এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ভারতে বাংলার ধ্রুপদিয়ানার তকমা

    Kausik Bhaduri লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | ১৫ মার্চ ২০১৪ | ৮৫৬৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • Kausik Bhaduri | ১৫ মার্চ ২০১৪ ২০:০৯630492
  • ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি
    *************
    ২১শে ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস। আজ প্রায় বাঙালি মাত্রেই জানেন ওই দিনে মাতৃভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছেন ওপার বাংলার (আজ স্বাধীন বাংলাদেশ) মানুষ। তার পরে ভারতের শিলচরে বাংলা ভাষার জন্য মাতৃভাষার জন্য বাঙালির আত্মদান। এই বাংলা ভাষা-শহীদ দিনটিকে রাষ্ট্রসঙ্ঘ আন্তর্জাতিক ভাষা দিবসের স্বীকৃতি দিয়েছেন ; সেও ওপার বাংলার কয়েকজন বাঙালির উদ্যোগ। তা হলে পশ্চিম বঙ্গের বাঙালি কী করল মাতৃ ভাষার জন্য? পশ্চিম বঙ্গের বাঙালি নিশ্চয় জানেন ২১শে ফেব্রুয়ারী ২০১৪-তে এই ভারতে ধ্রুপদ ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি আদায় করে নিল ওড়িআ ভাষা। এই নিয়ে কোন উচ্চবাচ্যই দেখিনি ফেসবুকে। যদি কবি অমিতাভ প্রহরাজের, তাঁর উক্তিতে—
    “২১ শে ফেব্রুয়ারি বিস্তর ভাষা-মা গো, ভাষা-বাবা গো করে কাটিয়েছেন... একটা ঘটনা সেদিন ঘটেছে তার খবর রাখেন কি?? ২১ শে ফেব্রুয়ারী সাহিত্য এ্যাকাডেমী ওড়িয়াকে ৬ (ষষ্ঠ) ক্লাসিক্যাল ল্যাংগুয়েজের ট্যাগ দিয়েছে... না আমি উড়িয়াবিদ্বেষী নই, বরং উড়ে বামুন জাতে... এতে কি হলো?? এক এক করে বলি বোঝা যাবে
    ১) ক্ল্যাসিকাল ল্যাংগুয়েজ ট্যাগ পেলে সরকার থেকে ৬৯০ কোটি টাকা অনুদান পাওয়া যায় এই ভাষা সংক্রান্ত গবেষণার জন্য
    ২) ক্লাসিক্যাল ল্যাংগুয়েজ হতে গেলে প্রয়োজন ক) ১০০০-১৫০০ বছরের সাহিত্যের ইতিহাস খ) নিজস্ব ডায়ালেক্ট
    গ) নিজস্ব ভাষাতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ ঘ) কোন বিদেশী সাহিত্য দ্বারা প্রভাবিত না হওয়া স্বতন্ত্র সাহিত্যিক ঐতিহ্য, ব্লা ব্লা
    ৩) এখনো অবধি ৬ টি ভাষা ক্লাসিকাল ল্যাগুয়েজ ট্যাগ পেয়েছে

    তিষ্ঠ... এবারই ক্লাইম্যাক্স... ৬ টি ভাষা কি বলুন তো?

    তামিল, তেলেগু, মালয়ালম, কন্নড়, সংস্কৃত এবং ওড়িয়া!!!!!!!!!!!!”

    দেখা যাক ধ্রুপদী ভাষা হতে গেলে তার আবশ্যকীয়তা কী? ভাষার একের অন্যের ওপর প্রভাব তো স্বাভাবিক ও সার্বজনীন। বলা হয় যে ভাষা যত প্রভাবযুক্ত তত সজীব, কারণ ওই ভাষার সঙ্গে তত অন্যান্য ভাষার মিথষ্ক্রিয়া ঘটেছে, সে ভাষার বাহকদের মধ্যে ব্যবসায়িক লেনদেন আকারেই হোক বা সাংস্কৃতিক। তা হলে? বলা হয়ে থাকে বিবেচ্য ভাষার একটি মৌলিকত্বও থাকতে হবে। কী সেই মৌলিকত্বও। ভারতের প্রথম ভাষা যা ক্ল্যাসিকাল ট্যাগ পায়;সংস্কৃত; যার ধ্রুপদত্ব নিয়ে কোন বিসংবাদ থাকার কথা ওঠে না! এর পর - তামিল। তামিল ভাষার উৎপত্তিগত মৌলিকত্ব অনস্বীকার্য। তামিলনাডুর বহু মন্দিরে বহু প্রাচীন পুঁথি আছে প্রাচীন তামিলে লেখা; যার সম্পূর্ণ পাঠোদ্ধার আজও সম্ভব হয়নি। কোথাও হরফ সনাক্ত করা গেলেও ভাষার প্রাচীনতা হেতু অর্থ বোধগম্য মানে অনুমেয় ইস্তক নয়; তো কোথাও হরফই সনাক্ত করা যায় না। আর এক দিকে হরফগত সাদৃশ্য কিছু কিছু কালিবঙ্গান মহেঞ্জোদারো হরপ্পার লিপির সঙ্গেও আছে। সুমেরীয় হিটাইত কান্নাইট প্রভৃতি প্রাচীন মেসোপটেমিয়ান লিপির সাথেও আছে। ভাষাগত অন্বয় হেতু এর পরের ধাপে ক্ল্যাসিকাল ট্যাগের তাগা বাঁধা হলো মালেয়ালাম ভাষায়। ের পর তেলেগু ভাষা; সে ক্ষেত্রে যে কি কারণ; একমাত্র কুয়াশা হেতু ক্ষতিপূরণ ছাড়া কী বোধের বাইরে! কারণ তেলেগু বিশেষ্য বিশেষণ ক্রিয়াপদে সংস্কৃত শব্দের ছড়াছড়ি; সেহেতু মৌলিক ভাষার ডেরিভেটিভ মৌলিক হতে পারে না; গোল বাধালো বাক্য গঠন ও বিন্যাস ; যা অধুনা লুপ্ত মধ্যদ্রাবিড় ভাষাগত বৈশিষ্ঠ! এর পরের ধাপে কন্নড়, কারণ কন্নড় তেলেগুর সঙ্গে সাদৃশ্য রাখে!
    অতঃপর খ্রী অ ২০১৪-তে ওড়িআ! আসুন এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমের বিবৃতিগুলি দেখা যাক!
    Ref: 1) The Hindu, New Delhi; dated 20/02/2014. :-
    “The criteria for declaring a language as classical mandates high antiquity of its early texts/recorded history over a period of 1,500-2,000 years, a body of ancient literature/texts which is considered a valuable heritage by generations of speakers and a literary tradition that is original and not borrowed from another speech community. Also since the classical language and literature is distinct from the modern, there can also be a discontinuity between the classical language and its later forms or its offshoots.”
    কলকাতাস্থ ন্যাশনল লাইব্রেরির রিডিং রুমে এই বইটা পড়ছিলাম- ‘ওড়িশার ভাষা ও সাহিত্য’। বইটি ওড়িআ ভাষায় ওড়িআ হরফে লেখা, যাজপুর থেকে প্রকাশিত। লেখক অধ্যাপক শ্রী পদ্মনাভ মল্ল। Acc No. OR 38/08 dtd. 18/10/12. ওড়িআ ভাষার উৎপত্তি; ওড়িআ ভাষা ভাষী বুদ্ধিজীবীর চোখে কেমন, সে সম্পর্কে কিছু ধারণা লাভের উদ্দেশ্যে বইটি থেকে কিছু তথ্য সরাসরি ওড়িআতে কিন্তু বাংলা হরফে উধৃত করছি— page no. 7
    “ কৌণসি সাহিত্য সম্পর্করে জাণিবা পূর্বরু তার ভাষা অধ্যয়ন একান্ত জরুরী। সাহিত্য অধ্যয়ন পাঁই ভাষা অধ্যয়ন এক পাহাচ। সংস্কৃত ভাষারু কালক্রমে ওড়িআ ভাষা সৃষ্টি হোইছি।
    সংস্কৃত ভাষার সৃষ্টি—খ্রী পূ ১৫০০ রু খ্রী পূ ৫০০।
    পালি ভাষার সৃষ্টি—খ্রী পূ ৫০০ রু খ্রী পূ ২০০।
    প্রাকৃত ভাষার সৃষ্টি—খ্রী পূ ২০০ রু খ্রীষ্টাব্দ ৫০০।
    অপভ্রংশ ভাষার সৃষ্টি—খ্রী। ৫০০ রু খ্রী ১০০০ পর্যন্ত।
    অপভ্রংশ ভাষা কালক্রমে পাঞ্চ ভাগরে বিভক্ত হেলা। যথা- মহারাষ্ট্রী, সৌরসেনা, মাগধী, অর্ধমাগধী ও পৈনাচী। ওড়িআ, বঙ্গল্রা, অসমীয় এহি পূর্বী মাগধী অপভ্রংশরু সৃষ্টি। ওড়িয়া ভাষা এহি বঙ্গল্রা ও অসমীয়া ঠারু প্রাচীনতম বোলি ভারতর বিখ্যাত বিদ্বানমানে মত দিঅন্তি। সংস্কৃত যদি এক মূল বিশাল নদী হুএ, পালি, প্রাকৃত, অপভ্রংশ ও ওড়িআ তাহার ক্রমশঃ নদী, উপনদী, শাখানদী ও প্রশাখা নদী অটন্তি।”

