এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • অ্যাটলান্টিসে প্রোফেসর শঙ্কু

    J
    বইপত্তর | ০৮ আগস্ট ২০০৬ | ১৯৯৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • J | 160.62.4.10 | ০৮ আগস্ট ২০০৬ ১৮:৫২631778
  • গিরিডি
    ৯ই জুন, সন্ধ্যে সাতটা

    অবিনাশবাবুর বহুদিনের ইচ্ছে সমুদ্রের ধারে চেঞ্জে যাবার। এবছর গরমও পড়েছে খুব। ভদ্রলোক প্রায়ই এখানে আড্ডা দিতে এসে বলেন, "চলুন না মশাই এই গরমে সমুদ্রের ধার কোথাও চেঞ্জে যাই।"
    আমি সারাদিন ল্যাবরেটরিতে নানান পরীক্ষা নিরীক্ষা নিয়ে ব্যস্ত থাকি, যখন এক্সপেরিমেন্টের মধ্যে গভীরভাবে মনোনিবেশ করি, বাইরের আবহাওয়া ঠান্ডা না গরম অনুভব করতে পারি না।
    আজ সকালেই আমার "ফ্লোটোরিথন" নামের নতুন পদার্থ আবিষ্কারের কাজ শেষ হয়েছে। খুবই পাতলা পলিথিনের মতো দেখতে এই পদার্থের সাহায্যে লোহার মতো ভারী জিনিষকেও জলে ভাসানো সম্ভব। অবিশ্যি এর জন্যে আমি আমার বহু আগে আবিষ্কার করা "অ্যান্টিগ্র্যাভিটি" নামক বস্তুটির সাহায্য নিয়েছি।
    প্রত্যেকবারই আমি কোনো একটা প্রোজেক্ট শেষ হলে কয়েকদিন বিশ্রাম নিই।
    তাই এবার অবিনাশবাবুর প্রস্তাব ভেবে দেখছি।
    ভদ্রলোকের ইচ্ছা গোপালপুরে বেড়াতে যাবার। চিল্কার কাছেই নাকি ওঁর ভাগ্নের বন্ধু একটি হোটেল খুলেছে।
    কাল উনি এলে ভাবছি সম্মতি জানিয়ে দেবো।
    সাধারনত: আমি যখন বাইরে কোথাও যাই, যেগুলোর অধিকাংশই বিজ্ঞানী সম্মেলন, তখন নিউটনকে রেখে যাই। এবার ভাবছি নিউটনকে সঙ্গে নেবো।
    দিনকয়েক গোপালপুর আর চিল্কা ঘুরে এলেনতুন কাজের জন্যে চিন্তার খোরাকও তৈরী হবে।
    ল্যাবরেটরীটা অগোছলো হয়ে রয়েছে, ডায়েরী লেখা শেষ করে একটু গুছিয়ে রাখি।
  • J | 160.62.4.10 | ০৮ আগস্ট ২০০৬ ২০:০০631789
  • গোপালপুর
    ১২ই জুন, বিকেল চারটে

    আজ ভোরে এসে পৌঁছেছি গোপালপুর। এসে অবধি অবিনাশবাবু আনন্দে আত্মহারা। আমাদের হোটেল থেকে সী-বীচ মাত্র একশো গজ। ভদ্রলোকতো সারা সকাল সমুদ্রে স্নান করেই কাটালেন।
    নিউটন অবিশ্যি জলের ধারে যেতে খুব একটা পছন্দ করে না, তবুওএখন অবধি সে আমার সঙ্গে সমুদ্রের ধারে বেড়াতে কোনো আপত্তি করে নি।
    গিরিডি থেকে বেরোবার আগে আমার জাপানী বন্ধু মনোবিয়াশি টোশিহারুর ইমেল পেলাম।
    মনোবিয়াশি ওশানোগ্রাফির অধ্যাপক। শুধু তাই ই নয়, তার নেশা হচ্ছে যখন তখন সাবমেরিন নিয়ে সমুদ্রের নীচের জীবজগৎ পর্যবেক্ষণ করা। বছর পাঁচেক আগে ইউক্রেনের ওদেসা শহরের এক সমুদ্রবিজ্ঞানী সম্মেলনে মনোবিয়াশির সঙ্গে আমার আলাপ হয়। বিনয়ী মিতভাষী এই অধ্যাপকের সঙ্গে প্রথম আলাপেই বুঝেছিলাম যে সমুদ্র সম্পর্কে তার জ্ঞান অগাধ।
    ইমেলে সে আমাকে লিখেছে যে এবার তার গন্তব্য ভারত মহাসগর। ভারত মহাসাগরের ভেতরে যে অজস্র প্রবাল প্রাচীর আছে সেগুলো ঘুরে দেখতে সে উৎসাহী।
    মনোবিয়াশিকে ইমেলের উত্তর দিয়ে জানালাম যে আমিও আগামী কয়েক সপ্তাহ সমুদ্রের ধারেই বেড়াতে যাচ্ছি।
    - কী থ্রীলিং ব্যাপার বলুনতো মশাই! পৃথিবীর সবচেয়ে বড়ো অ্যাকোয়ারিয়াম এই সমুদ্র, ভাবা যায়?

