কাজে, নিতান্তই পেটের দায়ে তাকে সায়েবদের দেশে যেতে হবে। রোম। পোপ-পিৎজা-পাস্তার দেশ। কত কিছু দেখার আছে। এমন নয় যে সে এগুলো আগে দেখে নি, কিন্তু ইতিহাস থমকে দাঁড়িয়ে থাকে যেখানে সেখানে তো বারবার যেতেই হয়, তাই না?

    প্লাস, পেটের দায়।

    কিন্তু তখনই তো তুমি ইডেন গার্ডেন্সে শেষ বারের মত খেলতে আসছো। ইতিহাসের দোহাই দিয়ে চব্বিশ বছরের প্রেমকে অস্বীকার করবে কে? এত বড়ো হুমদো সে এখন’ও হয় নি।
    ভালো থেকো,
    দশ বছরের ছেলেটা

    পুনশ্চঃ ইডেন গার্ডেনে তুমি শেষ বারের মত ব্যাট হাতে নামবে, আর আমি সেটা চোখে দেখতে পাব না, সে তো হতে পারে না, তাই না? প্রথম দুদিন যাবো। ইডেন থেকে এয়ারপোর্ট যেতে যেতে মফস্বলের, আমার সেই বাংলা ইস্কুলের মাঠ’টার কথা মনে পড়বে, যে মাঠে হয়তো আর কোনো দিন ফিরে যাওয়া হবে না। কেন বলো তো?

    ভয়ে। জাস্ট ভয়ে।

    যদি মাঠ’টা আর অতোটা বড় মনে না হয়? ক্লাস সেভেনের চার ফুট দশ ইঞ্চির উচ্চতা থেকে যে মাঠ’কে মনে হত দিগন্ত ছোঁওয়া, এখন যদি তাকে নিতান্তই ছোটো মনে হয়, তাহলে?
    ঠিক যেমন ইডেনে আমি তোমার সেঞ্চুরি দেখতে যাচ্ছি না। আই ডোন্ট কেয়ার। ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বৈরথ দেখতেও যাচ্ছি না।

    আমি যাচ্ছি স্রেফ আমার ছোটোবেলা’কে খুঁজতে, শেষবারের মত চাক্ষুষ করতে। সেই কুড়ি বছরের কোঁকড়া চুলের ছেলেটাকে শেষবারের মত স্ট্যান্স নিতে দেখতে।

    ব্যস্‌।

    --

    (১) http://www.espncricinfo.com/ci/engine/match/63598.html
  • aranya | 78.38.243.161 | ০৪ নভেম্বর ২০১৩ ০১:৩০623560
  • বাঃ
  • রোবু | 213.147.88.10 | ০৪ নভেম্বর ২০১৩ ০১:৩৬623561
  • ভাল্লাগলো।
  • শ্রী সদা | 127.194.198.19 | ০৪ নভেম্বর ২০১৩ ০৯:৩৭623562
  • গুড হয়েছে।
  • ঐশিক | 213.200.33.67 | ০৪ নভেম্বর ২০১৩ ১৬:৫৯623563
  • জিও বলু !!!!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে প্রতিক্রিয়া দিন