    ধ্রুপদীয়ানা দাবী করার ক্রাইটেরিয়া বেশ স্পষ্ট ভাবে নির্দ্ধারিত সংজ্ঞাপিত ও অনুসৃত কী? বোধ হয় না! একাধিক ওড়িআ ভাষী বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে ভাষাতাত্বিক শ্রী দেবীপ্রসন্ন পট্টনায়কের অবদান বেশ স্পষ্ট। ধ্রুপদত্ব নির্ণয়ে ওড়িআ লিপির অবস্থানকে উনি তুলে ধরেছেন। কিন্তু পৃথিবীতে বহু ভাষা আছে যা অন্য ভাষার থেকে গৃহীত লিপিতে লেখা হয়; কারণ হইসেবে থাকতে পারে ব্যাপক রাষ্ট্র বিপ্লব, ইত্যাদি। প্রসঙ্গত সিন্ধি ভাষা আরবি লিপিতে লেখা হয়।

    রাজনৈতিক চাপান-উতোরটাই বড় কথা!
    Ref: 2) The NewIndian Express, Bhubaneswar. Dated: 12th May, 2013
    “Congress member of Rajya Sabha Ramchandra Khuntia on Saturday requested Chief Minister Naveen Patnaik to take steps for passing a unanimous resolution in the Assembly seeking classical language status for Odia.
    Khuntia also requested all the universities in the State and language institutions to write to the Union Culture Ministry in support of the demand. “All the universities and language institutions should discuss the issue and apprise their conclusions in support of the demand,” secretary of the All India Congress Committee (AICC) and national vice-president of the INTUC told mediapersons here.
    A delegation led by Khuntia met Secretary of the Kendriya Sahitya Akademi S Rao on May 8 and requested him to take steps in this regard. He said a report establishing the right of Odia language for classical status prepared by eminent linguist Debi Prasanna Patnaik has been submitted to the ministry.
    Rao assured the delegation that a committee will be constituted soon to go through the report and act on the demand.
    The Rajya Sabha member said he had raised the issue in Parliament on March 30, 2012 to which the then Union culture minister Kumari Sailaja had replied in a written reply that there was no such proposal from the State Government.
    He alleged that the State Government is yet to take any step in this regard though the MPs have submitted three memoranda in this regard to the Centre. Two such memoranda were submitted on September 5 and November 24 last year. The latest memorandum signed by 15 MPs was submitted.”
    তবে প্রতিবেশী ভাষা হিসেবে ওড়িআ ভাষার এই ‘লাভ’কে আমাদের উদযাপন করাটাই ঔচিত্য, আমাদের এই সাফল্যে খুশি হওয়া উচিত, ওড়িষ্যার আড়াইগুন সংখ্যায় রাজ্যসভার সদস্য রেখেও কই আমরা তো পারলাম না! আসলে কী পারতে হয় সেটাই জানা নেই, যেটা জানি নীতিগত লড়াইয়ের ক্যামুফ্লাজে ঘরোয়া কোঁদলের নামে আত্মরতি!!!
  • Kausik Bhaduri | ১৫ মার্চ ২০১৪ ২০:০৯630503
  • ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি
    *************
    ২১শে ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস। আজ প্রায় বাঙালি মাত্রেই জানেন ওই দিনে মাতৃভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছেন ওপার বাংলার (আজ স্বাধীন বাংলাদেশ) মানুষ। তার পরে ভারতের শিলচরে বাংলা ভাষার জন্য মাতৃভাষার জন্য বাঙালির আত্মদান। এই বাংলা ভাষা-শহীদ দিনটিকে রাষ্ট্রসঙ্ঘ আন্তর্জাতিক ভাষা দিবসের স্বীকৃতি দিয়েছেন ; সেও ওপার বাংলার কয়েকজন বাঙালির উদ্যোগ। তা হলে পশ্চিম বঙ্গের বাঙালি কী করল মাতৃ ভাষার জন্য? পশ্চিম বঙ্গের বাঙালি নিশ্চয় জানেন ২১শে ফেব্রুয়ারী ২০১৪-তে এই ভারতে ধ্রুপদ ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি আদায় করে নিল ওড়িআ ভাষা। এই নিয়ে কোন উচ্চবাচ্যই দেখিনি ফেসবুকে। যদি কবি অমিতাভ প্রহরাজের, তাঁর উক্তিতে—
    “২১ শে ফেব্রুয়ারি বিস্তর ভাষা-মা গো, ভাষা-বাবা গো করে কাটিয়েছেন... একটা ঘটনা সেদিন ঘটেছে তার খবর রাখেন কি?? ২১ শে ফেব্রুয়ারী সাহিত্য এ্যাকাডেমী ওড়িয়াকে ৬ (ষষ্ঠ) ক্লাসিক্যাল ল্যাংগুয়েজের ট্যাগ দিয়েছে... না আমি উড়িয়াবিদ্বেষী নই, বরং উড়ে বামুন জাতে... এতে কি হলো?? এক এক করে বলি বোঝা যাবে
    ১) ক্ল্যাসিকাল ল্যাংগুয়েজ ট্যাগ পেলে সরকার থেকে ৬৯০ কোটি টাকা অনুদান পাওয়া যায় এই ভাষা সংক্রান্ত গবেষণার জন্য
    ২) ক্লাসিক্যাল ল্যাংগুয়েজ হতে গেলে প্রয়োজন ক) ১০০০-১৫০০ বছরের সাহিত্যের ইতিহাস খ) নিজস্ব ডায়ালেক্ট
    গ) নিজস্ব ভাষাতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ ঘ) কোন বিদেশী সাহিত্য দ্বারা প্রভাবিত না হওয়া স্বতন্ত্র সাহিত্যিক ঐতিহ্য, ব্লা ব্লা
    ৩) এখনো অবধি ৬ টি ভাষা ক্লাসিকাল ল্যাগুয়েজ ট্যাগ পেয়েছে