    অবিনাশবাবু সীবীচ থেকে ফিরে এসেছেন। এবার একটু চায়ের বন্দোবস্ত দেখতে হবে।
  • J | 160.62.4.10 | ০৮ আগস্ট ২০০৬ ২০:১৯631800
  • গোপালপুর
    ১৩ই জুন, সকাল সাড়ে নটা

    সমুদ্রের ধারে বালিতে বসে ডায়েরী লিখছি। নিউটন আমার পাশে চুপ করে বসে দূরে অবিনাশবাবুর স্নান করা দেখছে। ভদ্রলোক সাঁতার জানেন না একেবারেই, তাই গিরিডি থেকে আসবার সময়ে ওঁর জন্যে ফ্লোটোরিথনের গেঞ্জি নিয়ে এসেছি। ওটা পরে জলে নামলে ডুবে যাবার কোনো সম্ভবনাই নেই। তাই উনি মহানন্দে সারাক্ষণ সমুদ্রে দাপাদাপি করছেন।
    গতকাল ডিনারে দিয়েছিলো মাটন ভিন্ডালু। অবিনাশবাবু নাম শুনেই আঁতকে উঠে বললেন, "ভিন্ডি মানে তো ঢ্যাঁড়শ, আর আলু, এই দুইয়ের সন্ধি করে কি ভিন্ডালু?" পরে অবশ্য সর্ষেবাটা দিয়ে মাংস দেখে বেশ তৃপ্তি করে খেলেন।
    আমাদের ঘর পাশাপাশি, দুটোই একতলায়, সমুদ্রের দিকে মুখ করা।
    রাত্রে আমি ঘরের সামনে বারান্দায় বসে সমুদ্র দেখছিলাম। জলে ফসফরাস অন্ধকারে জ্বলজ্বল করছিলো, তাই দেখে পাশের বারান্দা থেকে অবিনাশবাবু একটু জোরেই বলে উঠলেন, "ও কী মশাই? জ্বলজ্বল করছে! অ্যালিগেটর নাকি?"
    পরে ব্যাপারতা বুঝিয়ে বলাতে ভদ্রলোক আশ্বস্ত হলেন। ইদানীং গিরিডিতে পাড়ার লাইব্রেরীর মেম্বার হয়েছেন উনি; আর সেই থেকে পড়ে চলেছেন কিশোর সাহিত্য এবং রহস্য রোমাঞ্চ উপন্যাস। এসব পড়েই কিনা জানি না ওঁর ধারণা হয়েছে যে জনবিরল সমুদ্র সৈকতে দু একটা অ্যালিগেটরের দেখা মেলা নাকি মোটেই অসম্ভব নয়।
    নিউটনের ক্ষিদে পেয়েছে।
    এবার ভদ্রলোককে ডাকি, নইলে ব্রেকফাস্টে দেরী হয়ে যাবে।
  • J | 160.62.4.10 | ০৮ আগস্ট ২০০৬ ২০:৫৭631811
  • গোপালপুর
    ১৮ই জুন, সকাল দশটা