    তিষ্ঠ... এবারই ক্লাইম্যাক্স... ৬ টি ভাষা কি বলুন তো?

    তামিল, তেলেগু, মালয়ালম, কন্নড়, সংস্কৃত এবং ওড়িয়া!!!!!!!!!!!!”

    দেখা যাক ধ্রুপদী ভাষা হতে গেলে তার আবশ্যকীয়তা কী? ভাষার একের অন্যের ওপর প্রভাব তো স্বাভাবিক ও সার্বজনীন। বলা হয় যে ভাষা যত প্রভাবযুক্ত তত সজীব, কারণ ওই ভাষার সঙ্গে তত অন্যান্য ভাষার মিথষ্ক্রিয়া ঘটেছে, সে ভাষার বাহকদের মধ্যে ব্যবসায়িক লেনদেন আকারেই হোক বা সাংস্কৃতিক। তা হলে? বলা হয়ে থাকে বিবেচ্য ভাষার একটি মৌলিকত্বও থাকতে হবে। কী সেই মৌলিকত্বও। ভারতের প্রথম ভাষা যা ক্ল্যাসিকাল ট্যাগ পায়;সংস্কৃত; যার ধ্রুপদত্ব নিয়ে কোন বিসংবাদ থাকার কথা ওঠে না! এর পর - তামিল। তামিল ভাষার উৎপত্তিগত মৌলিকত্ব অনস্বীকার্য। তামিলনাডুর বহু মন্দিরে বহু প্রাচীন পুঁথি আছে প্রাচীন তামিলে লেখা; যার সম্পূর্ণ পাঠোদ্ধার আজও সম্ভব হয়নি। কোথাও হরফ সনাক্ত করা গেলেও ভাষার প্রাচীনতা হেতু অর্থ বোধগম্য মানে অনুমেয় ইস্তক নয়; তো কোথাও হরফই সনাক্ত করা যায় না। আর এক দিকে হরফগত সাদৃশ্য কিছু কিছু কালিবঙ্গান মহেঞ্জোদারো হরপ্পার লিপির সঙ্গেও আছে। সুমেরীয় হিটাইত কান্নাইট প্রভৃতি প্রাচীন মেসোপটেমিয়ান লিপির সাথেও আছে। ভাষাগত অন্বয় হেতু এর পরের ধাপে ক্ল্যাসিকাল ট্যাগের তাগা বাঁধা হলো মালেয়ালাম ভাষায়। ের পর তেলেগু ভাষা; সে ক্ষেত্রে যে কি কারণ; একমাত্র কুয়াশা হেতু ক্ষতিপূরণ ছাড়া কী বোধের বাইরে! কারণ তেলেগু বিশেষ্য বিশেষণ ক্রিয়াপদে সংস্কৃত শব্দের ছড়াছড়ি; সেহেতু মৌলিক ভাষার ডেরিভেটিভ মৌলিক হতে পারে না; গোল বাধালো বাক্য গঠন ও বিন্যাস ; যা অধুনা লুপ্ত মধ্যদ্রাবিড় ভাষাগত বৈশিষ্ঠ! এর পরের ধাপে কন্নড়, কারণ কন্নড় তেলেগুর সঙ্গে সাদৃশ্য রাখে!
    অতঃপর খ্রী অ ২০১৪-তে ওড়িআ! আসুন এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমের বিবৃতিগুলি দেখা যাক!
    Ref: 1) The Hindu, New Delhi; dated 20/02/2014. :-
    “The criteria for declaring a language as classical mandates high antiquity of its early texts/recorded history over a period of 1,500-2,000 years, a body of ancient literature/texts which is considered a valuable heritage by generations of speakers and a literary tradition that is original and not borrowed from another speech community. Also since the classical language and literature is distinct from the modern, there can also be a discontinuity between the classical language and its later forms or its offshoots.”
    কলকাতাস্থ ন্যাশনল লাইব্রেরির রিডিং রুমে এই বইটা পড়ছিলাম- ‘ওড়িশার ভাষা ও সাহিত্য’। বইটি ওড়িআ ভাষায় ওড়িআ হরফে লেখা, যাজপুর থেকে প্রকাশিত। লেখক অধ্যাপক শ্রী পদ্মনাভ মল্ল। Acc No. OR 38/08 dtd. 18/10/12. ওড়িআ ভাষার উৎপত্তি; ওড়িআ ভাষা ভাষী বুদ্ধিজীবীর চোখে কেমন, সে সম্পর্কে কিছু ধারণা লাভের উদ্দেশ্যে বইটি থেকে কিছু তথ্য সরাসরি ওড়িআতে কিন্তু বাংলা হরফে উধৃত করছি— page no. 7
    “ কৌণসি সাহিত্য সম্পর্করে জাণিবা পূর্বরু তার ভাষা অধ্যয়ন একান্ত জরুরী। সাহিত্য অধ্যয়ন পাঁই ভাষা অধ্যয়ন এক পাহাচ। সংস্কৃত ভাষারু কালক্রমে ওড়িআ ভাষা সৃষ্টি হোইছি।
    সংস্কৃত ভাষার সৃষ্টি—খ্রী পূ ১৫০০ রু খ্রী পূ ৫০০।
    পালি ভাষার সৃষ্টি—খ্রী পূ ৫০০ রু খ্রী পূ ২০০।
    প্রাকৃত ভাষার সৃষ্টি—খ্রী পূ ২০০ রু খ্রীষ্টাব্দ ৫০০।
    অপভ্রংশ ভাষার সৃষ্টি—খ্রী। ৫০০ রু খ্রী ১০০০ পর্যন্ত।
    অপভ্রংশ ভাষা কালক্রমে পাঞ্চ ভাগরে বিভক্ত হেলা। যথা- মহারাষ্ট্রী, সৌরসেনা, মাগধী, অর্ধমাগধী ও পৈনাচী। ওড়িআ, বঙ্গল্রা, অসমীয় এহি পূর্বী মাগধী অপভ্রংশরু সৃষ্টি। ওড়িয়া ভাষা এহি বঙ্গল্রা ও অসমীয়া ঠারু প্রাচীনতম বোলি ভারতর বিখ্যাত বিদ্বানমানে মত দিঅন্তি। সংস্কৃত যদি এক মূল বিশাল নদী হুএ, পালি, প্রাকৃত, অপভ্রংশ ও ওড়িআ তাহার ক্রমশঃ নদী, উপনদী, শাখানদী ও প্রশাখা নদী অটন্তি।”