    গতরাত্রে ডিনারের পরে সবে বিছানায় শুয়েছি, অবিনাশবাবু দরজায় টোকা দিলেন।
    বাতি জ্বালিয়ে দরজা খুলতেই ভদ্রলোক বললেন,
    -বাতি নেবান, বাতি নেবান!
    -কেন?
    -আরে দেখেছেন কি, সত্যি সত্যি অ্যালিগেটর কিনা জানিনা, তবে গোটাকয়েক উদ্ভট জীব ঘুরে বেড়াচ্ছে বালিতে! মকরমুখো পেঙ্গুইন হলেও আশ্চর্য হবো না মশাই।
    অবিনাশবাবুর কল্পনাশক্তিকে কোনো সন্দেহ না করে, বাতি নিবিয়ে দিয়ে দুজনেই এসে দাঁড়ালাম বাইরের বারান্দায়। সী-বীচ তখন জনশূন্য। আকাশে চাঁদ নেই, তবু অল্প আলোয় দেখা যাচ্ছে কয়েকটা প্রাণী ঘুরে বেড়াচ্ছে বালির ওপর, জলের ধার ঘেঁষে।
    তখন ভাটার সময়। সমুদ্র কিছুটা দূরে সরে গেছে, তবুও হোটেল থেকে দেড়শো গজ দূরে হলেও বোঝা যাচ্ছে যে, যারা সী-বীচে ঘুরে বেড়াচ্ছে তারা মানুষ নয়। খুব সম্ভবত: ডলফিন। যদিও কাছ থেকে না দেখলে এরা ঠিক কোন জাতের ডলফিন, সেটা বলা শক্ত।
    টানা প্রায় আট দশ মিনিট ধরে আমরা সবিষ্ময়ে পর্যবেক্ষণ করলাম সেই ডলফিনদের চলাফেরা। রীতিমতো লেজে ভর করে সেটাকে মানুষের পায়ের মতো ব্যবহার করে টানা দশমিনিট শুকনো ডাঙায় হাঁটাচলা করতে পারে এমন কোনো প্রজাতির ডলফিনের খবর আমার জানা নেই।
    সামুদ্রিক ডলফিনেরা গোপালপুরের সমুদ্রতটে ঘোরাফেরা করে, এমন খবরও আগে কখনো পাই নি।
    কিন্তু স্বচক্ষে দেখবার পরে মনে হলো, সমুদ্রের নীচে যে বিশাল জীবজগৎ এখনো আমাদের কাছে প্রায় অনাবিষ্কৃত সেখানে আরো কত অপার বিষ্ময় লুকিয়ে আছে কে জানে!
    হঠাৎ সেই পাঁচ ডলফিনের দল একসঙ্গে ঝাঁপ দিলো সমুদ্রের জলে।
    তারপরে আরো কিছুক্ষণ সেইখানে অপেক্ষা করে, আমরা ঘরে ফিরে এলাম।
    রাত্রে আর কোনো নতুন ঘটনা ঘটে নি।
    আজ সকালে চা খেতে খেতে অবিনাশবাবুকে জানালাম যে, এই পৃথিবীতে মানুষের ঠিক পরেই, বুদ্ধিমত্তায় ডলফিনের স্থান। এরা জলচর হয়েও মাছ নয়, মানুষের মতই স্তন্যপায়ী প্রাণী।
    - জলচর বলছেন কীকরে? কালতো পষ্ট দেখলাম স্থলেও চরে বেড়চ্ছে!

    ব্যাপারটা আমাকেও ভাবিয়েছে। ডলফিন যে একেবারে স্থলে আসে না তা নয়, কিন্তু অতক্ষণ সময় বালির ওপরে দলবেঁধে ঘুরে বেড়ানোটা খুবই আশ্চর্যের।
    নিছক ছুটি কাটানো যদিও আমার উদ্দেশ্য, তবুও গতরাত্রে দেখা প্রাণীগুলোকে নিয়ে আমার বিজ্ঞানী মনের কৌতুহল ক্রমশ: বেড়েই চলেছে।
    আজ বিকেলে আমরা যাচ্ছি চিল্কা। অবিনাশবাবু ক্যামেরায় নতুন ফিল্মের রোল ভরেছেন, চিল্কায় শুধু লেগুন নয়, পাখী দেখবার জন্যেও উনি খুব উত্তেজিত।