    ধ্রুপদীয়ানা দাবী করার ক্রাইটেরিয়া বেশ স্পষ্ট ভাবে নির্দ্ধারিত সংজ্ঞাপিত ও অনুসৃত কী? বোধ হয় না! একাধিক ওড়িআ ভাষী বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে ভাষাতাত্বিক শ্রী দেবীপ্রসন্ন পট্টনায়কের অবদান বেশ স্পষ্ট। ধ্রুপদত্ব নির্ণয়ে ওড়িআ লিপির অবস্থানকে উনি তুলে ধরেছেন। কিন্তু পৃথিবীতে বহু ভাষা আছে যা অন্য ভাষার থেকে গৃহীত লিপিতে লেখা হয়; কারণ হইসেবে থাকতে পারে ব্যাপক রাষ্ট্র বিপ্লব, ইত্যাদি। প্রসঙ্গত সিন্ধি ভাষা আরবি লিপিতে লেখা হয়।

    রাজনৈতিক চাপান-উতোরটাই বড় কথা!
    Ref: 2) The NewIndian Express, Bhubaneswar. Dated: 12th May, 2013
    “Congress member of Rajya Sabha Ramchandra Khuntia on Saturday requested Chief Minister Naveen Patnaik to take steps for passing a unanimous resolution in the Assembly seeking classical language status for Odia.
    Khuntia also requested all the universities in the State and language institutions to write to the Union Culture Ministry in support of the demand. “All the universities and language institutions should discuss the issue and apprise their conclusions in support of the demand,” secretary of the All India Congress Committee (AICC) and national vice-president of the INTUC told mediapersons here.
    A delegation led by Khuntia met Secretary of the Kendriya Sahitya Akademi S Rao on May 8 and requested him to take steps in this regard. He said a report establishing the right of Odia language for classical status prepared by eminent linguist Debi Prasanna Patnaik has been submitted to the ministry.
    Rao assured the delegation that a committee will be constituted soon to go through the report and act on the demand.
    The Rajya Sabha member said he had raised the issue in Parliament on March 30, 2012 to which the then Union culture minister Kumari Sailaja had replied in a written reply that there was no such proposal from the State Government.
    He alleged that the State Government is yet to take any step in this regard though the MPs have submitted three memoranda in this regard to the Centre. Two such memoranda were submitted on September 5 and November 24 last year. The latest memorandum signed by 15 MPs was submitted.”
    তবে প্রতিবেশী ভাষা হিসেবে ওড়িআ ভাষার এই ‘লাভ’কে আমাদের উদযাপন করাটাই ঔচিত্য, আমাদের এই সাফল্যে খুশি হওয়া উচিত, ওড়িষ্যার আড়াইগুন সংখ্যায় রাজ্যসভার সদস্য রেখেও কই আমরা তো পারলাম না! আসলে কী পারতে হয় সেটাই জানা নেই, যেটা জানি নীতিগত লড়াইয়ের ক্যামুফ্লাজে ঘরোয়া কোঁদলের নামে আত্মরতি!!!
  • Kausik Bhaduri | ১৫ মার্চ ২০১৪ ২০:১১630514
  • ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি-২
    **************
    তা’হলে দেখা যাচ্ছে উৎসমুখে ওড়িআ ও বাংলা যে সহোদর সে ব্যাপারে ওড়িআ ভাষী ভাইরাও সম্যক অবগত আছেন; সমকালীন বিভিন্ন ওড়িআ গ্রন্থে এই মর্মে উল্লেখই (উদাহরণ অধ্যাপক শ্রী পদ্মনাভ মল্ল) সেটা প্রমাণ করে।
    প্রসঙ্গত ওড়িআ ভাষার একটি কাব্যগ্রন্থ অনুবাদের সুযোগ মিলেছিল; কবি শ্রী রাজেন্দ্রকিশোর পণ্ডার ‘দ্রোহবাক্য’ কাব্যগ্রন্থটি! কবি শ্রী রাজেন্দ্রকিশোর পণ্ডা শ্রী সচ্চিদানন্দ রাউতরায়ের (১৯১৬-২০০৪) পরবর্তী উত্তরাধিকারত্বে ওড়িয়া সাহিত্যের যে ‘নব্য আধুনিক’ (Neo-modernity) যুগের প্রবর্তন হয়, কবি রাজেন্দ্র কিশোর পণ্ডা তার অন্যতম ধারক। ভারতীয় আঞ্চলিক ভাষায় কবিতার জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত। পেশাগত জীবনে কবি ভারত সরকারের এক আই-এ-এস আধিকারিক ছিলেন, অধুনা অবসরপ্রাপ্ত। কবি রাজেন্দ্রকিশোরের শৈলকল্প কাব্য গ্রন্থটি ১৯৮২ সালে কটকের এক প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত। কাব্য গ্রন্থটির জন্য কবি ১৯৮৫ সালে কেন্দ্রীয় সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কারে ভূষিত হন।
    গ্রন্থভূক্ত একটি কবিতা মূল ওড়িআতে —