  • J | 160.62.4.10 | ০৯ আগস্ট ২০০৬ ১৪:১০631822
  • চিল্কা
    ১৮ই জুন, রাত এগারটা

    কিছুক্ষণ আগে এসে পৌঁছেছি চিল্কায়। এখানে থাকবার ব্যবস্থা গোপালপুরের মতো না হলেও মোটামুতি একটা হোটেল গোছের জায়গা পাওয়া গেছে।
    আসবার পথে অবিনাশববুকে লেক ও লেগুনের মধ্যে পার্থক্যটা বুঝিয়েছি, যে লেকের চারপাশ স্থল দিয়ে ঘেরা থাকে আর লেগুন হচ্ছে অনেকটা লেকের মতোই কিন্তু একটা দিক সমুদ্রের সঙ্গে জোড়া।
    তাই শুনে ভদ্রলোক বললেন "চিল্কার জল কি তবে লবনাক্ত? চেখে দেখতে হচ্ছে মশাই!"
    আজ যেহেতু এখানে এসে পৌঁছতে পৌঁছতেই অন্ধকার হয়ে গেছল তাই ঐ জল চেখে দেখবার ব্যাপারটা উনি আগামীকাল করবেন বলেই মনে হয়।
    হোটেলে এসে একটা নতুন খবর পাওয়া গেল। গত কয়েকদিন যাবদ নাকি এক অদ্ভুত প্রাণীর দেখা মিলেছে চিল্কার জলে। স্থানীয় লোকজন যদিও কেউ ই তাকে স্বচক্ষে দেখেনি কিন্তু তার গলার আওয়াজ নাকি রত্রিবেলা শোনা যায়। চিল্কার একটা বিশেষ অংশে নাকি তার চলাফেরা এবং আন্দাজ করা যাচ্ছে আকৃতিতে সে পাঁচ থেকে ছফুটের বেশী লম্বা নয়। স্থানীয় মৎস্যজীবীরা জাল ফেলে এই প্রাণীটিকে ধরবার অনেক চেষ্টা করেছে কিন্তু এখনও অবধি কেউ তাকে ভালো করে দেখতেও পায় নি। কারো কারো ধারণা এটা নাকি একটা বাচ্চা তিমি।
    কিন্তু বাচ্চা তিমিও তো এত ছোটো মাপের হতে পারে না। কারো কারো ধারণা এটা কোনো বিশেষ জাতের শুশুক মানে ডলফিন। ডলফিন শুনেই অবিনাশবাবু আমার দিকে তাকালেন।
    হোটেলের যে ছেলেটি আমাদের এইসব খবর দিচ্ছিলো, সে ই জানালো যে ঐ প্রাণীটির আসার খবরে মৎস্যজীবীদের মধ্যে নাকি ইতিমধ্যেই প্রতিযোগিতা লেগে গেছে, কে তাকে ধরতে পারবে, এই নিয়ে।
    এইভাবে জাল দিয়ে কোনো সামুদ্রিক প্রাণীকে ডাঙ্গায় তুলে আনা যদিও বেআইনী, কিন্তু তা এদের বোঝাবে কে!
    অবিনাশবাবু অবশ্য এই প্রাণীটিকে দিনের আলোয় দেখবার জন্যে খুব উৎসাহিত।
    আমি এবার সঙ্গে এনেছি আমার ক্ষুদে পকেট-কম্প্যুটার। সেখান থেকেই ইমেল করে দিলাম বিজ্ঞানী টোশিহারুকে। যদি সে এই অদ্ভুত প্রজাতির ডলফিন দেখতে আগ্রহী থাকে তাহলে এসে পড়তে পারে বঙ্গোপসাগরের উপকূল অঞ্চলে।
    এছাড়াও খবর পাঠিয়েছি ভারতীয় সমুদ্রবিজ্ঞানী ভাস্করণ কে। ভাস্করণ আপাতত: আছে চেন্নাইয়ে। এই ডলফিনটিকে মৎস্যজীবীদের হাত থেকে বাঁচাবার জন্যে সে ই এখন সাহায্য করতে পারে।
    এই হোটেল থেকে চিল্কা দেখা যায় না। তবে চারিদিকে আছে প্রচুর গাছ।
    কাল খুব ভোরে উঠতে হবে।
  • tania | 151.151.73.165 | ১৭ আগস্ট ২০০৬ ০৪:৪০631833
  • এটার পরের কিস্তি কোথায়?
  • s | 210.212.0.45 | ১৭ আগস্ট ২০০৬ ১৭:৩২631844
  • তারপর?
  • J | 160.62.4.10 | ১৭ আগস্ট ২০০৬ ১৮:২১631855
  • পেসার দিও না। লিখবো।
  • dd | 202.122.18.241 | ১৭ আগস্ট ২০০৬ ১৯:২৬631863
  • কবে ? কবে ? কখন বাগীটা লিকবে? জো ? ইদিকে ব্যালা বয়ে যায়।

    না, না, পেসার কোতায় দিলাম।
  • J | 160.62.4.10 | ১৭ আগস্ট ২০০৬ ২০:৩১631779
  • চিল্কা
    ১৯ শে জুন, বিকেল সাড়ে চারটে

    আজ সারাদিন কেটেছে বেড়িয়ে।
    টোশিহারুকে লেখা ইমেলের উত্তর এখনো পাইনি, যদিও ভাস্করণের কাছ থেকে খবর এসেছে। সে সম্ভবত: আগামীকালের মধ্যেই এখানে এসে পৌঁছচ্ছে।
    ডলফিন নিয়ে উত্তেজনা এখনো রয়েছে স্থানীয় অধিবাসীদের মধ্যে, যদিও আমরা এখনো অবধি কিছুই দেখতে পাইনি।

  • dd | 202.122.18.241 | ১৭ আগস্ট ২০০৬ ২২:১৫631780
  • হ্যাঁ হ্যাঁ। তাপ্পর ? তাপ্পর ?
  • appan | 193.134.170.35 | ০২ মার্চ ২০০৭ ০০:৩৮631781
  • কি আশ্চযি, এটা শেষ হবে না! ও যোদি?
  • J | 160.62.4.10 | ০২ মার্চ ২০০৭ ১৭:৫২631782
  • ২২শে জুন, সকাল দশটা