    * যেতেবেলে মুঁ বুঢ়া আংগুঠি কাটি দিএ *
    যেতেবেলে মুঁ বুঢ়া আংগুঠি কাটিদিএ,
    বহু গুণ প্রখর হোইযাএ
    ধনুর্বিদ্যা মোর ।
    তূণীর, গুণ, তীর আউ হাত ই লোড়ন্তি নাইঁ
    সংযোজন, আমংচন, নিক্ষেপর পাইঁ ।
    নগর বাহারে থিবা ডোংবী-
    সতে ক'ণ সে তুমর ?
    মোর হেব নাইঁ ?
    নগরকু মুঁ যাএনা ।
    মুঁ নগরকু গলে নগর শংকিত হুএ
    প্রতি নিঅঁ প্রতি ইটা থরিউঠে
    থরিউঠে সাংজু ও মুকুট
    লজ্জিত হুএ সুবর্ণ আলোক ।
    মুঁ নগরকু যাএনা ।
    কোরড় ভিতরর কোরড়, গুম্ফা ভিতরর গুম্ফা পরি
    অরণ্যরে বাস করে মুঁ
    সুগহন অংধার হোই ।
    যাহা নগর-বাহার
    তাহা অরণ্য-বাহার ?
    নগর ও অরণ্য মঝিরে নাহিঁ-নাহিঁ রাজ্য
    নাহিঁ-নাহিঁ রাজ্যরে থাএ হঁ-হঁ ডোংবী
    ডোংবী ত ডোংবী
    সে নুহই কাহার !
    তুমে আসিথিল পারিধিকি, ফেরিগল মহকুমাকু;
    এই অরণ্য মোর,
    নগরকু মুঁ যাএনা,
    মুঁ অছি এইঠি,
    মুঁ হিঁ অরণ্য
    নিকাংচন ঘনঘোর হরিত্ বর্ণর ।
    বিজিগীষা না আশংকা :
    কণ তুমকু কঢ়াইআণে এমিতি
    থরকু থর ?
    জাণে,
    মাটিশর লাছি দেলে তুমে সবু মাটি হোইযিব
    সযাদব কৌরবপাংডব
    মোর কিন্তু কণ হেব
    এতে মূর্তি এতে আসবাব ?
    জাণে,
    মাটির দ্রোণ মোর মাটিদ্রোণ রূপরে পূজ্য ।
    তথাপি
    বুঢ়া আংগুঠি কাটি দেবাকু হুএ মোতে
    আল রখি গুরুদক্ষিণার,
    বার বার মাটি পালটিযাউথিবা
    রক্ত মাংসর দ্রোণঙ্কু
    ক্ষরিত মোর রক্তরে চক্ষুদান দেই
    সংজীবিত করে মুঁ
    প্রতি থর ।
    যেতেবেলে মুঁ বুঢ়া আংগুঠি কাটিদিএ,
    নগর আউ অরণ্য মঝিরে
    নাহিঁ-নাহিঁ রাজ্যর মায়াবিনী ডোংবী
    মুরুকেই হসিদিএ কেবল !
    ..........................
    কিছুটা অক্ষম হলেও আমার অনুবাদ—
    * যখন আমি বুড়োআঙুল কাটি *
    যখন আমি বুড়োআঙুল কাটি,
    বহুগুণ প্রখর হয়ে যায়
    আমার ধনুর্বিদ্যা।
    সংযোজন, ছিলা আকর্ষণ, নিক্ষেপের নিমিত্তে
    তূণীর, গুণ, তির, হাত, কিছুই আবশ্যক থাকে না।
    নগরের বাইরে থাকে ডোমনি-
    সত্যিই কি সে তোমার?
    আমার হবে না?
    নগরে আমি যাই না।
    আমি গেলে নগর শঙ্কিত হয়
    প্রতি ভিত প্রতি ইঁট কেঁপে ওঠে
    কাঁপে রাজসজ্জা ও মুকুট
    লজ্জা পায় সুবর্ণ আলোক ।
    আমি নগরে যাই না।
    আঁটির ভিতর আঁটি, গুহার ভিতর গুহার মত
    অরণ্যে নিবাসি
    গহন অন্ধকার হয়ে।
    যা নগর বহির্ভূত
    তাই কী অরণ্য বহির্গত?
    নগর ও অরণ্য মাঝে না-না রাজ্য
    না-না রাজ্যতে থাকে হাঁ-হাঁ ডোমনি
    ডোমনি তো ডোমনি
    সে নয় কারুর!
    তুমি এসেছিলে পরিধিতে, ফিরে গেলে মহকুমায়;
    এই অরণ্য আমার,
    নগরে আমি যাই না,
    আমি এখানেই আছি,
    আমিই অরণ্য
    নিকাঞ্চন ঘনঘোর হরিত্ বর্ণ।
    বিজিগীষা না আশঙ্কা:
    কী তোমাকে কুঁকড়ে ফেলে বার-বার
    এমন তরো?
    জানি,
    মাটির শর বিছিয়ে দিলে তোমরা সব মাটি হয়ে যাবে
    সযাদব কৌরবপাণ্ডব
    আমার কী হবে
    এত মূর্তি এত আসবাব ?
    জানি,
    মাটির দ্রোণ আমার মৃন্ময় রূপেই পূজনীয়।
    তাও
    বুড়োআঙুল কেটে দিতে হয় আমাকে
    গুরুদক্ষিণার অছিলায়,
    বার বার মাটি পালটান
    রক্ত মাংসের দ্রোণকে
    চক্ষুদান করি আমার ক্ষরিত শোণিতে
    সঞ্জীবিত করি আমি
    প্রতি বার।
    যখন আমি বুড়োআঙুল কাটি,
    নগর আর অরণ্য মাঝারে
    না-না রাজ্যের মায়াবিনী ডোমনি
    কেবল মুচকি হাসে!
    ..........................
    অনুবাদে ডোমনি শব্দ আনার স্পষ্টীকরন :-
    কম্বলাম্বর পাদ কনকারামের বা কঙ্করের রাজপুত্র বলে কথিত। তাঁর জীবৎকাল ৮৪০ খ্রিস্টাব্দ অবধি। তিনি দেবপালের রাজত্বকালে বর্তমান ছিলেন। তাঁর জন্মস্থান ছিল উরিষ্যা। তিনি ছিলেন রাজকুমার, ভিক্ষু, সিদ্ধা। কম্বলাম্বর পাদ ইন্দ্রভূতি ও জালন্ধরী পাদের গুরু।
    জালন্ধরী পাদের শিষ্য বিরূপ পাদের নিবাস বর্তমান ভূগোলের বাংলায় ছিল। তাঁর জন্মস্থান দেবপালের রাজ্য ত্রিপুরায়। বিরূপ আট শতকে বর্তমান ছিলেন। রাহুল সাংকৃত্যায়নের মতে, বিরূপ পাদ ভিক্ষুরূপে মপুরী বিহারে বাস করতেন। তিনি দেবপালের রাজত্বকালে জীবিত ছিলেন। তাঁর জীবৎকালের শেষ সীমা ৮৩০ সালের শেষের দিকে। বিরূপের শিষ্য ডোম্বী পাদ।
    চর্যাপদ গ্রন্থে ডোম্বী পাদের একটি পদ গৃহীত হয়েছে। ডোম্বী পাদ ত্রিপুরা বা মগধের রাজা ছিলেন। ডোম্বী পাদের জীবৎকাল ৭৯০ থেকে ৮৯০ খ্রিস্টাব্দ। রাহুল সাংকৃত্যায়নের মতে ডোম্বী পাদের জীবৎকালের শেষ সীমা দেবপালের রাজত্বকালে (৮০৬-৪৯ খ্রিস্টাব্দ)৮৪০ খ্রিস্টাব্দ অবধি। তিনি বর্ণে ক্ষত্রিয়, নিবাস মগধ এবং চুরাশি সিদ্ধার একজন।
    ডোম্বী পাদ রচিত চর্যাটি :-
    চর্যা-১৪
    ডোম্বী পাদানাম
    গঙ্গা জউনা মাঝেঁরে বহই নাঈ।
    তহিঁ বুড়িলী মাতঙ্গী পোইআ লীলে পার করেই॥ ধ্রু॥
    বাহতু ডোম্বী বাহ লো ডোম্বী বাটত ভইল উছারা।
    সদ্‌গুরুপাঅপসাএ জাইব পুণু জিণউরা॥ ধ্রু॥
    পাঞ্চ কেড়ুআল পড়ন্তে মাঙ্গে পিঠত কাচ্ছী বান্ধী।
    গঅণদুখোঁলে সিঞ্চহু পাণী ন পইসই সান্ধি॥ ধ্রু॥
    চন্দ সূজ্জ দুই চকা সিঠি সংহার পুলিন্দা।
    বাম দাহিণ দুই মাগ ন চেবই বাহতু ছন্দা॥ ধ্রু॥
    কবড়ী ন লেই বোড়ী ন লেই সুচ্ছড়ে পার করই।
    জো রথে চড়িলা বাহবা ণ জা[ন]ই কুলেঁ কুল বুড়ই॥ ধ্রু॥