    গত কয়েকদিন ডায়েরী লেখার মতো অবস্থায় ছিলাম না। একসঙ্গে বেশি কিছু ঘটনা এত তাড়াতাড়ি ঘটে গেছে যে লিখে উঠবার সময় পাই নি।
    এখন আমার ঘড়ির সময় মতো সময় সকাল দশটা, যদিও আমার লেখার টেবিলে সূর্যের আলো এসে পৌঁছচ্ছে না। টেবিলের পাশেই কাচের ছোটো জানলা, হালকা সবুজাভ আলো আসছে সেখান দিয়ে। এ মুহূর্তে চিল্কা থেকে দক্ষিণ -পূর্বে কোণাকুনি প্রায় শ পাঁচেক মাইল দূরে রয়েছি আমরা।
    আমরা বলতে আমাকে বাদ দিয়ে টোশিহারু, ভাস্করণ, অবিনাশবাবু এবং অবশ্যই আমার প্রিয় বেড়াল নিউটন। এটা টোশিহারুরই নিজস্ব সাবমেরিন।
    গতকাল ভোরে রওনা হয়েছি চিল্কা থেকে।
    ভাস্করণ চেন্নাই থেকে এসে পৌঁছল গত পরশু, এর মধ্যে ডলফিনের দেখা আর মেলেনি, ফলে স্থানীয় মৎস্যজীবীরা ধরেই নেয় যে ডলফিন সমুদ্রে ফিরে গেছে।
    ভাস্করণের সঙ্গে এর আগে দেখা হয়েছিলো চেন্নাই-এর এক সমুদ্রবিজ্ঞানী সম্মেলনে। মুখচোরা প্রকৃতির এই বিজ্ঞানী সেই সম্মেলনে নিজের গবেষণার কয়েকটা পেপার পড়ে শোনান। সবগুলোই ছিলো মহাসমুদ্রের প্রাণীজগৎ নিয়ে।
    এবারে আমাদের আলাপ ও গল্প ক্রমশ: জমে উঠল। অবিনাশবাবু অবিশ্যি একটু দু:খ দু:খ ভাব করছিলেন, কারণ ওঁর খুব ইচ্ছে অ্যালিগেটরের ফোটো তোলেন, অথচ সেই অ্যালিগেটর আর দেখা দিচ্ছে না।
    পরশু সন্ধ্যেবেলা কম্পিউটারে ইমেল চেক করতে গিয়ে দেখি টোশিহারুর ইমেল। সারা দিন ভাস্করণের সঙ্গে ব্যস্ত থাকায় টোশিহারুর মেল দেখা হয় নি। সে জানিয়েছে, যে সে খুব শীগগিরই আমার সঙ্গে দেখা করতে আসছে। টোশিহারুর চিঠিতে আসবার তারিখ কিছু লেখা ছিলো না, যদিও সে জানে যে আমি গোপালপুরে আছি।
    অবিনাশবাবু এক ঘন্টার মধ্যে গাড়ী জোগাড় করে ফেললেন, পরশু রাতেই আমরা ফিরে চললাম গোপালপুর, রাস্তা মাত্র পঁয়তাল্লিশ কিলোমিটার, কিন্তু অন্ধকার থাকায় হেডলাইটের আলোতে খুব বেশী স্পীড নেওয়া গেল না।
    রাত এগারটায় গেস্ট হাউসের সামনে পৌঁছে গেটের পাশে টিমটিমে আলোতে আমার চেনা মানুষটাকে আবারো চিনতে কোনো অসুবিধা হলো না। হাসিহাসি মুখ করে আমাকে স্বাগত জানাল, মনোবিয়াশি টোশিহারু।
    আমি বললাম, তোমাকেই স্বাগত, কারণ তুমি এখন আমার দেশে।
    টোশিহারু এসেছিলো সাবমেরিনে। আমরা গেস্ট হাউসে ঢুকতে যাবো, কিন্তু টোশিহারু বলল, আর অপেক্ষা করে কোনো লাভ নেই, চলো তোমাদের জন্যেই অপেক্ষা করছিলাম।
    - কিন্তু কোথায় যাবো এত রাতে?
    সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে দেখি নির্জন তটরেখায় কালো জল যেখানে এসে আছড়ে পড়ছে তার অল্প দূরেই আবছা নৌকোর মতো কিছু দাঁড়িয়ে রয়েছে।
    নৌকোয় চড়তে হবে জেনে অবিনাশবাবু অল্প নার্ভাস বোধ করছিলেন। তারপর "আপনার ঐ ইয়েটা একটু দেখিতো মশাই" বলে, আমার বাইনোকুলারটা প্রায় হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েই "নৌকো" দেখতে দেখতে জিগ্যেস করলেন, "গেঞ্জিটা পরে নিয়েই নৌকোয় উঠলে হয় না? মানে আমি তো ঠিক সাঁতারটা আবার..."।
    নিউটন সমেত সকলে যখন নৌকোয় উঠলাম তখন মধ্যরাত্রি। আমরা সকলে গিয়ে বসলাম নৌকোর মাঝামাঝি একটাঘরে। সেখানে ন্যাভিগেশনের যন্ত্র ছাড়াও রয়েছে টুকিটাকি জিনিস বইপত্র টেবিল কম্প্যুটার। এর দুপাশে দুটো ছোটো ছোটো ঘর এবং বাথরুম। গোপালপুরের তটরেখা ছেড়ে একটু এগিয়েই নৌকোর ছাদ বন্ধ হয়ে গেল। ভেতরের বাতাসের চাপ, অক্সিজেনের পরিমান সব নিয়ন্ত্রণ করছে যন্ত্র।
    গভীর অন্ধকারে সাবমেরিণ তীরবেগে চলতে লাগল বঙ্গোপসাগর ছাড়িয়ে ভারতমহাসাগর অভিমুখে।
    এমনিতে কাচের জানলার বাইরে দেখবার মতো কিছুই নেই, তবুও সাবমেরিণের সামনের আলোয় (অবিনাশবাবুর ভাষায় হেডলাইটের আলো) ছোটো ছোটো কিছু সামুদিক প্রাণী আর শ্যাওলা ছাড়া বিশেষ কিছুই চোখে পড়ল না।
    রাতের খাবার আমরা চিল্কাতেই খেয়ে এসেছিলাম, তাই সবাই মিলে কফি খাওয়া হলো। মনোবিয়াশি আর অবিনাশবাবু, দুজনেরই ইংরিজি ভাঙ্গা ভাঙ্গা, তবুও দুজনের বেশ বন্ধুত্ব হয়েছে দেখলাম, এমনকি অবিনাশবাবু যখন বললেন "ইউ ডোন্ট মাইন্ড, ইফ আই কল ইউ হারুবাবু", তার উত্তরে মনোবিয়াশিকে সম্মতিসূচক হাসির সঙে "দোন্ত মাইন্দ, দোন্ত মাইন্দ" বলতেও দেখলাম।
    ভাস্করণের কাছে এই সমুদ্রসফর একেবারেই প্রত্যাশার বাইরে। সে এত খুশি হয়েছে যে তা কীকরে প্রকাশ করবে বুঝতে পারছে না।
    ঠিক হলো মনোবিয়াশি ও ভাস্করণ পালা করে করে রাত জেগে সাবমেরিণ চালাবে। অবিনাশ বাবু ঘুমোতে চলে গেলেন। আমি আরো কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলে ওদের গুডনাইট জানিয়ে যখন শুতে গেছি, ঘড়িতে তখন তিনটে। অবিনাশবাবু মাঝে মাঝে ঘুমের ঘোরে "অ্যালিগেটর! অ্যালিগেটর!" বলে চেঁচিয়ে উঠছিলেন।
    নিউটন অস্বাভাবিক রকমের শান্ত।
    এই নতুন পরিবেশে ওর হয়ত কিছুটা অসোয়াস্তি হচ্ছে।
    ভাস্করণ এসে গেছে, হাল্কা কফির গন্ধ পাচ্ছি, বোধহয় এখন ব্রেকফাস্টে যেতে হবে।
  • J | 160.62.4.10 | ০৬ মার্চ ২০০৭ ২০:০৮631783
  • .
  • kd | 59.93.199.242 | ০৬ মার্চ ২০০৭ ২৩:৪১631784
  • আরে য, পেনে কালি ফুরিয়ে গ্যাচে, ভরে নাও শিগ্‌গির!!!!!!
  • Prantik | 132.186.106.33, 203.101.110.2 | ০৭ মার্চ ২০০৭ ১৬:১০631785
  • পেনের কালি ফুরোয়নি। শঙ্কু পোচ্চোন্ড অবাক হয়েছেন, কথা, থুড়ি লেখা ফুটছে না। যারে বলে ধাত ছাড়ার যোগাড়। এট্টু ধাতস্থ হলেই আবার কথা, থুড়ি লেখা ফুটবে, আমি নিশ্চিত।
  • arunachal | 59.93.240.55 | ০৭ মার্চ ২০০৭ ২২:৫৯631786
  • লেখা আটকে যাচ্ছে এখনও।কি করি?
  • Riju | 172.18.18.170, 203.197.96.50 | ০৮ মার্চ ২০০৭ ০৯:৩৯631787
  • যো দি,
    দুরন্ত হচ্ছে।চালিয়ে যাও

    অরুনাচল বাবু কি ডাক্তার? তাহলে চিনি তো আপনাকে :-) লিখুন আরো ,আস্তে আস্তে ঠিক সড়গড় হয়ে যাবে
  • n | 131.95.121.107 | ১৮ জুন ২০০৮ ০০:৪৪631788
  • য,এই য-
    প্রফেসর শঙ্কু কোথায় গেলেন?
  • hukomukho | 198.184.5.252 | ১৯ জুন ২০০৮ ০৫:০০631790
  • গোলা হচ্ছে লেখাটা, তবে দেখ বেন শেষে গাছে তুলে ম ই কেড়ে নেবেন না। পরের কিস্তির অপেক্ষায় থাকলাম।
  • Kyle | 63.192.82.30 | ১৯ জুন ২০০৮ ০৫:৫৮631791
  • মাস তিনেক ধরে গাছে বসে বসে কোমর ব্যাথা, শুধু ফল খেয়ে পেটেও ব্যাথা, কাকেদের অত্যাচারে মাথায় ব্যাথা,পিপড়ে মেরে মেরে হাতে ব্যাথা
    --- কি নিষ্ঠুর, এত কিছুর পরেও মই দিচ্ছে না।
  • omnath | 59.93.241.147 | ১৯ জুন ২০০৮ ০৬:০৮631792
  • এক বছর তিন মাস টু বি প্রিসাইজ।
  • a | 220.225.7.11 | ১৯ জুন ২০০৮ ১৭:২০631793
  • এই টইকে নেমে যেতে দেওয়া চলবে না চলবে না।