    অনুবাদ:
    পারাপারের নৌকা চলে গঙ্গা-যমুনায়,
    মাতঙ্গিনী, যোগীকে পার করে সে-খেয়ায়।
    সাঁঝ ঘনাল, বাও রে, ডোমনি, জোরসে চালাও না’,
    গুরুর কৃপায় জিনপুরে ফের রাখব আমার পা।
    পাঁচটি বৈঠা পাছ-গলুইয়ে, পিঁড়ায় বাঁধা দড়ি,
    আকাশ-সেঁউতি দিয়ে নৌকা সেচো পড়িমরি।
    সূর্য-চাঁদের লাটাই-দু’টি গোটায় এবং খোলে,
    ডাইনে বাঁয়ে পথ নাই রে, যাও বরাবর চ’লে!
    পয়সাকড়ি নেয় না ডোমনি, স্বেচ্ছায় পার করে;
    বাইতে যে-জন জানে না, সে ঘুরে ঘুরে মরে।
    আরো একটি চর্যা, যদিও এটা ডোম্বী রচিত নয়, এর রচয়িতা কানু পাদ :-
    চর্যা-১০ [রাগ দেশাখ]
    কানু পাদানাম
    নগরবাহিরি রে ডোম্বি তোহোরি কুড়িআ।
    ছোই ছোই জাহ সো বাহ্মনাড়িয়া॥ ধ্রু॥
    আলো ডোম্বি তোএ সম করিব মা সাঙ্গ।
    নিঘিন কাহ্ন কাপালি জোই লাংগ॥ ধ্রু॥
    এক সো পদুমা চৌষঠ্‌ঠী পাখুড়ী।
    তহিঁ চড়ি নাচঅ ডোম্বী বাপুড়ী॥ ধ্রু॥
    হা লো ডোম্বি তো পুছমি সদভাবে।
    আইসসি জাসি ডোম্বি কাহরি নাবেঁ॥ ধ্রু॥
    তান্তি বিকণঅ ডোম্বি অবরনা চাংগেড়া।
    তোহোর অন্তরে ছাড়ি নড়পেড়া॥ ধ্রু॥
    তু লো ডোম্বী হাঁউ কপালী।
    তোহোর অন্তরে মোএ ঘেণিলি হাড়ের মালী॥ ধ্রু॥
    সরবর ভাঞ্জিঅ ডোম্বী খাঅ মোলাণ।
    মারমি ডোম্বি লেমি পরাণ॥ ধ্রু॥
    অনুবাদ :-
    লো ডোমনি, তোর নগর-বাইরে ঘর,
    নেড়া বামুন আমায় স্পর্শ কর্‌!
    আ লো ডোমনি, তোরে আমি সাঙ্গা করব ঠিক,
    জাত বাছে না কানু, সে যে নগ্ন কাপালিক।
    একখানি সে পদ্ম, তাতে চৌষট্টিটা পাপড়ি,
    তার উপরে ডোমনি নাচে, কী নৃত্য তার, বাপ রে!
    ডোমনি, তোরে প্রশ্ন করি, সত্যি ক’রে বল্,
    কার নায়ে তুই এপার-ওপার করিস চলাচল?
    আমার কাছে বিক্রি করিস চাঙাড়ি আর তাঁত,
    নটের পেটরা, তোর জন্যেই, দিই না তাতে হাত।
    তোর জন্যেই, হ্যাঁ লো ডোমনি, তোর জন্যেই যে
    এই কাপালিক হাড়ের মালা গলায় পরেছে।
    পুকুর খুঁড়ে মৃণাল-সুধা করিস ডোমনি পান–
    ডোমনি, তোরে মারব আমি, নেব রে তোর প্রাণ!
    আমি এই চর্যা-১০-এরই অন্বয় পেয়েছি শ্রদ্ধেয় রাজেন্দ্র কিশোর পণ্ডা বাবুর কবিতার সঙ্গে। তাই ডোম্বী অর্থে ডোমনি রেখেছি।
    ১)প্রভূত ঋণ স্বীকার -- অগ্রজ প্রতিম শ্রদ্ধেয় শ্রী রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্যের কাছে।
    ২)Ref: বাংলা সাহিত্যের কথা- সুকুমার সেন। চর্যাপদ- মণীন্দ্রমোহন বসু। দুটোই ১৯৪৩ এডিশন।
    এর পরে ওড়িআ ও বাংলার সহোদরত্বএ কী সন্দেহ থাকতে পারে? একই বাবা-মায়ের সন্তান, একজন রাজপুত্র আর একজন চণ্ডাল ; হয়েছে কোথাও!!!
  • Ekak | 132.167.110.162 | ১৫ মার্চ ২০১৪ ২২:০৯630518
  • আপনি তো মূল কারণ টা কে এঁট কাঁটা করে সরিয়ে রেখে বাকি ফিল্ডে লড়ছেন । এসব ধ্রুপদী ফ্রুপদী রাষ্ট্রের স্বীকৃতি বই কিছুনা । সেটা পেতে গেলে সর্বভারতীয় অর্থনীতি রাজনীতিতে সেই জায়গা রাখতে হয় । যেটা বাঙালি বহুকাল আগে হারিয়েছে । এখন কান্নাকাটি করছে বাকিরা লবিবাজ বলে । লবি তো হবেই ! রাজস্বীকৃতি রাজনীতি দিয়েঠিক হবেনা তো কি ? ওই লবি তে বাঙালি নেই এটা প্রমান করে এসব স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্যতাও নেই ।
  • Kausik Bhaduri | ১৬ মার্চ ২০১৪ ০৯:১২630519
  • পোস্কার। হাইরেচি বলে আর পাবুনি...নিদেন খুঁজেও দেকবুনি...পোস্ট দেওয়ার এটাই কারণ ের পর বাঙালি সত্ত্বার বিলোপ ঘটবে যে। রাজনৈতিক বিরোধ ভারতের বেশির ভাগ জায়গায় স্বার্থের ভাগাভাগি, রফা হলেই ল্যাঠা চুকে যায়, বাংলাতে কিন্তু আত্মার, কারণ আমরা বেশি আঁতেল, আর আমাদের নেতারা তেল মেরে সিদ্ধি লাভ করে চলেছে। রাজ্যের স্বার্থে দলগুলি সব জায়গায় একজোট হতে পারে বাংলায় কেন হবে নে?
  • Kausik Bhaduri | ১৬ মার্চ ২০১৪ ০৯:২৯630521
  • "মূল কারণ টা কে এঁট কাঁটা" করে দূরে সরাইনি, বরং উদ্দেশ্য "মূল কারণটা"-কেই প্রসঙ্গে নিয়ে আসা। এইখান থেকে পরের দিকে দেখে যান--
    ""রাজনৈতিক চাপান-উতোরটাই বড় কথা!
    Ref: 2) The NewIndian Express, Bhubaneswar. Dated: 12th May, 2013...""
  • Kausik Bhaduri | ১৬ মার্চ ২০১৪ ০৯:২৯630520
  • "মূল কারণ টা কে এঁট কাঁটা" করে দূরে সরাইনি, বরং উদ্দেশ্য "মূল কারণটা"-কেই প্রসঙ্গে নিয়ে আসা। এইখান থেকে পরের দিকে দেখে যান--
    ""রাজনৈতিক চাপান-উতোরটাই বড় কথা!
    Ref: 2) The NewIndian Express, Bhubaneswar. Dated: 12th May, 2013...""
  • কল্লোল | 111.63.228.105 | ১৭ মার্চ ২০১৪ ১১:৩৮630522
  • পদ্ম, চৌষট্টি পাঁপড়ি, ডোম্বী নাচে।
    এসব বেশ তন্ত্র গোছের। আরো এরকম কবিতা আছে নকি?
  • একক | ১৭ মার্চ ২০১৪ ১৫:০৪630523
  • তাহলে সেক্ষেত্রে অর্থনীতি রাজনীতিতে যাতে বড় প্রভাব রাখা যায় সেই চেষ্টা করুক না বাঙালি । এইসব প্রাইজের জন্যে না লাফিয়ে ।ওদিক হলে এদিক আপনি হবে ।
  • গজু | 212.54.102.201 | ১৭ মার্চ ২০১৪ ১৬:৩১630493
  • আমরা কি পব থেকে সব অবাঙালিদের তাড়িয়ে শুরু করব?
  • একক | ১৭ মার্চ ২০১৪ ১৭:০১630494
  • কাওকে কোথাও থেকে তাড়ানোর দরকার নেই তো । রাজ্য গুলোর উচিত অন্য রাজ্য থেকে যারা আসছেন তাঁদের ওয়ার্কিং ভিসা ইস্যু করা । তাহলেই কম মজুরিতে এক্সপ্লয়েট করা নামী দামী ঠিকেদার দের হাঁটু হালকা হয়ে যাবে ।
  • Kausik Bhaduri | ১৭ মার্চ ২০১৪ ২২:০০630495
  • ভাষার সঙ্গে জাতিসত্ত্বা অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত হলেও এক নয়। বহু ভিন্ন মাতৃভাষা ভাষী বাংলাকে সমৃদ্ধ করেছেন, উদাহরণ অনেক আছে। আপাতত আমাদের মাতৃভাষার সম্ভাব্য স্বীকৃতি লাভই আলোচনার উদ্দেশ্য থাক।
  • ঈশান | ১৭ মার্চ ২০১৪ ২২:০২630496
  • আমি অবশ্য জাতিসত্ত্বার স্বীকৃতিরও পক্ষে। :-)
  • গজু | 212.54.102.201 | ১৭ মার্চ ২০১৪ ২২:২০630497
  • আমাদের মাতৃভাশার স্বীকৃতি নিয়ে বিহারিদের মাথাব্যথা দেখছিনে। বরং আমি পারলে এই গোটা ব্যাপারটাকেই আনডান করে দিতাম।
  • Kausik Bhaduri | ১৭ মার্চ ২০১৪ ২২:২২630498
  • না জাতিসত্ত্বার ক্ষেত্রে অরকম কিছু ধ্রুপদিয়ানার কন্সেপ্ট ভারতের কোন রাজ্যেই যখন আসেনি, তা ছাড়াও সংবিধান বিরোধী, গটা ভারতীয়তাই একটা নেশন, রেসিজমের প্রসঙ্গ চলে আসতে পারে। অ্যাপার্থাইডের ব্যাপার এলেও আশচর্যের নয়। :-P আপাতত ভাষা বড় জোর সংস্কৃতিতেই সীমিত থাকি। :-D
  • গজু | 212.54.102.201 | ১৭ মার্চ ২০১৪ ২২:২৩630499
  • মাতৃভাষা
  • একক | ১৭ মার্চ ২০১৪ ২২:২৫630500
  • ভালো রে ভ্যাবলা :( কাজ নাই কাম নাই স্বীকৃতি চাই ! জাতিসত্বা মন্সাঠাকুর সমস্ত স্বীকৃতির পক্ষে আমি কিন্তু যে স্বীকৃতি দেবে সে কি মুখ দেখে দেবে ? সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বাঙালির পার্টিসিপেশন নীল । এইযে আআপ নিয়ে এত ভজন রাদ্দিন সেই অকাল্কুস্মান্ড দের মধ্যেও একটা বাঙালি নেই , খেয়াল করেছেন ? খালি চাই চাই করে শিশুতোষ লাফালাফি !
  • Kausik Bhaduri | ১৭ মার্চ ২০১৪ ২২:২৬630501
  • আন্ডান করাটাই যথার্থ হোত @গজু, এ সবই পলিটিক্যাল গিমিক, কিছু পকেট ভর্তি করার মতলব, তবে সেটা সম্ভব নয়। বরং ছুতো দেখিয়ে সব স্বীকৃত ভাষাই যদি ধ্রুপদত্ব দাবি করে একটা জাস্টিস হতে পারে।
  • Kausik Bhaduri | ১৭ মার্চ ২০১৪ ২২:৩০630502
  • @একক , আমার লেখাটায় দেখুন, আমাদের চাইতেও ঢের কম সংখ্যক সাংসদ উরিষ্যার, বিষয়টা হোল কমন ব্যাপার নিয়ে সব দোলের ঐক্য মত হওয়া, না হতে পারলে এক এক করে বাঙালি সব মাঠেই পাতলা হয়ে যাবে।
  • একক | ১৭ মার্চ ২০১৪ ২২:৩৫630504
  • কী চাপ জীবনে :( এটা একটা মাঠ হলো নাকি । কর্নাটকে বাংলা ইস্কুলে দ্বিতীয় ভাষা হয়েছে । সেটা প্রয়োজনে । স্বীকৃতি ফিকৃতি নয় । যেদিন বাঙালি আই এ এস পাঞ্জাবি আর বিহারীদের আউট নাম্বার করবে সেদিন ঘার ধরে এসব স্বীকৃতি ও আসবে । আসল কাজ ক্ষমতা কুক্ষিগত করা ।এসব পিটুলি গোলা নিয়ে নৃত্য করা নয় ।
  • ঈশান | ১৭ মার্চ ২০১৪ ২২:৪৪630505
  • কর্ণাটকে ইশকুলে বাংলার দ্বিতীয় ভাষার কেসটা কী? মানে কাগজে পড়েছি, কিন্তু বিশদে জানতে চাই।
  • Arpan | 52.107.175.150 | ১৭ মার্চ ২০১৪ ২৩:০১630506
  • আমি কিন্তু ভেবেছিলাম কুমার বিশ্বাস বাঙালি। ;-)
  • byaang | 132.167.226.198 | ১৮ মার্চ ২০১৪ ০৭:৩৫630507
  • কর্নাটকের কোন কোন ইস্কুলে বাংলা দ্বিতীয় ভাষা হয়েছে? আমি সিরিয়াসলি লিস্টিটা চাই, নিতান্তই ব্যক্তিগত প্রয়োজনে।