    যো দি, লিখুন না প্লীজ
  • a | 220.225.7.11 | ২০ জুন ২০০৮ ১৪:০৯631794
  • touched
  • n | 131.95.121.107 | ২২ জুন ২০০৮ ২২:২২631795
  • য বোধহয় আর আসেন না এখানে।
  • Sayantan | 24.0.145.33 | ১১ নভেম্বর ২০০৮ ০৮:৫২631796
  • হ্যালো হ্যালো টেস্টিং টেস্টিং ওয়ান টু থ্রী গোপালের মা হ্যালো গোপালের মা .. অ্যাই এককাপ চা এদিকে দে .. আপনি যেখানেই থাকুন গোপাল ও বাকি সকলের জন্য এই গল্পটা শেষ করে যান হ্যালো হ্যালো ...
  • | 69.141.44.187 | ১২ নভেম্বর ২০০৮ ০৩:৫৫631797
  • লাস্ট লেখা টা কি কোনো ছবি যেটা আপলোড হবার প রে আর দেখা যাছে না? নাকি প্র ফেস র এন্ড কো হারিয়ে গেলেন?
  • abinaash | 207.47.98.129 | ১২ নভেম্বর ২০০৮ ০৪:৪২631798
  • আমার নাম অবিনাশ সেন, জাতিতে বদ্যি। গায়ক রামপ্রসাদের সঙ্গে আমাদের কেমন একটা লতায় পাতায় সম্পর্ক আছে। গতাসু পিতৃদেব এ নিয়ে অহংকার করতেন রীতিমতো। তবে আমাদের দু'ভায়ের এ নিয়ে কোন হেলদোল নেই।

    গত বছরে প্রফেসর সাহেবের সঙ্গে গোপালপুর বেড়াতে গিয়েছিলুম। প্রফেসর সাহেবের সাথে ঘুরতে গেলেই কিছু না কিছু একটা ঘটে। তবে উনি পন্ডিত মানুষ। কিছু না কিছু একটা করে বিপদ কাটিয়ে দেন। বুঝতে পারি আমাকে উনি একটু স্নেহ করে থাকেন, আর সে স্নেহের বেশ খানিকটা আমার বুদ্ধ্যল্পতার কারণে। কিন্তু গতবারে যেটা ঘটল সেটা কাটিয়ে তোলা প্রফেসর সাহেবেরও ক্ষমতার বাইরে ছিল। উনি অবশ্য নাস্তিক মানুষ। তবে আমি আমাদের শেতলাতলার একটি ফুলের পাপড়ি আর বেলপাতা একটি তামার কবচে ভরে সব সময়েই দক্ষিনবাহুর নিম্নার্দ্ধে ধারণ করে থাকি। ঐ কবচের ক্ষমতাতেই এই ফাঁড়া থেকে উদ্ধার ঘটল বলে আমার বিশ্বাস, আর আমার পরিবারও আমার সঙ্গে এ ব্যাপারে একমত।

    তা ঘটনাটা যখন ঘটল তখন শঙ্কুবাবু আমার পাশেই ছিলেন। যদিও উনি আহত হয়েছিলেন খুব তবু আমাকে কয়েকটি কথা বলার অবসর উনি পেয়েছিলেন। অন্য কথার মধ্যে দুটি অনুরোধ ছিল। একটি হল উনি অসমর্থ হয়ে পড়লে বা অন্য কারনে অপারগ হলে যেন আমি ওনার বেড়াল নিউটনকে যথাসাধ্য রক্ষা করি। অন্য অনুরোধ হল তেমন ক্ষেত্রে আমি যেন গোপালপুর পরবর্তী ঘটনা জনসাধারনের অবগতির জন্য প্রকাশ করি।

    প্রথম অনুরোধ আমি রক্ষা করেছি। দ্বিতীয় অনুরোধ নিয়ে আগাগোড়াই আমার একটু কিন্তু কিন্তু ভাব ছিল। মুখ্যু মানুষ, কি বুঝতে কি বুঝেছি, আর কি লিখতে কি লিখব তার তো আর কিছু ঠিক নেই। তাই যখন দেখলুম প্রফেসর সাহেব ছদ্মনামে (ঐ কলম কি আর লুকোনো যায়) আপনাদের পত্রিকাতে লিখছেন, তখন নিশ্চিন্ত হয়েছিলাম। কিন্তু অনেকগুলি কিস্তি বাদ পড়ার পর বুঝলাম যে শঙ্কুবাবুর কোন বিপদ ঘটেছে, নতুবা পৃথিবীর পক্ষে জরুরী এই ঘটনা নিয়ে এমন উপেক্ষা দেখানো প্রফেসরসাহেবের স্বভাববিরুদ্ধ। এই অবস্থায় বন্ধুকৃত্য সম্পন্ন করতে কলম ধরতে হল। শঙ্কুবাবুর ন্যায় সাহিত্যরস সৃষ্টি করতে অধম অক্ষম। তবে মূল ঘটনার বিবরণে কোন স্বেচ্ছাকৃত ত্রুটি ঘটবে না, এই প্রতিজ্ঞা রইল।
  • siki | 203.122.26.2 | ১২ নভেম্বর ২০০৮ ১০:৫২631799
  • হুঁ। কিন্তু অবিনাশবাবু কি শঙ্কুকে প্রফেসরবাবু বা শঙ্কুবাবু বলে রেফার করতেন? তিলুবাবু বলতেন না?
  • abinaash | 207.47.98.129 | ১২ নভেম্বর ২০০৮ ২৩:৩৮631801
  • জাপানী সাহেবের নৌকোতে আমার যখন ঘুম ভাঙল, তখন তিলুবাবু আমার পাশের খাটে। এর আগের কিস্তিতে আমি তিলুবাবুকে প্রফেসরসাহেব আর শঙ্কুবাবু বলে সম্বোধন করেছি। তাই নিয়ে আমাদের দুজনের এক কমন বন্ধু আপত্তি জানিয়েছেন। আসলে তিলুবাবুর মৃত্যু ঘটেছে ধরে নিয়েছিলাম বলে তুলনায় ফর্মাল সম্বোধনে মনে মনে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছিলাম। কিন্তু বন্ধুর আপত্তিতে মনে পড়ল তিলুবাবুর মৃত্যু ঘটেছে এমন মনে করার কোন কারন এখনো পর্য্যন্ত নেই। তাই পূর্বের সম্বোধনে ফিরে যাওয়াই স্থির করলাম।

    ঘুম ভেঙ্গে চট করে উঠে বসা আমার স্বভাব নয়। বরং শুয়ে-শুয়েই কিছুক্ষণ ইষ্ট স্মরণ করা আমার নিয়ম। কিন্তু সেদিন কিছুতেই জপে মন দিতে পারছিলাম না। কয়েকবার ইষ্টমন্ত্র জপের পরেই মন্ত্রের প্রথম পংক্তি মনে করতে অসুবিধা ঘটছিল। কয়েকবার এরকম হওয়ার পর খেয়াল হল ঘরের বাতানুকূল যন্ত্রটি কিছু সময় অন্তর জীবিত হয়ে উঠছে এবং সরাসরি আমার খাটের উপর ঠান্ডা হাওয়া চাড়িয়ে দিচ্ছে। স্মৃতিবিভ্রমের সঙ্গে বাতানুকূল যন্ত্রের জীবিত হয়ে ওঠার যোগাযোগ ও আমার গোচর হল। একবার মনে হল তিলুবাবুকে অসুবিধার কথা জানিয়ে বাতানুকূল যন্ত্রটি বন্ধ করতে বলি। কিন্তু হারুবাবু, তিলুবাবু ও মাদ্রাজী সাহেব অনেক রাত্রি অবধি কাজ করেছেন জানা ছিল বলে ওনাকে ভোররাত্রে বিরক্ত করতে সঙ্কোচ হল। ঐ সঙ্কোচটুকু না থাকলে হয়তো আজকে পৃথিবীর ভাগ্য অন্য পথে চলত। সাধে কি বাবা বলতেন - নিয়তি কেন বাধ্যতে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি প্রতিক্রিয়া দিন