    আমি যতদূর জানি কর্নাটকের একটি জেলায় বহু বছর ধরে প্রায় তিনশো- চারশো বাঙালি পরিবার আছেন, তাঁরা বহু কাঠখড় পুড়িয়ে দৌড়াদৌড়ি করে বাংলাকে কর্ণাটকের দ্বিতীয় ভাষার স্বীকৃতি দিয়েছেন। যদিও ঐ জায়গাটির ইস্কুলকলেজে কী পরিবর্তন হয়েছে জানি না, তা বাদ্দিলে বাকি রাজ্যের কোথাও কারুর বিন্দুমাত্র কিছু হেলদোল হয় নাই। কারুর মুখে এ নিয়ে কোনো আলোচনাও শুনি না। ব্যাঙ্গালোরের কোনো ইস্কুল (তিন চারটি ইস্কুল বাদ্দিলে, সেগুলোতে বহু বছর ধরেই বাংলা দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে আছে) বাংলা দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে পড়ার সুযোগ দিচ্ছে বলেও শুনি নি।
  • Arpan | 52.107.175.152 | ১৮ মার্চ ২০১৪ ০৮:২০630508
  • ব্যপারটা মনে হয় ঢপেচ্চপ। শিলচরের একটি বা দুটি মিডিয়া এই নিয়ে নাপানাপি করেছে, কীসের বেসিসে অবশ্যই জানি না। সর্বভারতীয় কোন মিডিয়াতেও এ নিয়ে কোন উচ্চবাচ্য নেই। আর আগেও লিখেছি, জনসংখ্যার বিচারে এই রাজ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম ভাষাগোষ্ঠী হল উর্দু, দ্বিতীয় ভাষা বলে কোন ভাষাকে স্বীকৃতি দিতে গেলে উর্দুরই সেই সম্মান পাওয়া উচিত।
  • Arpan | 52.107.175.153 | ১৮ মার্চ ২০১৪ ০৮:২৮630509
  • সে যাক। আমার ব্যক্তিগত মত হল এই আজকের দিনে, ২০১৪ সালে দাঁড়িয়ে সব স্টেটেই একটাই দ্বিতীয় ভাষা হওয়া উচিত, সে হল ইংরেজি। সব কটা স্টেটের মধ্যে কানেক্টিং ল্যাংগুয়েজ হিসেবে অন্য কোন বিকল্প তো আর দেখা যাচ্ছে না।
  • π | ১৮ মার্চ ২০১৪ ০৮:৫২630510
  • আচ্ছা, একটা জিনিস জানার ছিল। পঃবঙ্গের মোটামুটি কত % প্রাইভেট স্কুলে ইংরাজী প্রথম ভাষা এবং মাধ্যম ইংরাজী? কোলকাতারটা বললেও হবে।
  • কল্লোল | 111.63.131.42 | ১৮ মার্চ ২০১৪ ০৯:৫৯630511
  • ব্যাং একদম ঠিক লিখেছে। সিংহানুর জেলায় বেশ কিছু বাঙ্গালী আছেন যাদের ১৯৪৭এ ওখানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। দন্ডকারণ্য ছাড়াও ভারতের বহু যায়গায় বাঙ্গালী উদ্বাস্তুদের পাঠানো হয় - সেইরকম।
    এঁরা অনেকদিন থেকে খুব লড়ে গিয়ে এটা করেছেন। তবে ইদানিং ব্যাঙ্গালোরে বাঙ্গালীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়াও একটা কারন।

    সিংহানুরের বাঙ্গালীদের এখন তৃতীয় বা চতুর্থ প্রজন্ম চলছে। তারা প্রায় কেউই বাংলা বলে বা বোঝে না। ব্যাঙ্গালোরের বাঙ্গালীদেরও বাচ্চাদের বাঙ্গলা শেখানোর ভয়ানক আগ্রহ আছে বলে মনে হয় না। যারা উৎসাহী তারা বড়িতেই শেখান, বই কিনে দেন। ব্যস।

    তবে কেন হঠাৎ বাংলা দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি পেলো? ভোট-ফোটের কেস আছে হয়তো।
  • Kausik Bhaduri | ১৮ মার্চ ২০১৪ ১৯:৫৩630512
  • আলোচনা জারি থাক। কিছু সম্ভাব্য IAS, কার্যরত IA্‌ সাংসদ, হবু সাংসদ, প্রভাবশালী NRI যাঁরা নিজেদের বাঙালি বলে মনে করেন, গুরুর মাধ্যমে তাঁদের চোখে পড়বে, ওনারা আরও বিস্তারিত অনুসন্ধান করবেন, কার্যক্রম নির্ধারণ করবেন এই আশা করেই পোস্টটা দিলাম, আমি নেহাতই কারখানার সাদামাটা চাকুরে মানুষ, উরিষ্যায় থাকি এই অবধি। পয়েন্টটা হাইলাইট করলাম :-D
  • PT | 213.110.243.21 | ১৮ মার্চ ২০১৪ ২০:০২630513
  • "রাজ্য গুলোর উচিত অন্য রাজ্য থেকে যারা আসছেন তাঁদের ওয়ার্কিং ভিসা ইস্যু করা ।"

    এর চাইতে একটা সহজতর উপায় ছিল তো। সব রাজ্যেই সেই রাজ্যের ভাষা শেখা বাধ্যতামূলক করা। না না তক্ক করবেন নাঃ ভারতীয়রা জার্মানী, সুইডেন, USSR ইত্যাদি জায়গায় গিয়ে সোনামুখ করে সেই দেশের ভাষা শিখে নেয়।
  • একক | ১৮ মার্চ ২০১৪ ২৩:২৫630515
  • একটা "ভারতীয় " ভাষার নাম করুন । তর্ক না করে আমিও শিখে নেব :) ইন্ডিয়ান ল্যন্গুএজ বলেই তো কিছু নেই । জার্মানি তে জার্মান , অমৃগায় আম্রিগান ইংলিশ ,ইন্ডিয়ায় কি ? কোনো তুলনা হয় নাকি ?
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন